ভালোবাসা ( এক অনুভূতি)
পর্ব :৫
লেখা: kashfuzjahan
আজ ৪ মাস হলো নওশি চলে গেছে আদ্রিয়ান কে ছেড়ে। সব কিছুই কেমন যেন তছনছ হয়ে গেছে। আদ্রিয়ান ও আর আগের মতো নেই। পুরো ফ্লাট জুড়ে শুধু মদের বোতল আর আদ্রিয়ান। ওর বাবা একবার এসেছিল নেয়ার জন্য কিন্তু নিয়ে যেতে পারে নি। সাগর অফিসের ফাকে ফাকে এসে সময় দেয় আদ্রিয়ানকে। আর প্রত্যয় বিদেশি ক্লাইন্ট সামলাইতে ব্যস্ত। অনেক চাপ পড়েছে বেচারার ওপর।
এর মাঝখানে ইন্টান্যাশনাল একটা কোম্পানি দেশে আসে। সাগরের সাথে কথা বলার পর জানায় তারা সাগরদের কোম্পানির সাথে ডিল করবে যদি তাদের এম ডি এসে কথা বলে তো।
এদিকে আদ্রিয়ানের ডিল করার মতো কোনো অবস্থাই নেই। শেষে অনেক কষ্টে ওকে ঠিক করে রাজি করায় প্রত্যয়। আর বলে ৩দিন পর একটা পার্টিতে কোম্পানিটি তাদের নতুন সিইও এর সাথে পরিচয় করায় দিবে। আর ওই দিন ই ডিল টাও সাইন করা হবে। প্রত্যয়ের কথায় রাজি হয় আদ্রিয়ান।
অবশেষে পার্টির দিন ৩ বন্ধু বেড়িয়ে পরে এক সাথে। নওশি চলে যাবার পর আজ প্রথম ওই ফ্লাট থেকে বেরোলো আদ্রিয়ান। সেভ করে মোটামুটি একটা লুক এ চলে এসেছে। তবে আগের মতো গ্লামার আর নেই তার চেহাড়ায়।
পার্টিতে পৌছানোর পর অনেক মেয়েই আদ্রিয়ানের নজরে আসার চেষ্টা করছে কিন্তু আদ্রিয়ানের যেন কিছুই ভালো লাগছে না। ঠিক এমন সময়
– লেডিস এন্ড জেন্টেলম্যান, এটেনশন প্লিজ। আমি জয় চৌধুরী, চৌধুরী ইন্ডাস্ট্রি এন্ড টেক্সটাইল এর এমডি। সবে মাত্র ৩দিন আগে বাংলাদেশে এসেছি এদেশে নিজেদের বিজনেস স্টার্ট করতে। আর এখানকার বিজনেস দায়িত্বের জন্য নতুন সিইও যুক্ত করতে। যে প্রথমবার এদেশে এসেছে এখানকার সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করতে। আর সী ইজ মাই লিটল এনজেল যার আজ জন্মদিন। প্লিজ ওয়েলকাম মাই ওয়ান এন্ড অনলি প্রিন্সেস নওশি চৌধুরী। ( জয় নওশির দ্বিতীয় ভাই)
আদ্রিয়ান এতোক্ষণ মাথা নিচু করে ছিল নওশি নামটা শোনার সাথে সাথেই তার হৃদপিন্ড অস্থির হয়ে উঠল। মাথা তুলে তাকাতেই দেখে তার স্ত্রী নওশি একটা ছেলের হাত ধরে নামছে। তাকে একটা পরীর মতো লাগছে৷ ছোট্ট এনজেল।
নওশিকে দেখে আদ্রিয়ান যতটা না খুশি হলো। অন্য ছেলের হাত ধরে আছে দেখে তার মেজাজ আরও খারাপ হলো। মদের নেশায় নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে ক্ষিপ্ত বাঘের মতো এগিয়ে গেল।
– তোর সাহস কি করে হয় অন্য ছেলের হাত ধরার। কিছু বলি নি জন্য মাায় চড়ে বসছিস। নাকি বেশি টাকা ওয়ালা ছেলে পেয়ে নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছিস। বলেই ঠাসসস করে চড় মার নওশি কে। (আদ্রিয়ান)
– হোয়াট দ্য হেল ইজ দিস। হু আর ইউ ড্যাম। হাউ ডেয়ার টু টাচ মি ( নওশি)
– ও আচ্ছা আজ কে আমি। এতোদিন আমার সাথে ছিলি তার কিছু না। এক ফ্লাটে একরুমে কতদিন ছিলি মনে নাই তোর। নাকি বড়লোক বয়ফ্রেন্ডের সামনে নাটক করছিস। (আদ্রিয়ান)
নওশি কিছু বলতে যাবে তার আগেই কেউ আদ্রিয়ান কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আর ও ওঠার আগেই ৩জন ওর দিকে পিস্তল তাক করে।
– হাউ ডেয়ার ইউ। জিসান চৌধুরীর বোনের গায়ে হাত দেয়ার সাহস কি করে হয় তোর। ও আমার প্রিন্সেস। যার গায়ে কারোর ছায়া পড়তে দেই না আমরা দুই ভাই আর তুই তার গায়ে হাত তুলিস ( জিসান চৌধুরী , নওশির বড় ভাই)
আদ্রিয়ান কিছু বলছে না, শুধু নওশির দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু নওশি এমন ভাবে ওর দিকে তাকিয়ে আছে যেন ওকে চেনেই না।
– আর একবার যদি আমার কলিজার দিকে তাকানোর দুঃসাহস দেখাস তো তোর লাশও কেউ খুজে পাবে না( তৃতীয় ছেলেটি।)
– কাম ডাউন নিলয়। হি ইজ ড্রাংক, সো হি ডোন্ট নো হোয়াট ইভার হি ইজ ডুয়িং। প্লিজ ডোন্ট স্পয়েল আওয়ার ডে। ( নওশি)
– ওকে ডিয়ার আই কান্ট ডু এনিথিং। ইউ অলসো কাম ডাউন। বাট প্লিজ টক টু মি ইন বেঙ্গলি। ( নিলয়)
– ইউ নো দ্যাট আই ডোন্ট নো বেঙ্গলী ল্যাঙ্গুয়েজ। সো হোয়াই আর ইউ রিকুয়েষ্ট মি লাইক দ্যাট( নওশি)
– ইউ নো লিটল এবাউট ইট সো প্লিজ ট্রাই ইট। ( নিলয়)
– ঠিক আছে বলব। কিন্তু কেউ হাসবা না। ( নওশি)
– জয় চৌধুরীর বোনের উপর হাসবে এমন সাহস কার আছে ( জয়)
আদ্রিয়ান তখন থেকে সব খেয়াল করল। মেয়েটি ইংলিশের পাশাপাশি ফ্রান্সের ভাষাও ব্যবহার করতেছে। আর বাংলা বলে ভাঙ্গা ভাঙ্গা।
হঠাৎ তার মনে পরল নওশি একদিন তাকে বলেছিল বাংলা সে পারে না। যদি তাকে বাংলা শেখায় তো ভালো হবে কারণ তার ভাষা আদ্রিয়ান বুঝতে পারবে না। সেদিন ভেবেছিল নওশি পাহাড়ি ভাষা বলে কিন্তু বজ মুল কারণ বুঝতে পারল। আদ্রিয়ান উঠে চলে যাবে ঠিক তখনি
– হে ইউ। কোথায় যাচ্ছেন। প্লিজ ডোন্ট গো। আজ আমার বার্থডে + এনগেজমেন্ট যাবেন না প্লিজ। ( নওশি)
নওশির কথাটা যেন আদ্রিয়ানের বুক চিড়ে ঢুকে গেল কিছু বলতে যাবে তার আগেই
– আই নো দ্যাট। আপনি ড্রাংক। তাই আপনার ব্যবহারে কিছু মনে করি নি। আমার ভাইয়াদের আর নিলয়ের হয়ে মাফ চাচ্ছি। প্লিজ ফরগিভ আস। (নওশি)
– না না মাফ তো আমার চাওয়া উচিত। কোথায় কি করা উচিত ভুলে গিয়েছিলাম ( আদ্রিয়ান নিজেকে সামলে)
– বাই দ্যা ওয়ে। যদি আপনি আমাদের মাফ করে থাকেন আর নিজের ব্যবহারে লজ্জিত হোন। তো প্লিজ জয়েন আওয়ার পার্টি (নওশি)
– আল্লাহ কোন পাপের সাজা দিচ্ছো আমাকে। নিজের চোখে নিজের কলিজা কে অন্য কারোর হতে দেখতে হবে। এর চেয়ে ওইদিন এক্সিডেন্টে মারা গেলেই ভালো হতো। ( আদ্রিয়ান মনে মনে)
এদিকে ততক্ষনে নওশির কেক কাটা শেষ। ও সবাইকে খাওয়ানোর পর আদ্রিয়ান কে কেক খাওয়াতে আসে। কিন্তু কেক খেতে গিয়ে আদ্রিয়ানের চোখে পানি চলে আসে। আর এই পানি কেন জানি নওশি কে এক অজানা কষ্ট দিচ্ছিল। শেষে নিজেকে সামলে,,
– গাইজ গাইজ গাইজ আজ আমার আর আমার ডিয়ারেস্ট এ,সি,পি নিলয়ের এনগেজমেন্ট পার্টি তে আমি মিস্টার আদ্রিয়ান খান কে রিকুয়েষ্ট করব একটা গান শোনাতে। সো মিস্টার আদ্রিয়ান প্লিজ। ( নওশি)
akho main achu leke
Otho se muskuray
Hum jaise ji rahi ha
Koyi ji k to batay
Jo tutke na tute koyi aisa dil dekhay
Hum jaise ji rahiha koyi ji k to batay
…………………….
গান টা শোনার মাঝখানে হঠাৎ নওশির মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়।
উফ ব্রো দিস পেইন এগেইন। বলেই অজ্ঞান হয়ে যায় নওশি।
চলবে???
ভালোবাসা ( এক অনুভূতি)
বোনাস পার্ট
লেখাঃ kashfuzjahan
অনেক প্রশ্ন জমে আছে আদ্রিয়ানের মনে। কেন এমন করছে নওশি। কি হয়েছে তার সাথে। কিন্তু কে দেবে তাকে এই উত্তর। একমাত্র নওশি জানে সব। কিন্তু কিছুই যে ওর মনে নেই। ভাবতে ভাবতে হসপিটাল এর উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরে সে।
– মি, জয় আপনার বোন কি ড্রাগস নিত?? এতোটা পরিমানে কেউ ড্রাগস নিয়েছে আর আপনারা পরিবারের কেউ জানতেও পারেন নি। এতোটা কেয়ার লেস কি করে আপনারা ( ডাক্তার)
– না ডাক্তার আমাদের বোন কখনো ড্রাগস নেয় নি। ( জিসান)
– কি বলছেন? শুধু মাত্র অতিরিক্ত ড্রাগস নিলেই এই অবস্থা হতে পারে। এমনকি রোগীর শরীরে এখনো ড্রাগস এর পরিমান অনেক বেশি। তাছাড়া তার উপর অনেক অত্যাচার ও করা হয়েছে। (ডাক্তার)
– আমি বলছি সব কিছু ডাক্তার। আজ থেকে ৮ মাস আগে নওশি এদেশে এসেছিল এদেশের উপর রিসার্চ করতে। আসলে আমার মামা আমজাদ হোসেন আমেরিকাতে পড়াশোনার জন্য গিয়েছিল। সেখানকার মহিলাকে বিয়ে করে ওখানে সেটেল হয়। মামা বেচে থাকতে জয় আর জিসান ভাই দেশে আসত। কিন্তু নওশির দুই বছর বয়সে মামা- মামি মারা যাওয়ায় নওশি কখনো এখানে আসে নি। কিন্তু প্রথম বার এদেশে এসে রাঙ্গামাটিতে যায় ওখানকার সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করতে। তবে একটা সময় পর নওশির সাথে যোগাযোগ বন্ধ হলে আমি পুর্ণ পুলিশ ফোর্স কাজে লাগিয়ে খোজা শুরু করি। প্রায় ১২ দিন পর ওকে একটা লেকের ধারে খুজে পাই। কিন্তু তখন ওর অবস্থা খুব খারাপ ছিল। তাই আমেরিকাতে নিয়ে যাই। পরে একটু সুস্থ হলে এই দেশে নিয়ে আসি যাতে ও কোনো রকমে আসামিকে শনাক্ত করতে পারে। ( নিলয়)
– বুঝতে পেরেছি তবে ওকে কোনো প্রকার চাপে রাখা যাবে না ( ডাক্তার)
এদিকে আড়াল থেকে সব কথা শুনছিল আদ্রিয়ান। অনেক কষ্টে কান্না চেপে রাখে সে দ্রুত বেড়িয়ে যায় হাসপাতাল থেকে। তার নিজের উপর অনেক রাগ হচ্ছে কারণ এতোদিন শুধু নওশিকে দোষ দিয়েছে। একবার ও বোঝার চেষ্টা করে নি নওশি কত কষ্টে আছে।
হঠাৎ জিসানের মোবাইলে অপরিচিত নাম্বার থেকে একটা কল আসে।
– আপনি কি জিসান চৌধুরী বলছেন? ( অপরিচিত)
– হ্যা, বলুন আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি (জিসান)
– হা হা হা মিস্টার চৌধুরী আমি সাহায্য নিতে নয় সাহায্য করার জন্য আপনাকে কল করেছি ( অপরিচিত)
– সাহায্য?? আপনি আমাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারেন ( জিসান)
– আপনার বোনের এই অবস্থার জন্য কে দায়ি তা আমি খুব ভালো করেই জানি ( অপরিচিত)
– কি!! কি বলছেন আপনি?? একবার তার নামটা বলুন দুনিয়া থেকে তার নাম মিটিয়ে দেব আমি ( জিসান)
– আহা, মিস্টার চৌধুরী এতো অধৈর্য হলে চলে?? আপনার এতো বড় উপকার করব। মিস্টি খাওয়াবেন না?? ( অপরিচিত)
রাগ টাকে কন্ট্রোল করে জিসান বলে
-কতো লাগবে বলুন ( জিসান)
– বেশি না মিস্টার চৌধুরী মাত্র ৩০০ কোটি টাকা। ( অপরিচিত)
– ৩০০ কোটি টাকা??
– আহা মিস্টার চৌধুরী আমি জানি এই টাকা আপনার কাছে কিছুই না। নিজের বোনের জন্য এতোটুকু দিতে পারবেন না?? ( অপরিচিত)
– শুধু মাত্র ৩০০ কোটি কেন ৩০০০ কোটি হলেও আমি দেব। শুধু ওই লোকটাকে আমার চাই। ( জিসান)
– আমার চাওয়া টাকা দিলেই হবে। শুধু অপেক্ষা করুন? কখন কোথায় কিভাবে সব আমি বলে দেব। আর হ্যা আমাকে কল করার দরকার নেই। প্রয়োজন হলে আমি কল দিব। ( অপরিচিত)
– আচ্ছা ঠিক আছে। আল্লাহ হাফেজ মিস্টার চৌধুরী। ( অপরিচিত)
নওশির জ্ঞান ফিরেছে। কিন্তু শরীর অনেক দুর্বল তার। জয় অনেক চেষ্টা করে ওকে কিছু খাওয়াতে পারে নি। কারণ নওশির একটাই কথা মিস্টার খান এলেই ও খাবে। কারণ মিস্টার খানের কাছে অনেক প্রশ্ন আছে নওশির। নিলয় অনেক চেষ্টা করেও সাগরের নাম্বারে কন্টাক্ট করতে পারছে না। তাই বাধ্য হয়ে জিসান নিজে বেড়িয়ে পরে।
আদ্রিয়ান বাড়ি এসে সব ভাংচুর করছে। তার একটাই কথা সে বেচে থাকতে তার পরি কিভাবে এতোটা কষ্ট পেল। আর এতো কিছুর পর ও সে কিচ্ছু করতে পারছে না। সাগর ওকে সামলাতে গিয়ে হাফিয়ে পরেছে।
– মিস্টার খান আসব (জিসান)
– জি আসুন ( আদ্রিয়ান)
– আসলে হয়তো ভুল সময়ে ভুল রিকুয়েষ্ট নিয়ে আপনার কাছে এসেছি। কিন্তু আমি অপারক। অনেক আশা নিয়ে আপনার কাছে আশা। (জিসান)
– আসলে নওশির জ্ঞান ফিরেছে। কিন্তু ও অনেক দুর্বল। এদিকে কিছু খেতেও চাচ্ছে না। না খেলে ঔষধ ও খেতে পারবে না আবার অসুস্থ হয়ে যাবে (জিসান)
– এমা সে কি কেন কি হয়েছে নওশির এমন কেন করছে ( আদ্রিয়ান)
– আসলে ওর নাকি আপনার কাছে কিছু প্রশ্ন আছে। ওগুলোর উত্তর না পেলে ও খাবে না। তাই বলছি যদি একটু কষ্ট করে আপনার সময় আমাকে দিতেন। বিনিময়ে যা চাইবেন দিয়ে দেব (জিসান)
জিসানের কথা গুলো বলতে দেড়ি হলেও আদ্রিয়ানের বেড়োতে দেরি হয় নি।
হাসপাতালে,
– শোনা বোন আমার একটু খেয়ে নে। যা চাইবি দিব। প্লিজ। ( জয়)
– উফ ছোট ভাইয়ু বল্লাম না খাব না আমি যা বলছি তাই। নাহলে খাব না। ( নওশি)
– আচ্ছা তুই খেয়ে নে তোকে সমুদ্র দেখতে নিয়ে যাব প্রমিস (নিলয়)
– না না না। আমি খাব না। মিস্টার খান না আসলে আমি মরে গেলেও খাব না। ( বলেই মুখ ফিরিয়ে নেয় নওশি)
– কে খাবে না শুনি ( আদ্রিয়ান)
– আমি নওশি চৌধুরী খাব না ( নওশি গাল ফুলিয়ে)
– আমি দিলেও না (আদ্রিয়ান)
– ওই নিলয়ের বাচ্চা যা (নওশি)
– ওকে গেলাম তাহলে। আইসক্রিম গুলো রাস্তার কাউকে দিব। আর জিসান ভাইয়া আপনি আমাকে মিথ্যা বলে আনলেন?? নওশি তো আমার মুখও দেখল না। দিস ইজ ভেরি ব্যাড ভাইয়া। ( আদ্রিয়ান)
– হুমমম তাই তো দেখছি। আমারই ভুল। তুমি বরং যাও আদ্রিয়ান। ( জিসান)
– ওই ওই ওই আমি কি তোমাকি যেতে বলছি? (নওশি)
– তো কাকে বল্লা? (আদ্রিয়ান)
– তুমি ছাড় সবাই যাবে। (নওশি)
– উমমম ওকে থাকব তবে একটা শর্ত আছে? খাবার আর ঔষধ খেতে হবে। ( আদ্রিয়ান)
– খাওয়ায় দিবা তুমি ( নওশি)
কথাটা শুনে আদ্রিয়ান জিসানের দিকে তাকালে সে নিরব সম্মতি জানিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়।
– জি মিস বলেন কি কি প্রশ্ন আপনার ( আদ্রিয়ান)
– আচ্ছা আমি কি তেমাকে চিনি আগে থেকেই?? (নওশি)
– কেন বলতো ( আদ্রিয়ান)
– না মানে আসলে আমি যতদুর জানি আমি প্রথমবার এদেশে এসেছি। কিন্তু তোমার চোখ দুটো অনেক চেনা। তুমি সেদিন আমাকে যখন বকা দিচ্ছিলে মনে হচ্ছিল এই বকার জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করে আছি। আর তোমার গানটা আমার মনে সব সময় বাজে। কিন্তু মনে করতে পারি না। কেন বলতো?? ( নওশি)
– একটা কথা বলি শোনো। অতীত কে মনে করতে যখন তোমার কষ্ট হয় তাহলে তো মনে করার দরকার নাই। তুমি আছো আমিও আছি তো বর্তমান কে নিয়ে ভাবি। তাছাড়া অতীত তো ফিরে আসবে না। তাহলে অতীতটা অতীতেই থাক ( আদ্রিয়ান)
– হুম ঠিক বলেছো। কষ্ট পাওয়ার দরকার নাই। বাই দ্যা ওয়ে ফ্রেন্ড হবা (নওশি)
– হ্যা হলাম। তবে ডিয়ার ফ্রেন্ড এবার তো ঔষধ খেতে হবে। ( আদ্রিয়ান)
– খাব একটা শর্তে ( নওশি)
– আবার শর্ত? তোমার কি সব কথায় শর্ত না হলে হয় না তাই না?? ওকে বলো কি শর্ত ( আদ্রিয়ান)
– আমাকে ছুয়ে ওয়াদা করো কোনোদিন ছেড়ে যাবা না। (নওশি)
– মারা যাবার আগ মুহূর্ত অবধি তোমার পাশে থাকব। (আদ্রিয়ান)
চলবে??