#বোরখাওয়ালী
পর্বঃ ১২
লেখাঃ Mst Liza
,
লাবন্যর সব সান্ডপান্ডরা এসেছে আয়াতদের ক্লাসে, মেঘ ক্লাসরুমে থাকায় লাবন্য বাইরেই দাড়িয়ে আছে।
নেহাল সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল, কাল আমরা সিনিয়ররা তোমাদের জন্য নবীন বরণ উৎসবের আয়োজন করেছি তো সবাই সকাল ১১টার মধ্যেই চলে আসবে।আর তুমি কি যেন নাম? আয়াতকে উদ্দেশ্য করে বলল।
আয়াত! ভয়ে ভয়ে নাম বলল।
ও হ্যাঁ আয়াত! তুমি কাল ৭টার সময় আসবে।বলে নেহাল যেই চলে যাবে,
আমি পারবো না আসতে!
না আসলে তো হবে না। কাল সবাইকেই আসতে হবে ব্যস।আর যে আসবে না তাকে তুলে আনা হবে।ভার্সিটিতে তোমাদের ১ম অনুষ্ঠান আর তোমরা না আসলে হবে?
মগের মুল্লুক নাকি যে তুলে আনা হবে? সবাই ১১টায় আর আমি ৭টায়।তাহলে কি মেঘ ওদেরকে, আমার কথা বলে দিল? ওরা কি তাহলে আমাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য! না এই মেঘ সুবিধার নয়।
ক্লাস শেষে, এই যে মেঘ শোনেন?
মেঘ আয়াতের ডাকের কোনও রেস্পোন্স দিচ্ছে না।
আপনার কি কান কাটা, কানে শোনেন না?
মেঘ এবার আয়াতকে বলল, তোমার কি ছেলেদের গায়ে পরে কথা বলতে ভালো লাগে? বোরখাওয়ালী হয়েছো! তোমার শরিয়াতের কোন আইনে ছেলেদের গায়ে পরে কথা বলার অনুমতি দেই আমাকে একটু বোঝাবে?
দেখুন আপনি কাল থেকে আমায় অনেক কিছুই শুনিয়েছেন।ভেবেছিলাম আপনার সাথে কথা বলব না।কিন্তু না বলে আর পারলাম না।আজ আমি আপনার জন্য এত্ত বড় একটা বিপদে পড়েছি!
মেঘ ভ্রু কুচকে, আমি আবার কি করলাম তোমাকে?
ওনাদের কে কি আমার নামটা না বললে আপনার হতো না? দেখলেন তো আমাকে সকাল ৭টায় আসতে বলল।
ওহহ এই কথা? ঠিক আছে। চলে এসো।
মেঘ আপনি কি কিছুই বোঝেন না? আমি বাড়িতে কিবলে আসবো? যেখানে কিনা সবাই আসবে ১১টায় সেখানে আমার মাম্মাম আমাকে এতো সকালে আসতে দেবে বলে আপনার মনে হয়?
তাহলে আসার দরকার নেই!
না আসলে ওরা আমাকে তুলে আনবে শোনেন নি?
ঠিক আছে।আমি দেখছি কি করা যায়!
আয়াতের চিন্তা মোটেও কাটে না।কি বলে যে সকাল ৭টায় বাড়ি থেকে বের হবে সেটাই সারাদিন ভেবেছে।রাত শেষে সকাল হয়ে গেল। হঠাৎ কলিংবেলের আওয়াজ।
এতো সকালে কে আসলো?
মাম্মাম আমি দেখছি।
দরজা খুলেই আয়াত অবাক।এতো সকালে রূপালী তুমি এখানে?
আন্টি কি ভিতরে আছে?
কে এসেছে মামনী?
আন্টি আমি রূপালী। আসলে আজ আমাদের ভার্সিটিতে নবীন বরণ উৎসব।ভাবলাম আমার বাসা তো কাছেই তাই আয়াতকেও ডেকে নিয়ে যায়।শুধু শুধু আজ আর ওর দাদুকে কস্ট করে দিতে যেতে হবে না।
আরিয়া ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সকাল ৬ঃ৩০ বাজে।এতো সকালে নবীন বরণ?
হ্যাঁ আন্টি।
আরিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল, আচ্ছা যাও।
তারপর আয়াত আর রূপালী দুজনেই বাড়ি থেকে বের হলো।আয়াত এখন আমি আসিরে।
মানে? তুমি যাবে না?
না।আমি গিয়ে কি করব আমাদের তো ১১টায় যেতে বলেছে।
প্লিজ রূপালী এমনটা করো না।আমার একা যেতে খুব ভয় করছে।
কে বলল তুমি একা যাচ্ছো? সামনে তাকিয়ে তো দেখ!
আয়াত সামনে তাকিয়ে দেখে মেঘ গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে।না আমি মেঘের সাথে যাবো না।তুমি চলো না রূপালী।
পাগলামী করো না আয়াত।মেঘই আমাকে বলেছে তোমাকে নিয়ে আসতে।এখন তুমি যদি এমন কর তাহলে মেঘ চলে যাবে।আর তোমার সমস্যা তোমাকেই বুঝতে হবে।আমি যদিও তোমার সাথে যায় সিনিয়রদের থেকে কোনও ভাবেই তোমাকে বাচাঁতে পারবো না।তার চেয়ে তুমি মেঘের সাথে যাও সেটাই বেটার হবে।
আয়াত একটু একটু করে হেটে মেঘের সামনে এসে দাড়ালো। চলুন।
মেঘ গাড়ির দরজাটা খুলে দিল।আয়াত গাড়িতে উঠলে মেঘ গিয়ে আয়াতের পাশে বসলো।ড্রাইভার গাড়ি স্ট্রার্ট করুন।
গাড়ি চলছে আর আয়াত অস্বাচ্ছন্দ বোধ করছে।মেঘ সেটা খেয়াল করে।তাই মেঘ গাড়ি থামিয়ে সামনের সিটে গিয়ে ড্রাইভারের পাশে বসে।গাড়ি আবার চলতে শুরু করেছে।আর মেঘ সামনের আয়নায় আয়াতকে দেখছে অনেক নারভাস মেয়েটা।না যানি লাবন্যর দলবল আবার কোন ফন্দি এটেছে মেয়েটাকে হেনেস্ত করার!
গাড়ি এসে ভার্সিটির সামনে থামলো।খুব শান্ত পরিবেশ।চারিদিকে কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।আচ্ছা ওরা আমাকে এতো সকালে বোকাঁ বানানোর জন্য আসতে বলি নি তো? সব আপনার জন্য হয়েছে, কে বলেছিল আপনাকে আমার নাম বলতে?
দেখ তোমার নাম আমি কাউকে বলি নি! বড্ড বেশি কথা বলছো।আর যদি একটাও কথা শুনি তাহলে তোমাকে একা রেখে এক্ষুণি চলে যাবো।
আয়াত ভয়ে আর কোনও কথা বলছে না।দুজনেই পুরো ভার্সিটিতে চক্কর দিচ্ছে। অডিটোরিয়াম রুমটার সামনে এসে।অডিটোরিয়াম রুমটা খোলা আছে! চলো!
বলেই মেঘ রুমের মধ্য যেই এক পা রাখলো অমনি একটা মোটা দড়ির সাথে মেঘের একপায়ে গিট লেগে গেল।তারপর সামনে আরেক পা বাড়াতেই দড়িটা টেনে ঘেষতে ঘেষতে মেঘকে ভেতরের দিকে নিয়ে যায়।আয়াত মেঘের এমন অবস্থা দেখেই দৌড়ে আসে।আর সামনের টেবিলে থাকা একটা কেচিঁ দেখতে পাই।ভাবে কেচিঁটা দিয়ে মেঘের পায়ের দড়িটা কাটা যাবে।আয়াত তারাহুরা করে কেচিঁর সাথে যে পাতলা লম্বা সুতোটা বাধাঁ আছে তা খেয়াল না করেই সোজা গিয়ে টান দিল আর উপর থেকে এক বালতি কাদাঁ এসে আয়াতের মাথায় পরল।আয়াতের বোরকা, নেকাব সব কাদাঁয় ভিজে গেছে।
আয়াতের এমন কাদাঁ মাখা শরীরের নাজেহাল অবস্থা দেখে মেঘ না হেসে পারলো না।
খুব হাসি পাচ্ছে আপনার? আয়াত ভ্যাআআআআ করে কান্না জুড়ে দিল।
তারপর মেঘ আয়াতকে শান্তনা দিচ্ছে।আয়াত অনেক কান্না হয়েছে এখন থাম। সামান্য কাদাঁই তো এতে কান্না করার কি হলো?
সামান্য কাদাঁ তাই না? আপনার গায়ের উপর পরলে বুঝতেন! ভ্যাআআআ করে কান্না করেই যাচ্ছে আয়াত।আর বলছে, এই কাদাঁ মাখা অবস্থায় আমি বাড়িতে যাব কিভাবে? রাস্তার মানুষ তো সব হাসবে আমাকে দেখে! আর মাম্মাম! আমার মাম্মাম কে কি বলব গিয়ে? দাদিও যানতে পারলে বলবে লেখাপড়া না করিয়ে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দাও।ভ্যাআআআ।
এই থামো! ধমক দিয়ে বলল মেঘ।কাঁদলে কি সব ঠিক হয়ে যাবে? তার চেয়ে বরং ওয়াশরুমে গিয়ে পরিষ্কার করে নাও।
এগুলো ওয়াশরুমে গিয়ে পরিষ্কার করে শুকাবো কখন?
১১টা বাজলেই সবাই এসে পড়বে।আমাকে যোকার সেজেই থেকে যেতে হবে সবার সামনে।সবাই হাসবে আমাকে দেখে।যে রকমটা আপনি হাসছিলেন এতোক্ষণ।
ঠিক আছে! আমি দেখছি কি করা যায়।তুমি গিয়ে ওয়াশরুমে পরিষ্কার হয়ে নাও।আমি এখানে আছি।
আয়াত ওয়াশরুমে গিয়ে বোরখা খুলে পরিষ্কার হয়ে বসে কাপড়ের পানি শুকাচ্ছে ২ঘন্টা পর মেঘ এসে ওয়াশরুমের দরজা নক করে,
আয়াত দরজাটা খোলো!
না।
খোলো বলছি?
কি বলছেন আপনি মাথাটা ঠিক আছে?
আহহা খোলো আয়াত।এক মিনিটের জন্য।
বললাম তো খুলব না।আমার পর্দা নস্ট হয়ে যাবে।
আমি বলছি হবে না।সামান্য একটু খুললেই হবে।নইলে কিছুক্ষণ পর সবাই আসলে তখন বুঝবে।
দরজা খুললে আপনি কি করবেন?
শুধু, এই ব্যাগগুলো দেব তোমায়!
কিসের ব্যাগ?
দেখলেই বুঝতে পারবে!
আয়াত ওয়াশরুমের দরজাটা সামান্য একটু খুলে হাত বাড়াতেই মেঘ আয়াতের হাতের পানে চেয়ে রইলো।এতো সুন্দর ফর্সা হাত! চেহারা না যানি কত সুন্দর।অথচ এই মেয়ে আজকের দিনেও নিজের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে ঢেকে রাখে।
কি হলো মেঘ দেবেন?
আয়াতের ডাকে মেঘ তারাতারি ব্যাগগুলো আয়াতের হাতের আঙুলে বাধিঁয়ে দেই।আয়াত আঙুলের মোচর পেয়ে তাল সামলাতে না পেরে ২ হাত দিয়ে ব্যাগগুলো যেই ধরতে যাবে তখনই দরজাটা খুলে যায়। আর মেঘের সামনে আয়াতের মুখ চলে আসে। আয়াত সাথে সাথে ঘুরে ব্যাগগুলো নিয়ে ওয়াশরুমের ভেতর থেকে দরজাটা আবার বন্ধ করে দেই।আর মেঘ আয়াতের মুখটা দেখে সেখানেই থমকে যাই।মনে মনে ভাবে, এই বোরখাওয়ালী আয়াত এত্তো সুন্দর দেখতে!
আর ওদিকে আয়াত ওয়াশরুমের দরজার সাথে পিট ঠেকিয়ে মনে মনে বলতে থাকে, ইয়া আল্লাহ! আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও।আমি ইচ্ছা করে মেঘের সামনে আসি নি।
মেঘ আয়াতের মুখ দেখে নেওয়ায় আয়াত মেঘের সাথে কথা বলতে লজ্জা পাচ্ছে। হঠাৎ মেঘ আয়াতকে ডাকলো।
কি হলো। ওখানেই বসে থাকবে নাকি?
আয়াত চুপ হয়ে আছে!
দেখ আর কিছুক্ষণের মধ্যই সবাই চলে আসবে।
আয়াত নিরাবতা ভেঙে ব্যাগগুলো খুলে খুলে দেখছে আর বলছে এতোগুলো বোরখা দিয়ে আমি কি করব?
তাছাড়াও সব আমার সাইজেরও না।কিছু বড় হয়ে যাবে তো কিছু ছোট হয়ে যাবে।
আরে সেই জন্যই তো এতোগুলো এনেছি।তোমার মাপ তো আমার জানা নেই।যেটাতে ফিটিং হয় সেটা পরে বাইরে এসো।
কিছুক্ষণ পর ভালো দেখে একটা বোরখা পরে আয়াত নিজেকে সম্পূর্ণ ঢেকে পরিপূর্ণ পর্দা সহকারে বাইরে আসলো।এবার মেঘেরও আয়াতকে দেখে একটু লজ্জা লজ্জা লাগছে।মেঘ আয়াতকে একটু অপেক্ষা করতে বলে কোথায় যেন চলে গেল।কিছুক্ষণ পর মেঘ আসলে আয়াত জানতে চাইলো কিন্তু মেঘ বলল না সে কোথায় গিয়েছিল।শুধু বলল সময় হলে ঠিক যানতে পারবে।তারপর দুজনে পুরো ভার্সিটিতে অল্প অল্প করে কথা বলছে আর হাটছে।
ঘড়ির কাটায় সকাল ১১টা ছুঁই ছুঁই।সকলে আসতে শুরু করেছে।মেঘ কাউকেই অডিটোরিয়াম রুমে যেতে দিচ্ছে না।বলছে, সিনিয়ররা আমাদের জন্য এতো সুন্দর করে আয়োজন করেছে তারাই আগে রুমটা খুলুক।আমরা আরেকটু অপেক্ষা করি।না হলে ভালো দেখায় না।
সবাই অডিটোরিয়াম রুমটার সামনে দাড়িয়ে আছে।ইতিমধ্যে, লাবন্য তার সান্ডপান্ডদের নিয়ে হাজির।লাবন্য আয়াতকে হেসে হেসে সবার সাথে কথা বলতে দেখে ভীষণ রেগে যায়।
এই মেয়ে তোমাকে না সকাল ৭টায় আসতে বলা হয়েছে?
আপু আমি তো সকাল ৭টায় এসেছি।
লাবু ওকে পরে দেখে নেব।আর দেরি করিস না দরজাটা খোল!
লাবন্য অডিটোরিয়াম রুমের দরজাটা খুলে ভিতরে যেতেই এক বালতি কাদাঁ লাবন্যর মাথায় এসে পরে।আর লাবন্যর পুরো শরীর ভিজে যায়।
লাবন্যর এমন অবস্থা দেখে সবাই হেসে দেয়।হাসতে বাকি থাকে না তার সান্ডপান্ডগুলোও।
লাবন্য লজ্জায় সেখানেই বসে পরে।কিচ্ছু বুঝে উঠতে পারে না কি করবে।আয়াত লাবন্যর এমন অবস্থা দেখে।চিৎকার করে সবাইকে থামতে বলে।সবাইকে বোঝায় তোমরা এভাবে হেসো না লাবন্য আপুর যায়গায় তোমরা থাকলে তোমাদের অবস্থাও ঠিক এমনটাই হতো।তারপর দৌড়ে এসে লাবন্যকে উঠিয়ে দাড় করায়।
ওয়াশরুমে চলেন আপু কাদাঁ পরিষ্কার করবেন।
আয়াত তোমার কি বুদ্ধিলোপ পেয়েছে? যেই মেয়েটা তোমাকে সবার সামনে অপদস্ত করতে চেয়েছিল।সেই মেয়েটার জন্যই তুমি ভাবছো?
তাহলে এটা আপনারই কাজ? ছিঃ মেঘ ছিঃ আমি আপনার কাছে এমনটা আশা করি নি।কেউ ইট মারলেই কি তাকে পাটখেলটা ছুড়তে হবে? কি লাভ পেলেন এমনটা করে? একটা মেয়েকে এইভাবে সকলের সামনে অপমান না করলে আপনার হচ্ছিল না?
আয়াত ওকে শিক্ষা না দিলে ও সোজা হবে না।
তাই বলে এইভাবে?
আয়াত..
আয়াত হাতটা উচু করে মেঘকে থামিয়ে বলল, আপনার থেকে আমি আর একটাও কথা শুনতে চাই না।
তারপর লাবন্যকে নিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে আয়াত লাবন্যকে গোসল করিয়ে পরিষ্কার করে দেয়। লাবন্যর সামনে বোরখার ব্যাগগুলো রেখে।
আপু এখান থেকে যেই বোরখাটা আপনার ফিটিং হয় সেটা পড়ে নিন।
লাবন্য বোরখা পরে আয়াতকে জড়িয়ে ধরে।আয়াত আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও।আজ তো আমার মরে যেতেই ইচ্ছা করছিল।যাদেরকে আমার আপন ভেবেছি সেই ফ্রেন্ডরাও আমার এই অবস্থা দেখে হাসলো আর তুমি কিনা?
থাক না আপু।যা হয়ে গেছে ভুলে যান।আর নতুন করে সবকিছু শুরু করুন।আর যানেন আপনাকে বোরখাতে কত্ত সুন্দর দেখতে লাগছে? যাদের আপনি বন্ধু ভাবেন তারা কি অনন্তকাল আপনার সাথে থাকবে বলুন?আপনি একটা মেয়ে।আর মেয়েদের সৌন্দর্য সকলের সামনে প্রদর্শন করার জন্য নয়।মেয়েরা যে অতি মূল্যবান সম্পদ।এ দুনিয়া বেশীদিনের জন্য নয় আপু।এখন ফেতনার সময়।বাবা-মা, পরিবার-পরিজন কেউই একদিন থাকবে না।ওই অন্ধকার কবরে থাকবে না কোনও বন্ধুবান্ধব।আপনাকে ঐদিনটার জন্যই নিজেকে গোছাতে হবে।
তুমি ঠিক বলেছো আয়াত।আজ থেকে আমি সব খারাপ কাজ করা ছেড়ে দিব।
আল্লাহ আপনাকে সেই তৌফিক দান করুক।
চলবে….