#ধোঁকা
#Tanjina_Akter_Mist
#part_13+14
ওই ভাবেই নিচে কিছুক্ষণ বসে রইলাম। কিন্তু বসে থেকেই কি হবে কেউ কি আসবে দেখতে না তাই নিজেই কষ্ট করে উঠে দাড়ালাম ওইদিকে বাবার খাওয়া ও টাইম হয়ে যাচ্ছে। আদি কে আর দেখলাম না কোথায় ও কথা গুলো বলে বেরিয়ে গেছে। আমি ও আর কিছু ভাববো না অনেক ভেবেছি এ ই হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে না কিছু ঠিক হবে না আর হয় ও নি চার মাসের উপরে হয়ে গেছে আদির মধ্যে আমি কোন পরিবর্তন দেখি নি।
এই কয়েকদিন একটু বিশ্বাস ছিলো আমাকে ভালো বাসে কিন্তু তাও মিথ্যা হয়ে গেল। ভালোবাসলে ডিবোসের কথা বলতে পারতো না। বাড়ির সবার কথা অনেক মনে পরছে অনেক। একটা ফোন ও নেয় যে একটু কথা বলবো। বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এলাম আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছি কপালে কেটে গেছে। কিছু সময় দেখে বাদ দিলাম রান্না করতে গেলাম। রান্না শেষ করে বাবার রুমে খাবার নিয়ে গেলাম।
বাবা চোখ বুজে ছিলো আমার যাওয়ার সাথে সাথে চোখ খুলে তাকালো।
বাবা; কি রে সকালের পর আর এলি না জে?
আমি : আসলে
বাবা: এই তোর মাথা কি হয়েছে রে; দেখি এদিকে আয় তো!
আমি : ও কিছু না বাবা এমনি
বাবা: আমার থেকে কিছু লুকাবি না। আমি তোকে ছেলের বউ না মেয়ে ভাবি তাই বাবার কাছে বলবি না।
আমি : মিথ্যা কোথায় বললাম।
বাবা: তাহলে বল কি হয়েছে ব্যাথা পেলি কি ভাবে
আমি : ( কি করে সত্যি কথা বলবো না সত্যি টা বলা যাবে না) বেখেয়ালে পরে গিয়েছিলাম।
বাবা: একটু দেখে চলবি তো কি হয়েছে দেখেছিস। অনুটাও এমন ছিলো একটু ও সাবধানে চলাফেরা করতো না খালি
আর বলল না কিছু আমি চিন্তা পরে গেলাম আবার অনুটা কে বাবার দিকে তাকিয়ে দেখি চোখ দিয়ে পানি পরছে।
আমি : বাবা অনু কে
বাবা: বাদ দে ওইসব এদিকে এসে বস তো আমি ওষুধ লাগিয়ে দিচ্ছি
আমি : তুমি খেয়ে ঔষধ খাও তো আমি পরে লাগিয়ে নেব নি।
আমার কথা শুনলোই না জোর করে ঔষধ লাগিয়ে দিলো। নিজের আববুর মতো করে আদর করে কিন্তু অনু নাম টা মাথায় থেকে যাচ্ছে না কে এই অনু।
আর আদি বা এমন অদ্ভুত আচরণ করলো কেন ওই রুমে যাওয়াতে কি আছে। কেন জানা মনে হচ্ছে ওই রুমে গেলে আমি অনেক প্রশ্নের উওর পাবো। ওই রুমে আমাকে যেতেই হবে কথা গুলো রুমে বসে ভাবছিলাম।
কারো রুমে প্রবেশে বাস্তবে ফিরলাম,
তাকিয়ে দেখি আদি চোখ মুখ ফুলে আছে এসে একবার আমার দিকে তাকিয়ে বাথরুমে চলে গেল। আমি একবার তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিয়েছি। সব সময় খারাপ ব্যবহার করে আমি কথা বলি তবুও এবার আর না থাক তুই তোর মতো।
আনকেয়ার ভাব নিয়ে বসে আছি। আদি ফ্রেশ হয়ে এসে খাটের কোনায় বসল একবার আমার দিকে তাকায় তো একবার ফোনে দিকে তাকায়। অনেক ক্ষণ হয়ে গেল ওই ভাবেই বসে আছে আমিও কি করবো টপ করে শুয়ে পরলাম এটা হয়তো ভাবে নি আমি এখন শুয়ে পরবো। কারণ আদি খাওয়ার আগে এভাবেই বসে আমি খেতে ডাকলে ই খেতে যায় আজ আর ডাকছিনা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
আমি আর উঠি নি আদি ও ডাকে নি মাগরিবের আযান শুনে জাগানা পেলাম আসে পাশে তাকিয়ে আদিকে দেখতে পেলাম না।
পরদিন
আদি সকাল সকাল ঢাকা গেল। ওই অফিসে যেতে হবে কোন এক দরকারে আমি তো আর কথাই বলী নি।
এই সুযোগ ওই রুমে যাওয়ার দেখতে হবে কি আছে।
রুমে সামনে দাঁড়িয়ে আছি ব্যথতার চোখ নিয়ে কারণ সামনে তালা জুলানো সিউর আদির কাজ এটা। কি করা যায় এখন ঢুকবো কি করে। আবার রুমে এসে সব জায়গার চাবি খুজতে লাগলাম। না কোথাও নাই আদি সকালে যে র্শাট পরে ছিলো ওইটা সোফায় ছিলো কি মনে করে যে ওইটা হাতে নিলাম।পকেটে পেয়ে গেলাম চাবিটা খুশিতে আমার নাচতে মন চাইছে। এখন।
দ্রুত চাবি নিয়ে ওই রুমে ঢুকলাম। লাইট অন করে বাচ্চাদের রুমের মতো একদম পুরো রুমে পুতুল দিয়ে ভরা। আমি কি পাবো এখানে আর রুমটা কার এঘরে আসার জন্য আদি ঐতো রিয়েক্ট করলো কেন। কিছু মাথায় আসছে না। দেয়ালে একটা ছবির দেখে অবাক হলো একটা মেয়ের ছবি কে এই মেয়ে আমার মনে হচ্ছে চিনি কিন্তু কোথায় দেখেছি।
কিছুক্ষণ ভেবেই মনে পরে গেল এই মেয়ের ছবিই তো ভাইয়ার ফোনে দেখেছিলাম হুম নাম অনু বলেছিলো কিন্তু এখানে এই মেয়ের ছবি কেন আদির সাথে খি সম্পর্কে তার।
একটা ডাইরি চোখে পরলো কৌতুহূল হয়ে ডাইরি টা হাতে নিলাম। অনুর ডাইরি কিন্তু এটা এখন পরা যাবে না ডাইরি টা আমি নিয়ে যাই আবার পরে রেখে যাবো নি। হঠাৎ বইয়ের ভেতরে কয়েকটা পেজ দেখতে পেলাম। পেইজ গুলো বের করে হাতে নিলাম এটা তো এই ডাইরি পেজ এইখানে কেন। ছেরা হয়েছে মনে হচ্ছে। আমি ওই পেজ গুলো ও নিয়ে এলাম।
চলবে…….
#ধোঁকা
#Tanjina_Akter_Misti
#part 14
রান্না শেষ করে বাবার কাছে গেলাম এখন বাবা অনেক টা সুস্থ হাটা চলা করতে পারে। বাবাকে খাইয়ে দিয়ে এলাম তিনটার মতো বাজে আমি ও খেয়ে নিলাম। এখন রুমে বসে আছি একবার ডাইরি টা পরার কথা ভাবছি তো আরেকবার আদির কথা ভাবছি এই বুঝিএসে পরে। না আর বসে থাকতে ভালো লাগছে না। উঠে ডাইরি টা নিয়ে বসলাম।
এখানে তো আদির কথা ও আছে তার মানে অনু আদির ই বোন এতো দিনে সম্পর্ক ছিলো আমি জানতে ই পারি নি। ডাইরে পরে এটা বুঝতে পারলাম এই সেই মেয়ে যাকে ভাইয়া ভালোবাসতো কিন্তু সে কোথায় এখন। বিয়ের পর তো কখনো দেখি নি আর এখানে আসার পর ও না। ভাইয়া তো আর কিছু বলে নি অনেক ডেসপারেড হয়ে গেছিল সেই ঘটনা পর। এখানে তো আমাদের বাড়ি যাবে পযর্ন্ত আছে। তাহলে আদি কি এই ডাইরি পরে ই ভাইয়াকে ভুল বুঝছে। না আমাকে ওর ভুল ভাঙতে হবে কিন্তু কারণে টা তো আমার জানতে হবে। আর যদি অনুর সাথে একবার আমার দেখা হতো ওই তো বলতে পারতো ।
হঠাৎ ডাইরির ছেরা পেজের কথা মনে পরলাম হুম ওই খানে কিছু থাকতে পারে। ওই পেজ গুলো নিয়ে পরত লাগলাম,
অনু সাতটা পযর্ন্ত ওইখানে বসে রইল না মেঘের আসার নাম গন্ধ ও নেয়। রাগ হচ্ছে প্রচণ্ড বারবার কল করছি কল ও রিসিভ করছেনা এখন ফোনটা ও বন্ধ বলছে। কি করবো এখন রাত ও হয়ে গেছে বাড়িতে ও তো বলে এসেছি সামিয়াদের বাড়ি যাব কিন্তু এখানে থেকে আমাদের বাড়ি কাছে সামিয়াদের বাড়িই দূরে কিন্তু এখন বাড়ি যাওয়া যাবে না।
সামিয়াকে কল করে জানিয়ে দিলো ও আসছে সামিয়া অনেক কিছু জিগ্গেস করতে চেয়েছিল কিন্তু অনু বলেছে ও এসে সব বলবে। কল কেটে দিয়ে উল্টো দিকে যেতে লাগল। সামিয়াদের বাড়ি ওই দিকেই।
হঠাৎ পেছনে কারো পায়ে আওয়াজ পেলাম বারবার পেছনে তাকাসসি কিন্তু কাউকে দেখছি এখন আমার ভয় করছে কিন্তু কি করবো ভয় করলে ও এখন যত দ্রুত সম্ভব সামিয়াদের বাড়ি যেতে হবে।
রাস্তাটা পুরো জন শূন্য কোন মানুষের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে না যত এগিয়ে যাচ্ছি মানুষ ও কম দেখছি। আর একটু গেলে ই অটো ইসটান্ড ওই খানে যেতে পারলে আর চিন্তা নেই একেবারে সামিয়াদের বাড়ি।
ভয়ে ভয়ে এগিয়ে যাচ্ছি হঠাৎ কেউ পেছনে থেকে আমার মুখ চেপে ধরলো আমার চোখ মুখ বেধে দিলো আমি তো ছুটার জন্য ছটফট করছি কিন্তু ছুটতে পারছি । আমি কিছু দেখতে ঔ পারছি না কারণ আমার চোখ বাধা তারা আমাকে মনে হয় গাড়িতে উঠিয়েছে। কিছু ছেলেদের কণ্ঠ শুনলাম তারা বাজেকথা বলছে এখন আমি বুঝতে পারছি এরা খারাপ লোক আমার সাথে কি খারাপ কিছু করবে আমি নিজকে বাচাবো কি ভাবে। ভয় আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে নরা চরা করছি চিৎকার করতে চাইছি কিন্তু আমার হাত মুখ চোখ সব বাধা কি করবো।
শেষ রক্ষা আর করতে পারি নি নিজেকে আমি হেদিন ওই লোক গুলো আমার সব শেষ করে দিয়েছিল।
এইটুকু পরে আর পরার মতো অবস্থায় নেই মেঘনা চোখ দিয়ে অধরে পানি পরে যাচ্ছে এমন খারাপ কিছু আছে কল্পনা ও করে নি। আর পরে নি ডাইরি সামনে নিয়েই ভাবছে সেইদিন ভাইয়া কেন যায় নি।
সেদিন মেঘ খুশি মনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় বাড়িতে সবাইকে সব জানিয়ে সবাই ফ্রি ছিলাম বলে ভাইয়া তার ভালোবাসার কথা জানিয়ে দেয়।
সেদিন আমি আর মা তো সেই খুশি ভাইয়া ও খুশি মনেই যায় কিন্তু আমার অপেক্ষা করতে করতে রাত দশটা বেজে যায় কিন্তু তার কোন খবর নেই ফোন ধালে ও ধরে না। সারারাত পার হয়ে যায় কোন খবর আসে পা সবাই চিন্তায় পরে যায় পাচঁটার দিকে একটা ফোন আসে সেটা ভাইয়ার নাম্বার দেখেই তো আমি মা আববু খুশি হয়ে ফোন রিসিভ করি সাথে রেগে ও যে সারারাত কেন যোগাযোগ করলো না।
কিন্তু এমন একটা খবর শুনে পায়ের নিচে থেকে আমাদের মাটি সরে যায় ভাইয়ার এক্মিডেন্ট হয়েছে। ভাইয়া অবস্থা অনেক খারাপ থাকে মাথায় আঘাত পাওয়াতে একমাস অসুস্থ থাকে যখন জ্ঞান ফিরে শুধু একটা নাম বারবার বলে অনু।
হঠাৎ কেউ আমাকে টেনে দার করিয়ে গালে সজোরে থাপ্পড় বসিয়ে দেয়। আমি ছিটকে নিচে পরে আগের ব্যাথা পাওয়া জায়গায় আবার ব্যাথা পেয়ে আহ করে উঠি। উপরে তাকিয়ে দেখি আদি অগ্নি দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে।
চলবে…….