প্রণয় প্রহেলিকা পর্ব-১৮

0
1150

#প্রণয়_প্রহেলিকা (কপি করা নিষিদ্ধ)
#১৮তম_পর্ব

ধারা সবটুকু খাবার অনলকে খাওয়িয়ে দিলো। আর অনল বিনা অভিযোগে খেয়েও নিলো। ধারা বেশ অবাক হলো, কারণ অনল একটি বার ও করলা ভাজি নিয়ে অভিযোগ করে নি। যেখানে তার অতীব অপছন্দের খাবার সেটা। ধারা যখন খাবার খাওয়ানোর পর উঠে যেতে নিলো তখন হাতখানা টেনে ধরলো অনলো। মৃদু কন্ঠে বললো,
“একটু বসবি, কিছু বলার ছিলো”

অনলের বলার ধরণটা অন্যরকম ঠেকলো ধারার কাছে। কি বলার থাকতে পারে অনল ভাইয়ের! মূহুর্তেই হাজারো চিন্তা দলা পাকালো ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে। আচ্ছা, অনল ভাইয়ের বন্ধুদের বিনা নোটিশে নিমন্ত্রণের জেদের কথাটা তুলবে নাকি অনন্যা আপুর ব্যাপারে কিছু বলবে! অনন্যার কথা স্মরণ হতেই মুখখানা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলো ধারার। সে ঈষৎ ঘাবড়ালো। ঠোঁট জোড়া ভিজালো৷ তারপর চোখ ছোট ছোট করে সুঁচালো নজরে নিপুনভাবে খুতিয়ে দেখতে লাগলো অনলকে। অনলের মুখশ্রী নির্বিকার। চোখ বরাবরের মতো শান্ত। চাহনী শীতল। ফলে মুখশ্রী দেখে অনলভাই এর মনের খবর জানার অভিযান ব্যর্থ হলো। নাহ! এখানে বসে থাকাটা সুবিধের হবে না। তাই ধারা নরম গলায় বললো,
“হাতটা ধুয়ে আসি? এটো হাতে বসতে ভালো লাগে না”
“বেশ, তাড়াতাড়ি আয়। আর শোন পালাবার চেষ্টা করবি না। সোজা হাত ধুয়ে এখানে আসবি”

অনল আবারো ল্যাপটপে নজর দিলো৷ তবে ধারার মনে হলো অনলের মৃদু কন্ঠটি ঈষৎ কঠিন হয়ে গেলো। ধারা মাথা দুলিয়ে সম্মতি জানালো, সে পালাবে না। মাঝে মাঝে ধারা বেশ অবাক হয়! তার মনের খবর লোকটি কিভাবে বুঝে যায়! পালাবার ফন্দিই করছিলো ধারা। ভেবেছিলো প্লেট রাখার নামে বড়মার ঘরে চলে যাবে অথবা বি’চ্ছু গুলোর ঘরে আশ্রয় নিবে। কিন্তু হলো না। ফলে ভদ্র মানুষের মতো প্লেট রেখে, হাত ধুয়েই আবার ফেরত আসতে হলো।

ধারা অনলের সম্মুখে বসে আছে, অনল ল্যাপটপ বন্ধ করে দিয়েছে। এখন শান্ত, শীতল দৃষ্টিতে ধারার দিকে চেয়ে আছে সে। সময় পার হচ্ছে এবং ধারার মন ব্যাকুল হয়ে উঠছে। নিস্তব্ধ ঘরটি এবং অনলের শান্ত চাহনী যেনো তাকে ক্রমশ গি’লে খা’চ্ছে। চিন্তা, উদ্বিগ্নতা এবং ঈষৎ ভয়ের দরুন দাঁত নিয়ে নখ কামড়াতে লাগলো সে। তখনই অনলের তীক্ষ্ণ স্বর কানে এলো,
“নখ কামড়াস বলেই তুই দিন দিন আরোও বেশি স্টু’পি’ড হয়ে যাচ্ছিস। সাধে কি ফেলুরানী বলি”

সাথে সাথেই হাত নামিয়ে নিলো ধারা। আমতা আমতা করে বললো,
“কি জানে বলবে বলছিলে!”
“আজ হুট করে আমার বন্ধুদের দাওয়াত দিয়েছিলি কেনো? মতলব কি ছিল?”

ধারা যে ভয় পাচ্ছিলো সেটাই হলো। অনল সেই প্রশ্নই করলো, কেনো বন্ধুদের দাওয়াত দেওয়া হলো। মাস্টারমশাই এর শ’কু’নী চোখ থেকে বাঁচা অসম্ভব৷ ধারাও কম নয়, নিজের প্রতিরক্ষার উত্তর তৈরি। প্রবল আত্মবিশ্বাসের সাথে বললো,
“নতুন দম্পতিকে দাওয়াত করতে মন চাইলো, তাই করেছি। বাহ রে! তাদের বাড়ি তিনটে দিন খেয়ে দেয়ে এসেছি এটুকু তো করাই যায়। এটাকে কার্টেসি বলে। আর প্লাবণ ভাই আর স্মৃতি আপু থাকবে তাহলে ইকরাম ভাই আর রবিন ভাই বাদ কেনো যাবে! তাই দাওয়াত দিলাম”
“সত্যি?”

অনলের চাহনী ক্রমশ সূঁচালো হলো। ধারা শুকনো ঢোক গিলে বললো,
“হু”
“না আমি ভাবলাম তোর আমার অতীত ঘাটার শখ হয়েছিলো। তাই ওদের ডেকেছিস। ওদের থেকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আমার সব নাড়িনক্ষত্র জানবি। ভুল ছিলাম তাহলে। অবশ্য তুই কি এতো ব’ল’দ নাকি! তোর কাছে তো এখনো দুখানা ইচ্ছে বাকি আছেই। চাইলেই সে দুটো সহজেই ব্যাবহার করে আমার থেকেই সব জানতে পারতি। নিশ্চয়ই আমার খবর আমার থেকে ভালো কেউ বলতে পারবে না”
“তোমাকে জিজ্ঞেস করলেই তুমি বলে দিবে?”

ধারা প্রশ্নটি করতেই জিহ্বা কাটলো। অনলের ফাঁদে সে পা দিয়ে দিয়েছে। অনল ঠোঁট চওড়া হলো। বাকা হেসে বললো,
“বউ এর দেখি আমার সম্পর্কে বিস্তার কৌতুহল! তা এতো তাল না করে সরাসরি আমাকে জিজ্ঞেস করলেই তো পারতি!”
“তুমি তো খালি এড়িয়ে যাও”
“তা এই বিশাল তথ্য যোগাড় করার কারণ জানতে পারি”

ধারা চুপ করে রইলো। কারণ তো আছেই, কিন্তু সেটা গলা অবধি এসেই দলা পাকিয়ে যাচ্ছে। মুখে বলতে পারছে না সে। নিজের প্রণয়ের মানুষের বিস্তারিত খোঁজ দেওয়া মোটেই দোষের কিছু নয়। কিন্তু হুট করেই এই কথাটা জাহির করা যায় না। যেখানে প্রথম থেকে সেই এই মানুষটির বিরোধিতা করে এসেছে। ধারা আমতা আমতা করে বললো,
“রুমমেট সম্পর্কে কৌতুহল হওয়া কি খারাপ কিছু?”

অনল নিঃশব্দে হাসলো। তারপর ধারার নাকটা একটু টেনে বললো,
“এতো বুদ্ধি নিয়ে ঘুমাস কি করে! যাক, আমার ইহকালে কোনো নারীর সাথে কোনো সম্পর্ক ছিলো না। অনন্যা আমার খুব ই ভালো বান্ধবী ছিলো বটে। কিন্তু সেই বন্ধুত্বটা আর নেই। কারণ স্বার্থপর মানুষ আমার অপছন্দ। বন্ধুত্বের নামে যদি সে আমাকে ব্যাবহার করে তবে আমি তো মেনে নিবো না। একারণেই শেষ কটা দিন সেই মেয়েটির মুখদর্শন ও করি নি আমি। তাই নিজের ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের নষ্ট চিন্তা গুলো ঝেড়ে ফেলো ফেলুরানী”

অনলের দিকে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইলো ধারা। পেটের মধ্যে হাজারো প্রজাপতি যেনো ডানা মেলেছে। মনের এক কোনায় জমে থাকা খচখচানিটা নিমিষেই বাস্পে পরিণত হচ্ছে। মূর্ছা যাওয়া প্রণয় পুষ্পটি এক পশলা শীতল বৃষ্টির ছোঁয়া জীবন্ত হয়ে উঠেছে। অজান্তেই তার ঠোঁটে স্নিগ্ধ হাসি ফুটে উঠলো। কিন্তু পরমূহুর্তেই মাহির কথাটা মনে পড়লো ধারার। সন্দিহান কন্ঠে বলে উঠলো,
“তাহলে মাহিকে কেনো বললে “এক হৃদয়ে দু নারীর স্থান হয় না”? তোমার হৃদয়ে স্থান পাওয়া নারীটি কে?”
“তোর কি মনে হয়?”

ধারার চঞ্চল চোখে চোখ রেখে শীতল কন্ঠে প্রশ্ন করলো অনল। তার চাহনী আরোও শান্ত, স্থির। ঠোঁটের কোনে বিচিত্র হাসি। ধারা কিছুসময় তাকিয়ে থাকলো অনলের চোখের দিকে। কিন্তু কোনো উত্তর পেলো না। প্রশ্নের বিপরীতে প্রশ্ন করাটা যেনো একটা বিশ্রী স্বভাব অনলের। এই স্বভাবটি অতীব অপছন্দের ধারার। মূহুর্তেই তার ভ্রু কুঞ্চিত হয়ে আসে। চোখে মুখে বিরক্তি ফুটিয়ে হিনহিনে স্বরে ধারা বললো,
“আমি কি অন্তর্যামী? না বললে তোমার মনের কথা কিভাবে বুঝবো! আমি তো তোমার মনে বসে নেই!”

অনলের হাসিটা যেনো চওড়া হলো। দূর্বোধ্য সেই হাসি। তারপর উঠে দাঁড়ালো সে। বিছানার বালিশটা ঠিক করতে করতে বললো,
“ওটা ফাও বলেছিলাম, যেনো মাহি আমাকে আর উত্যোক্ত না করে। নারী মানেই আস্তো ঝামেলা, যত দূরে থাকা যায় তত মঙ্গল”

তারপর শুয়ে পড়লো সে। চোখ বন্ধ করে প্রায় সাথে সাথেই আবার খুললো, মাথা উঁচিয়ে বললো,
“তোর তিনটে ইচ্ছে ফিট্টুস, আর একটা আছে। বুঝে শুনে খরচা করিস”
“একটা কেনো! দুটো আছে”
“সামান্য যোগ, বিয়োগেও তুই কাঁচা। সাধে কি ফেলুরানী বলি? সেদিন যে রিসোর্টে নিয়ে গেলাম সে বেলা! ওখানে তো একটা ইচ্ছে শেষ”
“এটা কিন্তু চিটিং”
“আন্দোলন কর তাহলে”

বলেই কাঁথা টেনে শুয়ে পড়লো অনল। ধারা সেখানেই বসে রইলো। কিছুসময় চোখের দৃষ্টিতে ক্রোধানল উগরালো। কিন্তু লাভ হলো না। লোকটি দিব্ব্যি ঘুম। পরমূহুর্তেই শান্ত হলো সে। আনমনেই ঠোঁটের কোনায় হাসি ফুটে উঠলো। যাক ময়দান ফাঁকা, এবার শুধু গোল করা বাকি_________

*****

জ্যৈষ্ঠের শেষ দিন, জ্বালাময়ী গরম। মাথার উপর ঘুরন্ত ফ্যানটিও যেনো শান্তি দিতে পারছে না। সর্বোচ্চ স্পিডে ঘুরছে তবে গরম একবিন্দু কমছে না। তরতর করে ঘামছে ধারা। সামনে থাকা গরম চা টা যেনো পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত জিনিস মনে হচ্ছে। তবুও সে সেটা খাচ্ছে। আর খাতায় গণিত কষছে। শনিবার বিধায় ভার্সিটি বন্ধ। তবুও শান্তি দেয় নি প্রিন্স উইলিয়াম। নাস্তা গলা থেকে নামার আগেই গম্ভীর স্বরে বললো,
“খেয়েই পড়তে বসবি”

বড় মা যা একটু প্রতিবাদ করতে চাইলেন কিন্তু ছেলের তীক্ষ্ণ দৃষ্টির সামনে চুপসে গেলেন। তাই বাধ্য হয়েই মুখ ফুলিয়ে পড়তে বসেছে ধারা। কখন থেকে এক চ্যাপ্টারের ম্যাথ ই করছে কিন্তু কিছুই পারছে না। লিনিয়ার এলজ্যাবরা টি পৃথিবীর সবথেকে বড় শত্রু হয়ে গিয়েছে। যা একটু ফেসবুকে ঢু মারবে সেটাও হলো না। প্রিন্স উইলিয়াম মোবাইল নিজের কাছে নিয়ে রেখেছে। এর মাঝেই উপস্থিত হলো এশা এবং আশা। তাদের হাতে হাইয়ার ম্যাথের বই এবং খাতা। তাদের দেখেই ধারার চোখ চকচক করে উঠলো। অনল তাদের দেখেই ভ্রু কুচকালো। তীক্ষ্ণ স্বরে বললো,
“কি চাই?”
“মা পাঠিয়েছে”

বলেই আঠাশটা দাঁত বের করে হাসলো৷ যার অর্থ “আমাদের পড়াও”। অনল কপাল ঘষলো বা হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে। এই দুজনকে পড়ানো মানেই মাথার পোকা বের করে দেওয়া। যত দুনিয়ার আজিব প্রশ্ন আছে সব করবে। আপাতত তিনটে স্যার হাতে পায়ে ধরে পালিয়েছে। তারা নাকে খড় দিয়ে বলেছে,
“ম’রে গেলেও এদের পড়াবে না।”

ফলে যতবার ই ইলিয়াস কোনো নতুন স্যারের খোঁজ পাচ্ছে তারা প্রথমেই জিজ্ঞেস করছে,
“এটা কি সেই এশা আশা”

ইলিয়াস অবাক কন্ঠে জিজ্ঞেস করছে,
“সেই এশা আশা বলতে?”
“যাদের বাড়ি থেকে শিক্ষক পালায়”

ইলিয়াসের বুঝতে বাকি থাকে না, এই মহল্লায় তার মেয়েদের বেশ নাম হয়েছে। সুতরাং তাদের পড়ানোর জন্য মাস্টার পাওয়াটা দুষ্কর ই নয়, অসম্ভব। ফলে রুবি অনলকে অনুরোধ করেছে যেনো মেয়েদুটোকে ছুটির দিন পড়াতে৷ অনল মুখ ফুলিয়ে শ্বাস ছাড়লো। তারপর বললো,
“মুখ বন্ধ করে ধারার পাশে যেয়ে বসবি। যা করতে বলবো চুপ করে করবি। টু শব্দ করেছিস তো কান টেনে লম্বা করে দিবো।”
“মুখ বন্ধ করলে প্রশ্ন করবো কিভাবে? আর প্রশ্ন না করলে শিখবো কিভাবে অনল ভাই? তুমি না মাষ্টার? তুমি এটাও জানো না! বাচ্চাদের প্রশ্ন করতে হয়। নয়তো ওরা হয় গা’ধা। কারণ গা’ধারা প্রশ্ন করে না”

এশার সাথে সহমত জানিয়ে আশা বলে উঠলো,
“আজ যদি নিউটন প্রশ্ন না করতো তাহলে তো মহাকর্ষ আবিষ্কার হতো না। অনল ভাই তুমি আমাদের হতাশ করলে”

আশার কথাটা শেষ হলো না তার পূর্বেই অনল বি’চ্ছু জমজের কান দুটো টেনে ধরলো, তারপর বললো,
“প্রশ্নের উত্তর পেয়েছিস?”
“আহ! লাগছে, সরি সরি”
“মনে থাকে যেন”

বলেই কানটা ছেড়ে দিলো অনল। এশা কান ডলতে ডলতে স্বর খাঁদে নামিয়ে হতাশার সাথে বললো,
“বুঝলি আশা, এই পাষান দুনিয়ায় বরাবর ই দূর্বলের উপর সবলের রাজত্ব। আজ আমরা নিরুপায় বলে। মায়ের ভয় না থাকলে এই পুথিগত বিদ্যার স্যারের কাছে আসতে হতো না”
“ঠিক”

বলেই দীর্ঘশ্বাস ফেললো আশা। অনল তীক্ষ্ণ স্বরে বললো,
“কিছু বললি!”
“না, না”

বলেই ভেতরে যেয়ে বসলো তারা। অনল পড়ানো শুরু করলো। আধা ঘন্টা পর ই তিনজনের অবস্থা নাজেহাল৷ কোনো মতে ছুটে পালাতে পারলে হয়তো বেঁচে যেতো। কিন্তু লাভ নেই। অনল অনড়, তার ভাবমূর্তির পরিবর্তন হলো না। সে নির্বিকার চিত্তে বসে রয়েছে। তার একের পর এক অংক করতে দিচ্ছে। ধারা অসহায় হয়ে বললো,
“অনল ভাই, ব্রেক দাও। আর মাথায় ঢুকছে না। এর পর বই টাও বলে উঠবে ছাড় মা, কাইন্দে বাঁচি”
“সহমত, আমরাও ব্রেক চাই। এই উৎপাদকে বিশ্লেষণের চোটেই আমরাই বিশ্লেষিত হয়ে যাবো অনল ভাই”

তিনজনের ক্রমশ চিৎকারে হাল ছাড়লো অনল। বিরক্ত কন্ঠে বললো,
“যা পাঁচ মিনিটের ব্রেক”
“পাঁচ মিনিট তো এই ঘর থেকে বের হতেই শেষ হয়ে যাবে”

এশার কথায় তীর্যক চাহনী নিক্ষেপ করলো অনল। ফলে তাদের আন্দোলন সেখানেই থেমে গেলো। এশা ধারার কানে ফিসফিসিয়ে বললো,
“এই, খা’টা’সের সাথে থাকো কিভাবে?”
“মাঝে মাঝে নিজেকেও একই প্রশ্ন করি”

এর মাঝেই কলিংবেলের শব্দ শোনা গেলো। এশা তখনই ছুটে গেলো সদর দরজায়। দরজা খুলতেই অবাক হলো সে। একজন মধ্যবয়স্ক যুবক দাঁড়িয়ে আছে। লম্বা অনলের কাছাকাছি, শুভ্র তার মুখশ্রী, ঠোঁটে অমায়িক হাসি। পরণে কালো পোলো শার্ট এবং গাঢ় নীল ডেনিম জিন্স। হাতে একখানা দামী টাইটানের ঘড়ি। এশা অবাক কন্ঠে অপরিচিত যুবককে জিজ্ঞেস করলো,
“কাকে চাই?”
“এটা কি জামাল চৌধুরীর বাড়ি”
“জ্বী! আপনি কে?”
“আমার নাম দীপ্ত, আমাকে সেলিম আহমেদ পাঠিয়েছেন……..

চলবে

মুশফিকা রহমান মৈথি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে