#গল্পপোকা_চিঠি _প্রতিযোগিতা-২০২০
চিঠি নং-১
প্রিয় তুমি,
প্রথমেই তোমাকে অসংখ্য কামিনী ফুলের শুভেচ্ছা।আজ কিছু দীর্ঘশ্বাস নিয়ে লিখতে বসেছি, তোমার নিকট আমার শেষ অন্তঃকরণের কিছুটা। কেমন আছো তুমি?জানি তোমার উত্তর খুব ভালোই হবে।আমি কেমন আছি জানতে না চাইলেও বলব। জানো প্রিয় আমি ভালো আছি।হ্যাঁ এই মিথ্যেটা বলতে শিখে গেছি আমি। তুমি ছিলে আমার স্বল্পালোক মূখরিত জীবনকে আলোকিত করার প্রদীপ।প্রদীপটাই যখন নিভে যায় তখন আমি কেমন থাকতে পারি বলোতো।জানি তুমি অতীত, হ্যাঁ ঘোর অতীত। তাইতো পেছনে ফেলে হেটেঁ চলেছি প্রতিনিয়ত।তবুও নিস্তব্ধতায় ঘিরে নেয় সেই অতীতের স্মৃতিগুলো।
নিস্তব্ধতা ভুলে গেছি এমন রাত তুমি কখনো ছিলে না।
তোমার প্রত্যকটা স্মৃতি এক জলন্ত অগ্নিশিখা।
আমি জ্বলে যাচ্ছি প্রতি তীর্থে তীর্থে।
জানো প্রিয় এখন আমার প্রতিটা দিন বিষাদময় কাটে, এখন আর আগের মতো ধূসর সন্ধ্যায় বুনোহাঁসের দলের সাথে ছুটোছুটি হয় না।এখন আর কাঠপাটা রৌদ্দুরে ছুটে বেড়ানো হয়না, কারণ
এখন আর কেউ বাঁধা দিয়ে বলে না “আমার মিষ্টি পরীটা তো কালো হয়ে যাবে,তখন তো পরীটাকে পেত্নী লাগবে”।জানো তো তোমার আদরমাখা কথা গুলো এক প্রকার আনন্দ দিতো বলেই আরো বেশি ছুটোছুটি করতাম। যেদিন তুমি শ্যাওলা জন্মানু সিড়িটায় একা রেখে গিয়েছিলে সেদিনই আমার সব অনূভুতি ফিকে হয়ে গেছে। তাইতো এখন আর কবিতায় অনুভূতি প্রকাশ পায় না,প্রকাশ পায় একরাশ দীর্ঘশ্বাস।সেই কবিতাও এখন আর কাউকে আবৃত্তি করে শুনানো হয় না।
যখন তোমার ভালোবাসাটাই মিথ্যে ছিলো তখন এত নিখুঁতভাবে কেন বিষাক্ত স্মৃতি গুলো দিয়ে গেলে। যে স্মৃতিগুলো ভুলতে চেয়েও ভুলা যায় না। প্রতিটা স্মৃতি দহন সইছে অন্তঃকরণের প্রতিটা চত্বর। তোমাকে বলেছিলাম তুমি আমার শেষ একটা চিঠি পাবে, হ্যাঁ সেটাই এটা।
অন্তঃকরণের সভ্যতা ভেঙ্গে চলে গেছে যে ঐতিহ্য । তার পথেই তোমার দ্বিধা।বাধা হয়ে থাক।
ভালো থেকো প্রিয় খুব ভালো থেকো।আমার অনুরক্তি মাখা শেষ চিঠি।
ইতি
তোমার অপ্রিয় মিষ্টি পরী