প্রেমময় তৃষ্ণা পর্ব-০৭

0
2224

#প্রেমময় তৃষ্ণা”
#writer -TaNiA[🖤]
#part-7

——————————————————————–
——————————————————————–
এতোদিনে চারদিকে বসন্তের ছোঁয়া থাকলেও এখন কিছুটা কমে গিয়েছে কারন ঋতুরাজ বসন্তকে ও বিদায় দেয়ার সময় হয়ে আসছে।তাই পরিবেশটাও এখন আগের মতো নেই।কিছুটা গরম এখনি পড়া শুরু করে দিয়েছে।তবে মাঝে মাঝে বৃস্টি এসে কিছুটা ঠান্ডা অনুভূতি দিয়ে যায় পরিবেশকে।আজও রাতভর বৃস্টি হয়েছিলো।কিন্তু সকাল সকাল সূর্যিমামা উকি দিয়ে পরিবেশটাকে এখন আবার গরম করেদিলো।

___কলি,শিলা আর শিলার ছোট বোন নিপার সাথে স্কুলে দিকে যাচ্ছিলো।রাস্তার চারপাশে অনেক কোলাহোল, সাধারত গ্রামের মানুষজন এর সকাল শুরুই হয় ভোর থেকে।তাইতো সকাল হতে না হতেই কর্মমুখী মানুষজন ব্যস্ত হয়ে পরেছে।তার উপর শিলা ও আজ খুব বকবক করছে।কারন হাতে নতুন মোবাইল পেয়েছে।নতুন মোবাইলের খুশিতে তাই দিশেহারা ও।কিন্তু মনটা একদমই ভালো না কলির।কারন একটাই শুভ………।স্কুলের বসন্ত বরন অনুষ্ঠানের সময় এসেছিলো,আর কলির সাথে দেখা করতে আসেনি।ফোনে কথা হয় প্রতিদিন।কিন্তু কলির যে শুভকে খুব দেখতে মন চাইছে সে কথা কিভাবে বলবে কাউকে।
|
বাবার ব্যবসা ধরার কারনে শুভ একদমই সময় পায়নি,তাই মাসখানিকের উপর হলো কলির সাথে দেখাও করতে পারে নি।তবে এখন কিছুটা হলেও চাপ কমেছে….এতোদিন শুভ প্রচণ্ড ঝামেলার মধ্যেই ছিলো।আগে শুভ মাঝে মাঝে অফিসে আসতো বাবাকে সাহায্য করার জন্য,কিন্তু এখনতো শুভকে একাই সব সামলাতে হবে।তাই সব কিছু বুঝে নিতে সময় লেগে গেলো।
|
স্কুলের ছুটির পর আমি ও শিলা একসাথে বের হলাম,রাস্তার ওপারে ফুসকা ওয়ালকে দেখে শিলা দৌঁড়ে ওখানে চলে গেলো।আর টক দিয়ে একপ্লেট ফুসকা ওর্ডার করলো।শিলা মন প্রাণ উজার করে ফুসকা গিলছে।আর আমি আবাক হয়ে দেখছি।___কলি একটা খেয়ে দেখ খুব টেস্টি রে।_____না না আমার এতো শখ নাই,তুই খা তোর ফুসকা।___কলি তুই একটা আজব মাইয়ারে,আমি আজ পর্যন্ত দেখিনি,কাউরে ফুসকা মানা করতে,অথচ তুই এগুলো খাছই না।কে রে____কেনো জানি ভালা লাগে নারে।পেটেও হজম হয়না।একবার শখ কইরা চেস্টা করছিলাম,কিন্তু রাতে পেটের ব্যাথায় জান যায় যায় অবস্থা।
|
আরে এতো তারাতারি মরলে আমাগো কি হইবো সুন্দরী।কলি ও শিলা দুজনেই ঘাড় গুড়িয়ে দেখার চেস্টা করলো কে??এতো চেয়ারম্যান এর পোলা শিহাব আর তার বখাটে বন্ধুরা ইলিয়াস,লিমন।এর আগে শিহাব কলিকে দূর থেকে শুধু দেখতো।আর তার বন্ধুরা গান বা শিষ বাজিয়ে ছেঁচড়ার মতো উৎপাত করতো।কলি অনেকবার খেয়াল করলেও কখনো কিছু বলেনি,কারন চেয়ারম্যান এর ছেলে,শুধু শুধু কলি কোনও ঝামেলা ঝরাতে চায় নি।কিন্তু আজ তো একদম সামনে এসে পড়েছে,আজতো চাইলেও এড়াতে পারবে না।কয়েকমাস গ্রামে ছিলো না,তাই এতোদিন দেখেনি,আজ আবার কোথা থেকো উদয় হলো ফাজিলটা।
|
শুনলাম আজকাল নাকি চৌধুরী বাড়ীর বড় পোলার লগে তোমার খাতির বাইরা গেছে।কেমন উদ্ভট চোখে আমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে আর বলছে ,যা খুবই অস্বস্তিকর লাগছে আমার।____আমি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে উত্তর দিলাম,তেমন কিছু না শিহাব ভাইয়া।
|
তেমন কিছু না হইলেই ভালা,অত্যন্ত তোমার জন্য।অবশ্য শুভ চৌধুরী তোমার থেকে বয়সে কতো বড়।সময়মতো বিয়া করলে তো এতোদিন তোমার বয়সের মাইয়া থাকতো।_____আমার কেনো জানি গা জ্বলছে কথাগুলো শুনে।এক মুহুর্তও এখানে থাকতে মন চাইছে না।
___তাই আমরা আসি শিহাব ভাইয়া দেরি হয়ে যাচ্ছে বলে আমি শিলার একহাত ধরে চলে জেতে নিলে,শিহাব আমার অন্যহাতটি ধরে ফেলে রাস্তা আটকায়।_____আরে কই যাও,দাঁড়াও।এতোদিন পর তোমার লগে কথা কইতে আইলাম আর তুমি দেখি আমার থেকে পালাচ্ছো।_____আমি একঝটকায় হাতটা সরিয়ে নিলাম।আমি বাসায় যাবো শিহাব ভাইয়া পথ ছাড়ুন।

____ছাইড়া দিমু,আগে কথা শেষ কইরানি।গ্রামে এতো জুয়ান পোলাগো রাইখা তুমি শুভ চৌধুরীর পিছে পিছে ঘুরছো,নিশ্চই কোনও কারন আছে।তো কি এমন দিছে আমারেও একটু বলো,আমি তার মতো দিতে না পারলে,কমও দিমুনা,বিশ্বাস করতে পারো।
|
এধরনের কথার সম্মুখীন আমি কখনো হইনি।তাই না চাইতেও চোখ দিয়ে পানি পরছে।
`
আরে কাঁদো কেনো,বলে চোখের পানি মুছতে আসলে আমি দুপা পিছে চলে যাই।_______তোমার মনে হয় না কলি তুমি একটু বেশি বোকা।শুভ চৌধুরী ঢাকার এতো সুন্দর সুন্দর মাইয়াগো পিছে না ঘুড়ে,তোমার মতো গ্রামের একটা পিচ্চি মাইয়ার পিছে পিছে কেনো ঘুড়ছে তা কি তুমি বুঝো না,নাকি বুঝেও না বুঝার ভান কইরা মজা নিচ্ছো।
|
_____ভাইয়া কি সব বলছেন।শুভ ভাইয়া জানতে পারলে অনেক রাগ করবো___শিলা।
|
ওই দেখছোস,আমাকে শুভ চৌধুরীর ভয় দেখাচ্ছে বলে হা হা করে সবগুলো হেসে উঠে।
|
সবগুলো যখন হাসিতে ব্যস্ত যখন, শিলা আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে আসলো ওখান থেকে।।আর পিছ দিয়ে শিহাবের বন্ধুরা চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলছে,আরে ফুলকলি আমাগোও লগে নিয়া জাও।হা হা।
|
______তুই আজই শুভ ভাইয়াকে ফোন করে বিচার দিবি,কি বেয়াদব এরা।আগেতো শুধু দূর থেকে ফাজলামি করতো।আজতো একদম সামনে এসে করছে,দেখছোস কতো বড় সাহস।
|
_______শিলা চুপ কর,এমনেই আমার ভালো লাগছে না,আর খবরদার শুভ ভাইয়ার কানে জেনো এসব না যায়।উনি এমনেই অনেক প্যারার মধ্যে আছে,,তার উপর আমার এসব ঝামেলায় উনাকে না ঝরানোই ভালো।উনি খুব রাগী।শোনার সাথে সাথে নিজের কাজ কর্ম ফেলে এখানে চলে আসবে,যা আমি একদমই চাই না।
|
______তাহলে কি করবি,এসব এভাবে চলতে দিবি।আজ হাত ধরতে সাহস হয়েছে,কাল যদি…………
|
_____তুই চিন্তা করিস না,আমি ঠিক সামলিয়ে নেবো।এখন বাড়ী চল দেরি হয়ে গিয়েছে।
|
আমি ও শিলা যার যার বাসায় চলে গেলাম,আর বাসায় এসে কাউকে কিছু বললাম না,চিন্তা করবে বলে।অবশ্য মন খারাপ ছিলো বলে মা অনেকবার জিঙ্গেস করেছিলো কিন্তু কিছু একটা বলে বুঝিয়ে দিলাম।

