নিমাইদা শেষ পর্ব

0
1511
নিমাইদা শেষ পর্ব গল্পবিলাসী – নিশি প্রায় দশ মিনিট পর ঋতু দৌড়েঁ রুমে এসে দরজাটা ঠাস করে বন্ধ করে জোড়ে জোড়ে হাঁপাতে লাগলো।মুখে ঝুলন্ত এক মায়াকানন হাসি। বেলকনি থেকেই তার মায়াপরিকে দেখছিলো সীমান্ত। সেই হাসিটাকে বন্দি করতে এতোটুকুও ভূল হয়নি তার। ভাবতে লাগলো”মেয়েরা কি সবাইকেই এতোটা লজ্জা পায়? নাকি শুধু তাদের হাজব্যান্ড কেই?” ফটাফট কয়েকটা ছবিতুলে নিলো সীমান্ত। হালকা কাশির শব্দ করতেই পাশ ফিরে সীমান্তকে দেখে ভরকে গেলো ঋতু। বেলকনি থেকে এগিয়ে ঋতুর পাশে দাঁড়িয়ে, -‘ আচ্ছা নিমাইদা টা কে ছিলো বলোতো?’ -‘ নিমাইদা তো আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে থাকতো। আম্মুর বান্ধুবির ছেলে।’ ঋতুর পেছন থেকে কাধেঁ দিকে মুখ বাড়িয়ে,
-‘শুধুই কি আম্মুর বান্ধুবির ছেলে?’ চকিতে ফিরে তাকালো ঋতু। দৃষ্টিতে যেনো এটাই বলছিলো যদি বেশি কিছুই হতো তবে কি আপনাকে বিয়ে করতাম। সেটা বুঝে গিয়ে হালকা হেসে -‘আম জোকিং ইয়ার। এমন লজ্জাবতীর বয়ফ্রেন্ড থাকবে এটা ইম্পসিবল। ‘ হালকা হাসলো ঋতু।যেনো বুক থেকে কতো ভারি একটা পাথর নেমে গেছে তার। ঋতুর সামনে এসে, -‘ ক্যান আই হাগ ইউ? ‘লজ্জা পেয়ে মুখ ফিরিয়ে নেয় ঋতু। সীমান্ত নিজ থেকেই ঋতুকে জড়িয়ে ধরে। -‘তোমাকে দেখার পর থেকে নিজেকে কিছুতেই শান্ত করতে পারছিলাম না। সবকিছুতেই যেনো তোমাকে খুঁজে পাচ্ছি।প্রেম করার মতো বয়স আছে কিন্তু কোনো অপবিত্র সম্পর্ক আমি চাইনা। আবেগে বহির্ভূত হয়ে যদি কখনো কোনো ভূল করে ফেলি তখন নিজেকে কখনোই ক্ষমা করতে পারবোনা। তাই আল্লাহর সৃষ্টি পবিত্র বিয়ের সম্পর্কের সুতোয় বেধেঁ নিলাম তোমায়।আজ থেকে এই মূহুর্ত থেকে প্রেম করবো আমরা। নদীর পারে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে প্রেম করবো।দুজনে মিলে দূর গ্রামের মেঠোপথে হাটবো। সুখে দুঃখের সঙী হবো আমি।’ হালকা হেসে সীমান্তের দিকে তাকালো ঋতু। চোখ যেনো বলছে আমি তো এক্ষনি হারিয়ে যেতে চাই। -‘ মোবাইল আছে?’ -‘ হুম।’ মোবাইলটা ঋতুর হাতে দিয়ে, -‘ওকে নাম্বার দাও আমি বাসায় গিয়ে কল দিবো। ‘ মোবাইলটা হাতে নিতেই অবাক হয়ে গেলো ঋতু।তার ছবি ওয়ালপেপারে? তাও কিছুক্ষন আগেই তোলা। ঋতুর অবাক হওয়াটা যেনো আচঁ করতে পারলো সীমান্ত।হালকা হেসে -‘ যেই মানুষটাই আমার আর এইটাতো কেবলমাত্র একটা ছবি।চলো বাহিরে সবাই অপেক্ষা করছে।’ -‘হুম। ‘ঋতু বের হয়ে যেতে নিচ্ছিলো -‘বাইদা ওয়ে শাড়িতে কিন্তু তোমাকে বেশিই সুন্দর লাগছে।’ কথাটিতে ঋতু যেনো আরো বেশি লজ্জা পেলো। দৌড়েঁ রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো। দুজনেই ড্রইংরুমে এলো। সীমান্ত গিয়ে বাবার পাশে বসে পরলো।ছেলের মুখে যেনো আজ এক তৃপ্তি খুঁজে পাচ্ছেন তিনি। মেয়েটাও যথেষ্ট ভদ্রই মনে হচ্ছে। বিয়ের পর প্রায় অনেক দিনই আমরা একসাথে ঘুরে বেরিয়েছে।প্রেম করে বেরিয়েছি। মা অসুস্থ হয়ে পরাতে আর অনুষ্টান করা হয়নি। তারপর ঋতুর পরিক্ষা এইসবের মধ্যে দিয়েই যেনো কেটে গেলো একটা বছর। খুব সুখে ছিলাম দুজন। তবে ঋতুকে সময় খুব কমই দেয়া হতো। কিছুদিন পর পর এক এক দেশে ঘুরে বেড়ানোর মধ্যে দিয়েই ঋতুকে একেবারেই সময় দেয়া হতোনা। শত অভিযোগ ছিলো মায়ের। প্রধানত ঋতু শ্যামলা বর্ণের বলেই এতো তাল বাহানা তার। কিন্তু আমি ঋতুকে নিয়েই হ্যাপি ছিলাম। সবার কাছে শান্ত হলেও শত আবদার ছিলো আমার কাছে।ঋতুর চাওয়া গুলো খুব বেশি না। কিছু সময় একসাথে থাকাটাই তার সবথেকে বড় চাওয়া। ভোরে একসাথে ঘুরে বেড়ানো, রাতে একসাথে জোসনা বিলাস। ইউরোপ যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিলো।ভিসিটিং ভিসায় ঘুরতে যাবার কিছুদিন আগেই বাবা বললো অফিসের কাজেই ইউরোপ যেতে হবে। তবুও আমি ঘুরতে গেলাম অফিসের কাজে যাইনি। কিন্তু দূর্ভাগ্যের ব্যাপার হলো ইউরোপ এয়ারপোর্টে যাওয়ার পর পরই আমার পাসপোর্ট সহ যাবতীয় সকল পেপারস হারিয়ে যায়। আমি যখন চারোদিকে হন্য হয়ে খুঁজছিলাম সেখানকার পুলিশ আমাকে নোটিসড করে নেয়। কোনো ক্রিমিনাল ভেবেই এরেস্ট করে নেয়। কিন্তু তখন ব্যাপারটা এমন মনে হলেও এখন মনেহচ্ছে সব মায়ার কাজ। কারন পুলিশ এরেস্ট করে থানায় নিবে আমাকে থানায় নয় কোনো এক পুরোনো বিল্ডিংয়ে ফেলে রাখা হয়েছিলো। আর এটা কোনো পুলিশ ছিলোনা।ছিলো ছদ্দবেশি পুলিশ। মায়ার ছোট মামা ইউরোপে সেটেল্ড।হয়তো তাদের মাধ্যমেই কিছু করা হয়েছিলো। বুঝতে পারছিলাম না কি করবো। না বাসায় যোগাযোগ করতে পারছিলাম আর না অন্যকোথাও। দীর্ঘ তিন মাস তেরো দিন পর চোখ খুলে দেখি আমি এয়ারপোর্টের পাশে একটা বেঞ্চিতে শোয়া। পাশে তাকাতেই দেখি আমার সব পেপারস। আর বাংলাদেশে যাওয়ার সব ব্যবস্থা। বাবা মা নিশ্চয়ই হন্য হয়ে খুঁজছে। ছুটে এসেছিলাম। বাসায় গিয়েই মাকে জড়িয়ে অনেক কেঁদেছিলাম। ভেবেছিলাম সবাই অনেক কষ্টে থাকবে আমার খুজঁ না পেয়ে কিন্তু ওরা একদম নরমাল। ওদেরকে এই অবস্থায় দেখেই কেনো জানি সন্দেহ হলো। দৌড়েঁ রুমে গেলাম। আমার মায়াপরিকে পাইনি। বুকের ভেতর কেমন যেনো হতে লাগলো। কিছু হয়ে যায়নিতো? বাবা মাকে জিজ্ঞাসা করতেই মায়া উত্তর দিলো ঋতু আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিবে। তাই সেপারেশনে চলে গেছে। আর মাত্র বারোদিন পরই আমাদের ডিভোর্স। তখনি পুরোপুরিভাবে বুঝতে পারি সব এদেরই প্ল্যান। মা এগিয়ে এসে আমাকে বললেন আমি অনেকবার কথা বলেছি কিন্তু একবারও বৌমাকে দেয়নি মোবাইল । কিছু না বলেই বেরিয়ে পরলাম ঋতুদের বাড়ির উদ্দ্যেশে। পাইনি আমার লজ্জাবতী কে। ওদের গেইটে অনেক বড় একটা তালা ঝুলছে। লাগাতার কল দিচ্ছিলাম। মোবাইল সুইচড অফ। কারোর নাম্বারেই পাইনি। রাত প্রায় বারোটা ছিলো। পরদিন রাতটা কোনোভাবে কাটিয়ে সকালেই শ্বশুড়ের অফিসে যাই। উনি খুব শান্ত মেজাজের একজন মানুষ। সব খুলে বলতেই তিনি বলেছিলেন ঋতু তার মামার অফিসে জয়েন করেছে।আর বাসার এড্রেস দিয়েছিলো। আর অফিস আওয়ারের পরেই পেয়েছিলাম। মোবাইলটা বেজে উঠতেই ভাবনা থেকে ফিরে এলো সীমান্ত। এতো রাতেও মেসেজটোন। সিম কোম্পানি গুলোরও খেয়েদেয়ে আর কাজ নাই। মোবাইলটা নিয়ে রুমে চলে এলো সীমান্ত। কতোদিন পর তার মায়াপরি আজ তার কাছে। বন্ধুরা সবসময়ই বলতো বউ মানেই প্যারা।কিন্ত ঋতুতো তার শক্তি।তার বেচেঁ থাকার নিঃশ্বাস। পাশে শুয়ে ঋতুকে বুকে টেনে নেয় সীমান্ত। ঋতুর দিক তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যেনো নিজেই ঘুমের দেশে হারিয়ে যায়। সকালবেলা।
ড্রইংরুমে আসতেই এক হাঙ্গামা শুনতে পায় সীমান্ত আর ঋতু। আয়শা রেহমান চেঁচাচ্ছেন। -‘বেরিয়ে যা আমার বাড়ি থেকে। তোকে বিশ্বাস করে শুধু তোর জন্য আমার সংসার আজ শেষ হয়ে যাচ্ছিলো। ‘ -‘শুনো এমন অলিগলি চিপার মাইয়ারেই তোমার ছেলে পছন্দ করছে কথাটা পুরোপুরিভাবে কথাটা শেষ করার আগেই মায়ার গালে চড় বসিয়ে দিলো সীমান্ত। -‘ তোর সাহস কি করে হয় এসব বলার? খুব চালাক ভাবিস না নিজেকে? ‘মায়া চমকে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সীমান্তর কাছে গিয়ে, -‘ কি আছে এই মেয়েটার মধ্যে যা আমার নাই। ছোটবেলা থেকে ভালোবাসি তোকে আমি। আর তোকে ভালোবাসি বলেই সব করেছি। বিশ্বাস কর সীমান্ত খুব ভালোবাসবো তোকে।তর কথামতো চলবো সব করবো তারপরও আমাকে একটু ভালোবাস তুই।’ -‘ তুই বললিনা কি আছে ঋতুর মাঝে? ভালোবাসা আছে। আর কি বললি ভালোবাসিস? এই তোর ভালোবাসার নমুনা? আরে যারা ভালোবাসে নিজে না পেলেও সবসময় প্রে করে ভালোবাসার মানুষটা যেনো সুখে থাকে। কিন্তু তুই? তুই আমার সুখের সংসারে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিস। যে মেয়ে আমার সাথে পাবলিক প্লেস এ দাঁড়িয়ে কথা বলতে এখনো লজ্জা পায় তাকে কোথায় নিয়ে দাড়ঁ করিয়েছিস তুই? আর মা? তুমিও বা কেমন? একবার যাচাই না করে ঋতুকে এতো নিকৃষ্ট একটা কথা কিভাবে বললে তুমি? আর বিশ্বাস ই বা করলে কিভাবে? বিয়ের পর থেকে কম কথা শুনাওনি তুমি ঋতুকে। টাকা দেখে আমার গলায় ঝুলে পরেছে, আমাকে দেখে আমার সৌন্দর্য দেখে আমার গলায় ঝুলে পরেছে ঋতু। এসব নিয়ে সকাল বিকাল কথা শুনিয়েছো। এমনকি বাসায় গেস্ট আসলেও তাদের সামনে ছোট করতে দ্বিধাবোধ করোনি। কিন্তু তুমি কি কখনো খেয়াল করেছো একটা কথার জবাবও কিন্তু তোমাকে ঋতু দেয়নি।এমনকি আমাকেও আজ পর্যন্ত একটা কথা বলেনি। বলেনি কারন সে তোমাকে ঠিক তার মায়ের জায়গাটাই দিয়েছিলো। আমাকে যদি নাই বলে থাকে আমি জানলাম কিভাবে তাইতো? আমাদের কাজের লোক জাহানারাই সব আমাকে বলতো। কারন সে ভাবতো তার শ্বাশুড়ি ঠিকই একদিন তাকে বুকে টেনে নিবে। তাকে বুঝবে। কিন্তু তুমি? কি করলে এইসব? যেখানে আমি উধাও। কিন্তু সেখানে তোমরা ঋতুর পাশে না থেকে ওকেই ব্ল্যাম করলে। এমন নিকৃষ্ট উপাধি দিয়ে বের করে দিলে বাড়ি থেকে। একবার ভাবলেনা যে মেয়েটাকে আমি একটা রাতের জন্য বাবার বাড়িতে যেতে দেইনা তাকে ছাড়া আমি কিভাবে থাকবো? তোমার কাছে সৌন্দর্যটাই বেশি হয়ে গেলো। আরে তুমিতো সৌন্দর্য জিনিসটাই বুঝোনা। শুধুমাত্র গায়ের চামড়া সুন্দর হলেই প্রকৃত সুন্দর না। সুন্দর একটা মানুষের ব্যবহার। তার আচার আচরন তার ভালোবাসা তার কাজকর্ম। আমি হঠাৎ করেই ইউরোপ চলে যাই’ সেখানে গিয়ে কি হলো সব খুলে বললো সবাইকে। সব শুনে থমকে দাঁড়িয়ে আছে সবাই। মায়া যেনো রাগে ফুঁসছে। সীমান্ত হাত ধরে টেনে মায়াকে বের করে দিতে গেলেও এতোটুকুও নড়েনি মায়া। ঋতুকে দেখে আয়শা রেহমান দৌড়েঁ এলেন ঋতুর দুহাত মুঠোর মধ্যে নিয়ে, -‘বৌমা আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও। আমি ছেলের সুখ চাইতে গিয়ে এতো বড় সর্বনাশ ডেকে আনছিলাম তা ঘূর্ণাক্ষরেও টের পাইনি। যখন টের পেয়েছি ছুটে গিয়েছি তোমাদের বাসায়। পাইনি তোমাদের। তোমার সামনে যাওয়ার মতো মুখ আমার ছিলোনা। তোমার মায়ের নাম্বারে হাজারো কল দিয়েছি। একদিন প্রায় সন্ধ্যায় আমি আমার বোনের বাসা থেলে ফিরছিলাম। হঠাৎ করেই দেখি মায়া ঐ উকিলের সাথে কথা বলছে । কথাগুলো শুনে আমি থমকে যাই। কথাগুলো ছিলো” যেভাবেই হোক সীমান্তের ডিভোর্সটা যেনো হয়ে যায়। ভিডিওটা এডিট যে করেছিলো তাকেও একটা থ্যাংকস। তার জন্যই ঋতুকে বের করতে পেরেছি।” মায়া কেটে পরতেই আমি ঐ উকিলের কাছে যাই। ওকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে সব সত্য জানতে পারি। সাথে সাথেই ডিভোর্স ক্যান্সেল করি। আমি সব জেনেও না জানার অভিনয় করছিলাম। শুধু অপেক্ষা করছিলাম কবে সীমান্ত ফিরে আসবে। আমার অপেক্ষার অবসান হলো।ফিরে এসেছে আমার সীমান্ত।’ আয়শার কথা শুনে অবাক হয়ে আছে মায়া। -‘ ঋতু মা আমার আমাকে তুই ক্ষমা করে দিস ‘ -‘ছিঃ মা কি বলছেন এসব। আপনিতো আমার মা।’ আয়শা ঋতুকে টেনে বুকে জড়িয়ে -‘ আমি হিরে রেখে কাচের পেছনে ছুটেছি। মায়ার কথায় বিশ্বাস করে কতোকিছু শুনিয়েছি তোকে। ‘ -‘মা সব পাস্ট এগুলো এখন বলে কিছুই হবেনা। আমরা ঠিক তো সব ঠিক। মায়ার দিক তাকিয়ে যদিও এসব কীট আমাদেরকে এমনিতেও ভালো থাকতে দেবেনা।’ সবাই হেসে উঠলো। সবাই কে উদ্দ্যেশ্য করে তোমাদের সবাইকে দেখেনিবো আমি। আমিও দেখেনিবো এই হাসি কতোদিন থাকে। ‘ বলেই হনহনিয়ে বেরিয়ে গেলো চলতো সবাই একসাথে নাস্তা করবো। তোরা ফ্রেশ হয়ে আয়। সীমান্ত ঋতুর কাছে এগিয়ে গিয়ে কপালে চুমু খেয়ে ভালোবাসি লজ্জাবতী। আবারো শুরু হলো সুখের সংসার। সমাপ্তি।


( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???
https://www.facebook.com/nishe.ratri.9809

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে