ভদ্র স্যার♥রাগী বর-পর্ব ৬

0
4934

#ভদ্র স্যার♥রাগী বর-পর্ব ৬
Writer: ইশরাত জাহান সুপ্তি

মাঝরাতে টের পেলাম শুভ্র স্যার আমার কাধঁ ঝাকিয়ে আমায় ডাকছে।আমি চোখ মেলে তাকাতেই  সে বলল,সুপ্তি তাড়াতাড়ি উঠো,নামাজ পড়।
আমি ঘুমঘুম চোখে বললাম,এই মাঝরাতে নামায পড়ব কেনো?
সে বলল,এখন মাঝরাত?ভালো করে তাকিয়ে দেখেন ম্যাডাম সকাল হয়ে গেছে।

আমি ব্যালকনির দিকে তাকিয়ে দেখলাম সত্যিই আঁধার কেটে আলো ফোটা শুরু করেছে।
তাই আলসেমি ভেঙে ফ্রেশ হয়ে ওযু করে এসে দেখলাম স্যার আমার জন্য আগের থেকেই তার পাশাপাশি জায়নামাজ বিছিয়ে রেখেছে।
আমি গিয়ে দাঁড়াতেই স্যারও নামাজ পড়া শুরু করল।আমি নামাজ শেষে মোনাজাত দিয়ে স্যারের দিকে তাকিয়ে দেখলাম স্যারের এখনো নামাজ শেষ হয় নি।সে আরও দুই রাকাত শোকরানা নামাজ আদায় করছে।
এই সময় হঠাৎ শোকরানা নামাজ পড়ছে কেনো বুঝতে পারলাম না।স্যার দীর্ঘ সময় নিয়ে মোনাজাত করল।আমি স্যারের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।কি সুন্দর লাগছে দেখতে!স্যার মনে হয় আগের থেকে আরো বেশি সুন্দর হয়ে গেছে।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



স্যার মোনাজাত শেষে আমার দিকে ফিরে বলল,
কি দেখছো?
আমি তাড়াতাড়ি মাথা নাড়িয়ে বললাম কিছু না।

এরপর স্যার তার জামা কাপড় নিয়ে বাথরুমে চলে গেল।মনে হয় গোসল করছে।
আর আমি ঘুরে ঘুরে রুমটা দেখছিলাম।রুমটা বিশাল বড় আর খুব সুন্দর করে সাজানো গোছানো।
বিছানাটা শুধু এলোমেলো হয়ে রয়েছে তাই আমি তাড়াতাড়ি করে বিছানা গুছিয়ে নিলাম।

একটু পরই স্যার বাথরুম থেকে একটি অ্যাশ কালারের গেঞ্জি আর ব্লাক টাউজার পড়ে টাওয়েল দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বেরোল।
আমার কাছে এসে আমার হাত ধরে এক টান দিয়ে বাথরুমে নিয়ে গেল।আমি অবাক হয়ে বললাম,স্যার আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন কেনো?
সে আমাকে বলল,গোসল করতে।
গোসলের প্রতি আমার সবসময়ই একটা আলসেমি কাজ করে।১১টা থেকে শুরু হয় মার চেচাঁমেচি আমাকে গোসল করতে পাঠানোর জন্য।আলসেমি করতে করতে দুপুর ১টা বাজলে তারপর ঢুকি বাথরুমে।আর শীতকালে তো দুই একদিন বাদও পড়ে যায়।
আর সে এখন বলে কিনা এই সকাল সকাল শীতের মধ্যে আমাকে গোসল করতে!
আমি চরম বিরক্তি নিয়ে বললাম,এত তাড়াতাড়ি কে গোসল করবে!
স্যার তার দু হাত আমার দু পাশে দেয়ালে রেখে মাথা ঝাকিয়ে চুলের পানি আমার মুখে ছিটিয়ে মুচকি হেসে বলল,এখন থেকে সকালেই গোসল করবে।
আমি মুখ ফুলিয়ে বললাম,ইশ বললেই হল!আমি করব না।
সে এবার তার গলায় পেচানো টাওয়েল দিয়ে আমার মুখের পানি মুছতে মুছতে বলল,চুপচাপ করবে,নাকি আমি করিয়ে দেব?
তার কথা শুনে আমি চোখ মুখ কুঁচকে বললাম,
ছি!আপনি তো ভালো বেশরম হয়ে গেছেন।
আগে তো এমন ছিলেন না।
সে একটি বাঁকা হাসি দিয়ে বলল,বেশরমের কি হল!আমি কি অন্য কাউকে বলছি নাকি,আমার বউকে বলছি।কারণ বউ তো বউই।
বলেই একটা চোখ টিপ মারল।তারপর আবার চোখে চোখে রেখে বলল,
আর আমি যা হয়েছি, যেমন হয়েছি সব তোমার জন্য।সো এখন ভুগতে থাকো।
এই বলে সে শাওয়ার অন করে চলে গেল।আর আমি শীতে কাঁপতে কাঁপতে হাত পা ছুড়ে বিরক্তি প্রকাশ করলাম।

গোসল শেষে বের হয়ে দেখলাম,স্যার রুমে নেই।
তাই তাড়াতাড়ি আমি শাড়ী পড়তে লাগলাম।
তখনি রুমে স্যারের ছোট বোন সামিয়া আসল।মাত্র শাড়ি পড়াটা শেষ হয়েছে।এখনো চুলটাও ঠিক করি নি।সামিয়া এসেই আমার মুখ ধরে বলল,বাহ্!ভাবী তোমাকে তো এই শাড়ি টায় খুব সুন্দর লাগছে।

তখনই শুভ্র স্যার রুমে আসল ফোন টিপতে টিপতে।সামিয়ার কথা শুনে সে আমার দিকে একপলক তাকিয়ে সোফায় বসে আবারো ফোন টিপা শুরু করল আর আড়চোখে আমায় দেখতে লাগল।
নিচ থেকে আমার শ্বাশুড়ি মা সামিয়াকে ডেকে উঠলে সামিয়া যেতে যেতে বলল,ভাবী তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে এসো কিন্তু।

সামিয়া চলে গেলে আমি চুল আঁচড়াতে লাগলাম।
হঠাৎ আয়নার দিকে খেয়াল করলাম,স্যার আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আমি সাথে সাথে পিছনে ফিরতেই সে আবারো ফোনের দিকে নজর দিল।
আবারো একটুপর আয়নায় দেখলাম সে তাকিয়ে রয়েছে।এবং আমি পিছনে ফিরতেই সে নজর ঘুরিয়ে নিল।তখনই আমার মনে পড়ল সে একটু আগে বাথরুমে যে বলল “আমার বউ”। তার মুখে বউ কথাটা শুনে কেমন যেনো লেগেছিল।ভেবেই আমি একটু লজ্জা পেলাম।

আমি রেডি হয়ে গেলাম।সবার সাথে বসে নাস্তা খেলাম।আমার শ্বাশুড়ি মা আমাকে বলল,কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে যেনো আমি তাকে জানাই।
আজ থেকে তার এক মেয়ে না দুই মেয়ে।
কথাটা শুনে আমার বেশ ভালো লাগল।আমার শ্বশুর,শ্বাশুড়ি আর ননদ সবাই বেশ ভালো আর মিশুক।আমার ননদের সাথে আমার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেল
সামিয়া আমার এক ক্লাস নিচে পড়ে।

ও আমাকে পুরো বাড়ি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাতে লাগল।আর বলতে লাগল,জানো ভাবী, ভাইয়াকে মা আরো দেড়বছর আগে থেকে বিয়ের জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করছে।কিন্তু ভাইয়া বিয়ের কথা শুনলেই ফায়ার।একটা মেয়েও দেখাতে নিয়ে যেতে পারে নি।মা কতজনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে যে ভাইয়াকে বোধ হয় আর বিয়ে করাতে পারবে না।কিন্তু একদিন হঠাৎ ভাইয়া রাত বারোটা বাজে এসে বাবা মাকে ডেকে তোমার কথা বলল।আর বলল কালকেই যেনো তোমাকে দেখতে যায় আর পাকা কথা বলে।বাবা মা তো হাতে আকাশে চাদঁ পাওয়ার মতো খুশি হয়েছে। তাই তাড়াতাড়ি করে দুইদিনের ভেতরেই তোমাকে নিয়ে আসল।আর কয়দিন সময় পেলেই তো আরো বড় ধুমধাম করে তোমাদের বিয়ের আয়োজন করতে পারত।এই ভাইয়াও টাও না!
কারো কথা শুনে না।এত রাগী হয়ে গেছে।আগে একদমই এমন ছিল না।

সামিয়ার কথা শুনে নিজেকে অপরাধী লাগছিল।কিন্তু আমি তো স্যারকে ঠিক বুঝতেই পারছি না।
আর সেদিনের ঐ মেয়েটা?
শুধু শুধু কিছু না থাকলে তো আর একটি মেয়ে একটি ছেলেকে জড়িয়ে ধরতে পারে না।কিচ্ছু বুঝতে পারছি না।

পুরো বাড়ি মেহমানে ভর্তি।আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন দুইদিনেও কম আয়োজন করে নি।
স্যারের খালা,মামী,ফুফুরা মিলে আমাকে আর স্যারকে দিয়ে একশটা নিয়ম পালন করাল।তারপর আমাকে কি সব কথা যে বলতে লাগল।তারা একবছরের মধ্যেই নাতি নাতনির মুখ দেখতে চায়।পারলে মনে হয় কালকেই নিয়ে আসে।আর স্যারের খালাতো ভাবীদের মজা,টিটকারি তো আছেই!

বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে আমাকে আর স্যারকে আমাদের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হল।বাড়িতে সবাই স্যারকে নিয়েই ব্যাস্ত।কি খাওয়াবে না খাওয়াবে তা নিয়ে।আমার কথা তো কারো মনেও নেই।আমিও তাই সেখান থেকো উঠে মনের মত ঘুরতে লাগলাম।

একটুপর ভাবি এসে আমার হাত টান দিয়ে বলল,এই গাধী জামাই তোর রুমে বসে আছে কখন থেকে আর তুই এখানে কি করছিস?
বিয়ে হয়ে গেছে এখনো কি সব আমি শিখিয়ে দেব?
বলেই আমাকে টানতে টানতে রুমে নিয়ে গেল।
তারপর দাতঁ কেলিয়ে হাসতে হাসতে বলল,সুপ্তি রান্নাঘরেই ছিল,তোমাকে কি খাওয়াতে হবে না খাওয়াতে হবে আমাদের বলছিল।

আমি তো হা করে তাকিয়ে রইলাম।কি মিথ্যা কথা!
তারপর আবার বলতে থাকল,
তোমাদের বাচ্চা কাচ্চার কি প্লানিং শুনি?
আমার চোখ তো ছানাবাড়া হয়ে গেছে।স্যারের সামনে কি সব বলছে!
ঐ বাড়িতে তবুও আমি একা শুনেছি আর এখন তো দেখি সরাসরিই সব বলে দিচ্ছে।
আমি চোখ দিয়ে ইশারা করে ফিসফিসিয়ে বললাম,ভাবী চুপ থাকো।
ভাবী জোরেই বলে উঠল,তুই চুপ থাক।

তারপর আবার স্যারের উদ্দেশ্যে বলতে থাকল, সুপ্তির বাচ্চা স্বভাব এখনো যায় নি।বেশি তিরিং বিরিং করে।শুভ্র তুমি আবার মন খারাপ করো না।
নিজের মতো বুঝিয়ে শুনিয়ে নিও।
হায় আল্লাহ!এই ভাবীকে তো আর থামানো যাবে না।স্যার মানুষের সামনে কি আর এসব শোনা যায়?
আমি তো কাচু মাচু করতে করতেই শেষ।আর স্যার চুপচাপ বসে রয়েছে।আমি ভাবীকে থামানোর জন্য বললাম,ভাবী পোড়া পোড়া গন্ধ আসছে, কি যেন পুড়ে যাচ্ছে।তাড়াতাড়ি যাও।

ভাবী আমার কথা শুনেই ছুটে বের হয়ে গেল।
আর আমি স্যারের দিকে একবার তাকিয়ে একটি জোরপূর্বক হাসি দিয়ে এক দৌড় দিয়ে ওখান থেকে বের হয়ে আসলাম।

রাতে খাবারের টেবিলে বসে দেখলাম অনেক আইটেমের রান্না করা হয়েছে।খাবার মুখে দিয়েই দেখি ঝাল কম।আমি প্রচুর ঝাল খাই।ঝাল ছাড়া রান্না আমি মুখেও দিতে পারি না।এর জন্য আমার গ্যাস্টিকের সমস্যাও আছে প্রচুর।কিন্তু ঝাল খাওয়া থেকে আমাকে আটকায় কে।

মাকে আমি বললাম,মা রান্নায় ঝাল কম দিয়েছো কেনো?
বলেই সালাদের বাটি থেকে দুটি কাঁচা মরিচ উঠিয়ে নিলাম।
আর আমার মা আবার সবসময়ের মতো শুরু করল,এত ঝাল খেতে পারে মেয়েটা।এই কারণেই এত গ্যাস্টিকের সমস্যা।তবুও যদি বাদ দেয় ঝাল খাওয়া।

স্যার আমার সোজাসুজি সামনে বসেছে।মার কথা শুনে আমাকে ইশারায় বলল মরিচ রাখতে।আমি সবে মাত্র মরিচে কামড় টা দিতেই নিয়েছিলাম।
তার কথা শুনে আমি ভুরু কুঁচকে কামড় দিয়েই দিলাম।কে শুনে কার কথা!

খাওয়ার পর রুমে যেতেই স্যার আমায় টান দিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরল।আর রাগী গলায় বলতে লাগল,তখন মানা করেছিলাম না ঝাল খেতে?
আমার কথা শুনলে না কেনো?বেয়াদপ মেয়ে!
স্যারের কথা শুনে না।

তার মুখে বেয়াদপ শুনে আমিও মুখ ফুলিয়ে রইলাম।
আর স্যার এবার একটু দূরে সরে বলতে লাগল, কথা শুনো নি,এখন শাস্তি পাবে।কানে ধরো।পনের মিনিট কানে ধরে দাঁড়িয়ে থাকবে।
কানে ধরার কথা শুনে আমার চোখ যেন বাইরে বের হয়ে আসতে চাইছে।আমি এত বড় মেয়ে এখন স্কুলের বাচ্চাদের মত কানে ধরে দাড়িয়ে থাকব।তাও আবার পনের মিনিট!
আমি মুখ ফুলিয়েই জবাব দিলাম,আমি কানে ধরবো?
স্যার তার দুই হাত প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে মাথাটা হালকা কাত করে বলল,হ্যাঁ।ভুলে গেছো আমি তোমার স্যার!আজ থেকে তোমার বেশি ঝাল খাওয়া বন্ধ।

তারপর একটা জোরে ধমক দিয়ে বলল,কানে ধরো।
তার ধমক শুনে আমিও আস্তে আস্তে কানে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম,মুখে একটা কাঁদো কাঁদো ভাব এনে।আর স্যার খাটে আধশোয়া হয়ে পা দুলিয়ে দুলিয়ে বই পড়ছে।
কত বছর পর আজ কানে ধরলাম।চব্বিশ ঘন্টা স্যারদের সাথে থাকার এই একটা সমস্যা।
আমাকে নাকি এখন থেকে ঝালও খেতে দেবে না।বুঝতে পারছি এই অ্যাংরি বার্ড টা আমাকে এভাবেই জ্বালিয়ে মারবে।

পনের মিনিটের এক সেকেন্ড আগেও স্যার আমাকে কান ছাড়তে দিল না।কাঁটায় কাঁটায় পনের মিনিট পর্যন্তই আমাকে দাঁড়া করিয়ে রাখল।
আমি রাগে দুঃখে সেখান থেকে বের হয়ে আসলাম। অনেক সময় কাটিয়ে তারপর রুমে ফিরলাম।এসে দেখি স্যার ঘুমিয়ে পড়েছে।
তাই আমি আস্তে আস্তে গিয়ে তার পাশে শুয়ে
পরলাম একটু দূরত্ব রেখেই।
শোওয়ার সাথে সাথেই স্যার কাছে এসে আমাকে পেছন থেকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।তারমানে স্যার জেগে আছে।
আমাকে তার দিকে ঘুরিয়ে তারপর বলল,সুপ্তি,তোমার ভাবী যেন তখন কি বলছিল?
স্যারের কথা শুনে তো আমি শেষ!তার দিকে তাকিয়ে আমতা আমতা করতে লাগলাম।আর তোতলিয়ে বললাম,মা..মা..মানে?

স্যার আমার অবস্থা দেখে জোরে জোরে হাসতে লাগল।হাসতে হাসতে বলল,কিছু না,ঘুমাও।

সকালে খাওয়া দাওয়ার পর আমার এক মামাতো ভাইয়ের সাথে কথা বলছিলাম।ভাইয়াটা খুবই মজার।এত হাসির হাসির কথা বলে।হাসতে হাসতে আমার পেট ব্যাথা হয়ে যায়।হঠাৎ ভাইয়ার ফোনে কল আসায় ভাইয়া অন্যদিকে চলে গেল। আর আমি হাসতে হাসতেই পিছনে ফিরে দেখলাম,স্যার দূর থেকে আমার দিকে রক্তবর্ণ চোখে তাকিয়ে রয়েছে।রাগে যেন সে এখনই ব্লাস্ট হয়ে যাবে।হঠাৎ আমার কাছে এসেই সে…………

চলবে,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে