নিয়তি ( পর্ব–৫)

0
1380

নিয়তি ( পর্ব–৫)

সকাল ১০ টায় নাজিফা সালেহার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে— মা আপনি কী আমার উপর রাগ করেছেন?
সালেহা তখন একটু হেসে বললো — না কেন ও রাগ করবো? কিন্তু মন খারাপ আসলে ছেলেটা কখনো না খেয়ে এভাবে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাইনি তো , আর নওরীন ও না খেয়ে আছে, তাই।
—- আচ্ছা মা ওদের সবথেকে পছন্দের নাস্তা কী আপনি জানেন?
—– জানবোনা কেন??
আসলে নওরীন আর ইমাদ দুজনেই আলুর পরটা খুবেই পছন্দ করে। আলুর পরটা দেখলে দুজনেই লোভ সামলাতে পারেনা ।
—- আগে বলবেনা মা, আসলে এই আলুর পরটা আমার বাবা ও খুব পছন্দ করতো, বাবার জন্য বানাতে– বানাতে এই পরটার সাথে আমার একটা বন্ধুর সম্পর্ক হয়ে গেছে তাই আমার হাতের আলুর পরটা মানে সেই।
সালেহা তখন বললো —- তাহলে তুমি তাড়াতাড়ি করে কয়েকটা আলুর পরটা বানিয়ে ফেলো, আমি কদমকে বলি ইমাদের চেম্বারে নিয়ে যেতে, কিন্তু নওরীন?
—- ও তুমি চিন্তা করোনা, ওকে খাওয়ানোর দায়িত্ব আমার।

এই বলে নাজিফা তাড়াতাড়ি করে রান্নাঘরে গিয়ে আলুর পরটা বানালো, টিফিন বক্সে কয়েকটা ইমাদের জন্য চেম্বারে পাঠিয়ে দেয়, আর কয়েকটা নিয়ে নওরীনের ঘরে যেতেই দেখে মেয়েটি পেটে হাত দিয়ে বসে আছে, মুখটা শুকিয়ে গেছে।
নাবা সামনেই বসে খেলছে, দুজনে এখন ও স্কুল ড্রেস টা ও খুলে নি।
আমার উপর রাগ করে আজকে স্কুলে যায়নি বুঝলাম, কিন্তু ড্রেস টা ও খুললোনা , এই ভেবে নাজিফা একটা কাশি দিলো। ওর কাশির আওয়াজ নাবার কানে যেতেই — নাবা বলে উঠলো,—– মা তুমি আততো। নওরীন ওমনেই দরজার দিকে তাকাতেই নাজিফাকে দেখে বলে উঠলো— তুমি আমার ঘরে কেন???
নাজিফা একটু নিচু স্বরে নওরীনকে তখন বললো —- তোমার জন্য নাস্তা নিয়ে এসেছি।
—- আমি খাবোনা।
—- দেখ আমার উপর রাগ করে তো আর না খেয়ে থাকা উচিত নয়।নেও খেয়ে নাও মা।
—- বললাম না আমি খাবোনা।
—- ঠিক আছে, তুমি না খেলে আমি খেয়ে ফেলছি, আলুর পরটা আমার ও খুব প্রিয়।
আলুর পরটা শুনতেই নওরীন একটু আমতাআমতা করে বললো —– তো তোমার হাতে ওটা আলুর পরটা?
—- হ্যা তো।
—– কে বানিয়েছে, তুমি??
—– হুম আসলে আমার বাবা বলতেন আমার হাতের
আলুর পরটা নাকি অনেক মজা।
—- তো কী হয়েছে এগুলো আমাকে শুনাও কেন? আমি খাবোনা।
—- ঠিক আছে, আমি তাহলে যাই।
ওমনেই নওরীন বললো —- এই শুনো।
নাজিফা তখন বললো— তুমি আমাকে বলছো??
—- হুম, আসলে তুমি যেহুতো এতোবার বলছো তো একটু খেয়ে দেখতে পারি।



নাজিফা নওরীনের কথাটি শুনে খুশী হয়ে গেলো ,
নওরীনের কাছে গিয়ে বসে ওর সামনে খাবার টা দিলো।নওরীন তখন একটু সংকোচ নিয়ে বললো — খাবো?
—- ওমা! এ আবার কেমন কথা খাও।
নওরীন খেতে লাগলো, পরটাগুলো ওর এতোই ভালো লেগেছে যে ও নাজিফাকে বলতে লাগলো— তুমি তো ভালো রান্না করতে পারো।
—- ধন্যবাদ।
নাজিফা তারপর কিছুসময় চুপ থেকে নওরীনকে বললো —- আচ্ছা মা তুমি কেন আমার উপর রাগ কর??
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
আমি তো তোমার সাথে কোনো খারাপ আচরণ করিনা, আর বড়দের সাথে এভাবে আচরণ করলে যে আকাশের মালিক খুব অসন্তুষ্ট হয়।
—- নওরীন অমনেই খাবারটা রেখে কৌতুহল নিয়ে নাজিফাকে জিজ্ঞাসা করলো —- আল্লাহ বুঝি খুব অসন্তুষ্ট হয় আমি বড়দের সাথে খারাপ আচরণ করলে।
— হ্যা তো মা।
— কিন্তু আমি তো বড়দের সাথে খারাপ আচরণ করিনা, আমি শুধু তোমার সাথে খারাপ আচরণ করি কারন ফুফু বলেছে তুমি নাকি আমাকে আর নাবাকে বাবাইর কাছ থেকে ……….

ওমনেই নিতু ঘরে ঢুকে যায়, নওরীনের দিকে চোখ বড় – বড় করে তাকিয়ে হাত দিয়ে ইশারা দিয়ে বলে—- ওকে চুপ থাকতে।
নওরীন ও চুপ হয়ে গেলো। নাজিফা নওরীনকে তখন বলে— কী হলো মা চুপ হয়ে গেছো কেন?? কী বলেছে ফুফু আমাকে বলো।
নিতু তখন নাজিফার সামনে এসে বলতে লাগলো —- আমার নামে নওরীনকে তুমি কী বলছো?
নাজিফা নিতুকে দেখে বুঝতে পারলো নওরীন কেন চুপ হয়ে যায়। এবং এ ও বুঝতে পারে একটি ৯ বছরের মেয়ের এরুপ আচরণের পিছনে আমরা বড়রাই দায়ী। বাচ্চারা কখনোই খারাপ মন– মানসিকতার হয়না, তাদের নির্মল হৃদয়কে যদি কোনো অপবিত্র ব্যক্তি তাদের নিজের মনের মতো গড়ে ঠিক তখনি সেই বাচ্চাটির হৃদয়ে অপবিত্রতা বাসা বাধে।
—– কী হলো চুপ করে আছো কেন?? কানে কথা যায়না। আমার নামে কী বলে তুমি নওরীনের কান ভারী করছো???
—- এই জন্যই বলি নওরীন কেন হঠ্যাৎ চুপ হয়ে গেছে?
— মা,মা,মানে কী বলতে চাইছো?
— না কিছুনা, অন্তত এই বাচ্চাদের সামনে তোমাকে আমার কিছুই বলার নেই।
এসো ড্রইং রুমে এসো।
নাজিফা নিতুকে ড্রইং রুমে এনে জিজ্ঞাসা করতে লাগলে — তুমি নওরীনকে কী বলেছো????
——- মা,মানে আমি আবার নওরীনকে কী বলবো???
—- কিছুই বলোনি।
—- না তো, এনিওয়ে তোমার সাথে পরে কথা বলবো আমি এখন বাহিরে যাচ্ছি।
—- কী! তুমি এভাবে বাহিরে যাবে?
—-কেন কী হয়েছে?
—- তুমি জিন্স — টপস পড়ে বাহিরে যাবেনা, এরুপ রং চটা লিপস্টিক দিয়েছো কেন? আর এমন কার্লি চুলগুলোকে লাল আর বাদামি রং করে তোমার মনে হচ্ছে তোমাকে খুবেই ভালো লাগছে??
—- তাতে তোমার কী??
— দেখ নিতু তোমার মনে হচ্ছে এগুলো তে তোমাকে খুব স্মার্ট লাগে, কিন্তু বিশ্বাস করো নিজের দেশের সাদামাটা পোশাকেই আর , পর্দায় মেয়েদের সৌন্দর্য। তুমি কেন নিজেকে বাহিরের বখাটে ছেলেদের কাছে পণ্য তৈরি করবে, একটা কথা মনে রেখো, জিন্স– টপস, রং চটা লিপস্টিক দিয়ে ছেলেদের সামনে চলাফেরা করলেই তাকে আর যাই হোক সত্যিকারের স্মার্ট বলেনা। সত্যিকারের স্মার্ট হতে হলে নিজেকে সম্মান করতে শিখতে হয়। অন্যের সামনে নিজেকে পণ্য বানাতে হয়না, আর একটা সুন্দর মন থাকতে হয়।



—- ও প্লিজ আমি তোমার এসব বকবকানি শুনতে চাইনা।
— এসব তোমার বকবকানি মনে হচ্ছে, তুমি না মাদারাসার স্টুডেন্ট। অবশ্য পৃথিবীর প্রত্যেক জায়গায় ভালো– খারাপ আছে সুতারং এ আর নতুন কী।
— এই চুপ থাকো তো আমি গেলাম।
নাজিফা অমনেই নিতুর হাতটা ধরে বললো — যতক্ষণ না তুমি শালীনতার পোশাকে তোমাকে আবৃত করবে ততক্ষণ অবদি তোমার কোথাও যাওয়া হবেনা।
নিতু ওমনেই হাত ছাড়াতে চাইলে সালেহা এসে বলে উঠলো— শাবাশ মা! এতোদিনে আমি যা করে উঠতে পারিনি তুই তা করেছিস, যা ওকে ঘরে নিয়ে আটকে রেখে আয়।

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
নাজিফা বললো তা করা লাগবেনা মা —ও যদি এভাবে বাহিরে যায় তাহলে আজ ওকে আর এই বাড়িতে ঢুকতে দিবেন না।
সালেহা তখন বলে উঠলো— ঠিক আছে মা তুই যা বলবি তা হবে।
নিতু তো নাজিফার উপর রেগে ওর সামনে এসে চেঁচিয়ে — চেঁচিয়ে বললো,—– কাজটা ঠিক করলে না, আমি তোমাকে দেখে নিবো।
উপর থেকে ফাহাদ আর ফাহমিদা তখন নিচে নামতে — নামতে বললো — আবার কী হলো?
নিতু তখন বললো — কী হবে বৌমনি তোমাকে যেমন অপমান করেছে আমাকে ও তাই করছে আর দেখো মা তাতে শায় দিচ্ছে।



ফাহাদ তখন সালেহাকে বললো — মা এটা আপনি ঠিক করছেন না, ও আমার বউকে ইনসাল্ট করেছে, এ বাড়িতে এসেছে এখন ও একদিন ও হয়নি অথচ আমার বউয়ের পোশাকআশাক নিয়ে মন্তব্য করছে।
— ঠিক করেছে তোর বউ যেমন পোশাকআশাক পড়ে তেমন মন্তব্য শুনবে।
ফাহাদ আর ফাহমিদা কোনো কথাই বললো না আর , দুজনেই বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজেদের কাজে চলে গেলো।
নিতু আর কোনো উপায় না পেয়ে উপরে যেতে বাধ্য হলো।
এদিকে কদম ফিরে আসলে নাজিফা ওকে জিজ্ঞাসা করে — কদম ভাই তোমার সাহেব খেয়েছে?
কদম বললো — জানীনা আফা সাহেব আমাকে শুধু বললো বক্স টা রেখে যেনো চলে যাই।
কথাটি শুনে নাজিফা একটু মুচকি হেসে কদমকে বললো — তোমার সাহেব তোমার সামনে খেতে লজ্জা পাবে তাই হয়তো রেখে দিতে বলেছে।



সারাদিন এতো অশান্তির পর ও
সন্ধেবেলা নাজিফা মাগরিবের নামাজ শেষ করে রান্নাঘরে যায় সবার জন্য পায়েস রান্না করতে। এমন সময় ইমাদ বাড়ি ফিরে আসে , রান্নাঘরে গিয়ে টিফিন বক্স টা রাখতেই নাজিফাকে দেখে রান্না করছে। ইমাদ তখন একটু গম্ভীর কন্ঠে বললো — এই যে শুনছেন??
নাজিফা ঘোমটার আড়াল থেকে বললো — জ্বি আমাকে বলছেন???
—- তো আর কাকে বলবো, এখানে কী আর কেউ আছে???
—– তাইতো, তো কী বলবেন শুনি?
—— ইয়ে মানে মজা হয়েছে অনেক, Thanks.
ইমাদ এই বলে চলে যায়। নাজিফা ওর চলে যাওয়ার দিকে অনিমিষ ভাবে চেয়ে রইলো। ছেলেটাকে বুঝতেই পারছিনা, কখনো ভালো তো কখনো খারাপ। কখনো নরম তো কখনো গরম।


এদিকে নিতুকে বাড়ি থেকে বের হতে না দেওয়াই নিতু, নওরীনের ঘরে যায়, গিয়ে দেখে নওরীন আর নাবা দুজনেই পড়তে বসেছে। নিতু নওরীন কাছে গিয়ে বসে বলে—- কী রে সকাল বেলা তোরে আলুর পরটা খায়িয়েছে বলে তুই আমি যা বলেছি তোকে, সব বলে দিতে ছেয়েছিস ওই মেয়েটাকে??
নওরীন তখন মাথা নিচু করে বললো — ঐ আনটি টাতো খারাপ না, তুমি বলছো ও আমাদের কাছ থেকে আমাদের বাবাইকে কেড়ে নিবে, কই ঔ আনটি টাতো এমন কিছুই করছেনা।
—– বাবা!!! নওরীন সকালে মেয়েটা দুটো আলুর পরটা তোর জন্য বানিয়েছে বলে তুই নিজের ফুফুকেই অবিশ্বাস করলি?
—– না মানে ফুফু আমি তা বলতে চাইনি, আমি বলতে চেয়েছি………

ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
—– থাক বাবা থাক, তোদের ভালো চাই বলেই আমি তোকে সাবধান করেছিলাম, এখন দেখি আমারেই ভুল হয়েছে, ওকে ফাইন আমি তোকে আর কিছুই বলবোনা, কিন্তু আমি যেহুতো তোর ফুফু তাই তোকে শেষ একটা কথা বলছি —– তোর বাবাইকে হাত করার জন্য যেয়ে দেখ মেয়েটা এখন পায়েস বানাচ্ছে, তোর বাবাই এটা খাওয়ার পর মেয়েটাকে বিশ্বাস করবে আর সেই সুযোগ নিয়ে মেয়েটা তোকে এই বাড়ি থেকে বের করে দিবে। আমি বরং এসব ভেজালে নেই যাই, বাবা।
এই বলে নিতু চলে যেতে চাইলে নওরীন ওর হাতটা শক্ত করে ধরে বললো — তুমি সত্য কথা বলছো??
— বিশ্বাস না হলে নিজ চোখে গিয়ে দেখে আয়, তোদের কাউকে দিবেনা শুধু তোর বাবাইকেই দিবে, দেখিস।
—- ফুফু তুমি আমাকে বলে দেও আমি কী করলে ও আমার বাবাইকে পায়েস টা দিতে পারবেনা।
নওরীনের কথাটি শুনে নিতুর মুচকি হাসি দিয়ে ভাবতে লাগলো — এবার দেখ তোমার আমি কী হাল করি।
এদিকে নাবা নওরীনের হাতটা ধরে কাঁদতে — কাঁদতে বললো — আপু ফুপি পদা। ফুপি ভাদো না।
নিতু তখন নওরীনকে বললো — দেখেছিস নওরীন এসেছে একদিন না হতেই তোর বোনকে তোর কাছ থেকে কেড়ে নিচ্ছে, তুই তারপর ও কিছু করবিনা??
— ফুফু তুমি ওর কথা বাদ দেও, তুমি আমাকে বলো কী করতে হবে।
নিতু তখন নওরীনের হাতে এক বোতল তেল আর কলার দুটা খোসা দিয়ে বললো — এই নে, এই তেলটা তোর বাবার দরজা সামনে গিয়ে ঢেলে দিবি, আর তার উপর কলার খোসাটা ফেলে দিয়ে আসবি।
নওরীন তখন একটু ভয়ে- ভয়ে বলতে লাগলো — এতে ওর কিছু হবেনা তো ফুফু???
—– আরে কিছু হবেনা, ও তো খাবার নিয়ে তোর বাবাইর কাছে যাবে, তোর বাবাইর দরজার সামনে যখন তেলে আর কলার খোসার উপর পিছলা খাবে তখন ওর হাত থেকে খাবার টা শুধু পড়ে যাবে, ব্যস তোর বাবাইকে আর খাওয়াতে পারবেনা।
—তাহলে আমি এখনেই কাজটা করে আসছি ।
— হুম যা।
নাবা তখন আবার নওরীনকে বলতে লাগলো —- আপু আম্মু বেদা পাবে। তুই দাদনা।
কিন্তু নাবার কথা কী আর নওরীন শুনবে, নিতু যে মেয়েটিকে ভয়ের জগতে পাঠিয়ে দিলো, যা থেকে বের হতে হলো তাকে এই কাজটি করতেই হবে।

এদিকে নাজিফা পায়েস, আর কিছু খাবার নিয়ে ইমাদের ঘরের দিকে যেতে লাগলো। মেয়েটি মনে- মনে ভাবতে লাগলো– ওনাকে খাবারটা দিয়ে এসে মাকে আর নিতুকে নাস্তা দিয়ে আসবো তারপর আমি আমার সোনামনিদের নিজের হাতে খায়িয়ে দিবো , আর নাবাকে কোলে নিয়ে একটু আদর করবো।
মেয়েটি ভাবনার জগতে আনন্দেই ছিলো, কিন্তু বুঝতেই পারলোনা, তার ভালোবাসার মূল্যটা কারো কাছে নেই। যেই মাএ ইমাদের ঘরের সামনে পা রাখলো ওমনেই পিছল খেয়ে দেওয়ালের সাথে গিয়ে বাড়ি খেয়ে নাজিফার কপাল ফেটে যায়, সাথে — সাথে একটা চিৎকার দিয়ে মেয়েটি মেঝেতে পড়ে যায়।
( চলবে)
লিখা– আসমা আক্তার পিংকি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে