#ধোঁকা
#Tanjina_Akter_Misti
#part 7+8
– আববু, আম্মু, হাসেম কাকা কে কোথায় আছে। তারাতারি আস এদিকে আমি চোর ধরেছি,,
বলেই মেয়েটি আমার হাত জাপটে ধরলো। আমি বলছি চোর না অথচ মেয়েটি আমার কথা কানেই নিচ্ছে না চিল্লাচিল্লি করে ডেকেই চলেছে। নিরুপাই হ য়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছি। একটা মধ্য মহিলা এলো মনে হয় এর মা আর সাথে আরেক জন এনি হয়তো এর বাবা।
দৌড়ে আমাদের কাছে এসে দাঁড়ালো।
– কি হয়েছে অনু তুই এভাবে চিল্লাচিল্লি করছিস কেন আর এই লোকটা কে এভাবে ধরে রেখেছিস কেন?( মহিলাটি)
তার মানে মেয়েটার নাম অনু।
– আম্মু এনি চোর আমি ধরেছি। হাতে নাতে দেখ বাড়ির পেছনের দরজার দিকে যাচ্ছি কিন্তু আমি এখানে ছিলাম বলে যেতে পারেনি।
– আমি চোর না আর কতো বার বলব। ( মেঘ)
– চোরেরা কি স্বীকার করে যে আমি চোর।( অনু রাগীচোখে আমার দিকে তাকিয়ে)
– আচ্ছা ওকে দেখে তো চোর মনে হচ্ছে না। তোর হযতো ভুল হচ্ছে অনু।
– আববু আমার কেন ভুল হবে। সে ভালো পোশাক পরেছে বলে কি চোর হতে পারে না।
– আচ্ছা তোমার নাম কি বলো তো। ( অনুর আববু )
– জি মেঘ আমি আপনার বাসার এক সপ্তাহ থাকতে এসেছিলাম। আপনাকে কি ফোন করে বলে নি।
– ওহ হুম বলেছে কিছু ক্ষণ আগে তুমি সেই। অনু এনি কোন চোর না তোমার আনকেল পাঠিয়েছে। সরি বলো না জেনে এমন হেনস্তা করা উচিত হয়নি তোমার।
অনু আমার হাত ছেড়ে কিছু টা লজ্জা পাওয়ার মতো সরি বলল। তারপর দৌড়ে চলে গেল। কিছু বুঝলাম না এভাবে যাওয়ার কারণ।
– তুমি কিছু মনে করো না ওর ব্যবহার এ। আসলে কয়েকদিন আগে একজন চোর এসেছিল তোমার মতো ভালো পোশাক পরে আমি বাড়ি ছিলাম না সে এসে পরিচয় দিয়েছিল আমার পরিচিত। চুরি করতে গিয়েছিল কিন্তু আমার মেয়ের মাথায় সেই বুদ্ধি সে তাকে ধরে পুলিশ এর হাতে দিয়েছিল। আজও তোমাকে দেখে এমন বলেছে।
– না না ঠিক আছে আমি কিছু মনে করি নি।
– চলো ভিতরে।
তার সাথে বাড়ির ভিতরে গেলাম সে একটা রুমে নিয়ে এলো আমাকে।
– তুমি এই রুমেই থাকতে পার এটা আমার ছেলের রুম। বাড়ির তো ভাড়া দেয় না তাই গেসট রুম পরিস্কার করা নেই।
– কিন্তু তবুও আপনার ছেলে যদি কিছু মনে করে।
– নাহ সে তো বাড়ির নে এ বছর বিদেশে পাঠিয়েছি দুবছরের ওইখানে কোর্স শেষ করে আসবে।
– ওহ আচ্ছা।
ওনি চলে গেল। আমি ফ্রেশ হয়ে ঠাস করে খাটে শুয়ে পরলাম। কখন ঘুমিয়ে পরেছি টেরই পায় নি। কারো ডাকে জাগানা পেলাম তাকিয়ে দেখি অনু দাড়িয়ে আছে।
ধরফরি উঠলাম কখন যে ঘুমিয়ে পরেছিলাভ টের পাই নি। ফোন হাতে নিয়ে দেখলাম নয়টা বাজে 20+ call সব গুলো বাড়ি থেকে ফোন দিয়ে জানানোর কথা ও মনে ছিলো না।
– আমি আপনাকে ডাকছি আর আপনি উঠেই ফোন নিয়ে পরলেন। কেন ডাকছি জানতেও চাইলেন না। এটা কেমন অভদ্রতা। ( অনু একটু রেগে)
খেয়াল ই ছিলো না একজন আমার সামনে দাড়িয়ে আছে।
– ওহ সরি আসলে বাড়ির থেকে অনেক গুলো ফোন আসছে তো তাই।
– আপনাকে নিচে খাবার জন্য ডাকছে।
বলেই চলে গেল। মেয়েটা জানি কেমন একটা এই রাগ দেখায় আবার অভিমান করে। আমি বাড়িতে ফোন দিয়ে কথা বললাম।
সাথে বকা ও খেলাম ফোন না ধরার জন্য। তারপর নিচে গিয়ে খেয়ে এলাম।
রুমে এসে দেখলাম অনু মেয়েটা বসে আছে।
– আপনার নাম কি?
– ( ঢুকার সাথে সাথে জিগ্গেস করল) মেঘ।
– বাড়ি কোথায়?
– ঢাকা।
– কিসে পরেন?
– (এই মেয়েতো আমার মনে হচ্ছে আমার ইন্টারবিউ নিচ্ছে) মাস্টারসে।
তারপর আর কিছু না বলে চলে গেল আমি হাবলার মতো তার যাওয়া দিকে তাকিয়ে ভাবছি। এগুলো জিগ্গেস করলো কেন আর আমি উওরই বা দিলাম কেন?
পরদিন
চলবে…….
#ধোঁকা
#Tanjina_Akter_Misti
#Part-8
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় দাড়ালাম হঠাৎ নিচে চোখ গেল। অনু গাছে পানি দিচ্ছে খুব যত্ন সহকারে তাতে বুঝা যাচ্ছে ও গাছের অনেক যত্ন নেয়। হঠাৎ উপরে তাকালো আর আমাকে দেখেই কেমন যেন ভেংচি কাটলো আমি তো হতবাক এই মেয়ে আমার সাথে এমন করছে কেন।
সকালের নাস্তা করতে আন্টি ডাকতে এলে নিচে এলাম খাবার খেয়ে ভার্সিটিতে চলে এলাম। নতুন কিছু ফ্রেন্ড হলো ক্লাস গুলো ভালোই হয়েছে।
তিনটার দিকে বাড়ি আসলাম গেটের ভিতরে ঢুকতে মনে হলো কিছু ছুরে মারা হলো সামনে তাকিয়ে অবাক অনুর পুরো শরীর ভেজা আর কাদা ভরা মাটি ভেজা তার মানে বৃষ্টি হয়েছে কিন্তু অনুর অবস্থা দেখে আমি কেন যে কেউ বলবে এই মেয়ে বাচ্চা। নহলে এমন কাদায় গড়াগড়ি খেত। কাদা ছিটাচ্ছে যার ফলে আমার শরীর ও কাদা এসে লেগেছে। একটু রেগেই কাছে গেলাম
– এগুলো কি আমার শরীরের কি দিয়েছেন দেখেন!
অনু আমার দিকে তাকিয়া হিহি করে হেসে উঠলো। যাও একটু রেখে ছিলাম ওর ওই হাসি দেখে আমার সমস্ত রাগে উবে গেল কোথায় কে জানে। ওর হাসিতেই হারিয়ে গেলাম মুগ্ধ হয়ে ওর হাসি দেখছি অপূর্ব সুন্দর লাগছে।
আবার কিছু শরীরে ছিটে আসায় বাস্তবে ফিরলাম তাকিয়ে দেখি অনু আবার আমার শরীর কাদা দিচ্ছৃ এখন ইচ্ছে করে।
– এগুলো কি আপনি আমার শরীর কাদা দিচ্ছেন কেন?
– তো কি করবো একবার না দেখে দিয়েছি। কিন্তু এখন আপনি কোথায় হারিয়ে গেছিলেন তাই বাস্তবে আনতে দিলাম? ( বলেই হেসে উঠল) এতো কি ভাবেন আর ওমন করে কি দেখেন।
ওর কথায় একটু ভিষম খেলাম আসলেই তো আমার কি হয়েছে কেন ওর দিকে তাকালে নিজেকে ঠিক রাখতে পারি না। অন্য কোনো মেয়ের ক্ষেএে তো আমার এমন হয়নি কখনো তাহলে আর কিছু না বে দূত গতিতে চলে এলাম ওর সামনে থেকে।
রাতে রুমে শুয়ে আছি আর ভাবছি।
কি হলো আমার কেন খালি অনুর মুখটা ভেসে উঠে কি জন্য আমি কি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি না না এটা কিছুতেই হতে পারে না আমি এখানে নিজের প্রয়োজনে তাদের সহায়তা আছি তাদের সাথে এটা করা ঠিক হবে না। আমি আর বেশি অনুর কাছে যাবো না।
দুইদিন যেদিকে অনু আছে সেদিকে কভ গিয়েছি কিন্তু অনুর সাথে কথা বলার ইচ্ছে কিছু তেই দমাতে পারি নি খুব করে চাই ওকে। তাদের বিশ্বাস ভাঙতে চাইনা বলে নিজেকে দূরে রাখতে চাই কিন্তু অনু একটু পরপর এটা ওটা বলেই থাকে।
পাচঁ দিনের দিন
ছাদে বসে বাড়িতে কথা বলছিলাম মনে হচ্ছে কেউ আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। কথা শেষ করে তাকিয়ে দেকি অনু আগুন চোখে তাকিয়ে আছে। কিছু বুঝতেছি না এভাবে রাগছে কেন হঠাৎ আমার কাছে এসে ঠাস করে ফোনটা নিয়ে ফেলে দিতে গেল আমি তারাতারি করে ফোনটা নিয়ে নিলাম।
– এসব কি অনু আপনি আমার ফোন ছুরে ভারতে যাচ্ছিলেন কেন?
– আপনি কার সাথে কথা বলতেছিলেন?
– কেন !
– বলুন
– যার সাথে ইচ্ছে তার সাথে বলেছি তা আপনাকে কেন বলবো।
হঠাৎ আমার কলার ধরে চিৎকার করে বলতে লাগল,, বলবেন বলতে বাধ্য আপনি কারণ আমি আপনাকে ভালোবাসি। অন্য কোনো মেয়েকে আপনি আই লাভ ইউ বলতে পারেন না।
অনু মুখে এই কথা গুলো শুনে এতোটাই শক হয়েছিলাম যে কতোক্ষণ কথা বলতে পারি নি নিজেও জানি না।
এখন আমি আমার ভাড়া করা বাসায় আছি।
এই কথা গুলো ভাবছিলাম হঠাৎ ফোনের শব্দ এলো কানে ফোন হাতে নিয়ে দেখি অনু কল করেছে। একমাস হয়েছে আমি অনুদের বাড়ি থেকে চলে এসেছি। এখন আমাদের রিলেশন চলছে। সেদিন অনু না বললে হ য়তো এটা সম্ভব হতো না।
– হ্যালো
– কি ব্যাপার কি সকাল থেকে তোমার কোন পাওআ নেয়।
– ভার্সিটিতে থেকে এসে একটা ঘুম দিয়েছিলাম তাই আর ফোন দেওয়া হয় নাই সরি।
– আচ্ছা মাফ করলাম। কাল দেখা করবো!
– কাল কিন্তু আমার তো ক্লাস আছে।
– আমি কিছু শুনতে চাই না কালই দেখা করবো।
বলেই ফোন রেখে দিল।
পরদিন
চলবে…….