ভালোবাসার অনন্যা পর্ব: ১| রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

0
8002

ভালোবাসার অনন্যা
পর্ব: ১

লেখিকা: Gangster queen(ছদ্মনাম)

এই অনন্যা ঘুম থেকে ওঠ কলেজ যাবি কখন 9 টা বেজে গেছে. (আম্মু)

কিইইই!আমাকে আরও আগে ডাকবে তো কি যে করো না তুমি আজকেও কলেজে লেট হয়ে যাব। (অনন্যা)

দিব একটা মার কখন থেকে ডাকছি মহারানীর তো উঠার নামই নেই!এখন আবার আমার সাথে রাগ দেখানো হচ্ছে যা জলদি ফ্রেশ হয়ে আয় নাস্তা দিচ্ছি।(আম্মু বলতে বলতে চলে গেল)

ফ্রেশ হতে হতে আমি তোমাদের আমার পরিচয়টা দিয়ে নেই। আমি অনন্যা ইসলাম। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। আর যে এতক্ষণ আমার সাথে কথা বললো সে আমার আম্মু আয়েশা ইসলাম ।আর আমার আব্বুর নাম রফিক ইসলাম। বাবা-মায়ের দ্বিতীয় সন্তান আমি। আমার বড় একটা ভাই আছে। ভাইয়া আমেরিকায় পড়াশোনার জন্য থাকে। রাফি ইসলাম আমার ভাই।তোমাদের সাথে গল্প করতে করতে ফ্রেস হয়ে নিলাম এখন নাস্তা খেয়ে কলেজের জন্য দৌড়াতে হবে।(অনন্যা)

আম্মু জলদি খেতে দাও তো দেরি হয়ে যাচ্ছে। দুপুরের লাঞ্চটা প্যাক করেছো?(অনন্যা খেতে খেতে)

হ্যাঁ করেছি। নে খেয়ে নিবি কিন্তু পুরোটা। আজকে কি প্রাইভেট আছে? কয়টায় আসবি?(আম্মু)

হ্যাঁ সেটা খেয়ে নেব। আর প্রাইভেট আছে দুইটা পাঁচটার মধ্যে চলে আসবো। আব্বু কি অফিস চলে গেছে?(অনন্যা)

হ্যাঁ চলে গেছে আটটা বাজে।(আম্মু)

ও আচ্ছা ঠিক আছে আমার খাওয়া শেষ আমি আসি তাহলে।আল্লাহাফেজ আম্মু ।(অনন্যা)

আল্লাহ হাফেজ ভালো মতো যাস। (আম্মু)

এই মামা যাবেন? (অনন্য)

কই যাবেন মামা। (রিস্কাওয়ালা)

এমএমসি কলেজে।(অনন্যা)

হ্যাঁ চলেন. (রিস্কাওয়ালা)

রিসকায় উঠে পড়লাম। মামা একটু জলদি চালান লেট আছি আজকে। ক্লাস শুরু সাড়ে দশটায় অলরেডি দশটা বাজে। (অনন্যা)

ঠিক আছে (রিক্সাওয়ালা)

ভাড়া মিটিয়ে কলেজের সামনে নেমে পড়লাম 10:25 বাজে জলদি যেতে হবে না হলে আবার টিচার বকবে। এই মিশু শোন কিরে আজকে তুই আমাকে রেখে চলে আসলি কেন? (অনন্যা)

আরে দোস্ত বলিস না ভাইয়া দিয়ে গেল তাই তোর সাথে আসতে পারি নাই সরি রে (মিশু)

ও আচ্ছা ঠিক আছে চল লেট হয়ে গেছে। স্যার আবার নাহলে বকবে। (আপনাদের তো বলাই হয়নি মিশু আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। এমএমসি মহিলা কলেজ এন্ড ভার্সিটি তে আমি পড়ি। কলেজের মধ্যে আমরা পাঁচটা ফ্রেন্ড মিশু আমার বেস্ট ফ্রেন্ড)(অনন্যা)

হ্যাঁ চল।(মিশু)

ক্লাসে চলে গেলাম।কিরে নীলিমা কি হইছে? কান্না করছিস কেন? কোন সমস্যা? (অনন্য উদ্বিগ্ন হয়ে)

আরে দোস্ত কালকে আমাকে দেখতে আসছিলো আমার মনে হয় বিয়ে হয়ে যাবে!(নীলিমা কান্না করতে করতে)

ওয়াও জোশ আয় চল প্লান করি ওর হলুদে,বিয়েতে কে কি পড়বো(অনন্যা)

একটা উশটা মারুম শয়তান ছেরি। আমি মরি আমার জালায়।আর ওরা কে কি সাজবে সেইটা নিয়ে পরে আছে!আমার কি হবে?আর আমার ভালবাসার?(নীলিমা)

ওই ভ্যাবলার আবার কি হবে বেটা বদমাইশ। ঠিক হইসে অন্য জায়গায় বিয়ে হলে ভালো হবে। ১৪ টার সাথে প্রেম করে শালায়। তোরে কতদিন বলছি ওর থেকে দূরে থাকতে। আমার কথা ভাল লাগেনা না। (মিশু রাগ দেখিয়ে)

আহ মিশু রাগাস না ওকে(মারিয়া)
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
তোরা কি শুরু করছিস বলতো।ক্লাসে স্যার আসছে সেদিকে তোদের কোন খেয়াল আছে। তোদের জন্য যদি আমাকে বের করসেনা তোদের খবর আছে বলে দিলাম(সুমাইয়া)

এই তোমরা সবাই কি ফুসুর ফুসুর করছো। স্ট্যান্ড আপ (স্যার)

পাঁচজনই দাঁড়িয়ে। আসলে স্যার হয়েছে কি…(অনন্যা)

কোন সাফাই শুনতে চাই না এক্ষুনি ক্লাস থেকে বের হবা। তোমরা পাঁচ জনে আমার ক্লাসে প্রতিদিন এত অমনোযোগী কেন? (স্যার)

স্যার কথাটা তো শুনুন (সুমাইয়া)

এক্ষুনি বের হবা বলছি না।কোন কথা শুনতে চাচ্ছি না আমি.(স্যার)

তারপরে পাঁচজনই বেরিয়ে আসলাম।কি যে একটা অবস্থা সালা টাকলু স্যারটা প্রতিদিন কিযে করে আমাদের সাথে বেটা আমাদের দেখতেই পারে না (মিশু)

তোদের জন্য আজকেও আমাকে বের করে দিল কাল থেকে তোদের সাথে বসবৌ না(সুমাইয়া রাগ দেখিয়ে)

তোর তো প্রতিদিনই একই কথা থাকে! তোদের সাথে বসবো না(মিশু মুখ ভেংচি দিয়ে)

আহ তরা থাম্বি সব সময় এত ঝগড়া করিস কেন প্রতিদিন তোদের ঝগড়া লাগাতে হয় (মারিয়া)

এই‌ নীলিমা শোন। ছেলে দেখতে কেমন সেটা তো আগে বল? কি করে ছেলে? তা হঠাৎ দেখতে আসলো কেনো? তোর বয়ফ্রেন্ডকে কি জানিয়েছিস এটা?(অনন্যা)

এতগুলো প্রশ্নের উত্তর একসাথে দেই কিভাবে বল। ছেলে দেখতে মাশাল্লাহ সুন্দর। ছেলে জব করে। নাম ফারাবী। ছোট খালা মনির বিয়ের সময় নাকি দেখেছে। মামার ফ্রেন্ডের ছেলে হয়। হ্যাঁ ওকে জানিয়েছি কিন্তু ও(নীলিমা কান্না করতে করতে)

ও কিইই (সবাই একসাথে)

ও বলল বিয়েটা করে নিতে। কিন্তু আমি তো ওকে খুব ভালোবাসি তা তো জানিস। আমি কি করবো বল। এতদিন মিশু কথাগুলো বলছে ঠিক আমি বিশ্বাস করিনাই কিন্তু কালকে ওকে আমি একটা মেয়ের সাথে দেখেছি।এবং জিজ্ঞেস করাতে বলেছে আমি যার সাথে মন চায় তার সাথে ঘুরব তাতে তোমার কি (নীলিমা কান্না করতে করতে)

দেখছিস আগেই বলছিলাম সরে আয় ভালো লাগলো না ।এখন কষ্ট পেতে হলো তো (মিশু)

আমি ওকে ভালোবাসি আমি কি জানতাম না কি ও এমন ।আমি বিয়েটা কিভাবে করব বল আমার তো সময় লাগবে ওকে ভুলতে (নীলিমা কান্না করতে করতে)

শোন ও যদি তোকে ছাড়া হ্যাপি থাকতে পারে তুই কেন পারবি না ।আর তোকে ভালোবাসেও না। বিয়েটা তুই করবি বুঝতে পেরেছিস ।আর আমরা চারজন আছি কি করতে আমরা চারজন মিলে তোর দুঃখ গুলো ভুলিয়ে দেবো ঠিক আছে। এখন একটু হাস তো তোর জন্য এমনি বাইরে দাঁড়িয়ে আছি।তার উপরে সুমাইয়া আমাদেরকে বোকা শোনাচ্ছে এখন তুই যদি মুড অফ করে রাখিস তাহলে কি চলবে(মারিয়া)

ঠিক আছে (নীলিমা হেসে দিয়ে)

তারপরে সবাই একে অপরকে জড়িয়ে ধরলাম। এই হল আমরা পাঁচ বান্ধবী। সবার সুখে-দুঃখে সবার পাশে আছি। তো সবার একটু বায়ো-ডেটা দেওয়া যাক।
মিশু রাগী, বদমেজাজি, খুব উৎফুল্ল এবং ভালো মনের মেয়ে।

নীলিমা অল্পতেই কেঁদে দেওয়া, অল্পতেই নার্ভাস হয়ে যাওয়া, এবং অল্পতেই খুশি হয়ে যাওয়া মেয়ে।

মারিয়া শান্তশিষ্ট ,বুঝে শুনে কথা বলা এবং বিচক্ষণ সবাইকে এক সুতোয় বেঁধে রাখতে চাওয়া মেয়ে।

সুমাইয়া পড়া লেখায় দক্ষ, ভীতু, ঝগড়াটে এবং মিষ্টি একটা মেয়ে।

আর আমি না বুঝে কথা বলা (কোথায় কি বলতে হয় না বুঝে বলে দেওয়া), মিশুক, ঝগড়াটে আবার ভীতু এবং পাগলাটে।(অনন্যা)

এই যে আমার গুণধর ছাত্রীরা ভেতরে যান। কালকে যদি আবার কথা বলতে দেখছি না আমার ক্লাসে তাহলে আপনাদের খবর আছে। আপনাদের গার্জিয়ান কে ডাকা হবে।(স্যার বলে চলে গেল)

কালকে তোরা যদি আবার কথা বলছিস না স্যারের ক্লাসে তোদের খবর আছে বলে রাখলাম (সুমাইয়া)

100 বার বলবো তোর কি? তুই চুপ থাকতে পারিস না?(মিশু)

তোরা থাম্বি তোদের পেচ পেচ কিন্তু আর ভালো লাগছে না (মারিয়া)

তারপর সবাই বাকি ক্লাস করে নিলাম। দুপুরে লাঞ্চ করলাম সবাই মিলে তারপর আবার দুইটা ক্লাস করে প্রাইভেটে চলে গেলাম। আমরা পাঁচজনে প্রাইভেটে পরি একসাথে। আজকে ইংলিশ আর অ্যাকাউন্টিং প্রাইভেট করলাম। তারপরে সবাইকে বিদায় দিয়ে আমি আর মিশু বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আমার আর মিশুর বাড়ি একই এলাকার। তাই সবসময় একসাথেই যাওয়া-আশা করি (অনন্যা)

এই অনন্যা শোন(মিশু)

হ্যাঁ বল শুনছি। (অনন্যা)

পরশু তো শুক্রবার চল সবাই মিলে ঘুরে আসি। খুব ভালো লাগবে তাই না। প্লিজ তুই না করিস না তুই হ্যাঁ বললেই ওরা সবাই যেতে রাজি হবে কি বলিস? (মিশু)

আচ্ছা আম্মু আব্বুকে জিজ্ঞেস করি? কালকে সবাই একসাথে আলোচনা করা যাবে ঠিক আছে (অনন্যা)

তুই প্লিজ আন্টি আঙ্কেলকে রাজি করাবি।আমাকে প্রমিস কর!(মিশু হাত বাড়িয়ে)

আচ্ছা ঠিক আছে (অনন্যা)

ইয়েয়েয়েয়ে(মিশু জড়িয়ে ধরে)

আরে আস্তে আস্তে ।আচ্ছা আল্লাহ হাফেজ কালকে দেখা হচ্ছে(অনন্যা)

আল্লাহাফেজ আসি (মিশু বলে চলে গেল)

আমিও বাসায় এসে গোসল করে একটু রেস্ট নিলাম ।তারপর সন্ধ্যায় একটু চা নাস্তা খেয়ে পড়তে বসলাম। (অনন্যা)

কিরে ক্লাস কেমন চললো আজকে? (আম্মু)

হ্যাঁ আম্মু খুব ভালো। আম্মু শোনো না একটা কথা ছিল? (অনন্যা)

হ্যাঁ বল শুনছি(আম্মু)

পরশুদিন আমরা পাঁচজন মিলে ঘুরতে যেতে চাচ্ছিলাম তুমি একটু আব্বুকে বলবা (অনন্যা)

কই যাবি ঘুরতে?(আম্মু)

এখনও ডিসিসন নেওয়া হয়নি। তুমি আব্বুকে বল আব্বু যদি যেতে দিতে রাজি হয়। তাহলে কালকে আমারা ডিসিশন নেব কই যাব.(অনন্যা)

সমস্যা নেই তুই কোথায় যাবি আমাকে জানাস আমি টাকার ব্যবস্থা করে দেব। আনুমানিক কত টাকা লাগবে (আম্মু)

আমি কি টাকার জন্য আব্বুকে বলতে বলছি। তুমি না সব সময় এমন করো আব্বুকে একটু বল। (অনন্যা)

তুই তো জানিসই তোর আব্বু তোকে কোথাও যেতে দিতে চায় না ।তাই বলে কি তুই ঘোরাফেরার স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলবি। তুই যা কোন সমস্যা নেই তোর আব্বুকে বলার দরকার নেই ।সকালে যাবি সন্ধ্যার মধ্যে চলে আসবি তাহলেই হল। আর তোর আব্বু তো অফিসের কাজে বিজি থাকেন তার টেনসন নিতে হবে না তোকে। তুই যা (আম্মু)

ঠিক আছে তাহলে কালকে ওদের সাথে ডিসাইড করে আসবো কোথায় যাবো ।তোমাকে কালকে রাতে জানিয়ে দেবো ঠিক আছে।(অনন্যা)

আচ্ছা এখন পড় (আম্মু বলে চলে গেল)

পরের দিন সকালে কলেজে গিয়ে সবার ডিসাইড করলাম আমরা কালকে ফ্যান্টাসি কিংডম ঘুরতে যাব। কিন্তু সুমাইয়া হঠাৎ বলল!

ফ্যান্টাসি কিংডম গেলে আসতে আসতে তো রাত হয়ে যাবে না তখন সবার বাসাই বকা শুনতে হবে।তার থেকে এমন জায়গা বের কর যাতে সকালে যেয়ে সন্ধ্যার মধ্যে চলে আসতে পারি?(সুমাইয়া)

হ্যাঁ একদম ঠিক কথা বলেছিস তুই (সবাই একসাথে)

তার থেকে চল বিক্রমপুর চলে যাই পদ্মার ইলিশমাছ খাবো আর পদ্মায় ঘুরে ও দেখা হবে কি বলিস(মারিয়া)

ঠিক আছে চল (সবাই একসাথে)

তারপরে সবাই ডিসকাশন করে ক্লাস করলাম। আজকে প্রাইভেট নাই। তাই যে যার বাড়ি চলে আসলাম। বাসায় যেয়ে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করলাম। তারপরে…

আম্মু আমারা বিক্রম্পুর যাব পদ্মার পাড়ে ঘুরতে (অনন্যা)

ঠিক আছে। কত টাকা লাগবে রে 2000 দিলে হবে? (আম্মু)

এত টাকা দিয়ে কি করব? 500 দিলেই হবে (অনন্য)

দূরে কোথাও গেলে বেশি করে টাকা নিতে হয় জানিস না।তোর কাছে তো আরও 1000 আছে আমি 2000 দিয়ে দিচ্ছি 3000 নিয়ে যাবি সাথে বুঝেছিস!(আম্মু)

ঠিক আছে (অনন্য)

এখন পড়তে বস কালকে তো সারাদিন আর পড়তে পারবি না ‌। সকাল কয়টায় বের হবি? (আম্মু)

সাড়ে আটটায় আম্মু (অনন্যা)

আচ্ছা তাহলে পড়ো আমি আসি (আম্মু বলে চলে গেল)

তারপর পড়া শেষ করে রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে উঠে গোসল করে নাস্তা খেলাম এবং সবাই মিলে বেরিয়ে পড়লাম। সবাই আজকে ব্ল্যাক কালার টপস,ব্ল্যাক জিন্স আর স্কাপ পড়েছি। এবং পাঁচজনের টেডি ব্যাগটা নিয়েছি। সবার ব্যাগে একটা করে জামা ও নিয়ে নিয়েছি। আমরা কোথাও ঘুরতে গেলে সব সময় একটা করে এক্সট্রা জামা নিয়ে ঘুরতে চাই। জাস্ট ফর সেফটি। সবাই মারিয়ার গাড়ীতে করে যাচ্ছি। আমাদের ফ্যামিলি সবাই মোটামুটি বড়লোক। কিন্তু মারিয়ারা সবচেয়ে বেশি বড়লোক। ওর নিজস্ব গাড়ি আছে আমরা সবাই ঘুরতে গেলে ওর গাড়িতে যাই। মারিয়া নিজে ড্রাইভ করছে। দোস্ত একটু জোরে চালাবি প্লিজ মনে হচ্ছে ভেন গাড়িইতে যাচ্ছি(অনন্যা)

ঠিক বলেছিস তুই।এই তুই একটু জোরে গাড়ি ড্রাইভ কর না প্লিজ(নিশু)

না আস্তে চালারে ঠিক আছে একদম (নীলিমা ও সুমাইয়া)

জোরে চালালে তো নীলিমা আর সুমাইয়া ভয় পায় তোরা দেখিস না।(মারিয়া ড্রাইভ করতে করতে)

এত আস্তে চালালে আজকের পৌঁছানো লাগবে না বুঝতে পারছিস (মিশু রাগ দেখিয়ে)

ওকে জোরে ড্রাইভ করছি (মারিয়া)

তারপর মোটামুটি জোরে ড্রাইভ করে আমরা পদ্মার পাড়ে পৌঁছে গেলাম। সবাই মিলে ঘুরলাম খুব মজা করলাম। এরপর দুপুরে লাঞ্চ করলাম পদ্মার পাড়ের একটা হোটেলে কিন্তু হঠাৎ আমরা এমন একটা জিনিস দেখব ভাবতে পারিনি……(অনন্যা)

******************(চলবে)******************

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে