#গল্পঃভালোবাসায়_তুমি_আমি
#পর্বঃ১৬
#লেখিকাঃ রাদিয়াহ রাফা রুহি
হঠাৎ আমাদের দুজনের সামনে এতো বড় গাড়ি এসে থামায় আমরা দুজনেই চমকে যায়! তারপর আমি আর প্রাপ্তি দুজনেই রেগে লোকটা কে বকা দিতে যাবো তখনি লোকটার মুখ আস্তে আস্তে স্পষ্ট হচ্ছিলো। লোকটা গাড়ি থেকে নেমেই আমাদের দিকে এগিয়ে এলো —
প্রাপ্তি আর নীলা দুজনেই লোকটার দিকে তাকিয়ে আছে। খুবই সুন্দর সুদর্শন একটা যুবক। কালো কোট ভেতরে সাদা শার্ট। চোখে চশমা। দেখতে বেস হ্যান্ডসাম আর ড্যাশিং লাগছে!!
প্রাপ্তি তো বিশ্ময়ে মুখ হা করে তাকিয়ে আছে লোকটার দিকে।
আপনি কি নীলা? নীলার দিকে তাকিয়ে —-
★হাই আমি ইস্তিয়াক আহমেদ কাকন।
ওদের দুজনের ধ্যান ভেঙে যায় লোকটার কথায়।
আর নীলা আর প্রাপ্তি দুজনেই দুজনের দিকে চাওয়া চাওয়ি করছে অবাক হয়ে!
তারপর নীলা উত্তর দিলো —-
— হ্যাঁ আমি নীলা বাট আমি আপনি কি করে আমাকে চিনলেন।কে আপনি?
আপনি শুভ্র চৌধুরীর ওয়াইফ তো।শুভ্র আমাকে পাঠিয়েছে আপনাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমি শুভ্রর বেস্ট ফ্রেন্ড।
প্রাপ্তি এখনো হা করেই তাকিয়ে আছে উনার দিকে।
আমি ওকে ধাক্কা দিতেই প্রাপ্তি হকচকিয়ে গেল। আর আমার দিকে তাকালো। আমরা দুজনেই জোর পুর্বক হাসলাম।
কাকন ওদের ব্যবহারে খুবই অবাক । তারপর হঠাৎই তার চক্ষু জোরা আটকে গেলো প্রাপ্তির দিকে। কাকন প্রাপ্তির দিকে তাকাতেই দেখলো একটি মিষ্টি মেয়ে মাথাটা নিচু করে তাকিয়ে আছে এখন। কাকন যেনো কিছুক্ষনের জন্য নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে।
হঠাৎ নীলা খেয়াল করলো কাকন প্রাপ্তির দিকে এক ভাবে তাকিয়ে আছে।
নীলা কিছু একটা ভেবে হেসে দিলো। তারপর নিজের গলাটা খেকিয়ে পরিষ্কার করলো।
উম হুম উমহু এই যে ভাইয়া সত্যিই কি শুভ্র আপনাকে পাঠিয়েছে।
কাকনের ধ্যান ভেঙে যায়। সে চোখ ফিরিয়ে নিলো প্রাপ্তির দিকে থেকে।
হ্যাঁ আপনি চলুন আমার সাথে। গাড়ির দিকে ইশারা করে বললো।
আপনাকে আমরা কি করে বিশ্বাস করবো। আর আমিই যে নীলা সেটা আপনি জানলেন কি করে।
ওয়েট ভাবি শাহেবা।তারপর কাকন নিজের ফোন টা বের করে শুভ্র কে ফোন দেই।
শুভ্রর সাথে কথা বলে লাউড স্পিকার অন করে।
নীলা বিশ্বাস করে নিলো কাকন কে। আর কাকন কে দেখে একেবারেই খারাপ মনে হয়নি। বা খারাপ কোনো লক্ষ্যন ও দেখতে পেলো না নীলা।
চলুন যাওয়া যাক ভাবি। একটা সোজন্যমূলক হাসি টেনে মুখে। আর উনি কি আপনার ফ্রেন্ড।
উনি প্রাপ্তির দিকে ইশারা করে বললেন —উনি যাবেন না। আমি কিন্তু উনাকেও নামিয়ে দিতে পারি যদি উনার কোনো প্রব্লেম না থাকে।
হ্যাঁ ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড প্রাপ্তি। হ্যাঁ হ্যাঁ আপনি ওকেও নামিয়ে দিন এইতো সামনেই অর বাড়ি।
এর মধ্যে প্রাপ্তি কোনো কথায় বলেনি মাঝে মধ্যে আড় চোখে কাকনের দিকে তাকিয়েছে।
তারপর নীলা আর প্রাপ্তি দুজনেই মুচকি হাসি দিয়ে গাড়ির পিছনের সীটে বসে পরলো। কাকন গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিলো।
কাকন গাড়ি চালাতে লাগলো। মাঝে মধ্যে গাড়ির মিরোর এ প্রাপ্তি কে দেখছে আর মিটিমিটি হাসছে।
নীলা সব টাই খেয়াল করেছে। ভাইয়া দেখে গাড়ি চালান হ্যাঁ ।
কাকন কিছুটা লজ্জা বোধ করলো। হ্যাঁ দেখেই চালাচ্ছি ভাবি।
প্রাপ্তি মাথা নিচু করে আছে। অর কেমন যেনো খুবই লজ্জা করছে। কথা বলছে না সে জন্য চুপ করে আছে।
নীলা মাঝে মধ্যে প্রাপ্তি কে পিঞ্চ করছে এটা সেটা বলে।
আর প্রাপ্তি কটমট করে তাকাচ্ছে নীলার দিকে।
তারপর প্রাপ্তির বাড়ির সামনে নামিয়ে দিলো কাকন একবার প্রাপ্তির দিকে তাকালো।
প্রাপ্তি গাড়ি থেকে নেমেই কোনো কথা না বলে সজা প্রায় দৌড়ে বাসায় চলে গেলো নীলার সাথেও কথা বললো না।
এদিকে নীলা তো হাসতে হাসতে শেষ প্রাপ্তির এই অবস্থা দেখে।
চলুন ভাইয়া।
হ্যাঁ হ্যাঁ যাচ্ছি ভাবি।
কোম্পানির সামনে গিয়ে গাড়ি থামালো কাকন।
ভাইয়া এখানে কেন গাড়ি থামালেন।
শুভ্র আপনাকে এখানেই আনতে বলেছে।
কিন্তু কেন।আমি তো ভাবলাম বাসায় যাবো।
জানি না ভাবি চলুন ভাবি ভেতরে যাওয়া যাক।
তারপর দুজনেই মিলে ভেতরে চলে গেলো।
ভেতরে গিয়ে নীলা থমকে যায়।এতো বড় কোম্পানি দেখে নীলা খুবই অবাক।নীলা চারিদিকে তাকিয়ে দেখছে।
চৌধুরী ফ্যামিলি এতোটা রিচ ছিলো যে এতো বড় একটা বিল্ডিংয়ের প্রত্যেক ফ্লোরে আলাদা আলাদা লোক ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সেখানে বিজনেস করতো।
চৌধুরী একটা ওয়েল নুন এবং একটা মিস্ট্রিয়াস ফ্যামিলি। কেউ ঠিক মতো জানেও না ওরা ঠিক কতটা ধনি এবং পাওয়ারফুল।
নীলা হাটতে হাটতে চোখ পরলো জীনিয়া আর ফাহিমের দিকে। ওর পুরো এটেনশন চলে গেছিলো ওদের দুজনের উপর।
যারা একি সঙ্গে তার দিকে এগিয়ে আসছিলো।
জীনিয়া খান ছিলো স্লিম আর গ্রেসফুল এবং ফাহিম শেখ ছিলো লম্বা এবং হ্যান্ডসাম। তারা যখন পাশাপাশি হেটে আসছিলো সকলের নজর তাদের দিকেই পরলো।
ওয়াও জীনিয়া খান!!! উনার সঙ্গে নিশ্চয়ই উনার ফিয়্যান্সে। আমি শুনেছি উনারা নাকি খুব শীঘ্রই এঙ্গেজড হচ্ছেন। আর উনার ফিয়্যান্সির ফ্যামিলি খুবই রিচ আর উনি উনার ফ্যামিলির পুরো প্রপার্টির এক মাত্র উত্তরাধিকারী। উনার ফিয়্যান্সি সত্যিই খুব হ্যান্ডসাম!!! ওরা একদম পারফেক্ট ম্যাচ। জীনিয়া খান সত্যিই খুব লাকি।
—কাকন বললো।
নীলা শুধু একটু হাসলো আর বললো চলুন তবে শুভ্রর কেবিনে যায়।এখানে না দাঁড়িয়ে।
নীলা আর কাকন যেই না চলে যেতে নেই তখনি পিছনে থেকে শুনতে পেলো ফাহিমের কন্ঠস্বর। নীলা পিছন ঘুরে তাকালো। আর কাকন কে বললো আপনি যান আমি আসছি।
কাকন ও আর কিছু না বলে মুখ টা উল্টিয়ে ওকে বলে চলে গেলো।
নীলা না তুমি কি করছো এখানে?
নীকা কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। সেদিনের কথা মাথায় আসতেই নীলার যেনো রাগে গা ফেটে যাচ্ছিলো তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে — একটা শুকনো হাসি দিয়ে বললো
হ্যাঁ আসলে আমার এখানে একটা কাজ আছে তাই এসেছি।
নীলা দেখলো জীনিয়া তার দিকে বিরক্তিকর ভাবে তাকিয়ে আছে।
ফাহিম নীলার জামা কাপড়ের দিকে তাকালো। নীলাকে দেখে সে ভাবছিলো নীলাকে তার ইউজুয়াল মার্জিত বেপরোয়া ভাব ভঙ্গি থেকে অনেক টাই ডিফারেন্ট লাগছে।ওকে অনেক বেশি রিফ্রেশিং লাগছিলো!!!
আর ইভেন ওর মধ্যে একটা মেয়েলি কারিশমা ফুটে উঠেছে!!!
কোথায় গেছিলে তুমি। তোমাকে আংকেল কত খুজে জানো।
ফাহিম আসলে তো এতো কিছুই জানতো না সে শুধু জানতো খান ফ্যামিলি একটা ক্যাওয়াসের মধ্যে আছে।
নীলা একটা তেতো হাসি হেসে জীনিয়ার অহংকারি মুখের দিকে তাকালো।
আমি ঠিক আছি। আর আমি ফিউচারে আমার এক ফ্রেন্ডের সাথে থাকবো। আমি আর খান বাড়িতে কোনো দিন ও ফিরবো না।
জীনিয়া ফাহিমকে অভিযোগ জানিয়ে বললো—-
আহা ফাহিম তুমি জানো না। আমাদের ফ্যামিলি কতটা চিন্তায় রয়েছে কিন্তু ও কি রকম ইন্সেন্সিবল দেখো!!আমার মা সারারাত দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারে না!!! আর ও কি না—-
নীলা নাকি আওয়াজ করলো। ওর সৎ মা প্রবাবলী ঘুমাতে পারছেন না এই রাগে যে উনি আমাকে বিক্রি করতে পারলেন না মনে মনে বললো নীলা।
ইশরে তাই নাকি। সত্যিই আমার এটা করা একদম উচিত হয়নি। উনার কথা মতো আমাকে ওই প্রতিবন্ধী ছেলেকে বিয়ে করে নেওয়া উচিত ছিলো তাই না জীনিয়া আপু!
নীলা জীনিয়ার এই নাটক টা আর দেখতে চাইছিলো না। সে ঠান্ডা ভাবে বললো আমার কাজ আছে ফাহিম ভাইয়া আমি তাহলে আসছি।
হঠাৎ নীলা পিছনে কিছু সরগোল শুনে তাকালো আর দেখতে পেলো শুভ্রকে এক সারি বডিগার্ড ভেতরে আসার জন্য জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে। সে অন্ধকার রাতের মতো একটা কালো কোট পরে ছিলো তাকে রহস্য আর নিস্বঙ্গতায় ঘিরে রেখেছিলো।
নীলা পুরো বুকা বনে গেছিলো। শুভ্রকে দেখে নীলার মনে হলো ও কোনো স্বপ্ন দেখছিলো।
জীনিয়ার চোখ অলরেডি শুভ্রর দিকে আটকে গেছিলো। লম্বা হ্যান্ডসাম লোকটি তার দিকে একবার আড় চোখে তার দিকে না দেখে গটগট করে তার পাশ দিয়ে চলে গেলো । তার এর্যোগেন্ট এক্সপ্রেসন আর তার ঠান্ডা দৃষ্টির সাথে তাকে একজন উদ্ধতো সম্রাটের মতো দেখাছিলো যিনি তার ধারে কাছে কাউকেই ঘেশতে দেন না।
আহ ফাহিম ও কে?? ওকে বেশ চেনাচেনা লাগছে। জীনিয়া ফাহিম কে জিজ্ঞেস করলো। জীনিয়া নিজের কৌতুহল চেপে রাখতে পারছিলো না।
উনি সবচেয়ে বড় বিজনেস শুভ্র চৌধুরী।
উনারই বিল্ডিংয়ের একটা ফ্লোরে আমার বাবা বিজনেস করেন।
অন্যদিকে নীলার নিজেকে মাটিতে পুতে ফেলতে ইচ্ছে করছিলো।কারন সে দেখতে পেয়েছিলো শুভ্র তার দিকে তীক্ষ্ণ নজরে দেখছিলো।
জীনিয়া এক্সক্লেমিনেশন ইন্সটেন্টলী নীলার ঘোর কাটিয়ে দিলো।
নীলা দেখতে পেলো জীনিয়া মাথা নিচু করে বললো শুভ্র চৌধুরী আমার দিকে দেখছে।
নীলা আর ওখানে একটুও থাকতে পারলো না।নীলার কথা টা শুনে কেন যানি খুব কষ্ট হচ্ছিল।
সে চলে যেতে নিলে জীনিয়া নীলাকে আটকে দিয়ে বললো—
নীলা তোর জন্য এটাই ভালো হবে যে তুই বাড়ি ফিরে চল।
নীলা মাথা ঘুরে তাকালো আর ঠান্ডা ভাবে উত্তর দিলো— আমি আর কোনো দিনই ফিরবো না তোমাকে তো বললাম।
জীনিয়া রুদ্ধ ভাবে নাকে আওয়াজ করলো —
হুহ তুই ভাবিস না তোর আমি তোর আর ফাহিমের মটিভের ব্যাপারে কিছু জানি না।তুই কোনো দিকে থেকেই ফাহিমের যোগ্য নশ। আর কিছু দিনের মধ্যেই ওর সাথে আমার এঙ্গেজম্যান্ট হয়ে যাবে। আর ও তোর জামাই বাবু হবে। তুই যদি মানুষ হস ফাহিমের সাথে ফ্লার্ট করার চেষ্টা আর করবি না। নিজের স্ট্যাটাস টা দেখ তুই একটা অবৈধ বাচ্চা।
নীলার বুকের ভেতর টা মোচড় দিয়ে উঠলো।
নিজেকে সামলে নিয়ে–+
তোমার কথা শেষ হয়ে থাকলে এবার যেতে পারি। আর হ্যাঁ সেদিন আমি নয় ফাহিম আমার সাথে নোংরামো করার চেষ্টা করছিলো। তোমার কি মনে হয় আমি তোমার ফিয়্যান্সের দিকে তাকিয়ে আছি।হুহ তাহলে তুমি ভুল ভাবছো। হাউ এইভার আমাকে যেতে হবে।
হঠাৎ শুভ্র নীলার কাছে গিয়ে ওর হাত ধরে ভেতরে দিকে নিয়ে গেলো—–
এদিকে জীনিয়া তো খুবই অবাক যে শুভ্র চৌধুরীর মতো একজন লোক সে না নীলাকে নিয়ে যাচ্ছে। নীলা ওকে চেনে। দ্যাটস ইম্পসিবল।
না না আমি কিছুতেই নীলাকে শুভ্রর কাছাকাছি আসতে দিতে পারি না। নীলার কোনো যোগ্যতায় নেই।
জীনিয়া অলরেডি ভেবে নিয়েছিলো যে ফাহিম সবচেয়ে ধনী কিন্তু আর তার জন্য পারফেক্ট। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে শুভ্রই ওর জন্য পারফেক্ট। ফাহিমের থেকে বেশি বড় লোক আর হ্যান্ডসাম ছিলো। আর জীনিয়া জানতো যে শুভ্র যে হ্যান্ডমেট ইটালিয়ান স্যুট টা পরে আছে অটা খুব রিচ কেউ ‘না হলে কিনতে পারবে না।ফাহিম ও এই কোট কিনতে গেছিলো বাট ওর সামর্থ্য হয়নি।
জীনিয়া মনে মনে বললো আজ থেকে তুমি আমার টার্গেট মিস্টার চৌধুরী। আমি কিছুতেই তোমাকে নীলার হতে দেবো না।কারণ ওর পাশে শুধু আমার মতো মেয়েকেই মানায় এই বলেই সে বাকা হাসি হাসলো।
চলবে—
#গল্পঃভালোবাসায়_তুমি_আমি
#পর্ব১৭
#লেখিকাঃ রাদিয়াহ রাফা রুহি
কোম্পানির ভেতরে গমগমে আওয়াজে ভড়ে গেছে। এতো স্বরগোল তৈরি হয়ে গেছে মুহূর্তেই। গার্ডসরা চেয়েও আটকাতে পারছে না।ভীড় জমে গেছে। ভেতরে প্রেস মিডিয়ার লোকে ভরে গেছে হৈহৈ রৈরৈ পরে গেছে। শুভ্র চৌধুরীকে এই প্রথম কোনো মেয়ের সাথে দেখতে পাওয়া গেছে।এই খবর টা পেয়ে যেনো চিলের মতো উড়ে এসেছে।
শুভ্র কেবিনের ভেতরে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।তারই সামনে তারই ভালোবাসার মানুষের দিকে সবাই আঙ্গু্ল তুলছে। শুভ্র কি করে মানবে। এখানে নীলাকে নিয়ে বাজে কথা বলা হচ্ছে। শুভ্র কিছুতেই এইভাবে বসে থাকতে পারেনা।
তাই সে কাকনকে তার বাসায় পাঠিয়েছে বিয়ের সব ডকুমেন্টস আনতে। সে নীলার উপর আসা সকল দাগ মুছে দিবে আজই। সব অপমান থেকে আগলে রাখবে।কোনো আচ আসতে দিবেনা নীলার উপর।
মূলত শুভ্র চেয়েছিলো আজ অফিসে সবার সাথে নীলার পরিচয় করিয়ে দেবে। কিন্তু এই ভাবে যে এতো কিছু হবে সে তো চাইনি। সে চেয়েছিলো নীলাকে তার যোগ্য সম্মান দিতে। এইভাবে অপমানিত হতে দেওয়ার জন্য না।
সবাই ভাবছে নীলা শুভ্রর কাছে গিয়েছে। কারণ শুভ্র চৌধুরীর কোনো দিন কোনো মেয়েলি ব্যাপার ছিলো না। আর আজকে এই খবর পেয়ে চারিদিকে টানটান উত্তেজনায় ভরে গেছে।
এর আগেও শুভ্র চৌধুরীর জন্য অনেক মেয়েই পাগল হয়েছে। কিন্তু শুভ্র চৌধুরী কোনো দিন কোনো মেয়েকে তার কাছে ঘেঁষতে দেইনি।হঠাৎ কেন এই মেয়েকেই তার সাথে দেখা গেলো।
শুভ্র ভাবছে প্রেস কে জানালো কে কথা টা।
কোনো ভাবেই তো এই কথা টা বাইরের কেউ জানার কথা না। —-
নীলা এক কোনায় দাঁড়িয়ে থেকে টপটপ করে চোখের পানি ফেলছে। তার জীবন টা কি শুধুই দুঃখের জন্য। সবে মাত্র একটু সুখের আলো দেখেছে। আর সবাই কি না ভাবছে আমি কোনো বাজে মেয়ে । এই অপবাদ টা কি করে মেনে নিবো।এই কথা টায় কি শুনা বাকি ছিল। আমি নাকি শুভ্রকে চৌধুরীর মতো এতো বড় লোককে ফাসাতে এসেছি। তাকে দেখে নিজের লোভ সামলাতে পারিনি।
কিছুক্ষন আগে—–
নীলাকে শুভ্র টানতে টানতে নিজের কেবিনে নিয়ে যায়।
তুমি আমাকে দেখেও ওখানে দাঁড়িয়ে ছিলে কেন।
কি করছিলে তুমি ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। অই মেয়েটা কে? তোমার চোখ মুখ এমন কেন দেখাচ্ছে।
নীলার চোখের নিচে অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই কালি পরে গেছে। কান্নার ফলে এরকম লাল হয়ে গেছে। একটা ক্লান্তির ছাপ দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট। মনে হচ্ছে কিছু একটা নিয়ে খুবই টেন্সড।
না না আমি ঠিক আছি। আমাকে নিয়ে এতো ভাববেন না।
ও আমার সৎ মায়ের মেয়ে জীনিয়া। আপনি হইতো জানেন না জীনিয়া আপুর ফিয়্যান্সি আপনার অফিসের একটা ফ্লোরে বিজনেস করে উনারা। আর জীনিয়া আপু তার ফিয়্যান্সির সাথেই এখানে এসেছে। আর আমাকে দেখে রেগে গেছে যে আমি এতো বড় অফিসে কি করে।
হুম তো এই ভাবে অপমান কেন করবে। শুভ্র চৌধুরীর ওয়াইফ কে অপমান করার সাহস হয় কি করে ওর। হাউ ডেয়ার ইজ শি।
(নীলার কাধ ধরে ঝাকিয়ে)
ওই মেয়েটা তোমার বোন হোক বা যা কিছু হোক আমি কিন্তু ওকে ছেড়ে কথা বলবো না আমাদের বাড়ির বউকে কেউ অপমান করুক সেটা মানবো না কিছুতেই।
নীলা শুধু ভাবছে এর কি হলো হঠাৎ। এমন করছে কেন। উনি আমাকে নিয়ে এতোটা ডেস্পারেট হচ্ছে কেন।নীলার মনে অনেক প্রশ্ন জাগছে।
আচ্ছা আপনি একটু শান্ত হন। আমি তো বলেই দিয়েছি আমি আর ফিরবো না ওই বাড়িতে।
ফিরতে চাইলেই ফিরতে দিবো নাকি আমি। ওই নরকে আমি আর কোনভাবেই তোমাকে ফিরতে দিবো না।আর তোমাকে যে কষ্ট দিয়েছে তাকে আমি কঠিন শাস্তি দিবো ।
(মনে মনে)
আর তুমি আমাকে আসতে দেখেও ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওই মেয়েটার কথা শুনছিলে।
নীলা শুধু শুভ্র দুই চোখ ভরে দেখে যাচ্ছে। যে শুভ্র চৌধুরী কোনো দিন কোনো মেয়েকে পাত্তা দেইনি সেই মানুষ আমার মতো একটা সাধারণ মেয়েকে নিয়ে এতো ভাবছে কেন। কিসের এতো ভাবনা উনার আমাকে নিয়ে।
শুভ্র নীলাকে একটু ফ্রেশ হয়ে নিতে বলে। যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।
নীলাও কিছু না বলে একটু চোখে মুখে পানি দিয়ে আসে।
নীলা ফ্রেশ হয়ে বের হতেই শুভ্র নীলার দিকে তাকিয়ে থাকে। খুব সুন্দর লাগছে নীলাকে।মুখে হালকা হালকা পানি লেগে আছে। সেদিনের সেই বৃষ্টিতে ভেজার সেই মুখটা দেখতে পাচ্ছে সে।শুভ্রর চোখে নেশা ধরে গেছে ঠিক সেদিনের মতো। শুভ্র আস্তে আস্তে নীলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
নীলা দেখলো শুভ্র এক ধ্যানে তাকিয়ে থেকে ওর দিকে এগিয়ে আসছে। নীলা একি যায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।
শুভ্র নীলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
নীলা এবার একটু নড়েচড়ে দাঁড়ায়। আর পিছনে পিছিয়ে যেতে থাকে।
শুভ্র শুধু এগিয়েই যাচ্ছে কোনো কথা না বলে। পঁলকহীনভাবে তাকিয়ে আছে সে।
নীলা শুভ্রর চক্ষু দ্বয়ে এক অন্যরকম কিছু দেখতে পারছে।যেখানে এই মুহূর্তে নেশা কাজ করছে।
নীলা পিছিয়ে যেতে যেতে একটা চেয়ারে বসে পরে।
শুভ্র চেয়ারের দুই পাশে নিজের দুই হাত রেখে ঝুকে যায়। আর নীলার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।
দুজনেই চুপ করে থাকে। চোখের সেই না বলা ভাষা বুঝার চেষ্টা করছে। নিজেদের মনকে বুঝার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
শুভ্র আস্তে আস্তে নীলার ঠোঁটের কাছে হাত নিয়ে গিয়ে ঠোঁট দুটো নিজের একটি আঙ্গুল দিয়ে মুছে দিলো।
নীলা চোখ বন্ধ করে চেয়ারের কোনা চেপে ধরে আছে। আর জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে। শুভ্রর এতো কাছে আসায় সে একটু ঘাবড়ে গেছে।
হঠাৎ কি হলো শুভ্রর সে নিজেই জানে। শুভ্র তার নিজের মধ্যে নেই।
ওকে থামাতে হবে। নীলা কাঁপাকাঁপা গলায় বললো— ককক্ককি করছেন আপনি। মিস্টার চৌধুরী একটু জোরে।
শুভ্রর ধ্যান ভেঙে গেল। শুভ্র বুঝতে পারলো এক্ষুনি সে কি করতে যাচ্ছিলো। শুভ্র সরে আসলো নীলার কাছ থেকে।
তারপর শুভ্র নিজের পকেটে হাত দিয়ে একটা রুমাল বের করে দিয়ে নীলার মুখ মুছার জন্য এগিয়ে দিলো।
মুখ টা মুছে নাও। অফিসের সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো তোমাকে।
নীলার শুভ্রর কথা শুনে চোখ খুলে দেখলো শুভ্র অন্য দিকে ঘুরে তার দিকে রুমাল এগিয়ে দিচ্ছে।
নীলা রুমাল নিয়ে মুখ টা মুছে নিচ্ছিলো।তখনি বাইরে থেকে আওয়াজ শুনতে পেলো। বাইরে কিসের এতো আওয়াজ হচ্ছে মিস্টার চৌধুরী।
শুভ্রও বাইরে তাকায় কি হলো। আঙ্গুল দিয়ে দেখায় যে কি হলো বাইরে। হঠাৎ এতো স্বরগোল কেন হচ্ছে।
তখনি কাকন কেবিন হন্তদন্ত হয়ে ঢুকে এসে বলে বাইরে প্রেস মিডিয়ার লোকে ভরে গেছে।
নীলা ভাবিকে নিয়ে সবাই বাজে কথা বলছে শুভ্র চল তারাতাড়ি।
পরিস্থিতি সামলানোর জন্য কাকন বাইরে যায়।
বাট কোনো কাজ হইনা। তাই সে শুভ্রকে জানাতে আসে।
——-
কাকন কোনো মতে কষ্ট করে বাইরে থেকে ভেতরে আসে। আর ডকুমেন্টস গুলো শুভ্রর হাতে দেই।
কাকন কে আসতে দেখে শুভ্র উঠে দাঁড়ায়। আর এক হাতে বিয়ের ডকুমেন্টস আর এক হাত দিয়ে নীলার হাত ধরে বাইরে বেরিয়ে আসে লম্বা লম্বা পা ফেলে।
শুভ্রকে এই মূহুর্তে খুবই ভয়ার্ত লাগছে শুভ্র কে।নীলা কোনো কথা না বলে শুভ্রর দিকে তাকিয়ে আছে আর হেটে যাচ্ছে সে।
কি করতে চাচ্ছেন উনি আমাকে এইভাবে কেন নিয়ে যাচ্ছে।
প্রেসের হৈহৈ করে হুমরি খেয়ে দৌড়ে আসছে শুভ্র বেরিয়ে আসতে দেখে।
————–★★★★★
অন্যদিকে জীনিয়া এসব কিছু উস্কে দিয়েছে প্রেসকে কল করেছে। নীলাকে খারাপ বানাবে।।শুভ্রর থেকে দুরে করে দিবে।শয়তানি হাসি হেসে সব কিছু দেখে যাচ্ছে।। এবার শেষ নাটক দেখার মিস্টার চৌধুরী। এবার দেখবো কি করো তুমি।
আমি তোমার সেই অসহায় হয়ে যখন বসে থাকবে আমি তোমার কাছে বন্ধু হয়ে তোমার পাশে দাঁড়াবো।আস্তে আস্তে তোমার মনে যায়গা করে নিবো।
★★★★★
প্রেসের সামনে যেতেই একেকজন একেক প্রশ্ন করছে। সবাই ঘিরে ধরেছে।ক্যামেরা হাতে সবাই এগিয়ে আসছে।
নীলা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
এখনো শুভ্র নীলার হাত ধরেই রেখেছে।
একে একে অফিসের সকল মানুষ জোরো হয়েছে।স্টাফরা,, সার্ভেন্টরা সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে নীলা শুভ্রর দিকে। একে বারে ভীড় জমে গেছে।
আমি জানি না আপনারা কোথা থেকে এসব বাজে খবর পান।আপনারা হইতো জানেন না আমি ঠিক কি করতে পারি। আমাকে এইভাবে হ্যারাসমেন্ট করার জন্য।
দেখুন আপনারা হইতো জানেন না শি ইজ মাই ওয়াইফ । আর আপনারা তাকে নিয়ে বাজে কথা বলছেন সত্যি টা না জেনে। আপনারা কি ভেবেছেন টা কি যে শুভ্র চৌধুরীর ওয়াইফকে নিয়ে যা খুশি বলে যাবেন আমি চুপ করে থাকবো।আর আমি কোনো দিন কোনো মেয়ের সাথে থাকি নি বলে যে আজ থাকতে পারি না।নাকি সেই অধিকার ও আমার নেই।বিয়ের ডকুমেন্টস সব দেখিয়ে দিলো সবাইকে উরিয়ে সবার সামনে এই নিন আপনারায় দেখে নিন। আর আমি ঠিক কি কি করতে পারি আপনারা ঠিক ধারণাও করতে পারবেন না।
ওয়াইফ কথা টা শুনে জীনিয়া শকড হয়ে যায়। এটা কি বলছে শুভ্র চৌধুরী ওয়াইফ মানে। ওয়াইফ আর যায় বলো আগুন তো আমি লাগিয়ে দিয়েছি সেই ঠেলা সামলাও এবার
হুহ্।
সবাই একদম চুপ করে যায়। কারোর মুখে কোনো কথা নেই।
নীলা ভাবছে এসব কেন করছেন উনি।শুধু কি আমার সম্মান বাঁচানোর জন্য নাকি অন্য কিছু।
একজন এগিয়ে এসে বললো — স্যার স্যার আমরা খবর পেয়েছি মেয়েটি নাকি প্রস্টীটিউট।আপনার মতো একজন বড় মাপের লোক কি করে একজন এরকম মেয়েকে বিয়ে করতে পারে।
আরেক জন এসে বলে তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে এরকম মেয়েকে কেন বিয়ে করলেন স্যার নাকি শুধু মাত্র টাকার জোরে এসব করছেন। এসব বিয়ের সব নাটক করছেন যাতে আপনার রেপুটেশন নষ্ট না হয়।
শুভ্রর চোয়াল শক্ত হয়ে যায় তার পায়ের নিচ থেকে মাটি সড়ে যায়।
নীলার কাছে মনে হচ্ছে তার জীবন টা এখানেই যদি শেষ হয়ে যেতো। দু পা পিছিয়ে যায়। নীলা হতভম্ব হয়ে গেছে। আজ এটাও শুনার বাকি ছিল। নীলার যেনো চোখ ফেটে কান্না আসছে।
হঠাৎ শুভ্রর চোখ যায় অই দিকে দাঁড়িয়ে থাকা জীনিয়ার দিকে যে এখন সব কিছু দাঁড়িয়ে থেকে দেখছে আর হাতের ফোন টা ঘুরাচ্ছে আর বাকা হাসছে। শুভ্রর আর বুঝতে নাকি নেই কে এসব করেছে।
শুভ্র নীলাকে এক হাতে দিয়ে নিজের কাছে টেনে নেই। সবার সামনে। জীনিয়ার দিকে বাকা হেসে। তুমি হইত জানো না তুমি কার সাথে পাঙ্গা নিয়েছো জীনিয়া খান এইবার তুমি দেখতে পারবে শুভ্র চৌধুরী আসলে কি।
শুভ্র আস্তে আস্তে নীলাকে নিজের কাছে টেনে নেই।
নীলা হতভম্ব হয়ে যায়। শুভ্রর এহেন কান্ডে।
এটা কি করছেন আপনি।
শিহ– একদম কোনো কথা বলবে না। শুধু দেখতে থাকো কি হয়।
সবার এটেনশন শুধু সামনে থাকা ওদের দুজনের দিকে।
শুভ্র নিজের মুখ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। গালে হাত দিয়ে নীলার মুখের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। শুভ্রর হাত নীলার চুল ভেদ করে ঘারে পৌঁছে গেছে।
নীলা চোখ বন্ধ করে নেই। হঠাৎ নিজের ঠোঁটে কারোর কোমল ঠোঁটের স্পর্শ টের পাই নীলা সঙ্গে চোখ খুলে ফেলে বড় বড় করে ফেলে।
শুভ্র নীলার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেই।
নীলা বাধা দিতে চেয়েও পারলো না। সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে শুভ্রর গলা ধরে।
সবাই হতভম্ব হয়ে যায় একদম।
সব সাংবাদিক মিডিয়ার লোকেরা মাথা নিচু করে নেই।
জীনিয়া তো পুরো আগুন হয়ে গেছে।
এটা কি করে ফেললো শুভ্র চৌধুরী। রাগে নিজর হাতের মোবাইল টা জোরে ছুরে মারে। আর গটগট করে চলে আসে সেখান থেকে।ফাহিম জরুরি কোনো কাজে গেছে আর তার মধ্যেই জীনিয়া এতো কিছু করে ফেলে।
পুরো এক মিনিট পর নীলাকে শুভ্র ছেড়ে দিল।
নীলা ছাড়া পেয়ে বড় বড় শ্বাস নিতে থাকে দৌঁড়ে ভেতরে চলে আসে কাঁদতে কাঁদতে।
কি হলো সবাই চুপ কেন কথা বলুন। পেয়ে গেছেন আপনারা প্রমান। দেখলেন তো ওই মেয়েটা নয় আমি নিজে ওর কাছে গিয়েছি। আই লাভ হার। আমি ওকে ভালোবাসেই বিয়ে করেছি। এর পর নিশ্চয়ই আপনাদের আর কোনো প্রশ্ন থাকার কথা না। আর যে এই কাজ করেছে আমার ওয়াইফ কে বদনাম করার চেষ্টা করেছে তাকে আমি তার প্রাপ্য সাজা দিয়ে দিব এটা আমার প্রতিজ্ঞা। খুব শীঘ্রই সে তার শাস্তি পাবে। নাও গেট আউট মাই অফিস।গেট লস্ট।
জোরে চেচিয়ে কথা গুলো বললো শুভ্র।
কাকন এসে শুভ্রর দুই কাধে হাত শান্ত হতে বলছে।
সব জায়গায় ছড়িয়ে গেছে এই খবর শুভ্র চৌধুরী ইজ ম্যারিড। এই খবর শুনে ঠিক কত মেয়ের মন ভেঙ্গেছে জানা নেই।
একে একে সব প্রেসের লোকেরা চলে যায়।
হঠাৎ কোনো কিছু পরে যাওয়ার আওয়াজে শুভ্র দৌঁড়ে নিজের কেবিনে যায় নীলার কথা মাথায় আসতেই সে ঘাবড়ে যায়।
গিয়ে যা দেখে শুভ্র তার জন্য প্রস্তুত ছিলো না—
চলবে—