পিয়ানোর সুর পর্ব-১৮+১৯

0
533

পিয়ানোর সুর
#১৮পর্ব

সৌরভের চাপে পড়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হলো মিথি নিখোঁজের। নাসিম জোর করছিল ওদের বাড়ীর সবাইকে দোষী বানিয়ে রিপোর্ট লিখতে।
আমি দিইনি। মাথা গরম করলে চলবে না। মিথির নিরাপত্তা জড়িত এরসাথে। আগে ওকে খুঁজে পাই পরে না’হয় ধরা যাবে সবাইকে।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে রিক্সা ঠিক করছিলাম আমি আর নাসিম। সৌরভের দিকে নজর দিইনি। ওয়ারী থানা থেকে বাসা বেশি দূরে না। সেজন্য গাড়ী আনিনি।

প্রচন্ড সংঘর্ষের আওয়াজ পেয়ে দুইজনেই ঘুরলাম। পাশেই রিক্সার জটলা।
সৌরভ উপুড় হয়ে পড়ে আছে। রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটা মোটরবাইকের সামনের চাকা সৌরভের পিঠের মাঝ বরাবর ঠেকে। মোটর আরোহী পিঠেই হয়তো তুলে দিত যদি সামনে রিক্সার জট না থাকতো। নাসিম দৌড়ে গেল সৌরভের কাছে।
আমি রিক্সার হাতল ধরে নিজের পতন ঠেকাতে ব্যর্থ হলে রিক্সা চালক আমাকে জাপটে ধরলো।
বেশ রাত হলো বাসায় ফিরতে।
সৌরভের তেমন কিছু হয়নি।
বাইকের ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে কপালের একপাশ ছঁড়ে গেছে।
পাশেই এক মেডিসিনের ডিসপেনসারি থেকে সৌরভের কপাল ড্রেসিং করিয়ে বাসায় ফিরতে মধ্যরাত হয়ে গেল। নাসিম চলে গেল ওর বাসায়। কথা হলো ভোরেই মিথিকে খুঁজতে বের হবো আমরা।
বেডরুমে নিয়ে ঢুকতেই সৌরভ কেমন অপ্রকৃতস্থ আচরণ শুরু করলো।

— ড্যাড তুমি টিউবরোজের স্মেল পাচ্ছো! এটা মিথির বডি স্মেল ড্যাড! গতরাত থেকে রুমে এলেই মিথির স্মেল পাই।

সৌরভের ছটফট অস্থিরতা দেখে গভীর ভাবে নিঃশ্বাস নিয়ে অবাক।
সত্যিই তো রজনীগন্ধার খুব হালকা মিষ্টি একটা ঘ্রাণ ছড়িয়ে আছে সৌরভের রুমে। এয়ারকন্ডিশনড রুম।
বেশিরভাগ সময় আবদ্ধ থাকে। বাতাস পাসিং হয় খুব কম। বারান্দার দরজা না খুললে আবদ্ধ গুমোট একটা স্মেল থাকে।
কিন্তু তাইবলে রজনীগন্ধার!
নিশ্চিত হতে বাপ বেটা পুরো ফ্ল্যাট রাউন্ড দিলাম।
নাহ সৌরভের রুম ছাড়া অন্য কোনো রুমে এই স্মেল নেই।
এমন কী সৌরভের বারান্দাতেও না।
কপালের ব্যাণ্ডেজ় চেপে ধরে বিছানায় বসে কেঁদে ফেলল সৌরভ।

— ড্যাড ব্যালকণির ডোর লক করে দাও মিথির স্মেল চলে যাবে।

দরজা লাগিয়ে ওর পাশে এসে বসলাম।
— শান্ত হ বেটা ব্যথা বাড়বে।

— ড্যাড গতরাত থেকে ঘুমোতে পারি না আমি। টিউবরোজের ঘ্রাণ মিথিকে ফিল করায়। পাগল হয়ে যাব ড্যাড কোথায় আছে ও। কেমন আছে। ও কী কাঁদছে। মিস করছে সৌরকে..

সৌরভ আউট অভ কন্ট্রোলে চলে যাচ্ছে।
কী করব বুঝে আসছে না।
ছেলেটাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। বাবা ছেলে গলাগলি করে জড়িয়ে বসে আছি। সৌরভ কিছুতে শোবে না।
— সৌর ডিনার করবি না? একটু খেয়ে নে বাপ পেইনকিলার নিতে হবে।

— নো ড্যাড নো। আমার মিথি না খেয়ে আছে। ঘুমোয়নি দেখো।
ও ফিরে আসুক একসঙ্গে খাবো।
ড্যাড শোনো মিথি এলে
ওকে আর যেতে দেবো না। ও আমার সাথে থাকবে। একসঙ্গে ঘুমোবো আমরা ড্যাড। মিথিকে যেতেই দেবো না। বেঁধে রাখব আমার ঘরে।

আমার কাঁধে মাথা রেখে
সৌরভের ফোঁপানো আর্তনাদে ঘরের ভেতরটা ভারি হয়ে উঠলো।
সৌরভ যখন এলোমেলো প্রলাপে কাঁদতে ব্যস্ত এমন সময়
খুব মিহি আর ভীষণ দুর্বল কন্ঠে ওর নাম ধরে ডাকলো কেউ,

— সৌর দেখো,
আমি এখানে।

বাবা ছেলে দুজনেই বসা থেকে ঝট করে উঠে দাঁড়ালাম। পুরানো মান্ধাতার আমলের বিশাল পালংকের মাথার দিকে কালো রঙের বার্নিশ করা কাঠের ময়ূর পেখম মেলা ডিজাইনের ছোট্ট একটা আরশি ফ্রেম। সেই ফ্রেম ধরে দাঁড়িয়ে আছে দুর্বলতায় কাহিল, শুকনো চেহারায় ভীত পাংশুটে বর্ণের মেয়েটি।

— মিথি!

নাম ধরে চিৎকার দিয়ে খাটের ওপর লাফ দিয়ে উঠলো সৌরভ। খুব সাবধানে
মাথার কাছের খাটের পেছনের অল্প একটু জায়গা থেকে একহাতে মিথিকে তুলে নিয়ে এল সৌরভ। মধ্যবয়স্ক এই বাবাকে স্তব্ধ করে দিয়ে ছেলেমেয়ে দুটোই একে অন্যকে জড়িয়ে জ্ঞান হারিয়ে বিছানায় লুটিয়ে পড়লো।
আমার কিংকর্তব্যবিমূঢ় দৃষ্টি দেখছে
খাটের পায়ার এক কর্ণারে
পরিত্যক্ত অবস্থা পড়ে আছে
তিনটা কফি মগ, দুটো ট্রে আর দুটো হাফ প্লেট।
পাশেই একটি ৫০০মিলি মিনারেল ওয়াটারের খালি বটল কাত হয়ে পড়ে আছে।
প্রতিটি জিনিষ
সৌরভের ব্যক্তিগত ব্যবহৃত। কাউকে ছুঁতে দিই না। সন্ধ্যা থেকে বার বার কফি মগ মিসিং বলছিল সৌরভ। অতটা গুরুত্ব দিই নাই।
একটা চিন্তা
মাথায় আসতেই গা কেঁপে উঠলো
নাসিম বলেছিল, গতকাল সকালের ব্রেকফাস্টের পর ভাবীদের উল্টাপাল্টা কথাবার্তায় মিথি সারাদিনে খায়নি কিছু।
রেস্টুরেন্ট থেকে পালানোর আগেও নিশ্চয়ই না খাওয়া ছিল। ওহ আল্লাহ! প্রায় দুইদিন ধরে অভুক্ত বাচ্চাটা। সেইজন্যই সে সন্ধ্যা থেকে ক্ষুধায় বার বার কফি চুরি করছিল। ওরে মামণিটা আমার!

নাসিমকে কল করতে করতে ছেলেমেয়ে দুটোর চোখেমুখে পানির ঝাপটা দিচ্ছি। সৌরভ আগে নড়ে উঠল।
অনেক রাত।
নাসিম কল ধরছে না। সৌরভ হুঁশে ফিরেই বাবার উপস্থিতি ভুলে
ফুঁপিয়ে কাঁদছে আর জ্ঞানহীন মিথির চোখেমুখে পাগলের মত চুমু খেতে লাগলো।
আমি বাবা। আমার লজ্জা পাওয়া উচিৎ। কিন্তু লজ্জা লাগছে না।
দুটো অতৃপ্ত প্রাণ,
যাদের একজন ভালোবাসা না পাওয়ায় তৃষ্ণার্ত, ছটফটে যুবক। আমার সন্তান সৌরভ। জীবনে ঠিক করে না পেয়েছে বাবার স্নেহ। না পেল মায়ের আদর। দীর্ঘ দিনের প্রেমিকা বিট্রে করেছে।
ভঙ্গুর হৃদয়ের আজন্ম শান্ত ছেলেটা আমার এক মিথিকে পেয়ে কী পরিমাণ অস্থির চঞ্চল হয়ে উঠেছে সেটা এই মুহূর্তে উপলব্ধি করছি।

মিথিটা পারলো সব ছেড়ে আসতে?
কতটা আপন করে নিলে পরে একটা মেয়ে পারে
রাতের অন্ধকারে আশ্রয় নিতে তার সৌরের কাছে।
মিথির জ্ঞান ফিরছে।
দরজা ভিড়িয়ে
রুম থেকে বের হয়ে এলাম।
ওদের জন্য একই প্লেটে ভাত মাখাবো। কিচেনের বেসিনে এসেছি হাত ধুতে। আজ ডিনার বাবার হাতে খাবে আমার বাচ্চারা।
লিয়ানাকে মিস করছি খুব। বাবা, মা দুজন হলে কেমন হত এমুহূর্তটি, ভাত মাখাতে মাখাতে ভাবছি।

নাসিম কলব্যাক করছে।

চলবে…….

পিয়ানোর_সুর
#১৯পর্ব

মিথি আর সৌরভকে ডাইনিং টেবিলে আনতে চেয়েছি। সৌরভ কিছুতে দেবে না মিথিকে ওর রুম থেকে বের হতে। মিথিটাও সৌরভ যা বলছে তাই শুনছে। মুখ দিয়ে এপর্যন্ত একটা কথা বলেনি। জাস্ট ওবে(Obey) করে যাচ্ছে সৌরভকে। অগত্যা ওদের ভাতের প্লেট নিয়ে রুমে আসতে হয়েছে। বহুদিন হয় বিছানায় শুয়ে বসে খাই না। এলোমেলো আলস্যে ভরা অনিয়মের জিন্দেগী কবে জীবন থেকে বাদ পড়ে গেছে বলতে পারব না।
গোপনে একটা দীর্ঘশ্বাস ঝরলো কেবল।

ভাত মাখিয়ে মিথির মুখের সামনে লোকমা তুলে বললাম,
— দেখি মা হা কর তো, একটু খেয়ে নে।

— কাকা বমি আসছে, মাথা ঘোরাচ্ছে, খেতে ইচ্ছে করছে না।

— গরম ভাতে ঘি, শুকনো মরীচ বেশি করে পেঁয়াজ লবণে চটকে ঝাল ঝাল ডিম ভাজার সাথে কাগজি লেবুর রস ছিটিয়ে তোর জন্য মেখেছি। এক লোকমা মুখে দিয়েই দেখ কত্ত মজা। বমিভাব পালাবে।

— সৌর কী খাবে কাকা? সৌর ঝাল খেতে পারে না।

— সৌরের জন্য মরীচ ছাড়া গোল মরীচের ক্রাশ দিয়ে ডিম ভেজেছি এই দেখ এই অর্ধেক ভাত সৌরের জন্য আর এটা তোর।

ভাতের প্লেট দেখে সন্তুষ্ট হলো মিথি। আমার ডান হাত থেকে মুখে ভাতের লোকমা নেয়ার জন্য হা করলো।
সৌরটা সেই হাত টেনে
অর্ধেকটা ভাতের লোকমা নিজের মুখে পুরে বাকিটা মিথিকে খাইয়ে দিল।
অসহায় চোখে নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে আছি। এই হাত কী আমার নাকি রোবটের ভাবছি।
হাতের কবজি ধরে আছে সৌর।
ওর দিকে চেয়ে আছি।

সে মিথির দিকে তাকিয়ে বলল,
— আমি মিথির ভাত খাব। আমারটা তুমি খাও ড্যাড। তুমি এখনো ডিনার করোনি।

সীমাহীন ঝঞ্জাটের মাঝে ছেলেটা মনে রেখেছে তার বাবা ডিনার করেনি।
চোখদুটো ভিজে উঠলো। বাসার কলিংবেল বাজছে। নাসিমটা বুঝি এল।

সৌরকে বললাম,
— তুই মিথিকে খাইয়ে দে। নাসিম এসেছে আমি দরজা খুলি যেয়ে।

মিথি কেঁপে উঠলো। সৌরভের চেহারা লাল। রেগে গেছে বোঝাই যায়।
— নাসিম মামা কেন এসেছে ড্যাড?

— বারে, ও টেনশন করছে ওকে বলব না বলছিস!

— যাকে খুশী বলো। মিথি যাবে না।

— সৌরভ পাগলামো করিস না বাবা। এরসাথে মিথির মান সম্মান জড়িত। টেন্সড হোস না। বাবা সব ঠিক করে দেবো। এখন নে মিথিকে খাওয়া। আমি যাই, দেখি নাসিমকে দরজা খুলে দিই।

ভাতের প্লেট সৌরভের হাতে ধরিয়ে দিয়ে যেই রুম থেকে বের হয়েছি,
পেছন থেকে সৌরভ দড়াম করে ওর রুমের দরজা বন্ধ করে দিল এতই জোরে, আমি চমকে গেছি। হাল ছেড়ে দিলাম।
মেইন ডোর খুলে আমি স্তব্ধ।
পুরো হায়দার ফ্যামিলি আমার ফ্ল্যাটের দরজার বাইরে দাঁড়ানো। অপেক্ষা করলো না আমার সরে দাঁড়ানোর।
সুপ্তি হুড়মুড় করে ভেতরে ঢুকলো। পেছন পেছন সুপ্তির মা সাফিয়া
“মিথি মিথি” চিৎকার দিয়ে ডাকছে, এদিক-সেদিক উঁকিঝুঁকি মারছে।
বাকিরা একে একে ঢুকে পড়লো। মিথির নানা নানু বাদে হায়দার বাড়ীর সবাই হাজির। মিথির কাজিনরাও।
ওদের চাওয়াচাওয়ি দেখে
এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছে এটা মৃধা বাড়ী না, ঢাকা চিড়িয়াখানা। নীরবে ওদের কাণ্ডকারখানা দেখছি।

পাশেই দাঁড়িয়ে নাসিম আস্তে করে বলল,
— সাদমান’দা আপনি যখন কল দিয়েছেন তখন মেঝ’দা, বড়’দা, সেঝ’দা আমরা সবাই বসার ঘরে মিটিংয়ে বসেছিলাম।
মিথির দাদা, দাদী, বাবা, মা সবাই ভিডিও কলে বড়’দার সাথে
কথা বলছিল মিথিকে নিয়ে। ঐসময়ে আপনার কল ঢুকলো মোবাইলে। সিচুয়েশন এভয়েড করার উপায় ছিল না। সরি সাদমান’দা।

— ইট’স অল রাইট নাসিম।
মধ্যরাতে মিটিং কিসের? মিথিকে খোঁজার?

— হুম ওটা তো ছিলই। সেইসঙ্গে…

— সেইসঙ্গে? কিছু লুকিয়ো না নাসিম।

— কীভাবে বলি,
নিজের কাছেই অকওয়ার্ড(Awkward) লাগছে।

— নিশ্চিন্তে বলো।

— মিথিকে না পাওয়া ব্যাপারটা আমার মা বাবা আর মিথির দাদা দাদী ভাল চোখে দেখছে না। বংশের কলঙ্ক হিসেবে দেখছে।

— কী!!

— হ্যাঁ দাদা।
সেইজন্যই মিটিংয়ে ফাইনাল হয়েছে মিথিকে খুঁজে পাওয়া মাত্রই মেঝ’দার আপত্তি না থাকলে শোয়েবের সাথে
মিথির কাবিন করিয়ে দিতে। সকাল হলেই মিথির বাবা, মা, দাদা, দাদী ঢাকার বাসে উঠবেন। মেঝ’দার কোনো আপত্তি নেই জানিয়েছে। শুধু ভাবীরা মানছে না।
মেঝ ভাবী রীতিমতো তুলকালাম কান্ডকারখানা করছে সব।

— সেইজন্যই কী সবাই মিলে এসেছ মিথিকে নিতে?

— হ্যাঁ দাদা।
কিন্তু আমি চাই না মিথি যাক।
সবকিছু এখন মিথির হাতে। আফসোস,
ওদের দু’জনকে ব্রিফ করার সুযোগই পেলাম না।
আমি টেন্সড ফিল করছি সাদমান’দা।

— হাহ কী যে বলো নাসিম। তুমি টেন্সড! বলো আমি টেন্সড।

— মানে!

— মানে, উইদাউট ব্রিফিং সৌরভ নিজেই বেঁকে বসছে।

— কী নিয়ে?

— মিথিকে নিয়ে।
সে দেবে না মিথিকে তোমাদের হাতে। দরজা লাগিয়ে বসে আছে ঐ যে দেখো চেয়ে।
আমাকেই
এক্সেস দিচ্ছে না। শুনছেই না কিছু। আর তোমরা তো তোমরা। সৌরভ তোমাদেরকে মিথির মুখ দেখতে দেয় কিনা তাই দেখো।

— বলেন কী! হি’জ আ গ্রেট ম্যান দাদা!

— আর বোলো না ভাই গ্রেট ম্যান।
পাগল হয়ে গেছে ছেলেটা মিথিকে পেয়ে।
একটা সেকেন্ডের জন্য নড়ছেই না মিথির পাশ থেকে। পুতুল কোলে নেয়ার মত করে মিথিকে নিয়ে বসে আছে।
এবার আদরের ভাগ্নীকে
ফিরে পাওয়ার আশা বাদ দাও নাসিম। আমি কিন্তু আমার ছেলের বিরুদ্ধে যাব না।

— আরে কী যে বলেন না দাদা! ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়লো আমার। এটাই আশা করেছিলাম সৌরভের কাছে। আর কোনো চিন্তা নেই।
রাত না হয়ে দিন হলে
কাজী ডেকে নিয়ে আসতাম। সত্যি বলছি। ভালয় ভালয় সকালটা হোক।

— এনি প্ল্যান? শেয়ার মী ছোট ভাই।

— দেখেন না কী করি দাদা।

— ওকে লেট’স সী!
কিন্তু তোমার ভাবীরা
বাসায় ঢুকেই যা শুরু করেছে। দেখো দেখো সুপ্তির কাণ্ড, সিলি গার্ল। স্টপ হার নাসিম!

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে