ধর্ষক_থেকে_বর_পর্ব__১৫
.
লামিয়া রাগের বসে খাবারের প্লেটটা ছুড়ে মাটিতে ফেলে দিল।খাবারের প্লেটটা
মাটিতে ফেলে দিতেই বিকোট একটা আওয়াজ হলো।আওয়াজটা শুনেই পাশের রুম থেকে আম্মু চলে আসলো।আম্মু এসে বললো:
.
— কি রে কি হয়েছে?(আম্মু)
— কিছু না আম্মু।
— কিছু না মানে!তাহলে এতো
বিকোট শব্দ হলো কেন?
— হাত থেকে খাবারের প্লেটটা
পড়ে গিয়েছে।
— একটু সাবধানে কাজ করতে
পারিস না।
— তুই গিয়ে খাবার নিয়ে আয়।
— আমি লামিয়াকে খাইয়ে দিচ্ছি।
.
তারপর আমি সেখান থেকে খাবার রুমে চলে গেলাম।খাবার রুম থেকে অন্য একটা প্লেটে লামিয়ার জন্য খাবার নিয়ে আসলাম।আম্মু লামিয়াকে নিজ হাতে খাবার খাইয়ে দিল।রাতে ফোনটা রুমের ভিতর চার্জে দিয়ে খাবার খাওয়ার জন্য খাবার রুমে চলে আসলাম।এসে দেখি সবাই খাবার টেবিলে বসে আমার জন্য অপেক্ষা করছে।শুধুমাত্র লামিয়া ছাড়া।লামিয়ার অসুস্থতার জন্য আম্মু ওকে আগেই খাইয়ে দিয়ে এসেছে।আমি গিয়ে টেবিলে বসতেই আম্মু আমার জন্য প্লেটে খাবার বেড়ে দিল।আমি খাবার আঙ্গুল দিয়ে আওরাচ্ছি আর বসে বসে লামিয়ার আমার প্রতি জম্মানো ঋৃণার কথা ভাবছি।এমন সময় আমার ছোট বোন সোনিয়ার কথায় বাস্তবে ফিরলাম।
.
— কিরে ভাইয়া তুই খাচ্ছিস না কেন?
— কই খাচ্ছি তো।
— শাকিল বউমার জ্বরের এখন
কি অবস্থা।(আব্বু)
— পূর্বের থেকে একটু কমেছে আব্বু।
— ঔষুধগুলো ঠিক মতো খাওয়াচ্ছিস তো।
— হুম।
— আচ্ছা এখন চুপ চাপ খেয়ে নেন।
.
তারপর আমি খাওয়া দাওয়া করে রুমে চলে আসলাম।রুমে সামনে আসতেই
আমার ফোনটা বেজে উঠলো।আমি রুমে আসার পূর্বেই লামিয়া ফোনটা রিসিভ করলো:
.
— আসসালামু ওয়ালাইকুম।(লামিয়া)
— ওপাশের কথা শোনা যাচ্ছে না।
— আছে।তবে আপনি কে?
— ওপাশের কথা শোনা যাচ্ছে না।
— ওহ তুমি?
— ওপাশের কথা শোনা যাচ্ছে না।
— আমি লামিয়া।
— ওপাশের কথা শোনা যাচ্ছে না।
— ভালো।
.
এমন সময় আমি রুমের ভিতর ঢুকলাম।রুমের ভিতর ঢুকতেই লামিয়া
আমার হাতে ফোনটা দিয়ে বললো:
.
— নাও কথা বলো।
— কে ফোন করেছে?
— কথা বললেই বুঝতে পারবে।
.
লামিয়া আমার হাতে ফোনটা দিয়ে অন্য রকম একটা মুড নিয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো।আমি রুম থেকে বেরিয়ে বারান্দায় চলে আসলাম।
.
— হ্যালো কে বলছেন?
— শাকিল আমি বৃষ্টি।
— ওহ তুমি।
— হুম।কেমন আছো?
— ভালো।তুমি কেমন আছো।
— আমিও ভালো আছি।
— কি করো এখন।
— আমি শুয়ে আছি।
তুমি কি করো?
.
এরকম আরো কিছু সময় কথা বলার পর আমি রু্মে চলে আসলাম।রুমে এসে লামিয়ার দিকে লক্ষ করলাম ওর দুচোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছে।আমাকে দেখেই লামিয়া ওর দু চোখের পানি মুছে ফেললো।আমি সোজা বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম।এভাবেই কাটতে থাকলো সময়।পেরিয়ে যেতে থাকলো দিনের পর দিন।কয়েকদিন পর > ছাদের উপর গিয়ে একটা সিগারেট ধরালাম।সিগারেটটা ধরিয়ে আপন মনে টানতে শুরু করলাম।নিজের কষ্টগুলোকে সিগারেটের ধোয়ার সাথে উঠিয়ে দিচ্ছি।আর দূরের ওই নীল আকাশটার দিকে তাকিয়ে আছি।এমন সময় লামিয়া ছাদে চলে আসলো।লামিয়া ছাদে এসে আমার সামনে দাড়িয়ে বললো:
.
— তুমি আবার সিগারেট খাচ্ছো।
— হুম।তাতে তোমার কি?
— আমার কি মানে?তোমাকে না
বলেছি তুমি সিগারেট খাবে না।
— তুমি আমার কে যে আমি
তোমার কথা শুনবো।
— আমি তোমার বিয়ে করা বউ।
— আর তুমি আমার স্বামী।
— হুম স্বামী।
— আরে আমি তো একজন ধর্ষক।
— আর ধর্ষক কখনো কারো স্বামী
হতে পারে না।
.
হ্যাঁ আমি তো একজন ধর্ষক আর ধর্ষকের কখনো কারো স্বামী হওয়ার কোন
অধিকার নেই।ধর্ষকরা হলো সমাজের সবচেয়ে নৃকৃষ্ট ব্যাক্তি।যাদের কেউই পছন্দ করে না।কথাটা বলেই আমি ছাদ থেকে রুমে চলে আসলাম।
.
.
.
.
.
.
.
#_______চলবে_______