#গল্পপোকা_চিঠি_প্রতিযোগিতা_২০২০
চিঠি নংঃ ০১
ভাইয়া,
আপনি একবার জানতে চেয়েছিলেন,আমি আপনার জন্য চিঠি লিখবো কিনা! হ্যাঁ,আমি আজ আপনার জন্য সেই চিঠিটাই লিখছি।এইটা আমার থেকে আপনার জন্য লিখা প্রথম ও শেষ চিঠি।
আপনি দেখতে খানিকটা আমার প্রথম ভালোলাগার মানুষটার মতো!তাই আপনার সাথে আমি কথা বলেছি।সত্যি বলতে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিলাম।
বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিলাম প্রেম নয়! বন্ধু হতে চেয়েছিলাম প্রেমিকা নয়।
অপনি একবার বলেছিলেন লকডাউন এর পর প্রথম দেখা যেন আপনার সাথেই করি।তা আর করা হয়ে উঠবে না।আমি আপনাকে বলেছিলাম আমি অবহেলা সহ্য করতে অপরাগ। কারণ আমার নাম রূপান্তি হলেও হিমুর সেই রূপা আমি নই! রূপা হওয়া আমার সাধ্যের বাইরে।
আপনি আমায় দেখতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন;চেয়েছিলেন আমার একখানা ফটো! আপনার আগ্রহের দামটুকু দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও সুযোগটুকু হচ্ছে না!
থাকুক না কিছু চেনা পরিচিত মানুষের মাঝে অচেনা অপরিচিত মুখ।
আপনি বলেছিলেন আপনার শখ কেউ আপনার নাম লিখবে তার হাতে।একদিন নিশ্চয়ই কোনো প্রেয়সীর হাত মেহেদী রঙে রাঙ্গিত হবে আর তাতে লিখা থাকবে আপনার নাম।নিশ্চয়ই আপনি তার মাদকতা মেশানো চুলে কাঠগোলাপ লাগিয়ে দিয়ে তার সাথে গোধূলির সৌন্দর্য উপভোগ করবেন।
আপনাকে একটা কথা তো বলা হয় নি! আপনার সাথে কথা বলে সত্যি আমার খুব ভালো লেগেছিলো আমার আপনাকে মনে থাকবে।
আপনি বলেছিলেন কোনো বৃষ্টিমুখর দিনে দেখা হলে যেন শাড়ি পরে আসি।আর কোনো বৃষ্টিভেজা দিনে শাড়ি পরা হবে না;কাঠভাঙ্গা রোদেও পথ থমকে দাড়ানো হবে না কদম ফুল হাতে!
ও হ্যাঁ আরেকটা কথা আমার নাম রূপান্তি না!তানজিমা আমার নাম। ঠিক করা হয়েছিল রূপান্তি রাখা হবে কিন্তু তানজিমা রেখে দিলো!
ঠিক জানিনা কতটুকু গুছিয়ে চিঠিটা লিখেছি।আপনি বলেছিলেন আপনার সাথে সর্বোচ্ছ কথা হলে একটা চিরকুট দিবেন। আফসোস!
(বিঃদ্রঃ জানি না আপনি এই চিঠি দেখে বিস্মিত হয়েছেন কিনা;তবে আমি নিজে হতবিহ্বল হচ্ছি! আমি জানতাম আমি অনেক পাগলাটে তবে এই ধরণের পাগলামো আমার জানার বাইরে ছিলো। কয়েকবছর পর একদিন নিশ্চয় এই চিঠি দেখে আমি বলে উঠবো, “ইশ কী পাগলামিটাই না করেছিলাম।” যাইহোক ভবিষ্যতেরটা ভবিষ্যতেই জানা যাবে।কৈশোরকালটা কি এমনই পাগলামোতে ভরপুর!?)
ভালো থাকবেন।একবারের জন্য হলেও “বন্ধু” ডাকটিতে ডাক দিতে চেয়েছিলাম ; তা আর হয়নি।আপনার আর আপনার প্রেয়সীর জন্য শুভ কামনা।
ইতি
তানজিমা