বিবাহ বিভ্রাট পর্ব-১০

0
2026

#বিবাহ_বিভ্রাট (১০)
**********************
এমন কিছু হয়ে যাবে, আমি তো ঘুনাক্ষরেও ভাবিনি! খালুকে দেখে তো সরলসোজা মানুষই ভাবতাম এতদিন। উনিও যে এমন প্যাঁচ কষবেন, কে জানত?

সবার বাটিতে স্যুপ নেওয়া হয়েছিল। স্যুপ ওভাবেই পড়ে আছে। একমাত্র খালু স্যুপ আর ওন্থন খেলেন। বাকি সব খাবার পড়েই রইল। খালুর এমন কথার পর সবারই খাওয়ার মুড নষ্ট হয়ে গেছে। খালু উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “আমি তাহলে যাই। আমি, আমার ভাইদের সঙ্গে কথা বলে তোমাকে জানাব।”

সিয়াম আর তমাল ভাইয়া উঠে দাঁড়াল। ওরা কোনও কথা বলল না। খালু রেস্টুরেন্ট থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরোহী বলল, “জবা চল।”

সিয়াম বলল, ” শেষ পর্যন্ত কী হল তাহলে? আমি তো আংকেলের কথা কিছু বুঝলাম না। শুক্রবারে কী হবে? শুক্রবারে কী বিয়েটা হচ্ছে না?”

আরোহী বলল, “আমি এখন জবাকে নিয়ে মার্কেটে যাচ্ছি। বিয়ে শুক্রবারেই হবে।”

সিয়াম বলল, “কিন্তু আংকেল যে বললেন…”

আরোহী ওকে থামিয়ে দিয়ে বলল, “আমি তো তোমাকে আগেই বলেছি, আমার কেউ নেই। আমি একা। তুমি সেটা জেনেই সম্পর্কটা এগিয়েছ। এখন আমার আব্বা এসে কী বলল না বলল, তাতে কী তোমার কিছু যায়-আসে?”

সিয়াম বলল, “না আরোহী। আমার কিছুই যায়-আসে না। আমি শুধু তোমাকে দেখেই, তোমাকে পছন্দ করেছি। আমার আর কিছুই চাই না। যেহেতু আংকেল আছেন, আমি শুধু ওনার সঙ্গে একবার দেখা করতে চেয়েছিলাম। মেয়ের বিয়ে হচ্ছে অথচ বাবা জানবেন না, এটা আমার কাছে ঠিক মনে হচ্ছিল না। আমি চেয়েছিলাম, আমাদের বিয়ের দিন উপস্থিত থেকে উনি আমাদের আশীর্বাদ করবেন; কিন্তু এমন কিছু হবে, আমি ভাবিনি।”

আরোহী বলল, “তোমার আর কিছু ভাবার দরকার নেই। বিয়ে শুক্রবারেই হবে। আমরা এখন যাই।”

তমাল ভাইয়া বলল, “তোমরা না খেয়ে যাচ্ছ কেন? জবা, তুমি তো কিছুই নিলে না?”

আমি তমাল ভাইয়ার সঙ্গে এখনও সহজ হতে পারছি না। ওর স্বাভাবিক আচরণটাই আমাকে সহজ হতে দিচ্ছে না। সে যদি রাগ করে দু’টো কথা বলত, তাহলে আমিও স্যরি বলার সুযোগ পেতাম। আরোহী বলল, “তমাল ভাই, আজকে তাড়া আছে। এটুকু খাবার আপনারা দুই বন্ধু মিলে শেষ করে ফেলতে পারবেন। আমরা আজ আসি।”

ওরা আমাদের দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিতে এল। আরোহী, সিয়ামকে বলল, “রাতে কথা হবে। ভালো থেকো।”

নীচে নেমে আসার পর আরোহী বলল, “তোর অন্য কাজ নেই তো?”

“না। কেন?”

“মার্কেটে যাবি তো আমার সঙ্গে?”

“এটা জিজ্ঞেস করার কী হল? আমি তো যাচ্ছিই তোর সঙ্গে। তোর চেহারাটা এমন লাগছে কেন? খালুর ওপর রেগে আছিস?”

“জবা, আগে বাসায় যাব। আব্বার সঙ্গে কথা শেষ করে তারপর কেনাকাটা করব। আব্বার সঙ্গে কথা না বলা পর্যন্ত আমার মেজাজ ঠিক হবে না।”

“বাসায় গিয়ে খালুর সঙ্গে কথা বলার পর তুই আরও রেগে যাবি। চল আগে কেনাকাটা শেষ করি। বাসায় ফিরে ঠান্ডা মাথায় খালুর সঙ্গে কথা বলিস।”

“তোর কী মনে হয় ওনার সঙ্গে ঠান্ডা মাথায় কথা বলা সম্ভব? তুই আমার বাপকে চিনিস না, জবা। আমি ওনাকে খুব ভালো করে চিনি।”

তা তো ঠিকই। আরোহীর আব্বার আজকে যে রূপ দেখেছি, এটা আমি আগে কখনও দেখিনি। বাইরে থেকে মিশলে, মানুষের ভেতরকার চরিত্রটা ঠিকমতো বোঝা যায় না।

“কী রে, উঠে আয়।” আরোহীর কথায় তাকিয়ে দেখি সে রিকশায় বসে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। ওকে জিজ্ঞেস করলাম, “আমরা কোথায় যাচ্ছি?”

“বাসায়, তারপর মার্কেটে।”

আরোহীকে এখন বুঝিয়ে লাভ নেই। সে আগে বাসায়ই যাবে। অগত্যা আমিও রিকশায় উঠে বসলাম।

————————-

খালুকে ডিসপেনসারিতেই পাওয়া গেল। তিনি আরও দুইজন লোকের সঙ্গে বসে কথা বলছিলেন। আমরা ডিসপেনসারির সামনেই নেমে পড়লাম। আরোহী খালুর সামনে গিয়ে বলল, “আব্বা বাসায় আসেন, আপনার সঙ্গে কথা আছে।”

খালু টুল ছেড়ে উঠে বাইরে এসে বললেন, “কী কথা? এখানেই বল।”

“এখানে বলা যাবে না। বাসায় চলেন।”

খালু বললেন, “আমি এখন পাঁচ তলায় উঠতে পারব না। একবারে এশার নামাজ পড়ে তারপর আসব। তখন তোর কথা শুনব।”

“আমার এত সময় নেই। আমাকে এখনই বলতে হবে। আপনার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হবে না। আপনি গ্যারেজে আসেন।” কথাটা শেষ করে আরোহী আমাদের বাড়ির দিকে চলে গেল। আমি আর খালু ওর পিছে পিছে এসে গ্যারেজে ঢুকলাম। খালু চেয়ারে বসলে, আমি ফ্যান চালিয়ে দিয়ে এসে চেয়ার এগিয়ে দিয়ে আরোহীকে বসতে বললাম। আরোহী বসেই জেরা করতে শুরু করল, “আপনাকে আমি সকালে কী বলেছিলাম?”

খালু বললেন, “কিসের কথা?”

“সিয়ামের কথা সকালে বলিনি? বলিনি যে ওরা শুক্রবার বিয়ের দিন ঠিক করেছে। আপনি এতে কোনও আপত্তি করবেন না। বলেছিলাম?”

“হ্যাঁ, বলেছিলি তো।”

“তাহলে আপনি এত বাড়তি কথা কেন বলতে গেলেন? জীবনে কোনোদিন আমার কোনও দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেছেন আপনি? আজ তাহলে এত দায়িত্ব কোত্থেকে এসে হাজির হল?”

“দায়িত্ব পালন না করলে তুই এমনি এত বড়ো হয়ে গেছিস?”

“তিন বেলার খাবার দিলেই দায়িত্ব পালন করা হয় না, আব্বা। যাকগে, আমি আজকে এসব নিয়ে কথা বলতে চাই না। ঐসব আপনার মাথায় ঢুকবে না। এতদিন যখন নিজের দায়িত্ব, নিজেই নিয়েছি, আমার বিয়ে নিয়ে কী করতে হবে, না হবে, সেটাও আমিই ঠিক করব। আপনি টেনশন করবেন না, আপনার কোনও টাকাপয়সা খরচ করতে হবে না আমার জন্য।”

“আরোহী, তুই এইসব কী বলসি! আমার বড়ো মেয়ের বিয়ে আর আমি…..”

“আব্বা, প্লিজ থামেন। এইসব ন্যাকা ন্যাকা কথা আমাকে শোনাতে আসবেন না। আমি শুধু বলতে এসেছি, শুক্রবার সিয়াম আর আমার বিয়ে হবে। ওদের ওখানেই সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওহ, আরেকটা কথা, সিয়ামের কিন্তু এটা দ্বিতীয় বিয়ে। ওর বউ মারা গিয়েছে আর ওর একটা মেয়েও আছে। ভেবেছিলাম ধীরেসুস্থে আপনাকে সব বলব; কিন্তু এখন আর ধীরেসুস্থে বলার মতো পরিস্থিতি নেই। আপনি যদি চান, আমার সঙ্গে যেতে পারেন। না গেলেও ক্ষতি নেই; কিন্তু আপনার ভাই না কোন আত্মীয়কে জানাতে হবে, এইসব কথা আপনি একদম ভুলে যান। কাউকে কিছু জানাতে যাবেন না।”

খালু হঠাৎ রেগে গিয়ে বললেন, “তুই যা বলবি, তাই হবে নাকি? আমাকে সমাজে চলতে হয়। মানুষ যখন জানতে চাইবে, কেন চুপচাপ মেয়ের বিয়ে দিলাম, তখন আমি কী উত্তর দেবো? তার ওপর ছেলেটার দ্বিতীয় বিয়ে মানে কী?”

“কোনও মানে নেই। আমার যখন এতে কোনও সমস্যা নেই, আপনাদেরও সমস্যা থাকার কথা না। আর আব্বা শোনেন, এতদিন যখন সমাজের কথা মনে পড়েনি, আজকে হঠাৎ সমাজ নিয়ে মাথাব্যথার দরকার নেই। আপনি এইসব ঝামেলা করবেন দেখে আমি তো আপনাকে বলতেই চাইনি। সিয়াম আর জবা মিলে এই ঝামেলা পাকিয়েছে। আমি চাই না ঝামেলা আরও বাড়ুক। আমার কাজ আছে। এখন কেনাকাটা করতে যেতে হবে।”

“তুই বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলছিস আরোহী। বাপের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়, সেটাও ভুলে গেছিস?”

“ভুলে যাব কেন, আব্বা? আমি তো শিখিইনি বাপের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়। আমার তো মা নেই। আমাকে তো কেউ আদবকায়দা শেখায়নি। শেখার দরকারও নেই। নিজে থেকে যা শিখেছি, তা দিয়ে ভালোভাবেই দিন চলে যাচ্ছে। আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। জবা চল। আর শোনেন আব্বা, শুক্রবার যদি যেতে চান, আমার বাবা হিসেবে যাবেন। আমাদের দু’জনকে দোয়া করবেন; কিন্তু বাড়তি কোনও কথা বলতে পারবেন না। আর আপনি শুধু একা যাবেন। অন্য কেউ যেন আপনার সঙ্গে না যায়।”

খালু বললেন, “তোর আম্মা যদি যেতে চায়?”

আরোহী ধমকে উঠল, “কবর থেকে উঠে এসে আমার মা কী করে যাবে?”

খালুর মুখটা ম্লান হয়ে গেল। আমার সামনে আরোহী তাঁকে এভাবে অপমান করছে, এটা আমার নিজেরও ভীষণ খারাপ লাগছে। আমার খারাপ লাগলেও কিছু করার নেই। আরোহী হয়ত ওর জায়গায় একদম ঠিক আছে। ঠোকর খেয়ে, খেয়ে বড়ো হয়েছে বলেই ওর ভেতরে কঠিন হৃদয়ের আরেক আরোহী বাস করে। কতটা কাঠখড় পুড়িয়ে আর কত লোলুপ চোখের ঘৃণ্য দৃষ্টি উপেক্ষা করে আরোহী আজকের এই শক্ত অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছে, আমি তো সেটা জানি। তাই এই আরোহীর ভালো-মন্দ মূল্যায়ন করার যোগ্যতা আমাদের কারোরই নেই। আমি আরোহীকে বলতে পারছি না, “আরোহী তুই খালুর সঙ্গে যা করছিস, সেটা অন্যায় হচ্ছে।”

আমি আরোহীকে তাড়া দিয়ে বললাম, “তুই না বললি দেরি হয়ে যাচ্ছে? চল তাড়াতাড়ি। খালু আপনি যান। খালেক চাচারা ডিসপেনসারিতে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।”

—————————

আমরা দুইজন শাড়ি কিনতে বেনারসি পল্লীতে চলে এসেছি। সিয়াম গতকাল বিয়ের কেনাকাটার জন্য আরোহীর হাতে কিছু টাকা দিতে চেয়েছিল; কিন্তু আরোহী টাকাটা নেয়নি। সে সিয়ামকে বলেছে, সিয়ামের যদি কিছু দেওয়ার থাকে, সেটা যেন সে নিজেই কিনে দেয়। নিজের বিয়ের কেনাকাটা সে নিজেই করতে পারবে। আজ ওদের দেখা হওয়ার পর, সিয়াম জোর করে বিয়ের শাড়ি কেনার টাকাটা দিয়েছে। আরোহীকে জিজ্ঞেস করলাম, “কত টাকা দিয়েছে শাড়ির জন্য?”

“জানি না। খামে করে দিয়েছে। আব্বার সঙ্গে ঝগড়া করতেই তো সময় চলে গেল। টাকাটা আর দেখলাম কখন?” কথা বলতে বলতে ব্যাগ থেকে খাম বের করে আমার হাতে দিয়ে বলল, “দেখ তো কত আছে?”

“খাম থেকে টাকার বান্ডিল বের করে দেখলাম পাঁচশো টাকার ঝকঝকে নোট। দেখেই বোঝা যাচ্ছে বান্ডিল ভাঙা হয়নি। বললাম, “তোকে শাড়ি কিনতে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছে।”

“এত টাকা দিয়ে আমি কী করব? আমি তো দশ হাজারের মধ্যে শাড়ি কিনব।”

“কেন, এখন তো ত্রিশ-চল্লিশের নীচে কেউ বিয়ের শাড়ি কেনেই না। আর ডিজাইনার শাড়ি হলে তো লাখ টাকার মতোই পড়ে যায়। সিয়াম ভাইয়া বোধহয় ঐটা চিন্তা করেই টাকাটা দিয়েছে।”

আরোহী বলল, “ডিজাইনার শাড়ি না মাথা। পঞ্চাশ হাজার দিয়ে একটা শাড়ি কিনব একবার পরার জন্য?”

“একবার কেন পরবি? পরেও তো পরতে পারবি।”

“এসব জবড়জং একবার পরেই শেষ। পরে আর কখনো পরা হয় না রে। পার্লারে বউ সাজতে আসে, দেখি তো। এক মন ওজনের লেহেঙ্গা আর শাড়িগুলো কিনে এরা পয়সার কী অপচয়টাই না করে! তোকেও বলে দিচ্ছি, বিয়েতে দশ থেকে বারো হাজার, এর বেশি দিয়ে শাড়ি কিনবি না কিন্তু।”

“আমার বিয়ের কথা বাদ দে। শাড়ি কোত্থেকে কিনবি? অপ্সরায় যাবি?”

“আরে না। পাগল নাকি? ওখানে ত্রিশের নীচে কোনও শাড়িই নেই।”

“তাহলে?”

“চল সামনের দোকনটা থেকে দেখা শুরু করি। কম দামে যেটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ হবে, সেটাই কিনব।”

আমরা দুই-তিনটা দোকান ঘোরার পর, আরোহী বিশ হাজার টাকায় ওর জন্য তিনটা চমৎকার শাড়ি কিনে ফেলল! নামী-দামী দোকান থেকে কিনলে এই তিনটা শাড়িতে অবলীলায় সত্তর-আশি হাজার টাকা পড়ে যেত। ওর শাড়ি কেনা শেষ হলে, সে আমার জন্যেও একটা শাড়ি কিনল ওর টাকা দিয়ে। আমার নিষেধ কিছুতেই শুনল না। এরপর একটা জামদানী কিনে যখন আমাকে বলল, “আমি দিলে আন্টি হয়ত নেবেন না। এটা তুই আন্টিকে দিস।”

আমার মা’র জন্য ওকে শাড়ি কিনতে দেখে আমি খুব অবাক হলাম। বললাম, “মা’র জন্য তুই শাড়ি কিনবি কেন?”

“আমার কিনতে ইচ্ছা করল তাই কিনলাম। তোর কোনও সমস্যা?”

“আচ্ছা ঠিক আছে, মা’র শাড়ির পেমেন্ট তোকে করতে হবে না। আমি করছি।”

আরোহী আমার কথা শুনলই না। পেমেন্ট শেষ করে শাড়ি নিয়ে দোকান থেকে বের হয়ে বলল, “আন্টি আমাকে বকাঝকা করুক আর যা-ই করুক, আমাকে সহ্য করতে না পারুক, তারপরও ছোটোবেলা থেকে এই পর্যন্ত যা আদর পেয়েছি, তোদের বাড়ি থেকেই পেয়েছি। আন্টির জন্য এটুকু করতে দে আমাকে।”

ওর আবেগের জায়গাটুকু আমি নষ্ট করে দিতে চাই না। আরোহীকে বললাম, “এতদিন যখন এত বকা সহ্য করেছিস, এবার না হয় আরেকটু সহ্য করলি। শাড়িটা তুই নিজেই মা’কে দিস। সেটাই বেশি ভালো হবে।”

যতক্ষণ মার্কেট খোলা ছিল, আমরা ঘুরে, ঘুরে জিনিসপত্র কিনলাম। দুজনার হাত ভরা শপিংব্যাগ। রাস্তায় দাঁড়িয়ে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছি। আরোহী কথা বলেই যাচ্ছে। শুক্রবারে বিয়ে, এই খুশিতে ওর চোখেমুখে একটা আলাদা ভাব ফুটে উঠেছে। আমি ওকে দেখছি আর ভাবছি শুক্রবারে ঠিকঠাক মতো বিয়েটা হবে তো?………………………..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে