#তোর_ছায়ার_সঙ্গী_হব
লেখক-এ রহমান
পর্ব ১৬
৩৫
সকাল থেকে ঈশা খুব ব্যাস্ত। একবার এই ঘরে তো একবার ওই ঘরে। তার মা আর ইরা দাড়িয়ে তাকেই দেখছে। সে ভ্রু কুচকে নিজের সব জিনিস খুঁজে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে কিছু জিনিস খুঁজে পাচ্ছেনা তা খুজতে খুব ব্যস্ত। ঘরের মধ্যে ঈশা নিজের সব প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র দুইটা লাগেজে ভোরে নিচ্ছে। এই বাড়িতে ওর যত জিনিস পত্র আছে সব কিছুই গুছিয়ে নিচ্ছে। কিছুই বাদ রাখছেনা। কিন্তু তাকে কেউ কোন প্রশ্ন করার সাহস পাচ্ছেনা। সে মনোযোগ দিয়ে লাগেজের দিকে তাকিয়ে আছে।
–ঈশা তুই কি কোথাও যাচ্ছিস?
চাচির আওয়াজে সবাই তার দিকে ঘুরে তাকায়। ঈশা ছোট্ট করে হ্যা বলে। এবার তার মা তার দিকে ঘুরে তাকিয়ে বলে
–আমিও এই প্রশ্নটাই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তুই রাগ করবি তাই করতে পারিনি।
ঈশা আবার ব্যাগ গোছাতে গোছাতে বলে
–বললাম তো যাচ্ছি।
–কোথায়?
ঈশার মা জিজ্ঞেস করে। ঈশা উঠে দাড়িয়ে তার মায়ের সামনে এসে বলে
–মা আমার বিয়ে হয়েছে। আর কতদিন তোমাদের বাসায় থাকব। ৫ বছর হল তো।
ঈশার কথা তার মা আর চাচির মাথার উপর দিয়ে গেলো। দুজনি একবার ঈশার দিকে তাকাল। তারপর একে অপরের দিকে তাকাল। ঈশার চাচি শান্তভাবে বলল
–তা না হয় বুঝলাম। কিন্তু এখন কই যাচ্ছিস তা এখনো বুঝতে পারলাম না।
ঈশা বিরক্ত হয়ে কিছু বলতে যাবে তখনি ইলহাম এসে বলল
–আপি তুমি ডেকেছ?
ঈশা তার দিকে তাকিয়ে বলল
–হ্যা।আমাকে একটু হেল্প কর!
–কি হেল্প আপি?
–এগুলা আমার সাথে নিচে নিয়ে চল।
–কোথায়?
ঈশা বিরক্ত হয়ে বলল
–তোদের বাসায়।
সবাই ঈশার কথা শুনে তার দিকে তাকিয়ে আছে। ঈশা এবার খুব বিরক্ত বোধ করে বলল
–এভাবে তাকানোর কি আছে? বিয়ের পর মেয়েরা তো শ্বশুর বাড়িতেই যায়। নাকি সারাজীবন আমি বাসায় বসে থাকব।
ঈশার চাচি তার দিকে হা করে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো
–কোথায় যায়?
ঈশা বিরক্ত হয়ে কোন কথার উত্তর না দিয়ে ইলহাম কে বলল
–তুই কি আমাকে হেল্প করবি নাকি আমি নিজেই নিয়ে যাব?
ইলহাম কিছু না বলে তাড়াতাড়ি করে তার একটা বড় লাগেজ আর ছোট একটা ব্যাগ হাতে নিয়ে নিচে নেমে গেলো। ঈশা অন্য লাগেজ টা চেন লাগিয়ে বন্ধ করে ইরা কে ডাকতে লাগলো। ইরা দৌড়ে এসে বলে
–কি হয়েছে আপু?
ঈশা লাগেজটা দেখিয়ে দিয়ে বলল
–এটা নিতে আমাকে হেল্প কর।
–কোথায় নিতে আপু?
ঈশা রেগে বলল
–বেয়াদব কথাকার বেশি কথা বলিস! আমার সাথে ধরে নিয়ে চল!
বলেই লাগেজ টা ঈশা ধরে টানতে লাগলো। ইরা কি করবে বুঝতে না পেরে সেও এসে ধরে ফেললো। তারা দুজনে লাগেজ নিয়ে বের হয়ে গেলো। ইভানের মা ঈশার মাকে বলল
–ভাবি আমার মনে হচ্ছে কিছু একটা গণ্ডগোল আছে!
ঈশার মা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলো। তারপর ইভানের মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল
–যদিও কিছু বুঝতে পারছিনা কিন্তু আন্দাজ করতে পারছি। তাড়াতাড়ি নিচে চল।
তারপর দুজনেই নিচে চলে গেলো দেখতে। নিচে গিয়ে দেখে ঈশা তার সমস্ত জিনিস পত্র এক এক করে ইভানের ঘরে আনপ্যাক করছে। সবাই দরজায় দাড়িয়ে ঈশাকে দেখেছে। সে কাউকে দেখছে না। নিজের কাজে ভীষণ ভাবে ব্যস্ত। এমন সময় ঈশার মার হাতে থাকা ফোন বেজে উঠে। ফোনের শব্দে সবাই চমকে যায়। ঈশা তার মায়ের দিকে এমন ভাবে তাকায় যেন ফোন বাজাতে তার বিরাট কোন কাজের ব্যঘাত ঘটেছে। তার মা ঈশার দিকে তাকিয়ে ফোন ধরে ফেলে।
–হ্যালো
ঈশার বাবা অপর পাশ থেকে বলে
–শোন আমি আজ দুপুরে বাসায় আসবনা।
ঈশার মা বলে
–না আসলে দেখেবে কিভাবে তোমার বড় মেয়ের কি হয়েছে।
ঈশার বাবা বিচলিত হয়ে বলে
–কি হয়েছে ঈশার?
–জানিনা। শরীর খারাপ হবে হয়ত।
–কি বলছ? ঠিক করে বল?
–বাড়ি থেকে নিজের সব জিনিস এনে ইভানের ঘরে গুছিয়ে রাখছে।
ঈশার বাবা তার মায়ের কথা শুনে কিছুক্ষন চুপ করে থাকলেন। তারপর শব্দ করে হেসে বললেন
–কিন্তু ইভান তো বাসায় নেই।
–তাতে কি? অফিস থেকে আসবে তো। একবারে তো আর যায়নি।
তিনি আরও শব্দ করে হাসলেন। ঈশা তার মায়ের কথা শুনে বললেন
–কি হচ্ছে এখানে? সবাই এমন জটলা পেকে রেখেছ কেন? নিজের কাজে যাও। আর আমাকেও আমার কাজ করতে দাও। তোমাদের জন্য কাজে মনোযোগ দিতে পারছিনা।
বলেই সে নিজের মতো কাজে মনোযোগ দিলো। কিন্তু কেউ কোথাও গেলো না। সবাই চুপ করে দাড়িয়ে তার কাজ দেখছে। সে ইভানের আলমারি খুলে তার সমস্ত কাপড় এক পাশে ঠিক ভাবে গুছিয়ে রাখল। তারপর এক পাশে নিজের কাপড় গুছিয়ে রাখল। ড্রেসিং টেবিলে তার সমস্ত কসমেটিক্স এক এক করে গুছিয়ে রাখল। পুরো ঘর গোছানো শেষ হলে সে মাথা তুলে দেখে সবাই তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। সে বিরক্ত হয়ে বলে
–এখানে কি সিনেমা চলছে?
সবাই মাথা নাড়িয়ে না বলে। তাদের এভাবে মাথা নাড়ানো দেখে সে বিরক্ত হয়ে বলে
–তাহলে তোমরা কেন নিজেদের কাজ বাদ দিয়ে আমাকে দেখছ?
বলতেই যে যার মতো চলে গেলো।
৩৬
ঈশা বারান্দায় দাড়িয়ে সামনে তাকিয়ে আছে। বিকেল হয়ে গেছে। ইভান রাতে দেরি করে আসে। কারন ঈশা থাকেনা জন্য। ঈশা এসেছে শুনলে হয়ত এখনি চলে আসবে। কিন্তু ঈশা তাকে বলতে চায়না। ইভান কে সারপ্রাইজ দিতে চায়। আর সবাইকে স্ট্রিক্টলি নিষেধ করে দেয়া হয়েছে যাতে কেউ ইভান কে কিছু না বলে। তাই তো কেউ তাকে কিছুই বলেনি। কিন্তু ইভান জানেনা বলেই রাতে হয়ত দেরি করে আসবে। ঈশার যে অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছেনা। এই টুকু সময় অনেক বেশি মনে হচ্ছে। অথচ ইভান তার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করে আছে। কোন অভিযোগ করেনি কখনও। তাকে না পাওয়ার যে ক্ষত তার মাঝে তৈরি হয়েছে সেটাও সে কখনও বুঝতে দেয়নি। সব সময় তাকে ভালো রাখার চেষ্টা করেছে। তার ভালো থাকার মাঝেই নিজের সুখ খুঁজে নিয়েছে। ভাবতেই ঈশার চোখ ভরে এলো। আর অপেক্ষা করতে না পেরে ইভান কে ফোন দিলো। ইভান ল্যাপটপে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছিলো। ফোন বাজতেই পাশে রাখা ফোনের স্ক্রিনের দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকাল। ভাবল কাজের সময় ফোন ধরবেনা। কিন্তু স্ক্রিনে ঈশার নামটা দেখে তার সমস্ত টেনশন ক্লান্তি দূর হয়ে গেলো। একটু হেসে ফোন ধরেই বলল
–কি ব্যাপার মিসেস ইভান মাহমুদ আমাকে মিস করছেন বুঝি?
ঈশা ঠোঁট কামড়ে হেসে বলল
–আমি তো আর তোমার বাসায় তোমার ঘরে থাকিনা যে ফোন করে জিজ্ঞেস করবো কখন আসছ। তুমি সময় বলবে তারপর আমি অধির আগ্রহে বসে অপেক্ষা করবো।
ইভান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল
–আর কত আমাকে অপেক্ষা করাবি বল?
ঈশা হেসে বলল
–যে জিনিস সহজে পাওয়া যায় তার মুল্য থাকেনা। ধৈর্যের ফল সব সময় মিষ্টি হয়।
–এতো বছর ধরে ধৈর্য ধরেই আছি। কবে যে এর শেষ হবে!
ইভান অসহায়ের মতো কথাটা বলল। ঈশা তার কথা শুনে নিজের হাসি চেপে রেখে বলল
–তুমিই না বল আমার জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করতে পারবে। তাহলে এখন কি হল?
ইভান সিরিয়াস হয়ে বলল
–ভয় পাই। তোকে পেয়ে মরে গেলেও কোন আফসোস থাকবেনা। কিন্তু তোকে পাওয়ার আগেই যদি মরে যাই! তোর ভালোবাসা অনুভব করার আগেই যদি আমার কিছু হয়ে যায় তাহলে তুই খুব কষ্ট পাবি। আর তোকে কষ্টে থাকতে দেখলে আমি মরেও শান্তি পাবনা।
–কোথায় থেকে আসে এতো ভালোবাসা?
ঈশা আবেগি হয়ে জিজ্ঞেস করলো। ইভান একটু হেসে বলল
–যেখান থেকে ভালোবাসার সৃষ্টি হয়েছে ঠিক সেখান থেকেই।
ঈশা হেসে ফেলে। তার হাসি শুনে ইভানের মন ভালো হয়ে যায়। সে একটা স্বস্তির নিশ্বাস ছেড়ে বলে
–তোর এই হাসির মাঝেই আমার সব কষ্টের শেষ। তুই এভাবে হাসতে থাকলে আমি মৃত্যু পর্যন্ত তোর জন্য অপেক্ষা করতে পারব।
ইভানের কথা ঈশার মন ছুয়ে যায়। এতোটা ভাললাগা কাজ করে যে চোখ ছলছল করে উঠে। ঈশা চুপ করে থাকে। কারন কথা বলতে গেলেই সে কেঁদে ফেলবে। ঈশার অবস্থা ইভান বুঝতে পারে। ঈশাকে শান্ত করতে বলে
–ভাবিস না এতো সহজে মরবনা। আমি মরে গেলে তোকে কে বিরক্ত করবে বল।
ঈশা একটু হাসল। ইভান বলল
–সন্ধার মধ্যেই চলে আসবো।
বলেই ফোনটা রেখে দিলো। ঈশা ফোন রেখে বেশ কিছুক্ষন মুখে হাত দিয়ে হাসল। ইভান বুঝতেও পারছেনা তার জন্য কত বড় সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে।
৩৭
সন্ধ্যা হয়ে এলো তার পরেও ইভানের কোন খবর নেই। কিন্তু সে তো বলেছিল যে সন্ধ্যার মধ্যেই চলে আসবে। কিন্তু এখনো এলনা। তাহলে কি আরেকবার ফোন দিবে। না এতবার ফোন দিলে ইভান সন্দেহ করবে। কারন ঈশা তাকে কারন ছাড়া খুব কমই ফোন করে। ঈশা ঘরে বসেই ভাবছে এতোটা সময় অপেক্ষা করলো আর একটু অপেক্ষা করুক। চলেই আসবে। ভেবে বাইরে গেলো। তার চাচি রান্না ঘরে চা বানাচ্ছে। ঈশা রান্না ঘরে ঢুকে পাশে তাকের উপরে বসে বলল
–আমাকে ডাকনি কেন চাচি?
ইভানের মা একটু হেসে বলল
–তুই রেস্ট নিচ্ছিলি তাই ডাকি নি।
–নিচ্ছিলাম না। এমনিতেই বসে ছিলাম।
ইভানের মা ঈশার মাথায় হাত দিয়ে বলল
–জানিস তুই এসেছিস আমার বিশ্বাসই হচ্ছেনা। মনটা আজ ভরে গেলো তোকে দেখে।
ঈশা তাকের উপর থেকে নেমে ইভানের মাকে জড়িয়ে ধরে বলে
–আসতে তো আমাকে হতোই। তোমার ওই জেদি ছেলেকে দূর থেকে আর সামলাতে পারছিলাম না। তাই তো বাধ্য হয়ে এই বাড়িতে আসতে হল।
ইভানের মা চোখ মুছে কিছু বলতে যাবে তখনি ঈশার ফোন বেজে উঠলো। অপরিচিত একটা নাম্বার থেকে ফোন এসেছে। ধরবে কি না একটু ভেবে ফোনটা ধরেই ফেললো। ফোনটা ধরেই ওপাশের থেকে কিছু একটা শুনে ঈশার হাত থেকে ফোনটা পড়ে গেলো। ইভানের মা জিজ্ঞেস করলেন
–কি হয়েছে?
ঈশা তার মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল
–তোমার ছেলে এক্সিডেন্ট করেছে।
কথাটা শুনেই ইভানের মা কাঁদতে শুরু করে দিলো। ঈশা নিজেকে শক্ত রেখে বলল
–আমাদের হাতে সময় নেই। এখনি হসপিটাল যেতে হবে।
বলেই ঈশা নিজের বাসায় ফোন করে দিলো। সবাই উপর থেকে নেমে এলো। হসপিটালে যাওয়ার জন্য বের হল। রাস্তায় ঈশা তার বাবা আর ইভানের বাবাকে ফোন করে জানিয়ে দিলো। কিছুক্ষন পর সবাই হসপিটালে পৌঁছে গেলো। হন্তদন্ত করে সবাই ইভান কে খুজতে লাগলো। সামনে দেখল রাশিক আর সাহিল দাড়িয়ে আছে। পাশে তাকাতেই ঈশার চোখ পড়লো ইভানের দিকে। হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে আছে। আকাশি রঙের শার্টটাতে ছোপ ছোপ রক্তের দাগে বেগুনি বরন ধারন করেছে। ঈশা দৌড়ে গেলো ইভানের কাছে। একটু ঝুকে ইভানের মুখে হাত দিয়ে বলল
–তোমার কিচ্ছু হবেনা। তুমি ঠিক হয়ে যাবে।
ইভানের চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। তবুও সে জোর করে খুলে ইশাকে দেখছে। মন ভরে দেখছে। আর কখনও দেখতে পাবে কিনা জানেনা। ঈশা ইভানের চোখ বন্ধ হওয়া দেখে বলল
–চোখ খুলে রাখো। তোমার কিচ্ছু হবেনা। ইভান! আমার কথা শুনতে পাচ্ছ? প্লিজ ইভান! তোমাকে ছাড়া আমি বাচবনা। তোমাকে ছাড়া আমি শুন্য। আমার জন্য হলেও তোমাকে বাঁচতে হবে। আমি তোমাকে আমার ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে দিবো। তুমি যে ভালোবাসার জন্য এতদিন অপেক্ষা করে ছিলে সবটা আমি তোমাকে দিবো। প্লিজ ইভান চোখ খোল।
ইভানের চোখ বন্ধ হয়ে গেলো। সে ঈশার মুখ থেকে শুধু নিজের নামটা পর্যন্ত শুনতে পেয়েছিল। তার পরের কথা গুলো তার কানে যাওয়ার আগেই তার চোখ বন্ধ হয়ে যায়। প্রিয়তমার যে ভালোবাসা টুকু অনুভব করার জন্য এতদিন অপেক্ষা করেছিলো। যে ভালবাসাটা তার চোখে নিজের জন্য দেখতে চেয়েছিল সেটা ঈশা প্রকাশ করলো ঠিকই কিন্তু ইভানের দেখার ভাগ্য হলনা। ইভান ঈশাকে বলেছিল যে তার মনে জমিয়ে থাকা ভালোবাসা প্রকাশ করার আগেই যদি ইভানের কিছু হয়ে যায় তাহলে সব থেকে বেশি কষ্ট পাবে ঈশা। তার আফসোসের শেষ থাকবেনা। সেটাই কি হতে যাচ্ছে ঈশার জীবনে? ঈশা ইভান কে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সে নিজেই অনেক বড় সারপ্রাইজের সম্মুখীন হয়ে গেলো।
চলবে………।