বউ চুরি
পর্ব ঃ ১৫
লেখিকা ঃ জান্নাতুল নাঈমা
ইমন গভীর দৃষ্টিতে মুসকানের দিকে তাকালো। অমন দৃষ্টিতে চোখ রাখার সাহস মুসকানের হলো না চোখ সরিয়ে নিলো সে।
ইমন মুচকি হাসলো……..
মুসকান এদিকসেদিক তাকিয়ে আবারো ইমনের দিকে তাকিয়ে বললো- কিছু কি হয়েছে? তখন এমন করলে কেনো?
ইমন ওঠে বোসলো মুসকানকে কাছে টেনে নিয়ে বুকের সাথে মিশিয়ে ফেললো।
মুসকান.. কখনো আমায় ছেড়ে যাবে না তো??
ইমনের হঠাৎ এমন প্রশ্নে মুসকান ঘাবড়ে গেলো।
আমাকে কি এখনো বিশ্বাস করছেনা…… ( মনে মনে )
কি হলো বলো?
মুসকান দুহাতে গভীর ভাবে জরিয়ে ধরলো ইমনকে। বুকে মাথা রেখে চোখ বুঝে বললো- অমন ভুল করার সাহস আমার আর হবে না..।
ইমনের বুকের বা পাশে কান পেতে আছে মুসকান তার হৃদস্পন্দন গুলো গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সেই সাথে নিজের হৃদস্পন্দনের ও গতি বেড়ে চলেছে।
ইমনের অশান্ত মন যেনো শান্ত হয়ে গেছে। মুসকানের এই একটা কথাতেই তার ভয় অনেক টাই কেটে গেছে ।
ইমন বললো- মুসকান যদি কখনো তোমার আসল বাবা -মা আসে তোমার কাছে তাহলে তুমি কি করবে….?
মূহুর্তেই মুসকান ইমন কে ছেড়ে ওঠে পড়লো।
চোখ গুলো বেশ ভয়ার্ত আর অসংখ্য প্রশ্নে ভরা চাহনীতে তাকালো ইমনের দিকে।
ইমনের ও খানিকটা গলা শুকিয়ে গেছে। করুন চোখে তাকালো মুসকানের দিকে। এতোটা অসহায় বোধ হয় তার আর কখনো লাগে নি।
মুসকান কাঁপা কাঁপা গলায় বললো – কি বলছো?
ইমন নিজেকে একটু স্বাভাবিক করে নিয়ে বললো –
একসপ্তাহ হলো ঢাকায় একজন লোক এসেছে। বয়স ৫০ হবে বা তার বেশি। লোকটা ময়মনসিংহ থেকে এসেছে। আর আমার খোজ করছে শুধু যে আমার তা না রূপম ভাইয়ার খোজ ও করছে। সঠিক ঠিকানা না থাকায় হয়তো আমার কাছে পৌঁছাতে পারছে না।
মুসকান কাঁপা গলায় বললো- লোকটা কে??
ইমন একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো- হয়তো তোমার বাবা।
মুসকান কথাটা শুনে নিজের দুকান দুহাতে চেপে ধরলো।
না….. ওনি আমার বাবা না। ওনি আমার বাবা না আমার বাবা তো বিদেশে আছে। আমি আর কাউকে বাবার জায়গা দিতে পারবো না। আর কাউকে মায়ের জায়গা দিতে পারবো না। প্লিজ আমাকে তুমি এসব কথা আর বলো না আমি সহ্য করতে পারিনা। চিৎকার করে বলেই অঝরে কাঁদতে লাগলো।
ইমন মুসকানকে একদম কাছে টেনে বুকে চেপে ধরলো । এই পাগলি কি হয়েছে কাঁদছো কেনো?
ভয় পাচ্ছো কেন কিছু হবে না আমি আছিতো।
মুসকান ইমনের শার্ট খামচে ধরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠলো।
আমি কোথাও যাবো না, কোথাও না । আমি আম্মু,মামনি,বড় বাবা,ভাইয়া,দিপু,তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না। এক মনে বলে যাচ্ছে আর কেঁদে চলেছে।
মুসকানের এই কান্নামাখা কথাতে ইমনের বুকটা একদম প্রশান্তি তে ভরে গেলো। ঠোঁটে এক চিলতে হাসির রেখা ফুটে ওঠলো।
মুসকানকে আরো শক্ত করে নিজের সাথে জরিয়ে নিলো।
নাহ আমি যা ভেবেছিলাম ভুল সত্যিতো জন্মের পর থেকে এবাড়ির সবাইকে দেখে বড় হয়ে ওঠেছে। সবার আদর ভালবাসায় বড় হয়েছে। শুধু জন্ম দিলেই বাবা – মা হওয়া যায় না।
রক্তের সম্পর্কই বড় সম্পর্ক নয় আত্মার সম্পর্কই বড়।
এবাড়ির সাথে ওর রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও আত্মার সম্পর্ক গড়ে ওঠেছে। আর সব থেকে বড় কথা ও আমার বউ। ওর ওপর এখন সবার আগে আমার অধিকার।
এই বোকা মেয়ে………….. কে বলেছে আমাদের ছেড়ে যেতে ?
আর তুমি গেলেই আমরা যেতে দিবো কি করে ভাবলে?
তুমি তোমার স্বামীকে কি এখনো চিন্তে পারলেনা??
মুসকানের কান্না থেমে গেলো। বুকে মাথা রেখেই বললো- আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না… পারবো না তোমায় ছেড়ে থাকতে…. আমার আর কাউকে চাইনা। তোমরা থাকলেই হবে। যাদের চিনি না জানিনা তাদের কাছে কেনো যাবো আমি। যাদের কখনো দেখিইনি… আর তারা এতোবছর পর কেনো এলো হঠাৎ? এতোবছর তো এলো না। আমি ওদের চাইনা… এটাই আমার বাড়ি এখানেই আমার সব রয়েছে। আমি আর কোথাও যাবো না। মুসকান এক দমে কথা গুলো বলে থেমে গেলো।
ইমন কিছুক্ষনের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেলো।
সত্যি তো এই কথাটা তো আমার মাথা থেকে বেরিয়ে গেছিলো। এটা তো আমার মাথায় আসেনি।
আর মুসকান কে আমার নিয়ে আসার ব্যাপারে তো একজনই জানতো আর সে হলো ওর নানী। ওর মা ও তো জানতো না। তাহলে ঐ লোকটা কে কি চাই ওনার। যে করেই হোক আমাকে জানতে হবে। বাবা যা করেছে একদম ঠিক আমি সব ঝামেলা শেষ করেই অফিস যাবো। আগে আমার হৃদপিন্ড টা স্বস্থিতে রেখে নেই। এমনি এমনি আমি সব কাজ ফেলে আসিনি আজ।
এই একটা পুচকে মেয়ে যে আমার কাছে কতোটা ইমপরটেন্ট সেটা শুধু এক উপরওয়ালাই জানে। সব ঝামেলা মিটাবো, সব টেনশন দূর করবো তারপর বড় করে অনুষ্ঠান করে আবারো তৃতীয় বার বিবাহ সম্পন্ন করবো। এক বউকেই তিনবার বিয়ে।
সুখের একটা সংসার সাজাবো…. আমার পিচ্চি বউ এর কোল আলো করে একটা পুচকি আসবে। আমি সামলাবো বউ আর বউ সামলাবে আমার সন্তান কে।
আমার এতো স্বপ্নের মাঝে আরেকটা বাঁধা কোনভাবেই আসতে দিবো না। এর জন্য যা করতে হবে যে অবদি যেতে হবে আমি এই ইমন চৌধুরী যাবো। মনে মনে এসব কথা ভেবে ইমন মুসকানকে বললো-
মুসকান ওঠো কেঁদো না যেই আসুক না কেনো তুমি এটা ভেবো না যে তোমাকে দিয়ে দিবো বা তারা তোমায় নিয়ে যাবে। বউ তুমি আমার। তুমি শুধু এ বাড়ির মেয়ে না এবাড়ির বউ তুমি।
মোজাম্মেল চৌধুরীর একমাএ পুএবধূ তুমি। তোমার উপর এ বাড়ির লোকের ই সবার আগে অধিকার।
বলেই মুসকানের চোখের পানি মুছে দিলো।
যাও এবার মায়ের কাছে গিয়ে কাজে একটু হেল্প করো কেমন। আমার কিছু কাজ আছে সেগুলো ও আমি সেরে নেই।
বলেই মুসকানের কপালে আলতো করে চুমু খেলো।
মুসকান সব চিন্তা দূর করে দিলো। ইমন থাকতে তার আর কোন চিন্তা নেই। চোখ বুঝে ভরসা করার মতো মানুষ তার আছে। ভেবেই নিচে চলে গেলো।
এদিকে ইমন তার কিছু বন্ধু দের ফোন করে লোকটাকে কড়া নজরে রাখতে বললো। আর বললো এক সপ্তাহ আমি বাড়িতে রিল্যাক্সে কাটাতে চাই।
সব কাজ বাদ রেখে। কেউ যেনো আমাকে ডিসটার্ব না করে খেয়াল রাখিস।
রাতে সবাই মিলে একসাথে ডিনার করলো।
সবাই বেশ খুশি ইমন সব কাজ অফ করে বাড়ির সবাইকে সময় দিবে । মইন চৌধুরী ও দুদিন বাদে ফিরবেন । বাড়িটা আবারো রমরমা হয়ে ওঠেছে।
ইমন ইউটিউবে শাড়ি পরানো শিখে নিচ্ছে। একদিন শাড়িতে বউ দেখে তার মন ভরে নি । সে চায় প্রতিদিন তার বউকে শাড়ি পড়া দেখতে।
মুসকান রুমে এসে বিছানা ঠিক করে ইমনের দিকে তাকালো।
ইমনও একবার তাকিয়ে ওঠে পড়লো।
শাড়ি পড়তে পারোনা তুমি তাইতো……
না তো কাল তো আম্মু পড়িয়ে দিয়েছিলো।
হুম আমি মায়ের রুম থেকে আসছি….. তুমি শাড়ির সাথে আর যা যা পড়া লাগে পড়ে নাও। কথার নড়চর যেনো হয়না তাহলে কপালে দুঃখ আছে….
বলেই ইমন রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
মুসকানের চোখ কপালে….. এ আবার কেমন থ্রেড। শাড়ি পড়া নিয়ে থ্রেড দিয়ে গেলো ?।
মুসকান তারাহুরো করে ব্লাউজ,পেটিগোট পড়ে নিয়ে ওড়না দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখলো।
ইমন ইরাবতীর থেকে একটা জাম কালারের কাতান শাড়ি নিয়ে রুমে এলো । আর ঠিক করলো কালকেই মুসকানের জন্য শাড়ি কিনতে যাবে সে।
রুমে ঢুকেই মুসকানকে দেখে ইমনের বড্ড হাসি পেলো। একদম পুতুল পুতুল লাগছে তোমাকে…
মুসকান লজ্জা পেয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো।
ইমন মুসকানের কাছে এসে ওড়নায় হাত দিতেই মুসকানের বুকের ভিতর ধুকপুকানি শুরু হয়ে গেলো।
ইমন ওড়নাটা সরাতেই মুসকান চোখ দুটো বন্ধ করে ফেললো।
ইমন শাড়িটা যতোক্ষন পড়াচ্ছিলো ততোক্ষন মুসকানের চোখ দুটো বন্ধই ছিলো শাড়ি পড়ানো শেষে ইমন বললো –
এই যে এখন চোখ টা খুলেন। একদিন শাড়ি পড়েতো পাগল করো দিয়েছেন । এখন থেকে রোজ শাড়ি পড়বেন ওকে। আজ আমি পড়িয়ে দিলাম এরপর নিজেও শিখে নিবেন।
মুসকান চোখ খুললো –
আমি শাড়ি সামলাতে পারিনা হাঁটতে পারিনা…. ( আল্হাদী স্বরে বললো)
ইমন মুসকানকে বিছানায় বসাতে বসাতে বললো-
কি পারেন আপনি, কি সামলাতে পারেন তাহলে কোন কিছুই তো সামলাতে পারেন না আধাঘন্টা আদর ই সহ্য করতে পারেন না কান্না কাটি জুরে দেন। এখন থেকে সব কিছু সামলাতে শিখুন। সবার আগে বরকে সামলান বলেই ইমন ড্রেসিং টেবিলের সামনে চলে গেলো।
মুসকান লজ্জায় লাল হয়ে গেছে ইমনের কথা শুনে তার পুরো শরীর শিউরে ওঠেছে। ধ্যাত বলেই চোখ দুটো দুহাতে বন্ধ করে ফেললো।
ইমন চিরুনি নিয়ে এসে মুসকানের পিছনে বোসলো।
চুলগুলো বড্ড এলোমেলো হয়ে আছে। রাতে চুল খুলে ঘুমাবে না…… মুসকানের কানের কাছে এসে আস্তে করে বললো- এগুলোও বড্ড জ্বালায় আমাকে বলেই চুলগুলো আচড়াতে শুরু করলো।
মুসকানের পুরো কান জুরে শিহরন বয়ে গেলো। লজ্জায় তার মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করছে। সেই সাথে বড্ড ভালোও লাগছে তার।
স্বামীর এতো ভালবাসা এতো আদর পেতেও অনেক ভাগ্য নিয়ে জন্মাতে হয়। এইদিক থেকে সে ভাগ্যবতী।
নিজ হাতে শাড়ি পরিয়ে দেওয়া চুল আঁচড়ে দেওয়া স্বামী কজনের ভাগ্যে জোটে???
মুসকান সুখের সাগরে ভাসতে শুরু করলো। ইমন তার চুল আঁচড়ে সেগুলো বেনুনি বেঁধে দিলো।
এসব কাজ সে কখনো করেনি। শুধুমাএ মুসকানের জন্যই এসব ইউটিউব ঘেটে ঘেটে শিখে নিয়েছে।
সেদিন ও তাদের ভালবাসাময় রাত কাটলো। দিনটা মুসকানের ঘুমে ঘুমেই কাটলো। ইমন তাকে খাওয়িয়ে একটা নাপা এক্সট্রা খাওয়িয়ে দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো। আর সে পুরোদিন ঘুমিয়েই পার করলো। আর ইমন তার জন্য তেরোটা শাড়ি নিজে পছন্দ করে কিনে আনলো।
তারপরের দিন মইন চৌধুরী ফিরলেন । সবাই খুব খুশি। মইন চৌধুরী আর মোজাম্মেল চৌধুরী মোতালেব চৌধুরীর সাথে বেশ সময় কাটালেন। মুসকানও এখন মোতালেব চৌধুরীর সাথে স্বাভাবিক হয়ে গেছে। দিনগুলো তাদের সবার ভালোই কাটছিলো।
দেখতে দেখতো ছয় দিন কেটে গেলো।
বাড়ির সবাই ইমন মুসকানের বিয়ের অনুষ্ঠান করার জন্য ওঠে পড়ে লাগলো। ইমন কিছুদিন সময় চেয়ে নিলো। আর কেউ না জানলেও মুসকান ঠিকি বুঝলো কেনো ইমন সময় নিচ্ছে।
রাত দশটা বাজে মুসকান শাড়ির আঁচল কাধে ভালোভাবে দিয়ে চুলগুলো আঁচড়াচ্ছিলো। আর ইমন বিছানায় শুয়ে তাকে দেখছিলো। এই কদিনে মুসকান শাড়ি পড়াটা শিখে গেছে। দিনের বেলা শাড়ি না পড়লেও রাতে তাকে ঠিকি শাড়ি পড়তে হয়। ইমনের ই আদেশ এটা। তবুও শাড়ি সামলানোটা মুসকানের কাছে বেশ কষ্ট দায়ক । কিন্তু স্বামীর ভালোলাগার জন্য তাকে এটুকু তো করতেই হবে।
ইমন এক ধ্যানে মুসকানকে দেখে যাচ্ছে আর ভাবছে –
দিন দিন যেনো চেহেরার উজ্জ্বলতা টা বেড়ে যাচ্ছে। আগের থেকে বড্ড বেশিই সুন্দরী হয়ে গেছে মেয়েটা।
পুরো শরীরে আলাদা এক সৌন্দর্যতা ভর করেছে। একদম পরিপূর্ণা যুবতী লাগছে মুসকানকে তার কাছে।
মুসকান চুলগুলো বেঁধে ঘুমানোর প্রিপারেশন নিয়ে বিছানায় এসে বোসলো।
শুয়ে পড়ো অনেক রাত হয়েছে তো। ( ইমন )
মুসকান শুয়ে পড়লো ধীরে ধীরে ইমনের বুকে এগুতো লাগলো। কিন্তু ইমন আজ তাকে বুকে নিলো না। সে নিজেই ধীরে ধীরে মুসকানের দিকে এগুলো মুসকান কিছু বুঝে ওঠতে পারলো না।
কি করছো…. আমায় বুকে নাও…….
উহম…………কোন কথা না……..
ইমন মুসকান কে আষ্টেপৃষ্ঠে জরিয়ে তার বুকে মাথা রাখলো।
আর ভারী আওয়াজে বললো- ডিস্টার্ব করবে না বউ… শান্তির একটা ঘুম দিবো….. চুপচাপ ঘুমাও নয়তো খবড় আছে।
মুসকান হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারছে না।
মানুষ টা সত্যি অদ্ভুত যেমন ভালোবাসতে পারে তেমন ভালবাসা আদায় ও করে নিতে জানে। (মনে মনে)
মুসকান ইমনের মাথায় আলতো করে হাত বুলাতে লাগলো। চুলগুলো হালকা টেনে দিলো ইমন ঘুমের দেশে তলিয়ে গেলো। মুসকান ও ঘুমিয়ে পড়লো।
এ যে এক মধুর সম্পর্ক। স্বামী স্ত্রীর পরম ভালবাসার বন্ধন। দুজনেই যেনো দুজনের পরিপূরক একে অপরের দুনিয়া। যেখানে কারো সাধ্য নেই তাদের আলাদা করার। তীলে তীলে গড়ে তুলা সম্পর্ক গুলো সত্যি খুবই সুন্দর হয়।
ইমন মুসকান কে জয় করে নিয়েছে তার নিঃস্বার্থ ভালবাসা দিয়ে।
পানির অপর নাম জীবন,,, আর ইমনের জীবনের অপর নাম মুসকান ❤❤
ইমন অনেক ভোরে ঘুম থেকে ওঠে বেরিয়ে গেছে বাড়ি থেকে। কাউকে কিছু না বলে মুসকান ঘুমিয়ে ছিলো তাই তাকেও কিছু জানায় নি।
মুসকান ঘুম থেকে ওঠে ইমনকে দেখতে পেলো না।
বাড়ির কেউ ই তাকে দেখেনি।
মুসকান ফোন করলেও ফোন বন্ধ পেলো।
এমন কাজ সে কখনো করে না। মুসকান বেশ চিন্তায় পড়ে গেলো। সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলো ইমনের খবড় নেই। বাড়ির সবাই ও এবার চিন্তা করতে লাগলো। মোজাম্মেল চৌধুরী, দিপক তেমন চিন্তা করছে না কারন তারা এটা সিওর ইমন কোন জরুরি কাজে বের হয়েছে। কিন্তু ইমনের মা, আর বউকে এটা তারা বুঝাতেই পারছে না।
এদিকে মুসকান কেদে কেঁদে অস্থির। সকালে খায়ও নি। মইন চৌধুরী জোর করে এক লোকমা খাওয়িয়ে ছিলো আর খাওয়াতে পারেনি।
মুসকান সারাদিন অপেক্ষা করলো তবুও ইমন ফিরলো না। এবার বাড়ির সকলেই চিন্তায় পড়ে গেলো।
কাজে বের হলে তো একবার জানাবে ফোন করে। কোন বিপদ হলো না তো???
মুসকান বিপদের কথা শুনে দৌড়ে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো। সবার এতো ডাকা সত্তেও সে দরজা খুললো না।
চলবে……………..