#তোমায়_ঘিরে❤️
#Labiba_Islam_Roja
#Last_Part
.
.
🥀রিদির বাসায় পৌঁছে গেছিবঅনেকক্ষণ আগেই।রাস্তায় উনার আর কারীমার ঝগড়া খুনসুটি দেখতে দেখতে ওর বাসায় পৌঁছেছি আমরা।বড্ড বিরক্ত লাগছিলো ব্যাপারটায়।রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছিলো আমার।ইচ্ছ করছে মেরে দুটোকে গুম করে দেই।কি হাসাহাসি!রং-তামাশা উফফ! বিরক্তিকর।এই আরাভকে ঠাস!ঠাস! করে কয়েকটা চড় দিতে ইচ্ছে করছিলো আমার কিন্তু পারলাম না।যতই হোক স্বামী হন আমার।এগুলো মনে আনাও পাপ।গাড়ী থেকে নামতেই রিদির বর রিয়ান ভাইয়া এগিয়ে আসলেন আমাদের স্বাগত জানানোর জন্য।আমাদের ভেতরে নিয়ে গেলেন উনি।বাড়ির ভিতর ঢুকেই রিদির কাছে যেতে চাইলাম আমি। আমাকে রিদির রুম দেখিয়ে দিলেন ভাইয়া।ওর রুমে প্রবেশ করতেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো রিদি।যেন কতদিন পর পেয়েছে আমায়।গোল্ডেন কালারের লেহেঙ্গায় রিদিকে মানিয়েছে ভারী।
.
পুরো বাড়ীটা ঘুরে দেখার জন্য বাহিরে হাঁটছি আমি আর নাদিরা।কারীমা কে সেটা নাদিরাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কিন্তু আশানুরূপ কোনো জবাব পাইনি আমি।কেমন একটা রহস্য আছে এই মেয়েটার মধ্যে।নাদিরাও ওর বিষয়ে ক্লিয়ার করে কিছু বললো না আমায়।হঠাৎ চোখে পড়লো সামনে আরাভ আর মেয়েটা গল্প করছে।মেয়েটা একদম গাঁ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে উনার।পারছে না উনার ভিতর ডুকে যেতে।যদি পাতে তাহলে একদম উনার ভিতরেই ডুকে পড়তো।কি গাঁয়ে পড়া স্বভাবের মেয়ে বাবা।এমন মেয়ে আমি জন্মেও দেখিনি।একটা বিষয় ভেবেই অবাক হই….যেই আমি উনার স্ত্রী হওয়া সত্বেও আমার কাছ থেকে ডিস্টেন্স মেইনটেইন করে চলতেন উনি।সেই উনিই কিনা আজ ওই মেয়েটার সাথে এত ক্লোজ হয়ে কথা বলছেন।এটা কীভাবে সম্ভব খারাপ লাগছে না।না লাগবেই বা কেন ওই মেয়েটা তো আর সবার মতো না।ওটা তো গার্লফ্রেন্ড হয় উনার।নাহ!এদের আর চোখে দেখা যায় না।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওদের কাছ থেকে দূরে চলে যেতে হবে আমায়।নইলে নিজেকে কিছুতেই আটকাতে পারবো না আমি।রাগের বশে কি করতে না কি করে ফেলি।হয়তো কখনও এমন কিছু করে ফেলবো যেখানে নিজের অনুভূতি গুলো বাইরে বেড়িয়ে আসবে উনার সামনে।যা কখনও চাই না আমি।আজকে সন্ধ্যায়ই বাসায় ফিরে যাবো আমি।আর কখনও উনার সামনে আসবো না।
.
রিদির বাসা থেকে এসেছি মিনিট দশেক হবে বাসায় যাওয়ার জন্য অনেকক্ষণ ধরে বলে চলেছি আন্টিকে।কিন্তু আমাকে কিছুতেই যেতে দেবেন না উনি।কত করে বুঝিয়েও কাজ হলো না।ফলাফল শূন্যের কোঠায়!মুখ গোমড়া করে বসে আছি।তার একটা কারণও আছে।আসার সময় সেই কারীমা সংকটে পড়তে হয়েছে আমায়।ওই কারীমার জন্যই রাগ দেখিয়ে অনিচ্ছা থাকা স্বও্বেও আহানের সাথে ফিরেছি আমি।কিছুক্ষণ গাল ফুলিয়ে বসে বাইরে বের হলাম আমি।উদ্দেশ্য আরাভ আর কারীমা কি করছে সেটা দেখা।কেন জানিনা খুব ইচ্ছে করছে জানতে কিন্তু কেন সেটাও জানিনা আমি।মন বলছে দেখে আয় আর পা বলছে যাস না।এই দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছি আমি।শেষমেশ নিজের সাথে যুদ্ধ করে বাইরের যাওয়ার জন্য পায়ের সিদ্ধান্তকেই মেনে নিলাম আমি।বাইরে বের হয়ে বাগানের পাশে যেতেই আমার চোখ ছানাবড়া।এরকম দৃশ্য কখনও দেখবো ভাবতেও পারিনি আমি।বিশ্বাস জিনিসটা ঠুনকো সেটা আজকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে জানান দিয়ে গেলো আমায়।আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি।হাত পা অসার হয়ে যাচ্ছে আমার।চোখ থেকে ঝরে পড়ছে এক সমুদ্র পানি।সামনে থাকা পরিস্থিতি যেন বুঝতেই পারছি না।বড্ড এলোমেলো লাগছে।রাগটাকে কিছুতেই কনট্রোল করতে পারছি না আমি।অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ।।সামনে দাঁড়িয়ে আছেন আরাভ আর কারীমা।স্পষ্ট দুজনে কিস করতে ব্যস্ত তাই আমাকে দেখতেই পাচ্ছে না।এংরি ফেস নিয়ে গুন্ডিদের মতে উড়াল চণ্ডীর রূপ নিয়ে কারীমাকে এক ধাক্কায় উনার থেকে সরিয়ে দিয়ে উনার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম আমি।ধাক্কার তাল সামলাতে না পেরে কিছুটা দূরে ছিটকে পড়লো কারীমা। আহাম্মকের মতো দাঁড়িয়ে আছেন উনি।যেন কিছু বুঝে উঠতেই পারছেন না। হিটহির করে টানতে টানতে বাগানের একপাশে উনাকে নিয়ে গেলাম আমি।উনি বাধ্য ছেলেট মতো আমার সাথে ছুটে চলেছেন।উনাকে দাঁড় করিয়ে উনার শার্টের কলার চেপে বলে উঠলাম….
.
ওই মেয়েটার সাথে কি করছিলেন আপনি…?কি হয় ও আপনার…?কেন ওর সাথে এত কথা বলেন…?সারাদিন ওর সথে সাথে থাকেন কেন…?কিসের জন্য এন্সার মি!!
.
শান্ত গলায়….”মিহু শান্ত হও”!আমার কথাটা শোনো!!
.
কি শুনবো আমি!নিজের বউ থাকা স্বও্বেও অন্য একটা মেয়ের সাথে ছিঃ ছিহ!আমার ভাবতেও লজ্জা লাগছে আপনি আমার স্বামী।
.
লজ্জা লাগার কি আছে!!এমনিতেও তুমি তো আমাকে স্বামী হিসেবে মানোই না তাহলে আমি কার সাথে মিশলাম,কার সাথে কথা বললাম তাতে তোমার কি….?তোমার তো কিছু যায় আসার কথা না তাহলে…….
.
আমার যায় আসে!!কারণ আমি না মানলেও পুরো পৃথিবী জানে আপনি আমার স্বামী।সেই আপনি কিনা কারীমার সাথে এসব করছিলেন…
.
পুরো পৃথিবী দিয়ে কি হবে যেখানে তুমিই মানো না।যাগগে ছাড়ো আমাকে আমার কাজ আছে।
.
উনার কথা শুনে আরো রেগে গেলাম আমি।আমাকে ইগনোর করা।কলারটা আরেকটু চেপে ধরে কি কাজ…ওই কারীমার সাথে আমার জন্য পুরোটা করতে পারেন নি সেটা আই মিন ওই কাজটা করতে যাবেন বুঝি….কিছুতেই যেতে দেবো না আমি।
.
ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে করলে করতেও পারি!!আচ্ছা আমি যদি কারীমাকে কিছু করেও থাকি বা করতে চাই তাতে তোমার অসুবিধা টা কোথায়…?যদি আমাকে স্বামী হিসেবে মানতে কাছে টেনে নিতে তাহলে এর কিছুই হতো না।
.
আমি এসব শুনতে চাই না।আপনি ওই মেয়ে কেন কোনো মেয়ের সাথে কথা বলা তো দূরে থাক চোখ তুলে তাকাবেনও না বুঝেছেন।
.
না বুঝিনি!!আমি মেয়েদের দিকে একবার নয় একশোবার তাকাবো।তাতে তোমার কি…?কে হও তুমি আমার…?
.
কিছুতেই তাকাতে পারবেন না আপনি।কারণ আপনার উপর একমাত্র আমার অধিকার আর কারোর নয়।আপনি শুধু আমার আর কারোর নন।আমি আপনাকে ভালোবাসি।শুধু আমার মুখের কথাটাই শুনলেন মনটা বুঝলেন না খুব!খুব!খুব! খারাপ আপনি।উনাকে জড়িয়ে কেঁদে চলেছি আমি।কাঁদতে কাঁদতে উনার বুকে মাথা গুজে দিলাম আমি আহ!কি শান্তি।আমাকে পরম যত্নে নিজের বুকের সাথে শক্ত করে ধরলেন উনি।উনাকে জড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদছি আমি।আর আমাকে সামলাতে ব্যস্ত উনি।কিন্তু কোনো কথা বলছেন না।অনেকক্ষণ পর হুশে ফিরলাম আমি।এটা আমি কি করেছি।কাঁদতে কাঁদতে হেচকি উঠে গেছে আমার।নাক টেনে উনাকে নিজের কাছ থেকে ছাড়াতে চাইছি কিন্তু ছাড়ছেন না উনি।
.
উহুম নড়ো না!আমাকে তুমি ভালোবাসো সেটা সেদিন বললে না কেন হুম..?জানো আজকে আমার থেকে খুশী আর কেউ নেই আমার লাল টুকটুকে বউটা আমায় ভালোবাসে।এর চাইতে খুশীর খবর আর কি হতে পারে হুম।
.
ছাড়ুন বলছি!!আমি কিছুই বলিনি ওটা আপনার মনের ভুল তাছাড়া কিছু নয়।
.
তাই বুঝি বউ মণি কিন্তু আমরা তো সব শুনে নিয়েছি বলে পেছনে থেকে বেড়িয়ে এলো নাদিরা রামীম ভাইয়া আর কারীমা।ওদের আসতে দেখে আমাকে ছেড়ে দিলেন উনি।লজ্জায় মাথানিচু করে দাঁড়িয়ে আছি আমি।
.
আহা!ফাইনালি বউমণি ভাইয়াকে মনের কথাটা বললো।থ্যাংকস কারীমা আপু ভাইয়াকে হেল্প করার জন্য।
.
নাদিরার কথায় বিস্মিত হলাম আমি।কারীমা হেল্প করেছে মানে!প্রশ্নবিদ্ধ চোখে উনার দিকে তাকিয়ে আছি।
.
রামীমঃবুঝলে না তো!আমি বলছি।তুমি আরাভকে ভালোবাসো কিনা সেটা জানার জন্য কারীমা কে আমরা নিয়ে এসেছিলাম তোমাকে জেলাস ফিল করানোর জন্য।কারীমা যা করেছে আমাদের কথায় করেছে।এখন আমাদের প্ল্যান সাকসেসফুল!ওকে আর তোমাদের মধ্যে থাকছি না আমরা।এবার নিজেরা নিজেদের বুঝে নাও।আসছি বাই বলে চলে গেলেন উনারা।
.
দুজনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি অনেকক্ষণ হলো।কারো মুখে কোনোকথা নেই।আচমকা আমকে জড়িয়ে ধরলেন উনি….উনার ব্যবহারে শকড আমি কি হচ্ছে টা কি…?ছাড়ুন আমায়..!!
.
আমার বউকে আমি জড়িয়ে হার্টবিট শুনছি শুনতে দাও তো!ডিস্টার্ব করো না। এই পাগলি মেয়ে ভালোবাসো তাহলে এত দূরে সরিয়ে রেখেছো কেন আমায়।
.
আমি কখন আপনাকে দূরে সরালাম আপনিই তো আমাকে দূরে সরিয়ে দিলেন।আমার ইচ্ছে অনিচ্ছা,মতামত নেওয়ার প্রয়োজনই মনে করলেন না আপনি তাহলে এখন এসব আমায় বলছেন কেন..?
.
আমাকে ছেড়ে দিয়ে আচ্ছা বাবা সরি!এই কান ধরছি আর কোনোদিন এমন হবে না।আমি ভেবেছিলাম বিয়ের অজুহাতে তোমায় আটকালে তোমার প্রতি অন্যায় হবে ছেড়ে দিয়েছিলাম।কিন্তু এখন বুঝতে পারছি কতবড় ভুল করেছি আমি।ক্ষমা করবে না আমায়..?
.
দেখুন!ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই।যা হওয়ার হয়ে গেছে বাদ দিন।
.
যা হয়েছে ঠিক আছে।কিন্তু এবার কি আমরা পারি না নতুন করে শুরু করতে।যেখানে আমরা দুজন দুজনকে চাই সেখানে কি কোনো সমস্যা আছে।প্লিজ মিহু আমায় ফিরিয়ে দিও না।ভুল করেছি তার শাস্তি তুমি এভাবে আমায় দিও না।তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না আমি।প্লিজ ক্ষমা করে দাও এই দেখ আমি কান ধরছি প্লিজ!
.
বাচ্চাদের মতো কান ধরতে দেখে হেসে উঠলাম আমি।অপলক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন উনি।আমি ক্ষমা করেছি না বললে কান ছাড়বেন না তিনি।শেষমেশ উনাকে ক্ষমা করে দিলাম আমি…!!
.
.
পরেরদিন সকাল বেলা আন্টিকে আমাদের ব্যাপারে সত্যি টা বলে দিলেন উনি।উনাকে আগে থেকে না জানানোও কিছুটা মন খারাপ থাকলেও এই বিষয় টায় ব্যাপক খুশী।উনার বাসা থেকে বিদায় নিয়ে আমাকে নিয়ে আমাদের বাসায় ছুটলেন উনি।আগে থেকেই এই ব্যাপারে অবহিত আছেন ভাইয়া।আজ আব্বুর কাছ থেকে আমাকে চেয়ে নিবেন উনি।খুব ভয় হচ্ছে যদিও জানিনা আব্বু কি বলবেন।আব্বু আম্মুকে মানিয়ে নিয়েছেন উনি।আমাকে নিয়ে রওয়ানা হয়েছেন নিজ গন্তব্যে।উনার কথায় পড়েছি উনার দেওয়া নীল শাড়ি।বিকেলে আমাকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লেন উনি বাসায় পৌঁছাতেই খবর পেলাম মেহরুকে হসপিটালে এডমিট করা হয়েছে।ওর একটা ফুটফুটে মেয়ে হয়েছে।দেখতে একদম মেহরুর মতোন।কি কিউট!প্রথমদিনই হাসছিলো।নীলাভ ভাইয়া মেয়েকে পেয়ে ভীষণ হ্যাপী।কোল থেকে নামাতেই ছাইছেন না উনি। এটা দেখে মেহরুও খুব খুশী।আমাকে দেখে খুশীতে চোখ চিকচিক করছে আন্টির।বুঝাই যাচ্ছে আমার ফিরে আসাটায় কতটা আনন্দিত উনি।মুখে হাসির রেখা টেনে বললেন…..এই ফ্যামিলি এখন পরিপূর্ণ।আমার দুই বৌমা আর দুই ছেলেকে নিয়ে এবার আমি খুব সুখে দিন কাটাবো।আর কোনো দুঃখ দুর্দশা যেন না আসে।
.
.
এক বছর পর…..
আজ আমাদের প্রথম এ্যানিভারসারি!!ব্যাপারটায় কোনে বিশেষ প্ল্যান নেই আমাদের।নেই সেলিব্রেশনের জাঁকজমকতাও।নাদিরা নীলাভ ভাইয়া চেয়েছিলেন ধুমধুাম করে সেলিব্রেইট হোক কিন্তু আমরা সেটা চাই নি।তাই সব প্ল্যান ক্যানসেল।আমাকে নিয়ে বিকেলে বের হবেন উনি।আমরা নিজেদের মতো সেলিব্রেইট করবো দিনটি।
.
নদীর পাড়ে পা ডুবিয়ে দুজনে বসে আছি পাশাপাশি।নির্জন কোলাহল হীন স্থান।শহর থেকে খানিকটা দূরে।এই ইট পাথরের শগরের মাঝে এমন প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখবো ভাবতেও পারিনি।উনার কাঁধে মাথা দিয়ে নদীর ঢেউ দেখতে ব্যস্থ আমি।আমার হাত দুটো উনার মুঠোয় ভরে হঠাৎ বলে উঠলেন উনি…..সেদিন প্রপোজ করেছিলাম গোলাপটা ফেলে দিয়েছিলে আজ আমার অপূর্ণ আবদার পূরণ করে দাও বলে আমাকে কোলে করে নদী থেকে একটু দূরে দাঁড় করালেন। হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন আমার সামনে।আমার হাত ধরে এক গুচ্ছ গোলাপ এগিয়ে দিয়ে বললেন…..
.
ভালোবাসি মিহু!খুব ভালোবাসি।এভাবে তোমার ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে রেখ আমায়।কিচ্ছু চাই না আমি শুধু তোমাকেই চাই।তোমায় ঘিরে তোমায় নিয়ে বাঁচতে চাই।তোমার হাত ধরে তোমার পাশাপাশি হাঁটতে চাই…!!কি এইটুকু কি পেতে পারি আমি…?
.
উনার কথা শুনে চোখ টলমল করছে আমার।এই কান্না দুঃখের,নয় সুখের!! মানুষ অতি সুখেও কাঁদে আমিও তাই কাঁদছি।উনার হাত থেকে ফুলগুলো নিয়ে ধরা গলায় বলে উঠলাম….অবশ্যই পাবেন আপনি!!আমিও আপনাকে খুব ভালোবাসি আরাভ।আপনার সুখে দুঃখে পাশে থাকতে চাই।ভালোবাসতে চাই!আপনাকে ঘিরেই বাঁচতে চাই…!!
.
বসা হতে উঠে দাঁড়ালেন উনি।আমাকে কপালে ভালোবাসার পরশ এঁকে চোখ মুছে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলেন উনি।কেঁদো না মিহু।তুমি জানোনা তোমার কান্না সহ্য হয় না আমার।এবার থেকে কোনো কান্না আমরা শুধু হাসবো।
.
হুম!! আর কাঁদবো না।
.
এভাবে সবসময় হাসিখুশি থাকবো মোরা।ঝগড়া করবো আবার ভাব করে ভালোবাসবো।একে অন্যকে ঘিরে বাঁচবো।আমায় ঘিরে তুমি আর #তোমায়_ঘিরে♥️ আমি…..!!
______সমাপ্ত______