দহন পর্ব-১৬+১৭

0
761

#দহন
#রিয়া_জান্নাত
#পর্ব_১৬

” এই আপনি শুধু আমার। আবার যদি দেখি অন্যকোনো মেয়ের সাথে ফ্লাটিং করেন তাহলে আপনার এই একজোড়া চোখ ছুড়ি দিয়ে কানা করে দিবো! ”

” নীলা বি কুল ওরা আমার শালি। আর শালীদের সাথে সম্পর্ক এইরকম হয়। এতটুকুতে জামাইকে এতো সন্দেহ করলে হয়। ”

” আমি সন্দেহ করছিনা আকাশ। আপনাকে মনে করিয়ে দিলাম আমার সামনে কখনো অন্য মেয়ের সাথে যেনো এরকম ফ্লাটিং না করেন। এমনকি আমার আড়ালেও না। আমি আপনাকে অনেক ভালো মানুষ করি। বিশ্বাস করে এই হাতদুটি আপনাকে ধরতে দিছি। বিশ্বাসের মান রাখিয়েন । ”

” এই পৃথিবীতে কেউ ভালো না নীলা। বলে নীলার কাছে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসে। ”

” নীলা পিছিয়ে যায়। কি করছেন আকাশ? আমার কাছে আসতেছেন কেনো? ”

” বউ রাগ করছে। বউয়ের অভিমান ভাঙ্গার দায়িত্ব জামাইয়ের। ”

” কি করতে চান আপনি? দেখেন আকাশ এগোবেন না! আমার ভয় লাগছে।”

” ভয় কিসের বউ। আমিই তো, পরপুরুষ নইতো। জামাই হই তোমার।”
এই কথা বলে নীলার হাত দুটি ধরে মুঠি করে। নীলাকে ওয়ালের সঙ্গে লেপ্টে ধরে ঠোঁটে চুমু দেয়। ”

” ছি! আকাশ আপনাকে আমি অনেক ভালো মনে করেছিলাম। আপনিয়ো এসব লুচি কাজ করেন। ভাবতেও ঘৃণা লাগছে এইরকম লুচ্চা আজ থেকে আমার জামাই। ”

” এই বউ পৃথিবীতে কেউ মহাপুরুষ বা মহানারী নয়। স্বামী স্ত্রী হয়ে যদি এই কাজ তোমার কাছে লুচ্চামি লাগে। তাহলে লাগুক! কারণ সবাই যদি তোমার মতো ড্যামেট মাথা ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াতো তাহলে ভবিষ্যতে প্রজন্ম বলে কিছু থাকতো না। আমি তো বাবা হতে চাই। তাড়াতাড়ি বাবা ডাক শোনার ব্যবস্থা করো। ”

” নীলা ঠোঁট চেপে হাসি দেয়। আমি কিভাবে আপনাকে বাবা ডাক শুনাবো। এই দায়িত্ব আপনার। এই বলে ওয়াশরুমে দৌড়ে যায়। ”

” নীলা ওয়াশরুমে যাচ্ছো ক্যান? চলো না বাকি কাজটুকু সেরে ফেলি আজকে! ”

” আকাশ আমার দম বন্ধ বন্ধ লাগছে, এতো ভারী ভারী গহনাতে। আমি চেঞ্জ করতে ঢুকেছি। তুমি পিল্জ চেঞ্জ করে নাও। শেরেওয়ানি টা খুলে পাতলা কোনো কাপড় পড়ো। ”

” হুম নীলা ঠিক বলছো তো। ”

এরপরে দুজনেই চেঞ্জ করে নেয়। নীলা বাড়ি থেকে ল্যাগেজে থ্রি পিস গুলো নিয়ে এসেছিলো। এরমধ্যে পছন্দের থ্রিপিস পড়ে বাইরে আসলো। আকাশ শুধু ব্লাক কালারের স্যান্ডো গেঞ্জি, ও জিন্স প্যান্ট পড়ে আছে।

এর আগে নীলা আকাশকে এভাবে কখনো দেখে নাই। আকাশের বডি দেখে নীলা মনে মনে বলে কি পালোয়ান একটা। জিম করে বডিটা এইরকম বানাইছে উফফ! যেকোনো নারী প্রেমে পড়ে যাবে। সাবধানে রাখতে হবে জামাইকে। আকাশের বুকের লোমগুলো দেখে নীলার খুব ভালো লাগলো। কারণ নীলা মা ও ফুপির কাছে জেনেছিলো যে পুরুষের বুকের লোম রয়েছে। তারা নাকি বউকে খুব ভালোবাসে ও আদর করে। নীলা মনে মনে মিঠি মিঠি হাসছিলো।

” কি ব্যাপার নীলা তুমি হাসছো কেনো? ”

” কই আমি হাসছি! আপনি যতটা ওভারস্মার্ট সাজার চেষ্টা করেন না কেনো? আসলেই আপনি ওতোটা ওভারস্মার্ট নন। আমার খুব গরম লাগছে আকাশ। আমাকে ছাঁদে নিয়ে চলেন । অনেকদিনের ইচ্ছে বিয়ের প্রথম রাতে জামাইয়ের বুকে মাথা রেখে জোৎস্ম্যাবিলাশ ও আকাশের চাঁদকে দেখবো। ”

“আকাশের চাঁদতো তুমি। মন ভরে আজকে তোমাকে আমি দেখে নিবো! ”

” সব প্রশ্নের ডাবল মিনিং খোঁজা কি আপনার অভ্যাস আকাশ? আমি আপনার পাঁচটা না দশটা না একটা মাত্র বউ। আমার ইচ্ছেগুলো পূরণ করার দায়িত্ব আপনার। ”

” আর কোনো ইচ্ছে আছে তোমার? ”

” ইচ্ছেগুলো একদিনে প্রকাশ করলে আপনি অনেক ভয় পাবেন। আস্তে আস্তে প্রকাশ হবে সব। প্রথম ইচ্ছে টা আগে প্রকাশ করুন। ”

এরপরে আকাশ ও নীলা ছাঁদে আসে। মেঘালয় আকাশের মাঝে চাদ মাঝে মাঝে উঁকি দিচ্ছে। চারদিকে জোৎস্নার কিঞ্চিত আলো ফুটছে এই নিভছে। আকাশে আজ কোনো তারা নাই। ঠান্ডা বাতাস বইছে। নীলার গা ককিয়ে উঠছে ঠান্ডাতে। ঝিরিঝিরি কুয়াশা পড়ছে তুষারের মতো। নীলা আর ছাদে থাকতে চায়না প্রচুর ঠান্ডা পাচ্ছে।

” আকাশ আমার খুব ঠান্ডা লাগছে। আমি আর ছাঁদে চাঁদমামার খেলা উপভোগ করতে পারছি না। আমি রুমে যাবো আকাশ। ”

” আকাশ এসে নীলাকে জাপটে ধরে। নীলা আকাশের ঘাড়ের কাছে মুখ লুকায়। আকাশ নিজের বুকের উঞ্চতা নীলাকে দিয়ে বলে। অবুঝ বউ তোমাকে এই কথায় বলতে চেয়েছিলাম বাইরে শরৎকালের ঠান্ডা বাতাস বইছে। কিন্তু তুমিতো আমার কথা শুনতে না। এখন হয়েছে উপভোগ করা। চলো যাই রুমে। ”

জাকিয়া সুলতানা আকাশের রুম খোলা পেয়ে ভিতরে ঢুকে। ভিতরে ঢুকে দেখে আকাশ ও নীলা নেই। জাকিয়া দেখলো বাসরের খাটটা এখনো ঠিক আছে।

” কে তুমি? এখানে কি। জানো না স্বামী স্ত্রী নতুন বিয়ে করলে তাদের প্রাইবেট রুমে তৃতীয় ব্যাক্তি এলাও না। ”

” দুলাভাই আমি। আপনার শালি। আমি আসতে চাই নাই। কিন্তু ফুপি জোড় করে পাঠাইছে। নীলাপু এই দুধটা শুরু করার আগে আকাশ ভাইয়াকে খাইয়ে দিস। দুধটা টেবিলে রেখেই জাকিয়া দৌড়ে পালায়। ”

” দেখছো নীলা। তোমার বোনগুলো আমাকে কি ভয় খায়। ”

” আপনি একটিমাত্র দুলাভাই ওদের। বেচারিরা বাসরের খাট সাজাইছে। তারবিনিময়ে ওদের উপহার বাসররাত দিতে চাইছেন। তো আপনাকে ভয় খাবেনা। আপনার মতো লুইচ্ছা জামাই একটাও দেখি নাই। এইবলে নীলা বেসিনের কাছে চলে যায়। ”

আকাশ রুমের বাতি সুইচ অফ করে দেয়। নীলা প্রচুর ভয় পেয়ে আকাশ বলে চিৎকার দিয়ে আকাশের বুক জাপটে ধরে।

” বি কুল নীলা! বাতি আমি বন্ধ করেছি। ”

” কেনো করলেন বন্ধ? ”

” বাহ বাসররাত করবো এখন বাতি জ্বালিয়ে! এমনিতে আমার বউটা অনেক লাজুক। বাতি জ্বালিয়ে এসব করলে আমারো লজ্জা লাগতে পারে। আমি চাইনা আমাদের মাঝে আজকে লজ্জাটুকু দুশমন হিসাবে ধরা দিক। ”

” বাল্ব অন করেন আকাশ! বাতি ছাড়া আমার প্রচুর ভয় করে। ”

” পাগলী বউ ডিমলাইটের আলো জ্বল জ্বল করছে। দুপাশে ল্যাম্পপোস্টের আলো আছে এরপরেও তোমার আলো লাগে। বললাম না আজকে লজ্জা নামক দুশমন আমাদের মাঝ থেকে তাড়াতে হবে। ”

” নীলা আকাশের বুক থেকে বের হয়ে দুধের গ্লাসটা হাতে নেয়। আকাশ খাটে শুয়ে পড়ে তখন। নীলা বলে দুধটা খেয়ে নেন আকাশ। ফুপিমা পাঠিয়েছে। ”

” আমার এসব দুধ লাগেনা নীলা। আমাদের কোনো নার্ভাসনেস নেই তাহলে অযথা দুধ খাবো কেনো? দুধটা খেতে পারি যদি তুমি অর্ধেক টা খাও। ”

” নীলা তখনি বাধ্য স্ত্রীর মতো অর্ধেক দুধ খেয়ে ফেলে। এরপরে আকাশকে অর্ধেক দুধের গ্লাস এগিয়ে দেয়। ”

” আকাশ দুধটা শেষ করে পাশে রাখা ল্যাম্পপোস্টের কাছে গ্লাসটা রেখে। নীলাকে ডাক দেয়। ”

নীলা তখন বেডে এসে গা এলিয়ে দেয়। আকাশ নীলাকে জড়িয়ে ধরে। এরপরে মুখে ও ঠোঁটে কয়েকটা লম্বা কিস করে। নীলা চুপ করে থাকে কারণ দুধটা খেয়ে নীলার উত্তেজিত ফিল ফিল লাগছিলো। এরপরে আকাশ ল্যাম্পপোস্টের আলো গুলো নিভে দেয়। দুজন দুজনকে চুমু দিয়ে ভরিয়ে ফেলে। একটা সময়ে পর একে অপরের ভালোবাসায় আলিঙ্গন করতে থাকে।

সকাল হয়ে যায়। নীলার ঘুম ভেঙ্গে যায়। নীলা চারদিকে চোখ বুলাতে থাকে। আকাশকে দেখে শর্ট পড়ে তার উপরে পা তুলে দিয়ে দুহাতে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে। আকাশের হাত নামিয়ে দেয়,পা সরিয়ে দেয়। ফুলশোভিত খাটটা এলোমেলো হয়ে গেছে। নীলা আস্তে আস্তে বেড থেকে উঠে। নীলার নিচের দিকে খুব ব্যাথা অনুভূত হচ্ছেছিলো। বেসিনে যেয়ে নীলা নিজের মুখ দেখে। অনেক জায়গায় নখের আচড় দেখতে পায়। নীলা প্রচন্ড রাগ হয় আকাশের উপর।

” কি লোকরে বাবা শিকারের উপর বাঘের থাপা বসিয়ে দিছে। কত ভালো ভাবতাম বিয়ের আগে এই লোকটাকে। কিন্তু প্রথমরাতে বাঘ তার আসল রুপ দেখিয়ে দিছে।কি দেখে যে এই লোকটাকে বিয়ে করেছিলাম। কোনো দয়া মায়া নেই লোকটার। ”

” আকাশ বেসিনের কাছে এসে বলে বীরবীর করে কি বলছো নীলা? নীলাকে পিছন দিক থেকে এসে জড়িয়ে ধরে। নীলার কাঁধে নিজের থুতনী লাগিয়ে দেয়। ”

” আপনার কোনো দয়া মায়া নেই আকাশ। বউয়ের উপর কেউ এভাবে নির্যাতন করে। চারদিকে শুধু বাঘের মতো আছড় মারছেন। ”

” এই যে বউ আমার মুখটা দেখো আমার কাধ দেখো। কি করেছো তুমি? ”

নীলা আকাশের মুখ ও কাঁধ দেখে লজ্জায় পড়ে যায়। নিজের উপর গিল্টি ফিল হচ্ছিলো। এ আমি কি করেছি তার সাথে। আকাশ তখন বলে গেঞ্জি খুলে দেখাবো আমার বুকটার সাথে কি করছো? ”

” নীলা এই কথা শুনে লজ্জায় পড়ে যায়। এই না না এসব করবেন না আমার লজ্জা লাগে। ”

” কাল রাতে তোমার মধ্যে তো লজ্জার আভাসটুকু পেলাম না। একা একটা নিরীহ ছেলে পেয়ে তার সতীত্ব এভাবে নষ্ট করে দিলে। বউয়ের এসব রুপ দেখে আমি নিজেই লজ্জায় পড়ে গেছিলাম। তুমি যতোটা ইনোসেন্ট সাজো ততোটা একেবারে নয়। আমি দেখেছি একা পেয়ে তুমি আমার সাথে এসব করছো। দেখছো কত আঁচড় মারছো আমাকে। চারদিকে শুধু লাল হয়ে আছে। বুকটাতে তোমার দুপাটি দাতের দাগ ইতিমধ্যে বসে আছে। ”

” নীলা মনে মনে বলে এসব কি বলছে আকাশ! সত্যি আমি এতোটা নির্লজ্জের মতো কাজ করেছি। আমিতো এরকম করার মেয়ে মোটেও নই। কিন্তু দাগগুলো তো মিথ্যা নয়। একাজ যদি সত্যি করে থাকি আমি ওনাকে মুখ দেখাবো কি করে? ”

” থাক বউ লজ্জা পেতে হবেনা! একটা কচি ছেলেকে পেয়েকে নিজেকে সামলাতে পারো নাই লোভের বশবর্তী হয়ে আমার সাথে এরকম করেছো। যাও আমি তোমাকে মাফ করে দিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়বার যেনো এরকম ভূল না হয়। তাহলে আমি কিন্তু এই সমাজকে বলে দিবো, আমার বউ অবলা স্বামী পেয়ে প্রতিরাতে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে। ”

” চুপ করেন! যতোটা ইনোসেন্ট সাজছেন আপনি ততোটাও নয়। লজ্জা করেনা পুরুষ মানুষ হয়ে এসব কথা বলতেছেন। আমি কি আপনাকে একা কাছে টেনেছি। আপনি টানেন নাই। আপনিয়ো তো আমার সব জায়গায় আচড় মেরেছেন। আমি কাউকে বলছি আমার সতীত্ব কেনো নষ্ট করলেন। আমার এখনো পুরো শরীর ঝিমঝিম করছে। নিচের দিকে ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে। এগুলা কার জন্য হচ্ছে সবতো আপনার জন্যই হচ্ছে। ”

” আকাশ এবার চুপ করে যায়। কারণ নীলা রাগলে তালছিড়ার মতো স্বভাব করে। এখন যদি তাকে রাগাই তাহলে বাইরের সবাইকে সব বলে দিতে পারে। তাহলে মান সম্মানের বারোটা বেজে যাবে। ”

” নীলা মনে মনে বলে এইতো চুপ করেছে। নাহলে মান সম্মানের তেরোটা বাজাইতো আমাকে দেখে দেখে। হুম ওনি এমন ভাব করছে যেনো আমি একাই ওনাকে কাছে পেতে চেয়েছি ওনি চায় নাই। এমন হাভভাব যেনো ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানে না। ”

” সাওয়ার নিয়ে বাইরে আসো নীলা নিচে যেতে হবে। ”

” আপনিয়ো সাওয়ার নিন। আমার সামনে এভাবে শর্ট পড়ে কখনো থাকবেন না আর। আমার লজ্জা লাগে! ”

” কেনো বউ আমাকে আবারো কাছে পেতে ইচ্ছে করে নাকি! বলতে পারো আমি রেডি আছি! ”

” কি নির্লজ্জ লোকরে ভাই। এ আমি কাকে বিয়ে করলাম। ওনিই কাছে টানবে। ওনিই আছড় মারবে। আবার মেয়েদের মতো ঢং করে বলবে আমার সতীত্ব হরণ করছে আমার বউ। আল্লাহ কোন পাপ করেছিলাম আমি এরকম জামাই আমার কপালে দিলেন।

চলবে,,,,

#দহন
#রিয়া_জান্নাত
#পর্ব_১৭

” হ্যালো ম্যাডাম আমি ইদ্রিস এতিমখানার মালিক নান্নু বলছি। আপনার দেওয়া ডেট অনুযায়ী ওইদিন গুলোতে আমাদের এতিমখানায় তিনটি বাচ্চার দায়িত্ব নেওয়া হয়। একটি ছেলে দুইটি মেয়ে। ছেলেটির নাম আদিত্য। মেয়ে দুটির নাম সৃষ্টি ও বৃষ্টি রাখা হয়েছিলো।

” আমার ছেলের খোঁজ লাগবে না নান্নু সাহেব। মেয়ে দুটির খোঁজ দেন। মেয়ে দুটিকে কারা ভর্তি করাইছে। এখন তারা কোথায়। ভর্তি হওয়ার সময় হাতে কোনো স্বর্নের ব্রেসেলেট পেয়েছেন কিনা? ”

” সৃষ্টি কে ভর্তি করাইছে তার মা। বৃষ্টিকে ভর্তি করাইছে সংস্থার কয়েকজন মহিলাগণ। সৃষ্টিকে যেহেতু তার মা ভর্তি করাইছে তাই সৃষ্টির সাথে আপনাদের কোনো কানেকশন পাবেন না। আর হ্যা বৃষ্টির জন্মের সময় বাম হাতে স্বর্ণের ব্রেসেলেট পাওয়া গেছে। ”

” সত্যি বলছেন নান্নু সাহেব? ”

” হুম নীলা ম্যাডাম। আপনাকে মিথ্যা বলার আমার সাহস আছে নাকি। তাছাড়া আপনারা আইনের লোক লিগ্যাল কাগজপত্র দিছেন সব এতিমখানায়। আমরা ইতিমধ্যে এই নোটিশ পেয়ে কিছুটা ভয়ে আছি। কারণ আমরা অবহেলিত সন্তান দের দায়িত্ব নেই। কারো বুক খালি করে সন্তান রাখিনা। আমরা অসহায়দের পাশে দাড়ানোর জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। তাছাড়া এসআই আরিয়ান যেভাবে রাগ দেখাইছে ব্যাপারটা আমার ম্যানেজমেন্ট খুব গুছিয়ে দেখছে। কারণ গত ত্রিশ বছরের ফাইল কম কথা নয়,এতো বছরের অতীত খোজে বের করা খুবই রিস্ক । বছরে দুইটা রেজিষ্ট্রেশন খাতা পরিবর্তন হয়। সেই হিসাবে ৬০ টা খাতা পরিবর্তন হয়েছে। আপনার ডেট অনুযায়ী সেই ০৫ দিনের মধ্যে আমরা এই তিনটি শিশুকে ভর্তি করাইছি। ”

” আচ্ছা এবার বলুনতো বৃষ্টি কোথায় এখন? আপনাদের এতিমখানায় তাকে কি পাবো? কারণ আমি নিশ্চিত হতে পারছিনা সেকি আসলেই আমাদের হারিয়ে যাওয়া সেই মানুষ। ”

” ম্যাডাম বৃষ্টির বিয়ে হয়ে গেছে। গত ০৫ বছর আগে ইদ্রিস এতিমখানায় তার সমাপ্তি ঘোষণা হয়েছে। বৃষ্টিকে ভালোবাসতো একটি ছেলে নাম তাহার সুজন মন্ডল। ছেলেটিকে ম্যানেজমেন্টের লোক হুমকি দিয়েছিলো। সে কেনো বারবার এতিমখানার গেটে আসে এই ব্যাপারটা আমাকে বলাতে আমি ছেলটির সঙ্গে কথা বলি। ছেলেটির সাথে কথা বলে বুঝতে পারি ছেলেটি অনেক ভালো। বৃষ্টির বাকি জীবন ওইখানে সুখে কাটবে। বৃষ্টির দায়িত্ব সুজন মন্ডলের হাতে তুলে দিই। আর আপনাকে এটাও বলছি সুজন বয়সে ছোট হলেও তাকে দেখে মনে হয়েছিলো তার ভালোবাসা নিখুঁত। এই ০৫ বছরে বৃষ্টি আমাদের সাথে একবারো কানেকশন করেনাই। আমরা নিশ্চিত সে অনেক সুখে আছে। বৃষ্টির বিয়ে মতিঝিলেই হয়েছে । বৃষ্টির বিয়েতে দুজন সাক্ষী ছিলো একজন আমি নিজে আরেকজন সুজন মন্ডলের বন্ধু। ছেলেটার নাম মনে পড়ছে না। আমি বাসার ঠিকানা জানিনা ম্যাম তাড়াহুড়োই ঠিকানা নিতে ভূলে গেছিলাম। খোঁজার চেষ্টা করলেই পাবেন। আপনারা আইনের লোক একটা বিজ্ঞাপন দিলেই কাজ হয়ে যাবে। ”

” এ আপনি কি বলছেন? আপনার বর্ণনা তো হবুহু তার সাথে মিলে গেছে। ধন্যবাদ নান্নু সাহেব। এতো তাড়াতাড়ি কাজটা হবে ভাবতে পারিনাই গত তিনমাস থেকে উঠে পড়ে লেগেছিলাম এই কেইসে। আচ্ছা ইনফরমেশন অনুযায়ী যদি সঠিক হয় দ্রুত আমি পুলিশকে জানিয়ে দিবো। কারণ এতিমখানার মালিকগুলো সবাই আপনার মতো হন্ন হচ্ছে। ”

” আচ্ছা ম্যাম রাখি তাহলে আল্লাহ হাফেজ। ”

নীলা মনে মনে বললো সে আমাদের চোখের সামনে অথচো তাকে খুঁজে চলেছিলাম রোবটের মতো। বিয়ের দেড়টা মাস এই খোঁজাখুজিতে সময় গেলো। যাইহোক বৃষ্টি যদি সত্যি ফুপির মেয়ে হয় তাহলে আকাশ ও ফুপি অনেক সারপ্রাইজ হবে। বৃষ্টি তার হারানো অতীত ফিরে পাবে।

এমন সময় রেহেনা এসে বললো নীলা আমি কি মরার পরেও জানতে পারবো না। আমার মেয়ে আদৌও বেঁচে আছে কিনা? আইনের লোক হয়ে তুমি এখনো কিছু করতে পারলা না। নাকি তুমি আমার ছেলেকে বিয়ে করার পর এই প্রতিশ্রুতি ভূলে গেছো।

” ছি! মা কি বলছো ? আইনের লোক যথেষ্ট চেষ্টা করছে। সকল এতিমখানার মালিকদের চাপে রাখছে। সকল থানায় বিষয়টা ইনফোর্ম করা হইছে। আপনার দেওয়া ডেট অনুযায়ী কোনো কাপল মেয়ে বাচ্চাকে এডোপ করছে কিনা? এসআই আরিয়ান সবাইকে অনেক চাপে রাখছে মা? বিষয়টা অনেক অতীত মা সময় লাগবে কিছু। খবরদার যদি মরার কথা বলছো তুমি আরেকবার। ”

” কি বলবো আর মানুষ আমাকে ঠকাতে ঠকাতে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে। এখন নিজের লোককেও প্রতারক মনে হয়। ”

” মা আমি তোমার সাথে পরে কথা বলবো। আমাকে কোর্টে যেতে হবে।”

” একা বাড়িতে আমার ভালো লাগেনা নীলা! চাকরিটা এবার বাদ দাও নাহলে আমাকে দিদিমা বানানোর ব্যবস্থা করো। ”

” নীলা দিদিমা হওয়ার খবরটা শুনে লজ্জায় পড়ে যায়। তোমার ছেলেকে এসব বলতে পারোনা। আমাকে কেনো বলছো? ”

” মেয়ে আবার লজ্জা পায়। বিয়ের দেড়মাস হয়ে গেছে এখনো এতো লজ্জা। আচ্ছা তুমি কোর্টে যাওয়ার পথে বৃষ্টির বাড়িতে যাইয়ো তো। একা একা খুব খারাপ লাগে। সাফাকে নিয়ে এসে যেনো আমার সাথে দেখা করে ও। ”

” ক্যান যে আকাশ ওকে ভাড়াকরা বাড়িতে পাঠালো। এতবড় বাড়ি আমাদের। আজ যদি ও থাকতো এতোটাও বোরিং ফিল করতে না তুমি। ”

” ও না থাকাতেই এখন নিঃসঙ্গ মনে হয় নীলা। ক্যান যে আমি আকাশকে বলে এই বাড়ি থেকে ওকে গত তিনমাস আগে বের করলাম। মেয়েটা রাগ করে তোমাদের বিয়েতেও আসলো না। অবশ্য যদিও এখন ও রেগে নাই। কারণ টা ভালোভাবেই বুঝছে ও। আমি যদি ওকে রাখতাম তাহলে সমাজ বলতো আকাশের দুই বউ। আকাশ এরকম অপবাদ পাবে ক্যান সমাজের কাছ থেকে। ”

” আকাশের জন্য গর্ব হয় মা। আকাশ ভূল লোককে জায়গা দেন নাই। আমি আসি মা তুমি সদর দরজা টা বন্ধ করে দিয়ো। ”

নীলা ইদ্রিস এতিমখানায় যায়। স্বর্ণের ব্রেসেলেট সংগ্রহ করে ডিরেক্ট বৃষ্টির বাড়িতে আসে।বৃষ্টি নীলাকে দেখে খুশি হয়।

” কি ব্যাপার নীলা কেমন আছো তুমি? ”
” ভালো আছি বৃষ্টি! তুমি কেমন আছো? সাফা কই! ”
” আলহামদুলিল্লাহ নীলা। তোমাদের জন্যই ভালো আছি। তোমরা এখনো নিঃসার্থ ভাবে আমাদের সাহায্য করছো। নিজের আপন লোক বোধহয় এতো করেনা। এখনো বাড়িভাড়া, গ্যাসবিল,পানিবিল,ময়লার বিল,কারেন্টের বিল, যাবতীয় দায়িত্ব নিঃসার্থ ভাবে পালন করছে শিকদার পরিবার। আল্লাহ তাদের নেক ইচ্ছে গুলো দ্রুত পূরণ করুক। আমি তাদের জন্য নতুন জীবন পেয়েছি। নাহলে কবে আমার মেয়েকে নিয়ে না খেয়ে মরে পড়ে থাকতে হতো। ”

” এভাবে বলো না বৃষ্টি। সাফা কই বললা নাতো? ”
” সাফা সম্ভবত বাইরে খেলতেছে। কেনো তাকে দেখবা, ডাক দিবো তাকে। ”
” না থাক! আচ্ছা বৃষ্টি তোমার কোনো বার্থডে চিহ্ন রয়েছে শরীরে। ”
” হুম আছে তো। আমার পেটে নাভির নিচে পোড়া পোড়া দাগ রয়েছে। এতিমখানা থেকে জানতে পারি। এগুলা নাকি আমার জন্মগত ”
” নীলা এই কথা শুনে আবেগে কেঁদে ফেলে। বৃষ্টিকে জড়িয়ে ধরে।”
” কি হইছে নীলা তুমি কাঁদছো কেনো? আকাশ কিছু বলেছে তোমাকে। নাকি খালাম্মা কিছু বলেছে। ”
” নীলা কিছুই বলতে পারছে না বৃষ্টিকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতেই থাকে কিছুক্ষণ। ”
” বৃষ্টি আর নিজেকে সামলাতে পারেনা। বৃষ্টিয়ো কেঁদে বলে কি হয়েছে নীলা তোমার। এভাবে তোমাকে কাঁদতে দেখি নাই কখনো। নিশ্চিত আকাশ তোমাকে আঘাত করছে। আমাকে বলো নীলা আমি কথা বলবো আকাশের সাথে। ”

” নীলা এবার ব্রেসেলেট বের করে বলে এইটা তোমার না? ”
” হ্যা। এইটা নাকি আমার জন্মের সময় থেকে ছিলো। বিয়ে হওয়াতে এইটা আর আনতে যাইনাই। তুমি এইটা কোথায় পেলে, তুমি কি এতিমখানায় গিয়েছিলে। ”
” নীলা আবার বৃষ্টিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে। ”
” বৃষ্টি এবার অপ্রস্তুত হয়ে বলে কি হয়েছে নীলা। কিছু বলবা তো কোর্টে যাওনাই ক্যান আজকে। ”
” নীলা তখন চোখের পানি টিস্যু দিয়ে মুছে, বৃষ্টিকে বলে ; তাড়াতাড়ি বের হও। আমি সাফাকে ডাকছি দ্রুতই শিকদার বাড়িতে যেতে হবে। ”
” কেনো! নীলা বলবাতো। ”
” আমি এখন কিছু বলতে পারবো না। তাড়াতাড়ি বের হও। ”

নীলা শিকদার বাড়িতে ঢুকে মা মা বলে চিৎকার করে। রেহেনা বেগম দ্রুত ড্রয়িংরুমে এসে বলে কি হয়েছে নীলা?

” নীলা কিভাবে কি বলবে ভেবে না পাইয়ে রেহেনাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে। ”
” কি হয়েছে নীলা! তুমি কাঁদছো ক্যান? তোমাকে তো সহজে কাঁদতে দেখি নাই। আকাশ কিছু বলছে তোমাকে। ”
” খালম্মা! আমিয়ো জানিনা আমার বাড়িতে যেয়ে একইভাবে শুধু কাঁদতেছিলো। ”

এমন সময় নীলার ফোন বেজে উঠে। নীলাকে এসআই আরিয়ান ফোন করছে। নীলা ফোনটা ধরলো।

” হ্যালো নীলা ম্যাডাম! আপনি নাকি হারিয়ে যাওয়া আকাশ স্যারের বোনকে ফিরে পেয়েছেন? আমাদের এখনো জানালেন না। জানেন আপনি কতবড় দায়িত্বহীনের মতো কাজ করেছেন। আপনার এই কেইসটিতে গত তিনমাসে সারা বাংলাদেশের এতিমখানা ও থানার পুলিশরা কতোটা চাপে রয়েছে? ”

” প্রথমে মাফ চাচ্ছি অফিসার। আমি আবেগে দায়িত্ব ভূলে গেছিলাম। আপনি সবাইকে জানিয়ে দেন রেহেনা শিকদারের হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে খুঁজে পেয়েছে নীলা শিকদার। ”

” কি বলছো নীলা। কই আমার মেয়ে। ”
” পরে বলছি মা! ফোনে কথা বলছি তো। হ্যা অফিসার আপনি বিজ্ঞাপন দিয়ে টিভিতে সংবাদে প্রচার করুন। তাহলে সবাই মরীচিকার পিছনে ছুটা বন্ধ করবে। ”
” নীলা শিকদারের কেইস মানেই মরীচিকা। সবকিছুতেই থাকবে অসাধ্য সাধন। অভিনন্দন ম্যাডাম আমি কিন্তু একটা ট্রিট পাওনা এখন ম্যাডাম। ”
” সবটাই হয়েছে আপনার জন্য। আপনি সাহায্য না করলে এতদূর অব্দি যাওয়া নীলার পক্ষে মোটেও সম্ভব হতো না। বলেন কবে আসবেন আপনি? ”
” আচ্ছা কোর্টে দেখা হলে সময়টা ঠিক করে নিবো। একদিন নাহয় যেয়ে ত্রিশ বছরের হারিয়ে যাওয়া অতিথিকে দেখে আসবো। আল্লাহ হাফেজ ম্যাম। ”
” আল্লাহ হাফেজ। ”

” কি নীলা তখন থেকেই ফোনে কথা বলছো। বলো না কই আমার মেয়ে। ”
” হ্যা নীলা খালাম্মার মেয়ে কে? আমিয়ো তাকে একটুখানি দেখি।

এবার নীলা বৃষ্টির হাত ধরে রেহেনার হাতে তুলে দেয়।

” মা বৃষ্টি হলো তোমার হারিয়ে যাওয়া সেই মেয়ে। ”
” মানে ”
” এই হলো বৃষ্টির জন্মগত ব্রাসেলেট। বৃষ্টির নিচে নাভী অংশের দিকে বার্থডে মার্ক আছে। তোমার দেওয়া ডেড অনুযায়ী সেইদিনের এতিমখানার মেয়ে বৃষ্টিই ছিলো। ”
” সত্যি বলছো নীলা বৃষ্টি আমার মেয়ে। ”
” ডিএনএ রিপোর্ট করতে পারো বিশ্বাস না হলে। তবেই বার্থ মার্ক কাকতলীয় হলেও ব্রাসেলেট তো কাকতলীয় না। ”

” ব্রাসেলেট হাতে নিয়ে বলে,এইটাইতো রায়হানের দেওয়া শেষ স্মৃতি। তার মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে এইটা পড়িয়ে দিয়ে তাকে কোলে নেয়। বৃষ্টিকে বুকে জড়িয়ে ধরে রেহেনা। কি করলাম আমি? আমার মেয়ে গত ০৫ বছর থেকে আমার কাছে তবুও চিনতে পারলাম না। কেমন মা আমি? আমাকে ক্ষমা কর মা। তোকে অনেক অবহেলা করছি আমি। ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠে রেহেনা। ”

” এই মাম্মি রেহেনা আফার কি হয়েছে? তোমরা কাঁদছো ক্যান? আমার পাপা কই? পাপা তো আমার সাথে এখন দেখা করতেও যায়না। ”

” সাফা মামুনি তুমি অনেক ছোট্ট এসব বুঝবা না। তোমার পাপা এলে বকে দিয়ো। আর আজকে থেকে তোমাকে ওই বাসায় থাকতে হবেনা। আজ থেকে আবার আগের মতো তোমার রেহেনা আফা, তোমার আম্মু, তোমার পাপা, তুমি ও আমি একসঙ্গে এই বাড়িতেই থাকবো। ”

” সত্যি বলছো মাম্মি। ”
“হুম! ”

বৃষ্টির এবার বলে উঠলো এতদিন পর মেয়েকে মনে করার দরকার কি রেহেনা শিকদার? পুরনো সেই আঘাতগুলো মনে করে দেওয়ার ইন্টেনশন কি?

” মা কে ভূল বুঝিয়ো না বৃষ্টি। মা নিরুপায় ছিলো। মা তোমাকে যথেষ্ট খোঁজার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু মা ছিলো সাধারন লোক। তাই মায়ের সত্যির সাথে লড়াই করার উপায় ছিলোনা। মায়ের সঙ্গ কেউ দেয় নাই তখন। সবাই মনে করেছিলো তুমি মারা গিয়েছো। একমাত্র মা মনে করেছিলো তুমি বেঁচে আছো। মায়ের অদম্য ইচ্ছে, আমার আইন, এসআই আরিয়ান সাহায্য তোমাকে শেষ পর্যন্ত আমাদের কাছে এনে দিয়েছে। তোমাকে কেনো হারিয়ে ফেলছিলো সেই কাহিনী তো তোমার সম্পূর্ণ জানা। মায়ের প্রতি অভিমান ভুলে যেয়ে মাকে আপন করে নাও ”

” বৃষ্টি তখন বলে আমি আমজাদ শিকদার কে কখনো ছাড়বো না মা! হাউমাউ করে কেঁদে জড়িয়ে ধরে দুইজনেই। ত্রিশ বছরের আবেগ যেনো একমুহূর্তে মরার বাড়ির কান্নার রোলে বইয়ে দিলো। ”

আকাশকে নীলা ফোন দিলো। আকাশ ফোন ধরে বললো কি হয়েছে নীলা?

” আপনি দ্রুত বাড়ি আসেন আকাশ? ”
” কি হয়েছে বাড়িতে। মায়ের কান্নার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। আম্মার কিছু হয়েছে নীলা? ”
” আপনি প্রশ্ন না করে দ্রুত বাড়িতে আসেন। সঙ্গে করে মিষ্টি নিয়ে আসিয়েন। ”

#চলবে,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে