ফিরে এসো ভালবাসা পর্ব-০২

0
1932

#ফিরে এসো ভালবাসা❤
#লেখিকাঃ নাবিলা আহমেদ রোজ
#পর্ব- ২

রোজ জানে রোদ ইচ্ছে করে ওকে রাগিয়েছে। যাতে করে রোজ হাসতে পারে। রোজ হালকা হেসে রুমে চলে এলো। রুমে এসে গাড়ির চাবিটা রেখে বেডে বসে পড়লো। ভাবতে লাগলো শুভ্রকে নিয়ে।”

—-” শুভ্র কি কখনো আমাকে বুঝবে? কখনো কি আমার ভালবাসা ফিল করতে পারবে? আমি কি ওকে কোনদিন পাবো? আমার ভালবাসা সত্যি হলে শুভ্র আমার হবে। আর আমি মন থেকে ওকে ভালবাসি। মন থেকে ওকে কাছে পেতে চাই,

রোজ নিজের মনে বুলি আওড়ালো। এরপর ওয়াসরুমে চলে গেলো। এখন একটা লং শাওয়ার দরকার আছে ওর। এটা ভেবে অনেকক্ষণ শাওয়ার নিলো। শাওয়ার নিয়ে এসে বেডে শুয়ে পড়লো। বেশী টায়ার্ড থাকায় শুইয়েই ঘুমিয়ে পড়লো।”

শুভ্র আজকে প্রচুর রেগে আছে। আর পুরো রাগটাই রোজের উপর। হনহন করে বাড়িতে ঢুকে সোফায় বসে পড়লো। শুভ্রর আম্মুর চোখ এড়ালো না। নিজের ছেলের রাগ সম্পর্কে উনি অবগত। উনি শুভ্রর কাছে এসে আস্তে বললো,

—-” শুভ্র কি হয়েছে রে? এত রেগে আছিস কেন?”

শুভ্র ফোস ফোস করে বললো।”

—-” রাগবো না তো কি করবো? তোমার ভাগ্নি করেই এমন সব কাজ,

শুভ্রর আম্মু ভ্রু কুঁচকে বললো।”

—-” রোজ কি করলো?”

শুভ্র রেগে বললো,

—-” ও আজকে যা করেছে ও।”

এতটুকু বলে থেমে গেলো। শুভ্রর আম্মু এখনো জানেনা রাহির ব্যাপারে। শুভ্র থেমে যাওয়াতে উনি ভ্রু নাচিয়ে বললো,

—-” থেমে গেলি কেন?”

শুভ্র কিছু না বলে রুমে চলে গেলো। শুভ্রর আম্মু বোকার মতো বসে রইলো। শুভ্র রুমে এসে মাথা চেপে রাগ কন্ট্রোল করতে চাইছে। শুভ্র কোনরকম রাগটা কন্ট্রোল করে ব্যালকনিতে চলে এলো। এরমাঝে রাহি ফোন করলো। শুভ্র মুচকি হেসে ফোন রিসিভ করতেই রাহি বললো।”

—-” আমার বাবুটা কি করছে?”

শুভ্র বিরক্তি নিয়ে বললো,

—-” ওফ রাহি তোমাকে বলেছি না? আমাকে এসব বাবু, বেবী বলবে না। আমার এসব একদম ভাল লাগে না।”

রাহি রেগে গেলেও শান্ত হয়ে বললো,

—-” এমন করো কেন শুভ্র? আমিতো ভালবেসেই বলি।”

শুভ্র একটু চুপ থেকে বললো,

—-” এসব বলে ভালবাসা প্রমান হয় নাকি?”

রাহি থতমত খেয়ে বললো।”

—-” আরে না শুভ্র আমি ওভাবে বলিনি। আচ্ছা এখন কি করছো তুমি?”

আসলে কথা পাল্টাতেই এটা বললো,

—-” ব্যালকনিতে এসে দাড়ালাম। আর তখনি তুমি ফোন করলে।”

রাহি নেকামি করে বললো,

—-” কালকে রোজকে কিছু বলবে না?”

শুভ্র বেশ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো।”

—-” এসব থাক না রাহি। আজকে যা হবার হয়ে গিয়েছে। কাল আবার এটা নিয়ে ওকে কিছু বলার দরকার নেই,

রাহি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বললো।”

—-” মানে কি শুভ্র? তুমি কি রোজের প্রতি উইক হচ্ছো নাকি?”

শুভ্র অবাক হয়ে বললো,

—-” হোয়াট? এসব কি বলছো তুমি?”

রাহি রেগে বললো।”

—-” তাহলে তুমি এসব বললে কেন?”

শুভ্রও এবার রেগেই বললো,

—-” কি এমন বলেছি হ্যা?”

রাহি নাকি কান্না করে বললো।”

—-” আমাকে তুমি আর ভালবাসো না শুভ্র,

শুভ্র এবার বিরক্তি নিয়ে বললো।”

—-” এসব কি বলছো হ্যা? একটা সিম্পল ব্যাপার নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করছো কেন?”

রাহি এবার জোড়ে কেঁদে বললো,

—-” কি আমি বাড়াবাড়ি করছি? ওই রোজের জন্য আমাকে এসব বললে? এখন তো আমি কেউ না তাই না?”

শুভ্র চেঁচিয়ে বললো।”

—-” ওকে কালকে আমি রোজকে মারবো হ্যাপি?”

রাহি হেসে বললো,

—-” ইয়াপ বেবি।”

শুভ্র রেগে ফোন কেটে দিলো। রাহি হাসতে, হাসতে বললো,

—-” তোমাকে বোকা বানানো খুব ইজি শুভ্র। এবার রোজ কাল আবার অপমানিত হবে।”

শুভ্র রেগে ফোন বেডে ফেলে বললো,

—-” এই সব গন্ডগোল তোর জন্য হচ্ছে রোজ। এসবের জন্য একমাএ তুই দায়ী।”

_____________________

পরেরদিন রোজ রেডি হচ্ছে। একটা ব্লাক টপস পড়েছে। আর ব্লু কালার জিন্স প্যান্ট। হোয়াইট কেটস পায়ে, মুখে কোন সাজ নেই। রেডি হয়ে ব্রেকফাস্ট করে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো। আজকে একটু লেট করেই যাচ্ছে। কারন রোজ এতটুকু বুঝেছে। রাহি ইচ্ছে করে ওর সাথে ঝগড়া করে। তাই রোজ ভেবে নিয়েছে এখন থেকে লেট করে ভার্সিটিতে আসবে। আর গিয়েই সোজা ক্লাসে চলে যাবে। এতে এটলিস্ট রাহির মুখোমুখি হতে হবে না। রোজ ভার্সিটিতে এসে গাড়ি পার্কিং সাইডে রেখে এলো। এরপর ধাপধুপ পা ফেলে উপরে চলে গেলো। এসে নিজের ক্লাসে চলে এলো। মিম রোজের লেট দেখে বললো,

—-” কি রে তুই আজকে লেট কেন?”

রোজ বসতে, বসতে বললো।”

—-” যাতে রাহির মুখ না দেখা লাগে,

মিম রাহির নাম শুনেই বললো।”

—-” যা বলেছিস মেয়েটা যাচ্ছেতাই। একদম বজ্জাত একটা মেয়ে। ইচ্ছে করে তোর সাথে কথা বাজায়,

রোজ একটা শ্বাস নিয়ে বললো।”

—-” তোরও তাই মনে হচ্ছে না?”

মিম মুখ বাঁকিয়ে বললো,

—-” মনে হওয়ার কি আছে? ওই মেয়েকে দেখলেই বোঝা যায়। ওর পেটে, পেটে শয়তানি বুদ্ধি দিয়ে ভরা।”

এরমাঝে ক্লাসে টিচার এলো। তাই দুজনে চুপচাপ ক্লাস করতে লাগলো। ক্লাস শেষ করে ওরা বেরিয়ে এলো। বেরিয়ে আসতেই রাহিকে দেখলো। রাহিও রোজকে দেখে এগিয়ে এলো। রোজ রাহিকে পাশ কাটিয়ে যেতে গেলেই রাহি বলে উঠলো,

—-” আজকে তোমার কপালে দুঃখ আছে।”

রোজ দাড়িয়ে ভ্রু কুঁচকে বললো,

—-” মানে?”

রাহি একটা ভাব নিয়ে বললো।”

—-” শুভ্র আজও তোমাকে মারবে,

রোজ কপাল কুঁচকে বললো।”

—-” শুভ্র ভাই আমাকে কেন মারবে?”

রাহি মুখ বাঁকিয়ে বললো,

—-” আমি বলেছি তাই।”

রোজ ব্যাপারটা বুঝতে না পেরে বললো,

—-” বুঝলাম না।”

রাহি ঢং করে বললো,

—-” শুভ্র আমাকে অনেক ভালবাসে। ও আমার জন্য সব করতে পারে। আমি ওকে বলেছি তোমাকে মারলে আমি খুশি হবো। তাই ও আজও তোমাকে চর মারবে।”

রোজ অনেক কষ্ট পেলো এটা শুনে। তবে মনে, মনে অন্যকিছু ভেবে বললো,

—-” ওকে দেখা যাক কেমন মারতে পারে।”

বলে ওখান থেকে চলে গেলো। রাহি বসে, বসে শুভ্রর জন্য ওয়েট করছে। শুভ্র আজকে এখনো আসেনি। রাহি শুভ্রকে কয়েকবার ফোন করেছে। শুভ্র ফোনটাও রিসিভ করেনি। রাহির এবার রাগে শরীর জ্বলছে। রোজ শুভ্রকে না দেখে রাহিকে বললো,

—-” শুভ্র ভাই বুঝি আসেনি? আসবেও না কারন সে অফিসে।”

বলে হেসে দিলো। রাহি ফোস ফোস করে চলে গেলো। রোজ মুচকি হাসলো রাহিকে দেখে। রাহি বাইরে এসে শুভ্রকে আবার ফোন দিলো। এবারেও শুভ্র ফোন রিসিভ করলো না। রাহি কিছু একটা ভেবে বললো,

—-” রোজ কি করে জানলো শুভ্র অফিসে? তাহলে কি ওদের কথা হয়েছে?”

রাহি রেগে বললো।”

—-” না এটা হতে পারেনা। শুভ্রকে কিছুতেই হাতছাড়া হতে দেয়া যাবে না,

রোজ ক্লাস শেষে বাড়ি গেলো। এদিকে শুভ্র মিটিং শেষ করে বাইরে আসতেই শুভ্রর বাবা সাহেল চৌধুরী বললো।”

—-” ওয়েলডান মাই সন,

শুভ্র মুচকি হেসে বললো।”

—-” থ্যাংক ইউ বাবাই,

রোদও এগিয়ে এসে বললো।”

—-” কংগ্রাচুলেশনস শুভ্র,

শুভ্র রোদকে হাগ করে বললো।”

—-” থ্যাংকস রে,

রোদ হেসে বললো।”

—-” আমিতো ভাবতেই পারছি না। তুই প্রথমবার অফিসে এসে এত ভালভাবে মিটিং হ্যান্ডেল করবি,

শুভ্র ভাব দেখিয়ে বললো।”

—-” কোয়ালিটি আছে বস,

রোদ মজা করে বললো।”

—-” কোয়ালিটি না ছাই,

শুভ্র রোদের পিঠে গাট্টা মেরে বললো।”

—-” চুপ কর শালা,

রোদ ভ্রু কুঁচকে বললো।”

—-” এই শালা বললি কেন? আমি কি আমার বোনকে তোর সাথে বিয়ে দিয়েছি?”

সাথে, সাথে শুভ্রর মুখ কালো হয়ে গেলো। কথা পাল্টাতে শুভ্র বললো,

—-” আব রোদ মামনি কেমন আছে?”

রোদ মুখ বাঁকিয়ে বললো।”

—-” গিয়ে দেখতে পারিস না?”

শুভ্র মিনমিন করে বললো,

—-” আচ্ছা গিয়েই দেখবো।”

_______________________

রোদ শুভ্রকে এভাবে দেখে হাসলো। অফিস শেষে ওরা বাড়ি চলে গেলো। এরমাঝে আর শুভ্র ফোন দেখেনি। শুভ্র বাড়িতে এসে টায়ার্ড হয়ে রুমে গেলো। একটা লং শাওয়ার নিয়ে বেডে সটান হয়ে শুয়ে পড়লো। অতিরিক্ত টায়ার্ড থাকায় ঘুমিয়ে পড়লো। যখন ঘুম ভাঙলো তখন ৫টা বাজে। আর এখন তো তাড়াতাড়ি সন্ধ্যা হয়ে যায়। আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসলো শুভ্র। শুভ্রর মাথা থেকে রাহি বেরিয়েই গিয়েছিলো। এবার মনে পড়তেই চট করে ফোন ধরলো। তাড়াতাড়ি ফোনের লকটা খুললো। প্যাটার্ন লক করা ফোনে আর দিয়ে। তবে শুভ্র কখনোই রাহিকে ভেবে আর দেয়নি। কেন দিয়েছে শুভ্র নিজেই জানেনা। লক খুলে আগে রাহিকে কল করলো। রাহি ফোন রিসিভ করছে না। অনেকক্ষণ পর রাহি ফোন ধরেই বললো,

—-” এখন আর আমাকে ভাল লাগে না তাই না? আমাকে দিয়ে তোমার আর মন ভরে না?”

শুভ্র রাহির এহেন কথায় হতভম্ব হয়ে বললো।”

—-” রাহি এগুলো কি বলছো তুমি?” কি সব ভাষা দিচ্ছো?”

রাহি রেগে বললো,

—-” রোজ কি করে জানে যে তুমি অফিসে ছিলে।”

শুভ্র একটু রেগে বললো,

—-” শোনো অফিসে আজকে আমি প্রথম গিয়েছি। তাই আম্মু সবাইকে ফোন করে বলেছে। মামনিকেও ফোন করে বলেছে। তুমি মেবি ভুলে যাচ্ছো যে রোজ আমার কাজিন।”

রাহি চেঁচিয়ে বললো,

—-” ও এখন রোজ তোমার কাজিন এটা মানছো? আমাকে ইউজ করা শেষ তাই না? তাইতো এখন আর আমার ফোন ধরো না। তোমার খোজ আমাকে রোজের থেকে নিতে হয়।”

শুভ্র রাহির প্রথম কথায় রেগে বললো,

—-” ওয়েট তোমাকে ইউজ করেছি মানে? কিভাবে ইউজ করলাম তোমাকে আমি?”

রাহি নিজেকে কন্ট্রোল করলো। কারন নিজেই মনে, মনে ভাবলো। শুভ্রকে রাগানো যাবে না যা বলার রোজের নামে বলবে। তাই হেসে শুভ্রকে বললো।”

—-” সরি বাবু আই এম সরি। আসলে তুমি আমার ফোন রিসিভ করোনি। আর রোজ যা বললো তাতে রেগে গিয়েছিলাম,

এবার মিথ্যে কান্না কেঁদে বললো।”

—-” আসলে ভালবাসলে এত কথা শুনতে হয় জানা ছিলো না,

শুভ্র রাহির মিথ্যে কান্না শুনে বললো।”

—-” কথা শুনতে হয় মানে? কে কি বলেছে তোমাকে?”

রাহি ঢং করে বললো,

—-” রোজ বলেছে তুমি আমাকে ভালবাসো না। তাই তুমি আমার ফোন রিসিভ করোনি। তুমি নাকি ওকে ভালবাসো তাই ওকে অফিসে গিয়েছো এটা বলেছো। আমাকে নিয়ে নাকি তুমি টাইমপাস করছো। আমি কেঁদে ওকে বললাম। রোজ তুমি এসব কি বলছো? ও বললো বড়লোকের ছেলেরা এসব করে থাকে। আমিতো তোমার মতো বড়লোক নই শুভ্র তাই ও এসব বললো। আমি নাকি তোমাকে ফাঁসিয়েছি। আমি নাকি তোমার স্ট্যাটাসের না।”

এটা শুনে শুভ্রর মাথা গরম হয়ে গেলো। শুভ্র দাতে দাত চেপে বললো,

—-” ওকে আমি কাল ভার্সিটিতে এসে নেই।”

রাহি শয়তানি হেসে বললো,

—-” ওকে বেবি।”

পরেরদিন রাহি আর শুভ্র রোজের ওয়েট করছে। রোজ ভার্সিটিতে ঢুকতেই শুভ্র হাটুগেড়ে রাহির সামনে বসে পড়লো। রোজ বিস্ময় নিয়ে সেদিকে তাকিয়ে আছে। সবাই ওদের দিকে তাকানো। রাহি নিজেও অবাক ও এসব জানেনা। শুভ্র একটা ডায়মন্ড আংটি বের করে রোজকে শুনিয়ে বললো,

—-” উইল ইউ ম্যারি মি বেবি?”

রাহি খুশিতে গদগদ হয়ে ইয়েস বলে হাত বাড়িয়ে দিলো। শুভ্র রাহির আঙুলে আংটি পড়িয়ে বললো।”

—-” শোনো সবাই ১মাস পর। ঠিক ১মাস পর আমরা বিয়ে করবো,

সবাই ওদের কংগ্রাচুলেট করছে। রোজ চোখ মুছে দাড়িয়ে রইলো। শুভ্র রাহির হাত ধরে রোজের সামনে দাড়িয়ে বললো।”

—-” তুই ওকে অপমান করেছিস কেন?”

রোজ অবাক হয়ে বললো,

—-” হোয়াট?”

শুভ্র একটু রেগে বললো।”

—-” সত্যি বল রোজ রাহিকে আজেবাজে কথা কেন বলেছিস?”

রোজ সোজা উত্তর দিলো,

—-” আমি ওকে কিছু বলিনি। শুধু বলেছি তুমি অফিসে।”

রাহি নেকামি করে বললো,

—-” বেবি ও আমাকে মিথ্যুক বলছে।”

রোজ স্মিত হেসে বললো,

—-” তুমি নিজেই যদি নিজেকে মিথ্যুক বলো। তাহলে আমি কি করতে পারি?”

শুভ্র রেগে রোজকে চর দিতে হাত ওঠালো। রোজ খপ করে শুভ্রর হাত ধরে ফেললো। শুভ্র চমকে তাকিয়ে রইলো। রোজ শুভ্রর হাত ধরে রেখেই বললো।”

—-” সরি শুভ্র ভাই। আমাকে মারার রাইট আমি তোমাকে দেইনি। আর বিনা কারনে তুমি আমাকে মারতে পারো না। তুমি খুব ভাল মত জানো আমি কি করতে পারি। না তো আমাকে কাজিন বলে মানো। আর না তো আমি তোমার জিএফ। তাহলে কোন অধিকারে আমাকে মারতে চাইছো? নেক্সট টাইম আমাকে চর মারতে গেলে অধিকার নিয়ে মারবে,

বলে রোজ হনহন করে চলে গেলো। শুভ্র শকড হয়ে তাকিয়ে আছে। শুভ্রর রাগও লাগছে অধিকারের কথা বলাতে। কেন রাগ লাগছে শুভ্র নিজেও বুঝতে পারছে না। শুভ্রও রেগে একেবারে ভার্সিটি থেকেই চলে গেলো।”

#চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে