ভাবিনি ফিরে আসবে
পর্ব-১০
রোকসানা আক্তার
বাবার ভয়ে যে যার রুমে চলে আসে এবং আমিও। আমি রুমে আসার পর আবার মেমোরিটা খুঁজতে থাকি।সাথী আমার রুমে কড়া নেড়ে বলে,
-ভাইয়া,তোমাকে খালামণি ডাকে।
-তোর খালামণিকে বল এখানে এসে আমার সাথে একটু দেখা করে যেতে।
-আচ্ছা বলতেছি।।
সাথী মাকে ডাকতে চলে যায়।আমি এদিকটায় মেমোরি খুঁজতে খুঁজতে অস্থির হয়ে পড়ি।রুমের সবকিছু উলটপালট হয়ে যায় এমনভাবে টুকতেছি।।
মা আমার রুমে প্রবেশ করেন।
-কেন ডাকলি, শাওন??
-কথা আছে মা তোমার সাথে।একটু বসো।।
মা বিছানার উপর পা গেঁথে বসেন।।আমি অনেক বিরক্তি হয়ে মায়ের দিকে মুখ ফিরিয়ে বলি,
-মেমোরিটা আলমারিতে রেখেছিলাম,কিন্তু এখন খুঁজে পাচ্ছি না।দাৎ!!!
-তুই সাথীকে নিয়ে বাহিরে যাওয়ার পর তোট রুমেতো কেউ আর আসেনি।ভালো করে খুঁজে দেখ হয়তো কোথাও রেখেছিস।।
-হুমা মা সেটাই।।
-এবার বল আমায় কেন ডাকলি??
-এতদিনের লুকোনো কথা আজ আমায় দৃষ্টিগোচর করতেই তোমাকে ডাকা।প্লিজজ মা,আল্লাহর কসম আমার কাছে আর কিছু লুকাবে না!!
মা অনেকটা তটস্থ হয়ে চোখগুলো আড়চোখা করে বলেন,
-তো-তোর কা-কাছে কি এমন লুকচ্ছি যেটা তুই জানিস না!কি বলছিস এসব!?
-ফাহাদ আমার আপন ভাই না!এটা আমি সিউর!!এবার বলো,উনি আমার কেমন ভাই যাকে তুমি ছেলে হিসেবে মেনে নিয়েছ??
-শাওন??কিসব বাঁজে বকছিস তুই!??
-নাহ মা কোনো বাঁজে বকছি না।কারণ,ফাহাদ ভাই যদি সত্যিই আমার আপন ভাই হতো তাহলে আমাদের সাথে এরকমটি বিহেভ কখনোই করতে পারতেন না।নিজের মা,বাবা এবং ভাইয়ের কাছে পর মেয়েকে সবচেয়ে আপন ভাবতেন না!!নাকি আমি তোমাদের পর,ওটা বলো?!?
-শাওনন???
এ বলে মা আমার গালে দু’টো থাপ্পড় বসিয়ে দেন।আর নোনাঅশ্রু দু’গাল বেয়ে পড়তে থাকে মায়ের।। আমিও অবুঝের মতো অন্যদিক তাকিয়ে চোখের পানি ফেলছি।।তারপর মা কান্নাকে ধামাচাপা দিয়ে বলেন,
-তুই সত্যটা জানতে চাস??
-হ্যাঁ মা হ্যাঁ, আমি সত্যটা জানতে চাচ্ছি।ফাহাদ ভাই কে, বা আমি কে!! ফাহাদ কোন মা-বাবার ছেলে এবং আমি কোন মা-বাবার ছেলে!!প্লিজজ বলো আমায়!আমি আর নিতে পারছি না মা!!
-তোর বাবা দু’বিয়ে করেছিলেন শাওন!!ফাহাদ যখন ৬ বছরের ছিল তখন ফাহাদের মা ক্যান্সারে মারা যান।আর তখন তোর বাবা আমায় বিয়ে করে আমায় এ’বাড়ি নিয়ে আসেন। আমার বাবার কাছে অনেক আকুতি মিনতি করে।।
আমি জীবনে স্বামী এবং আমার সংসারকে বড় করে দেখেছি।তাই তোর বাবার প্রতিটি আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি।তবে,একটা দিক আর মেনে নিতে পারিনি সেটা হলো তোকে গর্ভে ধারণ করা।তোর বাবা চাইতেন না আমি কোনো সন্তান পেটে নিতে,কারণ আমার আমাদের অন্য সন্তান পৃথিবীতে আসলে ফাহাদের প্রতি আমার মায়া কবে যাবে সে ভেবে।তারপরও,আমি অনেক কষ্টে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তোকে গর্ভে নিয়েছি।তুই যখন পৃথিবীতে ভূমিষ্ট হস,তখন থেকেই তোর বাবার কড়া নজরদারি পড়ে তোর থেকেও ফাহাদকে বেশি ভালোবাসতে যাতে ফাহাদ তার মা হারানোর বেদনা ভুলতে পারে। আমি তা-ই মেনে নিয়েছি শাওন।তাই তোর বাবার চাক্ষুষে ফাহাদকেই স্নেহ করেছি।এজন্য ছোটবেলা গোপন বিহীন তুই আমার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়েছিস। তোকে এবং ফাহাদকে নিয়ে কখনোই আমার মনে অসমতল মনোভাব জন্মায়নি।আর,
তোকে নিয়ে কখনোই স্বজনপ্রীতি মনোভাব দেখাই নি।তোকে যতটা ভালোবাসতাম,ঠিক ততটা ফাহাদকেও।ফাহাদকে কখনোই মায়ের অভাব বুঝতে দিই নি যাতে তোরা একই মায়ের পেটেটর উদরের ভাই এমনটা ভাবতে পারিস।।
আমি মায়ের এসব কথা শুনে মুখে একটা অট্ট হাসির লেশ টানি,আর বলি,
-তুমি সৎ না ভাবলেও,সেই কুলাঙ্গার শেষ পর্যন্ত সৎভাই পরিচয় দিয়েছে।
-বাবা সাবধান!!তোর বাবা যাতে এসবের কিছুই না জানতে পারে!!
-এখন আর জেনে কি লাভ হবে, মা!??? তবে,তুমি ভয় পেও না।।।আমি আছি তোমার পাশে।।
মা মুখের ঘাম মুছে বলেন,
-আচ্ছা তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেতে আয়।
এ বলে মা আমার রুম থেকে প্রস্থান করেন।।বিছানার উপর বসে মোবাইলটা একটু হাতে নিই। নেটে আসতেই একটা ভিডিও চোখে পড়ে!! ভাইরাল করা একটা ভিডিও ফেসবুক ইউজাররা একের পর এক শেয়ার করে পুরো ফেইসবুক জগৎকে ফাঁটিয়ে ফেলছে।
আমি বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ ক্লিয়ার হতে ভিডিও অপশনে ক্লিক করি।আর ভিডিওটি অপেন হতেই যা দেখলাম,সত্যি আমি পুরোই স্তব্ধ।আর এ স্তব্ধতার মাঝে মুখে একগাল হাঁসি ফুঁটে উঠলো।।জোয়ারের আনন্দে ভেসে যাচ্ছে আমার মন,প্রাণ,হৃদয়।।
এ’তো কাল রাতের সেই জঘন্য ভিডিও যেখানে নিদু এবং ভাইয়ার আদুরী বউয়ের অবৈধ পরকীয়ার ফুটেজ!!
বাহ,বাহ চোর বুঝি অবশেষে ধরা খেলো এবং শাওনের পথটা ক্লিয়ার হলো।।নাচতে ইচ্ছে করছে আমার।।
ইয়াহু!!অবশেষে নাগ গিন গিন গিন নাচ দিয়েই ফেলি।আউলা-ঝাউলা নাচনের তালে গাই। ফেইসবুকে এত্ত সুন্দর একটা কাজ কে করতে পারে,তাকে সাধুবাদ জানাই।।।
তড়িঘড়ি নিদুকে কল মারি।।নিদু কলটা রিসিভ করেই খিলখিলিয়ে হেঁসে দেয়, আর বলে,
-কেমন খেলললাম,গুরু??
-গুরু আমি নই,আপনি।আপনিতো একদম চালাকের গুরু।তবে,আমায় যে বললেন না? এ কাজটা কখন করলেন??
-আপনাকে মেমরিটা দেওয়ার আগেই আমি ফেন মেমরিতে ভিডিওটি নিয়ে আসি।আর দুপুরের দিকেই ফেসবুক,টুইটার,ইউটিউবে দিয়ে ফেলি।।আপনার ভাবীতো এখন লজ্জ্বা-ঘৃণায় রক্তিম।হিহিহিহি।।।
-হা হা হ হা।উম্মা নিদু ভাই।ওয়েট,ভাইয়াকে আগে এই গুড নিউজটা দিয়ে আসি।দ্যান,তোমার সাথে কথা বলছি৷
-ওকে ডান,ডান।বায়।।
খুশির তালে ধপাস ধপাস করে সিড়ি বেয়ে নিচে নামতে থাকি। আর গেস্ট রুমে আসতেই দেখি ভাইয়ার চোখ,নাক,মুখ খিঁচে শরীর থেকে ঝরঝর করে প্রবল ধারার ঘাম ছুটছে।হাতটায় কাঁপুনি ধরে মোবাইল টা যেন এক্ষুনি ফ্লোরে পড়ে যাবে। পা’গুলো ধরধরে কাঁপছে।।
আমি মাথাটা একটু এগিয়ে দিয়ে দেখি ভাইয়াতো আমার প্রাণের ভাবীর সেই জঘন্য ভিডিওটি দেখতেছে,আর এমন প্রতিবন্ধী ভাব এনে হাঁপিয়ে উঠছে।
ঠাস করে মোবাইলটা ফ্লোরে সজোরে আঘাত করেন।।ঝংকার আওয়াজে আমি কান হাত দিয়ে চেপে ধরি।মা,বাবা,আন্টি এবং সাথী তড়িঘড়ি এখানে চলে আসেন কি হয়েছে কি হয়েছে বলে!!
আমি আর দেরী না করে একলাফে বাবার সামনে আমার মোবাইলটা হাত পেতে রাখি!!ইঙ্গিত করি ভিডিওটির দিকে।।
বাবা আমার হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে ভিডিওটা অপেন না করেই ধপ্পাস করে সেফায় বসে পড়েন চিন্তামগ্নে।মুখটায় মলীনতা ভাব এনে বলেন,
-আমার আর মান,ইজ্জত,সম্মান কিছুই রইল না!!সব শেষ হয়ে গেল আমার!!জানি না কি ভুল করেছি এখন তার প্রায়শ্চিত্ত ফল ভোগ করছি।।
-এত্ত অস্থির হবেন না। ফাহাদকে বলো ওই মেয়েকে ডিভোর্স দিয়ে দিতে,তাহলেই হবে!!(মা)
ভাইয়া মায়ের কথায় মুখে শব্দ না তুলে ক্রুদ্ধমনে নিজের রুমে চলে যান।আর আমি ড্যারা চোখে তাকিয়ে গালভর্তি মিটিমিটি হাসি।আহা!!শেয়ালের ফাদ সিংহের কাছে ঠিকই ধরা খেতে হয়।এখন ভাবীজান গো তোমারও তাই হলো.(মনে মনে)
বাসার সবাই নিস্তব্ধে বসে আছে।কারো মুখেই যেন ভাষা নেই।।
আমি ধীরগতিতে হেঁটে বাবার পায়ে গিয়ে বসি,আর বাবাকে মিথ্যে সান্ত্বনা দিতে থাকি।
-বাবা,চিন্তা করো না।সব ঠিক হয়ে যাবে।প্রতিটি ফ্যামিলিতে এরকম সমস্যা হয়-ই।সমস্যা আছে,ইনসাল্লাহ সমাধানও পাবে।হতাশ হয়ো না বাবা।উপরের আল্লাহই সব দেখছেন।।
বাবা আমার কথা নিশ্চুপে শুনে বুকভরা কষ্ট নিয়ে বলেন,
-জানিস,শাওন??এইজন্যই আমি প্রেম-ভালোবাসার বিয়ে পছন্দ করি না।মাকাল ফলের মতো এইধরনের প্রেম-ভালোবাসার বিয়ে সব ন্যাস্য করে দিতে পারে।ফাহাদ যা-ই করলো,আমি তোকে এইধরনের বিয়েতে সমর্থণ দিব না।প্লিজজ বাবা,আমাদের যাতে মান-সম্মান নিয়ে কেউ প্রশ্ন না তুলে,আশা করি তুই এমনটি কখনোই করবি না।তোর মা আছে,তোর বাবা আছে। আমরাই ভালে দেখে তোকে বিয়ে করাবো,তবুও তোর কাছে এই বাবার বিনীত অনুরোধ তুই এমনটি করবি না,নাহলে এই দুনিয়াতে আমাদের আর থাকার ইচ্ছেটাই মরে যাবে।
মাও বাবার কথায় আঁচলে মুখ গুঁজে চোখের পানি ফেলেন।সাথী ফকফক চেয়ে আছে।আর আমার বুক মুঁচড়াতে থাকে।তাহলে রিলেশনের বিয়ে আমার কপালে আর বুঝি জুটলো না!!হায়রে,পুড়া কপাল!!এক জট থেকে বাঁচালেও অন্য জটে পেঁচিয়ে ফেলিস!!
তারপর,রাতে কারোই আমাদের খাওয়া হয়নি।ভাইয়া দরজাটা তখন যে অফ করলেন,আর খুলেননি।আমরাও যে যার রুমে চলে আসি।
আমি নিরিবিলি বসে খুশিতে নাঁচছি,আবার ফ্যামিলির জন্যে বুকটাকে বিষণ্ণ করে তুলছি।।
রাতটা কোনোমতে পার হয়।সকালে সাথী আমার রুম থেকে এসে আমায় জাগিয়ে তুলে।
বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিই।সাথী আমার দিকে তোয়ালে টা এগিয়ে দিয়ে বলে,
-ভাইয়া চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে।।ঔ পাপ তোমাদের মাথা থেকে গেছে এটাই বেশি।
-পাপতে এখনো যায় নি রে সাথী।ডিভোর্স হলেই পাপ যেত।
-ভাইয়া জানো?মানুষ যখন ভালোবেসে বিয়ে করারও এমনটা হয়,তখন আমার মন বলে লাইফে আর প্রেমই না করতে।আর তোমাকেও ভালো না বাসতে।বিয়ের পর যদি তুমিও আমায় ডিভোর্স দাও,তখন??
বেখেয়ালী হাসি চলে আসে ওর কথায়।ছোট মানুষতো,বুদ্ধিতে যতটুকু কুলিয়েছে ততটুকুই বলছে।
-আরেহ,,বাদ দে এসব।এসব মাথা থেকে ঝেড়ে পড়ালেখার কথা ভাব,কাজে আসবে।।
এ বলে রুম থেকে চলে আসি।বাবাকে রুম থেকে ডেকে তুলি ব্রেকফাস্ট করার জন্যে।বাবা ভাইয়ার রুমের সামনে গিয়ে ভাইয়াকে ডাকতে থাকেন।অনেক বার ডাকার পর দরজা খুলেন ভাইয়া।মুখটা অনেক ফুলে আছে,চোখগুলে লাল হয়ে গেছে।মুখে ভ্যাপসা একটা ছাপ উপলব্ধি করতে পারি।ভাইয়া যে রাত একছিটেও ঘুমান নি তা মুখ দেখলেই স্পষ্ট।।
তারপর বাবার কথায় ফ্রেশ হতে যান ভাইয়া।ছকিনা খালা ভাইয়াকে রুমেই নাস্তা দিয়ে আসেন।।।
আমরা সবাই নাস্তা খেতে বসি।বাবা নাস্তার চামচ মুখে তুলেও অনিচ্ছা সত্ত্বে খেয়ে নেন।।
সবার ব্রেকফাস্ট শেষ হলে আমি আমার রুমে চলে আসি।রুমে আসতেই শিমলার কল।
-হ্যালো,শিমলা??
-কি বাঁদর? ভুলে গেলি আমায়??
-নাহ তে!!কেন ভুলবো বল তোকে?তুইতো আবার জবের কাজে বিজি।তো চাকরিটা হয়েছে তোর?
-ইন্টারভিউ দিয়েছি।এখন দেখি সিলেক্ট করে কি না!
-ইনসাল্লাহ হয়ে যাবে তোর চাকরি।টেনশন নিস না।
-হুম।।ফেইসবুকে আজ ঢুকার পরতো আমি পুরো ফিদা!!.ঔ মহিলাকে নিয়ে তো ফেইসবুকে তুমুল ঝড়!!
-ঝড় তো সবে শেষ হলো।একটু পরিণতি টা দেখতে দে না।।
-হুম।
-তো কবে বাসায় আসছিস??
-এইতো নেক্সট উইকে চলে আসবো।।
-ওকে তাড়াতাড়ি চলে আসিস।তোর অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে আমি শেষ!অনেক কিছু তোর সাথে বলার আছে।
-ওকে ওকে।বাসায় এসে এতদিনের জমানো সবকথা তোর শুনবো। এবার খুশি??
-হুম আমিতো সেই লেভেলের খুশি।
-হিহিহিহি।আচ্ছা পরে কথা হবে, শাওন । বায়য়
-বায়য়য়,বেইবি।।।
ল্যাপটপ টা ওপেন করি।।অনেকদিন হয়েছে ভার্সিটির খবর নেওয়া হয়নি।হৃদয়টা কেমন আছে তারও খবর জানি না।হৃদয়কে অনলাইনে দেখে একটা মেসেজ করি।হুট করে সাথী নিচ থেকে ডাকতে থাকে।।ভাইয়া?ভাইয়া?ভাইয়া??তাড়াতাড়ি নিচে আসো!!!
সাথীর আওয়াজ শুনে ল্যাপটপ টা অফ করে নিচে চলে আসি।।নিচে এসে দেখি সবাই টিভির সামনে বসে আছে।
আমি টিভির সামনে গিয়ে দাড়াই।টিভিতে হঠাৎ নিউজ দেখতে পাই,
–গতকাল শিপ্রা নামের যে মেয়েকে নিয়ে নিদু নামের এক ছেলের পরকীয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে,আজ সকালে সেই নিদুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।লাশটি নিকটস্থ নদীর কিনারায় খুঁজে পাওয়া যায়।
খবর নিয়ে জানা যায়, তাকে চরমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।।অপরাধীকে এখনো শনাক্ত করা হয়নি,তারজন্যে বেদম প্রহরের মতো পুলিশ তল্লাসি চালাচ্ছে।
আমি নিউজটা দেখে থতমত খেয়ে যাই!!নিজের কানকে যেন বিশ্বাস করতে পারছি না।কাল রাত ১২ টাই তো নিদুর সাথে আমার শেষ কথা হলো,তাহলে নিদুকে এত্ত তাড়াতাড়ি কে খুন করতে পারে।।পুরো শরীরের লোম আমার খাড়া হয়ে যায়।সাথী,মা,বাবা,আন্টি সবাই খুশি নিদুর মৃত্যুতে।কিন্তু আমার মন মানছে না!!আমার মন বলছে নিশ্চয়ই খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে।।
চলবে…..