তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_৪
মুনসহ রুমা আর লামিয়া ও হেসে যাসছে। আরুশ তো মুন কে দেখতে ব্যাস্ত।হটাৎ মুন এর ডাকে ভাবনার ছেদ ঘটে।
মুন: এই যে মিস্টার কোথায় হারিয়ে গেলেন?
আরুশ: না কোথাও না আপনার হাসিটা খুব সুন্দর
মুন কিছু বললো না।
তখন ওয়েটার খাবার দিয়ে গেলো।
আরুশ: তো আপনারা খান আমি পরে এসে দেখা করে যাবো কেমন বাই
রুমা লামিয়া: বাই
আবার ৩বান্ধবী মিলে খেতে লাগলো। খাওয়া শেষে বিল দিয়ে ক্লাস এ চলে গেলো
রোদ: যাক মিটিং টা ভালো ভাবে হলো এখন মুনকে আনতে যেতে হবে । পাগলিটাকে কতক্ষন দেখি না
রুহি: স্যার আপনি কি এখন বের হবেন?
রোদ: হ্যা কেনো কোনো দরকার?
রুহি: স্যার আমাদের অফিসে একটু প্রবলেম হসছে আপনি যদি এই ফাইল গুলো একটু দেখতেন তাহলে কাজগুলো একটু এগিয়ে যেত
রোদ: যেগুলো জরুলি সেগুলো বাড়ি পাঠিয়ে দাও আমি দেখে নেবো আমার একটু কাজ আছে।
রুহি: স্যার এই ফাইল গুলো আজই দরকার খুব আর্জেন্ট।
রোদ: ওকে দাও ( বিরক্তি ভাব নিয়ে)
রুহি ফাইল গুলো একিয়ে দিলো।
মুন ক্লাস করে রোদের জন্য wait করছে । লামিয়া আর রুমা কে জোর করে পাঠিয়ে দেছে।
মুন এর এখন খুব রাগ হসছে কত কতক্ষন ধরে দাড়িয়ে আছে। হটাৎ মুন এর সামনে কয়েকটা ছেলে এসে মুনকে ডিস্ট্রব করছে মুন ওদের থেকে একটু দুরে দাড়িয়ে গেলো কিন্ত তাও ছেলেরা মুন কে বিরক্ত করে যাচ্ছে একটা ছেলে তো বাইক থেকে নেমে সোজা মুনের কাছে আসছিল যেই মুন এর হাত ধরতে যাবে ওমনি হিরোর মতো এসে মুন এর সামনে দাড়ালো আর মুন পিছন থেকে বুঝতে পারলো না ছেলেটা কে ।গায়ে হালকা গোলাপী রঙের শার্ট কালো প্যান্ট চোখে কালো সানগ্লাস। ঠোঁট গোলাপী ( আজ কাল সবার ঠোঁট গোলাপী শুধু আমার বাদে )
ছেলেটা চোখের সানগ্লাস খুলে মুনকে যারা ডিস্ট্রাব করছিল তাদের দিকে রাগী চোখে তাকালো ।( ছেলেটা কে হতে পারে বলেন তো থাক আমিই বলি)
মুন ছেলেটার দিকে তাকিয়ে তো অবাগ কারণ ছেলেটা আর কেউ না আরুশ ।ছেলেগুলো আরুশ কে আগে থেকে চেনে খুবই রাগী ছেলে ।
আরুশ কে দেখে ছেলে গুলো চলে গেলো আর আরুশ মুন এর দিকে ফিরে দেখে মুন খুব ভয় পেয়ে আছে অ্যারুশ মুনকে বললো
আরুশ: কি ব্যাপার ছুটি তো অনেক আগে হয়ছে তুমি এখন ওর এখানে কেনো( চোখ গরম করে)
মুন: না মানে আমাকে নিতে আসার কথা ছিল তাই wait করছিলাম তখন ওরা আসলো আর
আরুশ: হমম বুজলাম কিন্ত তোমার তো বোঝা উচিত এমনি তেই দিন কাল ভালো না একা এভাবে দাড়িয়ে থাকা কি ঠিক তোমার বান্ধবীরা কই যারা তোমার সাথে থাকে তাদের সাথে ও তো দাড়াতে পারতে আজ যদি আমি না আসতাম তো কি হতো বুঝতে পারছো কোনো আইডিয়া আছে তোমার( রাগী গলায়)
মুন কিছু বললো না ।মুন কে চুপ থাকতে দেখে আরুশ এর রাগ আর ও বেড়ে গেলো নিজের রাগ তাকে কন্ট্রোল করতে দেয়ালে একটা জোরে গুসি দিলো।তাতে তো মুন ভয়ে শেষ এমনিতেই খুব ভয় পেয়ে ছিল তারপর আরুশ এর এমন করতে প্রায় কেদে দেওয়ার মতো অবস্থা।আরুশ দেখলো যে মুন এর চোখে পানি জ্বলজ্বল করছে তাই নিজের রাগ তাকে কন্ট্রোল করে মুন এর গালে হাত দিতে গেলে মুন পিছিয়ে গেলো ।আরুশ বুঝতে পেরে মুনকে বললো।
আরুশ: ভয় পাওয়ার কিছু নেই কিছু হয়নি আমি তো আছি চলো তোমাকে বাড়ি দিয়ে আসি।
