#তোমার_নেশায়_আসক্ত
#part:8
#Suraiya_Aayat
আরিশ ক্রমাগত আরূর দিকে ঝুকে যাচ্ছে তা দেখে আরু ভয়ে শেষ ৷
আরূ: আপনি আমার দিকে এভাবে এগিয়ে আসছেন কেন ? প্লিজ সরে যান ৷
আরিস : তোমাকে আদর করবো না আরুপাখি!
আরুশি : প্লিজ সরে যান, আমার কেমন অস্বস্তি হচ্ছে৷
আরিশ ওর কথা শোনার পাত্র নয় ৷ ও ক্রমশ আরুর ঠোঁটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখনই হঠাৎ আরিশের ফোনে ফোন এলো ৷
আরিস : এই সময় আবার কে? আমার সুখ যেন কারো সহ্য হয় না ৷ ঠিক জানে যে এখন আমি বাসর করছি তাই ডিস্টার্ব করার জন্য ফোন করেছে ৷
আরুশি( কাঁপা কাঁপা গলায়): আপনার ফোন বাজছে ফোনটা প্লিজ ধরুন , কোন দরকারি ও তো হতে পারে আর আমি তো আছি নাকি! নাকি পালিয়ে যাচ্ছি৷
আরিশ : চাইলেও তুমি পালাতে পারবে না আরুপাখি৷
এই বলে আরিশ পকেট থেকে ফোনটা বের করতেই ফোনটা দিকে তাকিয়ে একটু ভ্রু কুচকালো ৷
আরিশ : এক মিনিট আমি কলটা করেই আসছি বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল….
আরিশ : ফোনে,,,,,,
বলেছিলাম না তোর সাথে আমি আরুপাখির বিয়েটা হতে দেব না, দেখলি তো !
অভ্র: প্রথম বাজিটা তুই জিতে গেলেও, পরেরটা আমি জিতব ৷ তোর আরুপাখি কে আমি তোর কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে আমার সাথে ওকে নিয়ে চলে যাবে ইজিপ্টে , তারপর সেখান গিয়ে চড়া দামে বিক্রি করে দেব ৷ একটা পার্টি ওকে দেখে বেশ চড়া দাম দিয়েছে ,আর ওর যা ফিগার ,ওফফফ!
আরিশ( উচ্চস্বরে হাসতে লাগলো ): কল্পনা! হ্যাঁ সেটাও ঠিক , কল্পনায় তো আবার মানুষকে বাঁচতে শেখায় ৷ যদিও শোনা কথা তবে আজ মনে হচ্ছে তোর কথা শুনে বিশ্বাস করতে হবে ৷ আর ওর শরীরটাকে ভোগ করার কথা বলছিস?ওর শরীর কেন, আরুপাখি অবধি আমি কখনো কাউকে পৌঁছাতেই দেবো না ৷
অভ্র: প্রথম বাজিতে জিতে গিয়ে তোর আরূপাখিকে বাঁচিয়ে ভাবছিস ও পার পেয়ে যাবে? ওকে আমি ঠিক আমার কাছে নিয়ে আসবো ৷
আরিস : কল্পনা করতে থাকো ব্রো , দেখো শেষ অবধি কি হয় ৷
অভ্র: তুই আমাকে একটা কথা বলতো, তুই আরুশিকে যে বিয়ে করলি তুই কি ওকে ভালবাসিস?
আরিশ খানিকটা চুপ হয়ে গেল , তারপর বলল : আমি ভালোবাসি কিনা বাসিনা সেটা একান্ত আমার ব্যাপার , দ্যাট ইজ নট ইওর বিজনেস ৷
অভ্র : গুড আনসার , তবে আমি ওকে যদি তোর কাছ থেকে কেড়ে না নিয়ে ওকে আমি বিদেশে পাচার না করেছি তো আমার নাম ও অভ্র নয় ৷
আরিস: চেষ্টা তো কম কোরিস নি , কখনো সফল হয়েছিস কী?
