#গল্পপোকা_চিঠি _প্রতিযোগিতা-২০২০
চিঠি নং-২
প্রিয় বন্ধু,
শুধু বন্ধু বলে সম্বধন করায় রাগ করিস না। তুই তো জানিস তুই আমার কতটা জুড়ে।তোর সাথে তো প্রতিনিয়ত কথা হয়,ভালো মন্দ না হয় নাই জিজ্ঞেস করলাম।জানিস তো জীবনের ঘেরাকলে কথা হলেও তেমন ভাবে না সময়ের স্বল্পতায়।মহাশূন্য এই পৃথিবীতে বসবাসরত এই আমরাই আমাদের স্বার্থ রক্ষায় আজ আমরা গৃহবন্ধি।আমি জানি অসুস্থ এই পৃথিবীর সংকট কালে মনের দিক হতে সবাই অসুস্থ তেমনি তুই আর আমিও।জানিসতো আমরা পৃথিবীর নিয়মতান্ত্রিক নির্বাক প্রহরী,এই প্রহর কেটে গেলে আমরা আরেকটা প্রহর পাবো। আর আবারও ফিরে পাবো আমাদের ঝালমুড়ি ভাগাভাগি করে খাওয়া দিনগুলো,স্যারদের ক্লাসে লুকিয়ে ছোট্ট চিরকুট আদান-প্রদান। ভীষণ মিস করছি তুর জমানো হাবিজাবি কথা গুলো।
তবে যতই বলিস তুই তখনো আমাকে যতটা সাপোর্ট দিয়েছিলি এখনো দিয়ে যাচ্ছিস এতেই আমি খুশি, তুই আমার বেস্ট সাপোর্টার।সত্যি সেই প্রথম দিক থেকেই দিয়ে আসছিস, তবে আমার উপলব্ধি করতে দেরি হয়ে গেছে রে। জানিস তুকে এত জ্বালাই কেন, কারণ আমার মন খারাপ
থাকলে তুর সাথে কথা বললেই পরক্ষণেই ভালো হয়ে যায়।মাঝে মাঝে মনে হয় তুই মন ভালোর মন্ত্র জানিস,নাহলে কীভাবে পারিস আমার এই অনূভুতি শূন্য মন টাকে ভালো করতে।
তুই ভাবিস না আমি বাড়িয়ে বলছি, আমার বাড়িয়ে বলতে বয়ে গেছে।
ভাবছিস মিথ্যা বলছি তুকে খুশি করার জন্য, আমি বলব তুর ভাবনাটাই মিথ্যে।
হয়তো আমার অনূভুতি শূন্য মন নিয়ে তেমন ভালো ভাবে আমার জানুটার সাথে কাটানো মূহুর্ত গুলো ব্যক্ত করতে পারিনি। তুই নিজের মতো করে বুঝে নিস। আর শোন কখনো আমার প্রতি কষ্ট পেলে বলে দিস কথা বলা বন্ধ করার চিন্তা মাথায়ও আনিস না।
বলি তোর বিয়ের ঘটকালি টা আমি করবো মনে রাখিস,আর তুর মাকেও বলে দিস।
আর যদি রাজি না হস তাহলে তুর পা ভেঙ্গে বিয়ে দিবো, তবুও আমি ঘটকালি করব। আর আমার পাওনা সব চকলেট দিয়া দিবি।
পরিশেষে সর্বদা প্রভুর নিকট প্রার্থনা তুই সবসময় ভালো থাকিস।তুইওতো সর্বদা আমার ভালো থাকার চিন্তাটাই করিস।তুই সত্যি জলমলে প্রদীপ।তুকে সেরা সাপোর্টার হিসেবে পেয়ে আমি গর্বিত।
ইতি
তুর জানু