………………#দ্যা_ভ্যাম্পায়ার_কুইন………………
………………মোঃ জুবাইদুল ইসলাম……………….
……………………..PART:05………………………….
জঙ্গলের ভেতরে হাওয়ার বেগে ছুটতে লাগলো ট্রুডো। হঠাৎ একটা বিষয় মাথাতে আসতেই থেমে গেলো। ভাবতে লাগলো জেফারীর কথাগুলো। জেফারী বলেছিলো সে কোনোমতে বাঁচতে পেরেছে কিন্তু চুপাকাবরার হাত থেকে কোনো মানুষের বেঁচে ফেরাটা তো প্রায় অসম্ভব। তাছাড়া জেফারী একজন কেমিস্ট্রি সাইনটিস্ট। তার তো চুপাকাবরা সম্পর্কে জানার কথা নয়। আর যদিও কোনোভাবে জানতে পারে তাহলে তার তো চুপাকাবরার হাত থেকে বাঁচার উপায় জানার কথা নয়। তাহলে জেফারী কি মিথ্যা কথা বলছে? ভাবতে ভাবতে সামনে এগোতে লাগলো ট্রুডো। হঠাৎ তার পেছনে আবার সেই কালো ছায়ার দৌঁড়ে যাওয়ার শব্দ পাওয়া মাত্র পেছনে তাকিয়ে দেখে কেউ নেই। বিরক্ত হয়ে আবার সামনে যেতে লাগলো। তার মাথার উপর দিয়ে একটা কুচকুচে কালো দাঁড়কাক উড়ে যেতে লাগলো। ঘটনাটা আন্দাজ করে ভয়ানক এক চিৎকার দিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই উড়ে গিয়ে কাকটাকে ধরলো ট্রুডো। লাল আলো ঝলকানো চোখ দিয়ে কাকটার দিকে তাকাতেই দেখে কাকটা কোনো সাধারণ কাক নয়। বেশি কিছু না ভেবে কাকটার রক্ত খাওয়ার জন্য বড় বড় দাঁতগুলি বের করে মুখের দিকে নিতেই কাকটা পুড়ে ছাই হয়ে মাটিতে পড়ে গেলো। অবাক হয়ে গেলো ট্রুডো। বুঝতে পারলো না ঘটনাটা। এমনিতেই বিপদে আছে তার উপর আরেক ঝামেলা। আনমনা হয়ে হাটতে হাটতে চলে গেলো পাহাড়ের অন্ধকার দিকটায় যেখানে ভয়ানক অদৃষ্ট গিরিখাদে শুধু পশুপাখিদের মৃত লাশের অসহ্যনীয় গন্ধ। গলিত মৃতদেহে প্রাণনাশী সব কীটের জন্ম হয়েছে। চারদিকে ধুয়াশা। নিকষ কালো অন্ধকার। চিৎকার দিয়ে মেডেকিকে ডাক দিলো ট্রুডো,” মেডেকি। কোথায় তুই?”
আওয়াজের প্রতিধ্বনি এলো। সাথে সাথে ঘুটঘুটে অন্ধকারে ভেসে উঠলো হাজারো লাল আলো ঝলকানো চোখ। আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে ট্রুডোর দিকে। সতর্ক হয়ে গেলো ট্রুডো। তীক্ষ্ম নজরে আলোগুলোকে দেখে বুঝলো এসব চুপাকাবরার চোখ। যেভাবে এগোচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে খুবই ক্ষুধার্ত। কোনো মানুষ বা বড় কোনো পশুকে পেলে কয়েকমিনিটের মধ্যে রক্ত চুষে মেরে ফেলবে এরা। আকাশের দিকে তাকিয়ে কানফাটা এক চিৎকার দিয়ে উঠলো ট্রুডো। গায়ের শার্টটা ফেটে লোহার মতো বডি বের হয়ে এলো। ঘাড়ে জ্বলজ্বল করে জ্বলে উঠলো ভ্যাম্পায়ার চিহ্নটি। সব চুপাকাবরা তার উপর লাফিয়ে আসতেই বিশাল দুটি পাখা দিয়ে হওয়ায় উড়তে লাগলো ট্রুডো। কিন্তু তাতে এদের হাত থেকে বাঁচার কোনো উপায় রইলো না। ভয়ঙ্কর আওয়াজ করতে করতে অন্ধকারের ভেতর থেকে উড়ে আসতে লাগলো চুপাকাবরার দল। অন্যদিকে উড়ে যেতে লাগলো ট্রুডো। কিন্তু চুপাকাবরাগুলোও পিছু ছাড়লো না ট্রুডোর। শুরু হলো আরেক বিপদ। ট্রুডোর মাথায় হঠাৎ একটা কথা খেলে গেলো। ভ্যাম্পায়ার তো ভ্যাম্পায়ারকে খেতে পারবে না বা মেরে ফেলতে পারবে না। তাহলে তো এদের কাছ থেকে পালানোটা বোকামী। প্রচন্ড গতিতে উড়ে একজায়গায় টার্ন নিলো ট্রুডো। উড়ন্ত চুপাকাবরাগুলোও প্রচন্ড গতিতে ট্রুডোর বুকের পাশ দিয়ে ঘেঁষে উড়ে যেতে লাগলো। উড়ন্ত অবস্থায় এক জায়গায় স্থির রইলো ট্রুডো। চুপাকাবরার পাখার ঘর্ষণে ট্রুডোর গলার ভ্যাম্পায়ার লকেটটি খুলে মাটিতে পড়ে গেলো। সাথে সাথে ট্রুডোও অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলো।
শেষ রাত। কয়েকক্ষণের মধ্যেই সকাল হবে। জঙ্গলের অন্ধকার ম্লান হয়ে আসছে। নীরবস্তব্ধ পরিবেশ। কোথাও কোনো সাড়াশব্দ নেই। আস্তে আস্তে জ্ঞান ফিরলো ট্রুডোর। খালি গায়ে হাজারো আঁচড়ের চিহ্ন ফুলে আছে। ব্যথা করছে। আস্তে আস্তে উঠে বসলো ট্রুডো। চারদিক তাকিয়ে দেখলো সকাল হতে চলেছে। অন্ধকারও হালকা হয়ে আসছে। হঠাৎ উপরের দিকে চোখ যেতেই হুড়মুড়িয়ে উঠে বসলো ট্রুডো। অবাক হয়ে ভ্রু কুচকে বললো,”আমি এখানে কেন? এটা তো সেই জায়গা যেখানে জেফারীকে খুঁজে পেয়েছিলাম!”
কথাটা বলার পর বুকে পীঠে আঁচড় খাওয়া জায়গাগুলোতে হাত বুলোতে লাগলো ট্রুডো। হঠাৎ খেয়াল করলো তার লকেট নেই। চমকে উঠলো ট্রুডো। ভালো করে দেখে নিশ্চিত হলো যে সত্যিই তার ভ্যাম্পায়ার লকেটটি নেই। চিন্তায় পড়ে গেলো সে। এখন আর উড়তে পারবে না। ভাবতে ভাবতেই মনে পড়লো জেফারীর কথা। সে এতোবড় মিথ্যা কথা কেন বললো? মেডেকি তো চুপাকাবরার আস্তানায় নেই? তাহলে মেডেকি কোথায়? আর জেফারী মিথ্যা কথা বললো কেন?
তাবুর দিকে যাত্রা শুরু করলো ট্রুডো। সব রহস্য যেন তাকে আষ্টেপৃষ্টে ধরেছে। কোনদিকে যাবে সে ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। এমনিতেই বন্ধুদের বিপদ তার উপর আবার এলিনাকে কথা দিয়েছে যে তাকে তার সমস্যার সমাধান করবে। এদিকে আনাহী চুপি চুপি ট্রুডোর তাবুতে ঢুকলো। তাবু খালি। কেউ নেই। ট্রুডোর ব্যাগ ও জিনিপত্র খুঁজতে লাগলো সে। তার ব্যাগ থেকে টি শার্ট বের করে বুকে জড়িয়ে বসে রইলো। ভালোবাসার মোহে অন্য এক কল্পনার জগতে হারিয়ে গেলো সে। তার শার্টের গন্ধটা যেন তাকে আরও আকৃষ্ট করে তোলছে। অবশেষে দিশেহারার মতো তার ব্যাগপত্র খুঁজাখুজি করতে লাগলো আনাহী। সবকিছু খোঁজার পর চোখে পড়লো সেই বাক্সটা যেখানে ট্রুডো রক্তের ব্যাগ লুকিয়ে রেখেছে। বাক্সটাকে বের করে খুলতেই দেখে কয়েক ব্যাগ রক্ত। পাশে কাঁচের গ্লাস। গ্লাসে রক্ত লেগে আছে। সবকিছু দেখে আনাহীর মাথা ধরে গেলো। সবকিছু যেন উলাটপালট হয়ে আসছে। মনে ধোয়াশার কালো অন্ধকারের রহস্য সৃষ্টি হচ্ছে। মনে মনে বললো,”রক্ত! এখানে এতো রক্ত কেন? আর এই গ্লাসে রক্ত লেগে আছে কেন?” ব্যাপারটা ক্লিয়ার করার জন্য নিজের তাবুতে গিয়ে ব্যাগ থেকে রক্ত পরীক্ষার কিছু ইনস্ট্রুমেন্টস নিয়ে এসে পরীক্ষা করে দেখলো সত্যিই এটা রক্ত। একদম তাজা রক্ত। একজন সুস্থ্য জীবিত লোকের শরীরের রক্তের মতোই। হঠাৎ পায়ে হাঁটার আওয়াজ আসতেই সবকিছু তাড়াতাড়ি গুছিয়ে রাখতেই কাচের গ্লাসটা পড়ে ভেঙ্গে গেলো। সবকিছু আগের মতো রেখে ভাঙ্গা গ্লাসের টুকরাগুলো তুলতে গিয়ে হাত কেটে গেলো আনাহীর। এদিকে কে যেন তাবুর দিকেই আসছে। ভাঙ্গা গ্লাসের টুকরোগুলো রেখেই তাবু থেকে বের হয়ে গেলো আনাহী। তাবুতে ঢুকলো ট্রুডো। বিছানায় গা এলিয়ে দিলো। পাশ ফিরে শুয়ে থাকতেই চোখে পড়লো ভাঙ্গা রক্তমাখা গ্লাসের টুকরগুলো। উঠে এসে একটা রক্তমাখা ভাঙ্গা টুকরো নাকের কাছে নিয়ে গন্ধ শুকতে লাগলো ট্রুডো। সন্দেহ হলো আনাহীর উপর। কারণ সেদিন রক্ত খাওয়ার সময় আনাহী তাবুর ভেতরে চলে এসেছিলো। ভাঙ্গা টুকরোগুলো তুলে ফেলে দিয়ে আসলো ট্রুডো। আনাহী লক্ষ করলো যে ট্রুডো কি করছে। দূর থেকে আড়ালে দেখতে লাগলো আনাহী। হঠাৎ আনাহীর কাঁধের উপর হাত রাখলো জেফারী। চমকে উঠে বলে উঠলো,”কে!” পেছনে তাকিয়ে দেখে জেফারী। জেফারী প্রশ্ন করলো,”এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি করছিস তুই?”
আনাহী হকচকিয়ে গেলো। আমতা আমতা করতে লাগলো সে। হঠাৎ বলে দিলো,”ট্রুডোকে দেখছিলাম। জানিসই তো ওকে আমার খুব ভালো লাগে। ” ট্রুডোর দিকে তাকিয়ে বলতে বলতেই ট্রুডোর খালি শরীরে দেখতে পেলো অনেকগুলো আঁচড়ের চিহ্ন। রক্তাভ হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি ছুটে গেলো ট্রুডোর কাছে। তার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললো,”এ কি হয়েছে তোর? কিভাবে এসব হলো? রক্ত বেরোচ্ছে তো! ”
বলতে বলতে ট্রুডোর গায়ে হাত দেবে তখনই ট্রুডো আনাহীর হাতটা ধরে ফেললো। হাতটা ছেড়ে বললো,”তেমন কিছু না। জেফারী কোথায়? তাকে ডেকে আমার তাবুতে আয় আর হ্যাঁ সবাইকে নিয়ে আসবি।”
মুখভার করে সবাইকে ডেকে আনতে গেলো আনাহী। ট্রুডো তাবুতে গিয়ে একটা শার্ট পড়ে নিলো। খানিকক্ষণ পর আনাহী সবাইকে নিয়ে ট্রুডোর তাবুতে প্রবেশ করলো। সবাই একসাথে বসলো। ট্রুডো বললো,”মেডেকি আর মিউরিসকে এখনো খুঁজে পাইনি। আমার মনে হচ্ছে এখানে কোনো একটা খেলা চলছে যেটা আমরা ধরতে পারছি না।”
ব্লেডিকো ট্রুডোর কথাটা বুঝতে পেরে বললো, “খেলাটা বুঝতে আমাদের গ্রুপের আসল শক্তিগুলোকে কাজে লাগাতে হবে তাই তো?”
ট্রুডো বললো,”ঠিক তাই তবে খুব সতর্কভাবে। আমাদের উপর কেউ নজর রাখছে।”
কথাটাশুনার পর তৎক্ষণাৎ জেফারী বললো,”কে নজর রাখছে? জঙ্গলের ভেতর আমাদের নজর রাখার জন্য কেউ আছে নাকি? ”
ট্রুডো জেফারীর কথাটাকে তুচ্ছ করে উত্তর দিলো,”নিশ্চয় আছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি না। বা আমাদের মাঝেই কেউ আছে যাকে আমরা চিনতে পারছি না। ”
কথাটা শুনার পর জেফারীর মুখটা চুপসে গেলো। ট্রুডো সবকিছু খেয়াল করছে। হঠাৎ ভিরেক্স বললো,”কিন্তু মিউরিসকে তো চুপাকাবরা তুলে নিয়ে গেছে। এই জঙ্গলে এমন অনেক কিছু আছে যা ঐতিহ্যবাহী এবং পৌরাণিক। অনেক ঘটনাও আছে এসব জিনিসের সাথে জড়িয়ে। মিউরিস মিথলজিস্ট। তার সবকিছু জানা। কিন্তু সেই তো চুপাকাবরার কাছে বন্দি।”
ট্রুডো জেফারীর দিকে তাকিয়ে বললো,”যা করার সবাই মিলে করবো। হয়তো আমরা যতোটা জটিল মনে করছি এটা ততোটাও জটিল নয়।”
সবাই আলোচনা করে যার যে কাজ তাকে সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হলো। হঠাৎই এসব সিরিয়াস আলোচনার মধ্যে দুষ্টমির ছলে ট্রুডোর মাথা থেকে একটা চুল ছিঁড়ে বললো,”তোর মাথায় এতো বুদ্ধি কেন?”
চুল ছেঁড়ার সাথেই ট্রুডো রেগে গেলো। এদিকে জেফারী আনাহীর সব কাজ মনোযোগ দিয়ে লক্ষ করতে লাগলো। জেফারী দেখলো আনাহী যে চুলটা ট্রুডোর মাথা থেকে ছিঁড়েছিলো সেটা সে ধরেই রেখেছে। আনাহী কি করতে চাইছে সেটা ঠিক পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারলো না সে। আনাহী আর জেফারীকে মিলিতভাবে একটা কাজ দিলো। জেফারীর মুখটায় এক লুকোনো হাসির আভাস দেখা গেলো। মনে হচ্ছে তাদের একসাথে কাজটা দেওয়াতে জেফারী অনেক খুশি হয়েছে।
আনাহীকে একটা ভ্যাক্সিন তৈরি করতে বলা হলো যেটা খাওয়া পর যেকোনো প্রাণীর ডিএনএ তে পরিবর্তন হবে। যেহেতু এতে আলোকরশ্মির একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে সেজন্য আনাহীর সাথে জেফারীকে বলা হলো এমন এক ধরনের আলোকরশ্মি তৈরি করার জন্য যেটা যেকোনো শক্তিশালী প্রাণীর সামনে রাখলে কিছুই দেখতে পাওয়া যাবে না এবং প্রাণিটির ডিএনএ পরিবর্তনে সহায়ক হবে। এবং গগলস এর কাঁচ তৈরি করার জন্য যেটা দিয়ে সেই আলোরশ্মি বিচ্ছুরণের সময় সবকিছু দেখা যাবে। হঠাৎ আনাহী সবার সামনে বলে উঠলো,”জেফারী তো একবার এই কাজটা করেছিলো। আবার নতুন করে না করে সেটা আবার ব্যবহার করলে হয় না?”
ট্রুডো আনাহীকে চোখ মেরে চুপ থাকাতে বললো। জেফারীকে শুনিয়ে শুনিয়ে বললো,”না, আবার নতুন করে করাই ভালো। পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সবাইকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
যে যার কাজে লেগে পড়লো আদাজল খেয়ে। শার্ট পড়ার কারণে আঁচড়ে যাওয়া স্থানগুলোতে শার্টের ঘষা লেগে আরও জ্বলছে ট্রুডোর। সবাই যাওয়ার পর তাড়াতাড়ি শার্টটা খুলে বিছানায় শুয়ে পড়লো ট্রুডো। অন্ধকারে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি মনে করতেই তার মাঝে মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো ভ্যাম্পায়ার শক্তি। লকেট হারানোর পর উড়তে পারছেনা ঠিকই কিন্তু তার মাঝে রক্ত খাওয়ার নেশাটা এখনো আছে। কিন্তু রক্তও খেতে পারছে না। গ্লাসটা ভেঙ্গে গেছে। তাছাড়া দিনের বেলায় কে না কে তাবুতে এসে পড়বে। দেখে ফেললেই সমস্যা। নিজেকে সংযত করে বিছানায় চোখ বুঝে শুয়ে রইলো ট্রুডো। আনাহী হাতে একটা এন্টিসেপ্টিক নিয়ে ট্রুডোর তাবুতে গেলো। চোখ বুজা দেখে মনে করলো ঘুমিয়ে পড়েছে তাই তার কাছে বসে আঁচড়ে যাওয়া জায়গাতে এন্টিসেপ্টিক লাগাতে লাগলো আনাহী। হুড়মুড়িয়ে উঠে ট্রুডো রাগ করে বললো, “তুই আবার এসেছিস? আর এসব কি লাগাচ্ছিস? আমার এসবের দরকার নেই তুই যা এখান থেকে। ”
আনাহী তার কথার কোনো মূল্যায়ন না করে সে তার কাজ করতে লাগলো। ট্রুডো যখন বেশি রেগে গেলো তখন মুচকি হেসে চোখ মেরে চলে গেলো আনাহী। কনফিউসড হয়ে গেলো ট্রুডো। এসব কি! আনাহী হঠাৎ এমন আচরণ করছে কেন? একটা ভয়ের মধ্যে পড়ে গেলো ট্রুডো। কারণ সে ভ্যাম্পায়ার আর আনাহী একটা সাধারণ মানুষ। তাদের দুজনের মিল কখনো সম্ভব নয়।
..
..
…
..
..(চলবে…….)
..