#নীল_ডায়েরির_সেই_মেয়েটি
#আরদ্ধিতা_রুহি
#পর্বঃ১১ (রোমান্টিক পর্ব)
🍁
আঁধার বাসায় আসে একদম রাত ৮টার দিকে!ক্লান্ত শরীরটা ড্রয়িং রুমের সোফায় এলিয়ে দিতেই নজর যায় রান্নাঘরের দিকে।মূহুর্তের মধ্যেই তার সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়,মুখে চমৎকার একটা হাসি নিয়ে ক্লান্ত পায়ে রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে যায় আঁধার।
আরোহী একটা কালো রংয়ের শাড়ি পড়ে পাক্কা গৃহিনীদের মতো শাড়ির আঁচল কোমড়ে গুজে রান্না করছে। আঁধার মুগ্ধ চোখে তাকিয়েই আছে।
কালো শাড়ি,ঢিলে ঢালা চুলের খোঁপা। আবার কিছু কিছু চুল কপালে ও ঘাঁড়ে ঘামের কারণে লেপ্টে গেছে। মুখে বিন্দু বিন্দু ঘামের আভাস,দুই হাতে দু’টো মোটা মোটা স্বর্ণের বালা,গলায় ছোট একটা স্বর্ণের নেকলেস, চোখে গাঢ় কাজল দেওয়া। একদম অপরুপ সুন্দর লাগছে আরোহীকে,, আঁধারকে দেখেই যে কেউ বলে দিতে পারবে যে আরোহীকে দেখার পর,, এক বারের জন্যও সে চোখের পলক ফেলে নি কিংবা ঝাঁপটায় নি!
আঁধার যেনো একটা ঘোরের মধ্যেই চলে গেছে,আরোহীকে যে কেউ একজন খুঁটিয়ে খাঁটিয়ে দেখছে সেটা সে এখন অব্দি বুঝতেই পারেনি।
আঁধার ঘোরের মাঝেই আরোহীর পেছনে সামান্য দূরত্ব রেখে দাঁড়িয়ে যায়।
হঠাৎ করেই দুটো হাত আরোহীর কোমড় জড়িয়ে ধরে আরোহী প্রথমে ভয় পেলেও পরে আঁধারের স্পর্শ চিনতে পেরেই থমকে যায়।ততোক্ষণে আঁধার আরোহীর চুলের খোঁপা খুলে দিয়েছে। আরোহীর হঠাৎ করেই হাসফাস লাগে, কিন্তু আঁধার তাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই তার খোলা চুলের ভাঁজে নিজের মুখ ডুবিয়ে দেয়।
আরোহী যেনো অনেকটাই কেঁপে উঠে, আঁধারকে কিছু বলবে বলবে করেও কিছু বলতে পারে না। তার মুখ দিয়ে শব্দগুলো আর উচ্চরণই হয় না,মনে হয় কন্ঠনালীতে কথাগুলো সব আঁটকে গেছে।
কিন্তু আঁধারের সে দিকে কোনো খেয়াল নেই। সে তার নাক মুখ অনবরত আরোহীর চুলের ভাঁজে স্পর্শ করতেই থাকে।আরোহী হাসফাস করতে করতে কোন রকম বলে উঠে,,
–‘ আ-আঁধার,’
–‘হু’
ঘোরের মধ্যেই আঁধার জবাব দেয়,,
আরোহী কি বলবে, কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। কোনো রকম থেমে থেমে বলে,,
–‘ছে-ড়ে দি-দি-ন না প্লি-জ।’
কিন্তু আঁধার আরোহীর কথা শুনতেই পারেনি। এরইমধ্যে আঁধারের হাতের বাঁধন আরও দৃঢ় ও শক্ত হয়।এতেই যেনো আরোহীর অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা! আঁধার আরোহীর অসস্তি আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আরোহীর চুলগুলো সরিয়ে ঘাঁড়ে ছোট ছোট চুমু দিতে শুরু করে।আরোহী এবার মনে হয় বরফের মতো জমে যায়, শাড়ির আঁচল শক্ত করে দু’হাত দিয়ে চেপে ধরে চোখ খিঁচে বন্ধ করে নেয়।
আঁধার যেনো ধিরে ধিরে আরোহীতেই মিসে যেতে চাচ্ছে, আরোহীর মনে হয় তার নিজের ও নিজের অনুভূতিগুলোকে সামলাতে কষ্ট হচ্ছে । ঠিক সেই মুহূর্তেই, আঁকলিমা চৌধুরীর গলা কানে ভেসে ওঠে আরোহী,,,
–‘আরো মা সব হয়ে গেছে তো?’
আরোহী এবার ভয়ে সিটিয়ে যায়, আঁধারের হাত সরাতে চেষ্টা করে,আঁধারকে ধাক্কা দিতে চেষ্টা করে কিন্তু বরাবরের মতোই ব্যর্থ হয়।
–‘আঁধার প্লিজ ছাড়ুন আম্মু আসছে,আঁধার? ‘
ভয়ে আঁধারের কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চেষ্টা করে কিন্তু আঁধারের কোন ভবাবেগ লক্ষ করে না আরোহী এতে।আঁধার যেনো আরও খানিকটা শক্ত করে চেপে ধরে আরোহীকে।
–‘উফফ আঁধার, এই আঁধারের বাচ্চা! ‘
আরোহীরে চেঁচিয়ে বলাতে আঁধারের খানিকটা হুস আসে কিন্তু আরোহীকে ছাড়ে না,,
–‘কি হয়েছে, সমস্যা কি তোমার?’
আঁধারের বিরক্তি নিয়ে বলা দেখে আরোহী নিজেও বিরক্ত হয়।
–‘আরো মা..’
আঁকলিমা চৌধুরী আরোহীর কথার উত্তর না পেয়ে আরোহীর কিছু হলো নাকি দেখার জন্য আসতেই আঁধার আর আরোহীকে এতো কাছাকাছি দেখে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। তাই বাকি কথা সম্পূর্ণ না করেই উল্টো দিকে ঘুরে চলে যান।
আঁধার নিজেও মায়ের কন্ঠ পেয়ে তড়িঘড়ি করে আরোহীকে ছেড়ে উল্টো দিকে ঘুড়ে যায়, আর আরোহী বেঁচারি লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে। আঁকলিমা চৌধুরী চলে যেতেই আরোহী আঁধারের দিকে কঠিন চোখে তাকায়।
আঁধার বোকার মতো একটা হাসি দিয়ে কিছু বলবে তার আগেই আরোহীর রাশভারী কন্ঠে থেমে যায়।
–‘আপনি একটা অসভ্য, শুধু অসভ্য না লুচ্চা।’ আজকে আপনার জন্য শুধু মাত্র আপনার জন্য আম্মুর সামনে আমি আর লজ্জায় যেতে পারবো না! হায় আল্লাহ এই মুখ আমি কিভাবে দেখাব এখন।
কিছুক্ষণ হায় হুতাস করে আরোহী চুলাটা অফ করে,কঠিন চোখে আঁধারকে দেখে হনহনিয়ে চলে যায়,শুধু হনহনিয়ে না এক প্রকার দৌড়ে চলে যায়। ড্রয়িং রুমে আর আঁকলিমা চৌধুরী বা কাউকেই দেখতে পায় না। এতে সস্থির নিশ্বাস ছাড়ে আরোহী এতোক্ষণ যেনো দম বের হয়ে যাচ্ছিল তার।
কিন্তু আঁধার বেচারা কি করবে ভেবে পায় না।নিজেই নিজেকে ১০০ টা গালি দেয়,,, কি দরকার ছিলো এদিকে আসার, এখন আরোহী না জানি তাকে ডিটারজেন্ট ছাড়া ধুইয়ে দেয়! দুপুরে ঝগড়া করে বের হয়ে গিয়ে কি করলি আঁধার তুই এটা,নিজেই হেরে গেলি তো!
নিজের সাথে কিছুক্ষণ বকাবকি করে রুমের দিকে চলে যায়।কিন্তু রুমের সামনে গিয়েই দেখে দরজা বন্ধ, অবাক হয় না আঁধার কারণ সে জানতো আরোহী লজ্জা পেয়েছে প্রচুর। আজকে যে তার সামনে আসবে কি না এটাই সন্দেহের বিষয়! তবুও আরোহীকে কয়েকটা ডাক দেয়।
–‘আরু দরজা খুলো আমি ভিতরে যাব?’
–‘ভুলেও এ কথা স্বপ্নেও ভাববেন না আজকে আপনি,এ ঘরে তো আসার চেষ্টা ও করবেন না। ‘ আমি দরজা খুলবো না আপনি অন্য রুমে যান।
কঠিন কন্ঠে উত্তর দেয় আরোহী, আঁধার আর কি করবে চুপচাপ নিচে চলে যায়।কিন্তু নিচে গিয়ে আবার অসস্তিতে পড়ে যায়,সামনেই তার মা দাড়িয়ে আছে।
খানিকটা ঢোক গিলে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে আঁধার, কিন্তু মিসেস আঁকলিমা চৌধুরী চুপচাপ কিচেনে চলে যান। আঁধার সস্থির নিশ্বাস ফেলে সোজা বাহিরে চলে যায়, আর যাওয়ার আগে চেঁচিয়ে বলে যায়,,
–‘আম্মু বাহিরে যাচ্ছি আমি ফিরতে অনেক রাত হবে।’
আঁকলিমা চৌধুরী উত্তর দেন না৷ কারণ তিনি নিজেও অসস্তিতে পড়ে গেছিলেন ছেলে আর ছেলের বউকে ঐ অবস্থায় দেখে।তবে তিনি একটা ব্যাপার ভেবেই হেসে ফেললেন,
তার ছেলে যে বাবার কার্বণ কপি সেটা তিনি আগে থেকেই জানতেন কিন্তু আজকে একেবারে সিয়র হয়ে গেলেন।একই ঘটনা তার সাথেও ঘটেছিলো বিয়ের পর, সেটা মনে করেই তিনি শব্দ করে হেসে ফেললেন৷ আরোহী যে বর্তমানে আঁধারকে ঘরে ঢুকতে দেননি সেটা উনি ভালো করেই বুঝতে পারছেন কারণ তিনিও একসময় লজ্জায় এভাবে তারেক চৌধুরীকে ঘরে ঢুকতে দেননি!
স্ত্রীকে একা একা হাসতে দেখে তারেক রহমানকে ভ্রুকুঁচকে তাকিয়ে থাকেন, মূলত তিনি নিচেই নামছিলেন কিন্তু হঠাৎ সহধর্মিণীকে একা একা হাসতে দেখে তিনি অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে থাকেন।
–‘কি ব্যাপার তুমি প্রেমে ট্রেমে পড়েছ নাকি?’
তারেক চৌধুরীর কন্ঠ শুনে পেছনে ঘুরে আঁকলিমা চৌধুরী দেখেন, তারেক চৌধুরী ভ্রুকুঁচকে তার দিকে তাকিয়ে আছেন উত্তরের আশায়।
–‘কি যা তা বলছেন আপনি?’
বিরক্ত হয়েই বললেন আঁকলিমা চৌধুরী ।
–‘তাহলে একা একা এভাবে হাসছিলে কেনো?’মানুষ প্রেমে পড়লে তো একা একা কথা বলে হাসে কষ্ট পায় আমি নিশ্চিত তুমিও প্রেমে পড়েছ?
তারেক চৌধুরীর অদ্ভুত কথায় বিরক্ত হয়ে আঁকলিমা চৌধুরী বলেন,,
–‘খেতে বসেন, আমি বাকিদের ডাকছি।’
আঁকলিমা চৌধুরীর কথায় তারেক চৌধুরী এবার ছোট ছোট চোখ করে তাকায় ওনার দিকে আর বলে,,
–‘তুমি আমার কথা এড়িয়ে যাচ্ছো আঁকলি, তার মানে ডাল মে যারুল কুছ কালা হে!’ তুমি এই বয়সে এসে প্রেমে পড়েছ,আমার মতো একজন ভালোবাসার মানুষকে ভুলে অন্য করো প্রেমে তুমি পড়তে পারো না আঁকলি।একবার শুধু নামটা উচ্চারণ করে দেখো তার লাশ ফেলে দিবো আমি তোমার সামনে..
আর কিছু বলার আগেই আঁকলিমা চৌধুরী হনহন করে চলে যান উপরে, আর তারেক চৌধুরী বোকার মতো কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকেন কিন্তু তার মনের সন্দেহ দূর হয় না তিনি ভাবেন,,
–‘সত্যি মনে হয় প্রেমে পড়েছে আমার বউটা, তাইতো কিছু না বলেই চলে গেলো!’ কে সেই লোক আমার খুঁজতে হবে আমার বউয়ের সাথে প্রেম করার শখ বের করবো তার আমি।
রাগে ফুঁসেতে ফুঁসতে তিনি ও বাহিরে চলে যান।বাহিরে গেলেও তার মূল উদ্দেশ্য হলো তার বউয়ের প্রেমিককে খুঁজে বের করা৷
আঁকলিমা চৌধুরী গিয়ে আরোহীর দরজায় নক করেন,,
–‘আরো মা, দরজা খুল একটু? ‘
মূহুর্তেই আরোহীকে অসস্তি ও লজ্জারা সব ঘিরে ধরে, কি করবে ভেবে পায় না সে।শাশুড়ী মা হয় তার আঁকলিমা চৌধুরী, দরজাটা না খুললে খারাপ দেখায় কিন্তু আর কিছু ভাববে তার আগেই আবার ডাক পড়ে তার,,
–‘মামনী দেখ লজ্জা পাওয়ার কিছুই হয়নি, আমি কিছুই দেখিনি তো এবার অন্তত্য দরজাটা খুলে দে।’
আরোহী আর কোন কিছু না ভেবেই দরজাটা খুলে দেয়,কারণ আঁকলিমা চৌধুরী তার গুরুজন দরজাটা না খুললে বেয়াদবি হবে। আর উনি যতোই না দেখার কথা বলুক কিন্তু আরোহী তো জানে উনি দেখেছে।
মিসেস আঁকলিমা চৌধুরী আরোহীকে দরজা খুলতে দেখেই হাফ ছেড়ে বাঁচেন, তিনি তো মনে করেছিলেন আজকে আর আরোহী দরজায় খুলবে না। আরোহীকে মাথা নিচু করে থাকতে দেখেই হাসেন উনি।
হেঁসেই বলেন,,
–‘জানিস এইরকম একটা পরিস্থিতিতে আমিও একসময় পড়েছিলাম,আর ঠিক তোর মতোই ঘরে দরজা দিয়ে বসে ছিলাম।’
নিজের শাশুড়ীর মুখে এমন ধরনের কথা শুনে আরোহী অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।
–‘কি রে অবাক হচ্ছিস যে,আমি কি টিপিকাল শাশুড়ীদের মতো তোর সাথে ব্যাবহার করি, যে তোর সাথে আমার এইসব কথা বার্তা বলা যাবে না!’
আরোহীকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখেই উক্ত কথাটি বলেন আঁকলিমা চৌধুরী।
আরোহী ডানে বামে মাথা নাড়ায় যার অর্থ না,মিসেস আঁকলিমা চৌধুরী এবার শব্দ করেই হেসে ফেলেন আর বলেন,,
–‘আমার শাশুড়ী মা ছিলেন খুব কড়া মানুষ তাই ভয়ে আমি দু’দিন ঘর থেকে বের হইনি জানিস, তখন আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার শাশুড়ী মা আমার ঘরে এলেন।’ আমি তো প্রথমে ভয়ে শেষ, কিন্তু তিনি আমার মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এসব কোন ব্যাপার না।আর আমি তো তোমার শাশুড়ী মা, আমার কাছে কিসের লজ্জা বলো তো! আমি তো তোমার মা তাই না, মায়েদের কাছে লজ্জা পেতে নেই মা।
আরোহী অবাকের সাথে শুনছে তার শাশুড়ীর কথা আর ভাবছে,,
–‘আসলেই তো।’কিন্তু এমন শাশুড়ীও কি হয় পৃথিবীতে,কই সবাইতো বলে শাশুড়ীরা অনেক হিংসুটে হয়,রাত দিন কাজ করায়,খোঁটা দেয়?’
–‘জানিস সেদিন থেকেই আমি আমার শাশুড়ীর কাছে একদম নিজের মেয়েই হয়ে উঠলাম।’ ঠিক যেমনটা তুই আমার কাছে।
আরোহীর ভাবনার মাঝেই আঁকলিমা চৌধুরী কথাটি বলেন।
আরোহী একপ্রকার মুগ্ধ হয়েই তার শাশুড়ীকে জড়িয়ে ধরে। আঁকলিমা চৌধুরীর মনটাও অনেকটা হালকা হয়, তিনি নিজেকে এতোক্ষণ অপরাধী ভাবছিলেন।তার জন্য বেচারি মেয়েটা ঘরে দরজা আঁটকে বসে আছে।
–‘চল মা খেয়ে নিবি?’
–‘হুম চলো।’
এরইমধ্যে আঁকলিমা চৌধুরী আদর ও আলিশাকে ও ডেকে নিয়ে আসে। আরোহী আঁধারকে না দেখে ভ্রুকুঁচকায়,কিন্তু লজ্জায় কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারছে না।আঁকলিমা চৌধুরী আরোহীর কান্ডে হেসে দেয় আর বলে,,
–‘তুই যাকে খুঁজছিস সে বাহিরে গেছে ফিরতে রাত হবে বলে গেছে, তুই আয় বস খেয়ে নে।’
আরোহী লজ্জা পায় তার শাশুড়ীর কথায় তাই মাথা নিচু করে বসে পড়ে।তারেক চৌধুরীকে না দেখে এবার আঁকলিমা চৌধুরীর ভ্রুটা কুঁচকে যায়।তখনই ল্যান্ড লাইনে ফোন আসে,, আঁকলি চৌধুরী নিজেই রিসিভ করে,,
–‘হ্যালো?’
–‘আম্মু আমি আঁধার, আব্বু আর আমি একসাথে বাহিরে লাঞ্চ করবো!’
আঁধার আর কিছু বলতে দেয় না তার মাকে তার আগেই ফোন কেটে দেয়।আঁকলিমা চৌধুরী অবাক হলেও কিছু বললেন না,কারণ এমনটা প্রায় হয়ে থাকে।
#চলবে?