প্রতিশোধ পর্ব-৩

0
1066

নামঃ প্রতিশোধ (বাস্তব এবং রোমান্টিক মিশ্রিত)
লেখায়ঃ রুম্মান
পর্বঃ তিন

এবং ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করেন এখানে আমাদের কি কাজ?

এবার বস সরাসরি বলেই দিলেন,

বসঃ আপনার সাথেই আমার কাজ। আপনাকে আমার অনেক ভালো লাগে। সেই অফিসের প্রথম দিন থেকেই আমি আপনাকে দেখে আসছি। আর এই দিনটির অপেক্ষা করছি।
আমি আপনাকে ভালোবাসি আপনাকে বিয়ে করতে চাই।

রেহানাঃ এইসব বলতে বলতে বস আমার কাছে চলে আসেন। আমি বসকে বুঝানোর চেষ্টা করছি এইসব আপনার ভুল ধারনা। আপনি আমাকে ভালোবাসেন না। আপনি আমার রুপ আর শরীর টাকে ভালোবাসেন। তাই তো মিথ্যা বলে আমাকে ভোগ করার জন্য এতদূর নিয়ে এসেছেন।

আপনাদের মত বড়লোক মানুষ গুলো প্রথমে এরকম আশ্বাস দেয় পরে চাহিদা মিটে গেলে ছুড়ে ফেলে দেয়। আর এটাই সত্যি এটাই বাস্তব। তাকে অনেক বুঝানোর পরেও উনি আমার কোন কথা শুনলেন না। এরপর ধীরে ধীরে আমার শাড়ী খুলতে থাকেন। আপত্তিকর জায়গায় হাত দিতে থাকেন। একটা পর্যায়ে এসে তিনি আমার সাথে জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হন।

এমন সময় এসে রাফাত দরজায় ঠকঠক করলেন। দরজা খোলার পরে রাফাত দেখতে পেলেন তার মা অন্তরঙ্গ অবস্থায়। এমন দৃশ্য দেখতে পেয়ে রাফাত ওই মুহুর্তে সেখান থেকে চলে আসে। এদিকে ছেলেকে দেখে রেহানা বেগমও চিন্তায় পড়ে যান। ছেলেকে কি বলবে সেই লজ্জায় আর ভয়ে ভুগতে থাকেন।

এর পর রাহানা বেগমও সেখান থেকে চলে আসে। এবং সিদ্ধান্ত নেয় যে উনি আর এই চাকরি করবেন না।

তিনি তার বসের নামে নারী নির্যাতন মামলায় থানায় অভিযোগ করবেন। সেদিন বিকালেই রাহানা বেগম থানায় যান তার বসের নামে কমপ্লেইন লেখাতে। কিন্তু সেখানে গিয়েও তিনি অসহাত্বের মাঝে পড়ে যান। থানার এস আই থেকে ওসি কেউ রেহানা বেগমের কথা বিশ্বাস করছিলেন না।

কারন থানার সবাই জিসান সাহেব অর্থাৎ রেহানা বেগমের বসকে খুব ভালোভাবে চিনতেন। রেহানা বেগম এই বুঝতে পেরে থানা থেকে বের হয়ে আসেন। এখন তিনি কোথায় যাবেন কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।

এরপর তিনি দুঃখ করে বলছেন। এই জগতে যার টাকা আছে ক্ষমতা আছে সে সবকিছু করতে পারে। অন্যায়কে ধামাচাপা দিতে পারে এবং মিথ্যা টাকে সত্য বলেও চালিয়ে দিতে পারে।

রেহানা বেগম এবার সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগতে থাকেন । বার বার শুধু চিন্তা করছেন ছেলেকে কি বলে জবাব দিবেন।
এইগুলো ভাবতে ভাবতে তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই নোংরা মুখ তার ছেলেকে দেখাবেন না। তাই আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা করেন। এবং সেই দিন রাতেই চলন্ত গাড়ির সামনে গিয়ে নিজের জীবনটা শেষ করে দেন।

রেহানা বেগমের মৃত্যুর দুইদিন হয়ে যায় রাফাত কোন খোঁজ নেয় না। কারন রাফাত নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলো তখন পর্যন্ত। এই জন্য রাগে অভিমানে তার মায়ের খোঁজ নিতেও আসেনি।

তিনদিন পর,

রাফাত তার মায়ের খোঁজ করতে বের হন। পথে যেতে যেতে একটা দেওয়ালে দেখেন তার মায়ের লাশের ছবি দেওয়া।
মুহুর্তের মধ্যে যেন রাফাতের মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়ার মত অবস্থা। তিনি দৌড়ে থানায় চলে যান এবং মায়ের মরা লাশ সংগ্রহ করেন।

আসার সময় থানার অফিসার রাফাতের হাতে একটা কাগজ তুলে দেন। মাকে পেয়ে রাফাত যেন নিজের হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। অঝরে কান্না করে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত রাফাত মায়ের লাশ দাফন করে ফেলেন। বাড়ি ফিরে তার মনে পড়লো পুলিশ অফিসার আমাকে একটা কাগজ দিয়েছিলেন।

আর দেরি না করে রাফাত কাগজটা বের করে পড়তে শুরু করলেন।

কাগজটিতে লেখা ছিল,,,

পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে