#প্রেমময়_প্রহরে_তুমি💖
#ইশা_আহমেদ
#পর্ব_২+৩
জিরিশা ইটের সাথে বেঁধে পরে যেতে নিলেই কোথা থেকে মাহাজ এসে জিরিশার হাত ধরে ওকে বাঁচায়।জিনিয়া কিছু বুঝে ওঠার আগেই সবকিছু হয়ে গেলো।ফাহাও হা করে তাকিয়ে আছে ওদের দিকে।মাহাজ জিরিশাকে বাঁচাতে গিয়ে জিরিয়াশার কিছুটা কাছে চলে আসে।জিরিশার অদ্ভুত লাগে তাই তাড়াতাড়ি সরে যায় মাহাজের কাছ থেকে।মাহাজ তা দেখে বাঁকা হাসে।
ফাহা জিরিশার কাছে এসে বলে,,,,
“তোর কোথাও লাগেনি তো জিরিশা,দেখি হাত পা দেখা”
জিরিশা হাসে। মেয়েটা তার অল্প কিছু হলেই কেমন হায়পার হয়ে যায়।সে বলে,,,
“আমার কোথাও লাগেনি গাধি”
মাহাজ ভ্রু কুচকে ওদের দিকে তাকিয়ে ছিলো।কিছু বলবে তার আগেই হুট করে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়।মাহাজ গিয়ে চার দোকানের ভেতরে ঢোকে।মাহাজ ধমক দিয়ে ফাহাকে বলে,,,
“এইখানে আয় বৃষ্টিতে মোটেও ভিজবি না ফাহা”
ফাহা মন খারাপ করে মাহাজের পাশে গিয়ে দাড়ায়।জিরিশা চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো অনুভব করছে।ফাহার জিরিশাকে দেখে প্রচুর ভিজতে ইচ্ছে করছে কিন্তু তার জল্লাদ ভাইয়ের জন্য পারছে না।মাহাজ নিজের ফোন দেখছে।জিরিশা হাত মেলে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে।
ফাহা কিছু সময় পর খেয়াল করে জিরিশাকে বাজে দেখাচ্ছে।সাদা ড্রেসে শরীরের সাথে লেপ্টে গিয়েছে।সে জিরিশা জিরিশা বলে ডাকতে থাকে।প্রচন্ড বৃষ্টি আর দোকান থেকে জিরিশা কিছু দূরে থাকায় ফাহার ডাক শুনতে পায় না।মাহাজ ফাহার ডাকা শুনে ফোন থেকে চোখ সরিয়ে ভ্রু কুচকে ফাহার দিকে তাকিয়ে বলে,,,,
“কি হলো চেঁচাচ্ছিস কেনো ষাঁড়েরমতো এভাবে”
ফাহা মাহাজের দিকে তাকিয়ে বলে,,,
“বৃষ্টিতে ভেজার কারণে ওকে খারাপ লাগছে তাই চলে আসতে বলছিলাম।”
মাহাজ জিরিশার দিকে একবার তাকিয়ে ফাহাকে বলে,,,
“ও এখন বৃষ্টিতে না ভিজলেও কাজ হবে না।ও বৃষ্টিতে ভিজে চুপচুপ হয়ে গিয়েছে।আর ওর কি কমনসেন্সের অভাব আছে নাকি সাদা জামা পরে বৃষ্টিতে ভিজছে”
ফাহা বিরক্ত হয়।মাহাজের দিক থেকে চোখ সরিয়ে অন্যদিকে তাকায়।কিছু সময় পর জিরিশার দিকে চোখ পরতে বিস্ময়ের পরিমাণ আকাশ ছোঁয়।মাহাজ জিরিশাকে তার শার্ট খুলে পেছন থেকে পরিয়ে দিচ্ছে।ফাহার মুহুর্তটা খুব ভালো লাগে তাই ফোন বের করে একটা ছবি তুলে নেয়।যদি জিরিশা তার ভাবি হয়ে যায় একবার তাহলে আর পায় কে তাকে।তার প্রথমে অনেক শখ ছিলো জিরিশাকে নিজের ভাবি বানানোর কিন্তু পরে ভাইয়ের চরিত্র সম্পর্কে জেনে ইচ্ছাটা মরে গিয়েছে।
জিরিশার গায়ে কিছু অনুভব করতে চোখ খুলে তাকায় সে।সামনে মাহাজকে দেখে ভরকে যায়।মাহাজ জিরিশাকে ধমক দিয়ে বলে,,,
“এই মেয়ে তোমার কি কমনসেন্স নেই সাদা জামা পরে বৃষ্টিতে ভিজছো কেনো হ্যা”
জিরিশা নিজের দিকে তাকায়।আসলেই তো সে সাদা জামা পরে আছে।তার বৃষ্টি দেখলে মাথা ঠিক থাকে না তাই তার বাবা আর ফাহা তাকে বৃষ্টিকন্যাও বলে ডাকে।জিরিশা মাহাজের দিকে তাকিয়ে দেখে তার টি শার্টের উপরে পরা কালো শার্টটা তাকে পরিয়ে দিয়েছে।সে মাথা নিচু করে ফাহার কাছে চলে আসে।ফাহা হাসছিলো ওকে দেখে।ফাহার দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকায়।ফাহা তা দেখে মুখ ভেংচি কাটে।
বৃষ্টি থামার কোনো নাম গন্ধ নেই।অনেক সময় বৃষ্টিতে ভিজে তারপর আবার অনেক সময় দাঁড়িয়ে আছে এমনিই তাতে ঠান্ডা লাগছে জিরিশার।মাহাজ হুট করে বৃষ্টির মাঝে কোথাও চলে গেলো।এই ফাঁকে জিরিশা ফাহার পিঠে কয়েকটা কিল বসিয়ে দিয়ে বলে,,,,
“ভালো লাগছে না তোর!আমার কিন্তু সময় আসবে মনে রাখিস”
মাহাজ কোথা থেকে একটা অটো নিয়ে আসে।তারপর ফাহাকে বলে,,,
“নে উঠে পর এই বৃষ্টি আজকে থামবে না মনে হয়।আমি বাইকে করে যাচ্ছি তোরা অটোতে করে চলে আয়”
জিরিশা আর ফাহা আর কথা না বলে অটোতে উঠে পরে।জিরিশার ভীষণ ঠান্ডা লাগছে আজকে বাড়ি গিয়ে যে মায়ের বকুনি খেতে হবে তা ভালোভাবেই বুঝতে পারছে জিরিশা।জিরিশাদের অটোর পেছনে পেছনে মাহাজও বাইক চালিয়ে আসছে।
৩.
জিরিশাকে ওর বাসার সামনে নামিয়ে দেয়।ফাহা বলে,,,”সাবধানে যা,দ্রুত পা চালা নাহলে কিন্তু জ্বর চলে আসবে তোর।”
জিরিশা চলে যায় দ্রুত।মাহাজ অটোর সামনে গাড়ি থামিয়ে ফাহাকে বলে,,,
“অটো থেকে নেমে আয়।তোকে বাইকে করে নিয়ে যাবো”
ফাহা অটো ওয়ালাকে টাকা দিয়ে নেমে পরে।তারপর বাইকে উঠে বসে।মাহাজ জোড়ে টান মেরে নিয়ে আসে ফাহাকে।ফাহাকে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে বাইক রাখতে যায়।মাহাজ ফিরে এসে দেখে ফাহা এখনো দাঁড়িয়ে আছে।
সে ভ্রু কুচকে ফাহার দিকে তাকিয়ে বলে,,,
“কি হলো তুই এখনো এখানে দাঁড়ানো কেনো ঠান্ডা লাগবে চল চল”
ফাহা আলতো হেসে বলে,,,”তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম মাহাজ ভাইয়া”
মাহাজ সিরি দিয়ে উপরে উঠতে উঠতে বলে,,,
“কেনো অপেক্ষা করছিলি বলতো।তুই তো আমার জন্য অপেক্ষা করার মানুষ না”
ফাহা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,,,”তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে চাই”
মাহাজ ভ্রু কুচকে ফাহার দিকে তাকিয়ে বলে,,”কি বলবি বল”
ফাহা আমতা আমতা করে বলে,,,
“তুমি জিরিশার সাথে বিয়েতে কেনো রাজি হয়েছো তুমি তো ওকে পছন্দ করো না তাহলে বিয়ে করবে বলেছো কেনো আম্মুকে”
মাহাজের মুখটা হঠাৎ গম্ভীর হয়ে গেলো।ফাহা বুঝলো না কিছুই।মাহাজ গম্ভীর কন্ঠে বলল,,,
“তুই ছোট মানুষ ছোট মানুষের মতো থাক এগুলো নিয়ে বেশি ভাবতে হবে না।সামনে এইচএসসি সেইটায় ফোকাস দে”
ফাহার মন খারাপ হয়ে যায়।সে ভেবেছিলো তার ভাইয়া হয়তো জিরিশাকে পছন্দ করতে শুরু করেছে।কিন্তু মাহাজের কথা বার্তা শুনে ফাহার মনে হলো অন্য কারণ আছে। সে বাসায় এসে গোসল করে পড়তে বসলো কালকে আবার ফিজিক্স পড়া আছে।পড়ার চিন্তায় তার মাথা ব্যাথা শুরু করেছে।
সে জিরিশাকে মেসেজ করলো সে সুস্থ আছে কিনা কিন্তু কোনো উত্তর আসলো না ওপাশ থেকে।সে ভাবছে হয়তো ব্যস্ত আছে জিরিশা তাই বিরক্ত করলো না।তার নিজেরও শরীরটা ভালো লাগছে না বই বন্ধ করে শুয়ে পরলো।
#চলবে……!
#প্রেমময়_প্রহরে_তুমি💖
#ইশা_আহমেদ
#পর্ব_৩
৪.
জিরিশা বাসায় আসতেই তার মা তাশুরা ইসলামের কাছে একগাদা বকা খায়।জিরিশা রুমে গিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে এসে বিছানায় শুয়ে পরে।মাহাজের শার্টটা সে ধুয়ে তার বারান্দায় মেলে দিয়েছে।এখন বৃষ্টি জোরে পরছে না গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।জিরিশার শরীর ভালো লাগছে না।গা গরম হয়ে আসছে হয়তো জ্বর আসছে।সে কাঁথা বের করে ফ্যান বন্ধ করে শুয়ে থাকে।ফোন দেখতেও ভালো লাগছে না।
তাশুরা ইসলাম মেয়ের কাছে আসেন।মেয়েকে কাঁথা গায়ে শুয়ে থাকতে দেখে বুঝে যান মেয়ের জ্বর আসছে।তাও মেয়ের কাছে এসে কপালে হাত রেখে বোঝার চেষ্টা করেন জ্বর আছে কিনা।শরীর গরম দেখে সে বলতে থাকে,,,
“এই মেয়েকে নিয়ে আর পারলাম না,এই অসময়ে বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর বাধিয়ে ঘরে বসে আমাকে জ্বালাবে।বাপ বেডি সব মিলে আমাকে জ্বালিয়ে মারে”
জিরিশা জ্বরের ঘোরে হাসে।তার আম্মু যে কতবার একই কথা বলবে তার হিসাব নেই।তাশুরা নুডলস বানিয়ে এনে জিরিশাকে খাইয়ে দেয়।জিরিশা লক্ষী মেয়ের মতো সুন্দর করে খেয়ে নেয়।তাশুরা ইসলাম জিরিশার জ্বর মেপে দেখে ১০২ জ্বর।সে ঔষধ খাইয়ে দেয়।তারপর নরম কন্ঠে জিরিশাকে বলে,,,
“তোর কি বেশি খারাপ লাগছে জিরিশা”
জিরিশা মাথা নাড়িয়ে ভাঙা গলায় বলে,,,
“না আম্মু আমি ঠিক আছি কালকে সকালের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।”
তাশুরা জিরিশার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,,,
“কিছু খাবি তোর বাবাকে ফোন করে আনতে বলবো”
জিরিশা হেসে বলে,,,
“হুম হুম খাবো তো আমার না ফুসকা আর পিজ্জা খেতে ইচ্ছে করছে আম্মু”
তাশুরা জিরিশার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে চলে যায় মেয়ের আবদার রাখতে।নিজের স্বামী সাহিদকে ফোন করেন।সাহিদ ফোন রিসিভ করতেই তাশুরা বলে,,,
“তোমার মেয়ে বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর বাধিয়েছে এখন ফুসকা পিজ্জা খেতে চাইছে নিয়ে এসো”
সাহিদ ওপাশ থেকে বলল,,,
“কি বলো আমার মামনির জ্বর এসেছে আচ্ছা ওর খেয়াল রাখো আমি কিছু সময় পর আসছি আমার মায়ের জন্য ওর পছন্দের সব খাবার নিয়ে।”
তাশুরা কল কেটে দেয়।আসফি তাশুরা ইসলামের পাশে এসে বলে,,,
“আম্মু আমারও না বার্গার খেতে ইচ্ছা করছে বাবাকে ফোন করে বলো না”
তাশুরা আসফিকে ধমক দিয়ে বলল,,,
“তোর আপুই এর জ্বর যা ওর কাছে গিয়ে ওকে সঙ্গ দে”
আসফি রাগ করে চলে যায়।জিরিশার কাছে এসে দেখে ও ঘুমিয়ে পরেছে।তা দেখে জিরিশার পাশে গিয়ে বসে।তারপর ওর হাতটা ধরে বলে,,,,
“আপুই জানিস আমি না তোকে অনেক ভালোবাসি কিন্তু বলি না হি হি বলবো ও না।তোকে জ্বালাতে না আমার প্রচুর ভালো লাগে বিশ্বাস কর”
আসফি জানে তার আপুই তার একটা কথাও শুনছে না।কারণ তার আপুই যে ঘুম।ঘুমে তলিয়ে আছে।আসফি জিরিশার কপালে একটা চুমু দেয়।তারপর জিরিশার পাশে বসে গেম খেলতে থাকে।
সাহিদ তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরেন।মেয়ে যখন খেতে চেয়েছে সে অবশ্যই তা পূরন করবে।পিজ্জা পেয়ে গেলেও ফুসকা কিনতে তাকে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে।মেয়েকে যে তিনি বড্ড ভালোবাসেন।সে বাসায় আসতেই মেয়ের কাছে চলে আসেন।জিরিশা তখন ঘুমিয়ে ছিলো।জিরিশার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে নরম কন্ঠে বলে,,
“জিরিশা মা উঠ খেয়ে ঘুমিয়ে পরিস তোর জন্য আমি তোর পছন্দের ফুসকা এনেছি”
জিরিশা উঠে খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পরে।জ্বরটা বেড়েছে।সেদিন সারারাত তাশুরা মেয়ের সেবা করেছে।সেও খুব ভালোবাসে তো মেয়েকে।কিন্তু মাঝে মাঝে বকা দেয়।তারপর নিজেই হাসে মেয়ের কান্ড দেখে।
৫.
দুইদিন পর আজকে জিরিশা সুস্থ হয়েছে।কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নিলো।তাশুরা মেয়েকে খাইয়ে দিলেন।জিরিশাও খুশি মনে খেয়ে নিলো।অতঃপর বের হয়ে পরলো কলেজের উদ্দেশ্যে।কলেজে এসে তাদের সম্পূর্ণ গ্যাং এর সাথে গল্প করতে বসলো।তাদের গ্যাং এ মোট ৮ জন মানবিকে ৪ জন, দুজন বিজ্ঞান বিভাগে আর দু’জন ব্যাবসা বিভাগে।ওরা প্রথম ক্লাস করে এসে আবার সব মাঠে বসলো কোথায় যাবে ঠিক করতে।
ওদের মধ্যে আফিয়া সব থেকে চঞ্চল মেয়ে।ও লাফিয়ে উঠে বলল,,,
“চল আজ ঘাটে যাই সাথে সাদিককেও ডাকবোনি”
জিরিশা কপাল চাপড়ে বলে,,,
“বোইন আমরা সব ফ্রন্ডসরা মিলে যাচ্ছি এখানে কেনো সাদিক ভাইয়াকে ডাকা লাগবে”
জিরিশার কথায় সবাই সম্মতি দেয়।আফিয়া মন খারাপ করে বলে,,,
“ঠিক আছে ডাকবো না কিন্তু আজকে ৭ নং ঘাটে যাবো না,আজকে ৫ নং এ যাবো ওইখানে কেউ থাকে না সেই মজা করবো সব কয়টা মিলে”
ওরা চলে আসে ৫নং ঘাটে।আজকে কেউ নেই আসলে সকাল বেলা কোনো ঘাটেই লোক থাকে না বেশি।অল্প কিছু কাপল থাকে তাও তারা বেশি সময় থাকে না কিন্তু সন্ধ্যায় বা বিকালে এখানে দাঁড়ানোর সুযোগও পাওয়া যায় না।ওরা এসেই নদীর তীরের খোলা জায়গায় বসে পরে আটজন।গোল হয়ে বসে গল্প করতে থাকে।কিছু সময় গল্প করার পর আফিয়ার আম্মু ওকে ফোন দেয়।
ও রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে আফিয়ায় আম্মু বলে উঠে,,,
“আফিয়া বাসায় চলে আসো,তোমার নানুর বাসায় যেতে হবে”
আফিয়া কল কেটে ওদের বলে চলে যায়।সানজিদা আর সিহা ও আফিয়ার সাথে চলে যায়।বাকি থাকে জিরিশা ফাহা,মিহা মৌ আর হিরা।ওরা পাঁচজন আরো কিছুটা সময় ঘুরে।মিহা মৌ হিরা বাসায় চলে যায়।ফাহা আর জিরিশা ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে গল্প কটতে থাকে।হঠাৎই কারো বুকের সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে যেতে নিলেই ফাহা পেছন থেকে ধরে ফেলে।জিরিশা সামনে তাকিয়ে দেখে তার স্কুল ফ্রেন্ড সাহিন।জিরিশা আর ফাহা সাহিনকে দেখে খুশি হয়।
অনেক দিন পর তাদের দেখা হলো।সাহিন ওদের দেখে বলল,,,
“কেমন আছিস তোরা অনেকদিন পর দেখা হলো তো”
জিরিশা মুচকি হেসে উত্তর দেয়,,,
“আমরা বিন্দাস আছি তুই কেমন আছিস তাই বল”
সাহিন ও হেসে বলে,,,
“আমিও খুব ভালো আছি ঝগড়ুটে আফারা”
ফাহা কোমড়ে হাত দিয়ে রাগি চোখে তাকিয়ে বলে,,,
“ওই তুই কি বললি আমরা ঝগড়ুটে তাই না তুই কি সয়তান জলহস্তি কোথাকার”
সাহিনও রেগে বলে,,”ওই ফাহার বাচ্চি আমাকে মোটেও জলহস্তি বলবি না আমি মোটেও জলহস্তি না”
জিরিশা ওদের থামিয়ে দিয়ে বলে,,,
“ভাই বোইন থাম তোরা কি শুরু করলি এটা রাস্তা তার থেকে বড় কথা তোরা বড় হয়েছিস না এখনো সেই ছোটবেলার মতো ঝগড়া করছিস”
সাহিন আমতা আমতা করে বলে,,,
“ইয়ে মানে সরি দোস্ত চল কোথাও একটা বসি অনেকদিন হলো দেখা হয় না আজকে তিনটা মিলে আড্ডা দেই।”
সাহিন হলো জিরিশা আর ফাহার অনেক ছোট বেলার ফ্রেন্ড।জিরিশার সাহিন ছাড়া আর কোনো ছেলে বন্ধু নেই।ও পছন্দ ও করে না ছেলেদের সাথে মিশতে কিন্তু সাহিনকে ছোট বেলা থেকে জিরিশাকে ভাইয়ের মতো আগলে রেখেছে।ওরা রেস্টুরেন্টে বসে গল্প করে কিছুসময়।তারপর সাহিনকে বিদায় দিয়ে বাড়ির পথে রওনা হয় জিরিশা আর ফাহা।রাস্তায় ফুসকার দোকান দোকান দেখে দুজনে ফুসকা খেতে থাকে।
#চলবে….!