ভালোবাসায় তুমি আমি পর্ব-০১

0
2009

#ভালোবাসায়_তুমি_আমি
#পর্ব_০১
#নির্মল_আহমেদ

এক ঘরে সারারাত রাত্রিযাপনের জন্য তনয় আর তিশাকে ধরে বেঁধে গ্রামের লোক বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। তারা বারেবারেই বলছে যে তারা বিয়ে করতে রাজি নয় কারণ তাদের মধ্যে কিছু হয়নি তারা বিপদে পড়ে এক ঘরে রাত কাটিয়েছে কেবলমাত্র। কিন্তু তাদের কথা শুনে কে? গ্রামের লোকেরা যেহেতু দেখেছে তারা এক ঘরে রাত্রি কাটিয়েছে তাই তারা কিছুতেই তাদের বিয়ে না দিয়ে ছাড়বে না।

সত্যিই কালকের রাতটা ছিল দুর্যোগপূর্ণ। এই আশ্বিন মাসে যে এরকম ঝড়-বৃষ্টি হবে তা কে বা বুঝতে পেরেছিল? আর না বোঝার ফলস্বরূপ ঘটে গেল এরকম একটা জঘন্য কান্ড। কালকে রাত্রে তনয় বিজনেস এর মিটিং সেরে ফিরছিল তখন এই গাড়িটা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাকে এখানে থামতে হয়েছিল। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টি এতটাই প্রবল ও দীর্ঘমেয়াদি হয়ে উঠেছিল যে পুরো রাতটায় কাবার হয়ে গিয়েছিল। এদিকে তিশা এসেছিল ভার্সিটি পিকনিকে। কালকে যখন সে তার টিমের সাথে ঘোরাঘুরি করছিল তখনই এই অকাল ঝড়-বৃষ্টিতে টীম ছাড়া হয়ে পড়ে এবং একা একা কোথায় যাবে তা ভেবে না পেয়ে এই ঘরে আশ্রয় নেয় কিন্তু সে জানতো না যে এই ঘরে কোন এক পুরুষ আছে। কিন্তু যখন জানতে পারল তখন আর কিছু করার ছিল না। এমনিতে বাইরে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে আর তার মধ্যে সে জানে না এখন কোথায় যাবে। এদিকে তনয় ও তিশার ভাবসাব বুঝতে পেরে বলে উঠে,
‘দেখুন আপনি আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন। আমি ওরকম টাইপের ছেলে নই, যে একজন অসহায় নারীর সুযোগ নেবো আপনি নিশ্চিন্তে এখানে থাকতে পারেন। দরকার পড়লে আমি বাইরে থাকবো।’
তিশা প্রথম প্রথম বিশ্বাস করতে পারছিল না তনয়কে! আজকালকার দিনেও এরকম ছেলে পাওয়া যায় তা সে বিশ্বাস করতে পারছিল না। কিন্তু না তনয় তার বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছে। সে প্রায় সারা রাত ঘরের বাইরে ছিল কিন্তু ভোরের দিকে একটু ঠাণ্ডা লাগছিল তাই ঘরে গিয়েছিলো। এটাই হয়ে দাঁড়িয়েছিল সবচেয়ে বড় বিপদ। সকালে গ্রামবাসীরা তাদের দুজনকে একই ঘর থেকে বেরোতে দেখে বুঝতে পেরেছিল এরা দুজনই সারারাত কি করেছিল ভিতরে। তারপর যখন তারা জানতে পারল যে ছেলে মেয়ে দুজন অবিবাহিত তখন তারা আরো বেশি ক্ষেপে গেল। এরকম কাজ নাকি তাদের গ্রামে কখনও ঘটেনি। প্রথমে তো গ্রামবাসীরা এদের দুজনকে মারার উদ্যোগ নিয়েছিল। পরবর্তীতে কে যেন পরামর্শ দিলো যে এদের দুজনকে বিয়ে দিলেই তো ল্যাটা চুকে যায়। গ্রামবাসীদের হাতে ভয়ানক সব অস্ত্রশস্ত্র দেখে এমনিতেই তনয় ও তিশা ভয়ে পুরো শেষ! এখন যদি তারা বিয়েতে রাজি না হয় তাহলে হয়তো তাদের লাশ খুঁজেই পাওয়া যাবে না। অতঃপর দুজনে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিয়েতে রাজি হয়ে গেল।

কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রামের এক কাজী সাহেব হাজির হল সেখানে। তারপর বিয়ের সব ব্যবস্থা শুরু হয়ে গেল। তিশার চোখের জল নেই, তবুও সে মনে মনে ডুকরে ডুকরে কাঁদছে। এখন তার মায়ের কথাগুলো খুবই মনে পড়ছে। পিকনিকে আসার আগে তার মা বারবার বলেছিলেন,
‘এই তিশা! দেখ যাওয়ার দরকার নেই। তোর বাবা আর আমি সিলেট যাচ্ছি, তুলি একা বাসায় থাকবে। তাই বলছি তুই ওর সঙ্গে থাক। প্রতি বারই তো যাস এবার না গেলে কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে।’
‘দেখো মা এটা মহাভারত শুদ্ধ অশুদ্ধর কথা নয়। এটা আমার সাবজেক্ট এর বিষয়🤔 ম্যাডাম বলেছে আমরা যে জায়গাটায় যাচ্ছি সেটা আমার সাবজেক্ট এর সাথে মিল আছে😀। তাই সেখানে গেলে আমি প্রাক্টিক্যালি সব বুঝতে পারব। আর আপু এখন কচি খুকু নয় যে একা বাসায় থাকতে পারবে না। সো আমি যাচ্ছি মানে যাচ্ছি!
তিশা তার মাকে এসব ভুলভাল বুঝিয়ে এখানে চলে এসেছে আর এসেই এরকম গেরাকলে ফেঁসে গেছে। তিশা মনে মনে শপথ কেটে বলছে,’হে আল্লাহ এ বারের মতো বাঁচিয়ে না আর জিবনেও মা জননীর কথা ফেলবো না।’বলেই মুখটা বিকৃত করে তনয়ের দিকে তাকালো। তনয়ের মধ্যে কোনো গুরুগম্ভীর ভাবনা নেই। তিশা ভাবল,ছেলেটা কি বিয়েটা বাস্তবিক রুপ দেবে। যদি স্বামীর অধিকার ফলায় আর কিছু দিন পর ছেড়ে দেয়। তাহলে আমার কি হবে? এসব আরও বিভিন্ন ধরনের চিন্তা ভাবনা তার মাথায় আসতে থাকল। কাজী সাহেব তনয়কে দেনমোহর কত লিখবে বললে সে বলে ১০০০০ টাকা লিখতে। তা শুনে তিশা বুঝতে পারে তার জামাই অনেক টাকার মালিক। যতই টাকার মালিক হোক না কেন মন টাই হলো আসল সেটাই মনে করে তিশা।
কিছুক্ষণ পর বিয়ে কমপ্লিট হয়ে যায় আর এখন থেকে তনয় আর তিশা স্বামী-স্ত্রী এটা ভেবেই দুজনেরই কেমন যেন একটা শিহরণ জাগছে। এরপর গ্রামবাসীরা সব আস্তে আস্তে জায়গা খালি করতে থাকে। এখন সেখানে তনয় আর তিশা ব্যতীত আর কেউ নেই। তিশা চুপ করে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। তনয় তিশার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল তারপর বলল,
‘দেখুন ঘটনাটা যা ঘটলো তা খুবই অস্বাভাবিক! গ্রামের লোকেদের বুঝানো খুবই মুশকিল! যাই হোক যা ঘটলো তা নিশ্চয়ই আমি বা আপনি কখনোই মানতে পারব না। আমি চাইনা আমার জন্য আপনার জীবন নষ্ট হোক। আপনি আপনার মত চলতে ফিরতে পারবেন। আমি কখনোই স্বামীর অধিকার ফলাতে আসবো না। আজ থেকে আশা করি আমাদের দুজনের আর দেখাও হবে না।’বলেই তনয় তিশার দিকে তাকালো।
তিশা করুন দৃষ্টিতে তনয়ের দিকে একবার তাকিয়ে ভাবলো ছেলেটা তো ঠিকই বলেছে। তার এখন পড়াশোনা করার সময় সাংসারিক জীবনে প্রবেশ করা মোটেই নয়। তাকে অনেক দূর পড়াশোনা করতে হবে। এসব ভাবছিল তিশা তখনই তনয় বলল,
‘আচ্ছা আপনি এখন কোথায় যাবেন আই মিন আপনার কি কোথাও যাওয়ার জায়গা আছে? না মানে আপনি নিশ্চয়ই এখানে একা আসেননি সঙ্গে আরও আছে কেউ!’
‘হ্যাঁ আসলে আমি পিকনিকে এসেছিলাম। রাত্রে ঝড় বৃষ্টির জন্য টিম থেকে আলাদা হয়ে এখানে এসে পড়ি। সবাই হয়তো এতক্ষণে খুঁজছে আমায়।’
‘ও তাহলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে পারেন আমার গাড়িটা মেরামত করতে হবে। তারপর না হয় আপনাকে আমি আই মিন হোটেলে পৌঁছে দিয়ে আসবো।’
‘আচ্ছা ঠিক আছে। ঠিক করেন গাড়ি। সারারাত যখন অপেক্ষা করতে পেরেছি, তাহলে এটুকু সময় অপেক্ষা করতে পারব!’
তনয় তিশার কথায় খুশি হল এবং সেখান থেকে চলে গিয়ে গাড়ি মেরামত করতে আরম্ভ করলো। বেশ কিছুক্ষণ পর গাড়ি মেরামত করার পর তনয় তিশাকে ডাক দিল। তিশার গাড়িতে এসে বসতে তোমার গাড়ি স্টার্ট দিল।
‘আচ্ছা আপনারা কোন হোটেলে উঠেছিলেন সেটা তো আগে বলুন।’
‘আহমেদ স্টার রিসোর্ট!’

সারারাত বৃষ্টির জন্য গ্রামের মাটির রাস্তায় কাদা জমেছে, তাই গাড়ী চালাতে অসুবিধা হচ্ছিল তনয়ের। গাড়িটা হালকা হেলছে দুলছে। তিশা গম্ভীর ভঙ্গিতে নীরব হয়ে বসে রয়েছে গাড়ির সিটে। তা দেখে তো নয় একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
‘আচ্ছা আপনার কি মন খারাপ? আমি তো বলেই দিয়েছি যে আমি স্বামীর অধিকার ফলাতে আসবোনা কখনো।’
তিশা ঘাড় ঘুরিয়ে অন্যদিকে ভাবান্তর দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,
‘না না মন খারাপ নয়। এমনি বসে রয়েছি ভালো লাগছে না কিছু!’
তনয় আবার ড্রাইভিং এ ধ্যান দিয়ে বলল,
‘ হুম বুঝলাম! আচ্ছা আমরা তো পরিচিতই হলাম না। আচ্ছা আপনার নামটা জানতে পারি কি?’
তিশা তার নাম বলতে আগ্রহ না থাকলেও, কি যেন মনে করে বলে ফেলল,
‘তিশা ইয়াসমিন! আর আপনার?’
তনয় একটা মুচকি হাসির সাথে বলল,
‘তনয় চৌধুরী! গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে আর থাকি ঢাকায়, সেখানে একটা কোম্পানিতে কাজ করি আর মাঝে মাঝে গ্রামের বাড়ি যাই। আসলে এখানে আমাদের কোম্পানি একটা মিটিংয়ে এসেছিলাম আর তারপরে তো এরকম একটা ভয়ানক ঘটনা ঘটে গেল।’
প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কথা বলা একদমই পছন্দ করে না তিশা। তবুও ব্যাপারটা মানিয়ে নেওয়ার জন্য একটা মুচকি হাসল তারপর আবার গম্ভীর্যতায় ডুব দিল।
কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা হোটেল এর কাছে পৌঁছে গেল। হোটেলের গেটের সামনে তনয় গাড়িটা দাঁড় করালো এবং তিশাকে বলল,
‘ওকে বাই! আপনার ঠিকানায় চলে এসেছি! আশা করছি আমাদের যাত্রা এখানেই শেষ আর কখনো দেখা হবে না। আপনি আপনার মত আর আমি আমার মতো।’
তিশা হুম বলেই গাড়ি থেকে নেমে পড়ল এবং তনয়কে একটা ধন্যবাদ দিয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকল, তনয় কি যেন একটা মনে করে হাসলো আর সেখান থেকে চলে গেলে।
তিশাকে আসতে দেখে ছোঁয়া ও পুষ্পা খুবই অবাক হয়ে যায়। দৌড়ে তিশার কাছে এসে ছোঁয়া খুশির সাথে বলে উঠে,
‘আরে তিশা তুই?!? সারারাত কোথায় ছিলিস? জানিস তোকে খুঁজতে খুঁজতে আমরা হন্যে হয়ে গেছিলাম, আর মকবুল স্যার তো মনে হয় এতক্ষণে পুলিশকে খবর ও দিয়ে দিয়েছে। ‘
তিশা ঘন দুবার মাথা নাড়িয়ে বিরক্তির একটা শ্বাস ছাড়লো। এমনিতেই এত বড় একটা কান্ড ঘটে গেল তার মধ্যে আবার এদের ঘ্যানঘ্যানানি! একদমই ভালো লাগছিল না তাকে। তাই ব্যাপারটা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বললো,
‘আরে বইন! সব বলব কিন্তু আমাকে প্লিজ এবার একটু রেস্ট নিতে দে। এমনিতেই অনেক টায়ার্ড। ঘরে গিয়ে আগে একটু ফ্রেশ হয়েনি তারপর বলছি!’
পুষ্পা তিশার মত কে সমর্থন দিয়ে বলল,
‘আচ্ছা ঠিক আছে তুই যখন খুবই টায়ার্ড। তাহলে আগে ফ্রেশ হয়েনে। তারপর না হয় বলিস।’
তিশা ফুঁশ করে একটা শ্বাস বার করে বলল,’থ্যাংকস ইয়ার!’
বলেই তিশা টায়ার্ড ভঙ্গিতে সেখান থেকে নিজের রুমে চলে গেল। যাওয়ার আগে পুষ্পা ও ছোঁয়ার মতো অনেকেই তাকে সারারাত কোথায় ছিল তা নিয়ে অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু সে তাদেরকে একই কথা বলে কোনমতে নিজের ঘরে গিয়ে পৌঁছলো।
তিশা ঘরে গিয়েই প্রথমেই শাওয়ার চালু করে শাওয়ার এর নিচে ভিজতে লাগলো। সব কেমন যেন উলটপালট লাগছে তার। কালকেই সবকিছু ঠিক ছিল আর আজকেই সামাজিক মতে সে কারো স্ত্রী! এটা ভেবে তার গায়ের লোম শিউরে উঠছে। তারপর ভাবল তনয় ছেলেটা খুব একটা বাজে নয়। অন্য কেউ হলে তো এতক্ষণে…. তিশার ভাবনার মধ্যেই তার রুমের মধ্যে থেকে ফোনের রিংটোন শোনা গেল। তাড়াতাড়ি শাওয়ার বন্ধ করে একটা তোয়ালে কোনমতে বুকে জড়িয়ে নিয়ে গিয়ে ফোনটা রিসিভ করল। তার আপু তুলি ফোন করেছে।
‘হ্যাঁ আপু বলো।’
ওপাশ থেকে তুলে বললো,
‘কি আর বলবো তোকে ছাড়া বাড়িটা পুরো ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। তোকে কত করে বললাম যে যাস না। একসাথে থাকব। অনেক মজা করব। কিন্তু তুই তো শুনলি না। যাইহোক কিরকম কাটছে সেটা বল আগে।’
তিশার মুখ শুকিয়ে এলো। সে কখনও তার আপুকে মিথ্যা কথা বলেনি। কিন্তু আজ! আজ কি করবে সে? সত্যি কথাটা তো বলাও যাবেনা। তাই মিথ্যার আশ্রয় নিল অবশেষে,
‘এইতো বিন্দাস আছি!’বলেই মনে মনে আবার বলল,’আপু মাফ করে দিস। খুবই বিপদে পড়েছি নাহলে সত্যিটা তোর কাছে কখনো চাপা মারতাম না।’
‘সে তো বিন্দাস ঐ কাটাবি! রাঙ্গামাটি গিয়েছিস বলেই কথা!’
‘হুম। ওসব কথা ছাড়। শুনলাম বাবার নাকি কোন এক বন্ধুর ছেলের তোকে দেখতে আসছে। তা কবে আসবে?’
‘তা আমি জানি না। বাবা ভালো বলতে পারবেন। তুই কিন্তু তাড়াতাড়ি চলে আসবি এখানে। তুই পাশে না থাকলে আমি পাত্রপক্ষের সামনে বসতেই পারব না।’
‘কি বললি? আমি পাশে না থাকলে তুই পাত্রপক্ষের সামনে বসতে পারবি না। শুনি বিয়েটা কি আমার হবে না তোর?’
‘সে যারই হোক। তোকে আমার পাশে চাই। বুঝলি?’
তিশা তার আপুর প্রতি উত্তর দিতে যাবে তখনই দরজায় টোকা পড়ল। তিশা তুলিকে ফোনটা রাখতে বলে সে দরজার কাছে গিয়ে দরজাটা খুলে দিল। দরজা খুলেই তিশা যা দেখল তা নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারল না। তনয় ওপাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিশার নিজের চেহারার দিকে একবার তাকাল তোয়ালে ব্যতীত আর কিছু নেই।
#চলবে.……………

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে