#_সূচনা_পর্ব_
#_দুই_পৃথিবী_
#_মারিয়া_রশিদ_
–” মাম্মাম! আমার এই ড্রোনটা খুব পছন্দ হয়েছে। আমি এইটা নিবো।”
মায়া চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে কথাটা বলে ওঠে রিহান। মায়া চৌধুরী কিছু বলার আগেই পাশের থেকে কেউ একজন বলে ওঠে,
–” না! ঐ ড্রোনটা আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। আর ঐটা আমিই নিবো।”
কারো এমন কথায় মায়া চৌধুরী আর রিহান সেইদিকে তাকিয়ে দেখে দর্শন তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। রিহানের হাসি মুখ মুহুর্তেই করুন হয়ে গেলো। দর্শন ওদের দিকে এগিয়ে এসে রিহানের দিকে তাকিয়ে শক্ত গলায় বলে ওঠে,
–” এই ড্রোনটা আমার পছন্দ হয়েছে৷ এইটা আমি নিবো।”
মায়া চৌধুরী দর্শনের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” দর্শন! এইটা তো রিহান পছন্দ করেছে। আর তুমি তো একটা ড্রোন নিয়েছো,, তোমার যদি আরও লাগে তুমি অন্য কোনো ড্রোন পছন্দ করো।”
দর্শন মায়া চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” না! আমি এই ড্রোনটা নিবো,, মানে এই ড্রোনটাই নিবো। আর এইটা আমার চাই।”
কথাটাহ বলেই দর্শন রিহানের হাত থেকে ড্রোন টা এক প্রকার ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। রিহান মায়া ভরা ছলছল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে দর্শনের চলে যাওয়ার দিকে। এইটা নতুন না। গত আট বছর ধরে এমোন হয়ে আসছে।
মায়া চৌধুরী দর্শনকে ডাকার আর সুযোগ পায় না। শপিংমলে চেচামেচি করাও শোভা পায় না। কিন্তু,, ছেলেটা যে বড্ড যেদি। নাহ,, এইগুলো যেদ না এই গুলো অন্যায়। মাঝে মাঝে এই ছেলেকে নিয়ে কি করবে ভেবে পায় না মায়া চৌধুরী।
মায়া চৌধুরী রিহানের দিকে তাকায়। ছেলেটা সব সময় দর্শনের এইসব অন্যায় সহ্য করে। কখনো মুখ ফুটে খুব একটা কিছু চায়ও না। কিন্তু,, যখন কিছু চায় তখন সেইটা দর্শন এসে নিয়ে চলে যায়। রিহান মায়া চৌধুরীর নিজের সন্তান না হলেও,, অনেক ভালোবাসে ছেলেটাকে। রিহানও মায়া চৌধুরীকে নিজের মা হিসাবে মেনে নিয়েছে। সব কিছুর পরও,, নিজের ছেলে দর্শনের অনেক অন্যায় সহ্য করতে হয় তাকে।
মায়া চৌধুরী এগিয়ে এসে রিহানের মাথায় হাত রাখতে রিহান মায়া চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দেয়। রিহানের এমোন হাসিতে মায়া চৌধুরীর বুকের ভেতরটা কেমন যেন ধুক করে উঠে। মায়া চৌধুরী কিছু বলার আগেই রিহান বলে ওঠে,
–” মাম্মাম! চলো আমরা ঐশপ থেকে আর একটা ড্রোন কিনে নিয়ে আসি।”
মায়া চৌধুরী ছলছল চোখে রিহানের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” আই এ্যাম সরি বাবা!”
–” তুমি সরি কেন বলছো মাম্মাম? প্লিজ! সরি বলো না। ভাইয়া ঐটা নিছে তাতে আমার একটুও মন খারাপ হয় নাই। ভাইয়া হ্যাপি থাকলেই আমি হ্যাপি।”
মায়া চৌধুরী রিহানের মুখটা কাছে এনে কপালে একটা ভালোবাসার স্পর্শ একে দেয়। রিহান মুচকি হেসে জড়িয়ে ধরে মায়া চৌধুরীকে।
★
মায়া চৌধুরী রিহানের জন্য এক গ্লাস দুধ নিয়ে এসে দেখে রিহান বিছানার উপর বসে কিছু একটা করছে। মায়া চৌধুরী এগিয়ে এসে দেখে রিহান একটা ভেঙে যাওয়া ড্রোন ঠিক করছে। যেইটা শপিংমল থেকে রিহানের কাছের থেকে দর্শন ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিলো।
রিহান এতোটাই মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে যে মায়া চৌধুরী তার রুমে এসেছে এইটা খেয়ালই করেনি। মায়া চৌধুরী দুধের গ্লাসটা সেন্টার টেবিলের উপর রাখতেই রিহান মায়া চৌধুরীর দিকে তাকায় আর মিষ্টি একটা হাসি দেয়। মায়া চৌধুরী রিহানের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে ওঠে,
–” রিহান! এই ড্রোন তুই কোথায় পেলি,,বাবা?”
রিহান মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে ওঠে,
–” ভাইয়ার রুমে ফ্লোরে পড়া ছিলো। হয়তো ভাইয়ার হাতের থেকে কোনো ভাবে পড়ে গেছে। একদম ভেঙে গেছে,, তাই ঠিক করার চেষ্টা করছি।”
কথাটা শুনতেই মায়া চৌধুরীর ভ্রু কিঞ্চিৎ কুচকে যায়। তারপর রিহানের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” দুধটা খেয়ে নে,, বাবা!”
–” খাচ্ছি,, মাম্মাম!”
–” হুম!”
মায়া চৌধুরী রিহানের রুম থেকে বেরিয়ে এসে দর্শনের রুমের দিকে এগিয়ে যায়। মায়া চৌধুরী একদম নিশ্চিত,, এইটা দর্শনের হাত থেকে পড়ে ভাঙেনি। দর্শন ইচ্ছে করে ড্রোনটা ভেঙে ফেলেছে।
মায়া চৌধুরী দর্শনের রুমের দরজার সামনে দাড়াতেই দেখতে পায়,, দর্শন ড্রইং করছে। ছেলেটা সব থেকে প্রিয় কাজ হলো,, ছবি আকা। অনেক সুন্দর ড্রইং করে ছেলেটা। ড্রইং করতে বসলে,, অন্য কোনোদিকে খেয়াল থাকে না ছেলেটার।
মায়া চৌধুরীর মাঝে মাঝে খুব কষ্ট হয় নিজের ছেলের এমোন সব কর্মকান্ডে। মায়া চৌধুরীর আগের স্বামী অর্থাৎ দর্শনের বাবার সাথে ছাড়াছাড়ি হয় দর্শনের সাত বছর বয়সে। তারপর মায়া চৌধুরী এক কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন,, সেই কোম্পানির বস ছিলো রিহানের বাবা জিহাদ চৌধুরী। রিহানের মা,, রিহান হওয়ার সময় মারা যায়। রিহান দর্শনের এক বছরের ছোট। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় এক প্রকার ভালো লাগার মাধ্যামে দর্শনের দশ বছর বয়সে মায়া চৌধুরী ও জিহাদ চৌধুরী বিবাহ করেন। কিন্তু দর্শন কখনো জিহাদ চৌধুরীকে বাবা হিসাবে বা রিহানকে ভাই হিসাবে মেনে নেয়নি। কিন্তু,, রিহান কখনো মায়ের ভালোবাসা না পাওয়ার জন্য,, মায়া চৌধুরীর মমতাময়ী ভালোবাসার কাছে নিজেকে আশ্রয় দিয়েছে।
রিহান সব সময় দর্শনের কাছে ভালো ব্যবহারের প্রত্যাশা করে কিন্তু দর্শন কখনো তার সাথে ভালোভাবে কথা পর্যন্ত বলে না। মায়া চৌধুরী জোরে একটা নিশ্বাস নিয়ে দর্শনের দিকে এগিয়ে এসে বলে ওঠে,
–” ড্রোনটা কেন ভাঙলে দর্শন?”
মায়ের এমোন কথায় দর্শন আকা থামিয়ে এক পলক মায়ের দিকে তাকিয়ে আবার আঁকতে শুরু করে। মায়া চৌধুরী এইবার কঠিন গলায় বলে ওঠে,
–” আমি তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছি,, শুনতে পাচ্ছো না তুমি? ড্রোনটা কেন ভাঙলে?”
দর্শন আকা থামিয়ে তুলি পরিষ্কার করতে করতে বলে ওঠে,
–” ভালো লাগে নাই,, তাই ভেঙে ফেলেছি।”
–” ভালো যখন লাগে নাই,, তাহলে শপিংমলে রিহানের থেকে ছিনিয়ে কেন আনলে?”
–” তখন ভালো লেগেছিলো,, বাসায় এসে আর ভালো লাগে নাই,, তাই ভেঙে ফেলেছি।”
মায়া চৌধুরী রাগান্বিত কন্ঠে বলে ওঠে,
–” মানে? বাসায় এসে ভালো লাগে নাই,, তাই তুমি ভেঙে ফেললে? আচ্ছা! বাসায় এসে যখন ভালো লাগে নাই,, তাহলে তো তুমি রিহানকে দিয়ে দিতে পারতে। দেখো নি,, ঐটা ও পছন্দ করেছিলো। ভাঙলে কেন এইভাবে?”
দর্শন উঠে দাড়িয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে রাগান্বিত কন্ঠে বলে ওঠে,
–” তুমি ওর জন্য আমার সাথে এইভাবে কথা বলছো কেন? কে হয় ও তোমার?”
–” কে হয় ও আমার মানে? ও আমার ছেলে!”
দর্শন এইবার চেচিয়ে বলে ওঠে,
–” ছেলে? কিসের ছেলে? ও তোমার কোনো ছেলে না। আমিই তোমার ছেলে। ওর কোনো মা নেই। তুমি শুধু আমার একার মা। আর তুমি আমার মা হয়ে,, ওর হয়ে কথা বলছো কেন? ওর বাবার বাসায় আছি এই জন্য? তাহলে,, চলো আমরা নানু বাড়ি চলে যায়।”
–” দর্শন! এইটা আমার স্বামীর বাড়ি। আর ঐ ছেলেটা তোমার ভাই,, আর ঐ মানুষটা তোমার বাবা! আর তুমি এইসব কি বলছো?”
–” কে বাবা? কে ভাই? জিহাদ চৌধুরী তোমার স্বামী হতে পারে,, কিন্তু আমার বাবা না। আর ঐ রিহান,, ও আমারও কেউ না,, তোমারও কেউ না। ওর মা মৃত। নিজের ছেলের দিকে নজর দাও,, অন্যের ছেলের দিকে না।”
কথাগুলো বলে দর্শন বারান্দায় গিয়ে বারান্দার দরজা আটকিয়ে দেয়। মায়া চৌধুরী এক প্রকার থমকে আছে দর্শনের কথায়। বারান্দার বন্ধ দরজার দিকে তাকিয়ে মায়া চৌধুরী চেচিয়ে বলে ওঠে,
–” তুমি ঠিক হয়ে যাও দর্শন! মানুষকে মূল্যায়ন করতে শিখো। এখনো সময় আছে তোমার কাছে। আর রিহান আমার ছেলে,, বুঝতে পেরেছো তুমি?”
মায়া চৌধুরীর চোখ ছলছল করছে। পেছন ফিরে তাকাতেই চমকে উঠে মায়া চৌধুরী। রিহান দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে,, হাতে ড্রোন। রিহান কি সব শুনে ফেলেছে? মায়া চৌধুরী এগিয়ে এসে নরম কন্ঠে বলে ওঠে,
–” রিহান!”
রিহান হালকা হেসে বলে ওঠে,
–” মাম্মাম! আমি ড্রোন টা ঠিক করে ফেলেছি। ভাইয়ার তো পছন্দ হয়েছিলো,, আমি ভেবেছিলাম ভাইয়ার হাত থেকে হয়তো পড়ে গেছে। তাই ভাইয়াকে দিতে এসেছিলাম। কিন্তু,, এখন মনে হচ্ছে ভাইয়ার এইটা লাগবে না।”
রিহানের কথা শুনে মায়া চৌধুরীর অনেক কষ্ট লাগছে। ছেলেটা কিভাবে হেসে কথা বলছে,, কিন্তু চোখ দুইটা ছলছল করছে। রিহান আবার বলে ওঠে,
–” আমি রুমে গেলাম,, মাম্মাম!”
কথাটা বলে রিহান রুমের দিকে চলে যায়। মায়া চৌধুরী রিহানকে ডাকতে গিয়েও ডাকতে পারে না। ছেলেটা সব কথা শুনতে পেয়েছে,, কষ্টও পেয়েছে। কি বলে শান্তনা দিবে সে? নিজের ছেলের কাজেই তো সব সময় এই মা মরা ছেলেটা কষ্ট পায়। মায়া চৌধুরী কান্না করতে করতে নিজের রুমে চলে যায়।
………………রিহান নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে তার মায়ের ফটোর সামনে বসে কান্না করতে করতে বলে ওঠে,
–” তুমি কেন চলে গেলে আম্মু? আজ ভাইয়া বললো,, আমার মা নেই। তুমি থাকলে তো ভাইয়া আমাকে এই কথা বলতে পারতো না। কেন চলে গেলে আম্মু? এইভাবে আমাকে ফেলে চলে গেলে? ফিরে আসো প্লিজ! প্লিজ! আমার অনেক কষ্ট হয় আম্মু! সহ্য করতে পারি না আমি। প্লিজ! আম্মু! কাম ব্যাক। প্লিজ!”
★
#_রাত_৯_টা_৩০_মিনিট_
রিহান নিচে এসে দেখে জিহাদ চৌধুরী ডাইনিং টেবিলে বসে ফোন চালাচ্ছে,, মায়া চৌধুরী খাবার সাজাচ্ছে। এই সময় এই পরিবারের সবাই ডিনার করে। দর্শনকে দেখতে না পেয়ে রিহান এগিয়ে এসে মায়া চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” মাম্মাম! ভাইয়া কোথায়? ডিনার করবে না?”
মায়া চৌধুরী কাজ করতে করতে বলে ওঠে,
–” গিয়েছিলাম ডাকতে,, বললো খাবে না।”
–” সারা রাত না খেয়ে থাকবে?”
–” না! একটু পর গিয়ে আমি খাইয়ে দিয়ে আসবো। তুই আই,, খেতে বোস।”
–” আমরা সবাই একসাথে খাবো,, ভাইয়া কেন আলাদা খাবে? তোমরা বসো,, আমি গিয়ে ভাইয়াকে ডেকে নিয়ে আসি।”
মায়া চৌধুরী রিহানের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” ও আসবে বলে তোর মনে হয়? কখনো আসবে না। এতোদিনেও কি বুঝিসনি?”
–” আসবে না কেন মাম্মাম? ভাইয়া শুধু একটু জেদি,, কিন্তু মনটা অনেক ভালো। তোমরা বসো আমি ডেকে নিয়ে আসছি।”
মায়া চৌধুরী কে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে রিহান উপরে চলে যায় দর্শনকে ডাকার জন্য। দর্শনের রুমে আসতেই রিহান দেখতে পায়,, দর্শন নিজের আকা একটা ছবি খুব মন দিয়ে দেখছে। রিহান এগিয়ে এসে হাসি মুখে বলে ওঠে,
–” এতো মনোযোগ দিয়ে কি দেখছো ভাইয়া?”
দর্শন রিহানের দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুচকিয়ে বলে ওঠে,
–” তুই আমার রুমে কেন?”
–” তোমাকে ডাকতে এসেছি। সবাই ডিনার টেবিলে তোমার জন্য ওয়েট করছে। চলো,, খাবে চলো!”
দর্শন ছবিটা বিছানার উপর রেখে রিহানের দিকে তাকিয়ে শক্ত গলায় বলে ওঠে,
–” আমার রুমে আসার সাহস কি করে হলো তোর?”
দর্শনের এমোন কথায় রিহানের হাসি মুখটা কাচুমাচু হয়ে যায়। দর্শন সেই একইভাবে বলে ওঠে,
–” এইসব আলগা পিরিত আমাকে দেখাতে আসবি না। আমার মাম্মাম কে তো বস করেই রেখেছিস,, তোরা বাপ ছেলে মিলে। আর এখন আমাকে বস করতে এসেছিস?”
রিহান আহত কন্ঠে বলে ওঠে,
–” এইসব তুমি কি বলছো ভাইয়া?”
–” একটা কথাও বলবি না। আমার রুম থেকে বেরিয়ে যা এখনি। আর কখনো আমার রুমে আসবি না। গেট আউট।”
–” ভাইয়া! আমি তো তোমাকে….”
কথা শেষ করতে পারে না রিহান তার আগেই দর্শন রিহানের হাত ধরে ধাক্কা দিয়ে রুমের বাইরে বের করে দিয়ে বলে ওঠে,
–” তোর এইসব সো কল্ড ভালোবাসা তোর কাছেই রাখ। আমার রুমের সীমানায় যেনো তোকে আর না দেখি। ইট’স মাই লাস্ট ওয়ারনিং।”
কথাটা বলো ঠাস করে দরজা আটকিয়ে দেয় দর্শন৷ রিহানের চোখ ছলছল করে উঠে। এমোন কেন করে সে? কেন একটু নিজের ভাই বলে মানতে পারে না তাকে? রিহান চোখ মুছে পেছনে তাকাতেই দেখে সিড়ির কাছে জিহাদ চৌধুরী আর মায়া চৌধুরী দাড়িয়ে আছে।
রিহান তাদের দেখে হালকা হাসে। রিহানের এমোন হাসি দেখে জিহাদ চৌধুরী এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে নিজের সন্তানকে। রিহান কিছু সময় পর জিহাদ চৌধুরীর থেকে সরে এসে বলে ওঠে,
–” বাবাই! তোমরা এখানে কেন এসেছো? চলো খেয়ে নিবে।”
মায়া চৌধুরী এগিয়ে এসে ভেজা কন্ঠে বলে ওঠে,
–” বারন করেছিলাম,, শুনলি না। ও কারো ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারে না রিহান!”
রিহান হালকা হেসে বলে ওঠে,
–” কে বলেছে পারে না মাম্মাম? দেইখো,, একদিন ভাইয়া আমাকে অনেক ভালোবাসবে।”
মায়া চৌধুরী রিহানকে জড়িয়ে ধরে বলে ওঠে,
–” চল খেয়ে নিবি বাবা!”
–” কিন্তু,, ভাইয়া?”
–” আমি কিছু সময় পর এসে ওকে খাওয়াবো। তুই চল।”
রিহান এক পলক দর্শনের বন্ধ দরজার দিকে তাকিয়ে আবার মায়া চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” চলো!”
#_চলবে_ইনশাআল্লাহ_🌹