#ফ্রেম_বন্দী_ভালোবাসা
#সমাপ্তি পর্ব
#সুরাইয়া আয়াত
” এই মেয়েটাকে চেনেন? এই এলাকাতেই তো থাকতো আগে। ”
ফোনের ছবিটার বেশ একটা বড়োসড়ো প্রিন্ট করিয়ে ফ্রেমবন্দি করে এনেছে সৌরভ, স্নিগ্ধতার পাড়াতে এসেছে আজও স্নিগ্ধতার খোঁজে। ফটো টা ওনার সামনে ধরিয়ে দেখাতেই মহিলাটি ভ্রু কুঁচকে বললেন
” এরে তো এইখানে দেহিনাই। কেডা এই মাইয়া। ”
সৌরভ পুনরায় ছবিটা ওনার কাছে এগিয়ে দিয়ে বলল
“দেখুন না চিনবেন আপনি। এখানেই থাকতো, এই পাঁচ মাস আগেও তো এখানে ছিলো, এই এলাকাতেই। ”
উনি খানিকটা বিরক্ত হয়ে বললেন
” কইলাম না এরে আমি দেহি নাই। ”
ওনার এমন তিরিখ্খি কন্ঠ শুনে সৌরভের মেজাজ ও খানিকটা বিগড়ে গেল তবুও নিজেকে সংযত করার চেষ্টায় রয়েছে। তবে বেশি খন মেজাজ ধরে রাখতে পারলো না
কারন তার আগেই চাপা ভাবী এসে পানের পিক ফেলে আউড়িয়া কন্ঠে বললেন
“. এই বেলায় ছেড়াডা আবার আইসে, বলি তোর কি লজ্জা শরম নাই , আর কতোবার করবো যে এই মাইয়া এইহান থেহে বিদায় লইসে।”
সৌরভ চাপা রাগী কন্ঠে বলল
” সব সময়তো এটাই বলেন যে চলে গেছে কিন্তু কখনো তো বলতে পারেন না যে কোথায় গেছে। ”
উনি কোমরে হাত দিয়ে মোড়লীপনা করে বললেন
” মাইয়ার লগে এতোই যখন পিরিত তখন খুঁজে লও। এইহানে গলার জোর দিয়া পিরিত দেখাইয়া লাভ নাই। ”
সৌরভ বুঝলো আবারও ওর প্রচেষ্টা বিফলে যাবে তাই আর নিজের এনার্জি অপচয় না করে খানিকখন চোখ বন্ধ করে ডিপ ব্রেথ দিয়ে বলল
” স্নিগ্ধতার খোঁজ আপনারা জানেন না মানলাম তবে ওর সাথে যিনি এখানে থাকতেন তার খোঁজ তো দিতে পারেন নাকি। উনি কোথায় আছে এটা তো বলতে পারেন! ”
উনি গলা খাকিয়ে বললেন
” এই বেডা আমি কি তোর এলাকার দারোয়ান লাগি যে হগ্গলএর খোঁজ নিয়া বেড়াইবো। সে তো অনেক আগেই এইহান থেকে চুরি কইরা ভাইগা গেছে গা, তাও তিন ভরি সোনা, আমেনারে দেইখা তো বোঝন লাগতো না হেডি এতো বড়ো একহান চুরি করবো। ”
এতো জটিল সমীকরন সৌরভের পোসাচ্ছে না, তারা কতোটা সত্য বলছে ও জানে না তবে তাদের কথার মার প্যাচে সৌরভকে ঘোরাচ্ছেন এটা বুঝতে বাকি নেই ওর তাই আর কোন কথা না বাড়িয়ে আর জানার কৌতূহল ও না দেখিয়ে উল্টো পথে হাটতে শুরু করতেই পিছন থেকে চাপা ভাবীর কন্ঠ ভেসে এলো
“তোরে যেন এই এলাকায় আর একটি বার ও না দেহি, এইবার ওর মাইয়ার খবর নিতে আইলে তোর খবর খারাপ কইরা দিমু। মাইয়া ডা বিদায় লইয়াও শান্তিতে থাকতে দিল না। ”
পাশের মহিলাটি ফিসফিসিয়ে বললেন
” ভাবী পোলাডা কেডা? সুন্দর আছে গা। আমার মাইয়ার সাথে ভালো মনাইবো্।”
চাপা ভাবী মুখ বেকিয়ে বললেন
” উহু আইসে গা মাইয়ার সথে বিয়ে দেওনের লাইগা, এই ছেডার ওর লিলুফার বেডি স্নিগ্ধার সাথে ইটিশপিটিশ ছিলো গা।, না জানি কি কি করসে, এখন যেই মাইয়া উধাও হইয়া গেছে তার প্রেম জাইগা উঠসে, মাসে দুই বার এই পোলার দেখা মিলবোই, খবর নিতে আসে ছেডির। কি পিরিতি দেখলাম গো। ”
চাপা ভাবীর এমন কথা শুনে অন্য মহিলাটি বালতিটা হাতে নিয়ে মুখ বেকিয়ে চলে গেলেন। গাড়িতে উঠলো সৌরভ, গাড়ি স্টার্ট দিলো, আর কোন খোঁজাখুঁজি না, এবার পুলিশের কাছে যাবে ও সোজা।
ড্রাইভ করছে সৌরভ, ফোনে কল আসছে, সম্ভবত আশফির। কলটা কেটে দিলো ও, ফুল স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে ও, উদ্দেশ্য যে করেই হোক স্নিগ্ধতাকে খুঁজে বার করা। আর যাই হোক এটুকু বুঝতে বাকি নেই যে এলাকার মানুষের চাপে স্নিগ্ধতা আর তার মা সেখান থেকে চলে গেছে আর তাদেরকে শাস্তি দেবে সৌরভ, তবে তার জন্য স্নিগ্ধতার সাহায্য প্রয়োজন।
সেই দিন যে একবার স্নিগ্ধতাকে রেখে এসে পিছু হেটে ছিলো সৌরভ সেদিন থেকেই কোন এক মায়ায় জড়িয়ে গেছিলো তা বলতে পারেনা। তার পর স্নিগ্ধতার খোঁজ নিতে ও এই এলাকাতে আসে ঠিক এক সপ্তাহ পর কারন সেদিনের ঘটনা টার পর স্নিগ্ধতাকে ও আর কখনো ভার্সিটিতে দেখেনি। স্নিগ্ধতার শারিরীক অসুস্থতার দোহায় দিয়ে এলাকাতে এসেছিলো সৌরভ কিন্তু দেখা পাইনি সেই ফ্রেমবন্দি মানুষটার। তারপর কোন একটা ক্ষীন আশা নিয়ে সৌরভ যায় স্নিগ্ধতার এলাকাতে প্রতি মাসে তবে কখনো খোঁজ পাইনা। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে গাড়িটা এসে থামলো থানার সামনে। এক মুহূর্তও দেরি নয়। সৌরভ তড়িঘড়ি ছুটলো থানার ভিতরে। থানার ভিতরের পরিবেশটা সবসময় বেশ গমগমেই থাকে আজকেও তার ব্যাতিক্রম নয়। ভিতরে ঢুকতেই দেখলো বেশ কথা কাটাকাটি চলছে আর তার মাঝে সৌরভের সেই নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ফ্রেমবন্দি মানুষটাকে সন্ধানের কথাটা ও সি র কাছে পৌছাবে কি কে বলতে পারে।
পুরুষালী কন্ঠ ভেসে এলো তবে তা রুক্ষ কন্ঠের সাথে, হয়তো তিনি কোন বিষয় নিয়ে ভীষন চিন্তিত।
“আপনি কি বাংলা কথা বোঝেন না? আমি আর কতোবার বলবো যে আমার স্ত্রী তিনি অসুস্থ আর প্রেগন্যান্ট ও। এই অবস্থায় তাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না বলেই তো আমি আপনার কাছে এসেছি। আর আপনারা আমাকে এটা ওটা বোঝাচ্ছেন যে সে আপনা আপনিই ফিরে আসবে। ”
লোকটার কথাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে শুনলো সৌরভ, তা শুনে বোধগম্য হলো যে তার স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছেন তাই এই চিল্লাপেল্লা তবে তার রাগের কারন একটাই যে পুলিশ ব্যাপারটা তে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
পুলিশটা ওনাকে আশস্ত করার চেষ্টা করে বললেন
” আপনি শান্ত হন আপনার স্ত্রীকে খোঁজার জন্য আমরা লোক পাঠিয়েছি। ”
উনি কাঠের টেবিলটাতে একটা বাড়ি দিয়ে বললেন
” আপনারা এভাবে আর কতখন শান্তনা দেবেন? ”
পুলিশ অবস্থা খারাপ দেখে সৌরভের দিকে দৃষ্টিপাত করে বলল
” আপনার কি চায়? ”
সৌরভ এবার হাতের ভাজ ভেঙে হাত নামিয়ে বেশ থতমত খেয়ে ওনার দিকে তাকিয়ে বলল
” আমিও একজন কে খুঁজতে এসেছি, সে ও নিখোঁজ। ”
সৌরভের কথা শুনে আদিত্য একবার সৌরভের দিকে তাকিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে টেবিলের দিক ঝুকে মাথা নীচু করে রইলো। সৌরভের আদিত্যর সাথে চোখাচোখি হলো। পুলিশ বিরক্ত হয়ে বলল
” ছবি টবি আছে? ”
সৌরভ ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে বলল
” হমম আছে। ”
কথাটা বলে পকেট থেকে ফোনটা বার করলো সৌরভ, স্নিগ্ধতার ছবিটা ফটাফট বার করে পুলিশের দিকে ধরলো। পুলিশটা ছবিটা দেখলো না কারন তার আগেই পিছন থেকে একটা মহিলা কনস্টেবল বলে উঠলো
” স্যার ওনার ওয়াইফ কে পেয়েছি। ”
কথা শুনে সৌরভ ফোন নামিয়ে পিছন দিকে তাকালো। আদিত্য ও যেন আকাশের চাঁদ পাওয়ার মতো খুশি হয়ে তাকালো, ওর তিথি দাঁড়িয়ে রয়েছে তবে আগোছালো রুপে। সৌরভ মেয়েটা দিক তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল আর খানিকটা শিউরে উঠলো। অব্যাক্ত কন্ঠে ফিসফিসিয়ে বলল
” স্নিগ্ধতা! ”
সৌরভের ফিসফিসানির থেকেও আদিত্যর বলা তিথি শব্দেটা যেন মেয়েটার কানে বেশি করে পৌছালো। আদিত্যকে দেখে মেয়েটা দৌড়ে ছুটে জাপটে ধরলো। একটা সময়ের জন্য সৌরভের মনে হয়েছিলো যে স্নিগ্ধতা তার দিকে ছুটে আসছে কিন্তু সে তো এখন আর স্নিগ্ধতাতেই সীমাবদ্ধ নেই সে যে কারোর তিথি!
আদিত্যর সাথে স্নিগ্ধতা ওরফে তিথি পরিচয়ে আক্ষায়িত মেয়েটাকে দেখে সৌরভের শরীরে যেন এক ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেল।
আদিত্য তিথির কপালে ভালোবাসার পরশ একে বলল
” এই তিথি কোথায় চলে গিয়েছিল তুমি? জানো আমার কতো চিন্তা হচ্ছিলো! এভাবে কেও পালিয়ে যায়? আমার তিথিপাখিটা এতো চঞ্চল কেন? ”
হালকা ধমকের সুরে আদিত্য বলল। সৌরভ দূর থেকে সবটা দেখছে আর শুনছে আর গলা ধরে আসছে ওর। তিথি বলে উঠলো
” আপনি খুব পচা, আপনি একা রেখে কোথায় চলে গিয়েছিলেন? ”
আদিত্য তিথির গালে হাত বুলিয়ে বলল
” আমার তিথিপাখিটা না গাড়িতে বসে বায়না করছিলো যে সে চকলেট খাবে তই তো আনতে গিয়েছিলাম আর আমরা তিথি পাখিটা মহাদুষ্টু সে ও ফুরুত করে গাড়ি থেকে নেমে গেল। ”
তিথি ঠোঁট ফুলিয়ে হেসে ফেলল আর বললো
” কি করবো বলো তো ডাক্তারবাবু আপনার ছোট্ট বাবুটা যে তার মাম্বামের সাথে হাটতে চাইছিলো। ”
সৌরভ দেখছে আর আবাক হচ্ছে, এটা কি সেই স্নিগ্ধতা যে রেগে গিয়ে ওর মুখে কোক ছুড়ে দিয়েছিলো, হাতে এসিড পড়েছিলো বলে তাকে কতো কথায় না শুনিয়েছিলো।
তিথি আরো কিছু বলতে যাবে তার আগেই পুলিশ বললেন
” নিন মশাই আপনার বউ হাজির এবার শান্ত হন। ”
খানিকটা হেসেই বললেন উনি। তিথি আদিত্যকে জড়িয়ে ওর বুকে মাথা রাখলো আর আদিত্যও ওকে আগলে নিয়ে মুচকি হেসে পুলিশকে বলল
” আমি আপনার সাথে অনেক খারাপ ব্যাবহার করেছি তার জন্য আমি দুঃখিত। আসলে ও প্রেগন্যান্ট সাথে অসুস্থ আর ঢাকার কিছু চেনে না ও তাই আরও বেশি এগ্ৰেসিভ হয়ে পড়েছিলাম আর কি। ”
পুলিশ মুচকি হাসলেন।
” আজ তাহলে আসি। ”
” জ্বি। ”
তিথি দূর থেকে সৌরভের দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে আর দেখছে কিন্তু কিছু বলছে না সৌরভ অবাক হলো যে স্নিগ্ধতা তাকে দেখেও কিছু বললো না। তবে লক্ষ করলো যে তিথির হাতের পোড়া দাঁগটা আজ ও আছে।
আদিত্য পিছন ঘুরে দেখতেই সৌরভকে দেখে মুচকি হাসলো।
সৌরভ ও মুচকি হাসলো যার কোন অর্থ না থাকলেও বেদনা প্রকাশ পায়। ও আদিত্যকে হঠাৎ প্রশ্ন করে উঠলো
” আপনার স্ত্রী অসুস্থ? ”
আদিত্য তিথির দিক তাকিয়ে বলল
” জ্বি তার স্মৃতি শক্তি লোপ পেয়েছে তবে তার একটা নতুন জগত গড়ে উঠেছে আমাকে নিয়ে আর আমাদের সন্তানকে নিয়ে তবে প্রিয় মানুষ তার মা কেও হারিয়েছে। ”
কথাটা শুনে সৌরভ দুই কদম পিছিয়ে গেল, কি বলবে ভাষা পাচ্ছে না। আদিত্য কৌতূহল নিয়ে বলল
” আপনিও তো কাওকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তাই না? ”
সৌরভের চোখের কোনে জল জমে এলো, দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে নীচের দিকে তাকিয়ে বলল
” খুব শীঘ্রই পেয়ে যাবো হয়তো। ”
আদিত্য সৌরভের কাধে হাত রেখে বলল
” ভালো থাকবেন। ”
সৌরভ মাথা নাড়ালো।
আদিত্য তিথিকে নিয়ে যেতে লাগলো, মাটির দিকে তাকিয়ে রইলো সৌরভ। আজ ও হারালো নাকি নতুন করে কিছু পেলো তা বোঝার ক্ষমতা ওর এখন নেই। তিথি একবার সৌরভের দিকে তাকিয়ে আদিত্যর মুখের দিকে তাকিয়ে হাটতে হাটতে বলল
” ও ডাক্তারবাবু লোকটা কাঁদছে কেন? ”
আদিত্য মুচকি হেসে বলল
” কই কাদছিলো না তো। ”
তিথি বিড়বিড় করে বললো
” নাহ আমি দেখেছি। ”
আদিত্য তিথির কপালে চুমু দিয়ে বলল
” তিথিপাখিটা কি চকলেট খাবে? ”
তিথি মাথা নাড়িয়ে ফিক করে হাসলো, বাকিটা জীবন হয়তো এভাবেই কাটবে আদিত্যর ছত্রছায়ায়, পাবে একটা ভরসা যোগ্য হাত যেটা আকড়ে ধরে ও বাঁচবে বাকি জীবন।
সৌরভের ঘোর ভাঙিয়ে পুলিশ বলে উঠলো
” আপনার কেসটা বলুন। আপনার ও তো কেও হারিয়ে গেছে তাইনা? ”
সৌরভ মুচকি হেসে ফোনটা পুলিশের দিকে ধরে মুচকি হাসলো। পলিশ্ও যেন অবাকের থেকে অবাক হলো। উনি না পেরে বলে ফেললেন
” ইনি মানে তো এই তিথি! ”
সৌরভ ফোনটা পকেটে রেখে নির্বিকার ভঙ্গিতে হেসে বলল
” আর হয়তো কোন সৌরভের স্নিগ্ধতা। ”
কথাটা বলে সৌরভ বেরিয়ে এলো, গাড়িতে বসে বড়ো বড়ো শ্বাস নিলো, আজ মনে হচ্ছে বুকটা ভীষন ফাকা ফাকা। এতোদিন এই আশা নিয়ে ছিলো যে স্নিগ্ধতার কাছে ক্ষমতা চেয়ে তাকে একটা সুন্দর জীবন উপহার দেবে কিন্তু কখনো কখনো কিছু সারপ্রাইজ যে সারপ্রাইজ ই থেকে যায় তা বোধহয় সৌরভের জানা ছিলো না।
ফোনে আবার ফোন এলো, আশফির। ফোন ধরতেই আশফি চিৎকার করে বলে উঠলো
” দোস্ত স্নিগ্ধতাকে দেখছি, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলো। ”
আশফিকে থামিয়ে সৌরভ বললো
” লাল রঙের শাড়িটার আঁচড় রা্স্তার ধুলোতে লূটোপুটি খাচ্ছিলো আর আগোছালো সেই চেহারা মায়ায় ভরা আর দেহের গঠন আগের থেকেও গোলগাল। ”
আশফি অবাক হয়ে বলল
” কিন্তু। ”
সৌরভ মুচকি হেসে বলল
” সব কিন্তুর জবাব হয় না। ”
কলটা কেটে দিলো, সিটের ওপর রয়েছে স্নিগ্ধতার সেই ফ্রেমবন্দী ছবি। ছবিটার দিক তাকিয়ে বলল
” এ কেমন ভালোবাসা আমি জানিনা স্নিগ্ধপরী তবে আমার ভাষায় তুমি হলে আমার ফ্রেমবন্দি ভালোবাসার মতো যা কেবল কল্পনাতেই মানায়, বাস্তবে তার অস্তিত্ব নেই। ”
#সমাপ্ত।