বিষাক্ত প্রেম পর্ব-০২

0
970

#বিষাক্ত_প্রেম
#পর্ব_২
লেখিকা #Sabihatul_Sabha

গাড়িটা কিছুটা সামনে গিয়েই থেমে যায়।
তিতির রেগে গাড়িটার সামনে যেতেই গাড়ির ড্রাইভার গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে।
~ কি করলেন এটা মেডাম..!!
তিতিরঃ গাড়ি চালাতে না পাড়লে রাস্তায় বের হন কেনো..???
ড্রাইভার ভয়ে ভয়ে গাড়ির দিকে তাকালো।
তিতির রেগে আবার বললো,’ কথা বলছেন না কেনো..?? কি করলেন এটা!!একদম কাপড় নষ্ট করে দিলেন।
তখনি গাড়ি থেকে মাক্স পড়ে একটা ছেলে বেরিয়ে আসে।

ড্রাইভার ভয়ে মুরতাসিমের দিকে তাকায়।
মুরতাসিমঃ আপনার কাপড়ের দাম কতো আর আমার গাড়ির দাম কতো জানেন..??!
তিতিরঃ আমার জানার ইচ্ছেও নেই। আপনি আমার কাপড় নষ্ট করেছেন তারপরও সরি না বলে গাড়ি নিয়ে অভদ্রের মতো চলে যাচ্ছেন। আপনার সরি বলা উচিত ছিলো। সেই জন্য কাঁচ ভেঙ্গে দিয়েছি।
মুরতাসিম রেগে তিতিরের দিকে তাকিয়ে বললো, ‘ তোমার মতো একটা পুচকি মেয়ের সাহস কি করে হয় আমার চোখে চোখ রেখে কথা বলার!! তুমি জানো আমি কে..?
তিতিরঃ আমার জানার ইচ্ছে নেই আপনি কে..? আপনিও মানুষ আমিও মানুষ। আপনার জন্য আজকে আমি ইন্টারভিউ দিতে পারলাম না।
ড্রাইভার ভয়ে তিতির কে কিছু বলতে গেলে তিতির রেগে বলে, ‘ আপনি চুপ থাকুন আঙ্কেল। আজকের এই ইন্টারভিউ আমার অনেক ইম্পর্ট্যান্ট ছিলো৷
ড্রাইভার মুরতাসিমের দিকে তাকালো এখনো সে বিয়ে করেনি আর এই মেয়ে তাকে আঙ্কেল বানিয়ে দিলো!!!
মুরতাসিমঃ এটা আমাদের দোষ না আপনার দোষ। আপনি ভালো জায়গা দেখে দাঁড়ালে এমনটা হতো না। গাড়ির কাঁচের দাম মিটিয়ে সরি বলুন।
তিতিরঃ সরি আপনাদের বলা উচিত। আপনাদের জন্য আমার হয়ে যাওয়া জবটা হলো না। কাঁচের দাম কতো শুনি? সাধারণ একটা কাঁচের জন্য আমার সাথে এমন ব্যাবহার করছেন।
মুরতাসিমঃ এখনো ইন্টারভিউ দেননি হয়ে যাওয়া জব হলো কিভাবে..?
ড্রাইভার মুরতাসিম কে বুঝিয়ে বললো,’ স্যার আপনি গাড়িতে বসুন আমি বুঝিয়ে বলছি উনাকে প্লিজ স্যার।’
মুরতাসিম রেগে তিতিরের দিকে তাকিয়ে গাড়িতে বসে গেলো।

ড্রাইভারঃ মেডাম এই কাঁচের দাম পঞ্চাশ হাজার।
তিতির চোখ বড় বড় করে ড্রাইভারের দিকে তাকালো। সামনের দিকে তাকিয়ে বললো” ওই দেখুন পুলিশ…! ”
ড্রাইভার পেছনের দিকে তাকালেই তিতির দৌড়ে একটা রিক্সায় উঠে যায়।
ড্রাইভার সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে তিতির চলে যাচ্ছে। বেচারা ভয়ে ভয়ে মুরতাসিম কে বললো,’ মেয়েটা পালিয়েছে স্যার!!…
মুরতাসিমঃ পালিয়ে কতো দূর যাবে। তুমি খুঁজ নাও আর টাকা নিয়ে নাও। টাকা নিয়ে তারপর ছারবে। কতো বড় সাহস আমার চোখে চোখ রেখে কথা বলে।
ড্রাইভারঃ আচ্ছা স্যার।

তিতির বাসায় ফিরে আসতেই ওকে দেখে আমেনা বেগম অবাক হয়ে বললো, ‘ তুই না এখন বেরিয়ে গেলি আবার ফিরে আসলি যে..?’
তিতির কাঁদো কাঁদো মুখ করে বললো,’ দেখো আন্টি এক বজ্জাত ড্রাইভার আমার অবস্থা কি করেছে। ‘
আমেনা বেগমঃ কিভাবে করলো!!.?
তিতির তারপর পানি হাতে নিয়ে সবটা বললো।
আমেনা বেগমঃ এটাতে তাদের দোষ নেই তিতির, তোর দরকার ছিলো জায়গাটা দেখে দাঁড়ানো।
তিতিরঃ তুমিও তাদের কথা বলছো।ড্রাইভার থেকে গাড়ির মালিক আরও বজ্জাত।
আমেনা বেগম হেঁসে বললো,’ যা কাপড় চেঞ্জ করে নে।’
তিতিরঃ আমার ইন্টারভিউ…
আমেনা বেগমঃ মন খারাপ না করে ফ্রেশ হয়ে নে। তোর চাকরি করার কি প্রয়োজন আজও কি আমাদের আপন ভাবতে পারিসনি!!
তিতির সিঁড়ি দিয়ে উপরে যেতে যেতে বললো,’আপনারা ছাড়া আমার আর কে আছে যে আমি আপনাদের আপন ভাববো না৷ আপনারাই আমার সব। ‘

রুমে এসে দেখে শার্লিন ঘুমিয়ে আছে। তিতির কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।

আজ সারাটাদিন খারাপ যায় মুরতাসিমের। আর এখন এই সব কিছুর জন্য সে দোষ দিচ্ছে সেই কাঁচ ভাঙ্গা মেয়েটিকে। এই মেয়ের জন্যই আজ ওর অফিসে আসতে লেইট হয়েছে যার কারনে এই প্রথম খান গ্রুপের সাথে ওর ডিলটা ফাইনাল হয়নি।
মুরতাসিম রেগে তিতিরের কথা মনে করে হাতের কাছের ফুলের টপ ছুড়ে মারে নিচে। একবার শুধু দেখা পাই এই মেয়ের!

রাতের খাবার খেয়ে শার্লিন আর তিতির গিয়ে বসলো ছাঁদে।
তিতিরের দিকে তাকিয়ে শার্লিন বললো,’ এখনো মন খারাপ..?! ছেলেটা দেখতে কেমন..?
তিতির হাসার চেষ্টা করে বললো,’ না তো.. আমি এই ভার্সিটিতে পড়তে চাই না শার্লিন। আর ওই বজ্জাত ছেলের বিষয় আর কিছু জিজ্ঞেস করলে ছাঁদ থেকে ফেলে দিবো।
শার্লিন অবাক হয়ে বললো, ‘ কেনো রে তিতির..??
তিতিরঃ এমনি ভালো লাগে না।
শার্লিনঃ প্রথম তো আসতে আসতে ভালো লেগে যাবে।
তিতির আর এই বিষয় কিছু বললো না।
শার্লিনঃ ভাই কালকে ফিরে আসবে।
তিতিরঃ সত্যি!! আন্টি জানে..?
শার্লিনঃ আম্মুর জন্য সারপ্রাইজ…
তিতির আর শার্লিন কথা বলতে বলতে শার্লিন ছাঁদেই ঘুমিয়ে পড়লো।
তিতির শার্লিনের মুখের দিকে তাকিয়ে উঠে গেলো। রেলিঙের উপর বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আজকের দিনের কথা ভাবতে লাগলো। ফারাজের মুখটা ভেসে উঠতেই চোখ খুলে নিলো।
এতো বড় শহরে কেনো দেখা হলো আবার..!! সে ভুলে গেছে কোনো বিয়ের কথা ভুলে গেছে তার জীবনে অন্য কেউ ছিলো। এখন শুধু তিতিরের পরিচয় তিতির নিজেই।

তিতির চোখ বন্ধ করে ডুব দেয় সেই দিনে,

তিতিরের মা-বাবা তিতির ছোটো থাকতেই একটা এক্সিডেন্টে মা-রা যায়। তারপর থেকে তিতির ওর মামা মামির কাছে থাকতো। তিতিরের মামা তেমন তিতিরকে একটুও পছন্দ করতো না। উনার চরিত্র খারাপ ছিলো৷ তিতির যতোই বড় হচ্ছিলো উনি অন্য খারাপ নজরে তিতিরের দিকে তাকাতো।
তিতিরের মামি সব সময় তিতিরকে চোখে চোখে রাখতো। উনার কোনো সন্তান ছিলো না তাই তিতিরকে নিজের মেয়ের মতো আদর করতো৷ প্রতি রাতে তিতির ওর রুমের সামনে কাউকে হাঁটাহাটি করতে দেখতো।
তিতিরের মামার বাড়ি গ্রামে ছিলো। টিনের একটা ছোটো ঘরে থাকতো ওরা।
তিতিরের সখ ছিলো অনেক পড়াশোনা করার।
একদিন তিতিরের মামি উনার স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়ি যায়। রাতে আর আসে না।
সেই দিন সন্ধ্যায় প্রচুর বৃষ্টি নামে।
রাত তখন বেশি নয়। বৃষ্টিতে ভিজে একটা ছেলে এসে দাঁড়ায় তিতিরের দরজার সামনে। বার কয়েক দরজায় আঘাত করে। ভেতরে কেউ আছে কিনা জিজ্ঞেস করে, আজকের রাতের জন্য আশ্রয় দিতে বলে।
তিতির ঘরের ভেতর ভয়ে এক কোনায় কাঁথা মুড়ে শুয়ে থাকে। ভয়ে কোনো শব্দ করে না৷
ছেলেটাও এক সময় থেমে যায়। ভয়ে সারা রাত আর তিতিরের ঘুম হয়নি সকালে ঘুম হয়।

ছেলেটা নিজের শার্ট হাতে নেয় গতরাতে ভিজে গিয়ে ছিলো।
শার্টটা পড়তে পড়তে বাড়ি থেকে বের হয় তখনি ওর সামনে কিছু লোক পড়ে তারা ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করে, এই বাড়িতে কি করছিলো..?
ছেলেটি সত্যিটা বলে কিন্তু কেউ তার কথা বিশ্বাস করে না৷
কয়েক জনলোক এসে দরজা ধাক্কায়।
তিতির দরজা খোলতেই সবাই নানা কথা বলতে থাকে। বাড়িতে একটা মেয়ে আর একটা ছেলে ছিলো। কিছু সময়ের মধ্যে সারা গ্রাম হয়ে যায়।
ছেলেটি মোবাইল হাতে নিয়ে দেখে বন্ধ । বার বার বুঝানোর চেষ্টা করে সে শহর থেকে এসেছে গ্রামে কিছু কোম্পানির কাজে কিন্তু কেউ ওর কথা বিশ্বাস যায় না।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ছেলেটি ভয় পেয়ে যায় মেয়েটির পরিস্থিতির কথা ভেবে ।
গ্রামের এক হুজুর এসে জিজ্ঞেস করে, ‘ তোমার নাম কি..?’
~ মুরতাসিম চৌধুরী।
হুজুরঃ তোমার জন্য এই মেয়ের বদনাম হয়েছে। আজ তুমি চলে যাবে কাল এই মেয়েকে বিয়ে করবে কে..? ওকে গ্রামের মানুষ বাঁচতে দিবে না। তুমি ওকে বিয়ে করে নাও।
বিয়ের কথা শুনে মুরতাসিম অবাক হয়। এ কেমন গ্রাম সে তো এখনো মেয়ের মুখেই দেখেনি।

তিতির মুখে হাত দিয়ে ঘরে বসে কান্না করতে থাকে। এই একটা কঠিন মুহূর্তে ওর পাশে কেউ নেই। এক রাতে সব পাল্টে গেলো৷

অনেক বুঝানোর পড়েও যখন কেউ মানতে রাজি নয় তখন মুরতাসিম রাজি হয়ে যায় বিয়ের জন্য।
তিতির যখন জানতে পারে এখন এই অচেনা যুবকের সাথে ওর বিয়ে দেওয়া হবে। দরজার ফাঁক দিয়ে সে বাহিরে তাকায়।
মুরতাসিম কে এক নজর দেখেই তিতির অবাক হয়ে বলে এটা কি কোনো যুবক নাকি রুপকথার রাজকুমার!!….

তারপর বিয়ে হয়ে যায়।
বিয়ে শেষ হতেই বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় তিতিরের মামা মামি৷ উনারা তো কিছুই বুঝতে পারে না কি হচ্ছে এখানে..?

সবটা শুনার পর তিতিরের মামা ওকে মারতে যায়। ওর মামি ওকে আগলে আড়াল করে নেয়।
সবাই চলে যাওয়ার পর মুরতাসিম ওর মামার কাছে এসে কথা বলে। কিন্তু কি বলে ছিলো জানা নেই তিতিরের।
কিছু সময়ের মধ্যে ওই মুরতাসিমের জন্য গাড়ি নিয়ে আসে ড্রাইভার। কাল রাতে ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে চলে গিয়ে ছিলো দরকারি ফোন আসায় আর সেই জন্যই আজ এই পরিস্থিতি ।
মামার হাতে কাবিনের টাকা দিয়ে মুরতাসিম চলে যায়। না সে একবারও তিতিরের মুখ দেখেনি। হয়তো ইচ্ছেই হয়নি। কিন্তু তিতির ঘর থেকে তাকিয়ে ছিলো এক দৃষ্টিতে ।

মুরতাসিম যাওয়ার পর অনেক দিন কেটে যায়। তিতির অপেক্ষা করে মুরতাসিমের। তিতিরের মামাও ওর সাথে সুন্দর ব্যাবহার করে। ওকে পড়াশোনা করতে বলে। তিতির অবাক হয়। যে মামা ওকে পড়াশোনা করাতে চাইতো না আজ সে চায় তিতির পড়াশোনা করুক৷
এভাবে কেটে যায় ছয় মাস। এই ছয় মাস তিতিরের জীবনে কোনো কষ্ট থাকে না।
ছয় মাস পর হঠাৎ ওর মামা এসে বলে মুরতাসিম ওকে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়েছে আর ওর মামা ওর জন্য নতুন বিয়েও ঠিক করেছে।
এমন কথা শুনে তিতুর হাউমাউ করে কেঁদে উঠে। ডিভোর্স পেপার হাতে নিয়ে তিতির অনেক কান্না করে। এই ছয় মাসে সে মুরতাসিম কে নিয়ে অনেক ভেবেছে আর আজ কি হলো।

আরও কিছু দিন এভাবে কেটে গেলো। কাল তিতিরের বিয়ে পাশের গ্রামের মেম্বারের সাথে। আগের তিন বউ আছে তিতিরকে দেখে উনার পছন্দ হয়েছে ওর মামাকে টাকা দিয়ে রাজি করিয়ে নেয়।
তিতির বিয়ে করবে না বলাতে ওকে অনেক মারে। ওর মামি কেও মারে৷
তিতির অসহায়ের মতো বার বার মুরতাসিমের কথাই ভাবে। এক সময় ঘৃণা ধরে যায়। বড় লোকরা কি এমনি! তাদের কাছে কি বিয়ে একটা পুতুল খেলা! কেনো ওই দিন বিয়ে করলো তাহলে..? নিজেকে বাঁচানোর জন্য!! হাসলো তিতির। তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো,’ আজ থেকে ওই লোককে ঘৃণা করি আমি। বড় লোকদের ঘৃণা করি।’

রাতে তিতিরের মামা মাতাল হয়ে এসে ওর সাথে খারাপ কিছু করতে চায়। তিতির বাঁধা দেওয়ার বার বার চেষ্টা করে। এক পর্যায় হাতের কাছে শক্ত কিছু পেয়ে তা দিয়েই মাথায় আঘাত করে। রক্তে লাল হয়ে যায় তিতিরের হাত সামনে তাকিয়ে দেখে ওর মামি দাঁড়িয়ে আছে।
তিতির নিচে বসে হাউমাউ করে কান্না করতে শুরু করে।
ওর মামি ওর সামনে এসে বলে, ‘ পালিয়ে যা..’
তিতির অবাক হয়।
~পালিয়ে যা তিতির।
~ আমি নিজ হাতে এটা কি করলাম মামি..
~ একদম ঠিক করেছিস। তুই পালিয়ে যা বাকিটা আমি সামলে নিবো।

সেই রাতে তিতির পালিয়ে আসে গ্রাম থেকে এক অচেনা শহরে।
এই অচেনা শহরে এসে সে বুঝেছে বেঁচে থাকতে হলে লড়াই করতে হবে।

সারাদিন স্টেশনে বসে পার করে। যখন রাত হয় কিছু মাতাল ছেলে ওকে ঘিরে ধরে। তিতির ভয়ে নিজের ব্যাগ খামচে কান্না শুরু করে। একজন থেকে বাঁচতে আসলো আর এখন তো.. সে বুঝি নিজেকে রক্ষা করতে পারলো না!!
তখনি ওদের সামনে এসে দাঁড়ালো একজন লোক। মাতাল অবস্থায় ছেলেগুলো লোকটাকে দেখে ভয়ে দূরে চলে যায়।
তিতির অবাক হয়ে ভয়ে ভয়ে পেছনে ফিরে তাকায়। একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে।
ছেলেটা ভ্রু কুঁচকে তিতিরের দিকে তাকিয়ে রেগে বললো,’ এতো রাতে এখানে কি করছো মেয়ে..?’
তিতির ভয়ে কান্না শুরু করে। এই সব কিছু ওর কাছে নতুন।

ছেলেটা অবাক হয়ে তিতিরের সামনে গিয়ে বললো, ‘ কান্না করছো কেনো..?আমি কি মেরেছি তোমাকে নাকি বকেছি..?
তখনি ওর পেছন থেকে কেউ বলে,’ মেয়েটি কে ফাহাদ..?’

চলবে,
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে