প্রতারক part 22
#Roja_islam
দুজনে গিয়ে বট তলায় বসলাম।আমি এদিক সেদিক দেখছি অনেকদিন পড় শিহাবের সাথে এভাবে কলেজে বসা।আগেতো রোজ বসে প্রেম করতাম। বেশকিছুক্ষণ পড় শিহাব বললো।
— সাতদিন ধরে কল দিচ্ছি!! ধরোনি কেনো?? ভার্সিটি তেও দেখা মেলেনা কোন সময় আসো কোন সময় যাও!!
— আসলে………….!!
— হীর আমায় কি ক্ষমা করা যায় না??
— আমি একটা মুক্তশ্বাস নিয়ে বললাম। অবশ্যই ক্ষমা করা যায়।কেনো যাবেনা তুমি যা ঠিক মনে করেছো তাই করেছো!!আমার কথা যদিও তুমি ভাবোনি। কিন্তু তুমি ভুল কিছু করো নি একটা মেয়ের পাশে ছিলে তুমি ঐরকম অবস্থায়!!
.
হীর যে অভিমান করে কথা গুলো বলছে তা বুঝতে বাকি নেই শিহাবের। তাই সে আহত স্বরে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো।
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
— আই নো হীর আমার তোমাকে আগেই সব খুলে বলার দরকার ছিলো। তোমার সাথে এমন করা আমার ঠিক হয় নি। তুমি যা শাস্তি দিবে আমি মাথা পেতে নিবো।তবুও প্লিজ মন থেকে ক্ষমা করে দাও!!
— আমি হাল্কা হেসে বললাম। জানো তুমি আমার সাথে প্রতারনা করার পড় আমি কি কি করেছি??
— শিহাব মাথা দুলিয়ে বললো। নায়ায়া!
— হাহা জানবে কি করে ভুলে তো গিয়েছিলে নতুন জীবন শুরু করার জন্য।আমার খবর কি আর রাখার সময় ছিলো তোমার?? আমিও না [মেয়ে মানুষ খোটা দিতে ছাড় দেয় না সে যাই পরিস্থিতি হোক। আর যত ভালো মেয়েই হোক ?] আচ্ছা আচ্ছা আমিই বলছি। তুমি আমার সাথে বেঈমানি করার পড় আমি ৩ মাস ঘর বন্দি ছিলাম। এর মধ্যে আমি দুবার সুসাইউ করার চেস্টা করি। তখন মার জন্য বেঁচে যাই। জানো আমার এই বোকামোর জন্য কতো কষ্ট পেয়েছে ভাইয়া আর মা??
–…………………………….!
— আসলে কি জানো। তুমি যেমন আমায় কষ্ট দিয়েছো!! তোমার অবহেলায় আমি কষ্ট পেয়ে!! আমি আমার ভাইয়া মাকেও অবহেলা করেছি!! আমি তোমার অবহেলায় কষ্ট পেলে। আমার অবহেলায় মা ভাইয়া কষ্ট পায় নি?? তুমি আমার সাথে প্রতারনা করেছো!!আমি কষ্ট পেয়েছি। আমি সুইসাইড করার চেস্টায় আমার পরিবার কষ্ট পায়নি?? পেয়েছে!! খুব বিশিই পেয়েছে কারণ তারা আমায় ছোট বেলা থেকে ভালোবাসে। আর তোমাকে আমি ৫ বছর ধরে ভালোবাসতাম। তাহলে কার কষ্ট বেশী বলো?? আমার না আমার পরিবারের?? অবশ্যই পরিবারের আর আমি এতোকিছু করার পড় তারা কি করেছে আমায় ক্ষমা করে দিয়েছে। তো আমার ও উচিৎ তোমায় ক্ষমা করে দেওয়া। তাই আমিও তোমাকে মন থেকেই ক্ষমা করে দিলাম। কিন্তু তোমায় আপন করতে বা তোমার লাইফে আবার জড়াতে আমি পারবোনা!! কোনোদিনিই না তা আর সম্ভব না!!
— হীর প্লিজ….!
— স্টপ শিহাব!!আমার পরিবার আমাকে ক্ষমার বিনিময়ে চেয়েছে আমি জেনো তোমাকে ভুলে যাই।এটাই তাদের এতো বছরের ভালোবাসার পড় আমার কাছে শেষ চাওয়া তাদের কি করে না করি বলো?? আর ঐ যে বললাম আমার থেকে তাদের ভালোবাসা বেশী তাই আমি আমার পরিবারের কথাই শুনেছি। তোমার লাইফে আর যাবোনা!! আর আমি তোমাকে ক্ষমা করেছি!! আমিও তোমার থেকে ক্ষমার বিনিময়ে কিছু চাই!! আর তুমি নিজেই বলেছ আমি যা শাস্তি দিবো তুমি মাথা পেতে নিবে!!
— শিহাব হীরকে পাওয়ার সব আশা ছেড়ে বললো। হ্যাঁ বলো যা বলবে তাই করবো আমি!!
— নিতুকে ক্ষমা করে আপন করে নাও ও তোমার স্ত্রী ও ভুল করেছে ওকে শুধরানোর দায়ীত্ব তোমার। এভাবে ছেড়ে দেওয়া নয়। আর তাছাড়া তুমি যদি আমার সাথে এতো বড় অন্যায় করেও ক্ষমা পেতে পারো নিতু কেনো ক্ষমা পাবেনা?? তুমি আমার সাথে যা করেছো!! সেটাই তুমি নিতুর কাছে থেকে ফেরত পেয়েছ এটাই সত্যি পকৃতি কাউকে এক বিন্দু ছাড় দেয় না। আর নিতু আমার আর তোমার সাথে যা করেছে তার শাস্তিও হয় তো ও পাচ্ছে তুমি ওকে তাড়িয়ে দেওয়ার পড়।আমি জানি নিতু আমায় হিংসে করে। হ্যাঁ আমি জানি এটা আগেই জানতাম নিতু তোমার পাশে আমায় সহ্য করতে পারেনা। কিন্তু মানিনি আমি। অন্ধবিশ্বাস ছিলো যে নিতুর উপর!!
— হীর এই টুকু বলেই চুপ হলো। আর শিহাব অবাক হয়ে বললো। তুমি সব জানতে???
— জানতাম যে নিতু তোমাকে নিয়ে আমায় হিংসে করে কিন্তু ঐদিন রেস্টুরেন্ট এ তোমার কথা শুনে আমার বুঝতে বাকি নেই এইসব নিতু ইচ্ছে করে করেছে!! তাই আমি তোমায় ক্ষমা করে সুযোগ দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু। ভাইয়া আমার চোখ খুলে দিয়েছে!! শিহাব তুমি ভুল করেছ তার শাস্তি তুমি পাচ্ছো তুমি সত্যি নিতুর মোহ আটকে গিয়েছিলে আমায় ভুলে গিয়েছিলে। যে মেয়েটা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তোমার মতামত নিয়ে চলতো তাকে তুমি ভুলে গিয়েছিলে। যাকে তুমি দিনে কুটিবার ভালোবাসি বলতে তাকে ভুলে গিয়েছিলে মোহ এ পড়ে। তুমি মোহেই পড়ে ছিলে যদি না থাকতে আমায় সত্যি ভালোবাসতে তো। তুমি আমায় একবার হলেও সব জানাতে। তাহলে আমি সব বুঝতে পারতাম। আর আজ এই দিন আসতোনা। আসলে কি জানো তুমি ঐ সময় নিতুকে তোমার মোহ কেই বেছে নিয়েছিলে।আমায় ভুলে গিয়েছিলে!!! আর আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম তোমার জন্য কিন্তু আর না শিহাব। যে একবার প্রতারণা করে সে বারবার ই প্রতারণা করতে পারে!! আমি তোমায় ক্ষমা করলেও!!তোমাকে আর বিশ্বাস করিনা শিহাব। তোমায় দেখলেই সেই তোমার বিয়ের রাত টা চোখের সামনে ভাসে যা আমি কোনোদিন ভুলতে পারবোনা।ভুলতে চাইও না ঐদিন্টা মনে করে আমি এগিয়ে যেতে চাই। তুমি আমার জীবনে প্রতারক প্রতারকি থাকবে।। তাই নিতুকে আপন করে নেওয়াই তোমার জন্য ভালো।আমি আর তোমার লাইফে যাচ্ছিনা তাই তোমরা একে অপরকে ক্ষমা করে দাও আর ভালো থাকো আশি….আর কখনো আমি তোমায় দেখতে চাইনা শিহাব। আর দেখলেও আমার কিছু যায় আশেনা। আমি আমার ফ্যামিলি আর রাহু………। এই টুকু বলে চুপ হয়ে যাই আমি তারপর কি ভেবে মুচকি হেসে বললাম। আমি আমার ফ্যামিলি আর রাহুল কে নিয়ে অনেক ভালো আছি তোমরাও ভালো থেকো!!
.
শিহাবকে আর কিছু বলতে না দিয়ে আমি হনহন করে হেটে ক্লাসে চলে গেলাম। মনে মনে ভেবে নিলাম আজ আমি উত্তর দিবো রাহুলকে। হ্যাঁ আজি দিবো। আর এই লাইফ না অনেক হয়েছে আর না এবার আমি হাসবো সবাই দেখবে। আর কত পিছুটান রাখবো একটা প্রতারক এর জন্য?? যে আমার জন্য সামান্য মোহ কাটাতে পারেনি আমরি বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে……..।প্রকৃত প্রেমিক কখনো তার প্রেয়সী কে ভুলতে পারেনা।কিন্তু শিহাব সামান্য মোহে পড়ে আমায় ভুলে গেছে….তাহলে কেমন ঠুকনো ভালোবাসা ছিলো ওর..উফফ আর কিছু না ভেবে আমি ক্লাসে মনোযোগী হলাম।
.
.
শিহাব এখনো সেখানেই বসে। সে ভাবছে তার ভুল টা কি?? নিতুই তো সব ইচ্ছে করে করলো হীরকেও ধোকা দিলো তাকেও!! কিন্তু তার ভুল কি?? হ্যাঁ তার ভুল এটাই সে তার পাঁচ বছর এর ভালোবাসা ভুলে। সে মোহে আটকে গিয়েছে। শুধু আটকে যায় নি বিয়ে করে নিয়েছে..সে সত্যি হীরের যোগ্য নই!! সে নিতুরি যোগ্য।ভেবে শিহাব উলটো পথে হাটা ধরে!!হীরের কথা রাখতে হবে যে!
.
.
এদিকে আবারো রাহুলের কানে খবর এসেছে হীর শিহাব কথা বলছে কলেজে বসে। সেই থেকে রাহুল ওয়াশরুমে দাঁড়িয়ে মাথায় পানি দিচ্ছে। হীর রাহুলের ধৈর্য্যের বাদ ভেঙে দিচ্ছে। তাও রাহুল মাথা ঠাণ্ডা রাখতে চায়। তাই সে মাথায় পানি দিচ্ছে আর বারবার রুমে এসে ঢগঢগ করে পূর্নির জন্য করে রাখা জুস খাচ্ছে। আর সারা রুম জুড়ে পায়চারি করছে।রাগে তার মাথা ফেটে যাচ্ছে এই শিহাবের নামটা শুনলেই রাহুলের মাথায় টা এতো গরম হয় যে। যে কেউ এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ মাথায় রাখলে গরম হয়ে যাবে আগুন ছাড়াই। পূর্নি রাহুলের বেডে বসে। মিটমিট করে হাসছে রাহুলের দিকে তাকিয়ে। রাহুল রেগে আবার ওয়াশরুমে ঢুকে তারপর মাথায় পানি দিয়ে হন্তদন্ত হয়ে বেড় হয়ে। বিড়াট এক চিৎকার দিয়ে পূর্নিকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে।
.
— তুই কি শুধু হাসবি?? না আমায় একটা সালিউশোন দিবি!!!!
— পূর্নি মুচকি হেসে বললো। অবশ্যই এই নে!!
.
রাহুল পূর্নির হাত থেকে ফোন টা নিয়ে বাঁকা হাসে। তারপর কল দেয় হিরা কে। হিরা পার্ট টাইম জব কলে কল সেন্টার এ। হিরা কাজে ব্যাস্ত ছিলো। কিন্তু পূর্নির কল দিচ্ছে দেখে ভাবলো হয় তো ইমার্জেন্সি না হয় পূর্নি কোনো সময়ি। হিরার অফিস টাইমে কল দেয় না সে। ভেবেই হিরা ফোন টা পিক করে কানে রাখলো। আর রাখতেই একটা গম্ভীর কণ্ঠ ভেসে এলো।
.
— আমি রাহুল কথা আছে তোমার সাথে!!
— হিরা থতমত খেলো রাহুলের কণ্ঠ শুনে। ডেস্কের সামনে থেকে এক্টু পানি খেয়ে নিলো দ্রুত। তারপর গলা পরিষ্কার করে ভয়ে ভয়ে বললো। জ্বী ভাইয়া বলুন??
— এদিকে রাহুলের ও অস্বস্তি হচ্ছে তাই একটা বড় দম নিয়ে বললো। হিরা আমি ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলতে পারিনা। তাই ডাইরেক্ট বলছি। আমার বোনেকে পেতে হলে। তোমার বোনেও আমায় দিতে হবে। আমি চাই হীরকে। ওকে বুঝাও হীর শুধু আমার। ভালোবাসি আমি ওকে। আমি আন্টির সামনে হীরের ব্যপারে কিছু বলতে পারবো না লজ্জায়। তাই তোমায় বলছি। আমার আর হীরের ব্যাপার টা মেনেজ করো। না হয় আমিও পূর্নিকে তোমার হাতে দিচ্ছিনা ব্যাস।
.
বলেই ঠাশ করে রাহুল ফোন কেটে দিলো।হিরা এখনো তব্দা খেয়ে বসে আছে।এখনো কান থেকে ফোন নামায় নি। সে ভাবছে কি বললো এগুলা রাহুল?? হিরা পিটপিট করে এদিক সেদিক একবার তাকিয়ে ফোন টা কান থেকে ডেস্কে রেখে বিড়বিড় করে বললো।
— সত্যি হির ঠিক বলে আসলেই ব্যাটা গুণ্ডা ভালো করেও তো বলা যেতো না থ্রেট মাড়লো একদম।
— পাশ থেকে হিরার কলিগ বলে উঠলো। আর ইউ ওকে হিরা?? এভাবে হেং মেরে বসে আছো কেনো??
— হিরা মুচকি হেসে বললো। আরে না না পিউ আমি ঠিক আছি। এই মাত্র বোনের জন্য বর ঠিক করলাম হিহি।
— এমা তাই না কি?? তাহলে এমন বোকার মতো হাসছো কেনো??
— কারণ বোনের বর আমার বৌ এর বড় ভাই!! তার উপর ব্যাটা গুণ্ডা সারা জীবন আমায় বাজাবে তাই।
— মানে কিভাবে বাজাবে??
— হুহ। হিরা মৃদু কান্না কান্না ভাব করে বললো। সেই কাহিনী না হয় বাজানোর পড় তোমার সাথে শেয়ার করবো।
.
পিউ বোকার মত মাথা দুলালো শুধু।আর হিরা তার কপালের ছপছপ ঘাম মুছে নিলো।হিরা ভাবছে তার কপালে ঠিক কি আছে তা সে নিজেই জানে না। এদিকে রাহুল কথা শেষে পিছন ফিরেই ঢোগ গিললো। কারণ পূর্নি অগ্নিমূর্তি রূপ ধারন করেছে রাহুলের কথা শুনে।রাহুল বোনকে কিছু বলবে তার আগেই পূর্নি চেঁচিয়ে বললো।
.
— উপকার করার ফল এভাবে দিলি??
— আমি শোন তো আগে…….!
— কি শোনবার আছে। তুই হীরকে না পেলে আমার আর হিরার বিয়ে দিবি না তাই তো??
— আরে আমার মা শোনতো আগে!!
— কি শোনবো আমি তুই……..!
— রাহুল এবার চিৎকার করে বলে। আমি আমি তো শুধু ভয় দেখাতে বলছি আর কিছুনা আমায় মাফ কর প্লিজ।
— এবার পূর্নি শান্ত হলো। আচ্ছা ঠিক আছে এবার মাফ করলাম। কিন্তু নেক্সট টাইম ভুলেও আমায় আর হিরাকে আলাদা করার কথা ভাববিনা।
— আচ্ছা আমার মা আমি মরে গেলেও তোর বিয়ে হিরার সাথেই দিবো।
— আই লাভু ভাই হিহি।
— রাহুল রুম থেকে বেরুতে বেরুতে বললো। আস্ত বিয়া পাগল মাইয়া!!
— পূর্নি ভেংচি কেটে বললো। হুহ!! তোর হয়না তো তাই তোর জ্বলে।
.
রাহুল আর পূর্নির কথা শুনলো না। সে রুম থেকে বেরুতেই কলিংবেল বেজে উঠলো। রাহুল একরাশ বিরক্তি নিয়ে। গিয়ে দরজা খুলে চরম অবাক সে। এ কাকে দেখছে রাহুল??
.
.
চলবে!!
[ গল্প লেইট দেওয়া নিয়ে কিছু কথা। আমি নামাজের দিন দুপুরবেলা লাস্ট গল্প দিয়েছিলাম। ঐ দিন রাতে সারারাত নামাজ পড়ে, দিনে রোজা রেখে শখ করে নিজেই ইফতার বানিয়ে খুব ক্লান্ত ছিলাম তাই ঘুমিয়ে পড়ি রাতে। গল্প দেই নি চিন্তা করে রাখছি বিকেলবেলা লিখি রাতে দিয়ে দিবো। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে দেখি কেমন কেমন লাগছে তারপর খেয়াল করি সারা মুখে কি জেনো হইছে পাত্তা দেইনা। কিন্তু খুবি খারাপ লাগছিলো মুখে। চোখ মুখ ফুলে ডাবোল আমার। তাও বিকেলবেলা চিন্তা মত বসছি লিখতে। কিন্তু ঐ সময়ি বাসা থেকে কল আসে। আম্মু কান্না করছে ফোন দিয়ে ছোট ভাইয়ার ১ মাসের ছেলের শরীল ভালোনা এখন হস্পিটাল বন্ধ কি করবে ওরা!! এই বলে কান্না শুরু।আম্মুকে বুঝিয়েসুঝিয়ে ফোন রাখলাম আর কি করবো দূরে থেকে??এদিকে সন্ধ্যে হতেই আমার চোখ মুখ ফোলা বেড়ে গেছে সাথে মাথা ব্যাথা স্টার্ট আমার মুখ দেখে ভয় পাচ্ছে সবাই। তাও সব ফেলে বসছি লিখতে কিন্তু নিজের টেনশন বাসার টেনশন সব মিলিয়ে পাগল পাগল লাগছিলো। গল্পের কিছু আমার মাথায় আসছেনা লিখবো কি?? শেষে কান্না পাচ্ছিলো। তাই লিখতে পারিনি পুড়া ২ ঘণ্টা যুদ্ধ করেও…. এখন বলেন আমার কি দোষ অনেক সময় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকে না চাইলেও কিছু করা যায় না। আমি অনেক চেস্টা করেছি।কিন্তু আপনারা কিছু মানুষ এতো জঘন্য কথা ব্যাবহার করেন যে পরবর্তীতে চেস্টা করতেও ইচ্ছে করেনা। আর কাল যারা আমার হয়ে এক্টু কথা বলছে তাদের জন্য অনেক ভালোবাসা। এমন পরিস্থিতিতে পাশে থাকার জন্য। এট লাস্ট এক্টাই কথা লিখালিখি যারা করে তার রোবট না। ওদের ও প্রবলেমস থাকে। সব মিটিয়েই গল্প লিখতে হয় এই টুকু বুঝার চেস্টা করবেন।আমায় গালি দিয়ে নিজের বংশ পরিচয় দিয়েন না। আমি আজ আমার প্রবলেম টুকু খুলে বললাম। দোয়া করবেন আমার আর আমার পরিবারের জন্য ধন্যবাদ ?]
Roja Islam