#তোমার_নেশায়_আসক্ত
#parr:14
#Suraiya_Aayat
আরূর ফিরতে অনেক লেট হয়েছে প্রায় দু ঘন্টা ৷ ও কোথায় গিয়েছিল কি করছিল কেউ জানে না ৷কলেজ ছুটি হয়েছে সাড়ে চারটের সময় আর এখন বাজে সাড়ে সাতটা, বাড়ির সবাই খুব চিন্তিত ৷ সানা বার্থডে পার্টি থেকে চলে এসেছে তাড়াতাড়ি ৷ ড্রয়িংরুমে আরিশের মা আর সানা দুজনেই আরুর জন্য অপেক্ষা করছে ৷
আরিশের মা : এত রাত হয়ে গেল মেয়েটা এখনো বাড়ী ফিরল না , না জানি কোন বিপদে পড়ল কিনা দিনকাল খারাপ, আমার খুব চিন্তা হচ্ছে সানা ৷ তোর ভাইয়াকে বলনা একবার যেন মেয়েটাকে একটু খুঁজতে বের হয় ৷
সানা : আমিতো ভাইয়াকে বললাম কিন্তু ভাইয়া বলল আরূ ঠিক ফিরে আসবে সে যেখানেই থাকুক না কেন৷ ও এখন ওর ঘরে বসে কাজ করছে৷
আরিশের মা : কোথায় মেয়েটাকে খুঁজে আনবে তা না!
আরিশের বাবা এসে বললেন : চিন্তা করোনা, তোমার ছেলে যখন একবার বলেছে যে আরু মামনি ফিরে আসবে তার মানে ফিরে আসবে , এটুকু বিশ্বাস আমি আমার ছেলের উপর রাখি ৷ কখনো আরু মামনির কোন বিপদ হতে দেবে না ও ৷
আরিশের মা: বুঝিনা তোমার ছেলে এত কনফিডেন্স কোথা থেকে পায় , আল্লাহ যদি ওর মতো কনফিডেন্স একটু আমাদের দিত তাহলে এত চিন্তা করতে হত না৷ আবার শুনলাম রাইসারা আসছে ৷ আপু তো আজকে ফোন করেছিলেন ফোন করে বললেন যে আরিশ কে যেন ঠিক করে বোঝাই বিয়েটার জন্য, কিন্তু এখন তো সেটা সম্ভব নয় কোনভাবেই ৷
ওরা এই সমস্ত কথা বলছে আর তখন দরজার বেল বাজতেই সানা দৌড়ে ছুটে গেল , দরজা খুলতেই দেখল আরু দাঁড়িয়ে রয়েছে ৷
আরু ঘরে ঢুকতেই আরিশের মা জিজ্ঞাসা করল’:
কোথায় ছিলি রে মা এতক্ষন ? কত চিন্তা করছিলাম আমরা ,আর একটা ফোন তো করবি , একেই দিনকাল ভাল নয় ৷
আরু:তোমরা খামোখা চিন্তা করছিলে ,মামনি দেখো আমি ঠিক আছি ৷
সানা : তোর এত দেরি হলো !তুই কি কোথাও গেছিলি?
আরূ মাথা নিচু করে রইল : হ্যাঁ গিয়েছিলাম৷
আরিশের বাবা : কোথায় গিয়েছিলি মামনি এই ভরসন্ধ্যায় , কাউকে কিছু না বলে ৷
আরু: আসলে বাবা আমার বাপির খুব শরীর খারাপ ছিল তাই ওই বাড়িতে আমাকে যেতে হয়েছে ৷
আফজাল সাহেব: উনি এখন কেমন আছেন , আই মিন ঠিক আছেন তো?
আরূ: আগের থেকে ভালো আছেন ৷
আরিশের মা : কলেজ করে তুই আবার ওখানে গিয়েছিস অনেকটা ধকল হয়েছে তোর উপরে আমি জানি , তুই আর এখানে বেশিক্ষণ না দাঁড়িয়ে রুমে যা আর আরিশকে একটু বুঝিয়ে বল দেখবি ঠিকই বুঝবে আরিশ ৷
আরু: হমম, বলে মাথা নিচু করে ঘরের দিকে চলে গেল ৷
আরূর মধ্যে ভাবাবেগের কোন পরিবর্তন নেই, ওর মাথায় এখন ওর বাবার বলা কথাগুলোই ঘুরছে….(কি বলেছে সময় হলে জানাবো )
আসলে কলেজ ছুটির পর আরূ যখন আরিশের উপর রাগ করে ওখান থেকে চলে আসছিল তখনই হঠাৎ ওর ফোনে ওর মায়ের থেকে কল আসলো ৷ ওর মায়ের কল দেখে অনেকটা খুশি হলো আরূ, কল ধরতেই ওর মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওকে তাড়াতাড়ি ও বাড়িতে যাওয়ার কথা বললেন , ওর বাবা নাকি খুব অসুস্থ আর ওকে দেখতে চাইছেন বারবার৷ আরু তাই বেশিক্ষণ দেরী না করে চলে গেল আরিশ কে বা কাউকে বলার সময়টুকু পায়নি ৷
|
|❤
|
আরু রুমে গিয়ে দেখল আরিশ রুমে নেই,আরিশ নেই দেখে আরু একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ব্যাগটা রেখে ওয়াশ রুমে চলে গেল ৷ এখন একটু সাওয়ার নেবে ও ৷ সারাদিনের ধকলে আর কিছু ভালো লাগছে না ওর৷
প্রায় আধঘন্টা ধরে শাওয়ার নিয়ে এলো আরু….
বৃষ্টির দিন ঠান্ডা পরিবেশ , মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে প্রচন্ড , বাইরের আকাশটা কালো মেঘে ছেয়ে গেছে ৷ ঘরের তাপমাত্রা টা মনোরম হওয়ায় এসি টা অফ করে দিলো আরু ৷ ভেজাচুল থেকে টপ টপ করে পানি পড়ছে আর তাতে ব্লাউজের পিছনের অংশটা ভিজে গেছে অনেকখানি…
আরূ তোয়ালে দিয়ে মাথাটা মুছতে মুছতে ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালো ৷ বাইরে প্রচন্ড হাওয়া বইছে আর তা ওর শরীরদিয়ে বয়ে যাচ্ছে, অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করছে আরুর মধ্যে ৷ নির্জনতায় নিজেকে যেন বারবার খুঁজে পাচ্ছে আরূ ৷
হঠাৎ পেটে কারোর শীতল হাতের স্পর্শ পেয়ে একটু কেঁপে উঠল , বুঝতে পারল যে আরিশ এসেছে৷আরিশ ছাড়া এরকম কাজ কেউ করবে না আর করার সাহস ও পাবেনা ৷
আরিসের সঙ্গে আরু বেশি কথা বলতে চায় না তাই ঠান্ডা লাগলেও চোখ মুখ খিচে সেখানেই দাঁড়িয়ে রয়েছে কোন আবেগ প্রকাশ করছেনা ৷
আরিস আরূর চুলে মুখ ডুবিয়ে বলতে লাগলো : কি শ্যাম্পু ইউজ করো আরুপাখি যে এত ঘ্রাণ আসছে আর তাতে আমি পাগল হয়ে যাই বারবার ৷
আরু এখনো কথা বলছেনা, আগের মতোই দাঁড়িয়ে রয়েছে ৷
হঠাৎই কাঁধে আরিশ কামড়ে দিতেই আরূ আহ করে আওয়াজ করে উঠলো ৷
আরুশি একটু চেচিয়ে : ভ্যাম্পায়ার নাকি আপনি যে এভাবে সব সময় যখন তখন কামড় দেন ৷
আরিস : তোমাকে আমি কিছু জিজ্ঞাসা করছি,আর তুমি উত্তর দিচ্ছ না বলেই তো এরকম করেছি….
আরু : আবার আগের মতো শান্ত রইল,আরিশের প্রশ্নের কি উত্তর দেবে ও ! কিছুই বলার নেই ওর….
আরিশ আরূর গালে আলতো করে ঠোঁট স্পর্শ করে বলল : তা কোথায় গিয়েছিলে আরুপাখি?
আরুশি একটু থেমে : ও বাড়িতে গিয়েছিলাম ৷
আরিশ : আচ্ছা তা কেমন আছেন তোমার বাবা?
আরু একটু অবাক হল আরিশ এর কথা শুনে কারণ ও তো আররিশকে এখনো সমস্তটা বলেননি তাহলে কিভাবে জেনে গেল আরিশ ৷
আরোশী : ভালো ৷
আরিশ আরূকে সামনের দিকে ফিরিয়ে আরুর কোমরটা জড়িয়ে ধরে ওর কাছে নিয়ে আসলো তারপর বলল : তা তোমার অভ্র কে দেখতে যাওনি?
আরুশি রাগ দেখিয়ে : সব কথার মাঝখানে উনাকে টেনে আনবেন না ৷
আরিশ এবার আরুর চুলের মুঠি ধরে ওর মুখের কাছে মুখটা নিয়ে গিয়ে বলল : আজ যদি তোমার কোন একটা নোংরা ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় তাহলে ভাল লাগবে তো তোমার?
আরুশি: আহ লাগছে আমার , আপনি ছাড়ুন আর আপনি এসব কি বলছেন?
আরিস : কি বলছি বুঝতে পারছ না তাইনা, ওয়েট বলে আরুশিকে টানতে টানতে ঘরে নিয়ে গেল…
আরিশ এবার ওর ফোনটা এনে আরুশির সামনে ধরল : আরিস এই নাও দেখো ৷
আরুশি ভিডিওটা দেখে অবাক তার কারণ ও ওর বাবার কাছে গিয়েছিল সেখানকার ভিড়িও ৷ ও আজ কলেজে শাড়ি পড়ে গিয়েছিল, তারপর ওখান থেকে ওর বাবার কাছে গিয়ে ছিল, ভিড়িওতে দেখাচ্ছে ওর শরীরের বিভিন্ন অংশ গুলো কেউ ক্যামেরাতে স্পষ্টভাবে তুলেছে ,ভিডিওটা নোংরা মানসিকতা নিয়েই বানিয়েছে কেউ ৷
আরোশী ভিডিওটা দেখে অবাক হয়ে গেল,,,,
আরিস : কি ভালো লাগছে তো এবার?
আরুশি: আপনি এটা কোথায় পেলেন ?
আরিশ:তোমার সব খবরা খবর জানতে আমার দু সেকেন্ডেরও সময় লাগে না আরুপাখি ৷
আরু: তা মানলাম বাট আপনি কিভাবে শিউর হইলেন যে এটা উনিই বানিয়েছেন, না জেনে শুনে কারো ব্যাপারে এভাবে দোষ দেওয়াটা ঠিক না, আর উনি ওখানে ছিলেন না তাহলে ভিডিও টা কিভাবে বানাবেন!
আরিশ আরূর কথা শুনে রেগে ফোনটা নিয়ে ছুড়ে মারল দেওয়ালে , নিমেষেই ভেঙে চুরমার হয়ে গেল
ফোনটা, ফোনটা ভাঙতেই আরু চমকে উঠল ৷ সামান্য একটা কথা তে এভাবে রেগে যাবে সেটা আগে বুঝতে পারিনি ও ৷
আরিশ : এত ভালোবাসা! থাকতে হবে না তোমার আমার কাছে, চলে যাও যে তোমাকে ভালবাসে , তার কাছে যাও ৷ তোমার বার আর ওই অভ্রর কাছে ৷ এটাইতো তুমি চাও বলে রাগ দেখিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল ৷
আরিশ চলে যেতেই আরুর চোখ দিয়ে অনবরত জল গড়িয়ে পড়ল , এটা আরিস এর প্রতি রাগ নাকি, অভিমান নাকি ওর করা ভুলের জন্য এই চোখের জল সেটা ও জানে না ৷ বাইরে গাড়ি স্টার্ট হওয়ার আওয়াজ শুনতে ই আরুর আর বুঝতে বাকি রইলো না যে আরিশ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে রাগ করে…
আরু:উনি এত সহজে বলে দিলেন চলে যাওয়ার কথা?আচ্ছা বেশ থাকবো না আমি ৷ওনার তো ভালোবাসার মানুষ আছে তাই না ! আমার থেকে কি লাভ….
|
|❤
|
সমুদ্রের ধারে বসে আছে আরিশ আর আরাভ ৷
আরাভ: দোস্ত ভাবীর উপর রাগ করিস না , হয়তো ভুল করে ফেলেছে, অল্প বয়স সবকিছু এত তাড়াতাড়ি বুঝে উঠতে পারেনি ৷
আরিশ : একটা মিনিমাম সেন্স টুকুও তো মানুষের মধ্যে থাকে নাকি, এমন বলদ এর মত বুদ্ধি কেন ওর! কবে বুঝবে সব ৷ কবে বুঝবে কে ওর ভালো চাই আর কে ওর ক্ষতি চাই ৷
আরাভ: এসব ছাড় ,আর বাড়িতে যা নাহলে ভাবি কষ্ট পাবে ৷
আরিস : কোথাও যাব না আমি,তোর যদি আমার সাথে থাকতে সমস্যা হয় তুইও চলে যা , কাউকে দরকার নেই আমার ৷ আর কষ্ট ! আমি ওর সাথে না থাকলে ও খুশি হয় তাই জন্য তো কিভাবে বলল যে কাজটা অভ্র কিছুতে.ই করতে পারে না ৷ আচ্ছা অভ্রের প্রতি ওর এত বিশ্বাস কোথা থেকে আসে?কেন বোঝেনা অভ্র কি চাই !,
আরাভ: আচ্ছা তুই রাগ করিস না সব ঠিক হয়ে
যাবে ৷
আরিশ শান্ত অশ্রুমাখা দৃষ্টি নিয়ে দীর্ঘ সমুদ্রের ভেসে যাওয়া ঢেউ এর দিকে দৄষ্টি নিক্ষেপ করছে, কারণ চোখের জলটা কাউকে দেখাতে চায় না ও ৷
❤
আরু সব জামা কাপড় গুছিয়ে নিয়েছে চলে যাবে বলে ৷ একরাশ অভিমান থেকে কথাগুলো যে মনের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে তা ওর ধরাছোঁয়ার বাইরে… আরু তখন অভ্রের কথাটা বলেছে তার কারণ ও ওখানে অভ্রকে ওখানে দেখেনি ৷ আর আরিশ একটা ছোট্ট কথার জন্য ওকে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার কথা বলল৷
|
|❤
|
সকালবেলা,
ঘুমের মধ্যে যেন কেমন একটা দম বন্ধ হয়ে আসছে আরূর,কারোর একটা গরম নিঃশ্বাস ওর মুখের উপর অনবরত এসে বাড়ি খাচ্ছে , দম আটকে আসার উপক্রম ৷ চোখ খূলে তাকাতেই দেখলো আরিশ ওর ঠোঁট দুটো কে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে রখেছে…
আরু অনেক কষ্ট করে আরিশকে নিজের থেকে ছাড়ালো তারপর উঠে বসে হাঁফাতে লাগলো , এতক্ষণ যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে ও ৷
আরিস কাচুমুচু মুখ করে: এটা কিন্তু ঠিক না আরুপাখি ! সব সময় আমি রোমান্স করব আর তুমি তাতে ব্যাঘাত দেবে এটা আমি কখনোই মেনে নেব না৷
বলে আরুশিকে আবার বিছানায় ফেলে আরোশী কাছে গিয়ে বলতে লাগল : ভালোবাসি আরুপাখি!
অনেক বেশি ভালোবাসি বলে আরুশিকে জড়িয়ে ধরল ৷
আবেগে আরুশির চোখের কোন থেকে ক্রমাগত জল গড়িয়ে পড়ছে , আর মুখে কিঞ্চিৎ একটু হাসি ফুটেছে৷
আরিশ পাশে থাকা লাগেজটা দেখে বলল: ওটা কি আরুপাখি ? আমাদের হানিমুন ট্রিপের জন্য জামা কাপড় নিয়েছো তুমি?
আরু বিছানা থেকে নেমে বলল: আমি এ বাড়ি থেকে চলে যাব বলে জামাকাপড় pack করেছি, আর এখন আটটা বাজে দশটা বাজবে তখন আমি বেরিয়ে যাব৷ ইচ্ছা করে শুনিয়ে শুনিয়ে কথাগুলো বলল ৷
আরিস : আচ্ছা যাও বলে বিছানায় আরাম করে শুয়ে ৷
আরোশী অবাক হয়ে: আপনি আমাকে এত সহজে যেতে দেবেন ? আমাকে আটকাবেন না!
আরিস বিছানা থেকে নেমে আরুর কোমরটা জড়িয়ে নিজের কাছে এনে: আমার কাছেই তো সেই ফিরে আসতে হবে তোমাকে বারবার , পালিয়ে আর যাবে কোথায়৷ বলে হালকা করে আরূশির ঠোঁটে একটা কিস করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল ৷
যাওয়ার আগে বলল লাগেজের জামা কাপড়গুলো রেখে তাড়াতাড়ি রেডি হও , শপিং এ যাবো ,আর সানা কেউ বলে দিও বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল ৷
আরিশ চলে যেতেই আরুশি একটা মুখ ভাংচি দিল,
আরু: জানি জানি আমাকে তো যেতে দেবে না খামোখা আমাকে ভয় দেখায় ,আমিও কত ভয় পেয়ে গেছিলাম কথাটা শুনে😣 ৷
আরিশ ,আরূ আর সানা তিনজনের শপিং এসেছে৷ আরু আর সানা জামা দেখছে আর আরিশ ওদের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে , তবে বিরক্ত লাগছে না ওর ৷ আরুশির সাথে বেশি বেশি সময় কাটাতে দিলে ওর আর কি চাই , আরুশিকে সব সময় নিজের সঙ্গে রাখতে চায় তাই ওর সাথে সময় কাটানোর কোন মুহূর্তও আরিশ ছাড়তে চায় না….
আরু আর সানা শপিং করছে আর আরিশ ওদেরকে বলল কিছুক্ষণ এখানে দাঁড়াতে ও একটু দরকারি কল করে আসছে ৷
কলে,,,,,
আরিস: কি ব্রো , লুকিয়ে লুকিয়ে ফলো করা হচ্ছে!
অভ্র একটু ঘাবড়ে গেল , ওভাবে যে আরিশ বুঝতে পারবে ও ভাবেনি ৷
অভ্র: আচ্ছা জেনে গেছে তাহলে তা ভালোই, তবে নিজের বউকে একটু সামলে সামলে রেখো বলা যায় কখন কে কিডন্যাপ করে নেয় ৷ বলে হাসতে লাগল৷
অভ্রের কথা শুনে আরিশ উচ্চস্বরে হেসে বলল : রিয়েলি ! সেদিন না হয় ড্রিংক করেছিলে, আজকে তো নিজের হুসে আছ, তবে এসব কথা!
আরিশ এবার দাঁতে দাঁত চেপে বললো: ঠিক 10 সেকেন্ড আছে তোর হাতে, এক্ষুনি এখান থেকে বেরিয়ে যা না হলে তোর পিছনে কালো রঙের ড্রেস পরা যে দুটো লোকটা কে দেখছিস ও সারাক্ষণ শুট করার জন্যই বসে থাকে , আমি বললেই শুট করে দেবে তোকে , এখন ব্যাপারটা তোর ৷ এখন যাবি নাকি ওর বন্দুকের গুলিতে ঝাঝরা হবি ৷
অভ্র :ধমকাচ্ছিস আমাকে?
আরিস: ধমকাচ্ছি না তবে সাবধান করছি , আমি আর দশ কাউন্ট করব তার মধ্যে বেরিয়ে যা না হলে আজকে বেঁচে বাড়ি যেতে পারবি না ৷
আর এক মুহূর্ত ও অভ্র ওয়েট করল না শপিং মল থেকে বেরিয়ে গেল,,,,ও খুব ভয় পেয়েগেছিল ৷
আরিশ এবার হেসে বলল : হানিমুনে যাচ্ছি , বলা যাইনা তুই হইতো মামু ও হয়ৈ যেতে পারিস৷ কংগ্রাচুলেশন জানাতে ভুলিস না আবার ৷
অভ্র : এগুলো তোর ড্রিম , আর তোর আর আমার মধ্যে ডিল হয়েছে, যতদিন না আরু তোকে মেনে নেবে ততদিন তুই ওকে টাচ করবি না ৷আমার মনে লয় না ও তোকে কখনও মেনে নেবে ৷
আরিস : আমার কথা রাখতে আমি জানি, তুই চিন্তা করিস না বলে ফোন রেখে দিল ৷
আরিশ ওদের কাছে ফিরে যেতেই আরুশি জিজ্ঞাসা করল শান্ত কণ্ঠে : কোথায় গিয়েছিলেন?
আরিশ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে ফোন দেখতে দেখতে: তোমার অভ্র কে ধমকাতে ৷
তোমার অভ্র কথাটা শুনে আরূর মুডটাই অফ হয়ে গেল ৷ আরিসের সঙ্গে আর কোনো কথা না বাড়িয়ে টুকটাক জামাকাপড় কিনে বাড়িতে চলে গেল ওরা ৷
চলবে,,,
#তোমার_নেশায়_আসক্ত
#part:15
#Suraiya_Aayat
রাত প্রায় 11:30 ,আরিশের বুকে মাথা রেখে মাথার উপরে থাকা জ্বলন্ত ঝাড়বাতির টার দিকেই তাকিয়ে আছে আরূ ৷ হাজারো কল্পনা জল্পনার মাঝে ব্যস্ত আরু আর এদিকে আরিশ নিজের মতো আরুর সঙ্গে বকবক করেই চলেছে সেদিকে কোন খেয়াল নেই আরূর ৷ হঠাৎ আরিশ বলে উঠলো,,,,,,
আরিশ : বুঝলে আরুপাখি!
আরুসির থেকে নো রেসপন্স ৷
আরিশ (সুর করে): আরুওওপাখি!
আরুশি চমকে উঠে : আপনি কিছু বললেন?
আরিস আরুশিকে ওর বুক থেকে নামিয়ে আরুশির ওপরে উঠে ওর দিকে ঝুকে বলল: তুমি কিছু শোনোনি , আমি এতক্ষণ ধরে কি কি বলছিলাম?
আরিশ ওর ওপর ঝুকে গেছে তা দেখে ও ভয় পেয়ে গেল , তার পরে কাপা কাপা কন্ঠে বলল: না শুনিনি, আপনি কি বললেন আরেকবার বলবেন প্লিজ ৷
আরিশ আরুশির দিকে আরো ঝুঁকে বলল : আমি বললাম যে আমরা ইন ফিউচার দশটা বেবি নেব৷
আরিশের কথা শুনে আরুর গলা শুকিয়ে কাঠ,,,,
আরিস: এবার শুনেছো আরূপাখি? বললে আরূশির গালে হালকা করে হাত দিয়ে স্লাইড করতে লাগলো৷
আরুশি : আপনি এসব কি বলছেন ?আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন!
আরিশ : তোমার জন্যই তো পাগল আমি ৷
আরোশী : অনেক রাত হয়েছে আপনি এবার ঘুমিয়ে পড়ুন , কালকে সকালে ফ্লাইট , তাড়াতাড়ি উঠতে হবে৷
আরিশ: কিন্তু আমার তো এখন তোমাকে আদর করতে ইচ্ছে করছে আরূপাখি ৷
আরুসি তোতলাতে তোতলাতে: আমার খুব ঘুম পাচ্ছে ৷ (ও ভয় পেয়ে গেল )
আরিস আরুর ওপর থেকে উঠে এসে ওর পাশে শুয়ে উচ্চস্বরে হাসতে লাগল,আর তা দেখে আরু অবাক হয়ে গেল ৷
আরু অবাক হয়ে : আপনি এমন করে হাসছেন কেন?
আরিশ : তোমার ফেস দেখে ৷আমি যেই বললাম আদর করার কথা তুমি কতটা ভয় পেয়ে গেছিলে জানো! পুরো গোলু গোলু ফেস ৷
আরিশ : চিন্তা নেই , তুমি ঘুমাও ৷ আরুশিকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ল….
আরুশি মনে মনে : উনি কখন কি চায় বোঝা মুশকিল, বড্ড জটিল ব্যক্তিত্বের একজন মানুষ ৷ এই ভালোবাসেন আবার এই বকাঝকা করেন ৷ কখনো কি হবে আমার ওনাকে বোঝার ক্ষমতা!
|
|❤
|
সকালবেলা,,,,
আফজাল সাহেব : এয়ারপোর্ট থেকে নেমে দেখবা একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকবে, নাম্বারটা তোমাকে আমি সেন্ড করে দিচ্ছি সেই গাড়িতে উঠবে, ওটা তোমাকে নিয়ে যাবে হোটেল অবধি ৷
আরিশ : ওকে বাবা(চোখ মেরে)
আরিশের মা : সাবধানে যাস তোরা দুজনে ৷ তোদেরকে নিয়ে বড্ড চিন্তা হয় আমার ৷ আর আরিশ তুই যা অগোছালো , মেয়েটার একটু খেয়াল রাখিস৷
সানা: হ্যাঁ ভাইয়া খেয়াল তো রাখবেই , যতই হোক ওর আরুপাখি বলে কথা ৷ আরুশিকে দেখে চোখ মেরে ৷
সানার এরকম কর্মকাণ্ডে আরুশি একটু ঘাবড়ে গেল কিছু বললো না তবে , বড়োদের মাঝে এরকম কথা বলে সানা প্রায় ই ৷
আরিশ : তাহলে আসছি আমরা ৷আরাভ বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ৷
সানা : উনি দাঁড়িয়ে আছেন মানে ! উনিও কি আমাদের সঙ্গে যাবেন নাকি?
আরিশ : আরাভ যেতে চাইলো না করতে পারলাম না, তুই আর বেশি কথা বাড়াস না তাড়াতাড়ি চল ৷
সানা :উনি যাচ্ছি মানে আমি যাব না ৷
আফজাল সাহেব: এটা কোন কথা হল ! তুমি যাবে৷ আর আরাভ অত্যন্ত ভালো একটা ছেলে , আশাকরি তোমার কোন সমস্যা হতে দেবে না ও ৷
আরিসের বাবা বলাতেই সানা আর না করতে পারল না , ওদের সাথে গেল ৷
সারাটা রাস্তা সানা আর আরু দুজনে মিলে বকবক করতে করতে এসেছে ৷যদিও সানা বেশী কথা বলেছে ৷ আগের দিন আরাভ কে অনেক কিল ঘুষি মারায় ও লজ্জায় বেশি কথা বলতে পারেনি ৷
এয়ারপোর্টে নেমে আরাভ আরিশকে আলাদাভাবে ডেকে বলল: দোস্ত তোর বোনটাকে বলনা আমার সাথে .রিলেশনে যেনো রাজি হয়ে যাই ৷
আরিশ : পছন্দ তোমার, বিয়ে করবে তুমি ,আমি কেন রাজি করাবো হ্যাঁ ! (একটু ভাব নিয়ে)
আরাভ: দোস্ত তুইও এরকম করতে পারলি তো আমার সাথে, মনে রাখব ৷ বাই দ্যা ওয়ে যাচ্ছিস যখন তখন গোল করে বাড়ি ফিরিস , নাহলে তোর মান-ইজ্জতের ফেলুদা করে দেবো আমি ৷
আরিশ : আগে নিজের কেসটা সামলা ,তারপর আমাকে বলিস ৷
সানা: ওই বিরক্তিকর লোকটার সাথে আমাকে আবার বাড়ি ফিরতে হবে ,উফ অসহ্য কর ৷
আরোশী: সমস্যা কিসের?ওনাকে দেখে যথেষ্ট ভাল মনে হয় ৷
সানা : ভালো না তো ছাই, ওনার কথা ছাড় তুই , সাবধানে থাকিস আর ভালো খবর নিয়ে আসিস আরুপাখি ৷(চোখ মেরে)
আরোশী চোখ গরম করে : সানা আমি কিন্তু তোর ভাবী হই ৷
|
|❤
|
আরমান সাহেব : তোমার কি মনে হয় অভ্র আরূ কি রাজি হবে এত কিছু বলার পর ও ৷
অভ্র : আঙ্কেল আমার মনে হয় আরূ যে এত সহজে রাজী হবে না ,আর তাছাড়াও হয়তো আরিস ওকে আসতে দেবে না, তবুও ওকে যে করে হোক আমি আমার কাছে আনবোই , না হলে আমার নামও অভ্র নয় ৷
আরমান সাহেব : অনেক বড় মুখ নিয়ে তো বলছ তা কাজটা ঠিকঠাক হবে তো?
অভ্র মনে মনে: আপনাকে কি করে বলি আংকেল আমি যা করি সবই আরিস আগে থেকে জেনে যায় , ব্যাপারটা এত সহজ ভাবে বললেও সহজ নয় ৷
অভ্র: আমি যখন একবার বলেছি কাজটা করব তো করবোই না হলে আপনি তো আছেন ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করে নিয়ে আসবেন , যতই হোক নিজের মেয়ে বলে কথা বলে হাসতে লাগল ৷
|
|❤
|
আরিশা আর আরুকে এয়ারপোর্টে নামিয়ে রেখে সানা আর আরাভ দুজনেই বাড়ি যাচ্ছে,,,,,
সানাকে না চাইতেও ওকে অভ্রের পাশের সিটে বসতে হয়েছে যদিও বা ও চাইনি ৷
মাঝ রাস্তায় গিয়ে আরাভ গাড়িটা থামিয়ে দিল,,,,,,
সানা: এ কি আপনি মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামালেন কেন ?
আরাভ: আমার তোমার সাথে কিছু কথা আছে সেইজন্য ৷
সানা : দেখুন আমার সঙ্গে আপনার কোন দরকারি কথা নেই ৷ আপনি এখন প্লিজ তাড়াতাড়ি চলুন আমাকে তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁছাতে হবে ৷
আরাভ সানার দিকে খানিকটা ঝুকে গিয়ে: যতক্ষণ না আমার কথা তুমি শুনবে ততক্ষণই এখান থেকে কোথাও যেতে পারবো না তুমি ৷
সানা একটু ভয় পেয়ে গিয়ে বলল : আপনার ইচ্ছা নাকি?
আরাভ: হমম আমার ইচ্ছা ৷
সানা: জানি প্রত্যেক বারের মতো সেই একই কথা বলবেন যে আপনি আমাকে ভালবাসেন আর আমিও যেন আপনাকে ভালোবাসি এই কথাটাই তো ! যদি এটা ভেবে থাকেন তাহলে খুব বড় ভুল করছেন ৷
আরাভ: আমি কি একেবারেই অযোগ্য যে তুমি আমাকে মানতে পারছো না ৷
সানা: সে উত্তর আমার কাছে নেই ৷
সানার থেকে এমন একটা উত্তর শুনে আরাভের খুব রাগ হলো কারণ পজেটিভ হোক বা, নেগেটিভ যেকোন একটা উত্তর আরাভ শুনতে চেয়েছিল ৷ আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ গাড়ি স্টার্ট দিল…..
আরাভ(মনে মনে): ভালো কথার মেয়ে তুমি না বুঝতে পেরেছি ৷ এবার আমার টেকনিকেই তোমাকে মানাতে হবে ৷ বাঁকা একটা হাসি দিয়ে ৷
|
|❤
|
কলকাতা এয়ারপোর্টে অনেকক্ষণ আগেই প্লেন থেকে নেমেছে ৷ দশ মিনিট হল দাঁড়িয়ে আছে ওরা গাড়িটার জন্য , অপেক্ষা করছে ৷ যদিও বা আরিশ এর আগে অনেকবারই কলকাতা এসেছে ঘুরতে তবে আরূশির কখনো আসা হয়নি তাই সব কিছুই চোখে যেন কেমন নতুন নতুন লাগছে ৷
আরিশ আরুর দিকে তাকিয়ে বলল : ভালো লাগলো কলকাতা?
আরুশি মুখে হাসি নিয়ে: হ্যাঁ ভালো লেগেছে ,আপনি এর আগে এসেছেন?
আরিস : হ্যাঁ এসেছি অনেকবার তবে তোমার সাথে এই প্রথম সুযোগ হয়ে উঠল ৷
ওরা কথা বলতে বলতেই গাড়ি চলে এল, ওরা দেরি না করে তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে গেল ৷
বেশ অনেকক্ষণ ধরে গাড়ি চলছে , আরূর খুব বিরক্ত লাগছে এতক্ষণ ধরে বসে থাকতে ৷
আরুশি আর না পেরে আরিশ কে জিজ্ঞাসা করল: আর কতক্ষণ লাগবে?
আরিশ : এখনো বেশ অনেকক্ষণ , তোমার যদি ঘুম পায় তো আমার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাতে পারো৷
আরুশি একটু ইতস্তত বোধ করলেও না করতে পারলো না তাই আরিশের কাধে মাথা রাখল আর কখন যে চোখ দুটো এক হয়ে এসেছে বুঝতেই পারলো না ৷
আরূকে সাইট থেকে জড়িয়ে ধরল আরিশ যাতে গাড়ির ঝাকুনি তে ওর ঘুম ভেঙে না যায় ৷ প্রিয়তমার দিকে তাকিয়ে আছে আরিশ, হয়তো এ দেখার যেন কোন শেষ নেই…..
ঘুম ভাঙতেই কোন একটা তীব্র আওয়াজ পেয়ে আরুশির মনে কৌতুহল যেনো আরও বেড়ে গেল ৷এতক্ষণ ধরে ঘুমাচ্ছিল তাই কিছু জানতেই পারেনি ৷
আরিশকে কোথাও দেখতে পেল না কিন্তু তার থেকেও বড় কৌতুহল যে আওয়াজটা আসছে কোথা থেকে অনেকটা ?
সমুদ্রের ঢেউয়ের মতই শুনতে তাই তাড়াতাড়ি করে বিছানা থেকে নেমে ব্যালকনিতে গিয়ে দেখল চারিদিকে সমুদ্র আর প্রচন্ড ঢেউ পাড়ে এসে আছড়ে আসার জন্য তার তীব্র আওয়াজ ৷
ঘুম থেকে উঠে এরকম যে একটা দৃশ্য দেখতে পাবে আরুশি সেটা হয়তো ও ভাবতেই পারেনি ….
ওর রুমটা সমুদ্র থেকে সামান্য একটু দূরেই,দুই মিনিট হাটতেই সেখানে যাওয়া যাবে….
আরোশী আনন্দটা উপভোগ করার জন্য দুহাত মেলে জোরে জোরে প্রাণ ভরে শ্বাস নিচ্ছে তখন আরিস পিছন থেকে এসে আরুশির কোমরটাকে জরিয়ে ধরে ওর মুখে কিস করে বলল: পছন্দ হয়েছে আরুপাখি?
আরুশি : ভীষণ ৷ কিন্তু আপনি আমাকে আগে বলেননি কেন?
আরিশ : আগে বললে এটা কি আর সারপ্রাইজ থাকতো !
আরোশী এবার আরিশ এর দিকে ফিরে হুট করেই আরিশের গালে হালকা করে একটা কিস করে বলল : থ্যাংক ইউ সো মাচ ফর দিস সারপ্রাইজ বলে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে বিচের ধারে চলে গেল ৷
আরশি ও আরুশির পিছন পিছন গেল ৷ভালোবাসার মানুষটাকে কখনো একলা হতে দেবে না ও, সব সময় নিজের সাথে আগলে আগলে রাখবে ৷
❤
জলের মধ্যে পা ডুবিয়ে হাতে হাত রেখে হাঁটছে আরূ আর আরিশ ৷ দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ওরা আর সমুদ্রের ঢেউ গুলো ক্রমশ পায়ের ছাপগুলোকে মিলিয়ে দিচ্ছে তার নোনা জল দিয়ে….
আরুশি: আচ্ছা গাড়ির ড্রাইভারকে কি বাবা আগে থেকে বলে রেখেছিলেন এখানে আসার জন্য?
আরিশ: আসলে বাবাকে আমিই বলেছিলাম সবকিছু একটু অ্যারেঞ্জ করার জন্য , আর বাবা কে কথাটা বলতেই বাবা একেবারে রাজি হয়ে গেল ৷
আরুশি: তাহলে আপনার অফিসের কাজ ?
আরিশ হাসতে হাসতে : ওটা তো একটা বাহানা তোমাকে এখানে আনার জন্য , আর প্রিন্সিপালের কাছ থেকে ছুটি নেওয়ার জন্য ৷ উনাকে যদি এই কথাটা না বলতাম তাহলে এই সিচুয়েশনে উনি আমাকে কখনই ছুটি দিতেন না ৷
আরু: সত্যিই তো আপনার ফাইনাল এক্সাম আর আপনি ছুটি নিলেন কেন?
আরিশ: আমার এই বউটার জন্য, বড্ড ভালোবাসি যে আমার এই বউটাকে ৷
আরুশি লজ্জা পেয়ে কথা ঘুরানোর জন্য বলল : আচ্ছা জায়গাটা কিন্তু খুব সুন্দর কক্সবাজার এর মতোই ৷
আরিস : হ্যাঁ জায়গাটা খুব সুন্দর , এটা হল দীঘা ৷ আরো সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে দেখার মত, সব তোমাকে দেখাবো ৷
আরুশি : পরে দেখব সব আগে আপনাকে একটু ঢেউ এ ভিজিয়ে দিই ৷ এই বলে ধাক্কা মেরে আরিসকে জলে ফেলে দিল , তবে আরিশ ও ওর হাত ধরে থাকার জন্য আরুশিকে নিয়েই পড়লে ৷ জলে পড়ে দুজনেই হাসতে লাগল….
সমুদ্রের ঢেউ এসে দুজনকেই ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে , মিলে মিশে যাচ্ছে সবকিছু, একাকার হয়ে যাচ্ছে ভালোবাসায় ৷ হয়তো শুরু হতে চলেছে কোন এক নতুন ভালোবাসার অধ্যায়….
চলবে,,,,,,,