#ভালোবাসি_প্রিয়
পর্ব:০২+০৩
#অপরাজিতা_রহমান
বিয়ের সাজে বসে আছি। আমার বাবা একজন নামকরা ব্যবসায়ী হওয়ার পরে ও বিয়েতে খুবই সামান্য আয়োজন করেছেন। বাবার না হওয়া জামাই নাকি তাকে এই সামান্য আয়োজন করতে বলেছেন।কেননা বিয়ের নামে মা*ত্রা*তি*রি*ক্ত খরচ অনেক সময় মা*রা*ত্ব*ক অপব্যয় ও অপচয়ের শামিল।এই কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কম খরচে বিয়ে সম্পন্ন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
একটি হাদিসে এসেছে, যেইখানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “নিশ্চয় সে বিয়ে বেশি বরকতপূর্ণ হয় যে বিয়েতে খরচ কম হয়।[আহমাদ , শুয়াবুল ইমান]
আম্মার কথা আজ খুব মনে পড়ছে। আম্মা বেঁ*চে থাকলে হয়তো আমার আমাকে কখনোই এমন একটা থার্ড ক্লাস ছেলের সাথে বিয়ে দিত না। বিয়ে নিয়ে প্রত্যেকটা মেয়ের জীবনে স্বপ্ন থাকে। আমি ও তার ব্যতিক্রম ছিলাম না। আমার সব স্বপ্নে পানি ঢেলে দিল ঐ ব্যাটা রাজ যাকে কিনা আমি এখন ও দেখি নি। যদি ও বাবা বলেছিল রাজের সাথে মিট করতে, কিন্তু আমি না করে দিয়েছি। তবে লোক মুখে যতটুকু শুনেছি অনুমান করতে পারছি যে রাজ নিশ্চয় বাটুল হবে,মাগুর মাছের মত কালো হবে,ট্যাপা মাছের মত পেট হবে, শিং মাছের মত দাড়ি থাকবে , আহ্ এর থেকে বেশি আর কি লাগে?
রাজ কে নিয়ে ভাবছিলাম এরই মধ্যে দেখি শীতলের আম্মা খাবার নিয়ে আসছে।এই মহিলা কে আমি যত দেখি ততই অবাক হয়ে যায়। আমি হাজার বার বারন করেছি আপনি আমার আশেপাশে আসবেন না, আমার কোন জিনিসে আপনি হাত দিবেন না।শত অপমানিত হওয়ার পরে ও আমার রুম গোছানো থেকে শুরু করে আমার কাপড় চোপড় পর্যন্ত ধুয়ে দেয়। আবার ছুটির দিনে আমার পছন্দের নানা আইটেম রান্না করে।
কুয়াশা মা তুমি দুই দিন কিচ্ছু খাও নি। একটু খাবার খেয়ে নাও।না খেয়ে থাকলে তো তুমি অসুস্থ হয়ে পরবে। আমি জানি তুমি আজ ও শীতলের আম্মা কে নিজের আম্মা হিসেবে মানতে পারো নি। কিন্তু
তুমি আমাকে মা হিসেবে মানো বা না মানো আমি কিন্তু কখনোই শীতল আর তোমাকে আলাদা চোখে দেখি নি। আমি শীতল কে যতটা ভালোবাসি তোমাকে বরং তার থেকে বেশি ভালোবাসি। শুধু গর্ভে ধারণ করলেই মা হওয়া যায় না। এইটা তুমি এখন বুঝবে না নিজে যখন মা হবে, তোমার ভিতরে যখন মাতৃত্ব বোধ জাগ্রত হবে তখন বুঝতে পারবে তোমার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী,শীতলের আম্মা ঠিক তোমাকে কতটা ভালোবাসত?
ভালো তো আমাকে সবাই বাসে। অনেকেই তো বলে ভালোবাসি প্রিয়, কিন্তু সেই ভালোবাসা শুধু নামে মাত্র। তা না হলে কি আমার নিজের বাবা কখন ও আমাকে এমন একটা আনস্মার্ট ছেলের সাথে আমার বিয়ে দিতে চাইতো?
আমি বুঝতে পারছি মা তুমি এই বিয়ে টা মানতে পারছ না। কিন্তু আল্লাহ যা করেন বান্দার ভালোর জন্য করেন।জানো তো মা সূরা আনফালের ৩০ নং আয়াতে বলা হয়েছে “নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা উত্তম পরিকল্পনাকারী”। আমাদের কিসে মঙ্গল হবে সেইটা তো আল্লাহ ভালো জানেন। তুমি দেখ…..
অনেক ক্ষুধা লাগছে আমার।আমাকে একটু আপনার হাতে খাইয়ে দিবেন? কথাটা বলার পর দেখি উনার চোখ পানিতে চিকচিক করছে। হয়তো আমার থেকে এতো ভালো ব্যবহার আশা করে নি। আর করবেই বা কিভাবে? আমি তো তার সাথে কখনো ভালো ব্যবহার করি নি। অবহেলা, অপমান ছাড়া কিছুই পান নি আমার থেকে। কিন্তু সেদিন হঠাৎ করে উনি অসুস্থ হওয়ার পর থেকে কেন জানি না উনার জন্য আমার মনে একটা সফট কর্নার তৈরি হয়েছে । হয়তো আম্মার মতো তাকে ও হারানোর ভয় কাজ করছে। কি হলো দিবেন না?
অবশ্যই দিব মা। আমি সবসময় চেয়েছি আমার দুই মেয়েকে আমি নিজে হাতে খাইয়ে দিব। আর আজ এতো গুলো বছর পরে আল্লাহ আমার সেই ইচ্ছা পূরণ করল।
জানেন আপনি যখন শীতল কে খাইয়ে দিতেন, আমি দূর থেকে দেখতাম। ভাবতাম আমি ও ছুটে এসে আপনার হাতে খাবো, কিন্তু আমার ইগো আমাকে আসতে বাধা দিত। আজ এতগুলো বছর পর মনে হচ্ছে আমি আমার আম্মার হাতে খাচ্ছি।আম্মা ও আমাকে ঠিক এই ভাবে খাইয়ে দিত। হঠাৎ দরজায় চোখ যেতেই দেখি বাবা চশমা খুলে তার চোখের পানি মুছছে।
একি বাবা তুমি দরজায় দাঁড়িয়ে আছ কেন? ভেতরে আসো। আর তুমি কান্না করছো কেন?
এ কান্না দুঃখের নয় মা। এটা সুখের কান্না। ফারজানা মা*রা যাওয়ার পর আমি তোমার কথা ভেবে দ্বিতীয় বিয়ে করি। কিন্তু তুমি তাকে নিজের আম্মার জায়গা দিতে পারো নি। সবসময় তার সাথে খারাপ ব্যাবহার করেছ।আজ হঠাৎ রেহেনার হাতে তুমি খাচ্ছো দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আর একটা কথা , আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও মা। তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমি তোমার বিয়ে ঠিক করেছি।তবে একটা কথা মনে রেখ, বাবা মা কখনো সন্তানের খারাপ চায় না। আমি রাজের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়েছি। ছেলেটা অনেক ভালো। তোমাকে অনেক সুখে রাখবে। তুমি আজ যাকে থার্ড ক্লাস, অশিক্ষিত, গেঁ*য়ো বলছো
এমন ও তো হতে পারে একদিন ঐ থার্ড ক্লাস লোকটা তোমার হাসি মুখের কারণ হলো, তুমি তাকে নিয়ে প্রাউড ফিল করলে।
আমি তোমার এতোটাই বোঝা হয়ে গিয়েছি ,যার জন্য আমার গ্ৰাজুয়েশন টা ও কমপ্লিট করতে দিলে না। আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগলে।
দেখ মা বিয়ে একটা সামাজিক নিয়ম ও পারিবারিক বন্ধন। সমাজের নিয়মে একটা মেয়ে সারাজীবন তার বাবার মায়ের কাছে থাকে না, একদিন না একদিন তাকে বাবার ঘর ছেড়ে শ্বশুর বাড়ি যেতে হয়।
অন্যদিকে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবাহের মাধ্যমে দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ হয়।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,বান্দা যখন বিবাহ করে,তখন সে তার অর্ধেক ইমান (দ্বীন) পূর্ণ করে।এতএব বাকি অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহ কে ভয় করে।[ সহীহ আল_জামিউস সাগীর ওয়া যিয়াদাতুহ হা/ ৬১৪৮,সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব , ইমাম আলবানী বলেন,হাদিসটি হাসান লিগাইরিহ]
অবশেষে বিয়ে টা হয়ে গেল।তিন কবুলে আর একটা সই দিয়ে হয়ে গেলাম আমি অন্য কারো স্ত্রী। একজন টিকটক সেলিব্রিটির বিয়ে হলো অথচ মিডিয়ার কেউ জানতে ও পারল না।এমন কি আমার ফ্রেড সার্কেলের দুই একজন ছাড়া আর কাউকে জানানো হয় নি।বিদায় বেলা বাবা ,শীতলের আম্মা, শীতল কান্নায় ভেঙে পরলেন।বাবা রাজ কে বললেন, আমার উ*শৃ*ঙ্খ*ল মেয়েটা কে তোমার হাতে তুলে দিলে দিলাম বাবা । তুমি ওর খেয়াল রেখ বাবা।
আপনি চিন্তা করবেন না বাবা। কুয়াশা এখন আমার অর্ধাঙ্গিনী, আমার দায়িত্ব। আমি আমার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব কুয়াশাকে কে সঠিক পথে আনার।
রওনা দিলাম নতুন ঠিকানায়। যদিও রাজ বাদে শ্বশুর বাড়ির সবাই আমার পরিচিত , তারপর ও ভেতরে ভেতরে অস্থিরতা কাজ করছিল। লোকমুখে শুনেছি বিয়ের পরে নাকি মেয়েরা বাবার বাড়ির আত্মীয় হয়ে যায়। বিয়ের আগে যেই বাড়িতে ছেঁড়া কাপড় ও পরা যায় , বিয়ের পরে নাকি সেই বাবার বাড়ি আসতে গেলে দশ বার ভাবা লাগে কোন জামা টা পরে যাব? তখন স্বামীর বাড়ি মেয়েদের সবকিছু হয়ে যায়। এসব ভাবতে ভাবতে চলে আসলাম আমার আপন ঠিকানায়।
চলবে….
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
#ভালোবাসি_প্রিয়
পর্ব:০৩
#লেখনীতে_অপরাজিতা_রহমান
বা*স*র ঘরে একহাত ঘোমটা টেনে বসে রয়েছি। কিছুক্ষণ আগে নাদিয়া আপু আমাকে এই ঘরে রেখে গিয়েছে, আর যাওয়ার সময় আমার কানে কানে কিসব কথা বলে গেল যার আগা মাথা কিছুই বোধগম্য হলো না আমার।ভাবতে লাগলাম আপু ঠিক কি বলে গেল? এরই মধ্যে দেখি বাবার ফোন। হ্যাঁ বাবা বলে।
কুয়াশা আমি শীতলের আম্মা। তোমার জন্য মনটা কেমন করছিল।মনে হচ্ছে আমি কোন বড় সম্পদ হারিয়ে ফেলেছি। ভেতর টা হাহাকার করছে আমার।
আমি ও আপনাদের খুব মিস করছি।
মা ঐখানে তোমার কোন সমস্যা হচ্ছে না তো?
না, এইখানে সবাই অনেক ভালো। কিছুক্ষণ আগে রাজের আম্মা নিজের হাতে আমাকে খাইয়ে দিয়েছেন। রাজের বাবা, মা খুব ভালো।
একটা কথা বলি মা। তুমি সবার সামনে রাজের নাম ধরে ডেক না।
কেন কোন সমস্যা?
না মা কোন সমস্যা নেই। তবে মুরব্বিরা স্বামীর নাম ধরে ডাকা বিষয় টা স্বাভাবিক ভাবে নেয় না।অথচ স্ত্রীর নিকট স্বামী হলেন সবচেয়ে বড় বন্ধু। সবচেয়ে আপনজন। তাই স্ত্রী ও স্বামীর নাম ডাকতে পারবে।এতো কোন দোষ নেই।এতে করে দুইজনের মধ্যে বন্ধুত্ব বৃদ্ধি পায়।
“হযরত জায়নাব(রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে তার স্বামী আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) এর নাম ধরে কথা বলেছিলেন”।
[বুখারি ১৪৬২]
অথচ আমাদের দেশে স্বামীর নাম ধরে ডাকলে সেটাকে বেয়াদবি বলা হয়। শ্বশুর শ্বাশুড়ি মুরব্বিদের সামনে ডাকলে তো কোন কথাই নেই।
ইব্রাহিম আঃ বউ তার স্বামীর নাম ধরে ডেকছেন।
“ইয়া ইব্রাহিম! আপনি কোথায় যাচ্ছেন”?।
তার স্বামী একজন নবী। তারপর ও তিনি তার স্বামীর নাম ধরে ডেকেছেন,আর ইব্রাহিম আঃ কোন প্রতিবাদ ই করছেন না।
স্বামীর নাম ধরে ডাকাটাই নিয়ম, স্বামীর নাম ধরে ডাকাটাই হাদিস, বুখারি শরিফের হাদিস।
ঠিক আছে বুঝতে পেরেছি।
হঠাৎ দরজায় খটখট শব্দে ধ্যান ভাঙল আমার।
“আসসালামুয়ালাইকুম ”
মিষ্টি একটা কণ্ঠে সালাম শুনে সামনে তাকিয়ে থমকে গেলাম আমি। এ আমি কাকে দেখছি? এ রাজ হতেই পারে না।
ওয়ালাইকুম আসসালাম।
আপনি কি রাজ?
কেন কোন সন্দেহ আছে ?
আমার সত্যি বিশ্বাস হচ্ছে না যে এইটা রাজ। আমার ভাবনার রাজের সাথে এই রাজের কোন মিল নেই।রাজ ছয় ফুট লম্বা, গায়ের রঙ আমার থেকে ও ফর্সা, মুখে চাপ দাড়ি,দাড়িতে যে কাউকে এতো সুন্দর লাগতে পারে হয়তো রাজকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না।এক কথায় সুদর্শন পুরুষ বলা যেতে পারে।
“এই যে মিসেস”কোথায় হারিয়ে গেলেন? সেই কখন থেকে ডেকে চলেছি।
কিছু বলছেন?
বলছি কেমন আছেন মিসেস রাজ?
আপনাদের সাথে পরিচয় হবার আগে ভালো ছিলাম।যবে থেকে আপনাদের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে, তারপর থেকে আমার জীবন টা এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। আমি কি খুব বেশি অন্যায় করে ফেলেছিলাম আপনাদের উপকার করে?উপকারের বিনিময়ে আমার স্বপ্ন গুলো ভেঙ্গে দিলেন। বিয়ে নিয়ে কতো স্বপ্ন ছিল আমার। একজন বিসিএস ক্যাডার কে বিয়ে করব।নাচ, গান হইহুল্লোর , জমকালো আয়োজন হবে, হাজার হাজার সেলফি তুলব,টিকটক ভিডিও করব। শুধু মাত্র আপনার জন্য আমার স্বপ্ন পূরন হলো না। আমার বাবা কে আপনি হাত করে নিলেন। আমার তো মনে হয় আপনি আমার বাবার সম্পত্তির জন্য আমাকে বিয়ে করছেন।না হলে একজন মাদ্রাসার শিক্ষক আমার মতো উ*শৃ*ঙ্খ*ল মেয়েকে কেন নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করতে চাইবে?
আমি যতটুকু জানি আপনি নিজের ইচ্ছায় আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন। আপনার বাবা তো আমাকে বলল , আপনার এই বিয়েতে কোন আপত্তি নেই। আমি সত্যি যদি জানতাম আপনি এই বিয়েতে রাজি না। আমি কখনো আপনার মতের বিরুদ্ধে আপনাকে বিয়ে করতাম না।
আপনি সব জানেন। এখন ভালো মানুষ সাজার চেষ্টা করছেন।একে তো আপনার মতো লোকের সাথে বিয়ে হলো ।তাও আবার কোন প্রকার আয়োজন ছাড়া।
দেখুন”বিয়ে শুধুমাত্র একটি ব্যয়বহুল অনুষ্ঠান আর হাত ধরে কয়েকটি সেলফি তোলার নাম নয়।
এটি হলো পারস্পরিক ত্যাগ প্রশংসা আনুগত্য ভালোবাসা, এবং সম্মানের মাধ্যমে একটি সুন্দর বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া”।
আর এতো হাইপার হবার দরকার নেই মিসেস রাজ। আপনার বাবার সম্পত্তির প্রতি আমার বিন্দুমাত্র লোভ নেই। এই টা রাখুন। আপনার দেনমোহর এর টাকা ।আর বাসর রাতের গিফট।যদি কখনো ইচ্ছে হয় খুলে দেখবেন। হয়তো দামি কিছু দিতে পারি নি।তবে এতে আমার অনেক ভালোবাসা মিশ্রিত আছে।
যেইখানে আমি বিয়েটাই মানি না সেইখানে দেনমোহর পরিশোধ করার কি প্রয়োজন আছে?
তুমি মানো বা না মানো বিয়ে টা তো হয়েছে। মুসলিম বিয়েতে দেনমোহর হচ্ছে স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীর একটা বিশেষ অধিকার। দেনমোহর সাধারণত বর ও কনের সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। দেনমোহর হিসেবে যে কোন পরিমাণ অর্থ নির্ধারণ করা যায়। কিন্তু কোন অবস্থায়ই স্বামী নূন্যতম ১০ দিরহাম বা সমপরিমাণ অর্থ অপেক্ষা কম নির্ধারণ করতে পারবেন না। মুসলিম আইন অনুযায়ী দেনমোহর বিয়ের একটি অন্যতম শর্ত। দেনমোহর স্বামী কর্তৃক স্ত্রী কে প্রতিশোধ যোগ্য একটি আইনগত দায়।
স্বামী যদি স্ত্রী কে তা*লা*ক দেয় বা স্ত্রী যদি স্বামী কে তা*লা*ক দেয় বা স্বামীর যদি মৃ*ত্যু ঘটে তবে অবশ্যই দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে। দেনমোহর পরিশোধ করা ইসলামে বাধ্যতামূলক। দেনমোহর পরিশোধ না করলে শেষ বিচারের দিন আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। দেনমোহর পরিশোধের বিকল্প কিছু নেই।তবে স্ত্রী যদি মাপ করে দেন সেক্ষেত্রে মাপ হতে পারে।
সুরা নিসার ৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে,” আর তোমরা স্ত্রীদের কে খুশি মনে মোহর দিয়ে দাও, তারা যদি খুশি হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়,তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ করো।
দয়া করে আপনার লেকচার বন্ধ করেন।ইউ নো আমি হিসাববিজ্ঞানের ছাত্রী। জ্ঞানে, বুদ্ধিতে কোন অংশে কম নয় আমি। তাই আপনার মতো অশিক্ষিত লোকের থেকে আমি কোন জ্ঞান নিতে চাচ্ছি না।
আমি তোমাকে কোন জ্ঞান দিচ্ছি না। তোমার প্রাপ্য টা তোমাকে বুঝিয়ে দিতে চাচ্ছি।চল আমাদের নতুন জীবন শুরু করার আগে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করি। যদিও স্বামী স্ত্রী বা*স*র রাতে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোন হাদিস পাওয়া যায় নি ,তবেএ ব্যাপারে সাহাবী এবং পূর্বসূরিদের আমল রয়েছে। সুতরাং কেউ যদি তা পড়ে তাহলে তাতে কোন আপত্তি নেই ইনশাআল্লাহ। অনেক আলেম ও এই দুই রাকাত কে মুস্তাহাব বলেছেন।
আমার নামাজ পড়া লাগবে না । আপনি একাই পড়েন।
আসলে আমি শেষ কবে নামাজ পড়েছি তা মনে ও নেই। শুধু রমজান মাস আসলে নামাজ পড়তাম, রোজা রাখতাম। কিন্তু রমজান মাস চলে গেলে আবার সেই আগের জীবনে ফিরে আসতাম।
অতঃপর রাজ একাই নামাজ পড়তে চলে গেল। প্রচুর ঘুম পেয়েছে আমার। কিন্তু সমস্যা হলো আমি ঘুমবো কোথায়?ঐ লোকটার সাথে এক বি*ছা*না*য়? মোটেই না। কিন্তু রুমে একটা মাত্র সিঙ্গেল সোফা। যেইখানে পুরা একটা বিছানা আমার একার লাগে , সেইখানে এই সিঙ্গেল সোফা তে ও ঘুমতে পারব না।এরই মধ্যে রাজের নামাজ পড়া শেষ হয়ে গেল।”রাজকে জিজ্ঞেস করলাম ” আমি ঘুমবো কোথায়?
আমার বু*কে।
চলবে ইনশাআল্লাহ…..
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।