#প্রেমপিপাসা❤
#অন্তিম পর্ব
#writer_শিফা_আফরিন_মিম
.
.
?
রেহানের ম্যাসেজ টা দেখে কুহু মুচকি হেসে ফোন টা রেখে দেয়।
কিছুক্ষন পর কেউ কুহুর রুমে এসে কুহুকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে…
কুহু কিছুটা ভয় পেয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখে জেরিন।
কুহু – কিরে তুই..
জেরিন – ওহহ বাবা আমাকে রেখেই বুঝি বিয়ে করে নিবা হুহহ!
কুহু – আরে না পাগল মেয়ে।
জেরিন – হ্যা জানি তো এই জন্যই তো একটা ফোনও দেওনি। আমি না বুঝে একটা ভুল করে ফেললাম তার জন্য কি ক্ষমা করা যায় না?
কুহু – হ্যা গো পাকনি বুড়ি যায়। আর তোমার উপর কিন্তু আমার কোনো রাগ নেই বুঝলে!
জেরিন – হ্যা আপি জানি তো। তুমি আমার বেস্ট আপি! (কুহুকে জড়িয়ে ধরে)
কুহু – হয়েছে এবার বস। পার্লার থেকে মেয়েরা আসবে তুইও সেজে নিস।
জেরিন – আপ্পি এইটা একদম ঠিক বলেছো। বিয়ে বাড়িতে সেজে থাকাটা ভালো। বলা তো যায় না কারো ক্রাশ হতেও পারি।
কুহু – পাজি একটা।
তারপর পার্লারের মেয়েরা এসে কুহুকে সাজাতে শুরু করে।
আর জেরিন কুহুর প্রশংসা করা নিয়ে ব্যাস্ত৷
বিয়ে শুরু হয়ে যায় সবাই অনেক খুশি দু’জন কে এক হতে দেখে।
কুহু বেচারি কান্নাকাটি করে অঙ্গান হয়ে পড়ে আছে।
জেরিন কে কুহুর সাথে যেতে বলা হলেও জেরিন রাজি হয়নি।
চলে যাওয়ার সময় জেরিন দৌড়ে গাড়ির কাছে গিয়ে রেহান কে বলে…
জেরিন – ভাইয়া….
রেহান – কিছু বলবে?
জেরিন – সরি ভাইয়া।
রেহান – ওকে শালিকা (মুচকি হেসে)
গাড়ি রেহান দের বাসার সামনে থামায়। পথেই রেহান কুহুর মুখে পানি ছিটিয়ে ঙ্গান ফিরায়। কুহু গাড়ি থেকে নেমেই অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।
এতো সুন্দর করে সাজানো বাড়িটা!
কুহু বাড়িতে ঢুকতেই রেহানের অনেক আত্মীয় কুহু কে দেখে।
তারপর কয়েকজন এসে কুহুকে রেহানের রুমে দিয়ে আসে।
এদিকে রেহান কে ওর কাজিন রা আর বন্ধুরা মিলে আটকে রেখেছে।
রেহান – কি চাই তোদের?
সোহান – বেশি না দোস্ত অনলি ১০০০০।
রেহান – হোয়াট??
প্রণয় – ইয়েস বস। দিলে দে না হলে আজ সারা রাত এখানেই পাড় করতে হবে।
রেহান বিরক্ত হয়ে ওদের হাতে ৪০০০ টাকা ধরিয়ে দেয়।
রেহান – এবার তো যেতে দে বাপ।
সোহান – এতো কিপটুস তুই?
রেহান রেগে সোহানের দিকে তাকায়।
প্রণয় – হয়েছে এবার ওরে যেতে দে না হলে বেচারা কেঁদেই দিবে মনে হচ্ছে।
রেহান – তোকে তো আমি দেখে দিবো হুহহ।
রেহান রেগে চলে আসে।
রুমে কারো আসার শব্দ শুনেই কুহু নড়েচড়ে বসে।
মাথাটা একটু উঁচু করে রেহান কে দেখে উঠে সালাম করতে নিলেই রেহান আঁটকে ফেলে..
রেহান – এইসব বিশ্বাস করি না আমি। তাছাড়া পায়ে ধরে মা বাবাকে সালাম করা যায়। আমাকে করো না। (মুচকি হেসে)
কুহু – কিন্তু…
রেহান – কোনো কিন্তু না ফ্রেশ হয়ে ওজু করে আসো নামাজ পড়বো একসাথে।
কুহু মুচকি হেসে লাগেজ থেকে একটা তাঁতের শাড়ি বের করে ফ্রেশ হয়ে আসে। রেহানও ফ্রেশ হয়ে আসলে দু’জন এক সাথে নামাজ পড়ে নেয়।
নামাজ পড়া শেষ হতেই রেহান কুহুর হাত ধরে বেলকনিতে নিয়ে যায়।
রেহান – কফি খাবে?
কুহু – উহুম…
রেহান – শেষে কে জিতলো শুনি?
কুহু – মানে?
রেহান – বলেছিলে তো আমাকে ভালোবাসো না ইভেন বাসবে ও না এখন? (মুচকি হেসে)
কুহু – হুহহহ বাসিও না।
রেহান – তোমাকে বাসতে হবেও না। — বলেই কুহুকে জড়িয়ে ধরে।
রেহান – are u ready for…..(কুহুর কানে ফিসফিসিয়ে)
কুহু রেহানের কথায় মুচকি হাসে। রেহান কুহুকে কোলে নিয়ে রুমে চলে যায়।
কুহু রেহানের টিশার্ট খামচে ধরে আছে।
কুহুর লজ্জামাখা মুখটা যেনো রেহানকে ঘোর লাগিয়ে দিচ্ছে!
সমাপ্ত