ভালোবাসায় তুমি আমি পর্ব-২৩

0
1090

#গল্পঃভালোবাসায়_তুমি_আমি
#পর্ব২৩
#লেখিকাঃ রাদিয়াহ রাফা রুহি

নীলার পরীক্ষা শেষ। এখন সে একদম ফ্রি।সব সময় সবার সাথে আনন্দ কাটলেও শুভ্রর সাথে একটা চাপা অভিমান কাজ করে তার। কারণ পরীক্ষার কয় দিন শুভ্র নীলাকে আনতে পর্যন্ত যাই নি। ইভেন বাসায় ও ঠিক করে কথা বলে না। সারাদিন অফিসে আর রাতে তুহিনার সাথে কাজ করেন থাকে। তবে সে এটা বুঝেছে তুহিনার সাথে শুভ্রর আলাদা বাজে কোনো সম্পর্ক নেই।শুভ্র বা তুহিনা কারোর মধ্যেই এরকম কোনো কিছুই তার চোখে পরে নি। উনাদের দেখে মনে হয় সিরিয়াস কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বাট কি সেটাই বুঝতে পারি না।

আর নীলা খুবই খুশি।নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডের বিয়ে টা কোনো জাকজমক করে না হলেও খুব ভালো লাগছে। হইতো তেমন আনন্দ করতে পারিনি।তাতে কি ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করেছে সে। কজনের হয় এমন ভাগ্য!

সবচেয়ে বড় কথা হলো কাকন ভাইয়ার সাথেই প্রাপ্তির বিয়ে হয়ে গেছে। কাকন ভাইয়ার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর তাকে দেখার মতো কেউ ছিলো না। হঠাৎ করেই কাকন ভাইয়া প্রাপ্তির বাড়িতে বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে যান। প্রাপ্তির বাবা মাও আপত্তি করেন নি। সিম্পল ভাবেই উনারা প্রাপ্তির বিয়ে টা দিয়ে দেন। তাছাড়া উনার সেরকম সামর্থ্যও ছিলো না যে নিজের মেয়ের বিয়ে একদম ধুমধামে দিবেন।তবে যেটুকু করেছেন খুব সুন্দর ভাবেই করেছেন।

কাকন ভাইয়া আমাকে রোজ আনতে যেতেন। আর প্রাপ্তির সাথে চোখাচোখি ইশারায় কথা বলতেন। দুজন যে দুজনকে ভালোবেসে ফেলেছিল আমি ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম।
উনার রোজ যাওয়া আসা সব টাই অবলোকন করতাম আমি।গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন আগে থেকেই।প্রাপ্তিও মুচকি মুচকি হাসতো। সময় কতো তারাতাড়ি চলে যায় তাই না।

এইসব ভাবছে নীলা নিজের ঘরে বসে। শুভ্র অফিস থেকে আসেন নি এখনো। আজ শুভ্র আসলে নীলা কিছু প্রশ্ন করবে ভেবেছে।কেন শুভ্র আমার সাথে এমন করছে। আমি কি উনার যোগ্য নয়। আমি তো উনার কাছে নিজের স্ত্রীর দাবী অব্দি করিনি কখনো। আমাকে উনি সত্যিই ভালোবাসেন তো।

নীলা বসে বসে ঝিমাচ্ছে। রাত ১১ টা । শুভ্রর এখনো আসার নাম নেই।

নীলা আস্তে আস্তে সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসলো ঢুলতে ঢুলতে। পানি খেয়ে নিলো সে।

তারপর কিছু একটার আওয়াজ পেলো। নীলা ভ্রু দুটো কুচকে নিলো।এত রাতে কিসের আওয়াজ এটা। সে আস্তে আস্তে মেইন ডোর খুলে একটু সামনে গিয়ে দেখে কেউ একজন বসে হাতে বোতল নিয়ে কিছু একটা খাচ্ছে।

নীলা চোখ কচলে নিলো স্পষ্ট ভাবে দেখার জন্য। না সে তো সত্যিই দেখছে। কে এই লোক। আরেকটু সামনে গিয়ে দেখে দাড়োয়ান কাকা হাতে একটা বোতল নিয়ে কিছু একটা খাচ্ছে। আর হাতের পাশেই আরও একটা বোতল রাখা।

নীলা সামনে গিয়ে দাড়োয়ান কাকাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করলো।

আরে দাড়োয়ান।কাকা আপনি কি খাচ্ছেন এসব এতো রাতে।

আরে মেম সাহেব এত রাতে আপনি এখানে কি করছেন। কিছুটা টুলতে টুলতে।

আপনার কথা এরকম কেন লাগছে। এইভাবে কেন কথা বলছেন।আর আপনার হাতে কি এসব।
দাড়োয়ান কাকার বয়স প্রায় 50 এর উপরে হবে।

আরে মেম সাহেব আমি যা খাচ্ছি এগুলো খেলে দুঃখ উপসম হয়। সে আপনি বুঝবেন না।

আচ্ছা এই গুলো খেলে দুঃখ থাকে না বুঝি।তা দেখি আমাকে একটু দাও তো খেয়ে দেখি।আমারও অনেক দুঃখ। এই বলে পাশে থাকা বোতল টা সে তুলে নিলো।

দাড়োয়ানের কিছুটা হুস আসে।আরে আরে মেম সাহেব কি করছেন।আপনি খাবেন না এগুলো। আপনার জন্য নয় এসব।দাড়োয়ান কাকা উঠে দাঁড়িয়ে পরল।

কিহ তুমি আমাকে খেতে না করছো।তুমি জানো আমি তোমার স্যার কে যদি বলি তোমার চাকরি টা আর থাকবে না।

না না মেম সাহেব এটা আপনি খাবেন না।দিয়ে দিন আমাকে।

এই তুমি কি ভয় পাও না। চাকরি হাড়ানোর।এতো বার যখন না করছো তাহলে তো খেতেই হয়।

কে শুনে কার কথা। দাড়োয়ান কাকা চেয়েও কিছু করতে পারলেন না।

না এখানে খাওয়া যাবে না।আমি বরং এটা নিয়ে ঘরে যায়।সে হাটা ধরলো।

মেম সাহেব আপনি খাবেন না এটা।দিয়ে দিন প্লিজ। এবার বুঝি সত্যিই নিজের চাকরি টা হাড়াতে হবে। দাড়োয়ান কাকা মাথায় হাত দিয়ে বসে পরলো।

নীলা বোতল টার দিকে একবার তাকিয়ে দেখে নিলো। তারপর অটা নিয়ে সোজা নিজের ঘরে সোফায় গিয়ে বসলো ।

রাত ১ টা ছুই ছুই।শুভ্র বাড়িতে আসলো। রুমে ঢুকেই সে দেখলো নীলা খুব বাজে ভাবে সোফায় শুয়ে আছে।

শুভ্রর কাছে ঠিক লাগছে না সবটা।

নীলা তুমি কি একটু ভদ্র ভাবে থাকতে পারো। শুভ্র নীলার দিকে তাকিয়ে এগিয়ে এলো। আর নীলাকে টেনে তুললো।

সাপকনস্যিয়াসলি নীলার ফ্ল্যার্ট তল পেটের দিকে নজর গেলো।

শুভ্র চোখ সরিয়ে নিয়ে শুভ্র দাত খিচিয়ে বললো—

নীলা একটু ভদ্র ভাবে থাকো।

নীলা মাথা নিচু করে তারপর শুভ্রর দিকে তাকালো —-

হ্যাবি তুমি আমার উপর খুবই নির্দয়।

শুভ্র নিজের রাগ টা কন্ট্রোল করে বললো-
আমি তোমার উপর আরোও নির্দয় হতে পারি।

হ্যাবি তুমি কি আমাকে ঘৃণা করো। ভালোবাসো না। নীলা শুভ্রর দিকে তাকালো।

শুভ্রর নীলার কথা শুনে খুব একটা ভালো লাগছে না।এরকম লাগছে কেন ওর ভোয়েস টা। নীলা কি ড্রাংক এখন।ওর বুঝতে আর অসুবিধে হয়নি। কিন্তু নীলা এখানে এ্যলকাহোল কোথায় পেলো।

ওর মুক্তোর মতো সাদা ঝকঝকে দাত দিয়ে নিজেই নিজের ঠোঁট কামড়ে ধরলো।আর তাতে শুভ্রর ঠোঁট কিছুটা লাল হয়ে গেলো।
অদ্ভুত ভাবে শুভ্রর হার্টবিট যেনো মীস হয়ে গেলো।

নীলার দিকে তাকিয়ে শুভ্র প্রথমে ওকে ইগনোর করতে চেয়েছিলো। কিন্তু তাও শুভ্র ধৈর্য্য ধরে নীলাকে শান্তনা দিয়ে বললো।

আচ্ছা ঠিক আছে আমি তোমায় ঘৃণা করি না।
শুভ্র নীলাকে কোলে তুলে নিলো। খাটে শুইয়ে দিলো।

নীলা নিজের হাত আর পা ব্যবহার করে ইমিডিয়েটলি শুভ্রর উপর শুয়ে পড়লো।

নীলার এরকম করাতে শুভ্রর নিজেকে কন্ট্রোল করা অনেকটা কঠিন হয়ে পরলো।

সে নিচে তাকিয়ে নীলার মাথার দিকে দেখলো।সে বাধ্য মেয়ের মতো ওর কাধে মাথা রেখেছিলো।
ওকে দেখে মনে হলো ও ঘুমিয়ে পরেছে।এবং ওর চোখের পাতা গুলো একটা এংগেলে নড়াচড়া করছে।।

5 ফুট 6 ইঞ্চির উচ্চতায় ওকে ঠিক বেটে বলা যায় না। ও সত্যিই অন্য অনেক মেয়েদের তুলনায় অনেক বেশি লম্বা ছিলো।কিন্তু এখন যখন ও শুভ্রর উপর শুয়ে ছিলো ওকে খুবই ছোট দেখাচ্ছিলো।এটা সহজেই শুভ্রর ওকে প্রটেক্ট করতে উদৃতো করেছিলো।

নীলাকে শুইয়ে দেওয়ার পরেও ও শুভ্রর গলা জড়িয়ে ধরে ছিলো।

ওর ছোট্ট ফর্সা মুখটা যেটা এ্যালকাহোলের জন্য লাল হয়ে উঠেছিলো সেটা শুভ্রর খুব কাছাকাছি ছিলো। নীলার শরীরের গন্ধ ওর নাকে এসে লাগছিলো।একটা হালকা বিবোস ভাব ওর শরীরে ছড়িয়ে পরছিলো।

হাবি আমি কি তোমাকে হাগ করতে পারি।একবার হাগ করি না। ওই তুহিনা তো তোমাকে সেদিন হাগ করেছিলো আমি দেখেছি।

তুমি কি জানো তুমি কার সঙ্গে কথা বলছো আর কার সম্পর্কে।

কেনো আমি তো আমার হাবির সাথে কথা বলছি। নীলা একটা ঘোরের মধ্যে বললো। তুমি তো এই কদিনে আমার সাথে কথাও বলো নি ঠিক করে। সারাদিন অফিস,, অফিস থেকে বাড়ি এসে অই তুহিনার সাথে মিটিং।কি এতো কথা তোমার ওর সাথে। আমি কি একটুও সুন্দরী না।বরং আমি ওর থেকে বেশিই সুন্দরী।

এক মুহুর্তের জন্য শুভ্র সত্যিই স্পিচলেস হয়ে পরলো। সত্যিই সে নীলার সাথে কথা বলেনি। টুকটাক কথা বলতো। নীলার পরীক্ষার জন্য রাতে পড়তে বসতো আর আমি তুহিনার সাথে ইচ্ছা করেই বেশি কথা বলতাম।যাতে ওর পড়াই ব্যাঘাত না ঘটে।

ভালো ভাবে থাকো। আর তুমি এসব কেন খেয়েছো।আর পেলেই বা কোত্থেকে। কে দিলো তোমায়।

নীলা আর কিছুই বললো। শুভ্র নীলাকে ছেড়ে উঠতে চাইলো কিন্তু পারলো না। বাধ্য হয়ে সে শুয়ে রইলো। ও শুধুই নীলার নরম চুলে বিলি কাটতে থাকলো।

আমায় একটু হাগ করো না শুভ্র প্লিজ।
ও বিরবির করে এসব বলতে থাকলো।

শুভ্র কোনো উপায় না দেখে অকে নিজের বুকের কাছে টেনে নিলো এবং ওকে তার কাধের খাজে মাথা রাখতে দিলো।এতে করে ওর বডি জমে পাথর হয়ে গেলো। আর ওর বডি ইন্সটেন্টলী শক্ত হয়ে উঠলো। যাস্ট শুভ্রর চোখের একটু নিচেই নীলার শ্বাসের আর গ্লিসারের শব্দ শুনতে পাচ্ছিলো।

নট ব্যাড।শুভ্রর শরীর নরম হয়ে এলো।ফাইনালি শুভ্র ওকে বিছানায় শুইয়ে দিলো আর তারপরেই নীলা চোখ বুজা অবস্থায় নীলার চিৎকার শুনতে পেলো।

আমার এখনো একটা হাগ চাই।

শুভ্র ভ্রু কুচকালো আর নিজের কপালে মাসাজ করতে লাগলো। এই মেয়েটা আমাকে এতো আকড়ে আছে কেনো।

এবং ঠিক তখনি নীলার বিছানা থেকে একটা জোরে আওয়াজ পাওয়া গেলো।

শুভ্র ঝট করে মাথা ঘুরিয়ে দেখলো নীলা অলরেডি বিছানা থেকে মেঝেতে পড়ে গেছে।
যদিও মেঝেতে মোটা কার্পেট পাতা ছিল তবুও সে দেখতে পেলো নীলা যথেষ্টই চোট পেয়েছে।

শুভ্র নীলাকে ধরে তুলতে যাবে তার আগেই নীলা উঠে দাঁড়িয়ে পরল।

নিজের কপাল টা চেপে ধরে নীলা উঠে দাঁড়ালো।আর ব্লেম দৃষ্টিতে সামনের দিকে তাকালো।

ও যখন সামনে শুভ্রকে দেখলো ও ভ্রু কুচকালো আর কনফিউজড হয়ে জিজ্ঞেস করলো —

কি হয়েছে শুভ্র আমি এখানে কেনো।

সো ফাইনালি নীলা আর শুভ্রকে হাবি বলছে না।

তুমি পুরো ড্রাংক। যদি জেগে গিয়ে থাকো তো উঠো। ঘুমোবার আগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে নাও।

নীলা একটা ও বলে রিপ্লাই করলো। যেনো সে অন্য কিছু ভাবছিলো। ও আবার বিছানায় গিয়ে উঠার জন্য মাটিতে খানিক হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে গেলো। যাইহোক নীলার শরীর টা দুর্বল আর নিস্তেজ হয়ে গেছিলো।

হামাগুড়ি দিয়ে দুবার চেষ্টা করেও সে বিছানায় উঠতে পারলো না।

নীলাকে এরকম বিসৃঙ্খল ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে দেখে শুভ্রর মনে হলো যদিও সে অলরেডি একবছরের সমান ধৈর্য্য শেষ করে ফেলেছে তাও নিজেকে সাকসেসফুলি কনেভেন্স করলো নীলার দিকে যেতে। কোনো হ্যাজিটেশন ছাড়ায় সে নীলাকে কোলে তুলে নিলো।

নীলা শক্ত হয়ে গেলো আর ধীরে ধীরে ওর মুখ লাল হয়ে উঠলো।

শুভ্র নীলার দিকে তাকালো না। কিন্তু ও ফীল করতে পারলো নীলার দুটো হাতই ওর জ্যাকেটের কলার শক্ত করে ধরেছে।

ওর চোখের লম্বা লম্বা পলকগুলো সামান্য নাড়াচাড়া করে উঠলো। নীলাকে ক্যারি করার সময় শুভ্রকে মারাত্বক হ্যান্ডসাম দেখাচ্ছিলো।ওর দিকে তাকিয়ে শান্ত ভাবে থাকতে না পেরে নীলার প্রায় দম আটকে আসছিলো। ও শুভ্রকে শুধু শক্ত করে আঁকড়ে ধরতে পেরেছিলো এবং খুবই ভয়ে ভয়ে ছিলো যে ভুল করে যেনো ও কোনো দীর্ঘ শ্বাস না ফেলে।

শুভ্রর কলার ধরে টানতে টানতে নীলা নিজের মুখ উচু করলো।এবং ধীরে ধীরে শুভ্রর মুখের খুব কাছে এগিয়ে গেলো।

শুভ্র মাথা নিচু করলো ও যখন নীলার উজ্জ্বল মুখ আর চোখের দিকে তাকালো ওর ভেতর কার আগুনে শুভ্রর সমস্ত বিচার বুদ্ধি সম্পুর্ন লোপ পেয়ে গেলো।

নীলার নরম লাল ঠোঁট দুটো দেখে ওর চোখ স্থির হয়ে গেলো। ওর ফোলা ফোলা রোসালো ঠোঁট দুটো যেনো চুমু খাওয়ার জন্যই বানানো হয়েছে।

শুভ্রর মাথায় কিছু একটা আসতে ওর ঠোঁটের এক কোনা বেকে গেলো। তখন শুভ্র এতোটাই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে গেছিলো যে নীলাকে কোলে নিয়ে আর নড়াচড়াও করতে পারছিল না।ওর চোখ তখনো শুধুই নীলার চোখের দিকেই আটকে ছিলো।

তারপর সে ধীরে ধীরে আরো নিচের দিকে তাকাতে শুরু করল।

ঠিক তখনি নীলা ওয়্যাক করে উঠলো —

শুভ্র শুধু ফীল করতে পারলো যে ওর গায়ে গরম কিছু পড়েছে। এবং সেটা গড়িয়ে পড়ছে।

নীলা শুভ্র গায়ে বমি করে দিয়েছে। শুভ্র আর সহ্য করতে পারছিলো না। আর সাথে সাথে নীলাকে তুলে বাথরুমে নিয়ে গেলো।

সে নীলাকে বাথটবের ভেতর নিয়ে গিয়ে বসিয়ে দিলো।
শাওয়ার স্প্রে টা তুলে নিলো আর সেটা ডিরেক্টলী নীলার মাথার উপর তুলে ধরলো।

শুভ্র নিজেই বাথটবে বসে ফোর্সফুলি ওকে পরিষ্কার করে দিতে লাগলো।

পানিতে ডুবে থেকে নীলা ভীষণ রকম রিফ্রেশ ফীল করতে লাগলো । ও একটা কম্ফোর্ট যায়গা খুজে নিয়ে তখনি সেখানে ডিরেক্টলি শুয়ে পড়লো। ও শান্ত হয়ে শুয়েছিলো শুভ্রর হাতে মাথা রেখে।ওর চোখ দুটো বুজা ছিলো আর মুখ টা সামান্য উপরের দিকে তুলা।

গরম পানিতে গোসল করে ওর ফর্সা মুখটা লাল হয়ে উঠেছিল।।

যেনো কোনো দামী বেস্ট কোনো রুজ লাগানো হয়েছে। ওর দীর্ঘ চোখের পাতার উপর গরম পানির বাষ্প্য জমে শিশিরের ফোটার মতো দেখাচ্ছিলো।

শুভ্র ঢোক গিললো এবং খুব কষ্ট করে নীলার দিক থেকে নিজের দৃষ্টি সরালো। বাতাসে হাত নাড়িয়ে ওকে এখানেই ছেড়ে যেতে।এই ঝনঝাটের মেয়েটা ওকে সত্যিই খুব সমস্যায় ফেলছে।

যাইহোক ও যখন নীলাকে পানির মধ্যে দেখছিল ওকে ঠিক যেন একটা মৎস্যকন্যার মতোই দেখাচ্ছিলো। শুভ্র থমকে গিয়ে দুবার ভাবলো তারপর ধীরে ধীরে নীলার কাছে এলো এবং ঝোট করে ওকে তুলে নিয়ে বেড়িয়ে এলো।

চলবে—-

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে