#ভালোবাসি তাই
#part:9
#লেখিকা:রিদিকা আফরোজ রোজা
শান আর জারার বিয়ের এক মাস হয়েছে আজকে তাঁরা দেশে ফিরে যাবে। রাত বারোটায় বাসাই পৌছায় দুইজন….শানের মা বলে আমি অনেক খুশি তুই আমার বউ মা হয়েছিস বিশ্বাস কর তোকে দেখে আমি ভেবে রেখেছি যেই ভাবে হোক আহান কে তোর সাথে বিয়ে দিবো আমার সেই আশা পূরন হলো। জারা আর শান রুমে ডুকে ফ্রেশ হয়ে লাইট ওফ করে শুয়ে পরে জারা শুয়ে শান কে জরিয়ে ধরে বুকে মাথা রেখে শান ও শক্ত করে জারা কে বুকের সাথে মিশিয়ে ঘুমিয়ে যাই। সকাল বেলায় এক সাথে ঘুম থেকে উঠে দুই জন ফ্রেশ হয়ে এক সাথে নিচে যাই খাবার টেবিলে বসতেই শান এর বাবা বলে আমি তোমাদের বিয়ের আবার দিবো বড়ো অনুষ্ঠান করে এবার বলো তোমার কবে সুযোগ আছে? শান বলে আমি এই মাস টাই কাজ করবো সামনের এক মাস রেস্ট করবো আর তোমার বউ মা ও সেরা সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিবে এই সামনের মাসে দুই জন ফ্রি আছি। শানের বাবা বলে তাহলে সামনের মাসের দশ তারিখ জারার প্রতিযোগিতার ফলাফল দিবে 13 তারিখ আমি পার্টি আয়োজন করে সবাই কে ডলে দিবো। শান আর জারা বলে ঠিক আছে তাই হবে এরপর দুই জন রুমে চলে যাই। জারা ব্যালকনিতে শানের কুলে বসে গলা জরিয়ে ধরে বলে কি কপাল আবার বিয়ে হবে দ্বিতীয় বাসর ও। শান বলে একদম ঠিক বলেছো ডেড ভালো একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জারা বলে দুই দান পর তো আমাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে তুমি কি যাবে না সাথে? শান জারার গাল টিপে বলে অবশ্যই সোনা যাবো তো যতো দিন তুমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে আমি ততো দিন সাথে থাকবো তবে শ্রদ্ধ বেশে বুজলে? জারা বলে বুজলাম….
দুই দিন কেটে যাই আজকে জারা সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে প্রথম রাউন্ড এ জারা জিতে গেছে। কয়েক দিন পর হয় দ্বিতীয় রাউন্ড সেই কানে ও জারা মতো সুন্দরী কেউ নেই জারার সৌন্দর্য দেখে অবাক সবাই চার দিকে জারার প্রশংসা শুধু। অবশেষে সব বাদ পরেছে শুধু রয়েছে জারা আর তিন বার এর সুন্দরী প্রতিযোগিতার মুকুট পাওয়া মেয়েটি নাম এশ। আজকে বিজয়ীর মাথায় মুকুট পরিয়ে দিবে সুপারস্টার আবরার ইমতিয়াজ শান। শান আসতেই মিডিয়া ঘিরে ধরে হয় চয় শুরু হয়ে যাই। শান প্রদান অতিথির সিটে বসে আগে তার প্রিয় তমার দিখে তাকায় লং সাদা ভার্বি গাউন এ পুতুল লাগছে সাথে ডায়মন্ড জুয়েলারি। অবশেষে বিচারক দের হাতে এসে গেছে ফলাফল তিন জন প্রতিযোগী দারানো। অনুষ্ঠান পরিচালনা কারি মেয়েটি কার্ড টা হাতে নিয়ে নাম টা দেখে সবার দিকে থাকিয়ে বলে এই বছরের সেরা সুন্দরী মুকুট পাচ্ছে বলেই থামে। এশ মনে মনে বলে এই বছর ও আমি পাবো এই দিকে জারার কোনো হেল দুল নেই চুপ করে আছে। মেয়েটি এবার বলে এই বার এবার সেরা সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সেরা সুন্দরীর মুকুট চিনিয়ে নিলেন নবাগত সুন্দরী জারা চৌধুরি। মেয়েটির কথা শুনে জারা মুখে হাত দিয়ে অবাক হয়ে তাকে জারা ভাবেনি এশ এর থেকে মুকুট ছিনিয়ে নিতে পারবে। জারা খুশি হয়ে পাশের মেয়েটি কে জরিয়ে ধরে। এরপর জারা কে রেখে বাঁকি দুই জন নেমে যাই। মেয়েটি বলে এবার সেরা সুন্দরী জারা কে মুকুট পরিয়ে দিতে আসবে সুপারস্টার আবরার ইমতিয়াজ শান। শান মুচকি হেসে উঠতেই তালির শব্দ হয়….. শান জারার সামনে দারিয়ে মুচকি হেসে জারার মাথায় মুকুট পরিয়ে দিয়ে congratulations যানাই জারা হেসে ধন্যবাদ বলে। সবাই এবার আবদার করে দুই জন কে কাপাল পিক তুলতে শান হেসে জারা কে এক হাতে জরিয়ে ধরে কাপাল পিক তুলে। এরপর অনুষ্ঠান শেষ করে জারা কে নিয়ে গাড়িতে বসে। শান জারা কে উদ্দেশ্যে করে বলে আমি তো আগেই বলেছি আমার জানের থেকে সুন্দরী কেউ হতে পারবে না মিলে গেলো তো। জারা বলে তুমি যে প্রধান অতিথি বলো নি কেনো আমাকে (একটু মন খারাপ করে বলে জারা )? শান এক হাতে ড্রাইভ করছে আরেক হাতে জারা কে জরিয়ে ধরে বলে তোমাকে সারপ্রাইজ দিবো বলে।
জারা বাসাই যেতেই শ্বশুর শ্বাশুরি জরিয়ে ধরে বলে আমরা বলেছিলাম না আমাদের মেয়ের থেকে সুন্দরী কেউ হতেই পারবে না মিললো তো আমাদের মেয়ে চাঁদের কনা। শ্বশুর শ্বাশুরি কথা শুনে জারা বলে আমার শ্বাশুরি মা আমার শ্বশুর আব্বু আমার জামাই সবাই কতো কিউট আমি তো তাঁদের মতো হবো তাই না? শানের বাবা বলে একদম আচ্ছা মামুনি বলো তোমার কি চাই আজকে তোমাকে গিফ্ট করবো। জারা খুশি হয়ে বলে আমাকে একটা আইফোন আরেকটা laptop আমার দুই টাই পুরোনো হয়ে গেছে তোমার ছেলের গুলো নতুন দেখলে হিংসা হয়। শানের বা বলে রাতেই পেয়ে যাবে মামুনি এবার ফ্রেশ হয়ে আসো আমরা গল্প করি। শান আর জারা মাথা নারিয়ে উপরে চলে যাই ফ্রেশ হয়ে নিচে নামে দুই জন। এই দিকে শানের বাভা জারার পছন্দ করা দুইটা জিনিস অর্ডার করে দেই। জারার আড্ডা দিয়ে কিছু কোন এরপর লুডো খেলায় বসে শান আর শানের মা জারা আর শানের বাবা। জারা আর শানের বাবা জিতে..
জারা বলে মিঃ জামাই টাকা বের করো পাঁচ হাজার। শান বলে কেনো ? জারা বলে বাজি ধরেছো তাই চুপ চাপ দিয়ে দাও নাহলে আমি যদি নেই সব গুলো নিবো। শান বলে আমি দিচ্ছি বউ বলেই টাকা বের করে গুনতে থাকে এর মাজে জারা সব গুলো টান মেরে নিয়ে বলে এই সব গুলো আমার! শান বলে এই কানে পুরা বিশ হাজার। জারা বলে তো কি হয়েছে অন্য কেউ তো নেই নি তোমার নিজের বউ নিয়েছে আর তোমার টাকার অভাব নেই কিপটা গিরি করো না। শান বলে কিপটা আমি? জারা বলে ইয়েস নাহলে বিশ হাজার টাকা নিয়ে এতো ডং করতে না এই রকম কতো বিশ হাজার তুমার পরনের একটা ড্রেসের দাম ও না যাই হোক পাপা নাও দশ তোমার দশ আমার। জারা শ্বশুর বলে লাগবে না আম্মু তুমি রাখো এই নাও আরো পাঁচ হাজার বলেই জারার হাতে জারা খুশি হয়ে শানের বাবা কে জরিয়ে ধরে । কিছু কোন পরে কলিং এর শব্দ হয় জারা দরজা খুলে দেখে একটা লোক দারানো হাতে দুইটা পেকেট। জারা বলে কাকে চাই? লোকটি বলে আদনান সাহেব কে উনি কিছু কোন আগে দুইটা জিনিস অর্ডার করেছিলো। জারা জিনিস দুইটা নিয়ে সবার সামনে রাখে। জারা বলে পাপা এই সব কি? জারার শ্বশুর বলে খুলে দেখো। জারা প্রমথ ছোট পেকেট টা খুলতে দেখে তার পছন্দের আই ফোন সাথে বিড়াল এর কভার। এরপর আরেকটা খুলে দেকে laptop জারা খুশি হয়ে শানের বাবা কে জরিয়ে ধরে বলে লাভ ইউ সো মাচ পাপা। শানের বাবা বলে শাভ ইউ টু আমার আম্মু টা। খাওয়া শেষ করে জারা আর শান উপরে যাই।
জারা শানের হাতে টাকা গুলো দিয়ে বলে এই গুলো তুমি নাও। শান বলে কেনো এই গুলো তো তোমার জান আমি কেনো নিবো আর আমার সব তো তোমার। জারা শান এর গলা জরিয়ে ধরে বলে তাহলে নিচ্ছো না কেনো টাকার তো দরকার নেই আমার যা চাই তাই তো দাও চাওয়ার থেকে বেশি দাও অনেক তাই এটা রাখো….
চলমান…