ত্রিভুজ প্রেম
পর্বঃ২৪
জান্নাতুল ফেরদৌস সূচনা
রাইয়ান দৌড়ে তার দাদার রুমে যেতেই তার বাবা রাইয়ানকে এসে বলল,
-দেখ না রাইয়ান, তোর দাদাভাইয়ের কি হয়েছে? কোনো সাড়া শব্দ করছে না?
রাইয়ান বিষম্ভীত হয়ে দাদার কাছে গিয়ে দাদার হাতের পালস, হার্টবিট চেক করতে লাগল। সবকিছু চেক করে রাইয়ান ছলছল চোখে তার বাবার দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে ইশারা দেয়।
মি. রাশেদ রাইয়ানের ইশারা বুজতে পেরে চিৎকার দিয়ে কান্না শুরু করে দেয়। মুহুর্তেই সারা বাড়িতে কান্না রোল পড়ে যায়।
সকালের সূর্যের আলোটা পুষ্পর মুখে পড়তেই পুষ্প ঘুম ভেঙে যায়। ওঠে দেখলো রাইয়ান তার রুমে নেই। বাহির থেকে আওয়াজ আসছে। রুমের দরজাটা লাগানো থাকায় পুষ্প ঘুমের মধ্যে বাহিরের শব্দটা এতোক্ষণ পাচ্ছিলো না। পুষ্প কৌতুহল নিয়ে দরজা খুলে বাহিরে যায়। সবাই কান্না করছে। কি হয়েছে তা এখনো পুষ্প বুঝে ওঠতে পারছে না। বাড়িতে অনেক লোকের ভিড়। পুষ্প ভিড় ঠেলে ভিতরে ঢুকতেই মি. রাশেদকে দেখতে পেয়ে তার কাছে যায়।
মি. রাশেদ পুষ্পকে দেখতে পেয়ে তিনি ঢুকরে কেঁদে ওঠে বলে,
– মা রে, বাবা যে আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেছে।
কথাটা শুনতেই পুষ্পর পায়ের নিচের মাটি সরে যায়। নিজের কানে সে কথাটা এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না। পুষ্প ভিড় ঠেলে সামনে গিয়ে দাদার লাশটা দেখতে পায়। তার যেন এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না।
এইতো কাল রাতে তার সাথে কত কথা বলেছিল দাদা। আর এখন…
পুষ্প দৌড়ে লাশের কাছে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললো,
-দাদাভাই, ও দাদাভাই? কথা বলছো না কেন? কি হয়েছে তোমার? এই তো কাল রাতে এতো কথা বলেছিলে? আমার সাথে হাসি-ঠাট্টা করলে এখন কথা বলছো না কেন?
পুষ্পকে এভাবে কাঁদতে দেখে মিসেস মাহমুদা রেগে যায়। আর বলে,
– এসেছে এখন ন্যাকা কান্না করতে। বলি রাতে যখন সবাই কান্না করছিলো তখন তুমি কোথায় ছিলে? তখন তো নাক ডেকে ঘুমোচ্ছিলে। এখন এসে নাটক জুড়ে বসেছে। ওফ! অসহ্য। রাইয়ান এই মেয়েকে ডিভোর্স দেওয়ার পরেও এই মেয়ে এ বাড়িতে কি করছে? কালকেই কেন বললি না চলে যেতে?
মিসেস মাহমুদার এমন কথা শুনে মি. রাশেদ বললো,
– মাহমুদা এখন এসব কি বলছো তুমি?
– ঠিকই বলছি। এ মেয়েকে আর এক মুহূর্তও আমার সামনে দেখতে চাই না। রাইয়ান এখুনি একে এর বাসায় দিয়ে আয়। এই মেয়েকে একদম সহ্য হচ্ছে না আমার।
মায়ের এমন কথা শুনে রাইয়ান বাধ্য ছেলের মতো পুষ্পর কাছে গিয়ে বলে,
– চলুন।
কিন্তু পুষ্প এখনো স্থীর মূর্তির মতো দাড়িয়ে আছে। রাইয়ানের কথা তার কানেই যাচ্ছে না।
পুষ্পকে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে মিসেস মাহমুদা রেগে বলল,
– এই মেয়ে সহজ কথা শুনার পাত্র নয়। একে টানতে টানতে নিয়ে এখান থেকে নিয়ে যা রাইয়ান। নাহলে এখন আমি কিছু একটা করে বসবো।
মায়ের এমন কথা শুনে রাইয়ান পুষ্পকে হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যেতে থাকে তখনি পুষ্প বলে ওঠে,
-প্লিজ আমাকে এভাবে নিয়ে যাবেন না। আমাকে একটিবার দাদার মুখটুকু দেখতে দিন।
রাইয়ান পুষ্পর কোন কথা শুনছে না। সে পুষ্পকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে। পুষ্প আবার বললো,
– প্লিজ, আমি আপনার পায়ে পড়ি, শেষবারের মতো আমাকে দাদার মুখটুকু দেখতে দিন। এরপর নিজেই চলে আসবো।
পুষ্পর এমন কথা শুনে রাইয়ান পুষ্পর হাতটা ছেড়ে দিল। পুষ্প দৌড়ে যায় দাদার লাশের কাছে গিয়ে মুখের ওপর থেকে কাপড় সরিয়ে প্রাণ ভরে দেখে নেই দাদাকে। দাদার হাসিমাখা মুখটা এখনো তার চোখে ভাসছে। এরপর সে আস্তে আস্তে দাদার পায়ের কাছে গিয়ে পা ধরে কেঁদে কেঁদে বলে,
– আমাকে মাফ করে দিও দাদাভাই। আমি তোমার শেষ কথাগুলো রাখতে পারলাম না। তোমার শেষ ইচ্ছাগুলো পূরণ করার অধিকার আমি হারিয়ে ফেলেছি। আমাকে তুমি মাফ করে দিও।
বলেই পুষ্প সেখান থেকে দৌড়ে বাহিরে চলে আসে। রাইয়ান গিয়ে গাড়ির দরজা খুলতেই পুষ্প গাড়িতে বসে পড়ে। রাইয়ান গাড়িতে বসে গাড়ি স্টাট দেয়।
নাস্তার টেবিলে বসে চুপচাপ নাস্তা করছে পাপড়ি। মা, দাদীর সাথে এখন খুব কমই কথা বলে। বলতে গেলে দরকার ছাড়া কথা বলে না। নাস্তা শেষ করে ফাইল আর ব্যাগগুলো নিয়ে অফিসের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় পাপড়ি। আফিয়া বেগম অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল পাপড়ির দিকে। আগে প্রতিবার অফিসে যাওয়ার আগে পাপড়ি তাকে এসে জড়িয়ে ধরে বাই বলে যেত। কিন্তু ইদানীং পাপড়ি এসব কিছুই করে না। আফিয়া বেগম মন খারাপ করে রান্নাঘরে পা এগুতেই হঠাৎ গাড়ির শব্দ পায়।
গাড়ি থেকে পুষ্পকে নামতে দেখে আফিয়া বেগম দুই কদম দরজার দিকে পা বাড়ায়। আফিয়া বেগমকে দেখে পুষ্প দৌড়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। রাইয়ান আর গাড়ি থেকে নামে নি। সে গাড়ি ব্যাক করে নিজের বাড়িতে চলে যায়।
পুষ্পকে এভাবে কাঁদতে দেখে আফিয়া বেগম ভয় পেয়ে যায়। পুষ্পর কান্না শুনে রুম থেকে দাদীও বের হয়ে আসে। আফিয়া বেগম বিচলিত হয়ে পুষ্পকে জিজ্ঞেস করে,
– কি হয়েছে? এভাবে কান্না করছিস কেন?
পুষ্প আফিয়া বেগমকে জড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললো,
– মা, দাদাভাই আর নেই। চলে গেছে এ পৃথিবী ছেড়ে।
পুষ্পর এমন কথা শুনে আফিয়া বেগম আর দাদী দুজনই হতাশ হয়ে যায়। দাদী এগিয়ে এসে পুষ্পর মাথায় হাত দিয়ে বলে,
– এ পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী নয়। সবাইকে এ পৃথিবী ছেড়ে যেতে হবে একদিন। তুই এভাবে কাঁদিস না, এতে আরো ওনার আত্মা বেশি কষ্ট পাবে। তার চেয়ে বরং ওনার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কর, আল্লাহ ওনাকে জান্নাত বাসী করুক।
– কিন্তু এমন অবস্থায় তুই এখানে এসেছিস কেনো? তোকে তো ঐখানে সবার সাথে থাকার দরকার ছিলো।
আফিয়া বেগমের এমন কথা পুষ্প চুপ করে রইল। কান্নাটা একটু চেপে পুষ্প বললো,
– ওরা আমাকে ফিরিয়ে দিয়ে গেছে।
-মানে?
-রাইয়ান আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে মা।
-কিহ! এসব কি বলছিস তুই? আমাদের কিছু না জানিয়ে এসব…
-জেনেই বা কি করতে মা। আমাকে ঐ বাড়ির কেউ কখনো বউ হিসেবে মেনে নিবে না। রাইয়ান আমাকে কখনো ভালোবাসতে পারবে না। তাহলে এই মিথ্যে সম্পর্ক নিয়ে থাকার কোন মানে হয় না। তাই আমি ডিভোর্স পেপারে সই করে দিয়েছে।
-কিন্তু?
– আর কোন কথা নয় মা। আমি একটু একা থাকতে চাই।
বলেই পুষ্প কাঁদতে কাঁদতে নিজের রুমে চলে যায়।
-আজ সারাদিন কেটে গেলো অফিসে রাইয়ান আসে নি। অফিসের সব মিটিংও কেন্সেল করে দিয়েছে। ম্যানেজার সাহেবও নেই অফিসে। রাইয়ানের কোনো সমস্যা হয় নি তো?
চেয়ারে বসে বসে পাপড়ি এসব ভাবছে। হঠাৎ ম্যানেজারের কথায় তার হুশ ফিরে। ম্যানেজারকে দেখে পাপড়ি বিচলিত হয়ে জিজ্ঞেস করে,
– আজ বস অফিসে আসি নি কেন? আর আপনাকেও তো আজ সারাদিন অফিসে দেখে নি? কোনো প্রবলেম হয়েছে কি?
ম্যানেজার হতাশ হয়ে বললো,
– তুমি জানো না, বসের দাদা কাল রাতে মারা গিয়েছেন। তাই বস অফিসে আসে নি। আমি সারাদিন ঐখানেই ছিলাম। দাফনের কাজ শেষ করে এখানে আসলাম সবকিছু চেক করার জন্য।
-ও.. সো সেড। স্যার ঠিক আছেন তো?
– হুম।
– আপনি কোন চিন্তা করবেন না। আমি অফিসের সব কিছু সামলে নিয়েছি।
– ওহ! তাহলে তুমি এখন বাসায় চলে যাও। অফিস তো ছুটিই হয়ে গেছে।
-ওকে।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
সারাদিন পুষ্প কিছু না খাওয়ায় আফিয়া বেগম পুষ্পর সামনে খাবার নিয়ে তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। এমন সময় পাপড়ির আগমন। বাসায় এসে পুষ্পকে দেখতে পেয়ে পাপড়ি মুখে একটা বাঁকা হাসি দিয়ে বললো,
– ডিভোর্সটা তোকে দিয়ে দিয়েছে রাইয়ান তাহলে?
তার এমন কথায় পুষ্প পাপড়ির দিকে উদাসীন নজর নিয়ে তাকায়।
পাপড়ি আবার বলে,
– যাক ভালোই হয়েছে, ঝামেলাটা শেষ হয়েছে। এখন রাইয়ান আমাকে বিয়ে করতে পারবে।
পাপড়ির এমন কথায় আফিয়া বেগম রেগে ধমকের সুরে বলে,
– এসব কি বলছিস তুই। বোন হয়ে বোনের সংসার..
– কিসের সংসার মা? ভুলে যেওনা আপুর জায়গাটা আমার ছিল। আর তাদের ডিভোর্সের পর আমি আমার জায়গা ফিরে পাবো। এতে ভুলের কি আছে?
হঠাৎ দরজায় ঠকঠক আওয়াজ পড়ে। আফিয়া বেগম দরজা খুলতেই দেখে নীল দাঁড়িয়ে আছে বাহিরে।
– নীল, তুই এখন?
– হ্যা জেঠিমা। শোনলাম পুষ্প এসেছে, ওর সাথে দেখা করতে আসলাম।
বলেই ভিতরে ঢুকে পাপড়িকে দেখতে পায়।
– কিরে পাপড়ি, এখন যে আমাকে ছাড়াই অফিসে যাওয়া-আসা করিস? আমার জন্য অপেক্ষা করিস না যে?
– আমাকে প্রতিদিন তোর সাথেই যেতে হবে এমন কোন কথা ছিলো নাকি? আমি কার সাথে যাবো কি যাবো না সেটাও কি তোরাই ঠিক করবি?
পাপড়ির এমন কথায় নীল কিছুটা অবাক হয়ে বললো,
– এভাবে কেনো বলছিস? এতোদিন আমরা একসাথে যাওয়া-আসা করেছি তাই আমি এমনি জিজ্ঞেস করলাম।
পাপড়ি পুষ্পর দিকে তাকিয়ে বললো,
-হুম। এতোদিন অন্যের কথায় চলে দেখলাম ই তো। আমার সুখ কেড়ে মানুষ নিজে সুখী হতে চেয়েছিলো। কিন্তু জানিস তো অন্যের সুখ কেড়ে নিজে সুখী কখনও হতে পারে।
পাপড়ির এমন কথায় নীল কিছুটা বিস্মিত হয়ে বললো,
– তুই পুষ্পর দিকে তাকিয়ে এসব বলছিস কেন?
-কেন, তুই কি কিছু জানিস নাহ?
– মানে কি জানবো?
– রাইয়ান আপুকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে।
– কিহ! ডিভোর্স! কিন্তু কেন? রাইয়ান তো পুষ্পকে পছন্দ করে বিয়ে করেছিলো।
পাপড়ি মুখে বাঁকা হাসি দিয়ে বললো,
-রাইয়ান আপুকে নয় আমাকে পছন্দ করেছিলো। কারণ ও আমার অফিসের বস। আর এটা আপু ভালো করেই জানতো। তবুও আমাকে কিছু না জানতে দিয়ে সে রাইয়ানকে বিয়ে করে। রাইয়ান এখন সবটা জানতে পেরেছে তাই এখন ওকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে। আর কিছুদিন পরই রাইয়ান আমাকে বিয়ে করবে।
পাপড়ির কথা নীলের একদমই বিশ্বাস হচ্ছে না। সে বলল,
– এটা আমি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না যে পুষ্প এমনটা করতে পারে। আমি পুষ্পকে যতটা চিনি পুষ্প কখনোই এমনটা করতে পারে না। নিশ্চয় কোনো ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। পুষ্প তুই বল, সত্যিটা কি?
পুষ্প কিছু বলছে না শুধুই কাঁদছে।
– ওকে কি জিজ্ঞেস করছিস। আমি যা বলেছি তাই সত্যি।
– না পাপড়ি, পুষ্প এটা কখনই করতে পারে না। তুই ওকে ভুল বুঝেছিস।
-হয়েছে, তুই ও সবার মতো ওর পক্ষই নিচ্ছিস। তবে আমার সাথে কেউ না থাকলেও ওপরে আল্লাহ আমার সাথে আছে। তাইতো দেখিস না রাইয়ান আপুকে ডিভোর্স দিয়েছে। কারণ সে আমাকে পছন্দ করে।
– আচ্ছা বুজলাম রাইয়ান তোকে পছন্দ করে। কিন্তু পাপড়ি তুই কি রাইয়ানকে পছন্দ করিস? ভালোবাসিস রাইয়ানকে?
নীল এমন কথায় পাপড়ি চুপ হয়ে যায়। নীলের এই প্রশ্নের কোন উত্তর নেই তার কাছে।
– কি হলো, কোন কথা বলছিস না যে? আমি জানি এর কোন উত্তর নেই তোর কাছে। তুই পুষ্পর সাথে রাগ, হিংসা করে রাইয়ানকে বিয়ে করতে চাচ্ছিস।
নীলের এসব কথায় পাপড়ি রেগে ওঠে বলে,
– হয়েছে আমাকে আর জ্ঞান দিতে হবে না। আমি জানি আমি কি করছি। আর তুই আমাকে এসব বলার কে?এটা আমাদের ফেমেলি মেটার, এটাতে তুই কোন কথা না বললেই ভালো।
বলে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নেই পাপড়ি।
পাপড়ি মুখে এমন কথা শুনে নীল অবাক হয়ে যায়। একি সেই পাপড়ি যাকে সে অনেক ভালোবাসে। এতোটা বদলে গেলো কিভাবে পাপড়ি।
পাপড়ি নীলকে এভাবে অপমান করতে দেখে এবার পুষ্প বললো,
– ঠিকি তো বলছে পাপড়ি। তুই কোন অধিকার রাখিস না আমাদের ফেমেলি মেটারে কথা বলার। এভাবে আর নিজেকে অপমান না করে চলে যা এখান থেকে।এটাই তো জন্য ভালো।
বলেই পুষ্প কাঁদতে কাঁদতে তার রুমে চলে যায়।
নীল পুষ্পের চোখে তার কষ্টগুলো দেখতে পেয়েছে। কতটা কষ্ট নিয়ে তাকে এই কথাটা বলছে পুষ্প তা সে বুজতে পেরেছে। নীল আর কিছুই বললো না। শুধু একবার পাপড়ির দিকে তাকিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়।
চলবে…..