রুমের দরজা লাগিয়ে চিন্তা করছিলাম,আমি কি আসলেই উনার যোগ্য,সে তো অনেক ভালো কাউকে পেতে পারতো,এখনো পাবে…………তাহলে এসব উদ্ভব চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম।হঠাৎ মনে হলো কেউ আমার দরজা ধাক্কাচ্ছে।আমি ঘুম ঘুম চোখে আগে টাইমটা দেখে আশ্চর্য হয়ে গেলাম,স্কুল থেকে এসেই ঘুম দিয়েছিলাম,আর এখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে,নিশ্চই মা দরজা ধাক্কাচ্ছে।দরজা খোলার সাথে সাথে শিলা হুড়মুড়িয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করলো।______কি রে শিলা,তুই এসময়।আর এতো অস্থির লাগছে কেনো তকে।_____ওড়না কই তোর,ওড়না পর আর চল আমার সাথে।_____কোথায় আর কেনো।
______তোর জম এসেছে।
_______মানে।
_____মানে শুভ ভাইয়া এসেছে।
_____কি ………কি…,ক…খন।আর তুই জানলি কি করে।
____শুধু কি আমি পুরো গ্রাম জানে, _______মানে।

চেয়ারম্যান এর ছেলে শিহাব আর ওর বন্ধুদের নাকি শুভ ভাই অনেক মারছে,একটু আগে আব্বা ফোনদিয়া মারে বলছিলো।আমি আড়াল হয়ে শুনছিলাম।আমি মনে করলাম তুই মনে হয় শুভ ভাইকে কিছু বলছিস।শিহাবের অবস্থা নাকি তেমন ভালো না,এক হাততো ভাইঙ্গাই গেছে।______শিলার কথা শুনে আমি মাথা ঘুড়ে পরে জেতে নিলে,শিলা ধরে ফেললো।__এখন চল আমার সাথে।____কোথায়!
কোথায় আবার শুভ ভাইয়া ডাকছে তকে,তোর ফোন বন্ধ বলে,আমাকে ফোন দিয়ে তোকে ঘর থেকে বের করতে বলছে।আমি চাচীকে বলেছি,তোকে আমাদের বাসায় নিয়ে যাচ্ছি, দুজনে মিলে নোট করবো বলে।

____কিন্তু উনি তোর নাম্বর পেলো কোথায়।আর আমি কোথায়ও যাবো না।আমাকে আজ তুলেই এক আছার মারবে।
|
____কোথা থেকে পেলো তা জানি না,তোকে না নিয়ে গেলে,কাল নাকি আমাকে স্কুলেও ডুকতে দেবে না।স্কুলটা তো আবার তার বাপের জানোসই তো।সে যখন তখন আমাকে বের করে দিতে পারবে।…কি জ্বালা বলতো,আমি কিছুই করলাম না,আর মাঝখান দিয়ে শাস্তি আমাকে পেতে হবে কেনো।চল বলেই আমাকে একপ্রকার টেনে নিয়ে গেলো।

রাস্তাঘাট কিছুটা অন্ধকার হয়ে গিয়েছে।কোনরকম শিলার ফোনের লাইট দিয়ে মেন রাস্তায় এসে পরি।একটা গাড়ী দাঁড়ানো, সামনে মাহির ভাইয়া হাতের ঈশারায় গাড়ীতে বসতে বললো।আমি গাড়ীতে বসে দেখি উনি এই গাড়ীতে নেই।তাহলে কোথায় সে…।আমার তো হাত পা কাপাকাপি শুরু হয়ে গিয়েছে।মাহির ভাইকে যে কিছু জিঙ্গেস করবো,তাও পারছি না।কিছু দূর যাওয়ার পর গাড়ীটা থেমে গেলো।মাহির ভাই আমাকে ঈশারা করে সামনের একটা ব্লাক কালারের মাইকো দাঁড়িয়ে আছে,সেখানে জেতে বললো।আমার তো মনে হয় পা চলছে না।কাপাকাপা হাতে গাড়ীর দরজাটা ধরতে নিলে,ভেতর থেকে কেউ খুলে, গম্ভীর গলায় গাড়ীতে বাসতে বলে।
|
আমি গাড়ীতে উঠে চুপচাপ বসে পরি,রাত বলে তেমন স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে না উনাকে।তবে দূরে রাস্তার লাইটের হলদে আলোয়,উনার হালকা আবছা ছায়া দেখা যাচ্ছে,মাঝে মাঝে দুএকটা গাড়ী রাস্তা দিয়ে গেলে হেড লাইট এর আলোয় মানুষটির চেহারা দেখতে পাই।কতোদিন পরে দেখা হলো,অথচ এভাবে।এখনো রাগী একটা লুক নিয়ে,দুআঙ্গুলের মাঝে সিগেরেট নিয়ে কালো ধূয়া ছাড়ছে।গাড়ীর একটা জানলা বাদে সব জানালা বন্ধ বলে বাতাসে সিগেরেট এর সব ধোয়া আমার নাকে আসা শুরু করছে,আর তাতে আমার কাশি হচ্ছে।আমার কাশি দেখে উনি সিগেরেট টা ফেলেদিলো।কিছুক্ষন পর কাশিটা বন্ধ হলে,ভাবলাম যাক একটু নিস্তার হলো,তখনি উনি আমার কোমড়টা ধরে একদম কাছে টেনে নিলো।আমার হাত দুটো তার বুকের উপর,আর তার গরম নিশ্বাস গুলো আমার মুখের উপর ।আর আমার নিশ্বাস নিতে কেনো জানি কস্ট হচ্ছে।

উনি আমার কপালে আসা ছোট ছোট চুলগুলো,পরম যত্নে কানের পিছনে গুজে দিলো।_____ফোন বন্ধ কেনো তোর।
স্কুল থেকে এসে খুলতে ভুলে গেছি………কিছুটা কাপা গলায়।
_____উনি আমাকে আরো একটু কাছে টেনে আমার ঘাড়ে তার মুখ রেখে,_____ঘুমিয়ে ছিলি।

আমি শুধু মাথা নাড়লাম।মুখ দিয়ে কিছু বলতে পারলাম না,গলা জেনো শুকিয়ে যাচ্ছে আমার।______আমার ঘুম হারাম করে তুই এমন শান্তিতে কিভাবে ঘুমাস।আমার কিন্তু তোর ঘুম দেখে খুব হিংসে হয় জানিস।
|
হঠাৎ আমার ঘাড়ে উনার শীতল ঠোঁটের ছোঁয়াএ কেপে উঠলাম।আস্তে আস্তে স্পর্শ গুলো যেনো আরো গভীর হতে লাগলো।উনার প্রতিটা ছোঁয়ায় আমিও জেনো হারিয়ে যাচ্ছি।কিন্তু কেনো জানি আমার চোখ দিয়ে পানি পরছে,জানি না কেনো।উনার ভালোবাসার কারণে,নাকি এতোদিন পর দেখা হবার কারনে,নাকি সকালে শিহাবের কথা গুলোর কারনে জানি না।
|
শুভ কলির মুখটা দুহাতে নিয়ে চোখে দুটো চুমো দিয়ে পানি গুলো শুষে নিলো।কলি হালকা ধাক্কা দিয়ে দূরে সরে বসার চেস্টা করলে,শুভ আবার কলির কোমড়কে আকরে ধরে কাছে টেনে, নিজের ঠোঁট দুটো কলির ঠোঁটে প্রবেশ করাতে লাগলো।মুহুর্তের মধ্যেই কলির পুরো শরীলের পশম দাঁড়াতে লাগলো।আর শুভর নেশা জেনো তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে।শুভর ভারী গরম নিশ্বাস গুলো কলির গালে এসে বারি খাচ্ছে।আর কলির মনে হচ্ছে শুভ যদি তার কোমড় কে এভাবে না ধরতো তাহলে হয়তো ও পরেই জেতো।কলির শরীল কেনো জানি অবশ হয়ে পরছে।এর আগেও শুভ কলিকে এভাবে কিস করেছিলো হাসপাতালে। কিন্তু আজতো এক প্রকার উতলা হয়ে কিস করছে,যেনো কতো বছরের তৃষ্ণা নিবারিত হচ্ছে।এভাবে বেশ কিছুক্ষন থাকার পর একসময় শুভ কলিকে ছেড়ে দিয়ে ঠোঁটে আবার একটা কিস করে।কলির কপালে কপাল রেখে জরে জরে নিশ্বাস নিতে থাকে শুভ।

কিছুক্ষন পর কলিকে খুব যত্নে বুকে জরিয়ে ধরে।_____তুই কি ভেবেছিস তুই আমাকে না বললে আমি জানতে পারবো না।কলি মাথাটা উচু করে শুভর দিকে তাকায়।____এতো অবাক হবার কিছুই নেই।আমি দূরে থাকলেও, আমার ছায়া তোর আসেপাসে থাকে।তোকে এখানে একা রেখে শহরে আমি কিভাবে নিশ্চিত থাকি,তুই তো আমার প্ররান পাখি।যাকে একদিন শুভর খাঁচায় বন্দি হতে হবে।কিন্তু যতোদিন বন্দি না করতে পারছি,নযরে তো রাখতে হবে তাই না।কারন শুভর প্রানটা যে তোর কাছে,তোর কিছু হলে আমি কি নিয়ে বাঁচবো।তাই তোর কাছে আসা এমন অশুভ সবকিছুকে এই শুভ শেষ করে দিবে।

কলির কেনো জানি আজকের শুভকে দেখে সত্যিই ভয় লাগছে।কারন শুভর এমন রুপের কথা শুধু শুনেছে।কিন্তু দেখেনি।
|
কিন্তু শিহাব ভা…_____কলিকে শুভ আর কিছু বলতে দিলো না।ঠোঁটে আঙ্গুল রেখে চুপ করতে বললো।
এই নামটা তোর মুখে আমি আর শুনতে চাই না।আমার জিনিসের দিকে হাত দেয়ার শাস্তি ও পেয়ে গেছে।আশা করি জীবনে ভুলেও আর তোর সামনে আসবে না।
|
আজ সকালে শুভ ফাহিমকে সাথে নিয়ে একটা মিটিং এটেন্ড করছিলো অফিসে।এমন সময় একটা নাম্বর থেকে কল আসে।অন্যকোনও নাম্বর হলে,শুভ কখনো ধরতো না কাজের মাঝে।কিন্তু কাজ ছাড়া বা বিশেষ কোন দরকার ছাড়া এই নাম্বর থেকে যখন তখন ফোন আসে না।তাই শুভ ফোনটা রিসিভ করলো।ফাহিম লক্ষ্য করলো ফোনে কথা বলতে বলতে শুভর চেহারার রং পাল্টে গেলো।চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো।মুহুর্তের মধ্যেই ফোনটা শরীলের সর্বশক্তি দিয়ে আছার দিলে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়।শুভ তার পি.এ কে আজকের সব মিটিং কেনশালড করে দিতে বলে,অফিস থেকে বের হয়ে যায়।ফাহিম বুঝতে পারে কিছু একটা হয়েছে।তাই ফাহিমও পিছে পিছে শুভর সাথে গাড়ীতে উঠে পরে।

কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শুভ গ্রামে এসে পরে,শিহাব কে খুঁজতে হয়নি শুভর। কারন গ্রামে শুভর কিছু বিশ্বস্ত ছেলে আছে তারাই শিহাব আর তার বন্ধুদের ধরে এনেছে,শুভর হুকুমে।বাজারে দাঁড়ানো হাজার মানুষের মনে কৌতুহল বেরে গেলো,এই সময় এখানে শুভ চৌধুরী কে দেখে।স্কুলে ভেতরে ডুকে দরজা লাগিয়ে শিহাব ও তার বন্ধুদের অনেক মারে শুভ।শুভকে ফাহিম একা কিছুতেই সামলাতে পারে না।এমন সময় ইনাম ও মাহিরও দৌঁড়ে এসে শুভকে ধরতে।এখানে আসার সময় ফাহিমই তাদের ইনফরম করে।কারন ফাহিম ভালো করে বুঝতে পারে আজ কিছু একটা ভয়ংকর হবে।_______ভাই শান্ত হো প্লিস।তা না হলে মরেই যাবে।
How dare you touch her.I’m not gonna kill him.I”ll kill him……কিভাবে শান্ত হবো আমি।

এতোক্ষনে চেয়ারম্যানও স্কুলের গেটের সামনে এসে পরেছে নিজের লোকজন নিয়ে।কিন্তু ভেতরে কি হচ্ছে কিছুই বুজতে পারছে না।হঠাৎ স্কুলের গেট খোলা হলে,চেয়ারম্যান দৌঁড়ে ভেতরে ডুকে,রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলেকে পরে থাকতে দেখে।তার পর তারাতারি করে ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

______ফাহিম ফোনদিয়ে শুভর চাচাকে সব বলে।এখানে কি কি হয়েছে।শুভর চাচা চেয়ারম্যান কে ফোন দিয়ে খুব কড়া করে শাসিয়ে দেয়,যাতে কোনও পুলিশ কেস না করে।কারন শুভর বাবা আর চাচার কারনেই এখন এলাকার চেয়ারম্যান তিনি। তাই চাইলেও শুভর বিরুদ্ধএ কিছুই করতে পারবে না।

আজকের এই ঘটনা পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পরে।আর এতে যে কলির জীবনেও প্রভাব ফেলবে তা শুভ চিন্তা করেনি।রাগের মাথায় করে ফেলছে,কিন্তু গ্রামের মানুষজন কানাকানি করা শুরু করে দিলো,চৌধুরী বাড়ীর ছেলে শিহাব কে মারলো কার জন্য।

সেদিন রাতেই শুভ কলিকে বাড়ীর সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।

চলবে………

[কেমন হলো জানাবেন।]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে