#ফিরে এসো ভালবাসা❤
#লেখিকাঃ নাবিলা আহমেদ রোজ
#পর্ব- ৫
হঠাৎ খুব জোড়ে বৃষ্টি শুরু হলো। এতক্ষণ আকাশে মেঘ থম মেরে ছিলো। এখন সে বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পড়ছে। রোজ রুমে এসেছিলো জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলো বৃষ্টি হচ্ছে। এরপর নিচের দিকে তাকালো। শুভ্র এক দৃষ্টিতে নিচের দিকে তাকিয়ে ভিজছে। রোজের মনে পড়লো বৃষ্টিতে ভিজলে শুভ্রর মারাত্মক জ্বর হয়। রোজ দৌড়ে ওর আম্মুর কাছে গেলো। রোজকে এভাবে দৌড়ে আসতে দেখে উনি বললো।”
—-” কি হয়েছে?”
রোজ একটু চুপ থেকে বললো,
—-” আম্মু বাইরে শুভ্র ভাই এসেছে।”
শুভ্র এসেছে শুনে উনি খুশি হয়ে বললো,
—-” সত্যি বলছিস?”
রোজ মাথা নাড়লো উনি নিচে চলে গেলো। দরজা খুলে দেখলো শুভ্র রীতিমত কাঁপছে। উনি তাড়াতাড়ি শুভ্রকে ভেতরে নিয়ে এলো। ভেতরে এনে রোদকে ডাক দিলো। রোদ এসে শুভ্রকে ভেজা দেখে বললো।”
—-” একি তুই ভিজেছিস কেন?”
শুভ্র কি বলবে বুঝতে পারছে না পরে বললো,
—-” আসলে আমি আসলাম এখানে। তো ভেতরে ঢোকার আগে বৃষ্টি চলে এলো।”
রোজের আম্মু রোদকে বললো,
—-” রোদ তুই ওকে তোর শার্ট, প্যান্ট দে। আর শুভ্র যা গিয়ে চেঞ্জ করে নে।”
ওরা দুজন উপরে চলে এলো। রুমে এসে শুভ্র চেঞ্জ করে নিলো। হাঁচি দিচ্ছে বারবার বেচারা। রোদের একটা ব্লাক টি শার্ট পড়েছে। আর ব্লু কালারের জিন্স প্যান্ট। রোজ নিচে এসে বললো,
—-” আম্মু শুভ্র ভাই ডিনার করেছে?”
রোজের আম্মু খাবার টেবিলে রেখে বললো।”
—-” না তুই যা ওকে ডেকে নিয়ে আয়,
রোজ আমতা, আমতা করে বললো।”
—-” আমি?”
উনি ভ্রু কুঁচকে বললো,
—-” হ্যা কেন?”
রোজ কিছু না বলে উপরে এলো। শুভ্র রোদের সাথে কথা বলছে। ভেজা চুল কিছুটা কপালের সামনে এসে পড়েছে। রোজ আরেকদফা ক্রাশ খেলো। তবে সে সব সাইডে রেখে মুখটা গম্ভীর করে বললো।”
—-” ভাইয়া ওনাকে নিয়ে নিচে যা। আম্মু ডিনার করতে যেতে বলেছে,
বলে রোজ নিজের রুমে চলে গেলো। রোদ শুভ্রকে টেনে নিচে নিয়ে এলো। কারন সে নাকি ডিনার করবে না। রোদকে শুভ্রকে এভাবে টেনে আনতে দেখে রোজের আম্মু বললো।”
—-” রোদ তুই ওকে টেনে আনছিস কেন?”
রোদ মুখ বাঁকিয়ে বললো,
—-” তোমার ভাগ্নে নাকি ডিনার করবে না।”
উনি শুভ্রকে বললো,
—-” কেন শুভ্র?”
শুভ্র আস্তে জবাব দিলো।”
—-” মামনি আমার ক্ষিদে নেই,
রোদ শুভ্রর কাঁধে হাত রেখে বললো।”
—-” তোর কি কিছু হয়েছে শুভ্র?”
শুভ্র স্লান হেসে বললো,
—-” না আমার আবার কি হবে?”
শুভ্র মনে, মনে বললো।”
—-” রোজের একটু ইগনোর আমি সহ্য করতে পারছি না। প্রতিটা মুহূর্তে ইচ্ছে করছে মরে যেতে। আর সেখানে আমি ওকে কত ইগনোর করেছি। কারনে, অকারনে আমি ওকে কথা শুনিয়েছি। ও কিভাবে সহ্য করেছে? ওর ও তো এতটাই কষ্ট হতো। ইনফ্যাক্ট আরো বেশী কষ্ট হতো। কারন আমি ওর গায়ে হাতও তুলতাম। আমি সত্যিই একটা খারাপ লোক,
শুভ্রর চোখ ছলছল করছে। রোদের চোখ এড়ালো না। রোদ বুঝলো কিছু একটা হয়েছে। তবে আপাতত আর কিছু বললো না।”
—-” আমি তোর কোন কথা শুনবো না। চল তোকে আমি খাইয়ে দেবো,
বলে রোজের আম্মু শুভ্রকে ডাইনিং টেবিলে নিয়ে এলো। শুভ্র এখন আর না করতে পারলো না। উনি নিজের হাতে শুভ্রকে খাইয়ে দিলো। খাওয়া শেষ করে উপরে চলে গেলো। সবাই সবার রুমে চলে গেলো। সবাই ঘুমে থাকলেও ঘুম নেই শুভ্রর চোখে। শুভ্র আলাদা অন্য রুমে চলে এসেছিলো। নয়তো রোদ হাজারটা প্রশ্ন করতো। শুভ্র ব্যালকনিতে দাড়িয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে। এখন বৃষ্টি হচ্ছেনা আকাশ থেকে মেঘটাও কেটে গিয়েছে। দুই, একটা তারাও উঠেছে আকাশে। শুভ্র একভাবে সেদিকে তাকিয়ে আছে। রোজের ঘুম ভেঙে যাওয়ায় রোজও ব্যালকনিতে এলো। এসে পাশে চোখ যেতেই শুভ্রকে দেখলো। কারন এই সাইড দিয়ে যতগুলো রুম। সবগুলো রুমের ব্যালকনি পরাপর। রোজ খেয়াল করলো শুভ্র আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। রোজ চলে যেতে গেলেই শুভ্র বলে উঠলো।”
—-” আমাকে ক্ষমা করা যায় না রেড রোজ?”
রোজ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। কারন ও কোনরকম শব্দ করেনি। আর শুভ্র এখনো আকাশের দিকে তাকানো। রোজ অবাক হয়ে বললো,
—-” আপনি কি করে বুঝলেন আমি এসেছি?”
শুভ্র বড় একটা শ্বাস ছেড়ে বললো।”
—-” জানিনা বাট আমি তোমার উপস্থিতি ফিল করতে পারি,
রোজ আরেকদিকে তাকিয়ে বললো।”
—-” আপনি আমাকে তুমি করে বলেন কেন?”
শুভ্র হালকা হেসে বললো,
—-” আগের শুভ্রকে কবর দিয়ে দিয়েছি। কারন সে তোমাকে কষ্ট দিতো। আমি চাইনা এই শুভ্র তার রেড রোজকে কষ্ট দিক। তাই আগের শুভ্রর সাথে, সাথে তুইটাও কবরে চলে গিয়েছে।”
রোজ কি বলবে বুঝতে পারছে না,
—-” আমি জানি আমাকে ক্ষমা করা যায় না। আমাকে হয়তো বিশ্বাস ও করছো না। তবুও বলছি একটা সুযোগ দাও প্লিজ।”
রোজ তাচ্ছিল্য হেসে বললো,
—-” ঘুমিয়ে পড়ুন।”
বলে ভেতরে চলে গেলো। শুভ্র একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ওখানেই দাড়িয়ে রইলো। সকালে রোজের আগে ঘুম ভাঙলো। রোজ প্রতিদিন ঘুম ভাঙার পর আগে ব্যালকনিতে যায়। আজকেও তার ব্যতিক্রম হলো না। ব্যালকনিতে গিয়ে রোজ অবাক হয়ে গেলো। শুভ্র ব্যালকনিতে চেয়ারে ঘুমিয়ে আছে। রোজ বুঝলো শুভ্র সারারাত ওখানেই ছিলো। শুভ্রর মুখটা শুকিয়ে গিয়েছে। রোজের চোখে পানি চলে এলো শুভ্রকে এভাবে দেখে। রোজ ওয়াসরুমে চলে গেলো। শুভ্রর ঘুম ভাঙতেই মনে হলো মাথা ব্যথা করছে। ব্যথাটা আস্তে, আস্তে তীব্র হচ্ছে। শুভ্র ফ্রেস হয়ে সবাইকে বলে বাড়ি চলে এলো,
___________________
বাড়ি আসতেই শুভ্রর মা বললো।”
—-” তুই রোজদের বাড়ি যাবি আগে বলিসনি কেন?”
শুভ্র রুমে যেতে, যেতে বললো,
—-” আম্মু পরে বলবো তোমাকে।”
শুভ্র রুমে এসে মেডিসিন নিয়ে নিলো। এদিকে গা ও গরম লাগছে শুভ্রর। শুভ্র বেশ বুঝতে পারছে যে ওর জ্বর আসবে। তবুও শুভ্র ১০টা বাজতেই ভার্সিটিতে চলে এলো। রোজ চুপচাপ বসে আছে। শুভ্র আগে রোজের কাছে গিয়ে বললো,
—-” সরি রেড রোজ।”
রোজ ভ্রু কুঁচকে বললো,
—-” সরি কেন?”
শুভ্র হেসে বললো।”
—-” তোমাকে না বলে চলে এসেছি তাই,
রোজ মুখটা বাঁকিয়ে বললো।”
—-” আমি কি আপনাকে বলেছি? যে আমাকে না বলে কেন এলেন?”
শুভ্র রোজের পাশে বসে বললো,
—-” তোমার বলতে হবে না।”
শুভ্র একটু দুরে বসলেও। শুভ্রর গায়ের তাপে রোজ বুঝলো শুভ্রর জ্বর। রোজ কটকটে চোখে তাকিয়ে বললো,
—-” আপনি জ্বর নিয়ে কেন এসেছেন?”
শুভ্র মুচকি হেসে বললো।”
—-” তোমাকে দেখতে,
রোজ চট করে উঠে শুভ্রর গালে চর মেরে দিলো। শুভ্র গালে হাত দিয়ে তাকিয়ে আছে। রোজ চেঁচিয়ে বলে উঠলো।”
—-” কি শুরু করেছেন আপনি? আপনার কি আমাকে আপনার হাতের খেলার পুতুল মনে হয়? যখন ইচ্ছে হলো খেললেন। খেলা শেষ হলে ছুড়ে ফেলে দিলেন। আবার খেলতে মন চাইলে আবার তুলে নিলেন। কি পেয়েছেনটা কি আপনি? আমাকে আপনার মানুষ মনে হয় না? এসব করে আপনি কি প্রমান করতে চাইছেন? যে আপনি আমাকে কতটা ভালবাসেন? শুনুন আপনার এসব করে কোন লাভ নেই। আমি আর আপনাকে ভালবাসি না। আমি ঘৃনা করি আপনাকে। আপনি প্লিজ এখান থেকে চলে যান। আমি আপনার মুখ দেখতে চাইনা আপাতত,
বলে রোজ চলে গেলো। শুভ্র কতক্ষণ থম মেরে বসে থেকে বেরিয়ে চলে গেলো। শুভ্র যেতেই রোজ শুভ্রর মাকে ফোন করলো।”
—-” হ্যা রোজ বল,
রোজ চোখ মুছে বললো।”
—-” মামনি শুভ্র ভাইর খুব জ্বর। উনি মেবি বাড়ি যাচ্ছে ডক্টর দেখিয়ো,
বলে ফোনটা রেখে দিলো। মিম এসে রোজের কাঁধে হাত রেখে বললো।”
—-” কেন করছিস এসব?”
রোজ জোড়পূর্বক হেসে বললো,
—-” কোন সব?”
মিম রোজের গালে হাত দিয়ে বললো।”
—-” আমার কাছে লুকোতে পারবি না,
রোজ চুপ করে রইলো।”
—-” কেন এসব করছিস? এভাবে তো তুই নিজেও কষ্ট পাচ্ছিস। তার থেকে শুভ্র ভাইয়াকে ক্ষমা করে দে,
রোজ হালকা হেসে বললো।”
—-” আমি অনেক আগেই ওনাকে ক্ষমা করেছি,
মিম অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।”
—-” কিন্তুু অতীত ভুলতে পারছি না,
মিম কিছু বলতে গিয়েও এটা শুনে থেমে গেলো। ভাবলো রোজকে একা ভাবতে দেয়া উচিত।”
শুভ্র বাড়িতেই এলো। জ্বরটা এখন আরো বেড়ে গিয়েছে। বাড়ি এসে সোফাতেই বসে পড়লো। শুভ্রর মা শুভ্রর কপালে হাত দিয়ে চমকে গেলো। উনি অবাক হয়ে জিগ্যেস করলো,
—-” এত জ্বর নিয়ে তুই ভার্সিটিতে কেন গেলি?”
শুভ্র কিছু বললো না। শুভ্রর মা শুভ্রকে রুমে নিয়ে এলো। একটুপর ডক্টর এলো। ডক্টর নিজেও অবাক হয়ে বললো।”
—-” ওর তো অনেক জ্বর,
শুভ্র বিরক্তি নিয়ে বললো।”
—-” আম্মু আমি একদম ঠিক আছি,
শুভ্রর মা ধমক দিয়ে বললো।”
—-” তুই চুপ থাক,
শুভ্র আর কিছু বললো না। ডক্টর মেডিসিন দিয়ে গেলো। আর জলপট্টি দিতে বললো। শুভ্রর মা শুভ্রকে জলপট্টি দিলো। আর মেডিসিনও খাওয়ালো জোড় করে। আপাতত শুভ্র ঘুমিয়ে আছে। এভাবে ৫দিন কেটে গিয়েছে। ৫দিন পরই শুভ্রর জ্বর সেরেছে। তবে শুভ্র এই ৫দিন জ্বর নিয়েও ভার্সিটি গিয়েছে। রোজ শুধু শকড হয়েছে শুভ্রর কাজে।”
__________________
আরো ১০দিন পর, আজকে রোদের জন্মদিন। পুরো বাড়ি সাজিয়েছে জন্মদিন উপলক্ষে। অনেক বড়, বড় বিজনেসম্যানরাও হাজির হয়েছে। সবাই এখানে এসেছে রোজ এখনো আসেনি। শুভ্র বারবার রোজকে খুজছে। অতঃপর রোজও এসে হাজির হলো। রোজ ব্লাক কালার একটা গাউন পড়েছে। শুভ্র নিজের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। কারণ শুভ্রও ব্লাক কালার সুট পড়া। আজকে রোদের এংগেজমেন্টও হবে তনয়ার সাথে। তনয়ার কথা ১সপ্তাহ আগেই জানিয়েছে রোদ। তনয়ার বাবার সাথে কথা বলেছিলো। আর সবাই মিলে ঠিক করেছে আজকে এংগেজমেন্ট করে রাখবে। চারদিকে মানুষের আনাগোনা। আগে ওদের রিং বদল হলো। এরপর রোদ কেক কাটলো। রোজ তনয়াকে জড়িয়ে ধরে বললো,
—-” এখন থেকে আর আপু বলবো না।”
তনয়া মুখে আঙুল দিয়ে বললো,
—-” কেন?”
রোজ মুচকি হেসে বললো।”
—-” তুমি তো উডবি ভাবী,
তনয়াও হেসে দিলো। রোদ শুভ্রর কাছে গিয়ে বললো।”
—-” শুভ্র একটা গান শোনা,
শুভ্র ভ্রু কুঁচকে বললো।”
—-” তোর জন্মদিন তোর এংগেজমেন্ট। আমি কেন গান গাইবো?”
রোদ তনয়াকে ডেকে নিলো। তনয়া এসেও শুভ্রকে জেকে ধরলো। শুভ্র রোজের দিকে তাকিয়ে বললো,
—-” ওকে আমি গাইবো।”
সাদা লাইট অফ করে রঙিন লাইট অন করলো। শুভ্র এক কোনায় গিয়ে দাড়ালো। রোজ রুমের দিকে পা বাড়ালো,
🎶না রে না রে, না রে না রে, না রে না রে না🎶
শুভ্রর গান শুনে থেমে গেলো।”
🎶বোঝেনা সে বোঝেনা, সে তো আজও বোঝেনা🎶
🎶বোঝেনা সে বোঝেনা, সে তো আজও বোঝেনা🎶
🎶কাঁদে মনের কথা, প্রেম কি শুধু ব্যথা🎶
🎶উত্তর আজও মেলেনা, মেলেনা, মেলেনা, মেলেনা🎶
🎶বোঝেনা সে বোঝেনা🎶
শুভ্র রোজের সামনে গিয়ে দাড়ালো। রোজ অন্যদিকে চলে গেলো,
🎶এ বুকে এত প্রেম, তার চোখে ঘৃনা🎶
🎶চায় না শুনতে সে এ বুকের কান্না🎶
🎶আমি চোখের বালি কি করে তাকে বলি🎶
🎶এ বুকে কি বেদনা🎶
শুভ্র অন্যদিক ফিরে চোখ মুছে নিলো।”
🎶বোঝেনা সে বোঝেনা, সে তো আজও বোঝেনা🎶
🎶বোঝেনা সে বোঝেনা, সে তো আজও বোঝেনা🎶
🎶কাঁদে মনের কথা প্রেম কি শুধু ব্যথা🎶
🎶উত্তর আজও মেলেনা, মেলেনা, মেলেনা, মেলেনা🎶
🎶বোঝেনা সে বোঝেনা🎶
রোজ স্পষ্ট বুঝতে পারছে। এই গান শুভ্র ওর জন্য গাইছে,
🎶পৃথিবী একদিকে একদিকে আমি🎶
🎶আজ আমার রক্তে মিশে গেছো তুমি🎶
🎶নাই বা হলো দেখা, দেখবো একা, একা🎶
🎶স্বপ্নের এই সীমানা🎶
এতক্ষণ শুভ্র আরেকদিকে ফিরে ছিলো। এবার আবার রোজের দিকে ফিরলো।”
🎶বোঝেনা সে বোঝেনা, সে তো আজও বোঝেনা🎶
🎶বোঝেনা সে বোঝেনা, সে তো আজও বোঝেনা🎶
🎶কাঁদে মনের কথা, প্রেম কি শুধু ব্যথা🎶
🎶উত্তর আজও মেলেনা, মেলেনা, মেলেনা, মেলেনা🎶
🎶বোঝেনা সে বোঝেনা🎶
গান শেষে রোজ দৌড়ে রুমে চলে গেলো। সবাই হাততালি দিলো কিন্তুু রোদ বুঝলো কিছু হয়েছে। রোদ এসে শুভ্রকে বললো,
—-” শুভ্র কি হয়েছে রে?”
শুভ্রর চোখ লাল হয়ে আছে। শুভ্রও কিছু না বলে চলে গেলো। মুহূর্তেই সবার মুখ কালো হয়ে গেলো। সবাই বুঝতে পারছে ওদের কিছু হয়েছে। ১দিন পর শুভ্র ভার্সিটি থেকে টেনে রোজকে নিয়ে এলো। রোজকে নিয়ে একটা বিলের পাড়ে এলো। রোজ রেগে বললো।”
—-” আমাকে এখানে কেন আনলেন?”
শুভ্র অসহায় ভাবে করে বললো,
—-” তুমি কি সত্যি আমাকে আর ভালবাসো না?”
রোজ তাকিয়ে আছে। একটু চুপ থেকে বললো।”
—-” আপনাকে না বলেছিলাম? আমার সামনে আর আসবেন না,
শুভ্র ছলছল চোখে বললো।”
—-” আমি জানি তুমি এখনো আমাকে ভালবাসো। আমি যা করেছি তার জন্য রেগে আছো। বাট আই রিয়েলি লাভ ইউ। আমি তোমাকে ভালবাসি, ভালবেসে যাবো। কিন্তুু আমি তোমার সামনে এলে যদি প্রবলেম হয়। তাহলে আমি আর কোনদিন তোমার সামনে আসবো না। দুর থেকেও তো ভালবাসা যায়। আমিও না হয় দুর থেকে ভালবাসবো। চলো তোমাকে দিয়ে আসি,
বলে শুভ্র হাটা দিলো। ওমনি রোজ শুভ্রর হাত ধরে বললো।”
—-” আর কখনো আমাকে কষ্ট দেবে না তো?”
শুভ্র অবিশ্বাস্য চোখে তাকালো। রোজ হুট করেই শুভ্রকে জড়িয়ে ধরলো। শুভ্র শকড হয়ে তাকিয়ে আছে। যখন বুঝলো সব সত্যি। তখন নিজেও রোজকে শক্ত জড়িয়ে ধরলো। যেন ছেড়ে দিলে হারিয়ে যাবে,
#চলবে…