ভালোবাসায় তুমি আমি পর্ব-৩১ এবং শেষ পর্ব

1
1552

#গল্পঃভালোবাসায়_তুমি_আমি
#পর্ব৩১অন্তিম_পর্ব
#লেখিকাঃ রাদিয়াহ রাফা রুহি

সাদিয়ার পেইন উঠার পর হিয়া একটু ঘাবড়ে যায়। একা একটা মেয়ে কিভাবে সামলাবে।এদিকে সাদিয়া ব্যাথায় কাতরাচ্ছে।

হিয়া তারাতাড়ি শুভ্রকে অফিস থেকে বাড়ি
আসতে বলে।শুভ্র তখনই অফিস থেকে ছুটে আসে।আমাকেও কল করে আমিও অফিস থেকে বের হয়।শুভ্র গিয়ে দেখে সাদিয়ার অবস্থা খারাপ খুব।আর সাদিয়ার অনেকটা ওজন বেড়ে গেছে। যার জন্য শুভ্র একা একা সিড়ি দিয়েই নামতে পারছিলো না।হিয়াও ধরে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে বসে।শুভ্র ড্রাইভ করতে থাকে।এদিকে সাদিয়ার অনেক বেশিই কষ্ট হচ্ছে।কারন অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে।

শুভ্র ভয়ে তারাহুরো করে ড্রাইভ করছিলো আর পিছনে ঘুরে দেখছিলো তখনি ওদের গাড়ির এক্সিডেন্ট হয়।আর হিয়া সাদিয়াকে টেনে গাড়ি থেকে নেমে পরে বাট ওর পায়ে খুবই গুরুতর আঘাত লাগে।মুহুর্তেই সেখানেই ভীর জমে যায়।আমি অফিস থেকে ফিরছিলাম।বাসায় যাওয়ার পথের রাস্তায় ভীর দেখে নেমে যা দেখি তারপর সেখানেই বসে পরি।নিজের পরিবারের তিন জন মানুষকে দেখে আমি শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম।তারপর সেখানে থাকা লোকেরা সবাইকে হসপিটাল নিয়ে যায়।আমি জামি কে ফোন করি।(শুভ্রর মামা)

এ আর ডক্টর দ্রিংক সাদিয়ার বাচ্চাকে বাঁচাতে পারলেও সাদিয়াকে বাঁচানো যায়নি।কন্ডিশন খুবই খারাপ ছিল। সাদিয়াও গাড়ি থেকে পরে ব্রেইন আঘাত লাগে।আর বাচ্চার এদিকে হার্ট ব্লক।

আর এদিকে শুভ্রর ঘাড়ের কাছে আর আগের ইনজুরি তে আঘাত লাগে আর মাথার পিছনে,, হাতে পায়ে অল্প চোট লেগেছিল।সীট বেল্ট বাধা ছিল যার জন্য শুভ্রর বেশি কিছু হয়নি।আর হিয়ার পায়ের অবস্থা ও খুব খারাপ। তারপর উনারা জানান হিয়ার পা আর কোনো দিন ঠিক হবে না।
এক নিমিষেই আমার সাজানো গোছানো পরিবার একদম তছনছ হয়ে গেছিলো।
কিভাবে এভাবে এক সাথে সবকিছু হলো আমি ভেঙে পরি।পুরো দুনিয়া অন্ধকার হয়ে আসছিলো।আমি অজ্ঞান হয়ে যায়।জামি সেখানে না থাকলে হইতো আমরা কেউ বাচতাম না।

ডক্টর পার্কার যিনি এর আগেও শুভ্রকে দেখেছিলেন উনি জানান। শুভ্রর মাথায় আঘাত লাগার ফলে উনার স্মৃতি শক্তি ফিরে পাবেন। হইতো এসবের কিছুই মনে থাকবে না।
তারপর সবটা জামি কে ইংরেজিতে বলেন।

মাথায় প্রচণ্ড জোরে আঘাত লাগলে – যেমনটা
‘ট্রোম্যাটিক ব্রেইন ইনজুরি’ (টিবিআই) বলতে বোঝায় বাইরে থেকে প্রাপ্ত আঘাতের ফলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়া৷ আর বলা বাহুল্য, মস্তিষ্কে সামান্য আঘাতও জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে৷ তবে এটাও সত্য যে মানুষের মস্তিষ্ক রক্ষায় রয়েছে শক্ত খুলি৷ তাই মাথায় আঘাত লাগা মানেই মস্তিষ্কে আঘাত নয়৷

এ ধরনের আঘাতের প্রভাব মস্তিষ্কের উপর কতটা পড়ছে, তা খুব দ্রুত অনুধাবন করা সহজ নয়৷ মস্তিষ্কে বিপজ্জনক রক্তক্ষরণ কিংবা মস্তিষ্ক ফুলে

যেমন, রোগী কেমন আচরণ করছেন, কারো ডাকে সাড়া দেওয়ার সময় তিনি চোখ খুলছেন কিনা, তিনি স্বাধীনভাবে হাঁটাচলা করছেন কিনা, রোগীকে হালকা আঘাত করা হলে তিনি কি সাড়া দিচ্ছেন আর আঘাতের পর রোগী কতক্ষণ অচেতন ছিল

‘ট্রোম্যাটিক ব্রেইন ইনজুরি’ অনেকক্ষেত্রে তেমন কোনো ক্ষতির কারণ নাও হতে পারে৷ আবার তা মৃত্যুর কারণও হতে পারে৷ চিকিৎসকরা মস্তিষ্কের জখমের পরিমাণ বিবেচনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায় নির্ধারণ করেছেন৷ প্রথম কিংবা হালকা পর্যায়কে বলা হয় ‘কনকাশন৷’ এর অর্থ হচ্ছে, প্রচণ্ড আলোড়ন, আঘাত বা উত্তেজনার ফলে মস্তিষ্কের ক্ষতি৷

দ্বিতীয় পর্যায়ের আঘাতের ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে চার সপ্তাহের বেশি সময় নিতে পারে।
এর মাত্রা তৃতীয় পর্যায়ের বিবেচনা করা হয়৷ আর রোগীর উপর এধরনের আঘাতের পরিণতি ভয়ংকর হয়।

মস্তিষ্কে মাঝারি বা তীব্র আঘাত পাওয়া রোগীদের হাসপাতালের ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে’ রাখা হয়। তখন চিকিৎসকরা মাথার খুলিতে ফুটা করে মস্তিষ্কের চাপ কমানোর চেষ্টা করেন৷ এক্ষেত্রে রোগীকে ওষুধও দেওয়া হয়৷ অবস্থা একটু ভালো, তবে এখনও সংকটে ‘শুমি’

আর মিস্টার চৌধুরী কে যদি এখন স্মৃতি হাড়ানোর পরের সব কিছু মনে করাতে যান তাহলে লাইফ রিস্ক হয়ে যাবে।প্লিজ খেয়াল রাখবেন এদিকে।এমনকি ওকে কোনো প্রকার চাপ দেওয়াই যাবে।মিস্টার চৌধুরীর যেহেতু স্মৃতি ফিরে এসেছে।তখন ওকে এইসব প্লিজ আর মনে করিয়ে দেবেন না।

আমার জ্ঞান ফেরার শুভ্রর কাছে যায়। গিয়ে দেখি সত্যিই শুভ্র ঠিক আগের মতো আচরণ করছিলো।খুশিই হয়েছিলাম অনেকটা।

এদিকে নিজের মেয়ে জীবন টা শেষ আর এদিকে নিজের ছেলের নবজাতক বাচ্চা হার্ট ব্লক সার্জারী। তখন শুভ্রর মামা ছাড়া আমার পাশে আর কেউ ছিলো না।বড্ড অসহায় লাগছিলো আমার।
হসপিটাল থেকে চলে আসি শুভ্র,, হিয়াকে নিয়ে সুস্থ হওয়ার পর।ওখানেই হসপিটালে ফিহাকে রাখা হয় ছোট একটা বাচ্চার সার্জারী হয়েছে।আমি ওকে দেখে আসতাম রোজ।

কয়েক মাস পর আমরা চলে আসি।ফিহাকে ওখানেই রেখে আসি শুভ্রর মামার কাছে। জামি একটা কাজের লোক রাখে ফিহার দেখা শোনা করার জন্য। তারপর জামি জানাই যে ফিহার আবারও সেই সমস্যা দেখা দিয়েছে।এই কথাটা ডক্টর আগেই জানিয়েছিলেন। আমি আর দেরি করিনি।একমাত্র নাতনিকে হারানোর একটা ভিয় হয়।আমার কথায় জামি এসে ফিহাকে রেখে যায়।আর সেদিনই ফিহাকে শুভ্রর অফিসে পাঠায়।কারন ফিহার সম্পুর্ণ অধিকার আছে বাবার ভালোবাসা পাওয়ার।আর ডিএনএ রিপোর্ট গলায় ঝুলিয়ে দেই।যাতে শুভ্র মানতে বাধ্য হয় যে ফিহা ওরই মেয়ে।আর এদিকে আসার পর শুভ্র একদম সাভাবিক হয়ে বিজনেস শুরু করে হিয়ার বিষয় জানতে চাইলেও বলিনি।আর অনেক মেয়েকেই দেখিয়েছি কিন্তু ও তাকাই ও নি কারোর দিকে।ওকে বিয়ে দিয়ে ফিহার জন্য একজন মা আনতে চেয়েছি।কারণ আমার ফিহার কথাও ভাবতে হতো। ফিহা মা মা করতো সব সময়। তাই সেদিন নীলাকে দেখেই আমার পছন্দ হয় আর ওদের বিয়ে দিয়ে দিই। আর আমিও শুভ্রর চোখে নীলার জন্য একটা আলাদা কিছু দেখি।সেই সুযোগ টাই কাজে লাগালাম।বাকিটা তোমরা জানো।

————★★★★———–
★★বর্তমান★★

সবাই সবটা শুনেই বসে কেদে যাচ্ছে। এতো দিন থেকে একটা মানুষ একজন মা হিসেবে মোল্লিকা যা করেছে মোল্লিকার যায়গায় যেকোনো মা নিজের সন্তানের জন্য এটা করবে।
এদিকে নীলা কেদে কেদে বুক ভাসাচ্ছে।শুভ্র কোনো একদিন কাউকে ভালোবাসতো ভাবতেই কলিজাটা কেপে উঠছে।

সবাই নিস্চুপ হয়ে গেছে। এদিক শুভ্র মাথায় হাত দিয়ে সবটা মনে করার চেষ্টা করতে করতে কাতরাচ্ছে।সবাই খেয়াল হতেই দেখলো শুভর চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে।চোখেরজুত থেকে অশ্রু গড়িয়ে পরছে।শুভ্র আর না পেরে অজ্ঞান হয়ে গেলো।

নীলা দেখতেই চিৎকার করে উঠলো। হিয়া মোল্লিকা খুব ভয় পেয়ে গেছে।যার জন্য ভয় পাচ্ছিলাম তাই হলো। মা এখন কি হবে ভাইয়ার তারাতাড়ি করে হসপিটাল নিয়ে যায় শুভ্রকে।এদিকে নীলা পাগলের মতো করছে। কান্নায় হুহু করে উঠে সে।

হসপিটাল কাকন,,প্রাপ্তি,,নীলা তিন জন বসে আছে।নীলা কেদেই যাচ্ছে। থামার নাম নেই।মোল্লিকা আসেনি।নিজেকেই দায় করছেম এসবের জন্য।আর বাচ্চাদের এটা সেটা বলে সামলাচ্ছেন। হিয়াও মোল্লিকার পাশে বসে কেদে যাচ্ছে।কিন্তু একদিন না একদিন তো সব টা জানাতেই হতো তাই না।

ডক্টর বেরিয়ে আসতেই কাকন,প্রাপ্তি, নীলা উঠে দাঁড়িয়ে পরল।

ডক্টর বললেন শুভ্র ঠিক আছে। আপনারা উনাকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন। উনার কিচ্ছু হয়নি।আর আমার মনে হয় শুধু মাত্র ব্রেইন একটা প্রেসার ক্রিয়েট হয়েছিল নেক্সট টাইম এরকম যেনো না হয় প্লিজ খেয়াল রাখবেন।
—————★★★——————-
আরও পনেরো দিন কেটে গেছে।এখন শুভ্র একদম সুস্থ। শুভ্রর কিছুই মনে পরে নি।সাদিয়া বলে যে ওর লাইফে কেউ ছিলো সেটা ওর মনেই পড়ে নি।নীলা খুব খুশি যে শুভ্র ওকে ভুলে যায়নি।ও ভেবেছিলো যে হইত শুভ্রর সাদিয়াকে মনে পরবে কিন্তু না শুভ্রর কিছুই মনে পরেনি।কিন্তু সে সব টা মেনে নিয়েছে হইত মনে পরে নি কিন্তু আলাদা টানটা ফিহার প্রতি বেশিই হয়েছে এখন।

রাত ১০ টা।শুভ্র অফিস থেকে আসেনি। ইম্পর্ট্যান্ট মিটিং এটেন্ড করতে হয়েছে। নীলা বসে আছে ফিহা আর ফুয়াদকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে এসেছে।নীলা বসে বসে ঝিমাচ্ছে। আজ ওর খুবই ঘুম পাচ্ছে। আজকে যে আর জাগতে ইচ্ছে করছেই না।সারে দশ টার দিকে শুভ্র অফিস থেকে এসেছে।এসেই দেখে নীলা ঘুমিয়ে গেছে।

শুভ্র গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আস্তে আস্তে বিছানায় গিয়ে উঠে বসলো। নীলার পাশ ফিরতেই শুভ্রর সাথে নিজের গা লাগলো। অমনি সে জেগে গেলো।নীলা উঠে বসে পরলো। নীলা বড় করে একটা হাই তুললো।আড়মোড়া ভেঙে বললো—

ওহ আপনি এসে পরেছেন।ডাকেন নি কেন?

হ্যাঁ এইতো এসেই ফ্রেশ হয়ে বসলাম।তুমি ঘুমাচ্ছিলে।তাই ডাকিনি।

ঠিক আছে আপনি বসুন আমি খাবার আনছি।

নীলা গিয়ে খাবার আনলো আর দুজনেই খেয়ে নিলো।আর বিছানায় গেলো।শুভ্র আজ আবারও সোফায় যেতে নিলে নীলা শুভ্রর হাত টেনে ধরলো।

আর কত দুরে থাকবেন শুভ্র।আজ থেকে আমরা এক বিছানায় ঘুমাবো।তাছাড়া আমি তো জানি এর আগেও আপনি আমার সাথে বিছানায় ঘুমিয়েছেন তাহলে আজ কিসের সংকোচ।

শুভ্র নীলার কাছে গিয়ে ওর সামনে হাটু গেড়ে বসলো।

কি হলো আপনি নিচে কেন বসলেন।

শুভ্র আস্তে করে এগিয়ে গিয়ে নীলার উড়ুতে নিজের মাথা রাখলো।আর দুই হাত দিয়ে নীলার কোমড় আঁকড়ে ধরলো।

নীলা শিউরে ওঠে অদ্ভুত এক ফিলিং হতে থাকে। নিজেকে সামলে নিয়ে শুভ্র মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।

আচ্ছা তুমি কি জানো আমি যেদিন প্রথম তোমাকে দেখি বৃষ্টিতে ভিজতে দেখি সেদিনই তোমার প্রেমে পড়ে গেছিলাম।আমি বাড়ি এসে তোমাকে ভুলতে চাইতাম কিন্তু কিছুতেই তোমার মুখ টা ভুলতে পারতাম না।তোমাকে এক নজর দেখার জন্য ছটফট করতাম।আমার তখনই একটা কথায় মাথায় এসেছিলো।আমরা আজীবন যেনো রয়ে যাবো ভালোবাসা তুমি আমি এক হয়ে।যার সাথে আমার পুরো জীবন টা কাটাতে পারবো।

এতক্ষন শুভ্রর প্রতি টা কথা খুব মনোমুগ্ধকর হয়ে শুনছিলো।

আচ্ছা আমার একটা কথা জানার আছে।আপনি কি কোনো ভাবে জানতে পেরেছিলেন আমার বিয়ের ব্যাপারে। আপনি আমার বাড়ি থেকে কিছুটা দুরে ছিলেন আর আমি আপনার গাড়ির সামনে এসেই পড়ি কি করে হলো এটা।

হুম গুড কুয়েশ্চন। আমি তোমার ব্যাপারে সব খোঁজ নিতে একজন লাগায় বাট উনি তো তোমাকে দেখতেই পাননি।তারপর আমিই গত দুই দিন দাড়িয়ে ছিলাম ওই দোকানের সামনে। তাও তোমার দেখা মিললো না।তারপর দেখা হলো প্রাপ্তির সাথে। ওর থেকেই সব কিছু জানতে পারি তোমার ব্যাপারে। হঠাৎ খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম তোমার বিয়ে।আমি জানতাম যে তোমার বিয়েটা তোমার ইচ্ছেই হচ্ছে না।আমি ছুটে আসছিলাম।তারপর তুমি পালাতে গিয়ে আমার গাড়ির সামনে এসে পরলে।

ওহ আচ্ছা তার মানে প্রাপ্তি আগে থেকেই সবটাই জানতো আর আমাকে বলে নি।আজকে ওর হচ্ছে। আমি ওকে দেখে নিবো।

হুম প্রাপ্তি জানতো।ওর জন্যই আজ তুমি আমার।

তাহলে আপনি এতো দিন আমাকে বলেন নি কেন ভালোবাসেন আমাকে।আমি যদি আপনার প্রথম ভালোবাসা হয় তাহলে সাদিয়া আপু কি ছিলো।

ভালোবাসি বলিনি তো কি হয়েছে। তুমি কি বুঝতে পারোনি আমার ভালোবাসা।আমার চোখের সেই অব্যাক্ত কথা।সত্যি কথা বলতে সাদিয়ার কথা তো আমার মনেই পরেনি।সাদিয়া নামের কেউ যে আমার লাইফে ছিলো সেটা আমার মনে নেই।আর যদিও ছিলো আমার প্রথম ভালো তুমি।কারণ আমার সাদিয়াকে মনে নেই। যাকে আমি ভুলে গেছি। আর আমি তোমাকে কোনো দিন ভুলব না তুমি আমার স্মৃতি তে সারা জীবন থেকে যাবে যাকে আমি কোনো দিন ভুলতে পারবো না।

হুম আপনি উঠে আসুন উপরে।

শুভ্র উপরে বিছানায় গিয়ে বসে পরলো।

নীলা আবারও বললো এবার শুয়ে পড়ুন।

শুভ্রকে টেনে শুইয়ে দিয়ে নীলা নিজেও শুয়ে পড়লো।

দুজন দুজনের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো। শুভ্র কিছু বলতে যাবে তার আগেই নীলা শুভ্র মুখে আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরলো। আর কথা বলতে বারন করলো। এখন শুধু ওদের নিশ্বাসের শব্দ ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই।

শুভ্র যেন একটা নেশায় পড়ে গেছে।তার শরীরে যেনো নিজের পুরুষত্ব টা জেগে উঠেছে।

শুভ্র এক টানে নীলাকে নিজের কাছে টেনে নিলো।
এমন ছোয়াতে নীলার যেন দম বন্ধকর অবস্থা।
হঠাৎ নীলা অনুভব করলো ওর ঠোঁট জোড়া কেউ দখল করে নিয়েছে।নীলার শিরায় উপশিরার শিহরণ বয়ে যেতে থাকে।

নীলা আজ আর শুভ্রকে বাধা দেইনি।সেও তাল মিলিয়ে শুভ্রকে চুমু খেতে থাকে।দু’জনে দুজনকে ভালোবাসায় মুড়িয়ে দিতে থাকে।দুজনেই ভেসে যেতে থাকে নিজেদের মধ্যে। এভাবেই দুজনের ভালোবাসা অটুট বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে থাকবে।#ভালোবাসায়_তুমি_আমি ❤❤পূর্নতা পেলো।নতুনভাবে নতুন করে জীবনের সবটা পথ পাড় করে দেবে ফিহা ফুয়াদ কে নিয়ে। পুরো সংসারকে নিয়ে।❤❤❤❤

সমাপ্ত।

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে