বক্ষ পিঞ্জর পর্ব-১১+১২

0
930

#বক্ষ পিঞ্জর
#Anaisha_Ehmat
#পর্বঃ১১+১২

“স্টেজের কাছে গিয়ে রাত ভাইয়া আভা আপুর সাথে ছবি তুলে নিলাম। তারপর এখানেই বসে আছি। কিছুক্ষন পর আমার খালাতো বোন ইভা এসে বলল, আপু একটু ওইদিকে চলো না কথা আছে তোমার সাথে।”

“কেন কি কথা! কি বলবি এমন যে ওইদিকে যেতে হবে। ব্রু কুচকে বললাম। ”

“আরে আপু প্লীজ চলোনা।”

“আচ্ছা চল। তারপর ওর সাথে সেন্টার এরকটা বেলকনি আছে ওইদিকে গেলাম। ও আমার ছোট, ক্লাস নাইনে পড়ে। ”

“বল এখন কি বলবি।”

“আসলে আপু আমি বলছিলাম কি আবির ভাইয়া আছেনা ওনাকে আমার অনেক ভালো লাগে। বলেই লজ্জা রাঙা মুখ টা নিচু করে ফেললো ইভা। ”

“কীহ! কি বললি তুই। তোর কি মাথা ঠিক আছে রে।খালামনি তোকে কি খাইয়ে বড় করেছে রে। পিচ্চি একটা মেয়ে কিসব বলছিস।”

“আ আপু প্লীজ সেটিং করিয়ে দাওনা। আমি ওনার সাথে প্রেম করতে চাই”

“ওর এই কথা শুনে আমি তাজ্জব বনে গেলাম। পাশা পাশি হিংসেও হচ্ছে। মুখ টা মলিন হয়ে গেলো তাও রেগে ইভা কে বললাম, আর একবার ওই আবির টাবির কে নিয়া কথা বলবি তোর খবর আছে। বলেই হন হন করে সেখান থেকে চলে আসলাম।”

“হেই রাত্রি কোথায় যাচ্ছো। পেছন থেকে ফয়সাল বলল।”

“শুশুর বাড়ি যাচ্ছি যাবেন। চলেন বউ সাজিয়ে নিয়ে চলি আমার সাথে। দাঁতে দাঁত চেপে বললাম।”

“ফয়সাল এর কাশি উঠে গেলো। আর বলল, এই মেয়ে কী বলছো এসব। আর তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে তুমি রেগে আছো। কি হয়েছে জানতে পারি। আর কি বললে বউ সাজিয়ে আমাকে নিয়ে যাবে। তা তো হচ্ছেনা আমি জামাই সাজবো আর তুমি বউ তারপর আমার বাড়ি নিয়ে যাবো তোমাকে কি বলো। এমনিতেও আজকে তোমাকে বউ এর চেয়ে কোনো অংশে কম লাগছেনা। আমার তাতেই হবে তুমি কি বলো।”

“ঘোড়ার ডিম করবেন আপনি সরেন এখান থেকে।একদম পিছু পিছু আসবেন না। নাক ফা’টিয়ে দিবো একদম। বলেই চলে আসলাম একটা কর্ণারে। এসে চুপ করে বসে গেলাম।”

“যাক বাবা চলে গেলো এই মেয়ের এতো রাগ কেনো। ব্রু কুচকে ফেললো ফয়সাল তারপর ও অন্যদিকে চলে গেলো।”

“কিছুক্ষন বসে থাকার পর আবির ভাইয়া এলো সেখানে। আর বলল, কি ব্যাপার একা এভাবে এখানে বসে আছো কেনো। ”

“নিশ্চুপ রাত্রি।”

“কি হয়েছে মুখটা ভার করে রেখেছো কেনো। বলো কি হয়েছে।”

“কিছু হয়নি। এই এই আপনাকে কে বলেছে এতো সুন্দর হতে হ্যাঁ। খুব ভালো লাগে তাই না জামাইর মতো সং সেজে থাকতে। মেয়েদের কে নিজের স্মার্টনেস টা দেখাতে খুব ভালো লাগে তাই না। এক নাগারে কথা গুলো বলে ফেললাম।”

“কি বললে। ব্রু কুচকে বলল আবির ভাইয়া। ”

“যখন বুঝতে পারলাম আমি কি বলে ফেলেছি রেগে তখন যেনো লজ্জায় ম’রে যেতে ইচ্ছে করছে৷ আমতা আমতা করে বললাম ক কই কি বলেছি কিছু বলিনি তো। ”

“আর ইউ সিউর কিছু বলোনি। ”

“হুম হুম কিছু বলিনি। আমি যাচ্ছি আমি থাকুন। বলেই উঠে দাঁড়ালাম। অমনি আবির ভাইয়া হাতে টান দিয়ে ধরলো।”

“আর বলল, কি হয়েছে চলে যাচ্ছো কেনো। আমি কিছু জিজ্ঞাসা করেছি উত্তর দিয়ে যাও। রেগে আছো কেনো? কি হয়েছে, কেও কি কিছু বলেছে? আর আমাকে ওই কথা গুলো বললে কেনো।”

“না কেও কিছু বলিনি। আমি রেগে নেই। আর আমি আবার আপনাকে কি বললাম। হইতো এমনি কিছু বলে ফেলেছি। খেয়াল করিনি কি বলেছি। সরি! ”

“স্টপ লায়ার। আজকাল মিথ্যে বলাও শিখে গেছো দেখছি।”

“কই কি মিথ্যে বলেছি।”

“তাহলে বলছোনা কেনো কি হয়েছে। ”

“কিছু হয়নি বললাম তো।”

“আবার!”

“ভয় পেলাম কিছুটা তারপর ক্ষীন সুরে ইভার বলা কথা গুলো বললাম। এসব শুনে আবির ভাইয়া যেনো হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার অবস্থা। কিন্তু তাও সেটা নিঃশব্দে হাসি। ”

“কি ব্যাপার এতে হাসির কি হলো এভাবে ঠোঁট চেপে হাসছেন কেনো।”

“এই জন্য তুমি রেগে আছো? ”

“না আমি রেগে নেই। আমি রাগবো কেনো।”

“তারপর আবির ভাইয়া আমাকে হাতে টান দিয়ে আর একটু কাছে নিয়ে গেলো তার। আর বলল, জেলাস ফিল করছো বুঝি?”

“এভাবে কাছে টেনে নেওয়ায় কিছুটা নার্ভাস হয়ে গেলাম আমি। আর বললাম, জেলাস ফিল হবে কেনো। আমি কি আপনার প্রেমিকা নাকি যে আমার জেলাস ফিল হবে।”

“হতেও পারো সমস্যা কি।”

“মানে!”

“মানে কিছুনা। ইভা ছোট মানুষ কি বলতে কি বলে ফেলেছে তাই নিয়ে তুমি এতো ভেবে মুড স্লাং করো কেনো।”

“আমি মোটের মুড স্লাং করিনি। দেখি ছাড়ুন হাত। মানা করেছি না এভাবে হুটহাট করে হাতে ধরবেন না।”

“তাতে কার কি সমস্যা আমি কি কাওকে ভয় পাই নাকি যে তার ভয়ে গুটিয়ে থাকবো। আর হ্যাঁ আমার আর রাতের বন্ধু বান্দব আছে এখানে। তাদের সাথে বেশি কথা বলার প্রয়োজন নেই। দূরে থাকবে তাদের থেকে। চুপ চাপ গিয়ে বোনদের সাথে বসে থাকো একটু পরে খেতে চলে যেও আমি আছি এখানেই।”

“আচ্ছা ঠিক আছে। আমি জানি তো ভাইয়া যে আপনাকে এসব বলে দিয়েছে। তাইতো সিসি ক্যামেরার মতো চোখ দুটো আমার দিকে দিয়ে রাখছেন।”

“মোটেও রাত কিছু বলে দেয়নি। আমার প্রোপার্টি কিভাবে আগলে রাখতে হয় সেটা আমি খুব ভালো করে জানি। এর জন্য কারও রুলস নেওয়ার প্রয়োজন হয়না আমার।”

“আপনার প্রোপার্টি মানে কি বলতেছেন কিছু বুঝলাম না।”

“তোমাকে বুঝতে হবেনা যাও। ”

“একটা কথা বলবো ভাইয়া।”

“কি বলো৷ শুনার অনেকটা আগ্রহ নিয়ে তাকালো।”

“ওইদিন ট্যুর এ যাওয়ার সময় যখন আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন সেদিন ভাইয়া আপনাকে কিছু বলেনি কেনো?”

“কি বলবে। আমি কি খারাপ কিছু করেছি নাকি যে আমায় কিছু বলবে। আর জড়িয়ে ধরেছি সেটা তো তোমার শরীরের কন্ডিশন দেখেই ধরেছি। এখানে রাতের কি বলার থাকতে পারে।”

“ওনার কথার আগা গুড়া কিছু বুঝিনা আমি তাও বললাম ওহ আচ্ছা আসি তাহলে। বলেই অন্য দিকে চলে এলাম।”

“পাগলি মেয়ে আর একটা বছর অপেক্ষা করো সব কিছু জানতে পারবে৷ বলেই আবির চলে গেলো অন্য দিকে। ”

“কিছুক্ষন পর খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবারও স্টেজে চলে আসলাম এখন বিয়ে পড়ানোর পালা। ফয়সাল ভাইয়া আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে বলল, বিয়েটা আমরাও সেরে ফেলি কি বলো।”

“রেগে তাকালাম তার দিকে। ফয়সাল ভাইয়া বলল, সরি। এভাবে তাকাও কেনো ভয় পাই তো।”

“বিয়ে করবেন না চলেন বিয়ে করিয়ে দেই একিটা ভিক্ষুক ডেকে এনে।”

“হুয়াট! আমি ভিক্ষুক কে বিয়ে করবো।”

“জি করবেন। কেনো কোনো সমস্যা।”

“অপমান করছো কিন্তু।”

“হ্যাঁ করছি তো কি করবেন।”

“কি আর করবো তোমাকে বিয়ে করবো।”

“আবারও এক কথা এবার কিন্তু খুব খারাপ হবে। ”

“তারপর আর কথা বলেনি ফয়সাল ভাইয়া। বিয়ে পড়ানো শেষে আমরা ভাইয়া আর ভাবিকে নিয়ে মানে আভা আপুকে নিয়ে আমাদের বাসায় চলে এলাম। এখন থেকে তো আমার ভাবি তাইনা। আর আপু ডাকা যাবেনা। গাড়িতে আমি রায়াফ আভা আপু আর ভাইয়া পেছন সিটে বসেছি। ইচ্ছে না থাকা সত্বেও আভা আপু জোর করে পেছনে বসালো। পুরো রাস্তা রায়াফ আভা আপুর সাথে হাসা হাসি করতে করতে এলো। ”

“রাতে আমি আমার কাজিন গুলোকে নিয়ে ভাইয়ার বাসর ঘর সাজাতে গেলাম। সাজানো শেষে আভা আপুকে রুমে বসিয়ে বাইরে আমরা এসে দাঁড়িয়ে রইলাম। ভিতরে রায়াফ ও আভা আপুর সাথে বসে আছে।”

“কিছুক্ষন পর বড় খালার বড় ছেলের বউ মানে আমার আরেক ভাইয়ার বউ এসে ভাইয়া কে দরজায় দাঁড় করালো। সব কাজিনরা চেচামেচি শুরু করলো টাকা না দিলে দরজা খুলে দিবেনা। রাত ভাইয়া ধমক দিলো, তোরা সরবি নাকি মা’ইর খাবি কোনটা।”

“তাও কেও ভয় পেলোনা। কিন্তু আমি সরে এলাম সেখান থেকে। ভাইয়া না পেরে আমাকে ডাক দিলো আর আমার হাতে আর ইভার হাতে ১৫,০০০ টাকা দিয়ে বলল নে সবাই মিলে নিয়ে নিবি। সবাই খুশিতে লাফিয়ে উঠলো। দরজা খুলে দিলে ভাইয়া ভিতরে চলে গেলো। ”

“ভিতরে গিয়ে ভাইয়া বলল, কিরে তুই এখানে। ”

“রায়াফ বলল, ভাইয়া বলেছিলাম না আভা আপুকে না মানে থুক্কু সরি ভাবি কে আমাদের বাসায় একবারে নিয়ে আসবো আমার সাথে খেলার জন্য। তাই আমি এখানে আমি খেলবো ভাবির সাথে আর তুমি অন্য রুমে গিয়ে ঘুমাও যাও তো। ”

“দাঁড়া তোর হচ্ছে আজ। বলেই রায়াফ কে মারতে গেলো রাত ভাইয়া। ”

“রায়াফ ভয়ে ভাবির পেছনে লুকিয়ে গেলো আর বলল, দেখেছো ভাবি তোমার সামনে আমাকে মারতে আসছে।”

“আভা আপু মানে ভাবি রাত ভাইয়ার দিকে এক পলক তাকিয়ে কিছু একটা ইশারা দিলো। তারপর ভাইয়া আর কিছু বলেনি। তারপর সবাই রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম। ”

“আমি আমার রুমে আসতেই সেই নাম্বার টা থেকে মেসেজ আসলো, এখনো জেগে আছো জানি। কিন্তু জেগে থাকা যাবেনা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ো।”

“মাথা টা গরম হয়ে গেলো এই মেসেজ দেখে। তাই রিপ্লাই দিলাম, তোর কি আমি জেগে থাকলে বা’… মার্কা কথা বলতে আসছে। চিনিনা জানিনা যত্তসব। মেসেজ টা লিখেই ঘুমিয়ে পড়লাম।”

“এভাবে ২ দিন কেটে গেলো। মেহমান রা চলে গেছে অনেকেই। শুধু ইভা আর তার আম্মু মানে আমার ছোট খালা মনি আছে বাকি সবাই হাওয়া হয়ে গেছে। দুইদিন পর রাত ভাইয়া আভা ভাবি তাদের বাসায় যাবে তাই ওদের বাসা থেকে লোকজন এসেছে। আব্বু বলেছিলো এই অনুষ্ঠান টাও সেন্টার এ করবে। কিন্তু দুলাল আংকেল মানা করেছেন। মানে আবির ভাইয়ার আব্বু মানা করে দিয়েছেন। তাই বাসায় অনুষ্ঠান টা হচ্ছে। ”

“বিকাল বেলা তারা যাওয়ার জন্য তৈরি হলো, সাথে আমি ইভা রায়াফ ও রেডি হয়েছি। রাত ভাইয়া বলেছে নিয়ে যাবে তাই রেডি হইলাম। ”

“রাতে আবির ভাইয়া দের বাসার ছাদে মজলিস করা হলো। সারা রাত নাকি এখানে সবাই আড্ডা দিবে। রাত ভাইয়া বলল, একদম এসব করা যাবেনা সব কয়টা গিয়ে ঘুমাবি যা।”

“রাত থাক না সব সময় তো ওরা পড়াশুনা করে । আজ না হয় আড্ডা দিক। আবির ভাইয়া রাত ভাইয়া কে বলল। ”

“রাত ১১ টা আভা ভাবি আর রাত ভাইয়া ঘুমাতে চলে গেলো আভা ভাবির রুমে। আমি ফয়সাল ভাইয়া আবির ভাইয়া রায়াফ ইভা ফারিয়া আপু আর আছে আবির ভাইয়ার ফুপাতো ভাইবোন রা। সবাই মিলে ছাদের একটা কোণে বসে পড়েছি। ভাবছেন কোথায় বসেছি। হ্যাঁ এখানে একটা বসার যায়গা করা আছে উপরে টিনের ছাদের মতো দেওয়া আর পাশে কিছু নেই নিচে সোফার মতো করে সিমেন্ট দিয়ে বানানো। সবাই এখানে বসে আছি। রায়াফ আমার কুলে মাথা রেখে শুয়ে পড়েছে। ”

“আচ্ছা আপু আমার মাথা টা একটু ম্যাসেজ করে দাওনা। রায়াফ এর কথায় এখানের সবাই হেসে দিলো। ”

“আমি রায়াফ এর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকলাম।”

“ফয়সাল ভাইয়া বলল, আমরা এখন খেলবো। বেশি বড় খেলা না ছোট খেলাই হবে। সবাই হাসতে হাসতে লাগলো।”

“হাসি থামাও সবাই গেইম হলো এক এক করে দবাই গান গাইবে। কেও নাচতে চাইলে বলবা আমি স্পিকার এনে গান বাজিয়ে দিবো।”

“আমি আমি নাচবো। রায়াফ বলল।”

“একদম মা’ইর দিবো চুপ করে বস এখানে। আমি রায়াফ কে বললাম। রায়াফ দমে গেলো।”

“আবির ভাইয়া তার গিটার টা নিয়ে এসে ফয়সাল ভায়া কে দিলো। এক এক করে সবাই গান গাইতে শুরু করলো। ৫ম টাইম আবির ভাইয়ার পালা এলো গান গাওয়ার। ওনি গান শুরু করলেন। ”

*তুমি না ডাকলে আসবোনা
কাছে না এসে ভালোবাসবোনা।

দূরত্ব কি ভালোবাসা বাড়ায়
নাকি চলে যাওয়ার বাহানা বানায়।

দূরের আকাশ নীল থেকে লাল
গল্পটা পুরনো।

ডুবে ডুবে ভালোবাসি
তুমি না বাসলেও আমি বাসি।

ডুবে ডুবে ভালোবাসি
তুমি না বাসলেও আমি বাসি।

এটা কি ছেলে খেলা
আমার এই সপ্ন নিয়ে,
চাইলে ভেঙ্গে দেবে গুড়ে দেবে ইচ্ছে হলে।

আমি গোপনে ভালোবেসেছি
বাড়ি ফেরা পিছিয়েছি
তোমায় নিয়ে যাবো বলে।

এক বার এসে দেখো
এসে বুকে মাথা রেখো
ভুলে দেবো ছুয়ে রেখে হাত।

দূরের আকাশ নীল থেকে লাল
গল্পটা পুরনো।

ডুবে ডুবে ভালোবাসি
তুমি না বাসলেও আমি বাসি।

ডুবে ডুবে ভালোবাসি
তুমি না বাসলেও আমি বাসি।

পূরন ও হতে হতে তোমাকেই দেখার আশায়
শেষ ছবিটা দেখে বারে বারে আর দেখি।

আমি গোপনে ভালোবেসেছি
বাড়ি ফেরা পিছিয়েছি
তোমায় নিয়ে যাবো বলে।

একবার এসে দেখো
এসে বুকে মাথা রেখো
ভুলে দেবো ছুয়ে রেখে হাত।

দূরের আকাশ নীক থেকে লাল
গল্পটা পুরনো।

ডুবে ডুবে ভালোবাসি
তুমি না বাসলেও আমি বাসি।

ডুবে ডুবে ভালোবাসি
তুমি না বাসলেও আমি বাসি।

ডুবে ডুবে ভালোবাসি
তুমি না বাসলেও আমি বাসি।

ডুবে ডুবে ভালোবাসি
তুমি না বাসলেও আমি বাসি।

“সবাই একসাথে হাত তালি দিয়ে উঠলো। কিন্তু আমি যে এখানে আছি সেটাই যেনো আমি ভুলে গেলাম। গান গাওয়ার পুরোটা সময় আমি আবির ভাইয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আবির ভাইয়াও এক মিনিট এর জন্য আমার থেকে চোখ সরায় নাই। এটা আর কেও খেয়াল করলো কিনা জানিনা তবে ফরসাল ভাইয়া ঠিকি দেখেছে। ”

“আপু চুপ করে আছো কেনো। রায়াফ এর কথায় হুশে ফিরলাম। হুম হুম বল কি হয়েছে। ”

“ভাইয়া এতো সুন্দর একটা গান গাইলো আর তুমি চুপ করে আছো।হাত তালি দাও।”

“রায়াফ কে এক হাতে আকড়ে ধরে বললাম। ভাই শুন শুধু যে হাত তালি দিয়ে কারও প্রশংসা করতে হয় সেটা বড় কথা নয়। তার গানের প্রশংসা নিশ্চুপ থেকেও করা যায় সেটা তুই বুঝবিনা। এভাবে প্রশংসা করার চেয়ে তার গানের অর্থ গুলো ভাষাগুলো উপলব্দি করতে পারা টায় হলো বেস্ট আমি মনে করি। সবার কথা আমি জানিনা। আর যদি বলতেই হয় তাহলে বলছি খুব সুন্দর হয়েছে। ”

“আবির ভাইয়া যেনো ঠোঁট চওড়া করে শব্দ ছাড়া হাসলো। তার হাসিটা দেখে মনে হচ্ছে সে যেনো খুব বড় কিছু শুনে ফেলেছে খুবই আনন্দময় সেই হাসি।”

“এবার রাত্রি গান গাইবে ফয়সাল বলল।”

“সরি ভাইয়া আমি গান জানিনা। মাফ করবেন প্লীজ।”

“মুহূর্তের মধ্যেই যায়গা টা নিরব হয়ে গেলো। রায়াফ বলল, আচ্ছা আপু আসলেই গান পারেনা। ডিসকোয়ালিফাই আপু। ”

“আবির ভাইয়া বলল, আচ্ছা ফয়সাল থাক না বাদ দে। তুই শুরু কর। ”

“ফয়সাল ভাইয়া গান শুরু করলো।…

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে