দহন পর্ব-১৯

0
536

#দহন
#রিয়া_জান্নাত
#পর্ব_১৯

কি হলো জেল থেকে ডিরেক্ট আমার চেম্বারে আসলেন যে, কথা হলো আপনার বাবার সাথে।

” হুম কথা হলো। আমি কোনো বাজে কথা শুনতে চাইনা নীলা। তোমার হাতে কি কোনো কেইস আছে? ”
” না! ”

” তাহলে কোর্টে বসে থেকে কি করবে? চলো আজকে আমরা সারাদিন ঘুরবো। ”
” তাহলে আমাকে কিন্তু গুলশানের চৌরস্তার মোড়ে খলিল মামার হাতের তৈরি দই ফুচকা খাওয়াতে হবে। ”

” হুম খাওয়াবো। আজকে সারাদিন শুধু তোমাকে দেওয়ার জন্য, তুমি যেখানে যেখানে বলবে সব জায়গায় তোমাকে নিয়ে যাবো। ”

নীলা উচ্চস্বিত হয়ে যায় আকাশের কথা শুনে। কারণ বিয়ের পর এই প্রথম আকাশের সাথে ঘোরার অফার পেলো। ভালোবাসার সময় কতকত জায়গা ঘুড়েছিলো সব মনে পড়ে গেলো মূহুর্তের মধ্যের নীলার মনে।

রেহেনা শিকদার অফিসে এসে বৃষ্টিকে সব দেখালো। বৃষ্টিকে আকাশের করানো সব দায়িত্ব দেখিয়ে দিলো। প্রত্যকটা ওয়ার্কার ও স্টাফদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করলো। রেহেনা শিকদার সবাইকে জানালো বৃষ্টি হলো তার বড় মেয়ে, এবং আকাশের বড়বোন। সবাই ব্যাপারটা শুনে বিস্মিত হয়ে যায়। কারণ এতদিন সবাই জানতো শিকদার পরিবারের শুধু একটা ছেলে রয়েছে। সে হলো আকাশ শিকদার তাদের একমাত্র স্যার। কিন্তু কেউ মুখ খুলে প্রশ্ন করার সাহস পেলোনা রেহেনা শিকদারকে। সবাই হাসিমুখে শুধু কুশল বিনিময় করলো। কেউ তো কেউ তো কানে কানে ফিস ফিস করা শুরু করলো শিকদার পরিবারের কিছুই বুঝছি না। বড় স্যার অবৈধ ব্যবসা এখন আবার বড় স্যারের মেয়ে হাজির। না জানি শিকদার পরিবারের কত পাপ আরো লুকিয়ে রয়েছে। বৃষ্টি কিছু টা বুঝতে পেরেও হাসিমুখে সবার কথা হজম করে নিলো।

” আকাশ আপনার মনে পড়ে গত ৪.৫ বছর আগে প্রায় প্রতিদিন আমরা খলিল মামার এখানে দই ফুচকা খেতে আসতাম। ”

” হুম কি জঘন্য ইচ্ছে ছিলো তোমার। তখন আমি দই ফুচকার নাম শুনলেই বমি করে ফেলতাম। কিন্তু একদিন তুমি জোড় করে খাইয়ে দিছিলে। পরে আমার মনে হয়েছে আসলেই আমি এতোদিন কতভালো খাবার মিস করেছিলাম। খুবই টেস্টি এই দই ফুচকা। ”

” কত পার্ট ছিলো আপনার। আমাকে তখন রাস্তার খাদক আর কতো কিছু বলতেন। কিন্তু একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন। এই ৪.৫ বছরে খলিল মামার দোকানের কত পরিবর্তন হয়েছে। আগে একটা ভ্যান ছিলো এখন ফুচকার হোস্টেল বানিয়ে ফেলছে। ”

” শুধু পরিবর্তন হলোনা তোমার আমার। আমরা এখনো সেই আকাশ নীলাই রয়ে গেলাম। অথচো আমাদের পাশে এখন লিটল বেবি থাকার কথা ছিলো। ”

” ফুচকাটা দারুণ না আকাশ। সাড়ে চার বছর পার হয়ে গেলো। কিন্তু ফুচকার স্বাদ একই রয়েছে । ”

” কথা ঘোরাচ্ছো। ”

চলেন আকাশ। আমরা আজকে পার্কে যাবো যেই পার্কে আমি আপনাকে প্রথম খিচুড়ি খাইয়ে দিয়েছিলাম। বাড়ি থেকে রান্না করে এনেছিলাম বলে কত বকা দিয়েছিলেন। কিন্তু খেয়ে দেয়ে আমাকে ১০০০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। আর অনেক প্রসংশা করে দিয়েছিলেন।

” কিন্তু তুমিতো আজকে খিচুরি আনো নাই। তাহলে আজকে ওখানে যাবো ক্যান? ”
মন্টু মামার দোকানের খিচুড়ি খাইনা অনেকদিন। চলেন ওইখান থেকে পার্সেল নিয়ে যাবো। দুজনের সেপ্শাল অর্ডার।
” ধুর নীলা ওইখানের খিচুড়ি আমি খাইনা তুমি ভালো করে জানো। ব্যাডা খাবারে তেল দেয় বেশি। ”
আমার জন্য আজকে নাহয় আরেকবার খেলেন (আগেরমতো)।

আকাশ ফুচকা স্টোর থেকে বিল দিয়ে নীলাকে গাড়িতে তুলে মন্টু মামার খিচুড়ির দোকানের চিপায় গাড়ি থামালো।

” কি ব্যাপার আকাশ। মন্টু মামার দোকান আগের মতোই রয়ে গেছে এখনো পরিবর্তন হয় নাই। মন্টু মামার হাতের রান্নার যা প্রসংশা এতদিনে তো রেস্টুরেন্টে খোলার কথা। ”

” তুমি কানাডা যাওয়ার পর আমি আর এদিকে পা রাখি নাই নীলা। ইভেন্ট তোমার সাথে যেসব জায়গায় ঘুড়েছি । তুমি কানাডা গমন করার পর ভূলেও পা রাখি নাই আমি। তাই জানিনা মন্টু মামার উন্নতি হয় নাই কেনো? ”

” মন্টু মামা কই ভাই। এটা ওনার খিচুড়ির দোকান না। ”
“ছেলেটি কেঁদে ফেলে। কান্নাজড়িত কন্ঠে বলে কে আপনি। কত বছর পর এখানে আসলেন? ”
” ভাইয়া আপনি কাদছেন কেনো? আমি কি অভান্তর কিছু জিজ্ঞেস করেছি। ”

” না ম্যাম। আসলে আমার বাবার গত দুই বছর আগে রোড এক্সিডেন্টে হয়। সেই এক্সিডেন্টে আমার বাবার দুইটা পা নষ্ট হয়ে যায়। বাবা এখন পঙ্গু। হুইলচেয়ারে সারাক্ষণ তার দিন কাটে। ”

” আই অ্যাম সরি ভাই! আমি জানতাম না মন্টু মামার এরকম কিছু হয়েছে। আমি সাড়ে চার বছর পর এখানে এসেছি। আমাকে মাফ করো।

” ইট’স ওকে ম্যাম। অনেকদিন পর যারাই আসে তাড়াই এভাবে বলে। অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আপনারা খিচুড়ি এইখানে খাবেন নাকি পার্সেলে নিবেন। ”

” এইটা আমার কার্ড। কার্ডটা রাখো যেকোনো দরকারে আমার সাথে যোগাযোগ করিয়ো আমি পাশে থাকবো। ”

আকাশ এবার নিজের পকেট থেকে একটা চেক সাইন করে দেয় ছেলেটিকে। এইনাও ৪ লক্ষ্য টাকার চেক। ব্যাংকে যেয়ে তুলে আনিয়ো। আর ম্যাডামের সাথে সাথে আমার কার্ডটাও রাখো। দোকান টা বড় করে তুলো। বাবাকে দেখে শুনে রাখিয়ো। আর মন্টু মামাকে বলিয়ো আমাদের কথা। আমরা দেখা করতে যাবো একদিন। সেদিন কিন্তু চা খেয়ে আসবো মামার সাথে আলাপ করে।

এসব আপনারা কি করছেন? আমি এগুলা রাখতে পারবো না। বাবা জানলে আমাকে গালি দিবে।

আরে মামাকে বলবা ক্যান তুৃমি? তুমি রাখো আমরা ভালো করেই জানি মামা এতদিন এই দোকান চালালে অনেক বড় রেস্টুরেন্ট হয়ে যেতো। সেইখানে তুমি ছোট্ট একটা ছেলে এভাবে সাহস করে যে হাল ধরছো এইটায় কজন পারে। আমি তোমাকে টাকা দিলাম দোকানটা বড় করো। এইটা দিয়ে যাতে তোমার ভবিষ্যত ভালো হতে পারে।

নীলা আকাশের মুখের দিকে চেয়ে রইলো। মনে মনে উচ্ছ্বসিত হলো। আকাশের ওয়াইফ হয়ে গর্ববোধ করলো মনে মনে।

স্যার ম্যাম আপনাদের উপহার আমি রাখতে পারি যদি আপনারা আমার খিচুড়ি খান তবে।

” আচ্ছা তুমি আমাদের দুইজনের জন্য দুইটা পার্সেল করে দাও। এতে যদি তুমি খুশি হও তাহলে আমরাও খুশি। ”

ছেলেটি দুইটা খিচুড়ির প্যাকেট পার্সেল করে দিয়ে বললো আল্লাহ আপনাদের অনেক ভালো করুক স্যার।

” নীলা গাড়িতে উঠে আকাশকে বললো জীবন আমাদের অনেক শিক্ষা দেয় তাইনা আকাশ। ভাবতেও পারি নাই মন্টুমামার সাথে এরকম কিছু হতে পারে। ”

” নীলা আল্লাহ আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেয় অনেকভাবে। যেমন তোমার আর আমার প্রেমে কত ব্যাঘাত। এটাও এক প্রকার ধৈর্য। আল্লাহ তালা যা কিছু করে বান্দার ভালোর জন্যই করে। ”

নীলা ও আকাশের গাড়ি তাদের চিরচেনা সেই পার্কে এসে থামে। নীলা গাড়ি থেকে নেমে দীর্ঘশ্বাস নেয়।

” আকাশ কতদিন পর এখানে আসলাম। চারদিক টা দেখে এখনো কত পরিচিত মনে হচ্ছে। টবের ফুলগাছ গুলো শুধু বড় হয়ে গেছে, তাছাড়া সব আগের মতো রয়ে গেছে। কতো স্মৃতি জড়িয়ে আছে এখানে আপনার আমার। ”

” নীলা মনে পড়ে তোমার এই পার্কে যখন আমরা প্রথম আসি। তোমার খিচুড়ি খেয়ে যখন গল্প আলাপ শুরু করি। ঠিক সেই মূহুর্তেই মেঘলা আকাশ থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তুমি আর আমি কাকভেজা হয়ে যাই। তুমি ঠান্ডায় কুকড়ে যাচ্ছিছিলে। ঠিক সেই মূহুর্তে আমি তোমাকে উষ্ণতা দিতে চেষ্টা করি। তুমি শুধু বারবার আমাকে বাধা দিয়েছিলে। তখনকার বাসনা আজকে মনে পড়ে গেলো। আমিয়ো চাই আল্লাহ তালা আজ তার রহমতের বৃষ্টি দিক। আমার স্ত্রীকে নিয়ে সেই মনের বাসনা আজ পূরণ হোক। ”

” আপনার মাথায় খালি দুষ্ট দুষ্ট বুদ্ধি ঘোরে। চলেন ওইখানে বসে আগে খিচুড়ি টা খাই আমার অনেক ক্ষুধা লাগছে। দেখেন আগে শুধু হাইজিন হাইজিন করতেন। আজকে মোটেও যদি একবার এই কথা বলেছেন তাহলে আপনার একদিন কি আমার একদিন। ”

আকাশ নীলার এই কথা শোনে শুধু মুচকি হেসে দেয়। নীলা গাড়ি থেকে মিনারেল ওয়াটার খিচুড়ির প্যাকেট নিয়ে আসে। আকাশকে বোতল এগিয়ে দেয় হাত ধোঁয়ার জন্য ।

” কি করছো নীলা! আমি নিজে হাতে খেতে পারবো না। প্রথমদিনের মতো আজকেও আমাকে খাইয়ে দিতে হবে। ”

” সেদিন তো আপনার আঙুল কাটা ছিলো, আজকে আপনার কি হয়েছে যে নিজে হাতে খেতে পারবেন না। আমার এতো ঢং ভালো লাগেনা। নিজে হাতে খেলে খান না খেলে চুপ করে বসে থাকেন ”

” তুমি আমাকে না খাইয়ে রাখতে পারবে বউ। কি এমন চেয়েছি বউয়ের হাতে তো একটু খেতেই চেয়েছি। ”

নীলা মনে মনে বলে না এই লোকের সাথে পারা যাবেনা। এখন যদি তাকে না খাইয়ে দিই। আমাকেও সে খেতে দিবেনা। নীলা হাত পরিস্কার করে, একটি প্যাকেট খুলে আকাশকে হা করতে বলে।

আকাশ হা করে খিচুড়ি মুখে পুড়ে ___

” এইতো লক্ষী বউ আমার। এভাবে স্বামীকে ভালোবাসতে হয় অন্য বউদের এগুলো শিখা উচিত। ”
” নীলা ভ্রূ কুচকে বলে তাড়াতাড়ি খানতো। আমার খুব ক্ষুধা লাগছে। ”

আকাশ নিজের হাত পরিষ্কার করে। নীলার কাছ থেকে এক লোকমা খিচুড়ি হাতে নিয়ে বলে বউ হা করো।

” নীলা নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেনা। তার জামাই তাকে নিজ হাতে খিচুড়ি খাইয়ে দিতে চাচ্ছে। কারণ বিয়ের আগে যতবার খিচুড়ি খেয়েছে নীলাই আকাশকে খেয়ে দিছে। আকাশ কখনো নীলাকে খাইয়ে দেয় নাই। ”

” কি ব্যাপার নীলা শুধু দেখবা। হা করতে বলছি তো, হা করো। দেখো সব মেয়ের কিন্তু এরকম কপাল হয়না। জামাইয়ের হাতে খেতে কপাল লাগে। ”

” নীলা হা করে খিচুড়ির লোকমা মুখে নিয়ে বলে। আহারে কি এমন ভালোবাসা রে, আমার নিজের হাত আছে। আমি কখনো কাউকে বলিনাই আমাকে খাইয়ে দেন। ”

” নীলা তুমি বড্ড কথা বলো একটু চুপ থাকতে পারোনা। খেয়ে দিচ্ছি চুপচাপ খেয়ে নাও। ”

এরপরে আকাশ নীলাকে খাইয়ে দেয়। নীলা আকাশকে খাইয়ে দিয়ে দুই প্যাকেট খিচুড়ি শেষ করে ফেলে। পানি খায় দুজনে। আকাশ পানি খেয়ে দেখলো নীলার ঠোঁটের উপরে খিচুড়ির কিছু অংশ লেগে আছে। আকাশ নীলাকে আঙুল দিয়ে ইশারা করে বজ্য অংশ মুছতে। নীলা শুধু উহুম উহুম করে। আকাশ কি বলছে কিছুই টের পাচ্ছে না। আকাশ নিজের প্যান্টের পকেট থেকে টিস্যু বের করে খিচুড়ির বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করে দেয়। নীলা অনেকটা উত্তেজিত ফিল করে তখন। নীলা ভাবছিলো এই বুঝি আকাশ তার ঠোঁট কামড়ে দেয়।

” কি ব্যাপার নীলা এতো নড়াচড়া করো ক্যান? ”
কই কিছু নাতো?
দেখো নীলা আজকের আকাশ কালোমেঘে ভরা। চারদিকে গুড়ুম গুড়ুম করে ডাকছে। আল্লাহ শুনে নিয়েছে এই আকাশ কি চায়? তাই পরিবেশ টাও সেরকম সৃষ্টি করেছে।

কথাটি বলতে না বলতেই জোড়ে বর্ষণের পানি নামা শুরু করে। নীলা দৌড়ে গাড়ির দিকে যায়। আকাশ নীলার হাত টেনে ধরে বলে কোথাও পালাচ্ছো বউ। অনেকদিনের স্বপ্ন বউকে নিয়ে পার্কে ভিজবো।

” আকাশ পার্কে অনেক লোক। দেখেন সবাই চলে যাচ্ছে। তাছাড়া বৃষ্টিতে ভিজলে শরীর খারাপ করতে পারে। চলুন আমরা অন্যকোনোদিন ভিজবো। আজকে আমরা বাড়ি যাই। বিকাল হয়ে গেছে। ”

” না আজকে আমরা ভিজবো। এটা আমার ইচ্ছে বলেই নীলার পিঠ গাছের সাথে লেপ্টে ধরে। ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হলো। নীলা ও আকাশ মূহুর্তের মধ্যেই কাকভেজা হয়ে গেলো। ”

আকাশের পড়নে সাদা শার্ট ও সাদা প্যান্ট। ব্লেজার গাড়িতে রাখছে। নীলার পড়নে নীল রঙের শাড়ি । বুক থেকে শাড়ির আচল টান দিয়ে মাটিতে ফেলে । নীলার শরীরে তক্ষুনি অনেক বড় শক্ড লেগে যায়। নীলা চোখ বন্ধ করে ফেলে। নীলার শরীরে আস্তে আস্তে কাপুনি শুরু হয়। আকাশ ব্যাপারটা দেখতে পেয়ে নিজের ঠোঁট দিয়ে নীলার হাতে,ঘাড়ে,থুতনিতে, ঠোঁটে, তীলযুক্ত নাভীতে উষ্ণতা দিতে থাকে। নীলা আকাশের ঠোঁটের স্পর্শে শরীর খিচাতে থাকে। এভাবে বেশকিছুক্ষণ দুজনে ভিজতে থাকে।

বৃষ্টি কমে যায় নীলা নিজের চোখ খোলে ফেলে আকাশের শরীরে সাদা শার্ট ছিপছিপে লেগে আছে। আকাশকে এভাবে দেখে নীলা লজ্জা পেয়ে যায়। আকাশ হুট করে নীলাকে গাড়িতে তুলে বলে তোমার চর্বিযুক্ত পেট আমাকে পাগল করে দিছে নীলা।

নীলা এই কথা শুনে চুপ করে থাকে। লজ্জায় চোখ বন্ধ করে ফেলে। কারণ আকাশকে প্রচুর হট লাগছে। নীলা নিজেকে সামলানোর জন্য চুপ করে থাকে। আকাশ দ্রুত গাড়ি চালিয়ে বাড়ি আসে।

#চলবে,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে