#পতিতা_মেয়ে
#writter_Tannoy_Hasan
#part_12
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার পর কেন জানি মনটা অনেক বেশি উতাল পাতাল করছিলো৷
ছাদের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে বারবারই পায়চারি করছিলাম৷বার বার ই ডাক্তার চাচার ঘাবরে যাওয়ার বিষয়টা মনে পড়ছিল৷ওনি কেন এত ঘাবরে যাচ্ছিলো?ভাবতেই কেমন গায়ের লোম দাড়িয়ে যাচ্ছিলো৷হঠাৎই কারও হাতের স্পর্শ আমার কাধের ওপর অনুভুত হলো৷পিছনে তাকাতেই দেখলাম আনিকা৷
–আবিদ,তোমাকে খুব চিন্তিত লাগছে কেন?
–কই না তো
–সত্যি কথা বলো বলছী
–আরে একটূ কেমন জানি লাগছে তাই একটূ হাটাহাটি করছি
–কেমন লাগছে?
–আসলে আমাকে তো হাটতে হবে তাই না?আর তুমি তো জানো আমি এখনও ভালো করে হাটতে পারিনা,তাই হাটা শিখছি(মিথ্যা বলছি)
–ওয়াও,তুমি তো দেখছি ,খূব সুন্দর মিথ্যা কথা বলতে পারো
–আরে না গো
–সত্যি কথা বলো তো,তোমার কি হইছে?কাল থেকে তোমাকে কেমন চিন্তিত লাগছে
–আরে কিছু না গো,চলো ভিতরে যাবো,খুব খিদে লাগছে
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
–হুম
তারপর আনিকাকে নিয়ে ভিতরে চলে গেলাম৷আর ও আমাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিচ্ছিলো৷
খাওয়া শেষ করে৷একটূ শুয়ে থাকতেই ঘূম চলে আসল৷কারন গতকাল রাতে একদমই ঘূম হয়নি৷
ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই ফোনটা ক্রিং ক্রিং ভেজে উঠল৷
ফোনটা ধরতেই ওপাশ থেকে ভেসে আসল
–হ্যালো ,বাবা আবিদ?(ওপাশ)
–জ্বি আবিদ বলছি,কে?
–আমি তোমার ডাক্তার আংকেল
–জ্বি আংকেল,কেমন আছেন?আর রিপোর্ট কি বের হইছে?
–হুম ভালো আছি,আর বিকেল বেলা একটূ আমার চেম্বারে আসো
–আংকেল রিপোর্ট কেমন আসছে
–হুম ভালো,আগে আসো,তারপর সব বলব
–হুম
তারপরই ফোনটা কেটো দিলাম৷
বিকেলবেলা আনিকাকে নিয়ে হসপিটালে যাবার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম৷একাই যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু একা আমার মত অচলের পক্ষে যাওয়া সম্ভব না৷
হসপিটালে যাবার পরই ডাক্তার কাকার চেম্বারে গেলাম৷যাওয়ার পর
–চাচা,কেমন আছেন(আমি)
–ভালো,তুমি?
–হুম ভালো৷আবিদ আমি তোমার সাথে একটু একা কথা বলতে চাই,
–হুম
তারপরই আনিকাকে বললাম
–আনিকা,তুমি একটু বাইরে গিয়ে বসো,প্লীজ রাগ করো না
–হূম,যাচ্ছি,আর আমি একদমই রাগ করব না
বলেই মুখে একটা শুকনো হাসি দিয়ে বাইরে বের হয়ে গেল৷ও যাবার পরই চাচাকে বললাম
–চাচা কি রিপোর্ট আসছে?
ওনি কিছুক্ষন চুপ করে রইলেন৷একটু পর নিরবতা ভেঙে বললেন
–বাবা আবিদ,মেয়েটা তোমার কে হয়?
–চাচা ও আমার সব
–হুম৷কীন্তু ওর বাবা মা কোথায়
–ওর বাবা নেই,মা আছে,কিন্তু ওদের কথা কেন জিজ্ঞাসা করছেন?
–ওর মাকেই ডাকো,
–চাচা ,যা রিপোর্ট আসছে,আমাকে বলেন,ওর মাকে ডাকার দরকার নেই
–আসলে বাবা কিভাবে যে বলি(মুখটা একেবারে শুকনো করে)
–চাচা,আপনার মূখ এত শুকনো হলো কেন?কি হলো বলেন কি রিপোর্ট আসছে
চাচা চোখের পানি গূলো ছেড়ে দিলেন৷ওনার ঠোঠ দুটি থরথর করে কাপতে লাগল৷আর কেমন বোবার মত আমার দিকে হা করে তাকিয়ে রইল৷ওনার এমন কীর্তি দেখে মনে অনেক ভয় হতে লাগল৷বুকের ভিতর কেমন ঘূর্নিঝড় শুরু হতে লাগল৷অজানা কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে৷ওনি রিপোর্ট বলতে গিয়ে এমন কান্না করে দিল কেন?এমন কাপছে কেন?
আমার আনিকার কিছু হয়নি তো?ওর রিপোর্ট খারাপ আসে নি তো?
—-চাচা কি হইছে বলেন৷চূপ কেন আপনি(কান্না করেই দিলাম)
–বাবা রে,কিভাবে বলি,যে মেয়েটার রিপোর্ট আজ তোকে দিতে যাচ্ছি,তার রিপোর্টের কথা আমি কিভাবে বলব?
–চাচা,সত্যি করে বলেন তো,আমার আনিকার কি হইছে?(ফুপিয়ে কান্না করতে লাগলাম৷মুখ দিয়ে কথাই বের হচ্ছেনা)
–বাবা,তুমি একটু শান্ত হও,
–হুম,আআআআ, আপনি রি রি পো র্ট ব বলেন(তোতলাচ্ছি)
–বাবা,তুমি যে মেয়েটারে নিয়ে আসছো,ওর রিপোর্টগূলো দ্বারা এটাই বলা যাচ্ছে,ওর ব্লাড ক্যান্সার…
কথাটা শুনেই মাথাটা কেমন ঘূরে গেল৷মনের ভিতর যেন ভুমিকম্প শুরু হয়ে গেল৷আর যেন মৃত্যু যন্ত্রনা তখন অনূভূত হতে লাগল৷দৌড়ে গিয়ে চাচার পায়ে পড়ে গেলাম,
–চাচা,আপনি হয়ত ভূ ভুল বলতাছেন,আপনি মিথ্যা কথা বলতাছেন৷আমার আনিকার কিচ্ছু হয় নাই৷আপনি আবার টেষ্ট করেন,আবার ভালো করে দেখেন(চাচার পায়ে ধরে কান্না করতে করতে)
–বাবা রে,রিপোর্টগূলো মিথ্যা হলেও আমিও খুব খুশি হতাম৷এই রিপোর্টগুলো গতকালই আমি বের করে ফেলি,তারপর আমি নিজেই ঘাবরে যাই,তারপর থেকে কয়েকবার নতূন করে টেষ্ট করি,সেই একই ফলাফল৷এরপর আরও কয়েকজন স্বনামধন্য হাসপাতালের ডাক্তারের কাছে রিপোর্টগুলো পাঠালাম,তারাও সেম রিপোর্টই আমাকে দিছে,শুধু মাত্র তুমি আমার পরিচিত বলেই বারবার টেষ্ট করছিলাম শুধু মাত্র রিপোর্টটা ঘুরানো যায় কি না,সেটার জন্য কিন্তূ আল্লাহর দেওয়া বিধান কি আমার মত একজন ডাক্তার খন্ডাতে পারবে নাকি?পারবে না রে বাবা৷আমিও পারি নাই,,
—চাচা,এখন ওর চি চ(কথা আসছে না)
–শান্ত হও,নিজেকে শান্ত করো
–চাচা কেন ওর এমন হলো?কেন ওর জীবনটা এভাবে শেষ হয়ে গেল?
–বাবা রে,আসলে কথাটা মুখ দিয়ে আসছে,মেয়েটা তো আমার মেয়েরও মত,কিন্তু কথাটা যদিও খারাপ,তারপর তুমী জানতে চাচ্ছ বিধায়,আমি তোমাকে বলছি,আসলে মেয়েটা হয়ত,অনেক পুরুষের সাথে মেলামেশা করেছে,আর ওইগুলোর একটাও নিরাপদ ছিলোনা৷যার কারনে ওর শরীরের ভিতর অনেক রোগের জীবানুর সংক্রমন ঘটে৷আর আস্তে আস্তে ওর শরীরে ক্যান্সারের মত ভয়াবহ রোগের সৃষ্টি হয়৷
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
আর ওর ক্যান্সারটা এতইটাই ভয়াবহ যে,রোগ হবার পর সেটা অনেক দ্রুত ওর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শেষ করে দিছে৷
–আল্লাহ,তুমি এটা কি করলে?তুমি তো জানতে ,গ্রামের সহজ সরল মেয়েটা শহরে আসার পরই নিজের মামার হিংস্রতার শিকার হয়!আর তারপর শিকার হয় শত শত মানুষের খাবার হিসাবে,এখানে তো মেয়েটার কোনো দোষ ছিলো না ৷কেন মেয়েটাকে এত বড় শাস্তি দিলে?কেনই বা আমার জীবনটা এভাবে তচনছ করে দিলে?(মনে মনে কথাগুলো বলছিলাম৷আর ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করছিলাম)
–শান্ত হও বাবা
–শান্ত হয়ে আর কি করব,চাচা ওকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা করালে কেমন হবে?ও ঠিক হবে তো
–বাবারে,ওর ক্যান্সারটা মোটামুটি লাষ্ট স্টেপে এসে গেছে,হয়ত বেঁচে থাকলে আর ৫-৬মাস বেঁচে আছে,তারপরই মানুষটা হয়ত আমাদের ছেড়ে চলে যাবে,কিন্তু বাবা,যতদিন মেয়েটা আছে,ওকে একদমই বুঝতে দিও না,আর কথাগুলো যেন কোনোভাবেই জানতে না পারে,তাহলে হয়ত এর আগেই চলে যাবে,,
কথা গুলো বলেই ডাক্তার চাচা কান্না করে দিল৷আমার তখন মনে হতে লাগল,চোখে পাশাপাশি আমার কানটাও নষ্ট হয়ে গেছে৷কি বলছে এগুলো?আমার আনিকার কীছু হবে না৷আমি হতে দিবো না৷ এই দিকে আমার অবস্থাও তখন একদমই করুন হয়ে গেল৷কোনোভাবেই নিজেকে ঠিক করতে পারছিলাম না৷কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলি,আর তখন চাচাই আমার জ্ঞান ফিরালো৷ওনি বার বারই আমাকে শান্ত হতে বলছে,আমি কিভাবে শান্ত হবো?আমি নিজেকে কিভাবে ঠিক করবো?যে মেয়েটা আমার জীবনের সব,যাকে ছাড়া আমি একদমই অচল৷মোবাইলের চার্জ ছাড়া যেমন মোবাইল অচল,ঠিক আনিকা ছাড়াও আমি একদমই অচল,সে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে!এই কথা শুনে আমি কিভাবে ঠিক থাকবো আল্লাহ?আমি কিভাবে বাচঁব?নিজেকে কোনোভাবে একটু ঠিক করে বললাম
–চাচা,কি কি লক্ষন দিতে পারে?
ওনি বলা শুরু করল
–বাবারে,মেয়েটার মধ্যে অনেকগুলো লক্ষন দেখা দিবে,প্রচন্ড কাশি আসবে,কাশির সাথে মুখ দিয়ে মাঝে মাঝে ব্লাড আসব,নাক দিয়ে রক্ত পড়ব,মানুষটা শুকিয়ে যাবে,মাথার চুল গুলো আস্তে আস্তে পড়ে যাবে৷আস্তে আস্তে শরীরটা একদমই দুর্বল হয়ে যাইব
মনে মনে তখন চিন্তা করতে লাগলাম,আল্লাহ?কি হইলো আমার লাইফে?আমার জীবনটাই তুমি নিয়ে নিতে!তুমি কেন আমার আনিকাকে এত বড় শাস্তি দিলে?
ওপরের দিকে তাকিয়ে আল্লাহ কে ডাক দিয়ে বললাম,
“আল্লাহ,ও আল্লাহ,আমার জীবনে যদি এতই কষ্ট রেখেছিলে,তাহলে কেন আমাকে এইপৃথিবীতে পাঠালে?ওই আল্লাহ?আমার কথা উত্তর দাও৷জন্মের পর বুঝ না হতেই আমার বাবা মাকে তুমি কেড়ে নিছো,
এরপর কেড়ে নিছো,আমার জীবনের সমস্থ সুখ শান্তি,
রাস্থার টোকাই হিসাবে আমাকে মানুষের লাথি খেয়ে বড় হতে হইছে,যেই নিজের সবকীছু ফিরিয়ে দিলে,আনিকাকে আমার জীবনে পাঠালে,ভালো হয়ে গেলাম,আর তখন ভাল হবার বদলে কি দিলে আমায়?আমার পা আর চোখের ক্ষমতা প্রায় বিকল করে দিলে,আর তারপর যার মাধ্যমে আমার নতুন পৃথিবীটাকে সাজাবো,যে আমার চলার সবকিছু,এখন তাকেই নিয়ে যেতে চাচ্ছো,কেন এমন করলে আল্লাহ?কেন আমার জীবনটাকে এভাবে শেষ করে দিলে৷
নিজেকে কোনোভাবেই ঠিক করতে পারছিলাম না৷চাচা বারবার ই বলছে অনেক টাইম হয়ে গেছে,আনিকা বাইরে,আরও বেশি টাইম হলে,আনিকা সন্দেহ করতে পারে৷আর আনিকা বুঝে গেলেই ওর জন্য আরও অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে
তখন নিজেকে কোনোভাবে ঠিক রাখলাম,না আমি আমার আনিকা কিছুই বুঝতে দিবো না৷৷তবে মনটাকে কোনোভাবেই ঠিক রাখতে পারছিলাম না৷ইচ্ছা না থাকা সত্বেও চোখ দিয়ে পানি বের হতে থাকল৷আটকাতেই পারছিনা৷
আবারও আল্লাহকে ডাক দিয়ে বললাম,আল্লাহ,এই মুহুর্তে আমাকে আপাতত একটূ ছাড় দাও,আমার চোখের পানি যেন কোনোভাবেই না আসে৷আল্লাহ?ও আল্লাহ জীবনে যদি আমি একটা ভালো কাজ করে থাকি,তাহলে তার বিনিময়ে আজকে আমার আনিকার সামনে আমার চোখে পানি দিও না৷আমার আনিকা মইরা যাইবো আল্লাহ,তুমি আমার এই আবদারটা রাখো আল্লাহ,রাখো
জানিনা আমার আল্লাহ তখন কিভাবে আমার এই দোয়াটা কবুল করল৷
আমি তখন হাসতে হাসতে বাইরে বের হলাম৷আর তখন আনিকা অনেকটা দূর থেকে আমাকে দেখে আমার কাছে আসল৷আর বলল
–আবিদ,রিপোর্ট কি আসছে
–রিপোর্ট?হ্যা রিপোর্ট তো অনেক ভালো আসছে(কথাই বের হচ্ছিলো না)
–তাহলে এমন করে কথা বলছো কেন?আর তোমার চোখ এমন ফোলা কেন?তুমি কান্না করছো কেন
–কই না তো?
–একদমই মিথ্যা বলবা না ৷বলো কি হইছে
আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে আল্লাহকে বলছিলাম
ওই আল্লাহ,তুমি বলে দাও,আমি কি উত্তর দিমু?আমারে শিখাইয়া দাও,আমার কাছে তো কোনো উত্তর নেই৷প্লীজ আল্লাহ,আমারে উত্তরটা একটু শিখাইয়া দাও৷৷৷একটু পরই বললাম
–আসলে আনিকা,আমার তো চোখে প্রবলেম!তাই চাচার কাছে আমার চোখেরও কিছু টেষ্ট করাইছি,আর ওনি চোখে কিছু ঔষধ দিছে,যার কারনে চোখটা একটু জ্বালাপোড়া করছিল৷
–হুম চলো,বাসায় যাই,এখানে আর ভালো লাগছে না
–হুম
আনিকাকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে হসপিটালের বাইরে বের হলাম৷রাস্তায় বের হতেই হঠাৎই ইটের ওপর লাথি খেয়ে পরে যেতে লাগলাম ঠিক তখনই আনিকা আমার হাতটা ধরে ফেলল৷আর ধরেই বলে উঠল
–এই বোকা,ভয় পেয়ো না,তোমার এই পাগলিটা থাকতে!তোমার কিছুই হতে দিবেনা
বোবার মত ওর কথাটা শুনলাম৷ও থাকতে আমার কিছু হতে দিবেনা৷অথচ আমি থাকতে ওর কত কিছুই হয়ে যাবে৷ভাবতেই বুক ফেঠে কান্না আসছিলো৷তবে কান্নাটা আটকিয়ে রাখলাম৷নয়ত আনিকা বুঝে যাবে৷
একটু পর আনিকা আমাকে রাস্তা দিয়ে হাতে হাত ধরে আমাকে নিয়ে যাচ্ছে,একবার বলছে ডানে হাটো,বামে উচু,আরেকবার ডানে গর্ত,বা উচু, এগুলো বলে বলে আমাকে হাত ধরে রাস্তা দিয়ে হাটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে৷
তখন বুকের ভিতরটা আরও বেশি খা খা করে উঠল৷কান্না করে চিৎকার করে আল্লাহর কাছে বলতে ইচ্ছে করছিল,””আল্লাহ?মাত্র ছয়টা মাস পর আর তো আর এই মানুষটা থাকবে না৷তখন কেউ আর বলবে না!আবিদ ডানে হাটো,বামে গর্ত ,আবার বামে হাটো,ডানে গর্ত উচূ৷কে আমাকে এভাবে পথচলা শিখাবে ? আল্লাহ,ও আল্লাহ ?চুপ করে থেকো না৷উত্তর দাও৷তুমি উত্তর দাও
.
.
চলবে……