#প্রেম_প্রেম_পায়রা
#পর্ব_১২
#গোলাপী_আক্তার_সোনালী
“আরে লোকটা তো মারা গেলো!কি ভাবছেন ম্যাম?
” হু কিছু না।মিলি তুমি এক কাজ করো এই ফোনটা তোমার কাছে রাখো আর ভিডিও টার একটা কপি করে রাখো।আমাদের কাছে যত প্রমাণ আছে সবগুলো একটা করে এক্সট্রা কপি রাখতে হবে।আর অবশ্যই কপিগুলোই আমাদের সবার সামনে শো করতে হবে অন্তত কোর্ট অব্দি পৌঁছানো পর্যন্ত। আমাদের শত্রু পক্ষ যথেষ্ট স্ট্রং তাই রিস্ক নেয়া যাবে না।
“ইয়েস ম্যাম বুঝতে পেরেছি কি বলতে চাইছেন।যাতে করে শত্রুর কেউ ওই প্রমাণ গুলো কোনো ভাবে নষ্ট করতে চাইলে বা করলেও আসল গুলো দিয়েই আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারি।
” একদম।
শামসুল শিকদার টিভিতে নিউজ দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে।তার অনেক দিনের স্বপ্ন অবশেষে পুরন করতে পেরে।একবার যদি নুহাশকে দোষি প্রমাণিত করা যায় তাহলে এইবারের এমপি সেই হবে এব্যাপারে নিশ্চিত শামসুল।
“অনেক জ্বালিয়েছিস নুহাশ।তোর বাপ থাকতে কেউ তোর কোনো ক্ষতি করতে পারেনি।এমনকি বাপ মরার পরও।শালা এমন একটা ড্রাইভার জুটিয়েছিস যে নিজে মরবে তবুও তোর কিছু হতে দিবে না? এখন দেখ কেমন লাগে? খুব তো সবার মনে যায়গা করে নিয়েছিলি।এবার দেখবি তারাই তোকে জুতোপেটা করবে।আহ আমার ভেবেই কেমন আনন্দ হচ্ছে।
” স্যার একজন ছেলে এবং মেয়ে দেখে মনে হলো স্বামী স্ত্রী আপনার সাথে দেখা করতে চায়।
“কে। নাম বলেছে?
” নাম বললো রোহিত।আপনার ছোট বেলার বন্ধু।
“রোহিত!ওহ হ্যাঁ পাঠিয়ে দাও।কিন্তু হঠাৎ এতোদিন পর কি মনে করে?
” আসতে পারি?
“আয়। সাথে ইনি কে?
” তোর ভাবি।আসলে আমাদের বিয়ের ১ সপ্তাহ হলো।কাউকে জানাইনি।হুট করেই বিয়ে তো।এদিকেই এসেছিলাম তাই ভাবলাম তোর সাথে দেখা করে যাই।
“তা এতোদিন কোথায় ছিলি? হুট করেই কোথায় যেন হারিয়ে গেলি।কোনো খোজ খবর নেই।দেখা নেই।
” ছিলাম কোথাও একটা। তোকে এতো খুশি খুশি লাগছে যে কোনো ভালো খবর আছে নাকি?
“তা বলতে পারিস।আজ আমার অনেক আনন্দের দিন।
” কেন কেন?
“আজ আমার সবচেয়ে বড় শত্রুকে আমার রাস্তা থেকে সরাতে পেরেছি তাই।
” শত্রু!তোর আবার শত্রু কে কিসব বলছিস?
“শোন তাহলে নুহাশ আছে না।আরে এভাবে তো চিনতে পারবি না।রাজনীতিবিদ নুহাশ চৌধুরী এইবার ভোটে এমপি হয়েছে?
” হ্যাঁ হ্যাঁ চিনতে পেরেছি।শুনলাম এখন জেলে আছে কাল রাতে পুলিশ এরেস্ট করেছে বাড়ি থেকে।কিন্তু ওর সাথে তোর কি সমস্যা?
“ওর জন্য শুধু মাত্র ওর জন্য আমি এবার ভোটে জিততে পারিনি।সবার মাথার ওপরে ছুড়ি ঘুরাচ্ছে আর সবাই নেচে যাচ্ছে। এবার আমার শান্তি।
” এখানেও ওই নু্হাশ!
“এভাবে কেন বললি?
” বউ তুমি একটু বাড়িটা ঘুরে দেখো আমাদের কিছু কথা আছে।
“দেখেছিস আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম।
দাঁড়া তোর ভাবিকে ডাকছি।ও নিয়ে যাবে রাহা একটু এদিকে এসো তো।
স্বামীর ডাক শুনে নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে এলো রাহা।শামসুল এর স্ত্রী। হাইটে ছোট হলেও দেখতে একদম পুতুলের মতো।
” কিছু বলবে?
“ও আমার ছোট বেলার বন্ধু রোহিত।আর ইনি হচ্ছে ওর ওয়াইফ নামটা যেন কি?
” নুর।
“হ্যাঁ নুর।তুমি ওনাকে ভিতরে নিয়ে যাও আর খাবার বানাতে বলো কাউকে।
“হাই আমি রাহা ।আসুন ভেতরে যাই।
নুর চলে গেলো রাহার সাথে।রোহিত চাইছিলো না নুর এখানে থাকুক।প্রথমত রোহিত নুহাশের বিষয়ে অনেক খারাপ কথা বলবে আর দ্বিতীয়ত ভাইয়ের এমন কথা নুর কিছুতেই মানতে পারবে না সেটা যতই বানিয়ে বানিয়ে হোক না কেন।তখন দেখা যাবে নুর রিয়াক্ট করবে এতে হিতে বিপরীত বই কিছুই হবে কাজের কাজ কিছুই হবে না।
“ভাবি তো নেই এবার বল।
” আসলে ওই নুহাশের বাচ্চা আমার ভালোবাসার মানুষটাকে আমার থেকে কেড়ে নিয়েছে।অনেক ভালোবাসতাম ওরে কিন্তু ক্ষমতা আর টাকার কাছে আমার ভালোবাসা কোনো মূল্যই পায়নি।কিন্তু আমি এটা বুঝতে পারছি না ওকে কিভাবে ফাঁসালি?
“সবই বুদ্ধির খেলা বুঝলি।সে অনেক কথা।আচ্ছা তুই যখন আজ এসেই গেছিস তাহলে রাতের পার্টিতে থাকবি কিন্তু।
” কিসের পার্টি?
“আরে আমার সবচেয়ে বড় শত্রু তার ব্যাপারে কাল কোর্টে রাই বেরুবে।আর আমি তো জানি ও কিছুতেই বাঁচতে পারবে না।সেই আনন্দে।
” তুই শিওর বাঁচতে পারবে না তো?
“আরে হ্যাঁ পাক্কা।
” তাও বলছি ওর বউ কিন্তু সুবিধার নয়।নামকরা উকিল একটু সাবধানে পা ফেলিস।
“তা হোক না। আমাদের কাছে প্রমান আছে তো।ওই উকিল কিচ্ছু করতে পারবে না।তবে ওই কথাই রইলো।তুই এবং ভাবি আজ আসছিস।আমাদের পুরনো বাংলোতে। চিনিস তো তুই।
” হ্যাঁ তা চিনি।
★
“এবার কি করবে ভাবছো ছোয়া? আমরা কি সত্যিই যাবো।
” হ্যাঁ অবশ্যই যাবে এবং আমাকে আর মিলিকে যাওয়ার ব্যাবস্থাও তোমরাই করে দেবে।
“কিন্তু সেটা কিভাবে ভাবি?
” দেখো এমনিতে তো ওই বাংলোতে সবসময় সবার যাওয়া সম্ভব নয়।কিন্তু আজ যেহেতু সেখানে পার্টির আয়োজন করা হয়েছে তার মানে অনেকেই আজ সেখানে যাবে।আর আমরা এই সুযোগ টাই কাজে লাগাবো।
“বুঝেছি।তুমি চিন্তা করো না। আমি তোমাদের বেতরে যাওয়ার ব্যাবস্থা করে দিবো।
পার্টির আয়োজন বেশ বড় করেই করা হয়েছে।কিন্তু বাইরে থেকে তা বুঝার উপায় নেই।নুর এসেছে একটা কালো শাড়ি পরে।নুরকে দেখে রাহা এগিয়ে এসে অন্যদিকে নিয়ে গেলো।নুর এটুকু বেশ বুঝেছে রাহা মেয়েটা খুবই সরল প্রকৃতির এবং মিশুক।যা শামসুল এর দিক থেকে সম্পুর্ন আলাদা।ওর মনে নেই কোনো হিংসা। এবার রাহার জন্য খারাপ লাগলো নুরের। রাত পোহালেই মেয়েটার বিশ্বাস ভেঙ্গে যাবে এই ভেবে।
রোহিত কানে হেডফোন দিয়ে রেখেছে।মুলত ছোয়ার সাথে যোগাযোগ রেখেছে সে।ভেতরে মিউজিক বাজছে।সেই সাথে উচ্চ পরিবারের লোকজন মিউজিকের তালে তালে কোমড় দুলাচ্ছে কেউ বা ড্রিংকস নিয়ে ব্যাস্ত।
এতোকিছুর মাঝে এরশাদ শিকদারকে একবারও দেখা যায়নি।কিন্তু এবার তার দেখা পাওয়া গেলো।দেখে মনে হচ্ছে সে মোটেও খুশি নয় এই আয়োজনে। শামসুল এর সাথে কিছু একটা নিয়ে তর্কাতর্কি চলছিলো তার।কথার একপর্যায়ে এরশাদ শিকদার একটা রুমে ঢুকে গেলো।ভাইয়ের পিছু পিছি শামসুল ও গেলো।বিষয় টা মোটেও সুবিধার লাগলো না।ছোয়াকে একটা টেক্সট দিয়ে সেও পিছু নিলো।
নুর ছোয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলো।অবশ্য রাহাকে বলেই ছোয়ার ভেতরে ঢুকার পারমিশন নিয়েছে নুর কৌশলে।রাহাকে বলেছিলো ওর এক ফ্রেন্ড আসবে।রাহা শুনেই সিকিউরিটি গার্ডকে বলেছে নুর যাকে আনতে চায় তাকে যেন ঢুকতে দেয়া হয়।ব্যস নুরের কাজ শেষ।
এদিকে রোহিতের টেক্সট পেয়ে ছোয়া চলে এসেছে। নুরকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে গেলো ওর কাছে।
“একি তুমি এভাবে কেন এসেছো ভাবি।এসব সুট বুট পরে কেন?
” আস্তে কথা বলো নুর।রোহিত কোথায়?
“উনি ভেতরেই আছেন।শোনো যা করবে খুব সাবধানে ঠিক আছে।আর ঘরটা চিনবে তো।
” হ্যাঁ হ্যাঁ চিনে নিবো। তুমি বাইরের টা দেখে রেখো আর কোনো বেগতিক ঠেকলে আমাকে ফোন করবে কেমন।
“হ্যাঁ ঠিক আছে এবার যাও কেউ একসাথে এভাবে দেখলে সমস্যা হতে পারে।তোমাদের কাজ হয়ে গেলে দেরি করবে না কেমন।আমাকে টেক্সট করে চলে যাবে তোমরা।
” ঠিক আছে।চলো মিলি আমাদের যেতে হবে।
ছোয়া খুব সাবধানে এরশাদ শিকদারের রুমে প্রবেশ করলো।ঘরটা বেশ বড়।বাইরে গানের শব্দ শোনা যাচ্ছে।বলা বাহুল্য এখানে তেমন কোনো জিনিসপত্র না থাকলেও যা আছে খুব দামি এবং নজরকাড়া। ড্রিম লাইটের আলোতেও দেখতে মোহনীয় লাগছে।
“ম্যাম অন্ধকারে তো চাবি খুজে পাবো না এর এই লাইটের আলোতে কিছুই দেখা যাচ্ছে না ঠিক করে।
” ফোনের আলো জালাও মিলি।তবে আলো যেন বেশি না ছড়িয়ে পরে।
“হ্যাঁ ম্যাম।
অনেক খোজাখুজি করে অবশেষে একটা চাবির ছড়া পেলো তারা।কিন্তু এখানে চাবির পরিমাণ এতোই যে কোনটা কোন আলমারির চাবি তাই বুঝতে পারছে না।কারন এই ঘরে টিনটে আলমারি। একটা মানুষ ঘরে যে তিনটা আলমারি রাখে তা এই ঘর না দেখলে বিশ্বাস হতো না।আলমারি ছাড়া তেমন কোনো ফার্নিচার নেই বললেই চলে।
” এখানে এতোগুলো আলমারির মধ্যে কোন টাতে খুজবো আমরা ম্যাম?এক কাজ করি আমরা একটা একটা করে চেক করি।
“এতে অনেক সময় লাগবে মিলি আমাদের হাতে এতো সময় নেই।
আমাকে একটু ভাবতে দাও।এখানে আলমারি তিনটা হলেও চাবি কিন্তু একটু বেশিই আর কেমন অদ্ভুত রকমের চাবি আছে দুটো
সুতরাং এখানে আলমারি ছাড়াও অন্য কিছু আছে যার চাবি এটা।
” ম্যাম একটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন?
“কি বলতো?
” বাকি দুটো আলমারি তুলনায় এই আলমারিটা কেমন পাতলা।মানে আমি বলতে চাইছি এটা দেখে যেমন ভারি মনে হচ্ছে আদোও কিন্তু তা নয়।এই দেখুন আমি মাত্রাই এটার সাথে লেগে পরেই যাচ্ছিলাম কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় কি জানেন এটা কোনো আলমারিই নয় বরং আলমারির মতো দেখতে একটা ছবির ফ্রেম যেটার ছবি দেখতে হুবহু আলমারির মতোই।
“কই দেখি।তাই তো।কিন্তু এটা এভাবে কেন রাখা হছেয়ে।নিশ্চয়ই এখানে কিছু একটা আছে।আমাদের এটা সরাতে হবে।
দুজনে খুব সাবধানে ফ্রেমটা সরিয়ে এমন কিছু দেখলো যা দেখে ছোয়া শিওর হয়ে গেলো যে ওরা যার জন্য এসেছে তা এখানেই আছে।
” ম্যাম এটা একটা দরজা!
“আমি নিশ্চিত মিলি আমরা যেটা খুজতে এখানে এসেছি তা এখানেই পেয়ে যাবো।তুমি এখানেই থাকো আমি দেখছি।
রোহিত অনেক্ষন ধরেই এরশাদ শিকদার এবং শামসুল যেই রুমে আছে সেই দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।ভেতরে কি কথা হচ্ছে তা বুঝতে পারছে না।
” উফ এতো কি কথা বলছে কে জানে।কিন্তু যাই কথা হোক আমাকে তো শুনতে হবে ওরা কি বলছে।আরে এই বুদ্ধিটা কেন আগে মাথায় আসেনি।
কিছু একটা ভেবে রোহির জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।যা ভেবেছিলো তাই।এই জানালাটা উপর এবং নিচের দিকটা ফাঁকা।আগে যেহেতু রোহিত এই বাংলোতে এসেছে তাই অনেক কিছুই তার জানা।এই রুমটাতে শামসুল এর বাবা থাকতেন।তিনি বন্ধ পরিবেশ পছন্দ করতেন না।তাই এই ঘরটা সেইভাবেই বানানো যাতে বাইরের হাওয়া বাতাস সবসময় চলাচল করতে পারে।
“এই সামান্য বিষয় নিয়ে এতো রেগে যাওয়ার কি আছে ভাইজান?
” তুমি এখনো রাজনীতিতে কাচা শামসুল। তাই বুঝতে পারছো না।আরে পার্টি করছো বেশ ভালো তাই বলে এতো লোকজন! সময় অসময়ের একটা ব্যাপার আছে তো নকি।তাছাড়া তুমি যে নুহাশকে ফাঁসানোর জন্য এসব করেছো তা যে কেউই বুঝবে তোমার এই আয়োজন দেখলে।
“ভাইজান কেউ বুঝবে না।তাছাড়া এর কোনো প্রমাণ নেই যে আমিই নুহাশকে ফাঁসিয়েছি।তাই কারো ভাবা দিয়ে আমার কোনো কাজ নেই।
” ঠিক এই জন্য এই জন্যই তোমাকে আমার অপদার্থ মনে হয়।সামান্য ইলেকশন জিততে পারো না এখন তাকে সরাতে তোমার এতো কিছু করতে হচ্ছে।
“আপনিও তো সামান্য এক উকিলকে সামলাতে পারেন্নি ভাইজান।শেষে তাকে আপনি দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দিয়েছেন।
” কি বলতে চাইছো!
“কেন সোলাইমান এর কথা ভুলে গেছেন আপনি। মনে আছে ১৮ বছর আগের কথা?সে না হয় অনেক দিন আগের কথা গত ৬ মাস আগের কথা মনে আছে আপনার।আলহাজ্ব চৌধুরীর কথা ভুলে গেছেন?
” তুমি!
“আমি সব জানি।ওদেরকে আপনি খুন করেছেন সেটাও জানি।এমনকি আপনার ড্রাগস এর ব্যাবসা ছাড়াও মেয়ে ভক্রের কথাও জানি আমি।ছয় মাস আগে হুট করে দেশে আশা তারপর কাউকে না জানিয়েই হুট করে চলে যাওয়া এই সবই আমি জানি। তাই আমাকে বেশি ঘাটবেন না।এতে আপনারই বিপদ ভাইজান।
কথাটা বলে আর থামলো না শামসুল। সে এখন পার্টি মুডে আছে।তাই আপাতত ভাইয়ের কথা সে মেনে নিতে পারছে না।
” এই ব্যাপার। আজ আরো একজন জেনে গেলো আর তা আমার এই ফোনে ভিডিও হয়ে গেলো মাই ডিয়ার ফ্রেন্ড।
“ম্যাম কেউ আসছে মনে হয় আপনি কি কিছু পেলেন?
” পেয়েছি মিলি।আমাদের যা দরকার ছিলো
পেয়ে গেছি এবার এই ফ্রেমটা আগের মতো করে রাখতে হবে।জলদি করো।
সবকিছু ঠিকঠাক করে ছোয়া মিলি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই এরশাদ শিকদার ঘরে প্রবেশ করেন।অন্ধকার থাকায় সবটা না দেখলেও তার মনে হলো এখানে কেউ ছিলো।কিন্তু ঘরের লাইট জালিয়ে কিছুই তিনি দেখতে পেলেন না।সবকিছু ঠিকঠাকই মনে হলো।
“বিপুল ভাই তারাতাড়ি গাড়ি ঘুরান ।যে কোনো সময় কেউ চলে আসবে।আমি নুরকে টেক্সট করছি।
‘আমাদের কাজ হয়ে গেছে তোমরা সুযোগ বুঝে চলে এসো অপেক্ষা করছি’
নুর নিজের ফোনে এই টেক্সট টা দেখে রোহিতকে খুজতে লাগলো।
” এই লোকটা আবার কোথায় গেলো।এখন একে কোথায় খুজবো।
“নুর ছোয়া কিছু জানিয়েছে?
” আপনাকেই খুজছিলাম।কোথায় ছিলেন।আমাদের বেরুতে হবে ওরা অপেক্ষা করছে।
“হ্যাঁ আমারও কাজ শেষ। চলো এবার যাওয়া যাক।
প্রায় আধঘন্টা পর নুর আর রোহিতকে দেখতে পেলো ছোয়া।
” এসে গেছো তোমরা।তারাতাড়ি উঠে পরো।
“তোমাদের কাজ শেষ ছোয়া?
” হ্যাঁ। এবার আর নুহাশকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না।কেউ না।এবার শত্রুদের পালা।অনেক খেল দেখিয়েছে।এবার ওরা দেখবে সবকিছুর হিসাব নেবো আমি।
চলবে