ভালোবাসা ( এক অনুভূতি)
পর্ব ৮
লেখা, kashfuzjahan
in Bangladesh
– কিরে কি করসিস এখানে কি করিস?? আর আমাদের সাহেব কোথায় ( সাগর)
– ভাইকে ঘুম পাড়িয়ে আমি বাগানে এলাম। আর ভালো লাগছে না ওর এই অবস্হা। ক্লান্তু আমি ( আরশি)
– তোর জন্য একটা সুখবর আছে ( সাগর)
– আর সুখবর, এখন তো ভালো খারাপ সব মিলে একাকার হয়ে গেছে জীবনে। কি হবে আল্লাহ ভালো জানে ( আরশি)
– আমেরিকাতে একটা নতুন প্রযুক্তি তৈরী হয়েছে। ওখানে গেলে হয়তো আদ্রিয়ান ভালো হয়ে যাবে। আর কেন জানি না মনে হচ্ছে আমাদের সব সমস্যার সমাধান ওখানেই পাব। ( সাগর)
– যদি ওখানে ভাবীকে পাওয়া যাইতো?? আর পাওয়া গেলেও কি আমি কি ভাবী কে চিনতে পারব?? ( আরশি)
– আপন জনের পরিচয় চেহাড়ায় হয় না মনে হয় বুঝলি?? ( সাগর)
– আচ্ছা ঠিক আছে যাওয়ার ব্যবস্থা কর। তুমিও যাবে তো নাকি ( আরশি)
– হ্যা। তোকে একলা ছাড়া ঠিক হবে না৷ তাছাড়া আদ্রিয়ান কে কথা দিয়েছিলাম ওর পাশে সব সময় থাকব। ( সাগর)
– কথা তো অন্য কেউ ও দিয়েছিলো কিন্তু সে তো থাকল না ভাইয়ের সাথে ( আরশি)
– তুই ভুলে গেছিস যে নওশি জানে আদ্রিয়ান মৃত। তাই আর খোজ খবর নেয় নি। (সাগর)
– তাই বলে কি আমাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারত না??? ( আরশি)
– ও কি তোদের কাউকে চিনতো বল। চিনলে না যোগাযোগ করত। যাই হোক সব গুছায় নে ৩ দিনের মধ্যে আমরা যাব আদ্রিয়ানের চিকিৎসার জন্য ( সাগর)
in u.s.a
– মাম্মা মাম্মা কই তুমি?? রেডি কি তুমি?? মাম্মাাা ( আয়ান)
– এই কাম ডাউন। তুই জানিস না গার্লস দের রেডি হতে সময় লাগে। তো এমন করছিস কেন?? ( নোয়া)
– এতো রেডি হয়ে কি করবি?? ঘোস্ট আর অলওয়েজ বিং আ ঘোস্ট ( আয়ান)
– আল্লাহ এরা আবার শুরু করেছে। আদ্রিয়ান তুমি থাকলে এই লেজ বিহীন বাদর গুলান কে কিভাবে সামলাইতা একমাত্র তুমিই জানো ( নিলয় মনে মনে)
– হুম আমি রেডি চলো। ভাবীদের দেখে আসি গিয়ে। শুনেছি দুজনই ডাক্তার। পছন্দ হলেই বিয়ে পড়ায় দিব। ( নওশি)
– এই বয়সে এসে আমাদের জোকার না বানালে হতো না তাই না?? এতো করে বল্লাম জয়ের বিয়ে দে আমাকে ছেড়ে দে কিন্তু কে শোনে কার কথা ( জিসান)
– কেন?? আমার একার বলি যাবে নাকি তুমিও চলো ( জয়)
– ইয়েেেে মামুর বিয়ে হবে ( আয়ান নোয়া এক সাথে)
– ছি ছি কি লজ্জার বিষয় ( জিসান)
– লজ্জা ছাড়ো চলো বিয়ে করতে হবে। ( নিলয়)
কথা শেষ করে সকলে মেয়ে দেখার জন্য বের হয়। উদ্দেশ্য পছন্দ হলে বিয়ে দিয়ে দেয়া হবে। কিছুক্ষণের মধ্যে তারা একটা বাংলোর সামনে এসে হাজির হয়। মিনিট পাচেক পর দুটো মেয়ে সামনে আসে।
– আসসালামুআলাইকুম কেমন আছেন আপনারা?? ( বড় মেয়েটি)
– ওয়ালাইকুম আসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আপনাদের পরিচয়?? ( জিসান)
– আমি অন্তরা আর ও আমার ছোট বোন অনন্যা। পেশায় ডাক্তার ( অন্তরা)
– আমার ভাইয়েরা ব্যবসা করে। আপনাদেরকে আমাদের ভালো লেগেছে। যদি আপনাদের মত থাকে শুভ কাজ আজ ই সেরে নিতে চাই ( নওশি)
– জি সব ই ঠিক আছে কিন্তু,,,,, , ( অনন্যা)
– কিন্তু কি কোনো সমস্যা?? সমস্যা থাকলে বলতে পারেন। ( নিলয়)
– আসলে আমি আর আমার বোন হিউম্যান বডির উপর কিছু রিসার্চ করছি। যেখানে একজন মানুষের কাজ না করা বিভিন্ন বডি পার্ট কে সচল করা হয়। তা হাত, পা বা ব্রেইন ই হোক না কেন। যদি আপনারা আমাদের শিওরিটি দেন যে বিয়ের পর রিসার্চ এ কোনো বাধা আসবে না তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই ( অন্তরা)
– অবশ্যই এ বিষয়ে সম্পর্ণ সাহায্য পাবেন। যদি লাগে আমরা টাকা দিয়েও সাহায্য করব আপনাদেরকে। ( জিসান)
– তাহলে আলহামদুলিল্লাহ আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ( অন্তরা)
এভাবেই দুই পরিবারের সম্মতিতে শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়। শুভ সুচনা।
In Bangladesh
– কিরে রেডি তুই?? কতক্ষণ লাগবে?? ফ্লাইট মিস হয়ে যাবে নাহলে। ( সাগর)
– আরে ভাইয়া চেচাচ্ছো কেন?? রেডি হতে তো সময় লাগে নাকি ( আরশি)
– এতো স্লো কেন তুই?? এবার শুধু আদ্রিয়ান ভালো হয়ে আসুক তোর বিয়ে দেব। ( সাগর)
– বাহ বাহ আমাকে তাড়ানোর প্লান করছো ভালো তো। ঘরে এমন ভাই থাকলে শত্রুর প্রয়োজন নেই ( আরশি)
– হয়েছে আর বলা লাগবে না। চল এবার ( সাগর)
– আচ্ছা ডাক্তারের সাথে কথা হয়েছে?? ( আরশি)
– হ্যা মিস অন্তরা বলেছেন পৌছানোর ৩৬ ঘন্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু করবেন। ( সাগর)
in u.s.a
– নোয়া দেখ আমাদের পারফেক্ট ফ্যামিলি ফটো। ( আয়ান)
– পারফেক্ট ফ্যামিলি কি আমাদের ( নোয়া)
– হ্যা দেখ সবাই আছে মামা, মামি, তুই, আমি, মাম্মি আর পাপাই ( আয়ান)
– তারপরেও কেন জানি মনে হয় আমাদের পারফেক্ট ফ্যামিলি না। ( নোয়া)
– এমন কেন?? – (আয়ান)
– রোজ রাতে দেখি মা লুকিয়ে একটা পিকচার নিয়ে কান্না করে। কিন্তু আমরা জানি না কেন এমন হয়। আর আমাদের ফ্যামিলি পারফেক্ট হলে মা কান্না করতো না। (নোয়া)
– হ্যা সেটা ঠিক। তাহলে আজ থেকে ডিটেকটিভ নোয়া আর আয়ান খুজে বের করবে মায়ের কান্না করার কারণ কি। ( আয়ান)
– ওকে লেটস স্টার্ট দ্য মিশন ( নোয়া)
চলবে????