তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১৩
রুমা: কিরে মুন খারাপ কেনো?
মুন: ফাংশন হবে না তাই
রুমা: কি আর করবি বলতো আমাদের ও তো খারাপ লাগছে হেড স্যার যদি হটাৎ অসুস্থ না হতো তাহলে তো কিছু হতো bt কি করার
মুন: হা সেটাই
একটু পরে লামিয়া আসলো
লামিয়া: লুচু কোথাকার কি ভেবেছিলাম কি যা খুশি তাই করবে কেন রে আমি কি তোর বিয়ে করা বউ হু( রেগে)
রুমা: কি রে জিজু কি দিলো
লামিয়া: চুপ থাক শয়তান ছেমরি
মুন: ও তো ঠিক ই বলছে বলনা কি দিলো
লামিয়া: তোকে রোদ ভাইয়া কি দেয় বলতো
মুন: কিসের মধ্যে কি কথায় কোথায় শুধু রোদ আর রোদ
লামিয়া: খুব লাগছে তাইনা। তোরে রোদ যা দেয় আমার ও
(আর কিছু বলল না)
বাই দা জমিন কিছু মানে কিন্ত অন্য কিছু না জাস্ট কিসমিস। বেশি কিছু ভাবেন না
রুমা: আজ সিঙ্গেল বলে
মুন: রোদ তো শুধু আমায় ঝাড়ি বোকা থ্রেট এই ছাড়া জিবনে আর কি দেছে
বেরসিক লোক কোথাকার
লামিয়া: এই বদনময় গেবন আমি রাখমু না ( বদনা ময় জীবন)
রুমা: তোদের সাথে আমি আর থাকমু না সালা সব কয়টা তো করছে আর আমি বসে বসে মসা মারি ধুর
মুন: ভাই যেমন আছিস ভালো আছিস
ঝামেলার হাত থেকে বেঁচে গেছিস
লামিয়া: মুন ঠিক বলছে এই জীবন রেখে লাভ নাই
রুমা: চুপ থাক আমি ও প্রেম করমু
মুন: সালা মরার পাখনা গজিয়েছে
লামিয়া: দে তো মরতে দে
তখনই আবার বাঁধন আসে
বাঁধন: হাই শালীকা
সবাই পিছনে তাকাই
লামিয়া: এই সালা আবার এখানে কি করে( মনে মনে)
রুমা: হাই জিজু আবার কি নিয়ে যাবেন ওতো নিয়ে না গিয়ে বিয়ে করে নেন
বাঁধন: ওই মুটকি কে এখন বিয়ে করে আমি কি খাওয়াবো যা খায়
লামিয়া: তুই মুটকি তোর বউ মুটকি
বাঁধন : ছি কি ভাষা ছেলে মেয়ে হাওয়ার আগে একে মানুষ করতে হবে
মুন: জিজু দেখি সব প্ল্যানিং করা আছে
বাঁধন: দেখতে হবে না কার বর
লামিয়া: বন্দর্নীর
বাঁধন : যা বলতে আসছি আজ ক্লাস শেষে তোমাদের সবাই কে আমি ট্রিট দেবো কারণ আমার জান তাকে এতো দিন সামলিয়ে রেখেছ তাই
মুন+রুমা: ওয়াও জিজু কি সুইট
লামিয়া: সুইট না ছাই ( বির বির করে)
বাঁধন : আচ্ছা আমি এখন যাই কেমন
লামিয়া: আসতে কয়ছে কিডা (মনে মনে)
বাঁধন চলে গেলো
মুন রা ও ক্লাস এ চলে গেলো
ক্লাস করে সবাই মিলে রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে বসলো
বাঁধন : তো বলো কি খাবে
সবাই বললো
খাওয়া দাওয়া করে সবাই বের হয়ে গেলো
ভার্সিটি শেষে মুন বাইরে এসে দেখে রোদ দাড়িয়ে আছে মুন গিয়ে গাড়িতে উঠলো
মুন: কখন আসলেন ?
রোদ: একটু আগে
টা ক্লাস কেমন হলো
মুন: ভালো
রোদ: সেই ছেলেটা কিছু বলেনি তো
মুন: আজ দেখিনি
রোদ: দেখবে কি করে তার তো অবস্থা খারাপ করে দিছি বোঝাতে হবে না কার কলিজায় হাত দেছে (মনে মনে)
মুন বাড়ি এসে ফ্রেশ হয়ে নিল
তখনই ওর ফোন বেজে উঠলো
লামিয়া ফোন দিছে
মুন ফোন ধরলো
মুন: হা বল
লামিয়া: দোস্ত একটা ঘটনা ঘটছে
মুন: কি হয়ছে?
লামিয়া: আরুশ কে কারা মেরেছে হসপিটাল এ আছে
মুন তো আকাশ থেকে পরলো
মুনের বুঝতে বাকি হইলো না যে কাজটা কে করছে
মুন: তুই জানলি কি করে
লামিয়া: বাঁধন এর সাথে কথা বলছিলাম তখন ও বললো।
মুন: আচ্ছা আমি রাখছি
লামিয়া: আরে শুন
যা রেখে দিল
মুন: না রোদের সাথে আমার কথা বলতে হবে এভাবে কাউকে মারাটা রোদের ঠিক হয়নি
মুন কিছু না বলে রোদের রুম এ যায়
রোদ লেপটবে কাজ করছিল
রোদ: আরে আজ আমার জানটা নিজে থেকে আমার রুমে কেনো মিস করছিলে বুঝি আমাকে বললে তো আমি আসতাম এতো কষ্ট কেনো( বাকা হেসে)
মুন: আপনার ফালতু কথা শুনার টাইম নেই আপনি আরুশ কে কেনো মেরেছেন ?
রোদ: আরুশ টা কে যেনো ( না জানার ভান করে)
মুন: একদম নাটক করবেন না আমি জানি আপনি ওকে মেরেছেন
রোদ লেপটব রেখে মুনের কাছে গিয়ে গেলো মুনের কোমর জড়িয়ে ধরে বললো
রোদ: উহু ওকে তো আমি মারিনি মেরেছে আমার লোক
মুন: কেনো মারছেন আপনি
রোদ: কেনো মরছি জানােনা তোমার কি খারাপ লাগছে
মুন: উফফ ছাড়ুন তো আপনার সাথে কথা বলাই ফাউ
রোদ: না এসেছো নিজের ইচ্ছায় এখন যাবে আমার ইচ্ছায় এখন আমরা রোমান্স করবো
মুন: কি বলছেন মাথা ঠিক আছে তো
রোদ: একদম
বলে মুনকে নিজের দিকে ঘোরালো।
রোদ আস্তে আস্তে মুনের দিকে নিজের ঠোঁট টা এগিয়ে নিয়ে যেতে লাগলো মুন তো পাথর জ
হয়ে দাড়িয়ে আছে ।
রোদ মুনের আর কাছে আসতে মুন চোখ বন্ধ করে নিল।
রোদ একটা মুচকি হেসে মুনের কপালে নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো
রোদ: চিন্তা করো না ওসব কিছু করবো না তোমাকে টাইম দিলাম কিন্ত টাইম এর ব্যাবহার করলে সেদিন আর ছার হবে না আমার সব থেকে খারাপ রূপ দেখবা।
রোদের কথা শুনে মুন খুব লজ্জা পেলো কিন্ত শেষের কথা শুনে মুনের সব লজ্জা উরে গেলো।
রোদ: এভাবে কি দাড়িয়ে থাকবে যাও আমার জন্য কফি নিয়ে এসো।
মুন কিছু না বলে বেরিয়ে আসে।
মুন: ইসস আমি কি ভাবছিলাম এমা ছি ছি
রাইমা চৌধুরী: কি ছি চি করছিস
মুন: মামনি তুমি মানে
রাইমা: কি মানে মানে করছিস
মুন: মামনি রোদ কফি খেতে চেয়েছে
রাইমা: ওহ আচ্ছা তুই যা আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি
মুন: আচ্ছা
বলে মুন ছাদে গেলো
মুন: উফফ এসব নিয়ে না ভাবাই ভালো কিন্ত রোদের জন্য আমার মনে কিসের এত অনুভূতি সেদিন তো বলেছিলাম ভালোবাসি কেনো বলেছিলাম কেনো সেদিন মুখ থেকে আপনা আপনি চলে আসলো
এই কেনো উত্তর আমি কই পাবো।
উফফ আর ভাবতে পারছি না যা হচ্ছে হোক সময়ই সব কিছু বলে দেবে ।
এভাবে আর ও কিছু দিন চলে যায় রোদ আর মুন প্রতিদিন এর মত চলাফেরা করে মুনের রোদের প্রতি দুর্বল হচ্ছে।
একদিন মুন ভার্সিটির কাজে বাইরে আসে তখনই কিছু লোক মুন কে কিডন্যাপ করে।
মুন অনেক চেষ্টা করে কিন্ত সেন্সলেস হয়ে পরে।
মুনের যখন চোখ খুলে নিজেকে একটা অফিস এ আবিষ্কার করে ।
মুন সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে যায়
মুনের সামনে আরুশ বসে আসে।
আরুশ মুন কে দেখে বাকা হেসে বসে
আরুশ : কি হলো জান এভাবে দেখছ কেনো
খুব মিস করছিলে তাইনা (চোখ মেরে)
মুন: আপনি
মুন ভালো করে দেখে রোদ কপালে কাটার দাগ
আরুশ : হে আমি কত দিন তোমাকে দেখিনি
মুন: আমাকে এখানে কেনো নিয়ে আসলেন আমি বাড়ি যাবো
আরুশ: হে যাবে তো কিন্ত আগে বিয়েটা হোক।
মুন: কিসের বিয়ে কার বিয়ে
আরুশ: কার বিয়ে মানে তোমার আর আমার বিয়ে আজ আপনাদের বিয়ে জানু
মুন: সকাল সকাল কি কিছু খেয়েছেন?
আরুশ: জানু তুমি থাকতে আমার অন্য কোনো নেশার দরকার হয়না ।
মুন: এসব ফালতু কথা শুনার টাইম আমার নেই আমি এখন বাড়ি যাবো
আরুশ: বিয়ে টা হোক
কাজী সাহেব বিয়ে শুরু করেন
মুন: কিসের বিয়ে আমি করবো না এই বিয়ে
আরুশ : বিয়ে তো তোমাকে করতেই হবে ভালো ভাবে না করলে অন্য পথ খুলা আছে
এই টা একটু দেখো তো
(বলে ফোনটা মুনের সামনে ধরলো)
মুন আরুষের কথা মতো তাকিয়ে দেখে রাইমা চৌধুরি এর পিছনে একজন গান হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে ।
মুন: মামনি( কেদে)
আরুশ : কেদে লাভ নেই এখন তো শুধু তোমার মামনি আমার কথা না শুনলে রোদ তোমার পাপাই সবাই কে হারাবে
মুন: না প্লিজ এমন করবেন না ওরা ছাড়া আমার কেউ নেই আপনি যা বলবেন আমি তাই করবো।( কেদে)
আরুশ : আরে জানু এভাবে বলছো কেনো আমি কি ওদের ক্ষতি করতে পারি ওরা তো আমার শশুর বাড়ির লোক এখন চুপচাপ এইখানে সাইন করে দাও তো না হলে
মুন: না আমি করছি ।
আরুশ: গুড ফাস্ট।
আরুশ আগে সাইন করলো তারপর মুনকে দিল।
মুন কলমটা হাতে নিয়ে রোদের কথা মনে করলো তারপর চোখের পানি মাসে কাগজ তাই সাইন করলো
চলবে
(
হ্যাপি রিডিং)