মুন : (নিজেকে সামলে) না ঠিক আছে আমি যেতে পারব আমার গাড়ি এখনি চলে আসবে
আরুশ: যদি আসার হতো এতক্ষণে এসে যেতো তাই জেদ না করে আমার সাথে চলো
মুন: আমি যে( আর কিছু বলতে পারলো না আরুশ এর চোখ গরম করা দেখে একটা শুকনো ঢক গিললো)
আরুশ রোদের হাত ধরে বাইকের কাছে নিয়ে গেলো বাইকে স্টার্ট দিয়ে ( মুন এর দিকে তাকালো। মুন কোনো উপায় না পেয়ে উঠে পরলো)
গাড়ি চলছে আপন গতিতে মুন আর আরুশ এর মধ্য নিরবতা।
রোদ: বিরক্তি নিয়ে কাজ গুলো সেরে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে অনেক দেরি হয়েগেছে । রোদ আর এক মহতু না দাড়িয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরলো। ফুল স্প্রিড এ গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে।
আরুশ মুনের বাড়ি সামনে এসে ব্রেক করলো মুন নেমে কিছু না বলে বাড়ির ভেতরে চলে গেল পিছন থেকে আরুশ ডাকছে সেদিকে মুন এর খেয়াল নেই।
আরুশ: আরে দাওয়ার যা চলে গেলো একটা thanks ও দিলো না ওকে কোনো সমস্যা না কাল দেখে নিবো ( বলে আরুশ চলে গেলো)
মুন ভিতরে এসে যেনো হাফ ছেড়ে বাচল ।নিজের ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হতে নিলো ।ফ্রেশ হয়ে বের হতে না হতে কেউ একজন ওকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো। মুন সামনে তাকিয়ে ওর কাপাকাপি শুরু হয়ে গেছে কারণ সামনে রোদ দাড়িয়ে আছে আর ওর চোখ রক্তবন্য হয়ে আছে। রোদ ওর দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বললো।
রোদ: আমার জন্য না দাড়িয়ে চলে আসলে কেনো( দাতে দাত চেপে)
মুন: আমি আসলে
রোদ: যা বলার ক্লিয়ার করে বলো ডাম ইট ( জোরে চিল্লিয়ে)
রোদের চিল্লানিতে মুন ভয়ে কেদে দিল ।
রোদ মুনের কান্না দেখে কিছু টা নরম হলো টা ও আবার জোরে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে বলল
রোদ: কি হলো কাদছো কেনো আমি কি তোমাকে বলেছি না মেরেছি যে কাদছো আমি শুধু একটা পশ্ন করছি তার ans আমার চাই ( শান্ত গলায়)
মুন তো কেডেই যাচ্ছে ।রোদ এবার মুন মুনের গালে হাত দিয়ে চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে বুকে জড়িয়ে নিলো ।মুন ও রোদের বুকে কেদে যাচ্ছে আর রোদ মুনকে সামলাচ্ছে মুন কিছুটা স্বাভাবিক হলে রোদ মুনকে আবার বলে
রোদ: এবার বলো কি হয়েছে আর তুমি কার সাথে আসছ ।দেখো মিথ্যে বললে তো জানো আমি কি করবো তাই কোনো রকম চালাকির করার চেষ্টা করো না।
মুন রোদের থ্রেট শুনে তোতাপাখির মতো সব বলে দিলো।রোদ সব শুনে কিছুক্ষণ ভেবে বলল
রোদ: আজ যা হয়েছে হয়েছে নেক্সট টাইম থেকে তুমি আর কখনো একা বের হবা না গট ইট?
মুন: হম(নাক ডলতে ডলতে)
রোদ: গুড গার্ল এখন কিছু খেয়ে রেস্ট নাও।আর তোমার ভাবনা ও আমি তোমার সপ্ন ও আমি অন্য কারোর কথা কল্পনাতে ও এনো না(বলে চলে গেলো)
মুন বসে বসে রোদের কথা গুলো ভাবছে।ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলো
এদিক আরুশ নিজের ঘরে বসে বসে মুন এর কথা ভাবছে ।মুন এর হাসা।ওর কথা বলা ওর ভীত ভীত চেহেরা বারবার আরুশ এর মনে পড়ছে।
আরুশ: কি আছে ওই মেয়ের মাঝে যা আমাকে এত টানছে এতো মেয়ে দেখেছি কিন্তু ওর মতো কোনো মেয়ে দেখিনি( আনমনে এসব ভাবছে আর হাসছে)
হটাৎ সেখানে হাজির হলো একজন মধবয়স্কো লোক।
চলবে,