#প্রেম
#পর্বঃ১৪
#Tanisha Sultana
বিকেলে মিষ্টি রুমে বসে বই পরছিলো। হঠাৎ গিটারের শব্দ কানে আসে। এতো সুন্দর করে কে গিটার বাজাচ্ছে। দেখার জন্য ছাঁদে যায়। মিষ্টি। দেখে জীম গিটার বাজাচ্ছে আর জীমকে ঘিরে সবাই দাড়িয়ে আছে। জীম মিষ্টির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে গান শুরু করে
“অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন
পেলাম খুজে এ ভুবনে আমার আপন জন
তুমি বুকে টেনে নাওনা প্রিয় আমাকে
আমি ভালোবাসি
ভালোবাসি
ভালোবাসি তোমাকে
মিষ্টি জীমের গান শুনছে আর মিটমিট করে হাসছে। সবাই খুব মন দিয়ে জীমের গান শুনছে। জীম এতো ভালো গান গায় এটা কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না।
জীম মিষ্টির দিকে তাকিয়ে গাইছে। গান শেষে সবাি হাত তালি দেয়। মিষ্টিও দেয়। জীম মিষ্টিকে চোখ মেরে চলে যায়। মিষ্টিও একটু হেসে চলে যায়।
রাতে মিষ্টি মিষ্টির বাবা মা আর তাজ খাচ্ছে। খেতে খেতে মিষ্টির বাবা বলে
” মামনি
“হুম বাবা বলো
” এক্সামের পিপারেশন কেমন?
“হুম ভালোই
“গুড। ভালো করে এক্সাম দেবে
” হুম
খাওয়া শেষে মিষ্টি রুমে আসে। আজ মিষ্টির মা মিষ্টির সাথে থাকবে। মিষ্টি অনেক করে না করেছিলো কিন্তু কাজ হয় নাই। মিষ্টি পরছে আর মিষ্টির মা মিষ্টির চুল বিনুনি করে দিচ্ছে। মিষ্টির টেনশন হচ্ছে জীমের ফোন রিসিভ না করলে তো জীম মিষ্টিকে শাস্তি দেবে। মিষ্টি কি করবে বুঝতে পারছে না
“মিষ্টি কি হয়েছে
” কই কিছু না তো
“তাহলে পরায় অমনোযোগী কেনো
” আমি তো মন দিয়েই পরছি
“হুম তাই করো। লেখাপরাি একমাএ সম্পত। অন্য সব কিছু তুমি পরেও পাবে বাট লেখাপড়া পাবে না। সো তোমার ধ্যান ঙ্গান সব লেখাপড়ার ওপর ফোকাস করো
” হুমমম
মিষ্টি পরছে। মিষ্টির মা মিষ্টির পাশে বসে পরিহ্মার খাতা দেখছে।
এদিকে জীম মিষ্টিকে অনেকবার ফোন দেয় মিষ্টি ফোন রিসিভ করে না। তাই জীম ফোনটা আছার মেরে মদ নিয়ে বসে।
সকাল সকাল মায়া ছায়া কৃশ আর রনি (মায়ার বর) আসে মিষ্টিদের বাড়ি। মিষ্টি তো ওদের দেখে মহা খুশি। আজ আর কলেজে যাবে না। অনেক কষ্টে বাবা মা কে মেনেজ করেছে। মিষ্টির রুমে বসে ওরা গল্প করছে
“তারপর মিষ্টি কেমন যাচ্ছে দিন কাল (রনি)
” ভালোই।
“মিষ্টির আবার দিনকাল সারাক্ষণ বই। আমার মনে হয় মিষ্টিকে বইয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়া উচিৎ (মায়া)
মায়ার কথায় সবাই হাসতে থাকে
” ভাবি তোমার বোন কে বলো বইয়ের পাশাপাশি আমাকেও একটু সময় দিতে (কৃশ)
“আপনাকে সময় দেবো কেন? কে হন আপনি আমার
” আপাতত বিয়াই হই ইন ফিউচার বর হবো
“ও মা গো এতো আশা
” আশা না। হবেই
“শিওর
” ইয়াহ
“দেখা যাক
” আপু চল না মামা বাড়ি থেকে ঘুরে আসি (ছায়া)
“হুম চল। মিষ্টি যাবি
” চলো
সবাি মিলে জীমদের বাড়ি যায়। এই প্রথম মিষ্টি জীমদের বাড়িতে যাচ্ছে। মিষ্টির শশুর বাড়ি। কেমন কেমন লাগছে মিষ্টির।
ওদের দেখে জীমের মা তো মহা খুশি। ওদের অপ্পায়ন করায় ব্যস্ত। ছায়া বলে
“মামিমা জীম ভাইয়া কই?
” ও তো পেয়েছে এক গিটার। সারাক্ষণ ওটা নিয়ে বসে থাকে। নাওয়া খাওয়া বাদ।
“মিষ্টি যা না জীমকে ডেকে নিয়ে আয় (ছায়া)
” আমি
“হুম মা যাও। ওইদিকে জীমের রুম (জীমের মা)
মিষ্টি একটু একটু করে জীমের রুমের দিকে যায়।ভয় আর অস্বস্তি দুটোই হচ্ছে মিষ্টির। কাল ফোন রিসিভ করে নি কি হবে এখন।
জীমের দরজার কাছে দাড়িয়ে রুমের দিকে উঁকি দেয় মিষ্টি। রুমে কাউকে না দেখে ভেতরে ঢুকে। জীমের রুমটা আজ গোছানো। মনে হয় আন্টি গুছিয়েছে। বিছানার একপাশে গিটারটা রাখা।
ওয়াশরুমের দরজা খোলার শব্দে মিষ্টি ওদিকে তাকায়।
জীম খালি গায়ে শুধু একটা টাওয়াল পরে বেরিয়ে আসে। সারা শরিলে বিন্দু বিন্দু পানি। মাএ গোছল করেছে। মিষ্টি জীমের দিকে তাকিয়ে একটা চিৎকার দিয়ে চোখ ঢাকে
” সরি সরি আমি বুঝতে পারি নি। আপনি প্লিজ কিছু গায়ে দিন
জীম কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বুঝার চেষ্টা করছে মিষ্টি এখানে কি করছে।
মিষ্টি চোখ থেকে হাতটা একটু শরিয়ে দেখে জীম চেঞ্জ করছে না কি
“আপনি দাঁড়িয়ে আছেন কেনো? আমি এভাবে কতোখন থাকবো?
জীম এবার দুষ্টু একটু হেসে মিষ্টির দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলে
” তুমি চোখ ঢেকে আছো কেনো?
“আপনি খালি গায়ে তাই
জীম মিষ্টির খুব কাছে চলে এসেছে। জীমের নিশ্বাস মিষ্টির হাতে পরতেই মিষ্টি হাত শরিয়ে জীমের দিকে তাকায়। জীম কি রকম অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে মিষ্টির দিকে। মিষ্টি তুতলিয়ে বলে
” আআআপনিন একটু দদদুরে যান প্লিজ
জীম মিষ্টির দিকে আর একটু ঝুকে বলে
“কেনো? আমি তোমার কাছে থাকলে ভালো লাগে না
” আপনাকে ডাকছে
“আমাকে ডাকছে এটা বুঝতে পারছো। আর আমি তোমাকে ডাকি তুমি সেটা বুঝতে পারো না।
” কেউ চলে আসবে
“আসুক না
” আমাদের এক সাথে
“স্বামী স্ত্রী সব সময় এক সাথে থাকে জানো না
” প্লিজ
মিষ্টি অসহায় ভাবে বলে। জীম মিষ্টির দুগালে হাত দিয়ে মুখটা একটু এগিয়ে নেয়
“কি করছেন আপনি
মিষ্টির কথা জীম কান দিচ্ছে না
“সরি সরি ভুল সময় চলে এসেছি
ছায়ার কন্ঠ শুনে জীম মিষ্টির থেকে দুরে দাড়ায়।
” ওই পাগল নক করে ঢুকবি না
“আমি কিভাবে বুঝবো তোমরা দরজা খোলা রেখে রোমান্ঞ করছো
” পাকনামি করতে হবে না। যা আমরা আসছি
“হুম যাচ্ছি। মিষ্টি আল দ্যা বেস্ট
ছায়া চলে যায়। মিষ্টি লজ্জায় মাথা তুলে তাকাতে পারছে না।
” ওই আর লজ্জা পেতে হবে না। এবার তাকাতে পারো
মিষ্টি জীমের দিকে তাকায়। জীম কালো জিন্স আর সাদা শার্ট পরেছে। আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল ঝারছে।
“এতো কিউট কেনো আমার বরটা। ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলি
” আমাকে দেখা শেষ হলে এবার যাই
“শুনুন
জীম মিষ্টি দিকে এগিয়ে আসে
” বলুন
মিষ্টি জীমের গালে টুপ করে একটা চুমু দিয়ে দৌড়ে চলে যায়।
“আচ্ছা এই বেপার। আমারও সময় আসবে
জীম মুচকি হেসে মিষ্টির পেছনে যায়।
চলবে