#ভালোবাসায়_তুমি_আমি
#পর্ব_০২
#নির্মল_আহমেদ
‘আপনি এখানে? এখানে কিভাবে আসলেন আপনি?’
বলেই তিশা পিছনে ঘুরে দাঁড়ালো এবং মৃদু ঢোক গিলল। দুই হাত দিয়ে বুকের তোয়ালেটা আরো জোরে আটকানোর চেষ্টা করতে থাকলো। তনয় হা হয়ে তিশার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সে বেশ বুঝতে পারছে তার এই সময় আসা একদমই উচিত হয়নি। নিজে নিজে লজ্জিত বোধ করল সে। মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল,
‘মাফ করবেন এই সময় আসার জন্য। কিন্তু আপনি আপনার পার্সটা আমার গাড়িতে ফেলে রেখেছেন তাই সেটা ফেরত দিতে এসেছি ।মা বলতেন কারো জিনিস নিতে নেই তাই আরকি!’
তিশা হঠাৎ করে মনে পড়ল সে তার পার্সটি সত্যিই তনয়ের কারে ফেলে রেখে এসেছিল। পার্সে তনয়ের দেওয়া 10000 টাকার দেনমোহর সহ আরো অনেক কিছু রয়েছে সেখানে। তিশা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
‘আচ্ছা ঠিক আছে দেন পার্সটা।’বলেই তিশা তনয়ের বিপরীত দিকে থেকেই হাতটা পিছনে পাতলো। তনয়ও পার্সটা তিশার হাতে দিল। হঠাৎ তিশার মনে একটা প্রশ্ন জাগতেই সে আবার বলে উঠলো
‘আচ্ছা আপনি কিভাবে আসলেন এখানে? না মানে কেউ আপনাকে বারন করেনি। এটা যে লেডিস হোস্টেল তা সত্ত্বেও আপনাকে ভিতরে প্রবেশ করতে দিল?’
‘হুম সে তো একটু অসুবিধা হয়েছিল। কিন্তু ওই যে দেখছেন ম্যাডামরা ওখানে দাঁড়িয়ে আছে ওরাই আমাকে সাহায্য করল ভিতরে প্রবেশ করতে।’
তিশা একটু ঘার ঘুরিয়ে তনয়ের দেখানো ইশারার দিকে তাকিয়ে দেখল ছোঁয়া ও পুষ্পা দাঁড়িয়ে। তিশা কিছুটা চমকে গেল। এরা,এরা সাহায্য করেছে এনাকে! এবার তো তাহলে আমাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে করতেই বেহুশ করে ফেলবে। বলবে ছেলেটা কে? তোকে কিভাবে চিনলো? হায় আল্লাহ এবার আমি কি করব! এসব বিড়বিড় করে বলছিল তিশা তখনই তনয় বলল,
‘এসব কি বলছেন বিড়বিড় করে। আমাকে অন্তত একটা থ্যাঙ্ক ইউ তো বলবেন। আপনার পার্সটা ফেরোত দেবার জন্য কত রিস্ক নিলাম। অন্তত সেজন্য!’
‘আচ্ছা ধন্যবাদ,থ্যাংক ইউ! আপনি এখন যান। দেখছেন তো আমি এখন কথা বলার ড্রেসে নেই।’
তনয় নিজে নিজে একটু লজ্জিত বোধ করল এবং মাথা চুলকাতে চুলকাতে সেখান থেকে চলে গেল। যাওয়ার আগে ছোঁয়া ও পুষ্পাকে একটা ধন্যবাদ জানাতে ভুললো না তাকে এখানে প্রবেশ করাতে সাহায্য করার জন্য।
তনয় চলে যেতেই ছোঁয়া ও পুষ্পা সন্দেহু চাহনিতে তিশার দিকে তাকালো। তিশা একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
‘তোরা একটু ঘুরে আয়। আমি তাতে ড্রেসটা চেঞ্জ করছি।’বলেই যে না দরজাটা বন্ধ করতে যাবে অমনি ছোঁয়া ও পুষ্পা রুমে প্রবেশ করে দরজাটা বন্ধ করে দিল।
‘হুম হুম আমরা জানি তুই একবার দরজার দিলে আর খুলবি না। আর আমাদের প্রশ্নের উত্তর ও দিবি না তাই আমরাই ঢুকে গেলাম।’
তিশা শুকিয়ে যাওয়া গলায় বলল,’ প্র প্রশ্নের উত্তর মানে? কি বলছিস আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা।’
পুষ্পা বিরক্ত গলায় বলল,’দেখ তিশা! অত চালাকি করতে হবে না। সোজাসাপ্টা উত্তর দে ছেলেটাকে? ডুবে ডুবে জল খাওয়া! আমরা কি তোর পড় নাকি? আমাদেরকে পর্যন্ত জানাসনি!’
‘জানায়নি মানে কি বলছিস তোরা? আরে তোরা যেটা ভাবছিস সেটা নয়। আসলে ও আমার কাজিন!’মাথায় কাজিন শব্দ টা আসতেই সেটাই বললো তিশা।
‘কাজিন!’ছোঁয়া ও পুষ্পা অবাক চোখে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
তিশা একটু অভিনয়ের ভঙ্গিতে বলল,’হুম কাজিন! এখানে রাঙ্গামাটিতে থাকে। কালকে তো আমি ওদের বাসাতেই উঠেছিলাম।’তিশা ভাবলো,’যাক এক ঢিলে দুই পাখি মারা গেল।’
‘কালকে ওদের বাসায় উঠেছিস মানে?আমাদেরকে একটা ফোন করার ও প্রয়োজন বোধ করিস নি!’
ছোঁয়া অনেকটা অবাক ভঙ্গিতে কথাটা বলল তিশাকে।
‘কালকে আমার মোবাইলে চার্জ ছিল না আর তোদের নাম্বার ও আমার মুখস্থ ছিল না। তাই অন্য মোবাইল দিয়েও ফোন করতে পারিনি। সরি!’
‘তুই সরি বলছিস! এদিকে কালকে থেকে তোকে খুঁজতে খুঁজতে আমাদের জান বেরিয়ে গেছিল।’
‘আচ্ছা ঠিক আছে,থাক না এখন সব কথা। এখন বল আজকের মিশন কোথায়? আজ মানে কোথায় নিয়ে যাবে স্যারেরা।’
পুষ্পা ভ্রু কুঁচকে বললো,’কি বললি? আজকের নিয়ে যাবে। মাথা খারাপ! মকবুল স্যার সাব সাব বলে দিয়েছে আজ আর কোথাও নিয়ে যাবে না সোজা বাসা। কালকে তোকে খুঁজতে খুঁজতে স্যারেরা শপথ নিয়েছে আর কখনো আমাদের ট্যুরে নিয়ে আসবে না।’
তিশা অবাক মিশ্রিত কন্ঠে বলল,’কি বলিস পরশু আসলাম আর আজকেই চলে যাব। আর নিয়ে যাক না যাক ! অন্তত তিন চারদিন তো এখানে থাকার কথা আমাদের তাই না?’
‘হুম। থাকার কথা ছিল কিন্তু এখন আর কোনো সম্ভাবনা নেই!’
তিশা মন খারাপের ভঙ্গিতে বসে রইল; তখনই ছোঁয়া বলল,
‘ওকে তুই ড্রেস চেঞ্জ কর আমরা আসছি।’ বলেই ছোঁয়া ও পুষ্পা চলে গেল।
কেটে গেল তিন চার ঘন্টা। পুষ্পা ও ছোঁয়ার কথাটাই সত্যি হয়ে গেল। অর্থাৎ তারা সেদিনই রাঙ্গামাটির ছেড়ে ঢাকায় চলে গেল। স্কুলের স্যারেরা খুবই দায়িত্বের সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যুরে এনেছিলেন এবং তাদের সুস্থ ভাবে বাসায় ফিরিয়ে দেওয়াও তাদের একটা দায়িত্ব ছিল। ইতিমধ্যে তিশার সারারাত মিসিং এর ঘটনায় তারা খুবই উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত ছিল। এমনকি তাদের বাসার লোক কেউ জানেনি। এখন যখন তিশা ফিরে এসেছে, তাহলে আর সেখান থেকে বিপদ বাড়ানোটা তারা মনে করে নি। তাই অতশত না ভেবে তারা সে দিনই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।
তুলি সোফায় বসে কফি খাচ্ছিল আর টিভিতে কার্টুন শো দেখছিল। তখনই দরজায় কলিং বেল বেজে ওঠে। তৃষা আগেই ফোন করে জানিয়েছে সে আসছে তাই সে ভেবে নিল তিশা এসেছে। তাড়াতাড়ি কফির মগটা টেবিলে রেখে দিয়ে সে দরজা খুলে দিল। তিশাকে দরজার ও সাইটে দেখতে পেয়ে একটা মৃদু হাসলো তারপর বললো,
‘ও তুই এসে গেছিস?’
তিশা ক্লান্ত ভঙ্গিতে বলল,’হুম এসে গেছি। কিন্তু বর্তমান খুবই ক্লান্ত। বাসে খুবই ঠ্যালাঠেলি করে আসলাম। উফ! কি গরম!! কালকেই কি রকম ঝড় বৃষ্টি হয়েছিল আর আজকেই এত গরম! বাঁচা যায় না।’
‘হুম সে তো দেখেই বুঝতে পারছি তোকে। কিন্তু একটা জিনিস বুঝতে পারছি না। তোরা ছয় দিনের জন্য ট্যুরে গিয়ে ছিলিস কিন্তু মাত্র দু’দিন ফিরে এলি? কিছু কি গণ্ডগোল হয়েছিল নাকি?’
তিশা একটা ভয়ার্ত ঢোক গিলে নিয়ে তার আপুর চোখের মণির দিকে তাকালো। সেখানে তাকিয়ে সে কোনদিনও মিথ্যা কথা বলে নি কিন্তু আজ…
এসব ভাবছিল তিশা তখনই তুলি আবার বলল,’কি হলো কোথায় হারিয়ে গেলি? আমি যা বলছি তার উত্তর দে!’
তিশা মাথা নিচু করে একটা মুচকি হাসি দিলো তারপর আবার তুলির দিকে তাকিয়ে বলল,’না না সেরকম কিছু হয়নি আপু। এমনি স্যারেরা ট্যুর টা পোস্টপোন করল। আচ্ছা আপু আমাকে এখানে এভাবে দাঁড় করিয়ে রাখবি নাকি রুমেও যেতে দিবি। দেখছিস তো খুবই টায়ার্ড আমি!’
‘হুম ঠিক আছে। ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে আগে।’
তিশা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের রুমে চলে গেল।
এদিকে,,,
তনয় স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। আজ তার বাবা-মা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসছেন। এখানে ছেলের ফ্ল্যাটে থাকবে কদিন। তাছাড়াও তাদের আরেকটি উদ্দেশ্য আছে। তনয়ের বাবা আসাদুল চৌধুরী তার বন্ধুর মেয়েকে দেখাতে নিয়ে যাবে তাকে, পছন্দ হলেই বিয়ে। কিন্তু তনয় এখন বিয়ে করতে মোটেও ইচ্ছুক নয়। তবুও বাবা-মার আজ্ঞা পালন করতে মেয়ে দেখতে যেতে হবে তাকে। প্রায় 15 16 মিনিট অপেক্ষা করার পর শেষে দেখা গেল তার মা-বাবার। দেখা পেতেই তনয় একটা মুচকি হাসি দিয়ে তাদের নিকট গেল এবং মায়ের হাত থেকে স্যুটকেসটা নিতে যাচ্ছিল, তখনই তার মা অর্থাৎ তানিশা বেগম বলল,
‘এত আদিখ্যেতা কিসের! এতক্ষণ যখন স্যুটকেসটা বয়ে আনতে পেয়েছিলাম তাহলে বাকিটুকু পারব। যতসব!’বলেই মুখ ভেংচিয়ে তানিশা বেগম অন্য দিকে তাকালো।
এখানে আরেকটা কথা উল্লেখ্য যে তনয়ের মা হলো তার সৎ মা। আসল মা মারা গিয়েছিল তার জন্মের পরেই। তারপর আসাদুল চৌধুরী ভেবেছিলেন তানিশা বেগম কে বিয়ে করলে সে নিশ্চয়ই তনয়কে মায়ের মতোই স্নেহ ও ভালোবাসা দেবে। কিন্তু তার ধারণা ভুল হয়ে যায়। তানিশা বেগম তোমাকে একদমই সহ্য করতে পারে না। তার একটি ছেলে ও মেয়েও আছে, তারাও তনয়কে একদম পছন্দ করেনা। সেজন্য তনয় ঢাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকে এবং এখানে চাকরি করে। মাঝেমধ্যে ছুটি পেলে যায় না হলে যায় না। তানিশা বেগমের আচরণের তনয় মন খারাপ করে মাথাটা নিচু করে নিল। এসব দেখে আসাদুল চৌধুরী তানিশা বেগমকে একটু ধমকের সুরে বলল,
আহ’ কি হচ্ছে কি?এতসব মানুষের মাঝে এরকম আচরণ করার কি কোনো দরকার ছিল?’
তানিশা বেগম রাগী দৃষ্টিতে আসাদুল চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে বলল,
‘তুমি চুপ করো। আসতে তো চাইনি এখানে একদমই। নেহাত তোমার বন্ধু বলল সে জন্য এসেছি। আমি না গেলে কি না তারা একদমই খুশি হবেন না! যতসব!’
তনয় চোখের কোটরে জমে থাকা পানিটুকু চট করে নিচে নিয়ে বলল,
‘আচ্ছা ঠিক আছে বাবা। আর মার সাথে ঝগড়া করো না চলো ফ্ল্যাটে যাই এমনিতেই মায়ের বাতের ব্যাথ্যাটা দিন দিন বাড়ছে। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়েড়িয়ে থাকতে পারে না।’
তানিশা বেগম একটা ভেংচি কেটে আগে আগে চলতে থাকলো। আসাদুল চৌধুরী তনয়ের দিকে আচার্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। সত্যিই ছেলেটা একদম খাঁটি। তানিশা বেগম তাকে কত অপমান করেছে কিন্তু সে কখনো প্রতিবাদ করেনি। আসাদুর রহমান তার ঘাড়ে চাপর দিতে দিতে বললেন,
‘তুই এত ভালো কেন রে তনয়? তোর মা তোকে কত অপমান করেছে, কত অত্যাচার করেছে। কিন্তু তুই কখনো একটু টু শব্দও পর্যন্ত করিস নি। মাঝে মাঝে তোকে নিয়ে আমার খুব গর্ব হয় রে! কিন্তু একটাই আফসোস শুধু তোকে ভালো হবে স্নেহ আদর করতে পারেনি। তোর মায়ের কথায় তোকে মাত্র দশ বছরে হোস্টেলে পাঠিয়েছি ভালোভাবে শাসন করতে পারিনি। তবুও তো আমাদের প্রতি কোন রাগ নেই।’
‘কি বলছো বাবা আমার তোমাদের প্রতি রাগ থাকবে।এটা তুমি ভাবতে পারলে। এটা কি তুমি আমায় শিক্ষা দিয়ে ছিলে,বলো? আর শত হোক উনি তো আমার মা। হয়তো একটু বকেছে কিন্তু তাই বলে সন্তানের মায়ের প্রতিবাদ করাটা সাজে না।’
তনয়ের কথায় তাহাবুর চৌধুরী অনেকটা খুশি হলেন এবং বললেন,
‘হুম বুঝেছি এবং সেইজন্যই তো একটা দায়িত্ব এখনো আমার কাঁধে বসে রয়েছে। সেটা হল তোর একটি যোগ্য মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়া, যাতে সে তোকে বাকি জীবনটা সুখে স্বাচ্ছন্দে রাখতে পারে। আমি তো পারলাম না!’
তনময় বিয়ের কথা শুনে বিরক্ত ফিল করল এবং বলল,
‘আচ্ছা ঠিক আছে ওসব কথা পরে হবে এখন এখন চলো ফ্ল্যাটে যাই।’
এদিকে,,,
তিশার রুমে গিয়ে প্রথমে শাওয়ারের নিচে কিছুক্ষণ ভিজলো তারপর ড্রেস চেঞ্জ করে ড্রয়িং রুমে আসলো সেখানে তার আপু এখনও টিভি দেখছে। হাতে এখন কফির মগ এর বদলে পপকর্ণের বাটি। তিশা সেখান থেকে কিছু পপকর্ণ তার হাতের মুঠোয় নিয়ে চিবোতে থাকলো। তিশা সোফায় বসে পপকন চিবোতে চিবোতে বলল,
‘আচ্ছা আপনি আজকে রাতের ডিনারে কি কি আছে।’
‘কি কি মানে? কিছুই নেই। কিছুই রাঁধিনি আমি।’
তিশা বিস্ফোরিত চোখে তুলির দিকে তাকিয়ে বলল,’কিছু রাখিস নি মানে! সারাদিন তাহলে কি খেয়েছিস?’
‘কি খেয়েছি মানে এই তো এখন যেগুলো খাচ্ছি এগুলি, প্লাস চিপস স্যান্ডউইচ আরো কত কি!’
তিশা হা হয়ে তুলির দিকে তাকিয়ে আবার বলল,’ও আপু তুইও না পারিস। সারাদিন কেউ এসব খেয়ে থাকতে পারে। আমিতো বাবা পারবোনা!’
‘তাহলে আর কি করার। আমি তো বাবা রাঁধতে পারব না। দরকার পরলে তুই অনলাইনে খাবার অর্ডার করে খাস।’
‘কি আপু! এমন করে বলছিস কেন? কদিন পরেই তো বাড়ি থেকে চলে যাবি। তখন তো আর তোর রান্না করা খাবার খেতে পারব না।তাই প্লিজ আজকে আমার জন্য রেঁধে দে।’
‘বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো মানে? কি বলছিস তুই এসব?’
‘এ্যাঁ তুই যেন কিছুই বুঝতে পারছিস না। কদিন পরে তো তোকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে। আর বাবা বলে দিয়েছে সেখানে তোর বিয়ে গ্যারান্টি।’
তুলি কিছুটা লজ্জা পাওয়ার ভঙ্গিতে বলল,’হুম ছেলের ফটো পাঠিয়ে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে।
তিশা লটারিতে এক কোটি টাকা পেলে যেরকম খুশি হয় সেরকম খুশি হয়ে বলল,’কি বলিস পাঠিয়ে দিয়েছে। ছবি দেখা, দেখা তাড়াতাড়ি। দেখিতো আমার দুলাভাই ঠিক কতটা হ্যান্ডসাম!’
‘এই দুলাভাই বলছিস কেন? এখন তো বিয়ে ঠিক হয়নি।’
‘আরে হবে হবে টেনশন করছিস কেন? তুই আগের ছবিটা দেখা তো তাড়াতাড়ি!’
‘হুম’ বলেই মোবাইলটা হাতে নিল তুলি এবং দেখল মোবাইলে চার্জ নেই তাই একটু কুণ্ঠিত কন্ঠে বলল,
‘ওহ্ শেট! ফোনে চার্জ নেই একটুও। বন্ধ হয়ে গেছে। পরে দেখিস এখন।’
বলেই তুলি ফোনটা চার্জে বসানোর জন্য নিজের রুমে চলে গেল। আর তিশা পপকন চিবোতে চিবোতে টিভির পর্দার দিকে তাকালো।
এদিকে,,,
#চলবে,,,,,,