অভ্র: আর তুই কি ভাবছিস আরুশি তোকে ভালোবাসে? ও কখনো তোকে ভালবাসে না ,ও তোকে শুধু ঘৃণা করি ঘৃণা আর কিছুই না ৷ ও তো আমাকে ভালোবাসে ৷
আরিশ : সেই ঘৃণাটাকেই আমি আরও বাড়িয়ে দেব তবে তোর মত একটা মানুষের হাতে ওকে তুলে দেবো না ৷
আর তোর টাইমিংটা খুব খারাপ জানিস তো , এক্ষুনি বউটা কে আদর করতে যাচ্ছিলাম আর তুই ডিস্টার্ব করলি ৷
অভ্র : একটা কথা মনে রাখিস তুই ওর শরীর পেতে পারিস তবে ওর মনটা কখনো পাবিনা ৷ ওর মন অবধি আমি তোকে কখনো পৌঁছাতেই দেবো না৷
আরিস : চ্যালেঞ্জ করলাম তোকে, প্রথমে ওর মন অবধি পৌঁছাব তারপরে ওর সমগ্রটা জুড়ে আমি থাকবো শুধু , আর সেই দিন তোর সঠিক ব্যবস্থা আমি করব ৷
বলে আরিশ ফোনটা রেখে দিলে, মাথার ভিতর দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে ৷ অভ্রের কথাগুলো ওকে বড্ড জ্বালাচ্ছে ৷এটা শুনে আরিশের বেশী রাগ হচ্ছে যে অভ্র ওকে বলেছে যে আরুশি অভ্র কে খুব ভালোবাসে ৷
আরিশ রাখতে পারছে না নিজেকে কোনরকম কন্ট্রোল করতে, ইচ্ছা করছে এখন এই মুহূর্তে সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দিতে কিন্তু তা ও করবে না ৷ তাড়াতাড়ি করে ও রুমে গেল,এখন ওকে জানতেই হবে যে আরুশি সত্যিই কী অভ্রকে খুব ভালোবাসে? যদি হয় তো খুব খারাপ হবে ৷
দ্রুত পায়ে রুমে এসে আরিশ দেখলো রুমে আরোশী নেই ৷ ব্যালকনির দিকে দরজাটাও খোলা কিন্তু আরুশি যে সে দিক থেকে পালাবে না আরিশ সেটা ভালোই জানে, তাহলে আরু কোথায়?
আরিশ এবার রেগে জোরে চেঁচাতে লাগলো: আরূ পাখি কোথায় তুমি ? এক্ষুনি বেরিয়ে আসো এখনই , না হলে কিন্তু ভালো হবে না ৷
তাও আরুর থেকে কোন উত্তর না পেয়ে আরিসের রাগটা যেন ক্রমশ মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৷ আবারো আরুশির নাম ধরে জোরে জোরে চেঁচাতে লাগলো,
জোরে জোরে চেঁচাতেই হঠাৎ দেখল আরুশি ওয়াশ রুমের দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসছে….
আরুশি ভয়ে ভয়ে সামনে কিছুটা এগিয়ে আসতেই আরিশ আরুর কাছে গিয়ে ওর হাত দুটো জোরে চেপে ধরে বলতে লাগলো : আমি ডাকলে শুনতে পাওনা ? উত্তর দিতে কি খুব কষ্ট হয় ?
আরোশী ভয়ে ভয়ে ধীর কন্ঠে উত্তর দিল : আমি তো ওয়াশরুমে চেঞ্জ করতে গেছিলাম ৷
তারপর আরিশ আরুশির থেকে কিছুটা দূরে সরে এসে দেখল যে সত্যিই আরূশি ওয়াস রুম থেকে চেঞ্জ করে এসেছে ৷ এখন আরিশ অভ্রর বলা কথাগুলো প্রায় এখন ভুলেই গেছে ৷
আরিশ চুপ করে আছে দেখে আরুশি আবার বলতে শুরু করল : আসলে অত ভারি ভারি শাড়ি আর গয়না পরে আমার কেমন অসস্তি লাগছিল তাই change করতে গেছিলাম ৷ আপনাকে ডাকতে চেয়েছিলাম কিন্তু আপনি ফোনে খুব ব্যস্ত ছিলেন বলে আপনাকে আর ডাকিনি তাই অনেক খোঁজাখুঁজি করে ওয়ারড্রব থেকে একটা শাড়ি পেলাম ৷তাই এটা পরে নিলাম৷
আরিশ এখনো আগের মতই শান্ত ৷ আরূশির মনে একটা কথা অনেকক্ষণ ধরেই আসছে কিন্তু ভয়ে আরিশ কে জিজ্ঞাসা করে উঠতে পারছে না , অবশেষে নিজের কৌতুহল টা চেপে না রেখে আরিশকে বলেই ফেলল :
আচ্ছা ওই ওয়ারড্রবে দেখলাম আরো বেশ কয়েকটা শাড়ি আছে তা ওগুলো কার ? এগুলো কি আপনি আপনার গার্লফ্রেন্ডের জন্য তুলে রেখেছিলেন?
আরুশির এরকম বোকা বোকা উত্তর শুনে আরিশের রাতটা যেন সপ্তম আসমান ছাড়িয়ে গেল ৷ শাড়িগুলো যে ওর জন্য রাখা সেই মিনিমাম সেন্স টুকুও ওর মধ্যে নেই….
আরিশ : হ্যাঁ! আমার তো দশটা বউ তাই জন্য ওখানে 10 জনের জন্য শাড়ি রেখে দিয়েছি , যাতে সবাই একদিন করে এসে ওগুলো পরতে পারে ৷ stupid.
আরুশি : তাহলে আমাকে বিয়ে করলেন কেন?
আরিশ এবার আরূকে কোলে তুলে নিল তারপরে দ্রুতপায়ে বিছানায় গিয়ে আরুশিকে শুইয়ে দিল আর
আরুশির কানে ফিসফিস করে বলল: বাসর করার জন্য ৷
আরুশির ভয়ে প্রাণ যায় যায় অবস্থা , কিন্তু ওকে অবাক করে দিয়ে আরিশ ওর পাশে অন্যদিকে ঘুরে শুয়ে পড়ল ৷ আরুশি যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো৷
অন্ধকার ঘরে কেবল একটা লাল রঙের আলো জ্বলছে আর তা ঘরটাকে সম্পূর্ণ আলোকিত করে দিয়েছে , আর আরুসি খাট বরাবর মাথার ওপরে থাকা ঝাড়বাতিটার দিকে একমনে তাকিয়ে আছে আর আর জীবনের ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনাগুলোর হিসাব-নিকাশ করছে ৷
হঠাৎই আরিস আরূকে ওর কাছে টেনে নিয়ে ওকে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে ধরল ৷ ঘটনাটা এতই তাৎক্ষণিক হলেও যে আরোশী কিছুই বুঝতে পারলো না ৷
আরিশ এবার আরুশির গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো৷
আরুশির কাতুকুতু লাগছে তাই ওর এখন খুব হাসি পাচ্ছে , না পেরে হাত-পা ছোড়াছুড়ি করে হেসে ফেললো আর আরিশের থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করল ৷
আরিশ বিরক্ত হয়ে বলল:এভাবে লাফাচ্ছে কেন?
আরুশি হেসে : আমার না খুব কাতুকুতু লাগছে ৷
আরিস: একটা থাপ্পর মারলে সব কাতুকুতু বার হয়ে যাবে ৷
আরিসের ধমকে আরু বেশ শান্ত হয়ে গেল ৷
আরিস নেশা ভরা কন্ঠে আরুশির দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো : তুমি অভ্রকে খুব ভালোবাসো তাই না?
আরুসি ভয়ে ভয়ে: হমমম৷
আরিশ এবার আরুশির উত্তর শুনে খুব রেগে গেল, রেগে গিয়ে আরুশির গলায় জোরে একটা কামড় দিলো , তারপরে গলা থেকে মুখ সরিয়ে ঠোঁটে একটা কামড় দিল বেশ জোরেশোরে ৷
আরুশি ব্যথায় ছটফট করছে, আর আরিশ ওকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়েছে আরামে , অবশ্য নিজের বুকের মাঝে আগলে রেখেছে আরুকে ৷ ওকে দেখে মনে হচ্ছে পৃথিবীর হাজার ঝড় তুফান এলেও আরিশের কাছ থেকে আরুকে আলাদা করতে পারবে না…..
সকালবেলা,,,,,,
আরিশ ঘুম ঘুম চোখে ওর হাতটা দিয়ে বিছানায় হাতরে দেখতে লাগলো , হঠাৎ অনুভব করল যে আরুশি ওর পাশে নেই ৷ ঝটপট করে উঠে গেল আরিশ ৷ উঠে দেখল আরুশি সবে গোসল সেরে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসেছে ৷ মাথা থেকে টাওয়েলটা খুলে দিতেই চুলগুলো কোমর ছাড়িয়ে নিচে পড়ল ৷ অপরূপ সুন্দর লাগছে দেখতে আরুশিকে , আরিশ যেন ক্রমশ নেশার ঘোরে চলে যাচ্ছে,,,,
আরুশি ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালো , আরুশি এতক্ষণ লক্ষ করেনি যে আরিশ ঘুম থেকে উঠে গেছে, তাহলে হয়তো ব্যালকনিতে আসার সাহস দেখাতে পারত না৷
আরিশ আরুরর কাছে গিয়ে পিছন থেকে ওকে জড়িয়ে ধরল , তারপর চুলের ভিতরে মুখ ডুবিয়ে দিলো ৷ অদ্ভুদ এক সুন্দর ঘ্রান আসছে আরুশির শরীর থেকে , আরুশির নেশায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছে আরিশ ৷
পেটে ঠান্ডা হাতের স্পর্শ পেতেই আরুশ একটু কেঁপে উঠল ৷
আরিশ :#তোমার_নেশায়_আসক্ত আরুপাখি তা কী তুমি বোঝনা !
আরু:এসব আপনি কি বলছেন ?আর আমার খুব ঠান্ডা লাগছে আপনার হাতটা সরান প্লিজ ৷
আরিশ আগের অবস্থানে থেকেই বলল: এত ঠান্ডার মধ্যে তুমি গোসল করলে কেন?
আরোশী : আরে আপনি জানেন না যে বিয়ের প্রথম রাতের পর তো মেয়েরা সকালে গোসল করে তাই আমিও করলাম ৷
আরুশির থেকে এমন উত্তর পেয়ে আরিশ চমকে উঠলো , তারপর আরুশিকে বলল ধমক দিয়ে: এই মেয়ে , বুদ্ধিশুদ্ধি আছে তো তোমার? তোমার সাথে কালকে রাত্রে আমার কি তেমন কিছু হয়েছে যে তুমি গোসল করেছ এই ঠান্ডার মধ্যে ৷
আরুশি চুপচাপ হয়ে গেছে , সত্যিই তো আরিশ যা বলছে সব ই তো ঠিক ৷
আরিশ : তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও আমরা বাড়ি ফিরব ৷(বলে ওয়াশ রুমের দিকে চলে গেল)
|
|
|💖
|
|
আরিশের মা ড্রইংরুমে আরুশির সঙ্গে বসে রয়েছেন৷ খুশিতে ঝলমল করছে উনি তা উনার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে ৷ আরিশের বাবাও বেশ খুশি ৷ উনিও আরুশিকে বেশ পছন্দ করতেন , তবে হুট করে আরিশ যে এরকম ভাবে হূট করে বিয়ের সিদ্ধান্তটা নেবে সেটা ঈনি ভাবতে পারেননি কখনও , তবুও উনি ওনার ছেলের উপর ভরসা রাখেন, বিশ্বাস করেন জে আরিশ কোন ভুল সিদ্ধান্ত নেবে না ৷ আর তার থেকে বড় কথা হল, এটা ভেবে উনি বেশী খুশি হলেন যে আগের মত আরিশ আর বেখেয়ালিপনা করবে না ,দেরী করে বাড়ী ফিরবে না, আবার সবকিছু আগের মতোই ঠিকঠাক হবে ৷
আরিশের মা আরুর কপালে চুমু দিয়ে বললেন:তুই আমার বউমা না আমার মেয়ের মত ৷ সানা আর তুই দু’জনেই আমার মেয়ে , আর এখন তো আরও নিজের হয়ে গেলি…
আরিশের মা: সানা তোর ভাবিকে ওর রূম টা দেখিয়ে দে ৷
সানা : ভাবি! সেটা আবার কে?ওতো আমার বোন, আমার জানু , আমার বেস্টি…
সকলের কর্মকাণ্ড দেখে আরূ মুচকি মুচকি হাসছে৷ দীর্ঘ সময় পর আরিশের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে একটু সকলের মাঝখানে খোলামেলা হয়ে কথা বলতে খুবই ভালো লাগছে ওর ৷আর আরিশের সাথে থাকলেই তো সবসময় আরিসের রোমান্টিক অত্যাচার গুলো সহ্য করতে হয় ওকে ৷
সানা : জানু চল, তোকে তোর ঘরে নিয়ে যায় ৷
আরূ আর সানা আরিশের ঘরের দিকে যাচ্ছে তখন সানা আস্তে আস্তে আরুশিকে বলল:
কাল রাতে কি কি করলি রে জানু আমাকে বল ৷
আরোশী সনার কথা শুনে অবাক হয়ে গেল ৷
আরুশি: ছি ! এসব কি সব বলছিস ৷
সানা: লজ্জাবতী লতা , আচ্ছা পরে শুনবো আগে তুই ফ্রেশ হয়ে নে ,রূমে যা ৷
সানা আর আরুশি অনেকক্ষণ ধরে আরিশের রুমের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে, ঘরের মধ্যে ঢুকছে না আরুশি বরং ঢুকতে চাইছে না , যদি আবার রুমের ভীতর ঢুকে আরিশ কিছু করে তখন ?
সানা: কিরে যা!
আরোশী : আমার না খুব ভয় লাগছে ৷
সানা : গোটা একটা রাত দুজন দুজনের সাথে কাটানোর পরে এখন বলছিস ভয় লাগছে , যা ৷ এই বলে আরুশিকে আরিশের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল ৷
রুমে ঢুকতেই আরুশি দেখল আরিশ গম্ভীর মুখ করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে ৷ বেশ রেগে আছে তা ওকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ৷
আব কেয়া হো গা?
চলবে,,,,,,